#হঠাৎ_বর্ষনের_রাতে💖
#লেখিকা:#তানজিল_মীম💖
— পর্বঃ১০
“একটা বড় রেস্টুরেন্টে বসে আছে অর্নব আর ইরা!’ইরা তো বসেই আশেপাশের চারদিক তাকিয়ে চোখ বুলালো একবার!’জায়গাটা অনেক সুন্দর,চারপাশে বড় বড় ফুলদানি দিয়ে সাজানো গোছালো আর পরিপাটি পূর্ণ,সাথে পুরো জায়গাটার চারদিক ঘিরে রয়েছে থ্রাই গ্লাস!’রেস্টুরেন্টের একদম কিনারার থ্রাই গ্লাসের পাশ দিয়ে থাকা সুন্দর সাজানো গোছালো টেবিলের দু’দিকে বসে আছে ইরা অর্নব!’দু’তলার উপরে থাকায় বেশ লাগছে ইরার!’বেশি ভালো লাগছে উপর থেকে নিচটা দেখতে!’এমন সময় একজন ওয়েটার এসে বললো অর্নবকেঃ
—“কি খাবেন স্যার…?’
“এতটুকু বলে ওয়েটার মেনুকাটটা এগিয়ে দেয় অর্নবের দিকে!’অর্নব মেনুকাটে একবার চোখ বুলিয়ে মেনুকাটটা ইরার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললোঃ
—“কি খাবে ইরা?’
“অর্নবের ডাক শুনে ইরা আশেপাশে তাকানো বন্ধ করে অর্নবের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ
—“হ্যাঁ…
—“কি খাবে…
—“আপনার যা খুশি স্যার…
—“সেটা বললে কি করে হয়…
—“আপনার যা খুশি অর্ডার করুন স্যার আই এভ নো প্রবলেম…
“ইরার কথা শুনে অর্নব আর জোর করলো না ইরাকে!’সে তার খুশি মতো অনেকগুলো খাবার অর্ডার করলো!’এতো এতো খাবারের নাম শুনে ইরার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম!’তবে এই মুহূর্তে সে কিছু বলতে পারলো না!’
“ওয়েটার অর্নবের কথা শুনে ওদেরকে কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে বলে চলে যায়!’
“ওয়েটার যেতেই অর্নব ইরার দিকে তাকিয়ে বললোঃ
—“জায়গাটা পছন্দ হয়েছে ইরা?’
“অর্নবের কথা শুনে ইরা খুশি মনে বললোঃ
—“খুব, আমি তো এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে জানতামই না…
“উওরে হাল্কা হেঁসে বললো অর্নবঃ
—“ওহ,আসলে এটা বেশিদিন হয়নি তৈরি হয়েছে,, আমি প্রায় আসি এখানে…
—“ওহ..
—“হুম…
“ইরা অর্নবের কথোপকথনের মাঝেই দুজন ওয়েটার এসে অর্নব আর ইরার টেবিল জুড়ে খাবার সাজিয়ে রাখলো!”ইরা সব খাবারগুলোর দিকে তাকিয়ে বললোঃ
—“এত খাবার,আমার তো এতটুকু খিদে পেয়েছে…
“ওয়েটাররা তাদের খাবারগুলো সুন্দর মতো সাজিয়ে দিয়ে চলে গেল!’ওয়েটার যেতেই অর্নব ইরার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেঁসে বললোঃ
—“তাহলে শুরু করা যাক ইরা….
“অর্নবের কথা শুনে ইরাও হাল্কা হেঁসে বললোঃ
—“অবশ্যই!’
“শুরুতেই দুজন তাদের সামনেই রাখা সফট ড্রিংক হাতে নিয়ে চিয়াস বলে খেতে শুরু করলো!’
“ধীরে ধীরে সময় নিয়ে খাচ্ছে ইরা!’অর্নব মাঝে মধ্যে খাওয়ার মাঝে আর চোখে দেখছে ইরাকে!’যেটা ইরা তেমন একটা খেয়াল করে নি!’কেন যেন ইরার ঠোঁটের হাসি বেশ লাগছে অর্নবের কাছে!’ইরার চোখ,মুখ,গাল খাওয়ার স্টাইল সবকিছুই অর্নবের ভালো লাগে!’হাল্কা মুচকি হাসলো অর্নব!’হুট করে অর্নবকে হাসতে দেখে ইরা অবাক হয়ে বললোঃ
—“কি হলো স্যার আপনি হাসছেন কেন?’
“আচমকা ইরার এমন প্রশ্ন শুনে কিছুটা চমকে উঠলো অর্নব!’কিছুটা বিস্মিত কন্ঠে বললোঃ
—“হু না কিছু নয়…
“উওরে ইরাও আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না!’মনোযোগ দিল সে আবার খাওয়ার দিকে!’আর ইরাকে চুপ হতে দেখে অর্নবও আর কিছু বললো না!’….
” বেশ কিছুক্ষন পর….
“গল্প সল্প করতে করতে খাওয়া শেষ করলো ইরা আর অর্নব!’খাওয়া শেষ হতেই ইরা বলে উঠলঃ
—“আমার পেট তো একদম ভরে গেছে…
“ইরার কথা শুনে অর্নবও হেঁসে বললোঃ
—“সেইম টু ইরা,খাবারগুলো খুব টেস্টি ছিল তাই না…
“বলেই তাকালো অর্নব ইরার দিকে!’অর্নবের প্রশ্ন শুনে ইরাও অর্নবের দিকে তাকিয়ে বললোঃ
—“হুম খুব!’…
“হঠাৎই অর্নব ইরার দিকে তাকিয়ে হেঁসে দিল!’অর্নবকে হাসতে দেখে ইরা বলে উঠলঃ
—“কি হলো স্যার আপনি আবার হাসছেন এবার কিন্তু কারনটা বলতে হবে,আপনি হাসছেন কেন?’
“ইরার কথা শুনে অর্নব বলে উঠলঃ
—“তোমার মুখে…
“অর্নবের কথা শুনে ইরা অবাক হয়ে তার মুখে হাত দিয়ে বললোঃ
—“কি হয়েছে আমার মুখে…
“উওরে অর্নব কিছু না বলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো তারপর ইরার কাছে এসে টিস্যু দিয়ে ওর মুখে লেগে থাকা খাবার মুছে দিল!’অর্নবের কাজ দেখে কিছুটা ভরকে যায় ইরা!’পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নেয় সে!’
“২ মিনিট পর…
“অর্নব ইরার মুখের খাবার মুছে দিয়ে সরে এসে বললোঃ
—“এবার ঠিক আছে…
“অর্নবের কথা শুনে ইরা তার মুখে হাত দিয়ে হাল্কা হেঁসে বললোঃ
—“থ্যাংক ইউ!’…
_____
“অবশেষে ডিনার সেরে রেস্টুরেন্টের বিল মিটিয়ে বাহিরে বেরিয়ে আসলো অর্নব আর ইরা!’তারপর দুজনেই বসে পড়ে গাড়িতে!’তখন প্রায় রাত সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে!’….
“রাতের জোৎসা ভরা আলোর পথ পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অর্নব আর ইরা!’রাতের আকাশে তখন তাঁরারা জ্বল জ্বল করছে খুব!’ইরা আনমনেই গাড়ির জানালা খুলে বাহিরে তাকিয়ে আছে!’আজ যেন আকাশটা একটু বেশি সুন্দর লাগছে!’এরই মাঝে এক দমকা হাওয়া এসে নাড়িয়ে দিয়ে গেল ইরাকে!’ইরা চোখ বন্ধ করে ফিল করলো রাতের এই ফুড়ফুড়ে বাতাসকে,বেশ ভালো লাগছে তার…
“আধ ঘন্টা পর….
“ইরাদের বাসার সামনে এসে গাড়ি থামালো অর্নব!’ইরাও বাড়ি চলে আসায় হাওয়াই মিঠাইটা গাড়ির সামনে থেকে নিয়ে বেরিয়ে যায় গাড়ি থেকে!’তারপর খুশিমনে বলে সেঃ
—“থ্যাংক ইউ সো মাচ স্যার এন্ড বাই!’…
“ইরার কথা শুনে অর্নবও বলেঃ
—“ওয়েলকাম এন্ড বাই সি ইউ টুমরো…
—“ওকে স্যার এন্ড এগেইন থ্যাংকস ফর ডিনার…
—“সেইম টু,,গুড নাইট…
—“হুম,গুড নাইট স্যার,হেভ এ নাইস ড্রিম…
“উওরে হাসে অর্নব!’অর্নবের হাসি দেখে আর কিছু বলে না ইরা!’চলে যায় সে বাড়ির ভিতরে…
“অর্নবও ইরার যাওয়ার পানে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে চলে যায় তার নিজের গন্তব্যের দিকে….
_____
“কলিং বেল বাজাতেই মা এসে দরজা খুলে দিলো!’দরজা খুলতেই ইরাকে দেখে বললোঃ
—“আজ এতো দেরি…
—“ওই অফিসের বসের সাথে ডিনারে গিয়েছিলাম!’রায়হান ঘুমিয়ে পড়েছে..
—“হুম তা কখন ঘুমিয়েছে…
—“ওহ এটা ওর জন্য…
“বলেই হাওয়াই মিঠাইটা এগিয়ে এগিয়ে দিল ইরা তার মায়ের কাছে!’ইরাও মাও নিলো!’ইরা তার নিজের রুমের দিকে যেতে যেতে বললোঃ
—“আমি এখন ঘুমাবো মা,তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো খেয়েছো…
—“না মানে,তুই আসিস নি..
—“কি মা কতবার বলেছি আমার লেট হলে অপেক্ষা করবে না খেয়ে নিবে,আচ্ছা তাড়াতাড়ি খেয়ে নেও…
“এতটুকু বলে চলে যায় ইরার নিজের রুমের দিকে!’
.
.
“হাল্কা ফ্রেশ হয়ে নিজের বিছানায় উববুর হয়ে শুয়ে আছে ইরা!’কেন যেন তার খুব ভালো লাগছে!’সাথে মনের মাঝে এক অজানা অনুভূতি ফিল হচ্ছে!’হুট করে এমন কেন লাগছে বুঝতে পারছে না ইরা!’হাল্কা হেঁসে ইরা সোজা হয়ে শুলো!’তারপর কাঁথা জড়িয়েই চোখ বন্ধ করে পাড়ি জমালো ঘুমের রাজ্যে….
“পরেরদিন অফিসে….
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…..
[
