শালিক পাখির অভিমান পর্ব -২১

#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_২১
#অধির_রায়

সময় ও স্রোত কারোর জন্য অপেক্ষা করে না৷ অনেক চেষ্টা করেও ইমন ভাইয়ার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ পেলাম না৷ শ্রুতি ভাবীর মুখের দিকে তাকানো যায়না৷ উদাসীন মন নিয়ে বসে থাকে সারাক্ষণ। ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরছি। মুষলধারে বৃষ্টিতে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি৷
মনটা ভীষণ খচখচ করছে৷ বৃষ্টি আমার কখনও ভালো লাগে না৷ গ্রামে বৃষ্টি হলে আমার চরম রাগ হতো৷ বৃষ্টির পর পথ ঘাট পিচ্ছিল হয়ে যায়৷ চোখের সামনে ভেসে উঠে আনন্দপুরের ঘটনা৷

বৃষ্টির পর আমি আর শাকিলা স্কুল থেকে ফিরছিলাম৷ শাকিলা আমার হাত চেপে ধরে ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে৷ পথ ঘাট পিচ্ছিল। পা বারং বার স্লিপ করে পড়ে যাচ্ছিলাম৷ নিজেকে নিয়ন্ত্রণের রেখেছি অনেক কষ্টে৷ কাঁদার উপর দিয়ে হাঁটছি আর মনে মনে এভারেস্ট জয় করছি৷ শাকিলা বিরক্তি নিয়ে বলল,

“আপু আমি কাল থেকে স্কুলে যাব না৷ আমি কাঁদার মাঝে কখনও স্কুলে যাব না৷ এই রাস্তার সমস্যা কি?”

চোখ ছোট করে শাকিলার দিকে তাকালাম। প্রশ্নসূচক দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম,

“রাস্তা তোর সাথে কি করল? তুই রাস্তার সমস্যা কোথায় পেলি? রাস্তা তোকে স্কুলে আসতে জোর করেছে৷”

“হ্যাঁ রাস্তারই সমস্যা। গরমের মাঝে থাকে বালুময়। বৃষ্টির মাঝে হয় কাঁদাময়৷”

শাকিলার বোকা বোকা কথা শুনে ভীষণ হাসি পাচ্ছে৷ নিজের হাসি আটকানোর জন্য ঠোঁট কামড়ে ধরে আছি৷ তবুও অট্টহাসি দিয়েই দিলাম। শাকিলা আমার দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করল৷ চিৎকার করে বলল,

“কু*ত্তী তুই হাসছিস কেন? তোকে আমি … ”

আমার দিকে তেড়ে আসতেই শাকিলা ধপাস করে কাঁদায় পড়ে যায়৷ আমার কি আনন্দ হচ্ছিল বলে বুঝানো যাবে না? শাকিলার চিৎকারে আমার আনন্দ চুপসে গেলাম। আমি তড়িঘড়ি করে বললাম,

“কি হয়েছে শাকিলা? তুই উঠতে পারছিস না কেন?”

শাকিলা ভেজা কন্ঠে বলল,

“আপু আমি উঠতে পারছি না৷ আমার পা মনে হয় ভেঙে গেছে৷ আমি উঠতে পারব না৷ ব্যথায় ম*রে যাচ্ছি৷”

আমি শাকিলাকে তুলে বসালাম৷ শাকিলার ফর্সা পা লাল হয়ে গেছে৷ ফুলে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। পায়ের সেন্ডেল কাঁদার মাঝে আটকে পড়েছে৷ রাস্তায় কাউকে দেখতে পাচ্ছি না৷ কিভাবে বাড়িতে যাব? আমি শাকিলার হাত ধরে দাঁড় করালাম৷ শাকিলা চিৎকার করে বলল,

“আপু আমি পারছি না৷ আমার পায়ে ভীষণ ব্যথা করছে৷ আমি হাঁটতে পারব না৷ আমি এখানেই বসে থাকি৷ তুই বাড়িতে গিয়ে কাউকে নিয়ে আয়। আমার লক্ষী বোন৷ আমি তোর সাথে আর কখনও খারাপ ব্যবহার করবো না৷”

শাকিলার কথা মনে পড়তেই চোখের কোণে পানি জমে উঠল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। বৃষ্টি থামার কোন নামগন্ধ নেই৷ শাকিলা ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে পাশের নদী পানিতে ভরপুর। বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে৷ আউশধান পানির নিচে আটকে পড়েছে৷ কৃষকের অনেক ক্ষতি হচ্ছে৷ বন্যায় প্রতিবছর নদী ভাঙলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভূমিহীন হয়৷
কোন রিক্সাও পাওয়া যাচ্ছে না৷ সন্ধ্যার পর বাহিরে থাকা সম্পন্ন নিষেধ করেছেন আফসানা চৌধুরী। বৃষ্টিতে মাঝে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম৷ হঠাৎ চোখ পড়ল ইমন ভাইয়ার দিকে৷ ইমন ভাইয়া বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে একটা বাড়িতে ঢুকল৷ আমি ইমন ভাইয়ার পিছু নিয়ে সেই বাড়িতে ঢুকলাম৷ ইমন ভাইয়া ভিজে একাকার হয়ে গেছেন।ভেজা শরীর নিয়ে ইমন ভাইয়া মধ্য বয়স্ক এক মহিলার পা ছুঁয়ে সালাম করল৷ ইমন ভাইয়ার এমন ব্যবহারে চমকে উঠলাম৷ মাথা নত করে সালাম করা গুন্নাহ৷ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর সামনে মাথা নত করা শীরক৷ শীরককারীদের আল্লাহ তায়ালা কখনও ক্ষমা করেন না৷ আল্লাহর বান্দা কখনও অন্যের কাছে মাথা নত করে না৷

ইমন ভাইয়া বলল,

“কেমন আছেন মা? আপনার শরীর ভালো আছে?”

ভদ্রমহিলাটি বলল,

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ তুমি কেমন আছো বাবা?”

ইমন ভাইয়া মুচকি হেঁসে জবাব দিল,

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো।”

“তুমি তো ভিজে একাকার হয়ে গেছাে? নীলা নিজের রুমেই আছে৷ তুমি নীলার রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে নাও। বৃষ্টিতে কেউ ভিজে জ্বর পা’গ’ল। জ্বর আসতে পারে রাতে৷ তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে নাও৷”

আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না৷ একটা ছেলেকে বিনা বাঁধায় মেয়ে মানুষের ঘরে পাঠাল৷ ইমন ভাইয়ার দৃষ্টি এতো খারাপ উনার চোখে পড়ল না৷ ইমন ভাইয়া সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই আমি ভদ্রমহিলার সামনে দাঁড়ালাম৷ ভদ্রতার সহিত সালাম দিলাম,

“আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আন্টি৷?”

ভদ্রমহিলা মুচকি হেঁসে সালামের জবাব দেন৷ ❝ ওলাইকুম আসসালাম.❞ চিন্তিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন আমার উপর৷ মিহি কন্ঠে বলল,

“তোমাকে ঠিক চিনতে পারলাম না৷ তুমি কে?”

“আন্টি আমাকে আপনি চিনতে পারবেন না৷ ভিজে একটা ছেলে আপনাদের বাসায় প্রবেশ করল ;সে কি আপনার ছেলে?”

ভদ্রমহিলা মুচকি হেঁসে জবাব দিল,

“আমার ছেলের মতোই৷ সে তো নীলার হাসবেন্ড। জানো তারা অনেক বড়লোক! তার মা বাবা কানাডায় থাকেন৷ সামনের মাসে তার মা বাবা বাংলাদেশে আসবেন তখন ধুমধাম করে আমার মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাবেন৷ আমি ভাগ্য করে এমন জামাতা পেয়েছি৷”

“আন্টি আপনি আমার মায়ের মতো৷ আমার পরিচয় আপনার কাছে লুকাবো না৷ আমি সিভিল পুলিশ অফিসার। আপনাকে আমার সাথে একদিন চৌধুরী ভিলায় যেতে হবে৷”

ভদ্রমহিলা চিন্তিত কন্ঠে বলল,

“আমি কেন চৌধুরী ভিলাই যাব? আমি তো কোন অন্যায় করেনি৷”

“আমরা জানি আপনি কোন অন্যায় করেননি৷ আমরা সবাই চৌধুরী ভিলাতে থাকি৷ আপনাকে আমাদের দরকর৷ আপনি আমাদের কাছে সাহায্য করবেন৷”

ভদ্রমহিলা চকিত হয়ে বলল,

“আমি! আমি তোমাদের কিভাবে সাহায্য করব? আমি একজন সাধারণ মানুষ৷”

“আপনি আমাদের সাহায্য করবেন আপনার বুদ্ধি দিয়ে৷ আর হ্যাঁ আপনার ফোন নাম্বার দেন। ফোন করার সাথে সাথে চলে আসবোন৷ আরও একটি কথা মাথায় রাখবেন আমাদের মাঝে যে কথা হয়েছে তৃতীয় কোন ব্যক্তি জানতে পারলে আপনার মেয়ের হাসবেন্ডকে উপরে পাঠিয়ে দিব৷”

ভদ্রমহিলাটি আমার কথায় অনেক ভয় পেয়ে যান। এই মুহুর্তে নিজেকে গোয়েন্দা মনে হচ্ছে৷ ফোন নাম্বার পেয়ে এক মুহুর্তও না দাঁড়িয়ে ছুটে চলে আসলাম৷
__________

ঘুমের মাঝে পেটে কারোর হাতের স্পর্শ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায়৷ ইহান মুচকি মুচকি হাসছে আর পেটে শুরশুরী দিয়ে যাচ্ছেন৷ ঠোঁটের কোণে জমে আছে দু*ষ্টা*মি৷ উনার হাত চেপে ধরে উনার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালাম৷ কর্কশ কন্ঠে বললাম,

“আমাকে স্পর্শ করার অধিকার আপনাকে দেওয়া হয়নি৷ আপনি আমার সাথে অসভ্যতামি করার চেষ্টা করছেন কেন?”

আমার রাগী কন্ঠ শুয়ে ইহান খুব ভয় পেয়ে যান। তবুও ইহান ভাইয়ার ঠোঁটে শয়তানি হাসি৷ ইহান ভাইয়া আমাকে নিজের কাছে টেনে নেন৷ আমার নাকের সাথে নিজের নাক ঘেঁষে বলল,

“আমার শ্যাম সুন্দরী বউ আমাকে সহ্য করতো পারে না কেন? আমাকে তো একটু ভালোবাসতে পারো৷”

আমি রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সমস্ত জোর দিয়ে উনাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দিলাম৷ আমার এতো শক্তি কবে থেকে হলো? নিজেকে বাহুবলী মনে হচ্ছে৷ আমি হুংকার দিয়ে বললাম,

“আমার কাছে আসার চেষ্টাও করবেন না৷ আমার মতো কালো কেন বিয়ে করেছেন? আমি কিছুই জানি না৷ আমি অবুঝ শিশু নয়৷ আমি সবকিছু বুঝতে পারি৷”

আমাকে অগ্নি মূর্তির ন্যায় দেখে ইহান খুব ভয় পেয়ে যান৷ তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না৷ আমি কেন উনার সাথে এমন আচরণ করছি? উনি অবাক নয়নে আমার দিকে দৃষ্টি দেন৷ বুকভাঙা কষ্ট নিয়ে বলল,

“শালিক আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। আমার ভালোবাসা হারাতে পারব না বলেই আমি তোমাকে বিয়ে করেছি৷ তোমাকে নিয়ে আমি কোন রিস্ক নিতে চাইনা৷ যখন ইমন ভাইয়া তোমার বিয়ে ঠিক করেন তখন আমি নিজের মাঝে ছিলাম না৷ ইচ্ছা করছিল নিজেকে শেষ করে দিতে। সবকিছু ভেঙে তছনছ করে দিতে৷ তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা কখন জন্মায় আমি নিজেও জানি না৷”

আমি ইহানের থেকে কিছুটা দূরত্ব রেখে বললাম,

” আপনাদের কাছে ভালোবাসা একটা পুতুল খেলা৷ ইমন ভাইয়া নীলা নামে একটা মেয়েকে বিয়ে করেছেন৷ স্যারের কথামতো শ্রুতি ভাবীকে বিয়ে করেন। শ্রুতি ভাবী ইমন ভাইয়াকে নিজের জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসেন। শ্রুতি ভাবীর মুখের দিকে তাকানো যায় না৷ আপনি তো ইমনের ভাই৷ তাদের বংশের রক্ত বয়ছে আপনার দেহে৷ আপনি এমন হবেন না তার কোন নিশ্চয়তা আছে৷ আমাকে কালো দেখে এক সময় রক্ত কথা বলবে৷”

আমার কথাগুলো ইহানের মনে তীরের মতো লাগল৷ চোখ থেকে বন্যার ফোয়ারা বয়ে যাচ্ছে অনবরত। মুহুর্তের মাঝে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন৷ অশ্রু ভরা কন্ঠে বলল,

“আমি তোমাকে ভালোবাসেছি৷ ভালোবাসায় কোন বর্ণ থাকে না৷ ভালোবাসার বর্ণ থাকলে কখনও আঁধার থাকত না৷ আজ সাদার কদর আছে পৃথিবীতে কালোর অস্তিত্ব আছে বলে৷ তুমি আমার অস্তিত্ব। আমার চোখে তুমি সবচেয়ে শ্যাম সুন্দরী। যার মুখের দিকে তাকালে কবিরা মুগ্ধ হয়ে ছন্দ ভুলে যান৷”

“আমি আপনার কথা সব মেনে নিব৷ তার আগে আমাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে৷”

ইহান আহত কন্ঠে বলল,

“আমি তোমার জন্য সব রকম পরীক্ষা দিতে রাজি৷ আমার ভালোবাসা খাঁটি হলে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবো৷”

“আপনি আমাকে সহ্য করতে পারেননি৷ আমাকে দেখলে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতেন৷ আজ কেন আমার প্রতি আপনার এতো ভালোবাসা?”

ইহান ভেজা গলায় বলল,

“স্থান কাল পাত্র দেখে ভালোবাসা হয়না৷ আমি তোমার প্রেমে কখন পড়ি আমার জানা নেই৷ প্রথমে তোমাকে দেখলে আমার খুব মায়া হতো৷ আমি ভাবতাম তুমি সমাজের চোখে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না৷ তোমার প্রতি করুনা থেকে তোমাকে স্কুলে ভর্তি করি৷ তোমাকে গাইট করি৷ তোমার সরলতা, ডাগর চোখ, পাতলা ঠোঁটের মিহি হাসি আমার মন কখন কেঁড়ে নিয়েছে জানি না৷ ধীরে ধীরে তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি৷ আমার মনের কথা জানানোর জন্য তোমাকে কতোবার দিয়া বাড়িতে নিয়ে গেলাম৷ এটা ভেবেই বলতে পারিনি যদি তুমি আমাকে ফিরিয়ে দাও৷ নির্জন রাস্তায় পাশাপাশি তোমার সাথে হেঁটেও মনের কথাগুলো বলতে পারিনি তোমার সামনে প্রকাশ করতে পারিনি আবেগময় অনুভূতি। আমাকে একটা বার ভালোবাসার সুযোগ দাও৷ আমি তোমাকে কখনও ছেড়ে যাবো না৷”

ইহানের ভালোবাসার দেখে আমি মুগ্ধ। আমি কখনও বুঝতে পারিনি আমাকে কেউ এতো ভালোবাসবে৷ আমার চোখ থেকে দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল৷ ইহান নিজের জিহ্বা দিয়ে চোখের পানি খেয়ে নিল৷ সমস্ত দেহে কম্পন শুরু হল৷ হাত পা অনবরত কাঁপছে। ইহানের স্পর্শ অনেক ছন্দময় হয়৷ মলিন আহত কন্ঠে বলল,

“তুমি না ভাসলেও আমি ভাসি৷ তুমি কাছে না আসলেও আমি আসব৷ তোমার চোখের নোনা জল আমি নিয়ে নিব৷ তোমার চোখে জল নয় ভালোবাসা ফুটাব আমি৷ মুগ্ধ দুই নয়নে তোমাকে দেখব দিনভর৷ তবুও দেখার তৃষ্ণা নাহি মেটে৷”

ইহানের কথাগুলো আমার কানে প্রতিধ্বনি হচ্ছে৷ বারবার নাড়া দিচ্ছে একটি কথা৷ আমি অনেক ভালোবাসি ইহানকে৷ আর ইহানকে কষ্ট দিতে পারব না৷ আমার ভয়াবহ অতীত জেনেই আমাকে বিয়ে করেছে৷
কাউকে এতো ভালো না বাসলে কেউ এমন করতো না৷ আমি ইহানকে জড়িয়ে ধরে বললাম,

“আমিও আপনাকে খুব ভালোবাসি। আপনাকে ছাড়া আমি একটা মুহুর্তও থাকতে পারব না৷ আপনার প্রতি আমার অবহেলা প্রতিক্ষণে আমাকে দুর্বিষহ করে তুলে৷ আমাকে ক্ষমা দেন৷ আমাকে আপনার পায়ে একটু ভালোবাসার জায়গা দেন৷”

ইহান আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে বলল,

“তোমার জায়গা আমার বুকের বা পাঁজরে। তোমাকে জড়িয়ে ধরতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমার বা পাঁজরের হার্ড খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠে৷ কখনও ভাবিনি তুমি আমার হৃদপিণ্ডর প্রতিটি স্পন্দনে মিশে যাবে৷ তোমাকে ছাড়া আমার নিঃশ্বাস নেওয়া কষ্টকর৷”

আমি উনার বুকে মুখ লুকালাম৷ লজ্জায় উনার দিকে তাকাতে পারছি না৷ উনি আমাকে পাঁজাকোলা করে বিছানায় শুয়ে দিলেন৷ আমি সাথে সাথে দুই হাত দিয়ে নিজের মুখ ডেকে ফেললাম। কেন ভীষণ লজ্জা হচ্ছে? পাতালে চলে যেতে ইচ্ছা করছে৷ উনি রুমের লাইট বন্ধ করে দিলেন৷

চলবে….
কেমন লাগছে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here