সাইকো_লাভার পর্বঃ২২

সাইকো_লাভার পর্বঃ২২
#লেখিকাঃসাদিয়া_সিদ্দিক_মিম

আদি আর আশরাফ চেয়ারে বাঁধা অবস্থায় বসে আছে,,,হঠাৎ করে আদি তার হাতের বাঁধন খুলে ফেলে আর আশরাফের হাতের বাঁধন ও খুলে দেয়।

আদিঃ চাচা শ্বশুর মিয়া চলুন দেখি অরা কই আছে।

আশরাফঃ আদি আর ঝামেলা না বারিয়ে চলো এখান থেকে।

আদিঃ এখান থেকে ত যাবই কিন্তু তার আগে ওদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে তারপরই যাব।

দিয়াঃ অরা ওদের উপযুক্ত শাস্তি পাবে।

সাথীর চুলের মুঠি ধরে পিছন থেকে বলল কথাটা।
আদি সেটা দেখে বাঁকা হাসে।

সাথীঃ দিয়া ছাড় লাগছে আমার।

দিয়াঃ লাগার জন্যই ধরেছি।

আদিঃ উফফ জান তোমাকে না পুরাই আমার ভয়ংকরী রানীর মত লাগছে।

দিয়াঃ হয়েছে আর প্রশংসা করতে হবে না,,,এখন চলো এখান থেকে।

আদিঃ ওয়েট,,,তুমি কী একা এসেছো?

দিয়াঃ না সাথে রায়ান ভাইয়া এসেছে।

আদি চোখ গরম করে দিয়ার দিকে তাকায়,,,দিয়া সেটা দেখে বলল,,,

দিয়াঃ রায়ান ভাইয়া না আসলে ওদের কে কার হাতে তুলে দিব।(সাথীকে ইশারা করে)

আশরাফ সবটা দর্শকের মত দেখছে।

আশরাফঃ কিন্তু রায়ান কোথায়?

দিয়াঃ রায়ান ভাইয়া ঐ শয়তান রিয়াজকে ধরতে গেছে,,,শালায় পালাইছে।

(সেই ছেলেটি রিয়াজ ছিল)

আশরাফঃ কিন্তু তুই কীভাবে জানলি আমরা এখানে?

দিয়াঃ তোমাদের ফলো করে।

আশরাফঃ মানে?

আদিঃ মানে হল আমাদের যখন অরা ধরে নিয়ে আসে তখন দিয়া দেখে আর ফলো করে এখানে আসে,,,আমি সবটাই জানি।

দিয়াঃ তুমি কীভাবে জানো?

আদিঃ এমনি জানি আমি।(ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

দিয়াঃ এরকম করলে ইচ্ছে করে গলা টিপে দিতে।

আদিঃ দেও।(দিয়ার কাছে গিয়ে ঝুঁকে)

দিয়াঃ 😠।

তখন সেখানে রায়ান ভাইয়া রিয়াজকে ধরে নিয়ে আসে।সাথী আপুকে এখনও ধরে রেখেছি আমি।

রিয়াজঃ দিয়া তুমি বিশ্বাস করো আমি এখানে আদিদের বাঁচাতে এসেছি আমি কিছু করি নি।

আদি রেগে রিয়াজের কাছে এসে ধাম ধুম মারতে থাকে আর মারতে মারতে বলছে,,,

আদিঃ তোর ঐ মুখে আমার দিয়ার নাম নিবি না,,,দিয়াকে আমার থেকে দূরে রাখার জন্য তুই দায়ী,,,তোর জন্য এতদিন আমার থেকে আমার দিয়া দূরে থেকেছে,,,আজ তকে মেরেই ফেলব।

রায়ান এসে আদিকে ছাড়ায় রিয়াজের থেকে।

রায়ানঃ শান্ত হও আদি।

আদিঃ কীভাবে শান্ত থাকব আমি,,,অর জন্য আমার থেকে আমার দিয়া দূরে থেকেছে,,,অরে ছেড়ে দিলে আমি শান্তি পাব না।

দিয়াঃ আদি তুমি শান্ত হও,,,কিন্তু রিয়াজ ভাইয়া এটা কেন করলে?

আদি এবার রায়ানের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে রিয়াজের কাছে গিয়ে গালে কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দিল আর রেগে চিৎকার করে বলল,,,

আদিঃ বল এসব কেন করেছিস,,,সব বল দিয়াকে নয়ত এখনই মেরে দিব।

রিয়াজ আদির কথা শুনে ভয়ে ভয়ে বলতে শুরু করে কেন আদির থেকে দিয়াকে দূরে রেখেছে,,,সবটা শুনে দিয়ার খুব রাগ হয় আর দিয়া সাথীকে ছেড়ে রিয়াজকে ঠাসঠাস দুইটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।

দিয়াঃ তকে সীমা এত ভালবাসে আর তুই কী না এতদিন সীমার সাথে মিথ্যা ভালবাসার নাটক করে গেছিস,,,আর আমাকে পাওয়ার জন্য আদির থেকে দূরে রেখেছিস,,,তোর জন্য কত কষ্ট দিয়েছি আমি আদিকে।

রিয়াজঃ হে তোমার জন্য করেছি আমি এসব,,,ভালবাসি আমি তোমাকে।

দিয়াঃ আর সীমা যে তকে ভালবাসে তাকে কেন এভাবে ঠকালি?

রিয়াজঃ আমি সীমাকে ভালবাসি না,,,আমি তোমাকে ভালবাসি আর তোমার কাছাকাছি থাকার জন্য আমি সীমার সাথে নাটক করেছি।সব আমি তোমাকে পাওয়ার জন্য করেছি।দিয়া তুমি প্লিজ আমার কাছে ফিরে এসো,,,এই আদির থেকেও বেশি ভালবাসব তোমাকে।

কথাটা শোনার সাথে সাথে আদি রায়ানের থেকে গান নিয়ে রিয়াজের পায়ে গুলি করে,,,আর রিয়াজ ছটফট করছে ব্যাথায়।আদি এবার রিয়াজের সামনা সামনি হাঁটু গেড়ে বসে আর রিয়াজের গাল চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,,,

আদিঃ ইচ্ছে করছে তকে এখানেই মেরে পুঁতে দিতে,,,আমার সামনে দাড়িয়ে তুই দিয়াকে নিজের করে পেতে চাইছিস,,,যাকে কোন ছেলের সাথে কথা বলতে দেখলেই আমার শয্য হয় না আর তুই তাকে তোর করে পেতে চাইছিস।(চিৎকার করে)

দিয়া আদিকে রিয়াজের থেকে সরিয়ে আনে আর শান্ত হতে বলে।

দিয়াঃ সাথী আপু তুমি,,,তোমার কী লজ্জা বলতে কিছু নেই,,,তুমি তোমার কর্মের ফল পেয়েছো আর তার জন্য তুমি আমাদের দায়ী করছো,,,নিজের দোষটা কী চোখে পড়ে না তোমার,,,নিজের দোষে তুমি আজ একা,,,এমন কোন জঘন্য কাজ নেই যা তুমি করো নি,,,সেসব কাজের জন্য কী তোমার মধ্যে কোন অপরাধ বোধ নেই যে আবার নতুন করে অপরাধ করছো।কী দোষ করেছিল আমার ছোট মা আর বোনটা যে তাকে তুমি পৃথিবীর বুক থেকে সরিয়ে দিলে।

সাথীঃ না নেই আমার মধ্যে কোন অপরাধ বোধ নেই,,,তদের জন্য শুধু মাত্র তোদের জন্য আজ আমি একা,,,আমাকে এখানে মেরে দে নয়ত তরা বাঁচবি না,,,আমি এখান থেকে বেঁচে ফিরলে তদের পরিবার কবরে পরিনত কর,,,

আর কিছু বলতে পারল না তার আগেই রায়ান ভাইয়া সাথী আপুর মাথায় গুলি করে আর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

রায়ানঃ মরার খুব শখ হয়েছিল তাই মেরে দিলাম,,,খুব ভালো লাগছে এরকম একটা নর্দমার কিট কে পরিষ্কার করে।

আশরাফঃ অনেক ধন্যবাদ তোমাকে,,,আমার স্ত্রী সন্তানকে যে মেরেছে তার মৃত্যু নিজের চোখে দেখতে পেরে খুব ভালো লাগল।(কথাগুলো বলতে গিয়ে আশরাফের চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে)

রিয়াজ এসব দেখে খুব ভয় পেয়ে যায়।

দিয়াঃ এবার চলো বাড়ি ফেরা যাক।

আদিঃ কিন্তু একে কী করব?

রায়ানঃ আমি এর খুব ভালো আদর যত্ন করব,,,নো টেনশন।

#চলবে…

(বিদ্রঃ গত পর্বে কয়েকজনের কমেন্ট পড়ে লেখার মত মন মানসিকতাই নষ্ট হয়ে গেছে,,,আমার গল্প যাদের ভালো না লাগবে তারা ইগনোর করুন,,,দয়া করে বাজে কমেন্ট করবেন না।
গত পর্বে কয়েকজন বলল গল্পটা নাকি সিনেমার মত হয়ে গেছে,,,তাদেরকে বলছি এরকম গল্প থেকেই কিন্তু সিনেমা বানানো হয়,,,তার জন্য আমি মোটেও রাগ নই কিন্তু আরেকজন ত আমাকে তুই-তুকারি করে কমেন্ট করছে আর সে সেখানেই থেমে থাকে নি আমাকে বাজে কথাও বলেছে,,,নামটা না হয় নাই বললাম।

কিন্তু তার প্রতিবাদ করেছে একটা ভাইয়া,,,সে ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে তিনি আমাকে সম্মান দিয়ে প্রতিবাদ করেছে,,,তার কমেন্ট পরে সত্যি খুব ভালো লাগল যে আমার গল্পের এমন পাঠকও আছে যে এরকম বাজে কমেন্ট এড়িয়ে না গিয়ে প্রতিবাদ করেছে,,,সে ভাইয়াকে আমার গল্পের পাঠক হিসেবে পেয়ে আমি ধন্য,,,উনার মত যদি সব পাঠকরা হত তবে কোন লেখিকাকে এমন বাজে কথা শুনতে হত না।

সবশেষে এটাই বলব যাদের ভালো না লাগবে তারা ইগনোর করুন,,,আর আমার কথায় কেউ কষ্ট পেলে মাফ করবেন🙏)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here