শেষ বিকেলের আলো পর্ব ১৭

শেষ বিকালের আলো
তানিশা আহমেদ
পর্ব ১৭

রুমাইসার হাতে একদম কাচ খাড়া ভাবে ঢুকে গেছে। কিন্তু ইহিতার এ অবস্থা দেখে চিৎকার দিয়ে কেঁদে ফেলল। নাসিমা বেগম হতভম্ব হয়ে গেল এটা দেখে। ওনার এমন কোন কিছু করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু যা হল উনার ফ্লোর রক্তাক্ত হয়ে আছে। ইহান দৌড়ে যেয়ে ইহিতা কে কোলে নিল। রুমাইসা স্তব্ধ হয়ে গেছে এটা দেখে। আর তৃষাকে ধরল সাহিল। তৃষা ব্যথায় কাতরাচ্ছে। সবেমাত্র ৮ মাসে পা দিয়েছে ও। সাইয়ারার হাত পা থর থর করে কাপছে। ইহান আর সাহিল চেচিয়ে বলল “এম্বুলেন্স ডাকছিস না কেন! ”

ইহিতা কান্না করতে করতে মিইয়ে যাচ্ছে আর তৃষা ব্যথায় কাতরাচ্ছে শুয়ে শুয়ে। সাহিল চেচিয়ে ইহান কে বলল ভাই তৃষা কে একটু ধর ভাই। ইহান এর মাথা কাজ করছে না কি করবে। ইহিতা কে মিলির কোলে দিয়ে তৃষা কে ধরে সোফায় বসানো হল।দুই পা দিয়ে সমানে রক্ত বের হচ্ছে তৃষার। তৃষা প্রায় আধমরা। রুমাইসার যেন সবার চিৎকার চেচামেচি তে হুশ ফিরল। পাগলের মত নিজের মেয়েকে খুজতে লাগল। মিলির কোল থেকে টেনে নিজের কাছে নিল। মেয়েটা নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে প্রায়। রক্ত দিয়ে পুরো শরীর মাখানো। কান থেকে অনবরত রক্ত পড়ছে। ভয়ে রুমাইসা কান থেকে কাচ বের করতে পারছে না। ঘাড়ের কাছেও ছোট ছোট কাচ বিধে আছে। রুমাইসা ইহানের কাছে দৌড়ে এসে বলল “আমার ইহিতা দেখেন, আমার ইহিতা কথা বলে না কেন। ধরে দেখেন না কথা বলে না কেন?? ”

ইহান এর বুক ফেটে যাচ্ছে। সাহিল তাকিয়ে দেখল ইহিতা নিস্তেজ। বুক কাপছে ওর। একদিকে ওর স্ত্রী আরেক দিকে ওর রক্ত। এম্বুলেন্স এখনো আসছে না। এদিকে অপেক্ষার কাটা যাচ্ছে না। ওদের গাড়িটাও কাছে নেই। ফোন দিয়েছে অনেকক্ষন হল।

রুমাইসা পাগলের মত করছে মেয়েকে নিয়ে। শ্বাশুড়ির কাছে গিয়ে বলল “আম্মা আম্মা, আমার মেয়ে শব্দ করে না কেন মা! বাবা দেখেন না চুপ করে আছে কেন? সাইয়ারা বল না, এমন কেন হইসে? ”

নাসিমা বেগম এর মাথা ঘুরাচ্ছে। সবকিছু কেমন ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। প্রেশার বেড়ে যাচ্ছে ক্রমশ এগুলো দেখে।

এম্বুলেন্স আসল। গাড়িতে তিন জন কে তোলা হল। নাসিমা বেগম অজ্ঞান হয়ে দাতে দাত লেগে গেছে। পুরো বাড়ি যেন এক মুহুর্তে নিশ্চুপ হয়ে গেল। হসপিটালে পৌছাতেই ইহিতা আর তৃষা কে ইমার্জেন্সি তে নেওয়া হল। আর নাসিমা বেগম কে ওয়ার্ডে চেক আপ করার জন্য নেওয়া হল।রুমাইসা ইহান কে ধরে কান্না করেছে। অথচ ওর হাত দিয়ে রক্ত পড়তে পড়তে জায়গাটায় রক্ত গুলো শক্ত হয়ে জমাট বেধে গেছে।

মিলি একা বাসায় ছিল। সারা বাড়িতে কেউ নেই। পুরো ফ্লোর জুড়ে রক্ত আর রক্ত। একপাশে স্তুপ হয়ে আছে কাচ। মিলির সারা শরীর ভয়ে কাটা দিয়ে উঠছে। বাবুর রক্ত আর তৃষার রক্ত মিলে এক হয়ে আছে। অথচ এই একটা রক্ত কে আরেক রক্ত ঘৃণা করত। অথচ দুজনের রক্ত মিশে আছে ফ্লোরে। কেউ বলতে পারবে না কোনটা কার রক্ত। মিলির বমি আসছে প্রচন্ড। ছুটে চলে গেল ওয়াশরুমে।

ডক্টর বের হল ঘন্টাখানেক পর। ওনার নাক মুখ ঘেমে একাকার। উনি বের হতেই সবাই ঘিরে দাড়াল। কিন্তু ডক্টর মুখ কালো করে জানালো
“দুজনের অবস্থা ই খুব খারাপ। কি হবে আল্লাহ জানে। তৃষা একদম উপর থেকে সোজা শুয়ে পড়ায় পেটের উপর চাপ পড়ে রক্ত পড়ছে ইমার্জেন্সি অপারেশন করাতে হবে। তবে আমরা এখনো সিউর না আমরা আদৌ কাউকে বাচাতে পারব কিনা। দুজনের অবস্থা মারাত্মক। আর ওই ছোট বাচ্চার অবস্থা ও খারাপ অনেক। প্রচন্ড রক্ত গেছে শরীর থেকে। তারপর আবার ডান কানের পর্দা ফুটো হয়ে গেছে। ও বেচে থাকলে আদৌ কোন দিন কানে শুনতে পাবে কিনা জানি না।তবে ওর বেচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হবে। আপাদত আমাদের অপারেশন কর‍তে হবে ইমার্জেন্সি । আপনারা বন্ডে সাইন করে ফর্মালিটি শেষ করুন দ্রুত। ”

ডক্টর যাওয়ার আগেই রুমাইসা পড়ে গেল অজ্ঞান হয়ে। সাহিল ধপ করে বসে পড়ল মাটিতে। তিন তিন টা জীবন ঝুলছে এক সুতোতে। জীবনের সবচেয়ে বড় শাস্তি টাই আল্লাহ ও কে দিল। একজন কে ধোকা দিয়েছিল। আল্লাহ এবার ও কে তার চরম প্রাপ্য টা শোধ করে দিবে।সবাই স্তব্ধ হয়ে আছে। ইহান আর সাহিল বন্ড সাইন করতে গেল। বন্ড সাইন করতে গিয়ে সাহিল কান্নায় ভেঙে পড়ল। ইহান যদিও ওর ভাইয়ের সাথে তেমন কথা বলে না। তবুও সাহিলের পিঠে হাত রেখে বলল “ভাইয়া নিজেকে সামলাও। এটা ভেঙে পড়ার সময় না।”

“আমার সব শেষ ইহান। আমার সব শেষ । আল্লাহ আমার বিচার করছে ইহান। আমার পাপের প্রাপ্য শাস্তি টাই দিল আল্লাহ আমাকে। আমার মেয়ে আমার স্ত্রী, আমার জন্ম না নেওয়া বাচ্চা সবাই আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমার পাপের ফল সব। আমাকে আল্লাহ নিয়ে যাক তবুও কারো কোল খালি না করুক। ”

সাহিল হাউমাউ করে কান্না করছে। ইহান কিছু বলতে পারল না তখন। কারন কষ্ট টা ওর মাঝে চেপে বসে গেছে। ইহিতাকে হয়ত জন্ম দেয় নি। তবুও তো ইহিতার বাবা ও। ইহিতার কিছু হলে নিজেকে আর রুমাইসা কে কি করে সামলাবে ও। রুমাইসা কে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। সারা শরীর আগুনের মত গরম।

বন্ড সাইন করে দুই ভাই ফিরে আসল কেবিনের সামনে। বাইরে থেকে কিছু দেখা যাচ্ছে না। ইহানের মন কেমন জানি লাগছে মেয়েটা কে দেখার জন্য।তৃষার কথা মনে করেও খারাপ লাগছে। কিছু দিন আগে ওর তৃষা কে মিথ্যা বলে যাওয়া আটকে দিয়েছিল।

সেদিন রুমে ডেকে তৃষা কে বলেছিল “দেখেন ভাবী এখান থেকে চলে যাবেন ভালো কথা। কিন্তু তার আগে আমার কিছু কথা শুনেন। ”

“কি বলবে বল। নিচে গাড়ি দাড়িয়ে আছে।”

“আপনি তো চলে যাবেন। তারপর আপনার বাচ্চা নিয়ে ব্যস্ত হবেন।এখন আপনার স্বামী আপনাকে বারবার ফেরাতে চাইবে ঠিক ই, কিন্তু যখন আপনি নিজের ডিসিশনে অটল থাকবেন তখন হয়ত ও রুমাইসা কে এক্সেপ্ট করে নিবে। ইহিতাকে আপনার বাচ্চার অধিকার দিবে। আপনার জায়গা ইহিতা কে দিবে। তারপর হয়ত কোন দিন আপনি ফিরতে চাইবেন রাগ শেষ হলে তখন দেখবেন আপনার জায়গা টা ব্লক। রুমাইসা যদিও আমার স্ত্রী, তবুও ওর বাচ্চার উপর তো ভাইয়ার অধিকার আগে। আমাকে ডিভোর্স দিতে চাইলেও কিছু করার নাই। আমাদের তো আর লাভ ম্যারিজ না।

এসব ছাড়ুন নিজেদের কথা ভাবুন। আপনি গেলে আপনার ই ক্ষতি। মানুষ বলবে ডিভোর্সি , স্বামী ছেড়ে দিয়েছে। অথচ আপনি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কয়জন আপনার এক্সপ্লেইনেশন শুনবে। এটাও শুনবেন কেমন মেয়ে যাকে রেখে আবার পরকীয়া করে স্বামী। আপনার বাচ্চা ই বা বড় হলে কি কি শুনবে বলুন।

তার চেয়ে ঝামেলা না করে থাকুন।সময় নিন, দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। ”

তৃষা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে। টুপটাপ চোখের পানি ফেলে। ইহান জানত এগুলো আজ ও বানিয়ে বললেও, প্রতিটা নারী কে এই জিনিস গুলো ফেস করতে হয়।যার স্বামী থাকে না সেই নারীর প্রতি পদে পদে বিপদ। আর তার সন্তান টা যেন কোন দোষ না করেও আজীবন কথা শুনে যায় চারপাশের। হ্যা এটাই তো সমাজ ব্যবস্থা, যেটা যুগের পর যুগ চলে আসছে।

ইহান বাস্তবে ফিরে আসে। নাসিমা বেগম তালুকদার সাহব কে ধরে ধরে অপারেশন রুমের সামনে এসেছে। তার দুই ছেলে ই তাকে দেখেছে, অথচ একজন ও কথা বলে নি তাকে দেখে। নাসিমা বেগম অনুশোচনায় জ্বলে মরছে।তৃষার বাবা মা চলে এসেছে এতক্ষনে। তারা নাসিমা বেগম কে দেখেই বলে উঠল “তৃষা পড়ে গেল কি করে? ”

তারা এখনো সব টা জানে না। জানলে নাসিমা বেগমের শেষ জায়গা হবে জেলখানা। কেউ কথা বলছে না। সাইয়ারা প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলল “খালাম্মা, ভাবীর অবস্থা অনেক খারাপ।দোয়া করেন যেন সুস্থ হয়ে যায়। ”

এটা শুনে তৃষার বাবা মা যেন হার্ট এটাক করে বসে। কোন মতে নিজেকে সামলে নিল। প্রতিটা সেকেন্ড যেন চিন্তার মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে।ওই দিকে বেডে শুয়ে রুমাইসা জ্বরের ঘোরে শুধু আমার মেয়ে আমার মেয়ে বলছে। ইহান একবার রুমাইসা কে দেখতে যাচ্ছে, একবার অপারেশন থিয়েটার এর সামনে দাড়াচ্ছে। অস্থিরতা বাড়ছে কেবল। নাসিমা বেগমের হাতে স্যালাইন। উনার চিন্তায় মাথার ভেতর রগ যেন ফুলে উঠছে।

ইহিতার রুমের লাইট অফ হল। ইহান তখন রুমাইসার কাছে। ডক্টর গ্লাভস খুলতে খুলতে বের হল। চোখে মুখে বিষন্নতার ছাপ। ডক্টর বের হতেই সাইয়ারা আর সাহিল দৌড়ে গেল জিজ্ঞেস করতে। ডক্টর কে জিজ্ঞেস করতেই ডক্টর চুপ হয়ে গেল।

সাহিল সহ উপস্থিত সবার মুখ টা থমথমে হয়ে রইল উত্তর জানার অপেক্ষায়। তালুকদার সাহেব স্ত্রীকে ছেড়ে উঠে এসে ডক্টর এর হাত ধরলেন।

“ডক্টর আমার নাতনী টা কেমন আছে? আমার দাদু ভাই কেমন আছে? ”

“সরি, আমরা বেস্ট ট্রাই করসি। বাট ওর এত রক্তক্ষরন হইসে যে আমাদের পক্ষে ও কে বাচানো আর পসিবল হয় নাই। ওর এমনেও এইটুকুন শরীর নিয়ে যুদ্ধ করার শক্তি হয় নাই। উই আর সরি। সি ইজ ডেড। ”

রুমাইসা কে সবে মাত্র ধরে ধরে ইহান থিয়েটার এর সামনে এনেছে। তখনি ডক্টর এই কথা গুলো বলল। ইহান আর রুমাইসা একদম স্তব্ধ হয়ে গেল। রুমাইসা ধুপ করে মাটিতে বসে পড়ল। এই মুহুর্তে ইহানের শরীরে শক্তি নেই এক বিন্দু ও যে রুমাইসা কে ধরবে। ওর মেয়ে, ওর আদরের মেয়ে টা ও কে ছেড়ে চলে গেল। চলে গেছে ইহিতা সবাইকে ফেলে।

ইহান বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। সাহিলের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। শত হোক ও ই তো আসল বাবা।ওর মেয়েটা ও কে ঠিক মত ছুঁয়ে দেখার আগেই পালিয়ে গেল। শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে রইল সামনের দিকে। তালুকদার সাহেব এর দম বন্ধ হয়ে আসছে।

এটার রেশ কাটতে না কাটতে না কাটতেই তৃষার রুম থেকে একজন নার্স বের হল। কারো শরীরে এক বিন্দু শক্তি নেই উঠে জিজ্ঞেস করবে তৃষার কি অবস্থা। তৃষার বাবা মা ই ছুটে গেল।

“তৃষার হাজবেন্ড আর রুমাইসা কে ওনাকে পেশেন্ট ভেতরে ডাকছে। দ্রুত ভেতরে আসুন। পেশেন্টের অবস্থা ভালো না।”

সাহিল দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ওর কাছে নতুন কোন খারাপ খবর শুনার শক্তি নেই। রুমাইসা কে ধরে ইহান ভেতরে নিয়ে গেল। তৃষার মুখের অক্সিজেন খুলতেই তৃষা রুমাইসার দিকে তাকাল। রুমাইসা পাথর হয়ে আছে যেন। সাহিল তৃষার হাত ধরে বলল “আমাকে মাফ করে দেও। আমি তোমাকে বাচাতে পারি নি তখন তৃষা। আজকের পর তোমাকে নিজের থেকে একটু দূরেও সরতে দিব না।”

তৃষা সরাসরি জিজ্ঞেস করল “ইহিতা কেমন আছে? ”

কেউ জবাব দিতে পারল না। সবাই চুপ করে রইল। রুমাইসা স্তব্ধ হয়ে আছে। তৃষা অনেক টেনে টেনে মৃদু স্বরে আবার জিজ্ঞেস করল “ইহিতা কই? ”

ইহান মৃদু স্বরে বলল “ইহিতা নেই আর।”

তৃষা দাত চেপে যেন এই কথার রেশ টা সহ্য করে নিল। ওর চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। ও রুমাইসার একটা হাত ধরতে চাইল। কিন্তু দুজনের দূরত্ব অনেক। ইহান কাজ টা সহজ করে দিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তৃষার অবস্থার অবনতি ঘটতে লাগল। তৃষার তখনো ডেলিভারি হয় নি। ও তার আগেই কথা বলতে চাইছিল। কিন্তু ওর আচমকা ব্যথা বেড়ে গেল। আর নিশ্বাস গুলো খুব দ্রুত বাড়তে লাগল। ডক্টর সবাইকে বের করে দিল রুম থেকে।

তৃষা সে অবস্থায় চেচিয়ে বলল “আমার বাচ্চা টা কে দেখ রুমাইসা। ”

রুমাইসার কান পর্যন্ত এটা পৌঁছালো কিনা কেউ জানে না।তবে পরের সময়টুকু যে আরো কঠিন হতে যাচ্ছে সবাই বুঝতে পারল। সাহিল ধরেই নিয়েছে আজ ও তার দুই সন্তান কে একসাথে কবর দিবে।

ইহিতার লাশ স্ট্রেচারে করে বাইরে বের করতেই রুমাইসা তাকাল। আচমকা চেচিয়ে বলল “আমার মেয়েকে কই নিয়ে যাও। ইহিতা। ”

রুমাইসা কে কেউ আটকাতে পাচ্ছে না। বাচ্চা কে ধরে মাটিতে বসে পড়ল। “আম্মু তুই কথা বল। আম্মু প্লিজ, আম্মু তোমাকে দুনিয়ার সব দিবে। তুমি কই যাচ্ছো আম্মু। তুমি কথা বল না কেন আম্মু। এই ইহান, ইহান কথা বলে না কেন ও। আম্মা, আব্বা ও আওয়াজ করে না কেন। আমার মেয়ে কান্না করে না কেন। ও ইহিতা আম্মু কথা বল তুই, আম্মু। ”

অঝোরে চেচিয়ে কান্না করছে রুমাইসা। আশেপাশের যত লোক আছে সবাই জড় হয়ে গেল এসব দেখে। অনেকেই কান্না করে দিল এটা দেখে। এমন সময় ডক্টর বেরিয়ে আসল তৃষার রুম থেকে।

তৃষার মা বাবা ই লক্ষ করল ব্যাপার টা। তাই ছুটে এসে ডক্টর কে বলল।

এত আওয়াজের মাঝে সবাই শুনতে পেল “আল্লাহ গো আমার তৃষা কে তুমি ফিরায় দাও আল্লাহ আমার বুকে ফিরায় দেও। ”

()

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here