শেষ প্রান্তের মায়া পর্ব -০৭

#শেষ_প্রান্তের_মায়া (৭)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
_______________

সকাল বেলা রান্না করে খেয়েই তিন্নির স্বামী সোহান ভাইয়ের সাথে বেড়িয়ে যায় মাহিদ। প্রথম প্রথম সোহান ভাইকে নিয়ে মনে সন্দেহ থাকলেও গত ৭ দিনে তাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যবহারে আমি মুগ্ধ। তারা আমাদের সাথে এমন ভাবে মিশে যেনো আমরা তাদের নিজের ভাই বোন। তিন্নি ভালো কিছু রান্না করলেই আমাকে আর মাহিদকে দিয়ে যায়। নিবো না বললেও সে জোড় করেই দেবে। প্রথম দিনেই আমার ব্যাপারে কথা উঠলে আমি তিন্নিকে সবটাই বলি। এরপর সে যেনো আরো বেশি অমায়িক হয়ে গেছে আমার সাথে। আশ্চর্যের হলেও তিন্নি এখন পর্যন্ত আমাকে একটু খোঁচা দিয়েও কথা বলেনি। সোহান ভাইও নিজের বোনের মতোই মনে করে কথা বলে। সোহান ভাই একটা তেলের পাম্পে কাজ করে। সেখানেই কর্মচারী খুজছিলো বলে মাহিদকে সে নিয়ে গেছে। মাহিদকে অনেক বুঝিয়েছি যাতে সে কাজ না করে কিন্তু ছেলেটা এতো জেদি যে আমাকেই হার মানিয়ে দিয়েছে। তার মতে সে তার বড় বোনকে না দেখলে কে দেখবে! আমার সাথে বিশাল তর্ক করে সে ওখানের কাজটা নিয়েছে। শুধু হিসাব দেখার কাজ। মাসে ৮/১০ হাজার টাকা দিবে বলেছে। সোহান ভাই এ মাসের জন্য অগ্রিম অর্ধেক টাকা নিয়ে দিয়েছে যাতে করে কোনো মতে এ মাস টা চলে যায়। আমি তো এভাবে বসে থাকতে পারি না। ভাইটা আমার সাথে এসেছে তাই ওর প্রতিও তো আমার একটা দায়িত্ব আছে। তাই নিজেও সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়েছি৷ তিন্নিকে বলেছিলাম একটা কাজের কথা। তিন্নি নিজেই একটু ভাবনায় পড়ে গিয়েছিলো। বললো,

‘দেখো তুমি তো শুধু মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছো আর এখন চাকরির বাজার এতো কড়া যে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়া কর্মচারী তারা নিতেই চায় না। অনেকে তো মাস্টার্স কমপ্লিট করেও চাকরি পাচ্ছে না। এ অবস্থায় শুধু ঢাকা শহরের গার্মেন্টস ছাড়া উপায় নেই।’

আমিও ভেবে দেখলাম আসলেই এটা সত্য। চাকরির বাজার এখন ভীষণ চড়া। কত শত পুরুষ বেকারত্বে ভেসে বেড়াচ্ছে। পড়ালেখা শেষ করেও অনেকে চাকরি পাচ্ছে না। কোনো ইন্টারভিউ ভালো হচ্ছে না তো আবার কোনো জায়গায় মোটা অঙ্কের টাকা না দিতে পারার জন্য চাকরি পাচ্ছে না। দিন দিন বেকারত্বের হার বেড়ে চলেছে। আর সেখানে আমি কেবল মাধ্যমিক পাশ। গার্মেন্টস ছাড়া উপায় নেই। বেড়িয়ে পড়লাম গার্মেন্টসের উদ্দেশ্যে। এবারও সাহায্য করেছে তিন্নি। মেয়েটাই কার থেকে যেনো গার্মেন্টসের ঠিকানা নিয়ে আমাকে দিলো। আমিও চুপচাপ একটা সিএনজি সেখান পর্যন্ত গেলাম। বিশাল বড় বড় বিল্ডিং। কত শত শ্রমিক এখানে কাজ করছে। গার্মেন্টসে কাজ করলেই কিছু মানুষ নাক ছিটকায়। ভাবে, ‘ছিহ গার্মেন্টস আবার কোনো কাজের জায়গা হলো‌! এখানকার মেয়েরা ভালো না।’ অথচ এই গার্মেন্টস কর্মীদের জন্যই আমরা রঙ বেরঙের পোশাক পাচ্ছি। শীতের দিনে উষ্ণ কাপড় পাচ্ছি তারপরও আমরা তাদেরকে সম্মান করতে পারি না। আমাদের দেশের ৬০% মানুষই দারিদ্রতা কাটায় এই গার্মেন্টসের কাজের মাধ্যমে। তাদের যেমন এতে করে ভালো মতো দিন কেটে যায় তেমনই দেশের মানুষেরও তো উপকার হয়। এত সব কিছু ভাবতে ভাবতেই গেইটের ভেতরে গেলাম। গলায় কার্ড নেই দেখে দারোয়ান আটকে দিলেন। কিছুতেই তিনি ভেতরে যেতে দিবেন না। এর মধ্যেই ভেতর থেকে একজন আমার নাম ধরে ডেকে উঠে। আমি সেদিকে তাকালে হেঁসে বলে,

‘তুমি মায়া? তিন্নি পাঠিয়েছে তোমাকে?’

আমি মাথা নাড়লাম। মেয়েটা আমার হাত ধরে ভেতরে ঢুকে। বলে,

‘আমি হেনা। তুমি যে বস্তিতে থাকো ওখানেই থাকি। তোমার সাথে আমার পরিচয় নেই তবে তিন্নির সাথে আছে। মেয়েটা এতো মিশুক কি বলবো! ওই আমার থেকে ঠিকানা নিয়ে তোমাকে দিয়েছিলো পরে আবার ফোন করে বলে দিয়েছে যেনো আমি তোমাার জন্য স্যারের কাছে একটু সুপারিশ করি। অবশ্য এখন লোক নেওয়া হচ্ছে। তুমি চলো!’

আমি এবারও কথা বললাম না। হেনার পায়ের সাথে পা মেলালাম। তিন্নি মেয়েটার কাছে আমার অনেক ঋণ পড়ে গেলো। হেনাই সব কথা বলে ঠিকঠাক করে দিলো। কাল থেকে জয়েন করতে বলেছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত আমার ডিউটি করতে হবে। যখন ওভার টাইম হবে তখন রাত ৮ টা পর্যন্তও করতে হতে পারে। আমি শুধু সম্মতি দিলাম। সেখান থেকে বের হয়ে বড় করে একটা শ্বাস নিলাম। অন্তত পক্ষে কোনো একটা কাজ জোগাড় হয়ে গেছে এটাই অনেক। খোলা আকাশের নিচে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিলাম। গুটি গুটি পায়ে হাটতে শুরু করেছি ফুটপাত দিয়ে। আশে পাশে কত শত মানুষ। কেউ কেউ পেটের দায়ে ছুটছে অন্যের কাছে, কেউ কেউ কাজ করতে না পেরে বসে পড়েছে রাস্তায়। কেউ কেউ আবার বড়লোকদের পেছনে ছুটছে। মানুষের কত ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র। যদি সবার দিক থেকে ধরা হয় তাহলে আমরা কেউই সুখী নই৷ সবার রয়েছে কোনো না কোনো অশান্তি৷ কেউ বড়লোক হওয়ার জন্য দিনরাত ছুটছে। আবার দেখাা যায় কারো অনেক টাকা আছে তবুও তার চাই! শুধু চাই আর চাই। নিজের যতটুকু আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে না পারার জন্যই মানুষের ভেতরের অসুখ ভালো হয় না৷ সুখ আসে না। ভাবনার মধ্যেই একটা ছোট্ট ছেলে ছুটে আসে সামনে। শাড়ির আঁচল টেনে বার বার বলতেছে,

‘আপা এই ফুল গুলা নেন না!’

আমি তাকালাম ছেলেটার দিকে। বয়স আর কত হবে! এই ৭ কি ৮। আমি খানিকটা ঝুঁকে বললাম, ‘ফুল বিক্রি করো?’

ছেলেটা মাথা নাড়ায়। আমি বললাম, ‘বাবা-মা কই? তুমি এসব বিক্রি করো কেন?’

ছেলেটা ফোকলা দাঁতে হাসে। কি মায়াবী চেহারা! আমি তাকিয়ে থাাকলাম ছেলেটার মুখের দিকে৷ আমার ছেলে-মেয়ে থাকলে তারাও এমন মিষ্টি করে হাসতো! ছেলেটা হাসতে হাসতেই বলে,

‘লোকজন কয় ছুডু বেলায় বাপ মা এই রাস্তায় ফালাইয়া রাইখা গেছিলো। আমার কেউ নাই। এ রাস্তায় আমার বাপ এই রাস্তায় আমার মা।’

বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। কিছু বলার ভাষা খুঁজে পেলাম না। বড়লোকদের মতো হাতে ৫০০ টাকা গুজেও দিতে পারলাম না। কারণ আমাদের মতো মানুষদের কাছে ৫০০ টাকা মানেই এই মুহুর্তে বিশাল ব্যাপার। এই মাসটা গেলেই হয়তো আমাদের দুঃখ কিছুটা ঘুচে যাবে। ছেলেটা ফের বলে,

‘ফুল নিবেন আপা?’

আমি শুধু একটা ফুল নিলাম। ব্যাগে টাকা ছিলো। মাইশার দেওয়া কিছু টাকা ছিলো। আমি সেখান থেকে ওকে কিছুটা দিয়ে নিজের যাওয়ার ভাড়া টা রেখে দিলাম। ছেলেটা কিছুক্ষণ আমাার দিকে তাকিয়ে ফুলের গোছা থেকে আরো একটা ফুল হাতে ধরিয়ে দিয়ে হাসি মুখে বলে,

‘এইডা রাখেন।’

বলেই ছুটে চলে যায়। একবার সেদিকে তাকিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলাম। আসার সময় দেখেছিলাম পাশে একটা অনাথ আশ্রম আছে। কিন্তু সেটা রাস্তার ওপারে। ছোট থেকে গ্রামে থাকায় এতো বড় বড় রাস্তা পার হওয়ার অভ্যাস নাই৷ কিন্তু অনাথ আশ্রমে যাওয়ার ভীষণ ইচ্ছা করতেছে। তাই রাস্তার কিনারে দাঁড়িয়ে একবার এদিক আরেকবার ওদিক তাকাচ্ছিলাম। কিন্তু রাস্তা তো আর ফাঁকা হয় নাা। গাড়ি তার নিজস্ব গতিতে যাচ্ছে আর আসতেছে। হতাশ হয়ে পড়লাম। সেই মুহুর্তে পেছন থেকে একজন বললেন,

‘ওপাশে যাবেন?’

আমি চমকে তাকালাম পেছনে। একজন ছেলে হাস্যজ্জ্বল মুখে দাঁড়িয়ে আছে। আমি একবার তার দিকে তাকিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ালাম। চিনি না জানি না তাার সাথে কি কথা বলবো! ছেলেটা আর কিছু বললো না। আমি সেখান থেকে সরে কিছুটা সামনে এগিয়ে এসে সেখান থেকে পার হওয়ার চেষ্টাা করলাাম। ফলাফলে পার তো হতেই পারলাম না উল্টো বাইকের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে গেছি। ভাগ্য ভালো থাকায় শুধু একসাইডের ধাক্কাা খেয়েছি। ছিটকে পড়ায় হাতে পায়ে ব্যাথা পেয়েছি। লোকজন দৌড়ে আসলো। সেই ছেলেটি ছুটে এসে প্রথমে আমার কাছে বসে বললো,

‘আরেহ ব্যাথা পেলেন কিভাবে! ওপাশে যাবেন তখন বললেই তো পার করে দিতাম। উঠুন!’

এগুলো ছোট খাটো ব্যাথার অভ্যাস আমার আছে। এর থেকে বড় বড় ব্যাথা সহ্য করে এগুলো আর গায়ে লাগে না। আমি ছেলেটার কথা জবাব দিলাম না। অচেনা মানুষের থেকে যত দুরে থাকা যায় তত ভালো। একজন মেয়ে আমাকে ধরে নিয়ে পাশের একটা ফার্মেসীতে আসলেন। সাথে সেই ছেলেটাও ছিলো। মেয়েটি আমাকে রেখে চলে গেলেও ছেলেটি থেকে যায়। আমি বললাম,

‘দরকার নেই কিছুর। ঠিক হয়ে যাবে!’

ছেলেটি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললেন, ‘আমার সাথে কথা বলতে চান না ঠিক আছে! আমার থেকে সাহায্য নিতে চাচ্ছেন না তাও মানলাম। একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষকে সাহায্য করাটা কি আমার দায়িত্ব না? আর আপনার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও আমি একই কাজ করতাম। তাই দয়া করে চুপ করে বসে থাকুন।’

কথা বাড়ালেই কথা বাড়বে৷ তাই চুপ করে রইলাম৷ কপালটাই খারাপ! এতো কিছু হয়ে গেলো তারপরও যেখানে যাওয়ার জন্য এতোকিছু সেখানে আর যেতে পারতেছি না। মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। হাত পায়ে যতটুকু ক্ষ’ত ছিলো সেখানে ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো। এরপর ছেলেটা নিজেই আমাকে রাস্তা পার করে দিয়ে বললো,

‘এখন যেখানে যাওয়ার যান!’

আমি উত্তর দিলাম না। একটা সিএনজি ডেকে নিয়ে বসে পড়লাম। ছেলেটা বিড়বিড় করে কি যেনো বললো। আমি ছোট করে শুধু বললাম, ‘ধন্যবাদ।’

ব্যাস তারপরই সিএনজি শো করে জায়গাটা ফেলে গেলো৷ এতক্ষণ পর ধন্যবাদ দেওয়ায় নিশ্চয় ছেলেটা হা করে তাকিয়ে ছিলো আমার সিএনজির যাওয়ার দিকে!

___________
হাতে পায়ে সামান্য ব্যান্ডেজ দেখেই মাহিদ শুরু হয়ে গেছে। বকাবকি করছে কেন বাড়ি থেকে বের হলাম! আমি চুপচাপ বসে আছি। বয়সে আমার ছোট হলেও শাসন করছে এমন ভাবে যেনো সে-ই আমার বড় ভাই। আমি কিছু বললাম না। শুধু আড়চোখে একবার ভাইয়ের রাগী চেহারাটা দেখলাম। তিন্নি আমাার পাশে বসে একবার আমার দিকে তো আরেকবার মাহিদের দিকে তাকাচ্ছে। সোহান ভাই নিজেও একটা মোড়াতে বসে কান্ড দেখতেছে। এক পর্যায়ে তিন্নি বলে,

‘হয়ছে থাম! আর কত বকবি বোনকে?’

‘তুমি তো কিছু বলোই না আপু। তুমি কেন আপুকে বাড়ি থেকে বের হতে দিলে? যদি আরো বড় কিছু হয়ে যেতো! তখন কি করতাম আমি?’

তিন্নি ঠোঁট চেপে হাসে। আমি ঢোক গিলে বললাম, ‘ভাই!’

ভাই তাকালোই না আমার দিকে। অন্য দিকে মুখ করে পাশের রুমে চলে গেলো। আমি হতাশার চোখে তাকিয়ে থাকলাম সেদিকে। আজ বেড়িয়েছি বলে এমন করতেছে যদি শোনে প্রতিদিনই এখন থেকে বের হতে হবে তখন না জানি আমার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দেয়! হায় আল্লাহ। কি করবো এখন আমি! তিন্নি হাসতে হাসতে বলে,

‘দুই ভাই বোন এমনেই রাগ, অভিমানের পালা করো৷ আমরা যাই।’

তিন্নি আর সোহান ভাই হেঁসে চলে গেলেন। আমি উঠে পা টিপে টিপে ভাইয়ের রুমে উঁকি দিলাম। ভাই চুপচাপ বসে আছে। ভাইটা একটু বেশিই ভালোবাসে তাই আমার ব্যাথা পাওয়া নিয়ে ওর এতো রাগ। আমি চুপ চাপ কোনো শব্দ না করে ওর পাশে বসলাম। সাথে সাথে ভাই জাপ্টে ধরে কাঁদতে শুরু করে দিলো। আমি একদম হাা হয়ে গেছি। দ্রুত ওর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললাম,

‘কাঁদছিস কেনো? কি হয়েছে ভাই?’

মাহিদ কিছু বললও না কান্নাও থামালো না। আমি পড়ে গেলাম চিন্তায়। হঠাৎ কি হলো! কিছুটা সময় পর অনেক কষ্টে ওকে শান্ত করলাম। ভাই মাথা নিচু করে বললো,

‘তুমি এতোটা কেয়ারলেস কেমনে হতে পারো! তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি কি করতাম?’

এতটুকু বিষয় নিয়ে মাহিদ কাঁদছে ভেবে যেমন হাসি পেলো ঠিক তেমনই নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হলো। ওর চুল টেনে দিয়ে বললাম,

‘বোকা ছেলে! কিছু হয়নি তো তাছাড়া এসব ছোট খাটো ব্যাথার অভ্যাস আছে আমার।’

মাহিদ অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকায়। বলে, ‘গত ৪ টা বছর এর থেকেও কত বড় বড় আ’ঘাত আপন করেছো তাই না বুবু!’

আমি উত্তর দিলাম না। চুপ করে বসে রইলাম। ভাই নিজেই ফের বললো, ‘তখন তোমার ভাই জানলে এতো কিছু কখনোই হতে দিতো না। কত আগেই তোমাকে ওই রা’ক্ষস গুলোর হাত থেকে বাঁচিয়ে নিতো। বুবু আমি তোমাকে একবাার এসব আ’ঘাত থেকে বের করে এনেছি আর কখনো আ’ঘাত পেতে দেবো না।’

ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে হাসলাম। জীবন সুন্দর। এমন একটা ভাই থাকলে, মাহমুদা মাইশার মতো বোন থাকলে জীবন অসুন্দর হয় কেমন করে? সব মায়া এমন ভাই বোন পায় না। সবাই লাইফে সাপোর্ট করার মতো মানুষ পায় না। কিন্তু আমি পেয়েছি। গোটা সমাজ যখন আমার বিরুদ্ধে তখন আমার এই ছোট ছোট ভাই বোন গুলোই আমার বেঁচে থাকার শক্তি। এদের মুখের দিকে চেয়ে আজীবন লড়াই করা যাাবে। শুধু ওরা এমনই থাকুক সব সময়।

চলবে…
(আসসালামু আলাইকুম। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কাল না দেওয়ার জন্য দুঃখিত)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here