যে জীবন ফানুসের পর্ব -০৫

#যে_জীবন_ফানুসের
#পর্বঃ ৫
#রেহানা_পুতুল
এই ভাইয়া গাড়ি ব্যাক করুন প্লিজ। আমরা যেখান থেকে উঠেছি সেখানেই চলুন। গাড়ি তবুও ছুটে চলছে। রিমার ফোন পাওয়ার পরেই আমি গলায় জোর এনে ড্রাইভারকে ডাকলাম। সে শুনতে পেলনা বোধহয়। এখন বুঝলাম আবিদের নিরবতার কারণ। যদিও তখন আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলল। পরিবেশ পরিস্থিতি মানুষকে অনেক সময় অশান্তর বদলে শান্ত করে দেয়। যেন দীঘির শান্ত জল।

আবিদ ড্রাইভারকে বলল,
ভাই সামনের স্টেশনে গিয়ে গাড়ি থামান। নিরব ছায়ামূর্তির মতো আমার মুখের দিকে তাকিয়ে, ঢাকায় যাবেনা কেন ঝুমুর?

আমার ইচ্ছে। তুমি আমাকে জানাওনি কেন?

আবিদ চোয়াল শক্ত করে জবাব দিলো। প্রয়োজন মনে করিনি। আমি গাড়ি ঠিক করার পরেই ফোন পেয়েছি ফয়সাল আর নেই। কিছুক্ষণ নিচে দাঁড়িয়ে চিন্তাও করেছি। রেজাল্ট পেলাম,যেই তুমি তাকে কাছ থেকে দেখার জন্য এত উম্মুখ হয়ে আছ,সেই তুমি তার বিদায় সংবাদ শুনে আরো মরিয়া হয়ে যাবা যাওয়ার জন্য। ঠিক তাই।

আমি দৃষ্টিতে কাঠিন্যতা এনে চেয়ে রইলাম আবিদের দিকে। গাড়ি স্টেশনে থেমে গেলো। আবিদ বলল, তুমি সত্যিই ফয়সাল ভাইকে দেখতে যাবেনা?

আমি ঠোঁট উল্টিয়ে নিরস ভঙ্গিতে জানালাম। অবশ্যই না আবিদ। যার কাছে জীবিত থাকাকালীন উপেক্ষিত হয়েছি। উল্কার মতো ছিটকে গিয়েছি তার জীবন থেকে। সেই প্রাণহীন মানুষটাকে দেখতে গিয়ে কি হবে। বরং নিজের আত্মমর্যাদাকে বিকিয়ে দেয়া হবে নিজের বিবেকের কাছে। মানুষ পৃথিবীতে শুধু ভালোবাসার জন্যই বেঁচে থাকেনা। সম্মানের জন্য ও বেঁচে থাকে।

আবিদ আমার কথা শুনে অবাক চোখে চেয়ে রইলো। বললাম,চেয়ে দেখছ কি? গাড়ি ব্যাক করতে বল প্লিজ। আমি সিরিয়াস মুড়ে আছি।

এত সামান্য সময়ের ব্যবধানে তোমার পরিবর্তিত আচরণ আমাকে হতবাক করে দিলো ঝুমুর।

কেন? মুহুর্তেই যদি আকাশ ভেঙ্গে ঝড় নেমে আসতে পারে, কয়েক সেকেন্ডের মাঝেই যদি ভুমিকম্পে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে,তাহলে অল্পসময়ে একজন মানুষ বদলে যাওয়াটা বা সিদ্ধান্ত চেঞ্জ করাটা কি হতবাক হওয়ার মত কিছু? ওগুলো যেমন আমরা স্বাভাবিক বলে মেনে নিই। তেমনি মানুষের পরিবর্তন হওয়াটাও স্বাভাবিক। এতে চমকানোর মতো কিছুই নেই।

ড্রাইভার এতক্ষন ছিলোনা। চা সিগারেট খেতে বের হয়ে গিয়েছে। এখন আসামাত্রই আবিদ গাড়ি ব্যাক করতে বলল আগের স্থানে।

আমরা হোটেল এ চলে এলাম। এতসময় আবিদ মুখে রা টুকুও করেনি আমার সাথে। খালি উদাস পথিকের ন্যায় ভাবুক হয়েই বাইরে চেয়ে রইলো। আমি ব্যাগ থেকে সবকিছু বের করে গুছিয়ে রাখলাম। মনের ভুবনে তুফান যাচ্ছে এই কয়দিন ধরে। স্থির হয়ে বসলাম। মাকে ফোন দিয়ে দীর্ঘসময় কথা বললাম। এখন একটু হালকা লাগছে নিজেকে। মা এমন এক রত্ন। সকল রোগের মহাঔষধ। মায়ের বিকল্প কিছুই নেই দুনিয়ায়। মায়ের গলা আর কথা শুনলে কলিজা শীতল হয়ে যায় বরফের মতো। শান্তির পরশ দোল খেতে থাকে সারা মনআঙিনায় জুড়ে।

আবিদ বারান্দায় গিয়ে কোথায় কোথায় যেন ফোন দিচ্ছে আর কথা বলছে।
আমি বিছানায় বুকের নিচে বালিশ দিয়ে উপুড় হয়ে আছি। মোবাইলে নাড়াচাড়া করতে করতে গ্যালারিতে থাকা ফয়সালের সাথে আমার কিছু ঘনিষ্ঠ সময়ের ছবি ও ভিডিও আমাকে আবার কাবু করে ফেলল। আমি বরাবরই নরম মনের। সামান্যতেই ইমোশনাল হয়ে যাই। তবে আর নয়।

ভুলে যেতে চাই জীবনের কালো অধ্যায়কে। ফার্স্ট ইজ ফার্স্ট। নিজের মতো করে বাঁচতে হবে সম্মানের সাথে। আনন্দের সাথে।

জীবন কি শুধুই কচুপাতার উপরে ভেসে থাকা টলমলে জল? জীবন কি কেবলি নীল বিষাদের? নাকি কেবলি হাহাকার আর শূন্যতার ঝাঁপি বয়ে বেড়ানো ?
নাহ। জীবন আনন্দের, উপভোগের ও। সবুজ ধানের শীষের উপর অবাধে উড়াউড়ি করা রঙিন প্রজাপতির মতো। ঘরের কোনে গাছের শাখায় বসে চিউ চিউ করে ডাকা মুক্ত চড়ুইটির মতো।

চলজলদি করে ফয়সালের সাথে থাকা সব ভিডিও ফটো রিমুভ করতে থাকলাম। কখন যে চুপটি করে আবিদ পিছনে এসে দাঁড়িয়ে আছে টের পাইনি। চিলের মতো ছোঁ মেরে আবিদ মোবাইলটা তুলে নিয়ে নিলো আমার বিছানার উপর থেকে।

আমি ঘাড় ঘুরিয়ে কিই আমার ফোনে? জিজ্ঞাসা করলাম।

আবিদ দৃঢ় কন্ঠে, অনেক কিছু।

ভ্রঁকুচকে জিজ্ঞাসা করলাম,মানে?

দেখাচ্ছি বলে,সে ফোনের প্রতিটি স্থান থেকে সব ফটো ও ভিডিও রিমুভ করে দিলো। বলল, শুধু গ্যালারি থেকে রিমুভ করলে হয়না। আরো কয়েক স্থানে সব স্টোরেজ হয়ে থাকে। তাই আমি সকল কিছু থেকে সব চিরতরে গায়েব করে দিলাম।

রাজ্য জয় করার মতো আবিদের সারামুখজুড়ে চাপা আনন্দ আমার নজর এড়ালোনা। তবুও আমি জিজ্ঞেস করলাম, খুব ভালোলাগছে নাহ?

হুম লাগছে। লাগাটাই কি স্বাভাবিক নয়?

এখন যদি আমিই তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিই?

মানা কে করেছে বলে আবিদ চেঁচিয়ে উঠলো। পথ ক্লিয়ার এবার তোমার। যাকে ভালোলাগবে তার গলায় মালা দিতে পারবে। চলে যাও।

আমি জমে গেলাম তার এমন ভয়ার্ত গলা শুনে। চুপ মেরে রইলাম। সে সপাট করে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো।

রিমা ফোন দিলো,
কিরে আবার ফোন দিলি?
শুন ঝুমুর কাল আমি সায়না আর হিমা সিলেট আসতেছি। সবার সময় এখন মিলেছে তাই। তোরা দুজনসহ সবাই একসাথে ঘুরবো। দেখবি ফুরফুরে হয়ে যাবি। ভ্রমণ এমন এক জিনিস যা মানুষের দুঃখ,বেদনা ভুলিয়ে দিতে প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের মতই কার্যকর।
আমি থ বনে গেলাম শুনে। বললাম তোরা একাই আসবি তিনজন?

হুম একাই। তোদের হোটেলেই একরুম বুকিং দিয়ে রাখ তোর জামাইকে বলে।

এই রিমা কে জামাই? কিসের জামাই? চুক্তির বিয়ে। আমি তার কাছে থাকবো?

আঃ কি বলিস ঝুমু বেবি। কার গলায় ঝুলবি তাহলে? আবিদ বেচারাকো কেয়া কসুর হে? জীবন কি এতই সোজা সুঁচ। চাইলেই যেখান সেখান দিয়ে গেঁথে দেওয়া যাবে? রাখি। কাল দেখা হচ্ছে।

পড়পড় করে কথাগুলো বলেই রিমা লাইন কেটে দিলো।

আবিদ লাঞ্চ নিয়ে এলো। বিফ খিচুড়ি সালাদসহ। সাথে হাফ লিটার পানীয়। কোকাকোলা।

এত লোভনীয় খাবার না খেয়ে থাকা যায়না। আমার আয়েশ করে খাওয়া দেখে আবিদ খেতে খেতে বলল, তোমার খাওয়া দেখে ‘ সৈয়দ মুজতবা আলী’র ‘ দেশে বিদেশে ‘ ভ্রমণ গ্রন্থটির কথা মনে পড়লো। খাবার নিয়ে যেই মনোগ্রাহী বর্ননা উনি করেছেন। এককথায় চমৎকার। পড়েছ?

হুম পড়েছি। অদ্ভুত সুন্দর বই। এই বই দিয়েই আমার ভ্রমণ গ্রন্থের সাথে সখ্যতা ঘটে।

আচ্ছা রিসিপশনে গিয়ে খবর নাও একটু, কোন রুম খালি আছে কিনা এই রুমের পাশাপাশি?

আবিদ কৌতুহলী হয়ে, আরেহ তোমার দেখি পরিবর্তন পর্ব চলছে বিদুৎবেগে। দুই বেডেই ঘুমাচ্ছি দুজন। আলাদার কি দরকার?

আমার মুখ ফসকে বলদ শব্দটি উচ্চারিত হতেই,
এখানে বলদামির কি বলছি ঝুমুর?

আমার বন্ধু রিমা,সায়না,হিমা কাল আসতেছে। উদ্দেশ্য সিলেট ভ্রমণ। তাই আমাদের লাগোয়া রুম বুকিং দিতে বলছে। যদি পসিবল হয়।

তাই বল বলে আবিদ স্বস্তির দম ছাড়লো। ওকে,দেখছি বলে বেরিয়ে গেলো আবিদ। একটু পর এসেই ইউরেকা, বাট আমাদের দুই রুমের পরেরটা। বুকিং দিয়ে আসলাম।

রাতে দুজন দু বেডে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরেরদিন উঠেই মাকে ফোন দিলাম। মা বরাবরের মতো বুঝালো আল্লাহ যা করে তা বান্দার কল্যাণের জন্যই করে। আবিদের সাথেই যেন বাকিজনম কাটিয়ে দিই। দরকার হলে আবার বিয়ে পড়ানো যাবে।

বিকেলেই এসে গেলো বন্ধুরা। আমাদের রুমে এসে আবিদের সাথে পরিচিত হয়ে নিলো। আমি তাদের সাথে তাদের রুমে গেলাম। তাদের হাত ধরে কেঁদে ফেললাম অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে স্মরণ করে। মানুষের শুধুমাত্র দুঃখের সময়গুলোকে মনে পড়ে প্রিয়জনদের সান্নিধ্য পেলে আর একা থাকলে।

ওরা আমাকে হাত ধরে বসালো। আবিদের কাছেই থাকার জন্য অনুরোধ করলো নানাযুক্তিখন্ডন করে। বললাম, আসলে আবিদের দিকে মন ফেরাবার চেষ্টাটুকুও করিনি এতদিন। দুঃখ, বিচ্ছেদ আঁকড়েই পড়েছিলাম। অনেক রাত হয়ে গেলো গল্প করতে করতে। আমি ওদের সাথেই ডিনার করলাম। তারা আবিদকেও ডাকতে বলল । আমিই বাধা দিয়েছি।

রুমে যাচ্ছিনা দেখে আবিদ ফোন দিলো। রিসিভ না করেই ছুট দিলাম। ঘুম ও ধরেছে বেশ। নিজেকে একটু স্বাভাবিক লাগছে ওদের সাথে ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলাতে।

রুমে ঢুকতেই আবিদ বলল,খাবার এনে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। ফোন দেইনি আরো আগে। ভাবলাম ওদের সাথে থেকে একটু চনমনে হয়ে উঠো। উফফস! ক্ষুধায় মরে যাচ্ছি। আসো খাই।
সত্যি বলতে বন্ধুদের পেয়ে আবিদের কথা মাথায় আসেনি আর। এতটাই ভোলা মন হয়ে গেলো আমার।
বললাম, আমিতো খেয়ে ফেলছি ওদের সাথে।

কিইই! বলেই আবিদ চুপ হয়ে গেলো। মুখে ঘনকালো মেঘ নেমে এলো।

সর‍্যি আবিদ। তুমি খেয়ে নাও।

নাহ খাবনা। ফেলে দাও খাবার। কেন যে মানুষ খায়।

আহ আবিদ ছেলেমানুষী করো কেন?

আবিদ অনুযোগের সাথে তেজ ঢেলে বলল,ছেলেমানুষী আমি করছি না তুমি? আমার কথাই ভুলে গেলে? আরেহ মানুষ একটা কুকুরকে পাললেওতো তার জন্য এতটুকু সিমপ্যাথি কাজ করে মনে। আর আমি রক্তে মাংসে গড়া জীবন্ত একজন মানুষ। লাইট অফ করো। ঘুমাবো। কাত হয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো।

নিজেকে বড় অপরাধী মনে হলো। আবিদ ভুলকিছু বলেনি। ভাবছি কি করা যায়। মনে পড়লো ছোটবেলায় কোনরাত ভাত না খেতে চাইলে,
মা ভাতের গুরুত্ব দিয়ে বলতো একরাত ভাত না খেয়ে ঘুমালে একটা চড়ুইপাখির সমান ওজন কমে যায়। এভাবে যতরাত না খেয়ে ঘুমাবি, কমতে কমতে শুকাতে শুকাতে তুই তেলাপোকা হয়ে যাবি। তখন মায়ের হাতে ভাত খেয়েই ঘুমাতাম।

আমি প্যাকেট থেকে ভাত মাছ ভর্তা প্লেটে তুলে নিলাম। আবিদের পাশে গিয়ে আবিদ বলতেই মাথা ঘুরিয়ে চাইলো। বলছিনা খাবনা।

আমি মুখে কিছু না বলে নিজের হাতে ভাত নিয়ে তার মুখের সামনে ধরলাম। আমার চোখে চোখ রেখে খেয়ে নিলো সব ভাত। খাওয়া শেষে আলতো হেসে বললাম, প্লেট খালি করলো কে?

আবিদ শিহরিত চোখে চেয়ে বলল,অমন হাতে ভাত কেন বিষ ও অমৃত লাগবে।

আমি আড়ষ্ট হয়ে আমার বিছানায় শুয়ে গেলাম।
পরেরদিন সকালে রিমা,হিমা,সায়না, আবিদ ও আমি একসাথে নাস্তা খেলাম। রেডি হয়ে সবাই ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।
বন্ধুরা ফাঁকে ফাঁকেই চালাকি করে আমার আর আবিদের ক্লোজ শর্ট নিচ্ছে। ভিডিও করছে। আবিদ ও বুদ্ধি করে আমার গা ঘেঁষে ঘেঁষেই হাঁটলো।
পুরো দুদিন আমরা যতটা সম্ভব সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ঘুরেছি। সবাই মিলে দারুন মজা করেছি।
সেলফি,ছবি,ভিডিও,নৌকায় চড়া,খাওয়া দাওয়া কিছুই বাকি রাখলোনা বন্ধুরা। এত মনোরম। এত মোহনীয়। আমার দুনয়ন যেন সার্থক হলো। চারপাশে উদার প্রকৃতি, উপরে খোলা আকাশ, স্বচ্ছ জলরাশি। বড় মায়াময়।

অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এ সিলেটভূমি। চা বাগান, থেকে শুরু করে জাফলং, রাতারগুল জলাবন, হাকালুকি হাওড়, সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, তামাবিল, পাহাড়, ঝর্ণা কিছুই বাকি রাখিনি।

বসে বসে গ্যালারিতে সব দেখছি। ফয়সালের স্থানগুলো আবিদ দখল করে আছে কত অবলীলায়। নিয়তির খেলা বোঝা সাধ্য কারো নেই। কে কখন যে কার প্রিয় হয়ে উঠে।

ওরা আমাদের রুমে এলো। আবিদ ও বসে আছে। রিমা বলল, আবিদ ভাই এ পর্যন্ত অনেক খরচ করেছেন আমাদের জন্য। রুম বুকিং এ কত দিয়েছেন সেই টাকাটা শোধ করে দিতে চাই।

আবিদ একগাল সরস হাসি হেসে বলল,
আমি এভাবে শোধ চাইনা। তোমরা ঝুমুরের বন্ধু। তাই তার থেকেই শোধটা নিতে চাই। হুট করেই বোম ফোটার মতো হিমা বলে ফেলল,
কাল আবিদ ঝুমুরের বাসর হবে।

আবিদের মুখ চকচক করে উঠলো রূপোর থালার মতো। আমি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। চোখ বড় করে হিমা তুই রুমে যা বলছি। ফাজিল।
ওরা আমাদের রুম ছেড়ে চলে গেলো।

মোবাইল হাতে নিয়ে শুয়ে পড়লাম। হোয়াটসঅ্যাপে অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজ এলো। স্তম্ভিত হয়ে পুরো মেসেজ বার দুয়েক পড়লাম। ভেবে পাচ্ছিনা আবিদকে এই মেসেজ দেখানো উচিত হবে কিনা। হীতে বিপরীত কিছুও ঘটতে পারে। দেখালে যদি আবার আমার জীবনটা ফানুসের মতো উড়ে উড়ে গিয়ে আটকে যায় অন্য অচেনা বৃক্ষডালে।

চলবে…৫

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here