সাইকো লাভার পর্বঃ১

সাইকো লাভার পর্বঃ১
#সাদিয়া সিদ্দিক মিম(লেখিকা)

বউ সেজে বসে আছে দিয়া,আজ দিয়ার বিয়ে।অথচ বর এখনও এসে পৌঁছায় নি।কারন বর দিয়াদের বাড়িতে আসার সময় বরের গাড়ি সহ বরকে কেউ কিডন্যাপ করে।সবার মুখে চিন্তার ছাপ।কিন্তু দিয়ার ঠোঁটে বাকা হাসি।

দিয়ার পুরো নাম সাদিয়া সিদ্দিক মিম। সবাই ভালবেসে দিয়া বলে ডাকে।ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী। দেখতে খুব সুন্দর আর খুব দুষ্টু।

আজ সকালে দিয়া যখন কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিচে নামে তখন অর বাবা আবির চৌধুরী হঠাৎ করে বলে আজ দিয়ার কাবিন।দিয়ার মামুর বন্ধু জোনায়েদ খানের ছেলে আহাদ আদনান শরীফের সাথে। তাই আজ কলেজে না যেতে।

এ কথা শুনে দিয়া অবাকের সপ্তম পর্যায়ে পৌঁছেছিল ঠিকই কিন্তু অর বাবার মুখের উপর কথা বলার সাহস অর নেই।তাই সবটা চুপ করে মেনে নিয়েছিল।

🍁বর্তমানে🍁
দিয়ার বাবা ফোনে জোনায়েদ খানের সাথে ফোনে কথা বলছে আর দিয়ার মা মেঘলা চৌধুরী দিয়ার সাথে সোফায় বসে আছে।

দিয়ার বাবাঃআমার দুই ছেলে সায়ান আর সাফয়ান গেছে পুলিশের কাছে এফআইআর করতে।আপনারা চিন্তা করবেন না।আহাদের কোন ক্ষতি হবে না।আহাদকে যে বা যারা কিডন্যাপ করেছে তাদের আমি কঠিন শাস্তি দিব।শুধু একবার হাতে পাই।

(দিয়া মনে মনেঃ এইরে পাপা যদি জানে যে আমি ঐ হাতির নাতিকে কিডন্যাপ করিয়েছি তবে ত পাপা আমাকে বনবাসে পাঠাইয়া দিব(শুকনো ঢোক গিলে)।না দিয়া বেপি ভয় পেলে চলবে না।পাপা যাতে না জানে সে ব্যাবস্থা করতে হবে।এখনি চাচ্চুকে কল দিতে হবে কিন্তু তার আগে আমাকে এখান থেকে বের হতে হবে)

জুনায়েদ খানঃআচ্ছা ভাই। এখন রাখি,আল্লা হাফেজ।
দিয়ার বাবাঃআল্লা হাফেজ।
দিয়াঃআম্মু,আমার না মাথাটা কেমন যেন লাগছে।আমি একটু রুমে গিয়ে রেস্ট করি।
দিয়ার বাবাঃতোর মাথায় আবার কী হল,এতক্ষণ ত ঠিকই ছিলি(ভ্রু কুচকে)।
দিয়ার মাঃআহ্ তুমি কী শুরু করলে মেয়েটার সাথে। দেখছত মেয়েটার সাথে কী হয়ে গেলো আজ।ছেলেটাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।তার মধ্যে তুমি মেয়েটার সাথে এরকম করছো। যা ত মা তুই ঘরে গিয়ে রেস্ট নে।একদম চিন্তা করবি না।আহাদ একদম ঠিক আছে।
(দিয়া মনে মনেঃইস্ আমার বয়ে গেছে ঐ খাটাশটার জন্য চিন্তা করতে)
দিয়াঃআচ্ছা আম্মু।

এই বলে দিয়া তার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে উড়াধুড়া ডান্স করতাছে।হঠাৎ করে দিয়া শাড়ির সাথে পা আটকে হোঁচট খেয়ে ফ্লোরে মুখ থুবড়ে পড়ে।
দিয়াঃআল্লা গো আল্লা গেলো আমার কোমড়টা ইন্না-লিল্লাহ হইয়া।(কোমড়ে হাত দিয়ে ফ্লোর থেকে উঠতে উঠতে)
দিয়াঃসব হয়েছে ঐ খাটাশটার জন্য। আজ যদি ঐ খাটাশটার সাথে আমার কাবিন হওয়ার কথা না হত তবে আমাকে এই বারি শাড়ি পড়তে হত না আর না আমি এভাবে ফ্লোরে পড়তাম।বেটা খচ্চর অভিশাপ দিলাম তরে তুই জীবনে বউ পাবি না।(ন্যাকা কান্না করে)
দিয়া সাথে সাথে ওয়াশরুমে চলে যায় একটা নীল কালারের থ্রী পিছ নিয়ে।২০ মিনিট পর দিয়া থ্রি পিছটা পড়ে বের হয়ে আসে।আর এসেই অর চাচ্চুকে ফোন লাগায়।
দিয়াঃচাচ্চু ফোন কেন তুলছে না।কী করি এখন,,,,,,,,,হুম পেয়েছি ঐ বিটকেল রায়হান মামুকে ফোন দেই।যেই ভাবা সেই কাজ।

কী হচ্ছে এসব,,,,বিটকেল মামুও ত ফোন তুলছে না।ঐদিকে কোন গন্ডগোল হল না ত।আমি কী একবার যাব,,,,,আমিই যাই গিয়ে দেখি কী হয়েছে।
কিন্তু কোন দিক দিয়ে যাব ড্রয়িং রুমে ত আমার হিটলার বাপটা বসে আছে।কী করি,,,কী করি,,,
আইডিয়া,,,,সাথে সাথে দিয়া বিয়ের বেনারসি আর গাড়ির চাবি নিয়ে বেলকনিতে চলে যায়।বেলকনিতে এসে শাড়িটা বেধে নিচে নেমে যায়।

দিয়াঃওয়াও দিয়া তোর কত বুদ্ধি। প্রাউড ওফ মি(নিজেই মাথায় হাত বুলিয়ে)
তারপর দিয়া গাড়িতে উঠে আর নিজেই ড্রাইভ করে চলল নিজের গন্তব্যে।
দীর্ঘ ৩৪ মিনিট পর দিয়া তার গন্তব্যে এসে পৌঁছায়।একটা বন্ধ ফ্যাক্টরির সামনে দিয়া গাড়ি থামায় আর ভিতরে ডুকে।ভিতরে ডুকে দেখে সব অন্ধকার। দিয়া ভয় পাচ্ছে কিন্তু তবুও দিয়া ফোনের ফ্লাস জ্বালিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

একটু পরে হঠাৎ করে দিয়ার মুখ কেউ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে।দিয়া ছটফট করছে ছোটার জন্য কিন্তু ছুটতে পারছে না।একসময় দিয়া তার সম্পূর্ণ ভর ঐ লোকটার উপর ছেড়ে দেয়।দিয়া জ্ঞান হারায় আর ঐ লোকটা সেটা দেখে মুচকি হেসে দিয়াকে কোলে নিয়ে সামনের দিকে হাঁটা দেয়।

#চলবে

(প্রথম লিখলাম জানি না কেমন হয়েছে। ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here