শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব -০৯

#শুভ্ররাঙা_ভালোবাসা
#তানিয়া_মাহি(নীরু)
#পর্ব_০৯

” আজ নিহান ভাই আসছে রে শুভ্রতা,হয়তো সন্ধ্যার আগেই চলে আসবে। প্রায় চার বছর পর ভাইয়া বাড়ি আসছে।”

আবিরার কথা শোনামাত্র শুভ্রতার বুকের ভেতর কেমন একটা করে ওঠে শুভ্রতার। নিহানের সামনে সে দাঁড়াবে কোন মুখে! নিহানের সামনে যাওয়ার মুখ যে তার নেই।
শুভ্রতাকে চুপ থাকতে দেখে আবিরা আবার বলে ওঠে, ” কি রে কি হলো?”

শুভ্রতা বলে, ” কিছু না আপু। ক্লাসে যেতে হবে তাড়াতাড়ি, নইলে ঢুকতে দেবে না। ”

” তুই কি বোরখা পরা শুরু করলি?”

” হ্যাঁ, আজ থেকে। তোমার ডাক্তারবাবুর কাছে গিয়েছিলাম, নম্বর নিয়ে এসেছি যখন তখন কল দিব। গতকাল একটু অসুস্থ ছিলাম তাই আর কল দিতে পারি নি। তোমার মেসেজের রিপ্লাইও দিতেই পারি নি।”

” আচ্ছা যখন ফ্রি হবি তখন কল দিস। তোকেই তো দায়িত্ব দিয়েছি দেখার জন্য আমার আড়ালে সে কেমন মানুষ। আমি কখনো ওর খারাপ দিকটা দেখি নি আশা করি তুইও পাবি না খারাপ কিছু আর সে তো ডাক্তার সবকিছু ভালো হওয়ারই কথা।”

” ঠিক আছে আপু এখন আসছি তাহলে।”

” আজ ক্লাসে না গেলে হতো না? বাড়িতে সবাই আনন্দ করবে আর তুই ক্লাসে যাবি!”

” সমস্যা নেই আপু। মাঝে অনেকদিন ক্লাস করি নি পড়া জমে আছে। ক্লাস ঠিকমতো করতে হবে এখন।”

” ঠিক আছে যা তবে। নিহান ভাইয়ার আসার কথা বলার জন্যই রাতে নক দিয়েছিলাম।”

” আচ্ছা আসছি তবে।”

আবিরা মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি দিলে শুভ্রতা সেখান থেকে চলে যায়। শুভ্রতা ভাবতে থাকে কি করে নিহানের থেকে দূরে থাকা যায়! কি করলে তাদের দেখা হবে না, সে যে নিহানের মুখোমুখি হতে পারবে না। সামনে দাঁড়াতেই তো কেমন অপরা*ধী লাগবে নিজেকে।
~~
যেখানে মেজর হতে ক্যাপ্টেন থেকে আট বছরের অধিক সময় লাগে সেখানে নিহানের ভালো পারফরম্যান্স দেখে তাকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল তিন থেকে সাড়ে তিন বছর কঠোর ট্রেইনিংয়ে সে যদি টিকে থাকতে পারে তবে তাকে মেজর পদ দেওয়া হবে। নিহান এর আগে অনেক কঠিন কঠিন কাজে অংশ নিয়েছে এবং নেতৃত্ব দিয়েছে। নিজের ওপর ভরসা ছিল তাই সে চ্যালেঞ্জ এক্সেপ্ট করে নেয়। শুভ্রতা ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার থাকাকালীন তার ট্রেইনিং শুরু হয়। সেখানে সুযোগ সুবিধা খুব কম ছিল। মাসে দুইবার বাড়িতে কথা বলা যেত আবার কোনমাসে একবার আবার কখনো দেখা যেন মাস চলে যেত কিন্তু কারো সাথে কথা হতো না।

নিহান যেদিন বাড়ি থেকে বিদায় নিবে সেদিন আলাদা করে শুভ্রতার সাথে দেখা করেছিল। শুভ্রতা রুমে বসেই ফোন ঘাটাঘাটি করছিল এমন সময় নিহান দরজায় নক করে। দরজায় তাকাতেই দেখে নিহান দাঁড়িয়ে আছে। সে তাড়াহুড়ো করে ফোন রেখে বিছানা থেকে উঠে মেঝেতে দাঁড়ায়।

” আপনি চলে যাচ্ছেন নিহান ভাই?”

” হ্যাঁ, আজ চলে যাচ্ছি পরশু থেকেই আমার ট্রেইনিং শুরু।”

” আচ্ছা সাবধানে যাবেন। ”

” হুম, কিছু করছিলি? বাসায় গেলি না যে!”

শুভ্রতা বলে, ” আমার খেয়াল ছিল না আজ আপনি চলে যাবেন।”

” ওহ। তোকে একটা কথা বলার ছিল।”

” হ্যাঁ বলেন না।”

” আজ না আমার ট্রেইনিং শেষ হলে বাড়ি এসে বলব।”

” কি এমন কথা যে তিন বছর পর বলবেন? আপনার মনে থাকবে?”

” হ্যাঁ মনে থাকবে তুই শুধু এরকমই থাকিস।”

নিহানের কথা ঠিক বুঝতে পারল না শুভ্রতা তবুও মাথা একপাশে নাড়িয়ে হ্যাঁ বলল। নিহান দুই একমিনিট বাদেই রুম থেকে বেরিয়ে গেল।

সেটাই ছিল নিহান আর শুভ্রতার শেষ দেখা। রুম থেকে বের হওয়ার পরই শাহাদাত সাহেব নিহানকে বলেছিলেন, ” তুই যে আমার মেয়েকে পছন্দ করিস সেটা আজ বলে দিলে হতো না?”

নিহান শুকনো হাসি হেসে বলে, ” না কাকা, আমি আজ ওকে বললে যদি কোনভাবে বুঝতাম ও আমাকে পছন্দ করে না শুধু চাচাতো ভাই হিসেবে দেখে তাহলে ট্রেইনিংয়ে মন বসাতে পারতাম না আবার যদি বুঝতাম শুভ্রতাও আমাকে পছন্দ করে তবুও ট্রেইনিংয়ে ভালোভাবে এক্টিভ থাকতে পারতাম না। ওর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করতো, দেখতে ইচ্ছে করতো।”

নিহানের কথার পরিপ্রেক্ষিতে শাহাদাত সাহেব কিছু বলে না কারণ নিহান তো ভুল কিছু বলে নি। নিহানের বিদায় হয়, পুরো বাড়ি সেদিন নিস্তব্ধ হয়ে যায়।

নিহানের ট্রেইনিং শুরু হওয়ার প্রায় তিনমাস পর শুভ্রতার বিয়ের কথা হয়। শুভ্রতার বাবা খুব চিন্তায় পড়ে যান। একদিকে মেয়ের ভালোবাসা অন্যদিকে বড় ভাইয়ের ছেলের। তিনি কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। নিহানের বাড়ির সবার মন যেন অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তারা সবাই ঠিক করে রেখেছিল নিহান আর শুভ্রতার বিয়ে নিহানের ট্রেইনিং শেষ হলেই দিবে কিন্তু কয়েকমাসেই যে এমনকিছু ঘটবে কারো জানা ছিল না। সে সময়ে চারপাশের পরিবেশ কেমন অস্বাভাবিক ছিল। শুভ্রতার বিয়ের কথা শুরু হওয়ার দিন পনেরো আগেই প্রতিবেশী একটা মেয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহ*ত্যা করেছিল কারণ বাড়ি থেকে প্রেমিকের সাথে বিয়ে দিয়েছিল না। শাহাদাত সাহেব দিশেহারা হয়ে যান কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। তিনি জানতেন নিহানের সাথে বিয়েটা হলে শুভ্রতা খুব সুখী হতো। সেসময় নিহানের সাথে কথা বলা খুবই প্রয়োজন ছিল।
দুদিন পরই শাহাদাত সাহেব নিহানের কল পান। তিনি যেন কিছুটা হলেও হাফ ছেড়ে বাঁচেন। বাড়ির ফেরার পথেই সন্ধ্যায় নিহানের কল আসে তিনি সাথে সাথে কল রিসিভ করেন। ওপাশ থেকে ভারি গলায় নিহান বলে,

” কাকা, মা কি বলল এসব? শুভ্রতার বিয়ে মানে? আপনি তো জানেন আমি শুভ্রতাকে পছন্দ করি তাহলে ওর বিয়ে কেন অন্যজনের সাথে হচ্ছে।”

” আমি বুঝতে পারছি না নিহান, কি করব আমি বল তো? ছেলেটার সাথে শুভ্রতার এক বছরের সম্পর্ক। আমরা বাড়ির মানুষ কিছুই জানতাম না। আমার ভয় হচ্ছে নিহান, কয়েকদিন আগে এখানে একটা মেয়ে সুইসা*ইড করে মা*রা গেছে পরিবার থেকে প্রেমিকের সাথে বিয়ে না দেওয়ায়। আমার মেয়েটাও যদি এমন করে!”

” কাকা ওকে ছাড়া আমি আমাকে সুখী হিসেবে কল্পনাও করতে পারি না। কীভাবে অন্যকাউকে ভালোবাসতে শুভ্রতা?”

” আমি কি করব বল তুই।”

” কাকে ভালোবাসে শুভ্রতা?”

” তোর ছোট আন্টির বাড়ির ওদিকেই বাড়ি”

শাহাদাত সাহেব ইমতিয়াজের পুরো পরিচয় দিয়ে দেয়। নিহান ও সাথে সাথে চিনে ফেলে ইমতিয়াজকে। দ্রুত বলে, ” কাকা ওই ছেলে তো এখনো পড়ছে আর সবচেয়ে বড় কথা ছেলে নে*শা করে।”

” আমিও এ কথা জেনেছি, শুভ্রতা বলেছে এখন নাকি করে না। অনেক আগে নে*শা করেছে।”

নিহান আর দেরি না করে বলে,” আমি শুভ্রতার সাথে কথা বলতে চাই কাকা।”

শাহাদাত সাহেব শুভ্রতার নম্বরে কল দিতে বলে কিছুটা সময় নিয়ে তাড়াতাড়ি করে বাড়ি চলে যান। নিহান এক মুহূর্ত দেরি না করে শুভ্রতাকে কল দেয়। শুভ্রতার নম্বর ব্যস্ত দেখায়। নিহানের বুকের ভেতরটা যেন দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিল। প্রিয় মানুষ অন্যকারো হয়ে যাচ্ছে এ সময়টা কারো কাছেই সুখকর নয়। প্রায় দশমিনিট পাগলের মতো কল দিতেই থাকে। চোখে পানি বারবার চোখ মুছছে, পুরুষ মানুষও যে প্রেয়সীকে হারানোর ভয়ে কাঁদে নিহান তার প্রমাণ। যে মানুষটা প্রিয় মানুষকে ভালো রাখার জন্য এত এত পরিশ্রম করে, ক্যারিয়ারে জন্য সময় নেয় দেখা যায় সেই মানুষটাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলে।
অতঃপর শুভ্রতা কল রিসিভ করতে নিহান বলে,

” হবু বরের সাথে কথা বলছিলি?”

শুভ্রতা প্রথমে নিহানকে চিনতে পারে না,কন্ঠটা কেমন অন্যরকম শোনায় তাই। সে পাল্টা প্রশ্ন করে, ” কে আপনি?”

নিহান ছোট করে উত্তর দেয়, ” নিহান।”

” ওহ নিহান ভাই আপনি! আজ হঠাৎ আমায় কল দিলেন যে?”

” আমি তোকে পছন্দ করি সেটা তুই আমার কোন আচরণে বুঝতে পারিস নি শুভ্রা?”

নিহানের কথা শুনে শুভ্রতার বুকের ভেতরটা কেমন করে ওঠে। সে তাহলে ঠিক বুঝেছিল! সব কাজিন একসাথে হলে নিহানের কাছে থেকে সবথেকে প্রায়োরিটি সে পেত, শাসন, রাগ সবকিছুই তার প্রতি বেশি ছিল। নিহান বরাবরই একটু রাগী স্বভাবের তাই শুভ্রতা একটু দূরে দূরেই থাকতো সবসময়।

শুভ্রতাকে চুপ থাকতে নিহান আবার বলে, ” আমি তোকে ভালোবাসি শুভ্রা।”

” কি বলছেন নিহান ভাই! আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। এক সপ্তাহ পরেই আমার বিয়ে। ”

” ওই ছেলে একদম ভালো না। সবরকম খারাপ গুণ ওর মাঝে আছে। তুই ওর সাথে কিছুতেই ভালো থাকতে পারবি না শুভ্রা। আমার কথা শোন প্লিজ।”

” ইমতিয়াজ এখন যথেষ্ট ভালো, ও আমাকে খুব ভালোবাসে।”

” আমি বলেছি না ওর সাথে তুই ভালো থাকতে পারবি না? আমার কথা মেনে নে।”

শুভ্রতা এবার কড়া গলায় বলে, ” শুনুন নিহান ভাই আমি একদম আপনার এসব কথা শুনতে চাইছি না। ইমতিয়াজ যথেষ্ট ভালো একটা ছেলে। আপনি আমাকে পছন্দ করতেই পারেন তাই বলে আমার হবু বরকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা একদম বলবেন না। আমি এসব বরদাস্ত করব না বলে দিলাম।”

” আমি তোকে ভালোবাসি শুভ্রা। ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি৷ কোন মানুষই চায় না তার প্রিয় মানুষ অসুখী থাকুক।”

” আমার এসব শুনতে একদম ভালো লাগছে না নিহান ভাই। আমি এখন রাখছি, ভালো থাকবেন।”

” শুভ্রা শোন……”

শুভ্রতা এতক্ষণে ফোন কে*টে দিয়েছে। নিহান পুনরায় কল করতেই নম্বর ব্যস্ত বলে তার মানে নম্বর ব্লক করেছে! নিহান শাহাদাত সাহেবকে কল দিয়ে খুব করে কান্নাকাটি করে একদম বাচ্চামানুষের মতো। শাহাদাত সাহেব মেয়েকে এ বিষয়ে জানালেও কোন লাভ হয় না। অতঃপর কারো মন ভেঙে কারো নতুন সংসার জীবন শুরু হয়।
~~

শুভ্রতা ক্লাসে বসে বসে নিহানের কথা ভাবছে। আজকের দিনে অন্তত নিহানের মুখোমুখি সে হতে পারবে না। শেষবার যখন সে নিহানের সাথে কথা বলেছিল খুব খারাপ ব্যবহার করেছিল সে। তার প্রতি হয়তো নিহানের এখন আর ভালোবাসা নেই কিন্তু তবুও তার সামনাসামনি সে হতে পারবে না।
শুভ্রতা অন্যমনস্ক হয়ে নিহানের কথা ভাবছিল। সাহিল শেখ ক্লাসে এলে সবাই সালাম দেয়। শুভ্রতা তখনো জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে। টিচারের থেকে কোন মনোযোগ তার নেই। দ্বিতীয় বেঞ্চে ফাউজিয়া আর শুভ্রতা দুজনেই একই বোরখা পরে বসে আছে। ফাউজিয়ার মুখে নিকাব আর শুভ্রতার মুখে কালো মাস্ক। সাহিল শেখ পড়া কোথায় জানতে চাইলে পিছনের বেঞ্চ থেকে একটা মেয়ে জানিয়ে দেয়। সাহিল শেখ শুভ্রতাকে আসার পর থেকে বাহিরে তাকানো অবস্থায় দেখছেন। শুভ্রতাকে ডাক দিলেও শুভ্রতার কোন পরিবর্তন দেখতে পান না তিনি। ফাউজিয়া হাত ধরে ঝাকিয়ে ডাকলে সে ফাউজিয়ার দিকে তাকায়।

” কি হয়েছে?”

” স্যার তোকে ডাকছে, কি ভাবছিস তুই?”

শুভ্রতা সাহিল স্যারের দিকে তাকায়, তিনি তখনো তার দিকেই তাকিয়ে আছে। শুভ্রতা বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়ে।

” জি স্যার?”

” ক্লাসে অমনোযোগী কেন? আসার পর থেকে দেখছি বাহিরে তাকিয়ে আছেন।”

” স্যরি স্যার।”

” ক্লাসে মন দিবেন প্লিজ, বসুন।”

ক্লাস শুরু হয়, সাহিল স্যার আগের দিনের পড়া দু একজনের থেকে নিয়ে পরবর্তী পাঠ আলোচনা শুরু করেন। এমন সময় শুভ্রতা ফাউজিয়াকে বলে, ” দোস্ত একটা কথা।”

” এখন আবার কি কথা? স্যার কথা বলতে দেখলে রাগ করবে।”

” আস্তে বলছি, শোন না প্লিজ।”

” হ্যাঁ বল।”

” তোদের বাসায় থাকা যাবে? আমি আজ শুধু আজই তোদের বাসায় থাকব। আন্টি কি কিছু মনে করবেন?”

” আম্মু কেন কিছু মনে করবে? কিন্তু তুই হঠাৎ আমার বাসায় কেন থাকবি?”

” তোকে পরে সব বলব। শুধু আমাকে এটা বল যে তোদের বাসায় থাকা যাবে কি না?”

” হ্যাঁ যাবে।”

” তাহলে আমি কিন্তু আজ তোর সাথে তোর বাসায় যাচ্ছি।”

” আসলেই? নাকি মজা করছিস?”

” না সত্যিই যাব।”

” ঠিক আছে, তাহলে আজ সারারাত আমরা গল্প করব, তোকে আমি নুডলস রান্না করে খাওয়াব।”

” যা ইচ্ছে খাওয়াস।”

দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ক্লাসে মনোযোগ দেয়। শুভ্রতা হাফ ছেড়ে বাঁচে আজকের দিনটা অন্তত বাঁচা যাবে। আজকে অন্তত নিহান ভাইয়ের সামনে যেতে হবে না ভেবে মনটা একটু ভালো হয় তার।

#চলবে…..

রাতে ৮নং পর্ব দিয়েছিলাম, যারা পড়েন নি পড়ে নিবেন। কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু। গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি।

আজকের পর্ব ৭নং এর চেয়েও বড়। এখানে ১৬০০+ শব্দ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here