হঠাৎ হাওয়া, পর্ব:৯+১০

#হঠাৎ_হাওয়া (৯)
রুমে আসার পর থেকেই মায়া বেঘোরে ঘুমুচ্ছে বিকেল পর্যন্ত সবাই ওদের বাসাতেই ছিলো হিমালয় শুধু ওর বাবার সাথে সন্ধ্যা পর্যন্ত কথা বলে তারপর উঠেছে।তনয় মায়ার বাবাকে কিচ্ছুই জানায়নি,ট্রেনেই হিমালয়ের তা সন্দেহ হয়েছিল, হিমালয় কোনোভাবে এক ফাকে ছবি তোলার নাম করে মায়ার ফোন নিয়ে সেখান থেকে ওর বাবার নম্বর নিয়ে সবটা জানিয়েছে, আর ও যে রাতেই ফোন খোলা রাখে সেটাও হিমালয়ই জানিয়েছে।মায়া এখনো সেসব কিচ্ছু জানে না ওর ওসব বিষয়ে কথা বলার কোনো আগ্রহও নেই আসার পর থেকে ও যথেষ্ট স্বাভাবিক ব্যাবহার করেছে। রাত ১০ টা নাগাদ মায়ার ফোনে একটা কল আসলো,ঘুমের ঘোরেই মায়া রিসিভ করলো,ঘুমঘুম ভাব নিয়ে মায়া বললো,
—হ্যালো কে?
—আমি দিহান
—পরে কথা বলব, আমি ঘুমাই।
বলেই মায়া ফোন কেটে দিলো।কিছুক্ষণ পর আবার কল আসলো মায়া রিসিভ করে বলল,
—দিহান প্লিজ আমি এখন ঘুমাই পরে আমি তোমাকে ব্যাক করব।
—আমি হিমালয়।
—ওইতো দিহানের জায়গায় হিমালয় লাগিয়ে বুঝে নিন,আমি ঘুমাবো প্লিজ।
মায়া ফোন না কেটে আবার ঘুমিয়ে পড়লো। হিমালয় মায়ার ভারী নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে বুঝে ফেললো মায়া ঘুমিয়েই পড়েছে।হিমালয় একটু হাসলো। তারপর কল কেটে আবার ব্যাক করলো। মায়া ন্যাকা কান্নার সুরে এবার বলল,
—কি ভাই আপনার সমস্যা কি?আমি ঘুমাইতে চাই বাংলা বোঝেন না?
হিমালয় ধমক দিয়ে বলল,
—হোপ! বলছি না ন্যাকা কান্না কাদবে না ওঠো অনেক ঘুম হয়েছে।
—মহারাজ!
মায়া অবাক হয়ে উঠে বসলো স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখলো তারপর আবার ফোন কানে নিয়ে বলল,
—আপনি আমার ফোন নম্বর কই পেলেন!
—কেন তুমি কি সুপারস্টার নাকি যে ফোন নম্বর পাওয়া যাবে না
—না তা নয় কিন্তু আপনি!
—ওঠো দুপুরে খাওনি এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে আমায় কল ব্যাক করো।
—এখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে খাবার দেওয়ার কেউ নেই
—তোমাকে খাবার দিতে হবে তারপর খাবে?
—হ্যা!
হিমালয় ফোন কেটে দিলো মায়া কিছুই বুঝলো না কি হলো। ও বালিশের ওপর উপর হয়ে শুয়ে চোখ বুজে রইলো। কিছুক্ষণ পর আবার রিংটোন বাজতে শুরু করলো ওপাশ থেকে কেউ বললো
—মেইন গেইট খোলো আমি বাইরে।
মায়া কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে দৌড়ে বের হলো।ও কল করলেই দারোয়ান কাকা গেট খুলে দিতো কিন্ত সেসব ওর মাথায় নেই ও গেটের সামনে গিয়ে গেইট খুলে দেখলো হিমালয়, মায়া চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো হিমালয় দ্রুত হেটে গেটের ভেতর ঢুকে পড়লো, মায়া গেট ধরেই দাঁড়িয়ে রইলো, হিমালয় কিছুদূর গিয়ে আবার মায়ার কাছে এসে ওর কবজি ধরে টেনে ভেতরের দিকে নিয়ে গেলো।ডাইনিং রুমে দাঁড়িয়ে মায়াকে বললো
—আলো জ্বালাও।
মায়া ধীর পায়ে হেটে আলো জ্বেলে সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলো পেছনে ফিরলো না ওর মনে হলো পিছনে ফিরলেই দেখবে হিমালয় নেই সবটা এতক্ষণ স্বপ্নই ছিলো মায়া জড়তা নিয়ে পেছনে ফিরে দেখলো সত্যি সেখানে হিমালয় নেই।হিমালয় রান্নাঘরে ফ্রিজ হাতাচ্ছে,খাবার বের করে ওভেনে ঢুকিয়ে মায়ার সামনে এসে দাড়ালো,এলোমেলো চুল অগোছালো জামাকাপড়ে মায়াকে দেখে হিমালয় মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো, ভাবলেশহীন ভাবে মুখ ফিরিয়ে যেতে যেতে বললো,
—তোমাকে খুব ন্যাচারাল লাগছে। ইউ আর লুকিং প্রিটি
মায়া কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে হিমালয়ের পিছু পিছু গেলো।নিজের স্বকীয়তায় ফিরে এসে কোমরে হাত রেখে বললো,
—আপনি এত রাতে এখানে কিভাবে!
—এই ধরো প্রথমে বাসা থেকে হেটে নিচে নামলাম তারপর গাড়ীতে উঠে তোমদের বাসার সামনে আসলাম তারপর হেটে তোমাদের বাড়ির ভেতরে।
মায়া দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো
—আমি সেটা জানতে চাই নি।
হিমালয় প্লেটে খাবার বাড়তে বাড়তে মায়ার দিকে তাকালো ওর একটা কল আসতেই কপাল কুচকে পকেট থেকে ফোন বের করে কানে ধরলো,
—হ্যা কথা বল এত রাতে কোনো দরকার?
—হ্যা,
—যদি খুব ইম্পর্টেন্ট না হয় তাহলে কি কাল সকালে সাক্ষাতে বলবি? আমি একটু ব্যাস্ত আছি
—এত রাতে তুই কিসের ব্যাস্ত?
—আমি একটু বাইরে
—এত রাতে বাইরে কি করিস?
হিমালয় সরাসরি মায়ার চোখের দিকে তাকালো মায়া সেই চোখে চোখ পড়তেই ওর বুক ধক করে উঠলো,
—চাঁদ দেখি।আমি রাখছি।
হিমালয় ফোন কেটে পকেটে রেখে, মায়াকে বললো,
—টেবিলে গিয়ে বসো।

হিমালয় মায়ার মুখে খাবার তুলে দিতে দিতে বললো,
—মায়া আমি খুব একটা আবেগী নই। তোমার মত তো নয়ই।আমি কারো প্রতি দুর্বল নই শুধু একজন বাদে, আমি আমার মা কে খুব ভালোবাসি আমার বাবা খুব ব্যাক্তিত্ববোধ সম্পন্ন একজন মানুষ আমার আইডল মা সম্পূর্ণ তার বিপরীত অনেকটা বোকাসোকা ইমোশনাল ব্লাকমেইল করতে ওস্তাদ, ছোটবেলা থেকে খুব ইচ্ছে ছিলো ডিফেন্সে জব করব মা চাইলো আমি ডাক্তার হই আমি ডাক্তার হলাম, এই যে সবাই মিলে ঘুরতে যাবো সবার প্লান ছিল দেশের বাইরে যাবো শুধু মা বললো আমাকে সে কিছুতেই দেশের বাইরে যেতে দেবেন না আমি সিলেট চলে গেলাম সবাইকে রাজি করে।

মায়া হিমালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে একবারো চোখ সরিয়ে নিচ্ছে না, মনোযোগ দিয়ে হিমালয়ের কথা শুনছে,
—তুমি কি শুনছো মায়া?
—হু
—আমি খুব বেশি প্রশংসা করতে পারি না।তুমি খুব উৎফুল্ল একটা মেয়ে, খুব চঞ্চল, তবে তোমার মধ্যে মমতা আছে তুমি তোমার আশেপাশের মানুষগুলো নিয়ে ভালো থাকতে জানো।আমি যে তোমাকে ছাড়া বাচব না এমন না তবে আমার তোমাকে দরকার। আমি তোমার মত মেয়ে দ্বিতীয়টা খুজে পাবো না।ওতো ভনিতা আমি করতে পারবো না আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই
—বলুন
—আমি কি সারাজীবন তোমাকে এভাবে খাবার গরম করে খাওয়াতে পারি?বিয়ে করবে আমায়?
মায়া খাবার মুখে নিয়ে বসে আছে চিবুচ্ছে না।শুধু মুখে নিয়েই যাচ্ছে।চোখ বড়বড় করে মুখ ভর্তি খাবার নিয়ে বসে আছে।হিমালয় হেসে ফেললো।হাত ধুয়ে, মুছে, মায়ার হাতে পানি ধরিয়ে দিয়ে উঠে দাড়িয়ে বললো,
—এখন কিছুই বলতে হবে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো,তোমার তো ঘুম এসেছে তাই না?
হিমালয় ঠোঁট বাকিয়ে হেসে পকেটে হাত ঢুকিয়ে চলে গেলো।ও খুব জানে মায়া আর ঘুমাতে পারবে না।মায়া হিমালয়ের চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে।মুখভর্তি খাবার হিমালয় একবার পেছনে ফিরে মায়ার মুখের দিকে তাকালো ওর খুব হাসি পেলো ও দ্রুত বেরিয়ে গেলো।

চলবে…
সামিয়া খান মায়া

#হঠাৎ_হাওয়া (১০)

হিমালয়ের হসপিটালের বাইরে মায়া দাঁড়িয়ে আছে…ওর সাথে আছে দিহান আর ধ্রুব কাল রাতের সব কথা ওদের জানিয়েই এখানে নিয়ে এসেছে,সব কথা শুনে দিহান একগাল হেসে বলল,
—হিমালয় তো খুব এডভান্স আমাকে একটা চান্স ও নিতে দিলো না!
ওরা তিনজনই হেসে ফেললো,ধ্রুব মায়াকে বলল,
—এবার বলো তোমার প্লান টা কি?
সেটা ভেতরে গেলেই দেখতে পাবে তুমি শুধু একটু কষ্ট করে সবাইকে ডেকে এক জায়গা করবে আর মহারাজ কে বলবে না আমি এসেছি।ধ্রুব মাথা নাড়িয়ে বলল
—যো হুকুম মহারানী

হসপিটালের প্রায় সব ডাক্তার নার্স স্টাফদের একজায়গায় দেখে হিমালয় একটু ভ্রু কুচকে তাকালো, পাশেই পুষ্পকে বললো
—কি ব্যাপার বলতো হয়েছে টা কি?
—বুঝতে পারছি না,তুই বেরোচ্ছিস নাকি?
এপ্রোন খুলে হাতে নিতে নিতে হিমালয় বললো
—হ্যা রে কাজেম আঙ্কেল কে একটু দেখতে যাবো
—কথার আব্বু? কেন অসুস্থ নাকি?
পাশে আবির আর নিরব আসতে আসতে বললো
—কথা আর ধ্রুব কে তো দেখছি না
হিমালয় বলল,
—কথা দুপুরেই চলে গেছে কাজেম আঙ্কেল একটু অসুস্থ, বাবাও সকালে শুনলাম যাবেন দেখতে বলছিলো।আর ধ্রুবই তো দেখছি সবাইকে ডেকে ডেকে আনছে।
সবাই একজায়গায় আসতেই ধ্রুবও এসে দাড়ালো।হিমালয় ধ্রুবকে ডেকে বললো
—কি হইছে তোর বিয়ে করবি নাকি?
—হ, কার্ড ছাপানোর টাকা নাই তাই সবাইকে এভাবে ইনভাইট করব।

ভীড় ঠেলে মায়া এসে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে চেচিয়ে বলল,
—এটেনশন প্লিজ…
হিমালয় মায়াকে দেখে যেন আকাশ থেকে পড়লো, সারাদিন ও মায়াকে কল করেনি ও ভেবেছিলো হয়তো মায়াই ওকে কল করে দেখা করার কথা বলবে, কিন্তু এই মেয়ে তো ডাইরেক্ট হসপিটালে চলে এসেছে!
মায়া হিমালয়ের সামনে এসে দাঁড়ায় সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে
—আমি সত্যি খুব দুঃখিত আমি জানি আপনারা সবাই খুব ব্যাস্ত সবারই দায়িত্ব আছে আলাদা আলাদা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনো ইনটেনশন আমার নেই আমি যাস্ট দু মিনিট সময় নেব।
মায়া ভ্রু নাচিয়ে হিমালয়ের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়।হিমালয় পুরো ভড়কে যায় এ মেয়ে করবে টা কি!
—মিঃআহমেদ আপনি বাস্তবিক আমি ওতোটা বাস্তবিক নই খুবই আবেগী আহ্লাদী একটা মেয়ে, অনেক কিছু বুঝি না বেশিরভাগ কাজই করি না বুঝে এই ধরুন খুশির ঠ্যালায় ঘোরেতে, বিয়ে থেকে পালিয়ে যাই, গান শুনে প্রেম প্রেম পায়,ঘুমের ঘোরে কথা বলি, খাবার না গুছিয়ে দিলে খেতে পারি না, অল্প কথায় আমি কথা শেষ করতে পারি না তাই বড় করেই বলছি। এই এক ঘর, সরি সরি এক হসপিটাল লোকের সামনে বলছি আমি ভালোবাসি আপনাকে যদি আপনার সাথে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাই আমি আপনাকে ছাড়া থাকতে পারব না একদিনও না কিছুতেই না।আপনাকে না পেলে আমি কাদব,আপনাকে পেলে পাওয়ার খুশিতে আমি কাদব, আমি খুব আকড়ে ধরা টাইপ মানুষ মহারাজ একবার যদি আমি আপনাকে আকড়ে ধরি আমার ভালোবাসার যদি শিকড় গজিয়ে যায় তবে কিন্তু আমি আর সেই শিকড় উপড়ে ফেলে বাচতে পারব না।আপনি ডাক্তার হতে পারেন তবে মনে রাখবেন আমার শরীরের থেকে বেশি অসুখ হয় মনে, হুটহাট আমার মন খারাপ হয় অকারণে আমার খুব রাগ হয় অযথাই আমি রেগে যাই তখন কিন্তু আপনার পেসক্রাইব করা ওষুধে আমার রোগ সারবে না, খুব অসুখ করলে আমায় কিন্তু খসখস করে কাগজে কলমে লিখে ওষুধ দিতে পারবেন না ভালোবাসা দিতে হবে পারবেন?সবার সামনে বকতেও পারবেন না।
মায়া হিমালয়ের হাত ধরে এক হাটু গেড়ে বসে পড়ে,
—এবার বলুন বিয়ে করবেন আমায়?ভালোবাসবেন আমায়? ভালোবাসার ওষুধ দিয়ে বাচিয়ে রাখবেন আমায়?আমার মনের ডাক্তার হবেন আপনি?

হিমালয় মিটিমিটি করে হাসছে ওর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছে অদ্ভুত ভালোলাগায় ওকে কাবু করে ফেলেছে। বুকের ভেতর চিনচিন একটা ব্যাথা হচ্ছে এই পাগল মেয়ে টা যে ওর সামনে নত হয়ে আছে সারাজীবন ওকে বুকের মধ্যে গেথে রাখতে চায়।
হসপিটালের সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে সবাই অপেক্ষা করছে হিমালয়ের জন্য ও কি বলবে শোনার তীব্র আগ্রহ সবার মধ্যে। নিরব এতক্ষণে টের পেলো পুষ্প ওর পাশে এসে দাঁড়িয়ে শক্ত করে বাহু খামচে দাড়িয়ে আছে।
মায়া উঠে দাড়ালো সবাই আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে মায়া একগাল হেসে বললো,
—এখনই কিছু বলতে হবে না, আপনি বরং ভাবুন ভেবে আমায় জানাবেন। আমি আসছি,
মায়া পা বাড়িয়ে চলে যেতে চাইলেই হিমালয়ের অন্য ছেলে কলিগরা বলে উঠলো
—না!
হিমালয় অবাক হয়ে তাকালো,তাদের মধ্যে একজন বলে উঠলো
—ডক্টর আহমেদ আপনি কোনো ভাবাভাবির সময় পাবেন না এখুনি আপনি যদি ম্যাডামকে জবাব না দেন তাহলে কিন্তু এই ম্যাডামের বাসায় আমি বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো
দিহান বলে উঠলো
—এহ আমি সিরিয়ালে আগে আছি
ধ্রুব দিহানের দিকে তাকিয়ে বললো
—এহ তুমি কি আমার আগে আছো নাকি!?
সবাই হেসে ফেললো।
হিমালয়ও হেসে মায়াকে হাতধরে টেনে একদম কাছাকাছি নিয়ে এসে বললো
—তোমাকে তো ছেড়ে দেওয়া হেব্বি রিস্ক হবে কি করি বলো তো
—ধরে থাকুন,
হিমালয় মায়ার কপালে চুমু খেয়ে বললো
—এই ধরলাম আর কখনোই ছাড়বো না

সবাই হাতে তালি দিলো,হিমালয় মায়াকে বুকের মধ্যে মিশিয়ে নিলো,মায়ার শরীর অবশ হয়ে এলো।
—মায়া,এই মায়া?শুনতে পাচ্ছো?
পুষ্প এগিয়ে এসে বললো
—কি হয়েছে!?
হিমালয় হেসে ফেললো,
—সেন্সলেস হয়ে গেছে।
বলেই হিমালয় মায়াকে কোলে তুলে নিলো।

চলবে….
সামিয়া খান মায়া’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here