শুধু_তোমাকে_প্রয়োজন পর্ব ১

বাসর রাতে হঠাৎ ডিভোর্সের কথা শুনে থমকে যায় নিয়তি৷ প্রথম দিকে ভালোই কাটছিলো তাদের ভালোবাসার মুহুর্তগুলো৷ কিন্তু ফুলসজ্জার পর অধির এমন কথা বলবে জানা ছিল না নিয়তির৷

— কাঁদো কাঁদো স্বরে নিয়তি বলে উঠে ” কি বলছেন? আপনি কেন আমার সাথে এমন করছেন৷ প্রথম তো আমাকে নিজে থেকেই কাছে টেনে নিলেন। এখন ছুঁড়ে ফেলে দিতে চান কেন?

— অট্টহাসি দিয়ে অধির বলে উঠে ” তোর মতো থার্ড ক্লাস মেয়েকে আমার বউ হিসেবে মেনে নিব৷ ভাবতে পারলি কিভাবে ? হাউ ফানি! ”

— “তাহলে এতক্ষণ আপনার সব ভালোবাসাগুলো অভিনয় ছিল?” চোখে জল নিয়ে নিয়তি বলে উঠে।

— তোর সাথে আমার থাকা সম্ভব নয়। চলে যা এখান থেকে৷ তোর মতো আনস্মার্ট মেয়েকে সিদ্ধার্থ অধির রায় বউ হিসেবে কোনদিন মেনে নিবে না৷ বল কত টাকা দিলে তুই এখান থেকে দূর হয়ে যাবি?

— স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কোনদিন টাকা দিয়ে কিনা যায় না৷ আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছি৷ আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাব না৷

— তোর কথা আমার ভালো লাগছে না৷ নিজের ভালো চাইলে এখান থেকে বেরিয়ে যা। আমি চাইনা রাগের মাথায় কিছু করে ফেলি৷

— “আপনি চান না আমি এখানে থাকি তাহলে কেন আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন?” “কেন ভালোবাসা দিয়ে নিজের কাছে টেনে নিলেন?” চিৎকার করে?

— আওয়াজ কম। তোর মতো হাজারও মেয়ে আমার সাথে সময় কাটানোর জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে।

— তারা অন্য মেয়ে কিন্তু আমি আপনার বিবাহিত স্ত্রী। সাত পাকে শপথ নিয়েছি সব সময় আপনার পাশে থাকব৷ আপনাকে ছেড়ে কখনো যাব না৷ আপনার কাছ থেকে একমাত্র সৃষ্টি কর্তা আমাকে আলাদা করতে পারে।

— তুই আমার টাকা দেখে আমার কাছে থেকে যেতে চাস৷ বল কত টাকার বিনিময়ে তুই এখান থেকে চলে যাব? আমি এক কথা বার বার বলতে পছন্দ করি না।

— যা আমার তা দিয়ে আমি কি করব?

— এখানে তোর কি আছে?

— আমি আপনার অর্ধাঙ্গিনী। আপনার সব কিছুতে আমার সমান অধিকার আছে৷ টাকা পয়সা দিয়ে আপনি আমার ভালোবাসা বিক্রি করতে পারবেন না৷

— যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা৷ কথার মায়াজালে আমাকে ফাঁসাতে পারবি না তুই৷

— কথার মায়াজালে কেন আপনাকে ফাঁসাতে যাব? আপনাকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবো৷

ভালোবাসা কথাটা বলতে দেরি হয়েছে নিয়তির গালে কষিয়ে চর পড়তে দেরি হয়নি৷ ভালোবাসা শব্দটা শুনেই অধির নিয়তির গালে কষিয়ে দুইটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়৷ নিয়তি থাপ্পড়ের আঘাত সহ্য করতে না পেরে সোফায় গিয়ে পড়ে৷

— অধির ক্ষেপে বলে উঠে ” তোর ওই বাজে মুখে আর একবার ভালোবাসার কথা উচ্চারণ করলে আমি তোর জিহ্ব টেনে ছিঁড়ে ফেলব।” এসেছে ভালোবাসা দাবি নিয়ে৷ আমি ভালোবাসা নামক জিনিসকে ঘৃণা করি৷

নিয়তি তবুও হাল ছেড়ে দেয় নি৷ নিজেকে কষ্ট করে দাঁড় করায়৷ অধিরের চোখে চোখ রেখে ” তাহলে আমাকে কেন বিয়ে করলেন? আমি আপনাকে বিয়ে করতে কখনো তো রাজি হয়নি। ”

— তোর সাথে বিয়েটা ছিল আমার একটা ডিল।তোকে বিয়ে করার পর আমার সেই ডিল সাকসেসফুল হয়েছে। এখন তোকে আমার কোন দরকার নেই৷

— তাহলে কেন স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে কাছে টেনে নিলেন?

–হিহি সেটা স্ত্রীর মর্যাদা নয়৷ সেটা হলো ভোগ৷ তোকে কি করে এমনি ছেড়ে দেয়? এমন হট একটা মেয়ে নিজের রুমে থাকতে। সেজন্য তোকে আমার পক্ষ থেকে কিছু একটা গিফট দিলাম৷ তোর সতিত্ব কেটে নিলাম৷

— ছি! এটাই ভাবতে লজ্জা লাগছে যে ” আপনাকে আমার স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছি। ” কি বলেন তো, আমরা মেয়েরা কত বোকা। অল্পতে তৃপ্ত হয়ে নিজেকে স্বামীর কাছে বিলিয়ে দেয়৷

— তোর লেকচার শুনার আমার টাইম নেই৷ বুঝেছি তুই এখান থেকে যাবি না৷ আমাকেই কিছু করতে হবে৷

— “আপনি কি করবেন?” করুণ স্বরে বলে উঠে।

অধির নিয়তির হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বেলকুনির দিকে৷ কিন্তু নিয়তি কিছুতেই যেতে যাচ্ছে না৷ সে সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজেকে আগলে রেখেছে। অধির কোন উপায় না পেয়ে নিয়তিকে কোলে করে বেলকনিতে নিয়ে যায়৷

নিয়তি ভেবে নেয় অধির তাকে নিচে ফেলে দিবে৷ নিয়তি নিজেকে বাঁচানোর জন্য অধিরের গলা জড়িয়ে ধরে। অধির নিয়তিকে বেলকুনিতে নিয়ে এসে নামিয়ে দেয়৷

— আমি খারাপ হতে পারি কিন্তু খুনি না৷ কাউকে খুন করে হাত নষ্ট করতে চায় না৷

— আপনি খুনির চেয়েও নিকৃষ্ট। আপনি মানুষকে মেরে ফেলার মতো কোন অংশই বাকি রাখেন না৷ একজন স্ত্রীর ভালোবাসা অবহেলা করা মানে তাকে সমাজের চোখে কলঙ্কিত করা৷ সেটা আপনি জানেন৷

— ব্যাস হয়েছে তোর লেকচার৷ তোর ভাগ্য ভালো যে এখনো আমি তোর সাথে ভালো ব্যবহার করছি৷

— আপনার মতো মানুষ আমি দুনিয়াতে দু’টো দেখিনি৷

— তোকে আর দেখতেও হবে না৷ আজ থেকে তোর জায়গা হলো বেলকনিতে। আমার প্রচুর ঘুম পাচ্ছে। থার্ড ক্লাস মেয়ের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না৷

নিয়তি কিছু বলতে নিবেই তার আগেই অধির নিয়তির মুখের উপর বেলকনির দ্বার লাগিয়ে দেয়৷ অধির নিজ রুমে এসে চারিদিকে হাত পা ছিটিয়ে মনের সুখে ঘুম দেয়। যেন পিছুই হয়নি৷

নিয়তি ধপস করে ফ্লোরে বসে পড়ে। কষ্ট আর চেপে রাখতে পারল না। চোখ থেকে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। আদর করে মুছে দেওয়ার মতো কেউ নেই৷ নিয়তির কষ্ট প্রকৃতিও কষ্ট পাচ্ছে৷ হুট করেই নেমে আসে মুষল ধারা বৃষ্টি। বৃষ্টি ফোঁটা বেলকনির গ্রিল বেদ করে নিয়তির গায়ে পড়ছে৷ বৃষ্টি কিছুতেই কমছে না৷ বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির ফোঁটায় জমে যাচ্ছে নিয়তি৷ এক সময় নিয়তি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে৷

অন্য দিকে অধির প্রকৃতির শান্ত শীতল হাওয়া পেয়ে মনের সুখে ঘুম দিয়েছে৷ বাইরে বৃষ্টি মনে ঝড়ের পূর্ণভাস৷ তবুও মনে পড়ছেনা নিয়তিকে৷ ভুলেই গেছে নিয়তি নামে কারো সাথে নিজেকে সাত পাকে বেঁধে ফেলেছে৷

সকালে ফোনের এলামে ঘুম ভাঙে অধিরের৷ প্রতিদিনের মতো আজও বেলকনিতে যায় ফ্রেশ হাওয়া নিতে। দ্বার খোলে দুই দিকে দুই হাত বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে নিলেই হুচুট খায় নিয়তির উপর৷ নিচে তাকিয়ে দেখে নিয়তি ভেজা কাপড়ে নিচে শুয়ে আছে৷ ভেজা ছোট চুলগুলো কপোল বেয়ে রয়েছে৷ সিল্কের শাড়ি হওয়াতে নিয়তির গায়ের সাথে লেপ্টে লেগে আছে৷

— ডাফার মেয়ে, কত বেলা অব্দি ঘুম আসবি৷

নিয়তির কোন রেসপন্স নেই৷ নিয়তি জ্ঞান হারিয়ে মরার মতো করে শুয়ে আছে। অধিরের বুঝতে সমস্যা হলো না যে নিয়তি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। অধির নিয়তির নাক মুখ বরাবর জলের ছিঁড়া দিয়ে নিয়তির জ্ঞান ফিরালো৷

— নবাবের মেয়ের মতো এখনো শুয়ে আছিস কেন? সকাল ৮ টা বাজে। সেদিকে কোন খেয়াল আছে৷

— চোখে ঘুম ঘুম নিয়ে ” কি হয়েছে মা ” প্লিজ মা আমি কোনদিন সকাল ৮ টায় ঘুম থেকে উঠেছি৷ আর একটু ঘুমাতে দাও না৷

— অধির নিয়তির কান ধরে ” এটা তো নিজের বাড়ি না। যখন ইচ্ছা তখন ঘুম থেকে উঠবি।”

নিয়তি চোখ মেলে দেখে অধির তার সামনে বসে আছে।অধিরকে দেখে নিয়তি বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়। অধিরও নিয়তির সাথে সাথে দাঁড়িয়ে পড়ে।

— চোখ ছোট করে করুনভাবে তাকিয়ে “আমি সারারাত এখানেই ছিলাম।”

— “ম্যাম আপনি এখানেই ছিলেন। আর ফ্লোরে জল নিয়ে খেলা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। অবশ্য সেটা আমার জন্য ভালোই হয়েছে আমি আপনার বড়ি দেখতে পাচ্ছি৷” ব্রু নাচিতে উপহাসের সাথে বলে উঠে।

নিয়তির রাতের কথা মনে পড়ে যায়। বৃষ্টিতে ভেজা নিয়তির কাছে প্রিয় হলেও রাতে বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা নিয়তির গায়ে তীরের মতো লেগেছে৷

— দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে ” ছি! একটা মেয়ে ঝড়ের রাতে একা একা বেলকনিতে ভেজে ভেজে একাকার হয়ে গেছে আর আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিলেন৷ আপনার মনে মনুষ্যত্ব বোধ বলতে কিছুই নেই৷

— তোর কথা শুনার মতো আমার টাইম নেই৷ আমার বেলকনিতে যখন ছিলি৷ তখন ফ্রেশ হয়ে নে। না হলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে৷

অধির নিয়তির কোন কথা না শুনে ছাঁদে চলে যায়৷ শরীর ফিট রাখার জন্য কিছু ব্যায়াম করে নেয়৷

নিয়তি সেখানেই বসে কান্না শুরু করে দেয়৷ কান্না করতে বলতে থাকে” কি এমন অন্যায় করেছিলাম৷ যার জন্য তুমি আমাকে এমন শাস্তি দিলে৷ ” আমার কোন ভুল থাকলে তুমি বলে দাও আমি সংশোধন করে নিব।

৩০ মিনিটের মতো কান্না করতে নিজের মনের কষ্ট কিছুটা হালকা করে নিয়তি৷ চোখের জল মুছে নিজেকে শক্ত করে ” আমি হার মানব না সিদ্ধার্থ অধির রায়। দেখি আপনি কি করে আমার থেকে দূরে থাকেন৷

নিয়তি চোখের জল মুছে ওয়াসরুমে চলে যায়৷ ওয়াসরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে যায়৷ নিচে নেমে দেখে মধ্য বয়স্ক দুই জন লোক বসে খবর দেখছে৷ দেখে বয়স বুঝা যায় না৷ এখনও অনেকটা যুবক যুবতী লাগছে৷ অন্য পাশে ১০ বছরের মতো একটা ছেলে বসে মিল্ক খাচ্ছে। নিয়তি ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে তাদের কাছে আসে৷

১০ বছরের বাচ্ছাটা নিয়তিকে দেখে চিৎকার করে বলে উঠে ” বউদি এসে পড়েছে। ”

ভদ্রমহিলাটি উঠে ” তোমার নামই নিয়তি ”

— হুম আমার নাম “নিয়তি”.

— বাহ! খুব মিষ্টি মেয়ে। আমি অধিরের মা৷ উনি অধিরের বাবা। আর উনি ছেলেটার দিকে হাত তুলতেই৷ ছেলেটি বলে উঠে, মা আমি বলছি ” আমি “সিগ্ধ রায়”। আর আপনি আমার বউদি৷

অধিরের বাবা নিয়তির দিকে তাকিয়ে ” আসলে অধির তোমাকে বিয়ে করেছে সেটা আমরা জানতাম না৷ আমরা কাল রাতেই জানতে পারি৷ তখন হুট করেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়৷ সেজন্য অধির তোমাকে আর আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়নি৷ আমরা খুব খুশি অধির নিজের লাইফ পাটনার খোঁজে পেয়েছে৷

নিয়তি মনে মনে ভাবতে থাকে” এই বাডির সকলে কত ভালো মানুষ। কিন্তু অধির ঘাড় ত্যরা একটা লোক। সব সময় কটাক্ষ কন্ঠে কথা বলে৷ মানুষের কোন দাম নেই তার কাছে। ”

— কি হলো কি ভাবছো? (অধিরের মা)

–আপনারা খুব ভালো মানুষ৷

— তুমিও খুব ভালো৷ এই জন্যই তো অধির আমাদের কিছু না বলে তোমাকে বিয়ে করে এনেছে৷ জানু অধির কখন কাউকে নিজের পছন্দের কথা বলে না৷ একটু রাগী টাইপের। প্লিজ তার এমন রাগী টাইপের স্বভাব দেখে তাকে অবহেলা কর না৷ কিন্তু তার মন অনেক ভালো৷

পিছন থেকে সিগ্ধ জড়িয়ে ধরে ” বউদি তুমি এখন থেকে আমার সাথে গল্প করবে৷ কেউ আমার সাথে গল্প করে না৷” আহ্লাদী স্বরে বলে উঠে।

— এখন পড়তে যাও সিগ্ধ৷ তোমার বাহনা বন্ধ কর৷ নিয়তিকে উদ্দেশ্য করে “তুমি আমার সাথে আসো?”

অধিরের মা নিয়তির হাত ধরে নিয়তিকে নিজেদের রুমে নিয়ে যায়৷ নিয়তিকে বিছানায় বসিয়ে আলমারি খোলে একটা গহনা বক্স বের করে৷

দুইটা কাঁকন নিয়তির হাতে পরিয়ে দিয়ে ” এই কাঁকন জোড়া আমার শ্বাশুড়ি মা আমাকে দিয়েছি৷ আজ এই কাঁকন জোড়া আমি তোমাকে দিলাম৷

— নিয়তি খুশি হয়ে তার শ্বাশুড়ি মাকে সালাম করে৷ অধিরের মা নিয়তির হাতে গহনার বক্স তুলে দিয়ে “এগুলো এখন থেকে তোমার৷ তুমি এই গুলো যত্ন সহকারে রাখবে।”

— না মা৷ এসব আমার লাগবে না৷ আমার কাছে আমার স্বামীই আমার অলংকার। তাকে ছাড়া আমার কিছু চাই না৷

— পাগলী মেয়ে৷ এই সব আমি অধিরের বউয়ের জন্য বানিয়ে রেখেছি৷ কিন্তু অধির কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি ছিল না৷ হুট করে আমাদের না জানিয়ে তোমাকে বিয়ে করে এনেছে। তবে আমাদের মন খারাপ। তাতে কোন সমস্যা নেই৷ এটাই ভেবে আমরা খুশি যে অধির বিয়েতে মত দিয়েছে৷ তুমি চিন্তা কর না৷ আমি তোমার শ্বশুর মশাইকে বলে তোমাদের জন্য রিসিপশনের ব্যবস্থা করব৷

— না মা৷ এমন কিছু করবেন না৷ আমরা একে অপরকে আগে ভালোভাবে চিনি৷ তারপর এসব করবেন৷ “আসলে আমি কাল রাতেই অধিরের সাথে পরিচিত হয়েছি৷” (লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে)

— ভালোবাসার পরশ এঁকে দিয়ে ” ওঁকে তোমরা যেমনটা চাইবে৷



অধির অফিসের জন্য রেডি হয়ে খেতে নামে নিচে৷ টেবিলে বসে দেখে সব কিছু আগের মতোই৷ নিয়তির দ্বারা টেবিলের কোন কাজ হয়নি৷ যা প্রতিদিনের খাবারের রুটিন থেকে অধির বুঝে যায় ৷ অধিরের ধারণা কিভাবে নিয়তিকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়?অধির বসা থেকে উঠে..

চলবে…

#শুধু_তোমাকে_প্রয়োজন
#পর্ব_০১
#অধির_রায়

নিয়ে আসলাম নতুন গল্প নিয়ে৷ ভালো রেসপন্স পেলে এগিয়ে নিয়ে যাব৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here