স্বপ্নের প্রেয়সী ১৯+২০

#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_19

বোন টি আমার এমন করে না। ভাইয়া খুব বকেছি না ? আই প্রমিস আর এমন করবো না। সত্যি বলছি যখন রাগ হবে তখনি একটু একটু বকা দিবো।

ফারহানের কথায় কান্নার মাঝে ও হেসে উঠলো রিমি।
ফারহান বোকা বোকা করে চেয়ে বলল
_ একটু রাগ করে না হয় বকেছি তার জন্য এমন করবি ?

রিমি নাক টেনে ভাঙা গলাতে বলল
_ তুমি না মাত্র ই বললে আর বকবে না তারপর আবার বললে রাগ উঠলে একটু একটু বকবে। মোরাল অব দ্যা স্টোরি তো একি হলো।

ফারহান আমুদের স্বরে বলল
_ যেমন ?

_ ভাইয়া তুমি অনেক খারাপ।

এই টুকু বলেই ভাইকে জড়িয়ে ধরলো রিমি। কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ তুললো।
ফারহান রিমির মাথায় চুমু একে বলল
_ আম সরি বোনটি।

_ নট ওকে। তোমাকে পানিসম্যান্ট দিবো আমি।

_ ওকে আম রেডি টু ইউর পানিসম্যান্ট ।

রিমি নাক টানতে লাগলো। ফারহান রসিকতা করে বলল
_ নাকের পানি সব আমার শার্ট এ মুছার ধান্দা করলি নাকি ?

_ তুমি

ফারহান বিগলিত হেসে বোন কে কাছে টেনে নিলো।
ফারাবি সরু চোখে তাকিয়ে আছে। ওর খুব হিংসে হচ্ছে , ইসস ফারহান কে যদি এখনি জড়িয়ে ধরা যেত।

ফারহান আলতো হাতে রিমির মাথায় হাত বুলিয়ে যাচ্ছে। ফারাবির দিকে তাকিয়ে দেখলো ফারাবি কেমন জেলাছি মুডে তাকিয়ে আছে।
ফারহান হাসলো রিমি তো ওর বোন তাই ফারাবি জেলাস মুডে আছে। এখানে যদি অন্য কোনো মেয়ে থাকতো তাহলে কি করতো ?

ফারহান আনমনেই হেসে উঠলো।
রিমি কে ছেড়ে দিয়ে নাক দিয়ে ঘ্রান নিয়ে বলল
_ কোথা থেকে যেন পোঁড়া পোঁড়া গন্ধ পাচ্ছি।

_ কোথায় আর কি পুড়ছে ? আমি তো পাচ্ছি না।

ফারাবি চমকে উঠলো। ফারহানের দিকে বাঁকা চোখে তাকালো। ওহ মোটে ও জেলাস ফিল করছিলো না। ওর তো শুধু ইচ্ছে হচ্ছিলো ফারহান কে একটু জড়িয়ে ধরতে।

ফারহান মোহনীয় হেসে বলল
_ বল আমাকে কি পানিসম্যান্ট দিতে চাস ?

_ প্রমিস ?

_ ওকে ডান।

রিমি যেন হাতে চাঁদ পেয়েছে। বোকা বোকা ফিলিং থেকে খানিকটা টলটলে মুড নিয়ে বলল
_ আমি চাই খুব তাড়াতাড়ি তুমি বিয়ে করে আমার জন্য ভাবি নিয়ে আসো। আর বড় ভাইয়া কে তাক লাগিয়ে দাও।

রিমির কথা শুনে ফারাবির চোখ রসগোল্লা হয়ে গেছে। ফারহান বাঁকা চোখে ফারাবির দিকে তাকাতেই ফারাবির কাশি উঠে গেল।
রিমি দ্রুত পানি দিতেই ঢকঢক করে খেয়ে নিলো। ফারহান বাঁকা হেসে দাঁড়িয়ে রইলো। রিমি কেমন করে তাকিয়ে আছে , এদের ভাব দেখে মনে হয় এদের মাঝে কিছু আছে।
তবে সন্দেহ করার মতো কিছু পাচ্ছে না ওহহ।
ফারাবি বার বার ঢোক গিলছে , আর তার মজা নিচ্ছে ফারহান।

*

মাঝে কেটে যায় আরো পাঁচ টি দিন। এই পাঁচ দিন ফারহান ফারাবিদের বাসাতেই ছিলো আর রিমি ও।
পাঁচ দিনে অফিস যাওয়া হয় নি। মূলত ফারাবি কে রিকের হাতে ছেড়ে যাবে না ওহহ তাই যায় নি। পরিস্থিতি এমন যে রিক কে কিছু বলতে ও পারছে না।
না হলে সব কিছু গড়মিল হয়ে যাবে। শেষে জীবনের প্রিয় মানুষ টা কে হারিয়ে ফেলবে।
যদি ও কোনো ভাবেই ওহ সেটা হতে দিবে না। তবু ও রিক্স নেওয়ার মানেই হয় না। এটা কোনো বিজনেস নয় যে হেরে গেলে আবার দাঁড়াবে।
এটা ও জানের বিষয় , এটা নিয়ে কোনো রিক্স নয়।

ফারাবির ধারে কাছে ও ঘেঁষতে পারে নি রিক। রিক খুব বিরক্ত হচ্ছে, তবু ও আঠার মতো লেগে আছে।
একটু সুযোগ পেলেই তার কালো হাত দিয়ে ফারাবি কে স্পর্শ করে দিবে।

ফারাবি এখন একদম সুস্থ। ফারহানের তিন বেলা বিশেষ যত্নে ঠান্ডা পালিয়ে ছে জামা কাপড় নিয়ে।
প্রচন্ড খেয়াল রেখেছে ওর , তবে ফারাবি ভেবে পায় না গত দু বছরেও রিক কে নিয়ে তেমন ঝামেলা হলো না কেন।
রিক আসতো তবে খুব ই কম। আর তখন ফারাবি নিজেকে সামলে নিতো।
হয়তো এই দিন গুলোর অপেক্ষায় ছিলো ওহ।

ফারহান ছাঁদে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাল ফারাবির জন্মদিন , তাই সবাই অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত।
তবে ফারাবির মুখে তেমন কোনো উপচে পরা খুশি নেই।
রিফাত একের পর একেক জনের সাথে ফোনে কথা বলে যাচ্ছে।
ফারহান ফোনে মুখ গুঁজে কিছু একটা দেখছে আর মিটিমিটি হাসছি।
রিফাত ভ্রু কুঁচকে সামনে আসতেই ফারহান ফোন অফ করে দিলো।

রিফাত বাঁকা হেসে বলল
_ কে সে হুমম ? যার জন্য মুখে এতো কিউট হাসি ?

_ কেউ নাহহ তো, এমনি হাসছিলাম

ফারহানের সহজ উত্তর রিফাতের হজম হলো না। রিফাত ভ্রু কুঁচকে বলল
_ ফাঁকি দিচ্ছিস ?

_ নাহহ , তবে তুই তাকে খুব ভালো করেই চিনিস।

রিফাত ভ্রু কুঁচকে রইলো। তার বেস্ট ফ্রেন্ড প্রেম করে অথচ সেই জানে নাহ।
ফারহান এক গাল হেসে বলল
_ এতো ভাবিস না , নাহলে যখন জানবি তখন মাথা নষ্ট হয়ে যাবে।

রিফাত এখনি চিন্তায় পরে গেল।
পর মুহূর্তেই কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলো। রিক বড় সড়ো আয়োজন করছে , সবার সামনে ফারাবি কে প্রপোজ করবে।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওর ফারাবি কে চাই ই চাই।
ডায়মন্ড রিং কিনেছে , সাথে একটা নেকলেস ও আছে।
সবার কাছে ভালো সাজা তো লাগবেই।
ফারাবির মামা বাড়ির অবস্থা ও বেশ ভালো ।
তবে সব ই পৈতৃক সম্পত্তির জোড়। ফারাবির মামা নিজ টাকাতে তেমন কিছুই করে উঠতে পারেন নি।
আর তার ছেলেটা হয়েছে আরেক কুলাঙ্গার ।

*

হু হু করে বাতাস বইছে ফারাবির মন ভালো নেই। যতো দিন যাচ্ছে ফারহানের থেকে আলাদা হওয়া ঘনিয়ে আসছে।
সেদিন যখন শুনলো ওহহ , ওর বাবা ওর মা কে বলছেন এ বিয়ে সম্ভব না। তখন ওর মা কেঁদেছিলেন , ভাই কে কথা দিয়েছেন ওনি।
ফারাবির চোখ থেকে অনড়গল পানি পরছে। কেন সেদিন কেউ ওকে না বলেই কথা দিয়ে দিলো। জীবন টা ও কাঁটাবে, একবার জানতে ও চাইলো না ওর মতের কথা।
যখন জানালো ওকে তখন সব হাতের বাইরে।পরিবারের সম্মান আর মায়ের প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে চুপ করে গেল ওহ।
কিন্তু এ যে সম্ভব নয়। সবাই চাইলে ও এ সম্পর্ক সম্ভব নয়।
ফারহান ওর অতীত , ওর বর্তমান আর ওর ভবিষ্যত ওহ।
জীবনে যদি কারো প্রতি প্রেমের অনুভূতি হয়ে থাকে তাহলে সে শুধু ফারহান।
অভিমানে গত তিনটে বছর কাটলে ও ফারহান কে ভুলে নি ওহ।
বারংবার ওর কথাই ভেবেছে। ফারহানের প্রতি ওর প্রেম জেগেছে বহু আগেই ।
তবে অভিমানে আজ ও বলা হয় নি।তিন বছর আগের সেই দিনটা যাহহ ও অভিশাপ স্বরূপ নিয়েছিল আজ মনে হচ্ছে সেটা ওর জীবনের বড় পাওয়া।

যে মানুষ টা কে সবাই চায় সে মানুষ টা শুধু ওকে চায়। ফারাবির চোখ থেকে টপটপ করে পানি পরছে। আর সে পানি মেঝে তে পরে বিক্ষিপ্ত হয়েছে।
জানালার গ্রিলে এ মাথা ঠেকিয়ে আছে ফারাবি। রুমে কারো অবস্থান অনুভব করতেই চোখ মুছে নিলো ওহ।
রিফাত দাঁড়িয়ে আছে , ফারাবি ঠোঁটের কোনে হাসি ফোটানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা করে বলল
_ কিছু বলবে ভাইয়া ?

রিফাত কিছু বলল না। বোনের বিক্ষিপ্ত দৃষ্টি ওকে আঘাত করছে । হাসি খুশি বোন টার এমন অবস্থা কি করে ?

ফারাবি এক গাল হাসলো। রিফাত মৃদু স্বরে বলল
_ ছোট চাচ্চু ডাকছে, মনি আন্টি এসেছে। কি যেন বলবে তোকে ।

ফারাবি মাথা ঝাঁকিয়ে চলে গেল।
রিফাত তপ্ত শ্বাস ফেলে মনিকা কে কল দিলো। এখন একমাত্র মনিকার বকবকানি ই পারে ওর মন কে শান্তি দিতে।
মেয়েটা কেমন যেন , সামনে থাকলে ও ভাল্লাগেনা দূরে গেলে আর ও ভাল্লাগেনা ।দিন শেষে একটু টুকরো সুখের খোঁজে যেমন সবাই বাড়িতে ফিরে। ঠিক তেমনি ওর হাসির কারনটা মনিকা হয়ে উঠে।
হয়তো এটাই ভালোবাসা, বিচিত্ররঙা ভালোবাসা ।
যার সান্নিধ্যে পেতে প্রতি টা প্রেমিক পুরুষ ই পাগল হয়ে যায়।

*

মনি আর আরিফ কাউচ এ বসে আছে। দুজন গল্প করতে ব্যস্ত, ফারাবি দরজায় নক দিয়ে বলল
_ আসবো ?

_ আরে আয় , নক দেওয়ার কি প্রয়োজন ?

ফারাবি আলতো হেসে রুমে আসলো। আরিফ আর মনির বরাবর চেয়ার টেনে বসলো।
আরিফ হালকা হেসে বলল
_ মামুনি একটা কথা বলি তুমি কি রিক কি বিয়ে করতে চাও ?
তুমি ও বারন করো নি , কিন্তু তবু ও আমি তোমার থেকে জানতে চাইছিলাম।

ফারাবি চমকালো, মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছে না। আরিফ আবার প্রশ্ন করলো। ফারাবি আমতা আমতা করতে লাগলো। কিছু বলবে তার আগেই ফারাবির মা , বাবা আর রিকের মা বাবা হাজির।
ফারাবি ভদ্র হেসে সালাম জানালো।ফারাবির বাবা ফারাবির মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন
_ আমার মেয়েটা আমার ঘরে আসবে কিছু দিন আর।

ফারাবির বুকে চিন চিন ব্যাথা শুরু হলো। এ যে সম্ভব না , ও তো চায় না এ বিয়ে। তবে বারন করার মতো পথ ও নেই। ওর মায়ের হাসি খুশি মুখ টায় কি করে মলিনতা এনে দিবে ওহ ?
তবে আদৌ কি এ খুশি সম্ভব ?

ফারাবির চোখ দুটো ভিজে গেল। এমন কেন হচ্ছে ওর সাথে ?
কেন এলোমেলো ওর জীবন টা। সবাই খোসমেজাজে গল্প করতে ব্যস্ত।
হাসি খুশি মুখ গুলো দেখতেই ফারাবির চিত্ত কেঁপে উঠলো।
ফারাবি রুম থেকে বেরিয়ে গেল। এ সম্ভব না , কিন্তু কি করে বলবে ওহ ?
এদের সবার হাসি রাখতে গিয়ে একজনের সুখ কেড়ে নিতে পারবে না ওহ। সে অধিকার ওর নেই ।
আর ফারহান কে ছাড়া অন্য কারো ঘর করা স্বপ্নে ও ভাবতে পারবে না।
ফারহান ই তোর জীবন , আর ভবিষ্যত।

করিডোর দিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে হেঁটে যাচ্ছে ফারাবি।
এমন ভাবে হাঁটতে থাকায় দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে যায় ওর।
হাল্কা আর্তনাদ করে উঠে ফারাবি। ফারহান নিচে যাচ্ছিলো , ফারাবির গলা শুনে দৌড়ে আসে।
ফারাবি মাথায় হাত দিয়ে আছে। ফারহান ব্যস্ত হয়ে ফারাবির মাথায় হাত বুলাতে থাকে।
চোখে মুখে কষ্টের ছাপ, যেন ব্যথা টা ও পেয়েছে।
ফারাবি আলতো হাতে ফারহানের শার্ট ধরে নিলো ।
ফারহান ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই দেখলো ফারাবির চোখে অশ্রু কনা।
মুখে অসহায়তা , ফারহান হালকা হেসে চলে গেল।
ফারহান তার বিক্ষিপ্ত মন ফারাবি কে দেখাতে চায় না। কিছু কষ্ট না হোক পাক দুজনেই। আর এ আগুনে পুরে খাঁটি হোক ভালোবাসা।
ফারাবি বোকার মতো তাকিয়ে রইলো। ফারহান কেন ওকে জড়িয়ে বলল না আমি আছি তো ।
কেন বলল না একদম কাঁদবি না তুই।
ফারাবি ছুটে নিজের রুমে চলে আসলো।
ফারহানের সাথে অন্যায় করেছে ওহ , কেন সবাই কে বলতে পারছে না ওহ।
কেন চিৎকার করে বলতে পারছে না আমার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সব কিছু ফারহান।
কেন পারছে না পরিবারের খুশি টাকে ম্লান করতে।
কেন? কেন ?
ফারাবি মুখ চেপে কাঁদতে লাগলো। সত্যি কি সেদিন কোনো কিছু করার ছিলো না ?
নাকি অভিমান গুলো ই বাঁধা দিয়েছে?
#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_20 ( নিজ দায়িত্বে পড়বেন । এই পার্টে ফারহান , 🙂 আর কিছু বলতে পারছি না আমি। গল্প লিখতে গিয়ে চোখ ভিজে গেছে আমার। আমি অসহায় ছিলাম🙂 তাই ফারহান কে, পড়েই দেখে নিন 🙂)

রাত 12 টা বাজতে মিনিট খানেক বাকি।
সবাই মিলে ফারাবি কে উইস করার জন্য প্ল্যান করছে। পা টিপে টিপে এক সাথে আসছে সবাই ফারাবির ঘরে। ডুবলিকেট চাবি দিয়ে ঘরে ঢুকে সবাই অবাক।
কারন ফারাবি নেই , এটা কি করে সম্ভব?
মেয়েটা গেল ই বা কোথায় ?
সবাই বেশ চিন্তায় পরে গেল।

কে আপনি ? এভাবে তুলে নিয়ে এসেছেন কেন ? ছাড়ুন আমায়।

মুখে মাস্ক লাগানো লোকটা বিগলিত হাসলো। এক ঝটকায় ফারাবি কে কোলে তুলে নিলো। ফারাবির অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো।
মোহনীয় হেসে মাস্ক খুললো ফারহান। ফারাবির চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল।
ফারহান এক গাল হেসে ফারাবি কে নামিয়ে দিলো।
ফারাবি ভয়ার্ত কন্ঠে বলল
_ এভাবে তুলে এনেছেন কেন ? ভয়ে আমার কলিজা অব্দি কাঁপছিল।

ফারহান একটা শব্দ ও করলো না। সা সা করে বাতাস বইছে। বাতাসের কারনে ফারাবির খোলা চুল গুলো এলোমেলো হয়ে গেছে বহু আগেই।
ফারহান টিপ টিপ পায়ে এগিয়ে এসে ফারাবির চুল গুলো কানের পেছনে গুঁজে দিলো।
ফারহানের হাতের ছোঁয়ায় ফারাবি চোখ বন্ধ করে নিলো। কি যেন আছে এ ছোঁয়াতে। এতো এতো ভালোলাগা কাজ করে কেন ওর ?
ফারহান কি জানে এ মেয়েটা প্রতি বার পাগল হয়ে যায় ওর নরম ছোঁয়াতে।
ফারাবির কানের কাছে মুখ নিয়ে ধীর কন্ঠে ফারহান কাউন্ট করলো।
5
4
3
2
1
Happy birthday Jan.
ফারাবি চমকালো , চকচক করে উঠলো ওর দুটি চোখ। গত তিনটে বছরে ও ফারহান সবার আগে উইস করেছে।
সেটা ছিলো ফোনে তবে উইস সবার আগে ফারহান ই করেছে।

ফারহান প্রশস্ত হেসে ফারাবি কে বুকে টেনে নিলো। ফারাবি শিউরে উঠলো , ফারহান তার উষ্ণ ঠোঁট জোড়া ফারাবির কানে ছুঁইয়ে শান্ত কন্ঠে বলল
_ এই দিন টার কাছে আমি কৃতঙ্গ। এই দিনটা আমার জীবনের সব থেকে দামী উপহার টাকে দিয়েছে।
এই দিন টাই তো তোকে পৃথিবীর বুকে এনেছে । আমি আমার সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতঙ্গ তোকে আমার জীবনে পাঠানোর জন্য ।
আর তুই শুধু আমার জন্য জন্মেছিস। তুই শুধু আমার জান , আই কান্ট লিভ উইদাউট ইউ।
তুই না থাকলে আমি ও যেন না থাকি।

ফারহানের কথা শেষ হতে না হতে ফারাবি কেঁদে উঠলো। ফারহান অবাক হলো, হঠাৎ মেয়েটা কাঁদছে কেন ?

ফারাবির থুতনি উঁচু করে ফারহান বলল
_ কাঁদছিস কেন জান ?

ফারাবি নাক টানতে টানতে বলল
_ আপনি খুব খারাপ। এতো এতো খারাপ , আপনি কেন থাকবেন না ? আপনি না থাকলে এ পৃথিবী ও থেমে যাক।
আমি থাকি বা না থাকি আপনাকে থাকতেই হবে।

ফারাবির দু বাহু শক্ত করে ধরলো ফারহান ।
খানিকটা ক্ষীন গলায় বলল
_ চুপ একদম না। তুই আমার পৃথিবী , তোকে ছাড়া কিছু সম্ভব না। তোকে যে থাকতেই হবে জান , কখনো এমন বলবি না।
আর আমি আছি তো জান। সব ঠিক করে দিবো। তোর মনে হয় আমার কলিজা থেকে রিক তোকে নিতে পারবে?

ফারাবি মাথা ঝাঁকালো । ফারহান আলতো হেসে বলল
_ একদম কাঁদবি না। কাঁদলে তোকে পেত্নির মতো লাগে।

ফারহানের কথাতে ফারাবি হেসে উঠলো।
ফারহান কপালের ডান সাইট টা চুলকিয়ে বলল
_ এখন তোকে নিয়ে ফিরতে হবে না হলে সবাই পাগল হয়ে যাবে।
ফারাবি মাথা ঝাঁকালো ।
ফারহান হালকা হেসে বলল
_ আমরা এভাবে যেতে পারবো না। তার আগে আমাদের বাসাতে যেতে হবে।
রিমি কে বলেছি তোকে সবার আগে নিয়ে আসবো।
কাল ও পানিসম্যান্ট হিসেবে এটা দিয়েছিল।

ফারাবি মাথা ঝাঁকালো। আশে পাশে তাকিয়ে দেখলো এটা ফারহান দের বাগান।
ফারহান এক পা ফেলে বলল
_ ওয়েট ওয়েট একটা জিনিস দেখানো হয় নি।

ফারাবি প্রশ্নবোধক দৃষ্টি তে তাকালো । ফারহান আলতো হেসে বলল
_ চোখ টা বন্ধ কর তারপর দেখাবো।

ফারাবি চোখ বন্ধ করে নিলো। ফারহান একটা রিমোট এ ক্লিক করে বাগানের লাইট অফ করে দিলো।
ঘন কালো অন্ধকারে সব তলিয়ে গেল ।
ফারহান ধীর কন্ঠে বলল
_ এবার চোখ খোল।

ফারাবি ধীরে ধীরে চোখ খুললে ও কিচ্ছু দেখতে পারছিলো না।
কারন চারপাশে সব ই অন্ধকার ফারাবি ভয় পেয়ে গেল।
ফারাবি চিৎকার দেওয়ার আগেই ফারহান একটা বক্স থেকে অসংখ্য জোনাকি পোকা ছেড়ে দিলো।
ফারাবি মুখ চেপে বসে পরলো। জোনাকি পোকা রা যখন বক্স থেকে বের হচ্ছিলো মনে হয়েছিলো যেন আকাশের তারা রা ছিটকে পরছে।
অন্ধকারের মাঝে জোনাকির সুপ্ত আলো ফারাবির কাছে অম্রিত মনে হয়েছে।
ফারহান লম্বা হেসে বলল
_ হাজার খানেক জোনাকি ছিলো। তোর আয়ু হাজার বছর হয়ে যাক জান ।
আর তুই শুধু আমারি থাক জান।

ফারাবির চোখে পানি এসে পরেছে। এতো সুন্দর অনুভূতি কখনো পায় নি ওহহ।
ছুটে এসে ফারহান কে জড়িয়ে ধরলো ওহহ।
ফারহান বাঁকা হেসে পকেট থেকে একটা পেনডেন্ট বের করে ফারাবির গলায় পরিয়ে দিলো।
ফারাবি চমকালো তবু ও ফারহানের গলা জড়িয়েই রইলো।
ফারহান আলতো হেসে ফারাবির ঘাড়ে চুমু খেলো।
ফারাবি শিউরে উঠলো , খামচে ধরলো ফারহান কে।
ফারহান প্রশস্ত হেসে বলল
_ থ্যাংকস জান এভাবে আমার জীবনে আসার জন্য।

ফারাবি লজ্জা পেল তবু ও ফারহান কে ছাড়লো না। ইসস যদি সারা জীবন এভাবেই জড়িয়ে থাকা যেত।

*

_ভাইয়া এতো দেরি কেন করলে ? পুরো 15 মিনিট লেট।
আমাকে তো বলেছিলে 12’00 টার সময় সবার আগে আমি উইস করবো।

বলেই রিমি ভ্যাঁ ভ্যাঁ করতে লাগলো।
ফারহান গলা ঝেরে বলল
_ এখনো কেউ উইস করে নি। তুই ই উইস করবি যাহহ , সবার থেকে লুকিয়ে তোর বেস্টু কে নিয়ে এসেছি।

ফারাবি মুখ টিপে হাসছে। রিমি ফারাবি কে জড়িয়ে ধরে উইস করলো।
ফারাবি মুখ গোমড়া করে বলল
_ এভাবে হবে না জানু। তুমি ভাই কে দিয়ে রিতি মতো অপহরণ করে এনেছো এখন আমার গিফট কোথায় ?

রিমি লম্বা করে হেসে বলল
_ গিফট তো আছেই জানু।
তার আগে কেক কেটে নেই। ইউ নো হোয়াট, আমি রিফাত ভাইয়া আর মনিকা আপুর সাথে বাজি ধরেছি।
যদি আমি জিতে যাই তাহলে ওদের দুটো কে এক সাথে কাপল ডান্স করতে হবে।
যা ওরা কখনোই করতে রাজি হয় নি।

ফারাবি থমথমে মুখ করে বলল
_ ওদের সাথে বাজি ধরে এই লম্বা ঝামেলা করলি।
আরে ওরা ডান্স করবে না দেখে নিস।

রিমি কোমরে হাত গুঁজে বলল
_ করবেই।
কারন আমি বাজির ফুল প্রুফ নিয়েছি । এদের লজ্জার কারন আমি বুঝি না। আমার তো মনে হয় এরা ডান্স ই পারে না।

ফারহান হালকা কেশে বলল
_ কাপল ডান্স করতে গিয়ে রিফাত মনিকার উপরে পরে গিয়েছিল।
তখন ওদের রিলেশন ছিল না । আর একে অপরের শত্রু ছিলো।পরে কলেজের সবার সামনে বেচারা রা বকা খেয়েছে স্যার দের কাছে।
আর তাই ওরা ডান্স করতে চায় না।

ফারাবি ভ্রু কুঁচকে বলল
_ এটা কোনো লজিক হলো ?

_এরা যে পাগল তার ই উদাহর এটা।

ফারহান মেকি হাসি দিয়ে বলল
_ তা তোদের রঙ ঢঙ গুলো প্লিজ কমপ্লিট কর। আমার এতো সময় নেই এইসবের জন্য।

রিমি ভেঙ্চি কেঁটে ফারাবি কে নিয়ে কেক কাঁটলো।
ততক্ষণে রিফাত এসে হাজির।
রিফাত ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল
_ রিমি বাজির জন্য মেয়েটা কে কিডন্যাপ করলি একে বারে ?

রিমি দাঁত কেলিয়ে হাসতে লাগলো। মনিকা রিফাত কে গালি দিতে ব্যস্ত । ওহ কিছু তেই রিফাতের সাথে ডান্স করবে নাহহ।
রিফাত মুখ টা ছোট করে নিলো। সবাই ওকেই পায় বকার জন্য।

রিক দু হাত দূরে দাঁড়িয়ে আছে। মেজাজ গরম ওর , ভেবেছিলো সবার সামনে ভালো সাজবে।
কেয়ারিং দেখাবে কিন্তু ফারহান সব ভেস্তে দিলো।
ফারহান ট্রেডি স্মাইল দিয়ে রিক কে ইশারায় বোঝালো। তুই যতই চেষ্টা কর ফারাবি আমার।

রিক বাঁকা হেসে দাঁড়িয়ে রইলো। কারন কাল কেই এনাউন্স হবে ফারাবি আর ওর বিয়ের । সাথে ফারাবি কে প্রপোজ করবে ওহহ।

*

ফারাবি রেডি হচ্ছে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানের জন্য। রেড রঙের বারবি গ্রাউন পরেছে ওহহ। এটা রিমি গিফট করেছে ওকে। ব্রাইডাল মেকআপ এ অসাধারন লাগছে ওকে।
চুল গুলো গুছিয়ে খোঁপা করে বাঁধা । ডল দের যেমন দেখায় ঠিক তেমনি লাগছে ওকে।
রিমি সেই কখন থেকে ওর জন্য অপেক্ষা করে যাচ্ছে লিভিং রুমে।
অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেছে। লম্বা শ্বাস ফেলে ফারাবির রুমে গেল ওহহ।
ফারাবি নিজেকে ঘুরে ঘুরে দেখছে। রিমি একপলক তাকিয়ে বলল
_ ওয়াও তোকে এতো টা সুন্দর লাগবে ভাবতে ও পারি নি।
আর এটা তো একদম ফিট হয়েছে। আমি এক সাইজ বড় কিনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাইয়া নাছোড়বান্দা এটাই নাকি তোর ফিট হবে।
আমি তো ভেবেছিলাম এটা কে চেঞ্জ করতে নিতেই হবে।

ফারাবি ঝরা হেসে বলল
_ আমি মুটু হয় নি জানু , আপনার চোখ টা একটু এলোমেলো হয়ে গেছে।

রিমি গালে হাত দিয়ে বলল
_ বাট ভাইয়া এতো টা কনফিডেন্স নিয়ে কিভাবে বলল ।

ফারাবি সরু চোখে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিললো । রিমি পুরো দমে সন্দেহ করছে ওকে আর ফারহান কে।
ইসস এই লোকটার এতো বাড়াবাড়ি কেন ?
ফারাবি ভ্রু কুঁচকে নিলো আসলেই তো ফারহান কি করে জানলো।

গলার খক খক আওয়াজে ধ্যান ভাঙ্গলো রিমির আর ফারাবির।
দরজায় দাঁড়িয়ে ফারাবি কে দেখছিলো ফারহান।
ফারাবির ভাবনার বিষয় বুঝতে পেরেই ফারহান কেশেছে।

ফারহান কে দেখতে পেয়ে লজ্জায় লাল হয়ে গেল ফারাবি ।
ফারহান এক গাল হেসে বলল
_ দুই পেত্নি আর কতো দেরি হবে ?

রিমি মৃদু হেসে বলল
_ হয়ে গেছে আর একটু।

রিমি আর ফারাবি রুম থেকে বেরোবে তখনি রিমি কপালে হাত দিয়ে বলল
_ ইসসস ফুল গুলো আনতেই ভুলে গেছি। আমি কতো শত প্ল্যান করেছি ভুল দিয়ে তোকে ঢেকে দিবো।

_ আর কিছু করতে হবে না তোকে এবার চল ।

_ একটু দাঁড়া আমি আসছি

বলেই রিমি দৌড় দিলো। ফারাবি তপ্ত শ্বাস ফেলে ফারহানের দিকে তাকাতেই ভরকে গেল।
ফারহান নেশাক্ত চোখে তাকিয়ে আছে। ফারাবি শুকনো ঢোক গিলে গ্রাউন খিচে ধরলো।
ফারহান ধীর পায়ে এগোতে এগোতে একদম ফারাবির কাছে চলে এসেছে।
এতোটাই কাছে যে দুজন দুজনার নিশ্বাস শুনতে পাচ্ছে।
ফারহান তার ঠান্ডা হাত দিয়ে ফারাবির দু গালে আলতো ভাবে সপর্শ করলো।
ফারাবি আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো।
ফারহান তার লাগামহীন কন্ঠে খাপ ছাড়া শব্দে বলল
_ তোর শরীরের প্রতি টা ইঞ্চি আমি চোখ দিয়েই মেপে নিতে পারি।
সামান্য ড্রেস তো পরেই রইলো।

ফারাবির শরীরে শিরশির বয়ে গেল।
ফারহানের কথায় মাদকতা কাজ করছে।
রন্ধে রন্ধে জানান দিচ্ছে ফারহান তার কতোটা কাছে।
ফারহান মোহনীয় হেসে বলল
_ এবার সম্পূর্ন করার পালা, একদম নিজের অস্তিত্বে মিলিয়ে নেওয়ার সময় এসে গেছে।
আর একটু ও সময় নিবো না জান।

ফারাবির কোমর জড়িয়ে আছে ফারহান। ফারাবি চোখ থেকে দু ফোঁটা অশ্রুগড়িয়ে পরলো।
ফারহানের ভালোবাসা অনুভব করছে ওহহ। ফারহান ফারাবির পিঠের ফিতে টা লাগিয়ে দিতে দিতে বলল
_ আমার কাছে হারিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত তো জান ?
আমি কিন্তু খুব খারাপ , সইতে পারবি তো আমায়।

ফারহান কে খিচে ধরলো ফারাবি। সইবে ফারহান কে , সইবে তার অস্তিত্ব কে।
হারাবে ফারহানের ভালোবাসা তে। ফারহানের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবে। সব শেষে এই মানুষ টাকেই ভালোবেসে যাবে।
দুজন ই দুজন কে চায় , আজ দুজনের ইচ্ছে ই একটা সম্পর্ক কে গাঢ় করা।
যাহহ তিন বছর আগে ছিল একপাক্ষিক।আজ ফারাবি ও চায় ফারহান কে। ফারহান তার ভালোবাসা দিয়ে জয় করে নিয়েছে ফারাবি কে।
শুরু টা জোড় করে হলে ও পূর্নতা টা দুজনের ইচ্ছে তেই হবে।
ভালোবাসায় জোড় থাকবেই তবে পূর্নতা টা যেন দুজনের মতামতেই হয়।
তাহলেই ভালোবাসার স্বার্থকতা।

রিমির পায়ের আওয়াজে দুজনে ছিটকে সরে গেল। রিমি এসে ভ্রু কুঁচকে বলল
_ দুজন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছো কেন ?

ফারহান মুখে বিরক্তি ফুটিয়ে বলল
_ এতো লেট কেউ করে ?

রিমি মেকি হাসি দিয়ে বলল
_ সরি । আসলে ফুল গুলো পরে গিয়েছিলো গোছাতে টাইম লাগলো আর কি।

ফারাবি লজ্জায় লাল হয়ে গেছে । রিমি মৃদু কন্ঠে বলল
_ ফুল দিয়ে বরন ই করবো জাস্ট লজ্জা পাচ্ছিস কেন ?

ফারাবি মেকি হাসি দিলো। ফারহান ঝরা হেসে ফারাবির দিকে তাকিয়ে রইলো।

*

ফারাবির দের বাগানে আয়োজন করা হয়েছে। লাল নীল আলো তে ঝলমলে পরিবেশ। রেনট্রি গাছ গুলো কে রঙিন আলো তে সাজানো হয়েছে। যার কারনে গাছ গুলোকে আরট্রিফিশিয়াল মনে হচ্ছে।
ফারাবির ছোট্ট পিস ফুলের বাগান টা অসাধারন মোহনীয় লাগছে। পিস ফুলের বাগানের মাঝে দুটো বেঞ্চ বসানো। বেঞ্চ এ রঙিন আলো লাঙানো হয়েছে।
আর তার ই মাঝে বসে বসে কাপল রা ছবি তুলে যাচ্ছে।
সাদা পিস ফুলে অসাধারন শান্তি প্রকাশ করছে ।
ফারাবি সরু চোখে তাকিয়ে আছে। তার একটা ফুল যদি নষ্ট হয় তাহলে এদের কে মেরেই দিবে ওহ।

ফারহান কে বেশ অনেকক্ষণ ধরে দেখছে না ফারাবি।
কে জানে কোথায় আছে। সবার হাতেই জুসের কিংবা কোল্ড ড্রিঙ্কস এর গ্লাস আর ফারাবির হাতে একটা কিটক্যাট।
জ্বিভ দিয়ে একটু একটু করে চকলেট খাচ্ছে ওহহ।
কারন চকলেট খেলে দাতে লেগে যায়। আর বার্ড ডে গাল কে এই অবস্থায় দেখলে ,সবাই হাসাহাসি শুরু করে দিবে।
রিমি ব্যস্ত ফোনলাপে , প্রেমে ডুবে যাচ্ছে ওহহ।
কে জানে ছেলেটা কেমন।কলেজে তেমন দেখে নি ফারাবি ।

ফারাবি ঘুরে ঘুরে সমস্তটা দেখছে। আয়োজনের এই বিশালতা বুঝে উঠতে পারছে না ফারাবি।
এতো শত আয়োজনের কি দরকার ছিলো।
ফারাবির তো প্রিয় মানুষ দের পাশে রেখে কেক কেটে রাতে বসে বসে সিনেমা দেখলেই চলতো।
এই টুকু তেই ওর সুখ। তবে ফারহানের দেওয়া জোনাকির আলো গুলো আর ও বেশি মোহনীয় করেছিল ওকে।
ইসস কি দারুন অনুভূতি ছিল।

বাসার গেট দিয়ে ফারহান কে ঢুকতে দেখলো ফারাবি।
সাদা কালোর মিশ্রনের কোর্ট পরেছে ফারহান।দারুন স্টাইলের চুল গুলো মৃদু উড়ছে ।
হাতের ঘড়ি টা চক চক করছে বেশ। ফারাবি আনমনেই হাসলো ।
ইসস কি সুন্দর লাগছে। তবে রেড পড়া উচিত ছিলো , পুরো খাপে খাপ হতো।
ফারাবি মুখ গোমড়া করে রইলো।
ফারহান বাঁকা হেসে ওর দিকেই এগিয়ে আসছে।
কয়েক টা মেয়ে গালে হাত দিয়ে ফারহানের দিকে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে আছে। তা দেখে ফারাবি কি রাগ হচ্ছে তা বলে বোঝানো যাবে না।
মেয়ে গুলোর চুল ছিঁড়তে পারলে ভালো লাগতো ওর।
একটা মেয়ে তো ফারহানের কাছেই এসে পরলো।
ফারাবি তেড়ে গেল সে দিকে। মেয়েটা লম্বা হেসে ফারহান কে হাই বলল।
ফারহান কোনো উত্তর করলো না। কারন সে তার প্রেয়সীর রাগী ফেস টা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে।
ফারাবি এগিয়ে আসলো। মেয়েটার দিকে ভদ্রতার খাতিরে মোহনীয় হেসে বলল
_ কি বলছো ?

মেয়েটা প্রশস্ত হেসে বলল
_ ওনার নাম্বার টা চাইছিলাম আর কি।

ফারাবি হো হো করে হেসে উঠলো। ফারহান সহ মেয়েটা অবাক হলো। ফারাবি হাসি থামিয়ে বলল
_ আর মানুষ পেলে না । ওনার তো দুটো বাচ্চা আছে।

মেয়েটা অবাক হয়ে বলল
_ হোয়াট।

ফারাবি মাথা ঝাঁকালো। ফারহান কিছু বলছে না দেখে মেয়েটা চলে গেল।
বড় সড় ঝটকা খেয়েছে মেয়ে টা । এমন স্মার্ট ডেসিং ছেলের নাকি দুটো বাচ্চা আছে।
ভাবা যায় ?

ফারাবি মুখ টা গোমড়া করে দাঁড়িয়ে রইলো। ফারহান বাঁকা হেসে বলল
_ আমার দুটো বাচ্চা ও আছে।

ফারাবি মেকি হাসি দিয়ে দৌড় দিতে গেল।
কিন্তু তার আগেই ফারহান ওর হাও টা ধরে ফেলল।
ফারাবি ভয়ে চুপসে গেছে। ফারাবি কে আড়ালে নিয়ে গেল ফারহান ।
ফারহান তার নাক দিয়ে ফারাবির গালে স্লাইড করতে করতে বলল
_ জান তোকে খুব আবেদনময়ী লাগছে । আই কান্ট কন্টোল

ফারাবি কাঁচুমাচু করতে লাগলো । ফারহানের দিকে তাকিয়ে কাঁপা স্বরে বলল
_ ছাড়ুন কেউ এসে পরলে।
_ কেউ আসবে না।
ফারাবি কিছু বলল না। কারন ফারহানের কাছাকাছি থাকতে ওর ও খুব ভালো লাগছে।

ফারহানের কোর্ট টা নাড়াচাড়া করতে করতে বলল
_ কোথায় ছিলেন এতোক্ষন।

_ একটা কাজ সেড়ে আসলাম। না হলে রাসকেল টা আমার কলিজা কে টেনে নিয়ে যেত।

ফারাবি ভ্রু কুঁচকে বলল
_ কিহহ

_ রিক আজ প্ল্যান করেছিল এতো এতো গেস্ট দের সামনে তোকে প্রপোজ করবে।
তাই ওকে বেঁধে রেখেছি , সাথে ওর গালফ্রেন্ড দের ও পাঠিয়েছি ওকে শায়েস্তা করার জন্য।
কতো গুলো গালফেন্ড পেয়েছি জানিস ?

ফারাবি উত্তেজিত কন্ঠে বলল
_ কতো গুলো?

_ পুরো ছ টা। শালা বড় খিলারি , সব থেকে বাজে কি জানিস এদের মাঝে তিনটের সাথে রুমডেট করেছে ওহ।
তাই ঐ তিন টে কে এক সাথে পাঠিয়েছি। মেয়ে গুলো এমন ছেলেদের পাল্লায় পরে কেন যে নিজেকে সপে দেয়।

ফারাবি লম্বা করে শ্বাস নিলো। রিকের চরিত্র যে এতো নিকৃষ্ট তা জানতো না। ওহহ ভেবেছিল ওর দিকেই বাজে নজর শুধু ।

ফারহান লম্বা করে শ্বাস নিয়ে আমুদে কন্ঠে বলল
_ আমার গালফ্রেন্ড থাকলে আমি ও রুমডেট করে দেখতাম কেমন লাগে।

ফারাবির চোখ দুটো বেঁকে গেছে। ফারহানের বুকে ঘুষি মেরে বলল
_ আপনার চরিত্র এমন জানলে আমি কখনো

_ কখনো কি ?

_ কিছু নাহহ।

_ সেদিন জোড় করেছিলাম বলে কষ্ট পেয়েছিস তুই ?
কিন্তু জান , আমি তার পর কখনো তোর উপর জোড় খাটিয়েছি বল ?
আজ অব্দি তোকে

ফারহানের মুখে হাত দিয়ে ফারাবি বলল
_ আমি এখন অভিযোগ করেছি বলুন?
আমার অভিযোগ নেই আর।

ফারহান মাথা টা নত করে বলল
_ আম সরি জান আমি সেদিন তোকে দুটো চর ও মেরেছিলাম।

ফারহানের চোখ দুটো ছলছল করছে।
ফারাবি ডুকরে কেঁদে উঠলো। ফারহান ফারাবির নাকে নাক রেখে বলল
_ আম সরি আর কখনো মারবো না।

ফারাবি হেচকি তুলে বলল
_ আর আমাকে দুটো চর মেরে নিজেকে সহস্র আঘাত করেছেন আপনি।

ফারহান চমকালো। ফারহানের দুটো হাত এক করে ফারাবি চুমু খেয়ে বলল
_ আপনি সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে আমাকে লুকিয়ে দেখতে এসেছিলেন।
কিন্তু আমি আপনাকে দেখে ফেলি , আপনার আঘাত প্রাপ্ত হাত দেখে ফেলি আমি যা লুকোতে ব্যস্ত ছিলেন আপনি।
খুব রাগ ছিলো তখন তবু ও আমার কষ্ট হয়েছিল।
আমি ঘুমোতে পারি নি সেদিন। সারা রাত কেঁদেছি ঘৃনা থেকে নয় আপনার ছিন্নবিচ্ছিন্ন হাত দেখে।
তবে কেন কেঁদেছিলাম আমি জানি নাহ।
কে বলেছিলো নিজে কে আঘাত করতে আর কে বলেছিল চলে যেতে ?

বলতে বলতে ঝরঝর করে কেঁদে উঠলো ফারাবি । ফারহান এক গাল হেসে আষ্ঠে পৃষ্ঠে জড়িয়ে নিলো।
ফারাবি নাক টানতে লাগলো আর খামচে ধরলো ফারহান কে।
যেন ফারহান কে ছেড়ে দিলেই পালিয়ে যাবে ওহহ।

*

কেক কেঁটে ডিনার কমপ্লিট করে যে যার মতো রুমে চলে এসেছে।
ফারাবি ক্লান্ত হয়ে বেডে হেলান দিয়ে বসে রইলো।
রাত প্রায় এগারো টা । এখনো ড্রেস চেঞ্জ করে নি ওহহ। সবাই বোধহয় ঘুমোতে চলে গেছে। আজ সারাদিন প্রচুর খেটেছে সবাই ।
ফারাবি ফোন টা নিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করছিলো। ঠিক তখনি দরজা খুলে ভেতরে আসে ফারহান।
ফারহান কে দেখে ফারাবি চমকে উঠে। দ্রুত ফারহানের কাছে এসে বলল
_ আপনি এখন এখানে কেন ?

ফারহান কিছু না বলে বেডে গিয়ে পা তুলে বসলো।
ফারাবি ব্যগ্র হয়ে বলল
_ কিছু বলছেন না কেন ?

ফারহান ঝটকা মেরে ফারাবি কে কোলে বসিয়ে দিলো । ফারাবি ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
ফারহান রহস্য হেসে বলল
_ একটা জায়গায় যাবো।

_ কোথায় ?

_ গেলেই বুঝতে পারবি। আগে ড্রেস টা চেঞ্জ কর।

ফারাবি বিরক্তি নিয়ে ওয়াসরুমের দিকে যেতে নিলেই ফারহান টেনে ধরলো।
ফারাবি ভ্রু কুঁচকে বলল
_ কিহহ ?

ফারহান একটা প্যাকেট হাতে দিয়ে বলল
_ এটাতে শাড়ি আছে। আমি জানি তুই শাড়ি পরতে পারিস না।
আমি ই পরিয়ে দিবো,,,, যাহহহ তাড়াতাড়ি।

ফারাবির চোখ দুটো কপালে উঠে গেছে। ফারহান বাঁকা হেসে বলল
_ তুই চাইলে সম্পূর্ন চেঞ্জ ও করে দিতে পারি।
তাতে আমার একটু ও অসুবিধা নেই জান।

ফারাবি কথা না বাড়িয়ে ভো দৌড় দিলো।
ফারহান হাসতে হাসতে বেডে বসলো।ফারাবি ওয়াসরুমে এসে লম্বা লম্বা শ্বাস ফেলছে। ফারহানের কথা ভয়ঙ্কর ভাবে কাজ করে।ফারাবি প্যাকেট টা খুলে দেখলো লাল রঙের পাতলা সিল্ক শাড়ি।
এতোটাই পাতলা যে শাড়ি পরলে ও শরীর দেখা যাবে।ফারাবি মুখ গোমড়া করে রইলো। এই রখম একটা শাড়ি পরিয়ে ফারহান ওকে কোথায় নিয়ে যাবে?
লোকের মাঝে তো জীবনে ও নিয়ে যাবে না।
ফারাবি চিন্তা বাদ দিয়ে শাড়ি টা কোনো মতে ওড়নার মতো পেঁচিয়ে নিলো।
তবে বের হতে খুব লজ্জা লাগছে ওর। ফারাবি শাড়ির উপর গায়ে আরেকটা ওড়না জড়িয়ে নিলো।
ব্যাস এবার ঠিক আছে। ধীর পায়ে দরজা খুলে বের হলো ফারাবি।
ফারহান ফোন স্ক্রল করছে । ফারাবি খানিটা চমকালো কারন ফারহান লাল শুট পরে আছে।
ফারাবির আওয়াজ পেয়ে ফোন রেখে দিলো ফারহান।
ফারাবির দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকালো। ফারহান নিজের থুতনিতে স্লাইড করতে করতে ঝটকা মেরে ফারাবির ওড়না ফেলে দিলো।
ফারাবি রসগোল্লার মতো চোখ করে তাকিয়ে আছে।
ওহ কিছু বোঝার আগেই শাড়ির আঁচল টেনে খুলে নিলো ফারহান ।
ফারাবি একবার নিজের দিকে তাকিয়ে পেছন ঘুরে ফেলল।
লজ্জায় লাল হয়ে গেছে ওহহ।
ফারহান এক গাল হেসে বলল
_ লজ্জা পেলে চলবে জান ?
এখানে আমি তো আছি , আর আমি নিশ্চয়ই

ফারহান আর বলল না।কারন ফারাবির লম্বা শ্বাস অনুভব করছে ওহহ।
ফারহান বাঁকা হেসে ফারাবির দিকে এগিয়ে গেল।
পেছন থেকে জড়িয়ে বলল
_ এতো এতো লজ্জা আমি কোথায় রাখি বল তো ?
এতো লজ্জা পেলে ফারহান কি করে কন্টোল করবে বল তো।
এ লজ্জা দেখে তো আমার আর ও বেশি করে ইচ্ছে করছে লজ্জা দিতে।

ফারাবির ঘাড়ে চুমু খেতে খেতে বলল ফারহান।
ফারাবির দম যেন আটকে গেছে। ফারহানের হাত ফারাবির পেট জড়িয়ে আছে। শ্বাস আটকে যাচ্ছে ওর।
ফারাবি কে আর ও লজ্জা দিতে বেডে ফেলে দিলো ফারহান।
ফারাবি দু হাত চেপে ধরে ফারাবির গলাতে চুমু দিলো।
ফারাবি শিউরে উঠলো। ফারহান মোহনীয় হেসে বলল
_ আমি কিন্তু সহ্য করবো না সব সময় । তাই দ্রুত তৈরি থাকুন জান।

ফারহান ফারাবির থেকে উঠে যেতেই ফারাবি লম্বা দম ফেলল।
ফারহান টুপ করে ফারাবির উন্মুক্ত পেটে চুমু খেয়ে নিলো।
ফারাবি থম মেরে গেলে।
ফারহান ঝরা হেসে ফারাবি কে তুলে নিলো।
ফারাবির গাল দুটো কমলা রঙ ধারন করে নিয়েছে ।
ফারহানের সামনে এমন ভাবে দাড়িয়ে আছে ভাবতেই ওর মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে ।
ফারহান ডেভিল স্মাইল দিয়ে ফারাবি কে শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছে।
মাঝে মাঝেই ফারাবির গায়ে ছুঁইয়ে যাচ্ছে। ফারাবি চোখ খিচে তা সহ্য করে যাচ্ছে।

ফারাবি কে শাড়ি পরিয়ে দম ফেলল ফারহান।
ফারাবি মাথা নিচু করে আছে। ওর খুব লজ্জা লাগছে , ফারহান এক গাল হেসে ফারাবির গালে চুমু খেলো।
ফারাবির ঠোঁটে হাত দিয়ে স্লাইড করে বলল
_ মিষ্টি ছিলো কিস টা আর ও হবে নাকি ?

ফারাবি চোখ খিচে জ্বিভে কামড় দিলো।
ফারহান মোহনীয় হেসে ফারাবি কে নিয়ে লুকিয়ে বের হয়ে গেল।
ভাগ্যিস সবাই এখনি ঘুমিয়ে গেছে।
তবে গেট দিয়ে যেতে পারলো না , তাই বাগানের পেছন দিক দিয়ে পাঁচিল চপকে বেরিয়ে পরলো ওরা ।

সা সা করে বাতাস বইছে। গাড়ির জানালা খোলা থাকায় ফারাবির চুল গুলো উড়ছে। শাড়ির আচল গিয়ে পরছে ফারহানের শরীরে
ফারহান মোহনীয় হেসে তা অনুভব করে যাচ্ছে।

একটা ঝিলের পাশে গাড়ি থামালো ফারহান।
চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ফারাবি ভ্রু কুঁচকে বলল
_ এতো অন্ধকার কেন ?
মনে হচ্ছে ভূত এসে ঘাড় মটকাবে।

ফারহান এক গাল হেসে বলল
_ বিশ্বাস আছে তো আমার উপর ?

ফারাবি অশ্রু সিক্ত চোখে তাকিয়ে মাথা ঝাঁকালো।
ফারহান গাড়ি থেকে নেমে ফারাবির হাত ধরে নামিয়ে নিলো।
ঝিলের পাড়ে গিয়ে দাঁড়ালো । ফারাবি ফারহান কে খিচে দাড়িয়ে আছে। ফারহান ফারাবি কে নিয়ে আরেক টু নিচে গিয়ে দাঁড়ালো ।
ঝিলের ঠান্ডা পানি ফারাবির আর ফারহানের পায়ে এসে আঁচড়ে পরছে। বাতাসে ফারাবির আঁচল উড়ছে। ফারাবি ঝিলের দিক টায় মুখ করে আছে।
ফারহান লম্বা দম ফেলে ফারাবির পেছনে দাঁড়ালো।
ধীর হাতে শাড়ি ভেদ করে ফারাবির পেটে হাত রাখলো।
ফারাবির শরীরে যেন কারেন্ট লেগে গেছে।
ফারহান শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। ফারাবির গলাতে নাক ঘষতে লাগলো। ধীর কন্ঠে বলল
_ আই লাভ ইউ জান।

ফারাবি চমকালো সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠলো সহস্র বাজি চারিদিক আলোকিত হয়ে গেল।
ফারহান খানিকটা দূরে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে শত গোলাপ এগিয়ে দিয়ে চিৎকার করে বলল
_ Happy 3 rd marriage anniversary bow.
I love you bow.

** এই পার্ট এর ক্যাপশন দেখে কি মনে হয়েছিল ? 😁
অবশ্যই সেটা কমেন্ট এ জানাবেন।
একটু হার্ট কাঁপায় দিলাম আর কি 😅

** 3329 শব্দের বিশাল পার্ট।

আমি বার বার অধিকারের কথা বলেছি কারন কেউ যেন আমার মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন না তুলেন ।
কারন এখানে ফারহান আর ফারাবি কে অনেক কাছাকাছি তুলে ধরেছি আমি । যা কখনোই প্রেমিক প্রেমিকার ক্ষেত্রে সঠিক নয়।
তবে সিজন 1 এ আমি ওদের বিয়ের আগে কাছাকাছি রেখেছি তবে সেটার গভীরতা এমন ছিলো না।
রোমান্টিকতা আনার জন্য সেটা দিতেই হয়েছে। তবে সামনে হয়তো আর ও গল্প আসবে যেগুলো তে প্রেমিক প্রেমিকা কে অতিরিক্ত কাছাকাছি আনতে হবে।
তবে সেটা গল্পের কনসেপ্ট এর প্রয়োজনে। তবে পুরো গল্প শেষ না করে কটু মন্তব্য করা উচিত নয়।
আমি কখনোই অশ্লীলতা কে সমর্থন করবো না অর্থাৎ বিয়ের আগের বাজে সম্পর্ক কে। তবে সুস্থ বিনোদন দেওয়ার জন্য রোমান্টিকতা তুলে ধরা।
সবার কাছে অনুরোধ ভালোবাসা কে অশ্লীলতায় পরিনত করবেন না। সকল ভালোবাসা যেন পবিত্র থাকে।

কষ্ট করে গল্প লিখি দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য করবেন। আপনাদের অনুপ্রেরনা ই আমার শক্তি ।

* ধূসর রঙের প্রজাপতি উপন্যাস টা পড়ার অনুরোধ রইলো । উপন্যাস টা তে অনেক তথ্য পাবেন সাথে থাকবে ভ্রমনের অনুভূতি ।
বোনাস থাকবে রোমান্টিকতার ছোঁয়া ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here