হলুদ খাম, পর্ব:১২

#হলুদ_খাম
লেখিকাঃ #তানজীমা_ইসলাম

_____________________[১২]__________________

তনু আবারও সায়নের দিকে তাকালো। তার চোখে একরাশ বিস্ময়! সায়ন তার বিস্ময় কাটাতে বলল,

” এই যে বড় আপুদের দেখছিস, এরা যমজ বোন আর আমার স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড।

তনু এবার বেশ লজ্জায় পড়ে গেছে। মেয়ে গুলোকে সে কি না কি ভেবেছিলো। এখন নিজের ওপরই ভীষণ রাগ হচ্ছে তার। মেয়ে গুলো কি ভাবছে কে জানে। এরমধ্যেই মেয়ে দুটোর একজন বলল,

” আচ্ছা ভাবি! তুমি এবার কোন ক্লাসে পড়ো!?

তনু হালকা গাল ফুলিয়ে বলল, ” এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে।

__________________________________

আজ খয়েরী রঙের কারুকার্যময় লেহেঙ্গা পরেছে রুশা। চুলে দেওয়া ঝাপটা থেকে শুরু করে কোমরে বিছা পর্যন্ত যতরকমের অর্নামেন্টস আছে সব পরেছে সে। বেশি মেকাপের কারণে তার মুখটাও ঠিকমতো চেনা যাচ্ছেনা।বৌভাতে আসা গেস্টদের মধ্যে পরিচিতরাও রুশাকে চিনতে পারছেনা। আর অপরিচিতদের অনেকেই ভাবছে,”

” কি ব্যাপার! নতুন বউ স্টেজে না বসে এভাবে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন!!?

কিন্ত সেসব নিয়ে রুশার কোনো মাথাব্যথা নেই। এমনিতেও সে “লোকে কি বলল” টাইপ কথাবার্তা খুব একটা গায়ে মাখে না। সে টুকটুক করে সামনের টেবিলটার দিকে এগিয়ে চলেছে। ওখানে মেয়ে পক্ষরা খেতে বসেছে। রাইসার সাথে ছবি তুলতে তুলতে রুশা খাওয়ার কথাই ভুলে গেছিলো। দু’হাতে ধরে ভারী লেহেঙ্গাটা সামলাতে সামলাতে তনুকে ডেকে উঠল,

” এই তনু! একটু সরে বস না। আমি বসবো।

তনু মাত্রই খেতে বসেছে। অমনি কোত্থেকে রুশা এসে বলছে তাকে অন্য চেয়ারে গিয়ে বসতে। তনু বিরক্তি মাখা চোখে একবার রুশার দিকে তাকালো। রুশাকে এমন সাজে হিন্দি সিরিয়ালের কোনো এক হিরোইনের মতো লাগছে।

তনুর ঠিক মনে পড়ছে না কার মতো লাগছে। মনে না পড়াই স্বাভাবিক। প্রায় তিন বছর আগে যখন তার ফোন ছিলো না তখন মাঝেমধ্যে দুয়েকটা সিরিয়াল দেখা পড়তো। রুশাকে দেখে এখন সেই সিরিয়ালেরই কোনো একটা ক্যারেক্টরকে মনে পড়ছে। তনু আর মনে করার সময় পেলো না। তার আগেই রুশার চাপা স্বরে ডাক শুনতে পেলো,

” তনু! তুই কি সরবি!? ক্ষিদেয় আমার পেটের নাড়িভুড়ি দলা পাকিয়ে যাচ্ছে।

নাড়িভুঁড়ি দলা পাকিয়ে যাচ্ছে শুনে তনু নাক কোচকালো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখল, এই টেবিলে আর একটাও চেয়ার খালি নেই। এখন এটাকে সে কোথায় বসাবে!? শেষে এর নাড়িভুঁড়ি দলা পাকিয়ে মুখ দিয়ে বেরিয়ে না আসে!

তনু চেয়ার ছেড়ে উঠে অন্য টেবিল গুলোতে চোখ বুলালো। ওপাশে কর্ণারের টেবিলটায় পরপর তিনটা চেয়ার ফাকা আছে। তনু সেদিকে যেতে যেতে রুশাকে বলল,

” রুশা! আমার সাথে আয়।

রুশা বুঝতে পারছেনা তনু আবার ওদিকে যাচ্ছে কি করতে। তনু পেছন ফিরে আবার ডাকতেই রুশা তার পিছুপিছু চলল। রুশাকে একেবারে কর্ণারে বসতে দিয়ে তনু মাঝের চেয়ারটায় বসল। এপাশের একটা চেয়ার ফাকা।

রুশা সামনে তাকিয়ে দেখল, এই টেবিলে কনে পক্ষের কেউ নেই। দুয়েকজনকে দেখে চিনতে পারল, তারা রাইসার শ্বশুরবাড়ির লোক। রুশা কিছুটা ইতস্ততভাবে তনুকে ডেকে বলল,

” তনু! আমরা অন্য টেবিলে চলে এসেছি।

তনুর হাতের মুঠোয় থাকা মুখ মোছা টিস্যুটা টুপ করে পড়ে গেলো। ঠিক পড়ে গেলো নাকি তনু ফেলে দিলো বোঝা যাচ্ছে না। সে অবাক হয়ে বলল,

” আর সেটা তুই এতক্ষণ পরে বুঝলি রুশা!?

রুশা দ্বিগুন অবাক হয়ে বলল,” তার মানে তুই আগেই খেয়াল করেছিস যে, এই টেবিলে বর পক্ষ বসেছে!?

“এই টেবিলে বর পক্ষ বসেছে” শুনে তনু দ্রুত ঘাড় ঘুরিয়ে টেবিলের ওপরের মুখ গুলোর দিকে তাকালো। রুশা ঠিকই বলেছে, কিন্ত এখন কি করবে সে!? এখান থেকে উঠে গেলে আপাতত আর কোনো খালি চেয়ার পাবে না শিওর। কিন্ত এতোগুলো অপরিচিত লোকের মাঝে বসেও বা খাবে কিভাবে?
_____________________________
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
স্নেহার পাশে বসেছিলো তনু। সায়ন বসেছিলো তাদের অপজিটের চেয়ারে। এরমধ্যে ছোট চাচা এসে সায়নকে ডাকল। তার সাথে কথা বলতে গিয়ে তনু যে কখন টেবিল ছেড়ে উঠে গেছে সায়ন খেয়াল করেনি। খেতে বসে সামনে তাকিয়ে দেখল তনুর চেয়ারে রাইসার খালাতো ভাই নেহাল বসে আছে! সায়ন কিছু না ভেবেই বলে উঠল,

” নেহাল! তুমি ওখানে কি করছো!? তনু কোথায়!?

সায়নের এমন প্রশ্নে নেহাল বেশ ভড়কে গেল। আশেপাশে তাকিয়ে দেখল, সবাই একবার তার দিকে তাকাচ্ছে আবার সায়নের দিকে তাকাচ্ছে। নেহাল কিছুটা ইতস্ততভাবে বলল,

” ভাই! আমি তো এখানে খেতে বসেছি। তনু কোথায় তা তো জানি না।

সায়ন আশেপাশে তাকিয়ে বুঝতে পেরেছে সবার মাঝে তার এভাবে বলাটা উচিৎ হয়নি। এখন কে কি ভাবছে কে জানে। কিন্ত কথা সেটা না, কথা হচ্ছে তনু কোথায়? রাবেয়া এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল,

” আরে ঐ তো তনু। ওপাশের টেবিলে বসেছে।

সায়ন সাথেসাথে ঘাড় ঘুরিয়ে সেদিকে তাকালো। তনু আর রুশা বসে আছে। কিন্ত ওপাশে তো বর পক্ষ বসেছে! সায়ন একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল,

” পাগল-ছাগল দুইটা!

_______________________________

রুশা খাচ্ছে কম ঠোঁট মুছছে বেশি। যতবার ঝোল লেগে যাচ্ছে সে ততবার টিস্যু দিয়ে মুছে চলেছে। তনু তার কাজকারবার দেখে বলল,

” তুই এক কাজ কর বুঝলি! ভালো করে ডলে লিপস্টিক তুলে ফ্যাল। খেয়ে উঠে আবার মাখিস।

” আমি কি সাথে করে লিপস্টিক নিয়ে ঘুরে বেড়াই! যে মুছে গেলে আবার মাখবো!?

” টিস্যু দিয়ে মুছতে মুছতে তো এমনিতেও ঠোঁটে কিছু রাখিসনি!

রুশা সাথেসাথে খাওয়া থামিয়ে বলল,” মানে কি!? ঠোঁটে লিপস্টিক নেই!?

তনু কিছু বলার আগেই রুশা তার পার্স থেকে ছোট্ট একটা গোল মিরর আর লিপস্টিক বের করে ঠোঁটে দিতে লাগল! রুশার এমন কান্ডে তনু একটুও অবাক হয়নি। কারণ, রুশা যে মেকাপ অ্যাডিক্টেড সেটা তনুর অজানা নয়।

খেতে খেতে একটা পুরুষ কন্ঠঃ পেয়ে তনু ওপরে তাকালো। সেই ছেলেটা! স্টেজ থেকে নামার সময় তনু যার সাথে ধাক্কা খেয়েছিলো। এ ব্যাটা আবার এখানে!! তনুকে ফলো করছে না তো!! তনুর ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে ছেলেটা তার পাশের ফাকা চেয়ারটায় বসতে বসতে বলল,

” আরে বেয়াইন! আপনি এখানে!!?

তনুর সন্দেহ এবার বেশ গাঢ় হয়ে এলো। এ ছেলে তার পিছু নিয়েছে! মনেমনে বিড়বিড়িয়ে বলল,

” কি ছ্যাচড়া ছেলেরে বাবা!! বাংলা সিনেমার মতো ধাক্কা খেয়ে মনে লাড্ডু ফুটেছে দেখছি!!!

কিন্ত মুখে বলল, ” তো কোথায় থাকবো ভেবেছিলেন!? আপনার মাথায়!?

তনু কথাটা বলার পর মনে হল, হুট করেই আশপাশটা কেমন যেন নিরব হয়ে গেছে। তনু আস্তে আস্তে সামনে তাকিয়ে দেখল, টেবিলের চারপাশে গোল করে বসে থাকা সেই অপরিচিত মানুষ গুলো অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।

তনু একটা শুকনো ঢোক গিলে হাসার চেষ্টা করছে। কিন্ত লজ্জায় তার ফ্যাকাসে হয়ে ওঠা মুখে হাসিটা বড্ড বেমানান লাগছে দেখতে। ছেলেটা একটা গলা খাঁকারি দিয়ে স্মিত হেসে বলল,

” উনি রাইসা ভাবির ফুপাতো বোন। খুব দুষ্টু স্বভাবের।

তনু কিছু বলছে না। এদিকে তার প্লেটের খাবারগুলোও শেষ হচ্ছে না যে, তাড়াতাড়ি খেয়ে উঠে যাবে। অপরিচিত মুখ গুলোর মধ্যে একজন বলে উঠল,

” নাম কি তোমার!?

প্রশ্নটা তনুকে করা হয়েছে, কিন্ত তনুর সেদিকে হুস নেই। সে খাবার চিবিয়ে খাওয়ার বদলে পানি দিয়ে গিলে গিলে খাচ্ছে। রুশা কনুই দিয়ে তনুকে খোচা মেরে বলল,

” তনু! আন্টি তোকে ডাকছে!!

তনু খাওয়া থামিয়ে একবার রুশার দিকে তাকিয়ে আবার সামনে তাকালো। মহিলাটি আবার বলল,

” তোমার নাম কি?

” ত’তনু!

” তত্তনু!!?

” না, তনু।

” ও আচ্ছা। ভারি মিষ্টি নাম তোমার। আমি রাইসার চাচি শ্বাশুড়ি।

” ও আচ্ছা।

তনুর পাশে বসে থাকা ছেলেটাকে দেখিয়ে বলল, ” আর ও আমার ছেলে। ওকে আগে থেকে চেনো নিশ্চয়ই!?

তনু দ্রুত মাথা নাড়িয়ে না জানালো, মানে সে চেনেনা। কিন্ত মহিলার কাছে সেটা বিশ্বাস হল না। সে তার ছেলের দিকে তাকিয়ে স্মিত হেসে বলল,

” প্রিয়ম! তোর বেয়াইনের প্লেটে আরও মাংস তুলে দে। মেয়েটা তো কিছুই খাচ্ছে না।

রুশা এসব দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। তনু ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে না পারলেও আচ করেছে। আর সেটা যদি সত্যি হয় তো এই মা ছেলেকে সে বিনা টিকিটে প্যারালাল ইউনিভার্সে পাঠিয়ে দেবে।

______________________________

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ঘড়িতে সন্ধ্যা সাতটা বাজে, বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে কিছুক্ষণ আগেই রুশা’দের বাসায় ফিরেছে সবাই। তনু ফ্রেশ হয়ে একটা ঠান্ডা তেল নিয়ে রাইসার রুমের দিকে যাচ্ছে। এই কদিনে মানুষ জনের হট্টগোলের মাঝে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেনি সে। মাথাটা ভীষণ ব্যাথা করছে। মায়ের কাছ থেকে মাথায় তেল দিয়ে একটা ঘুম দেবে সে।

রাইসার ঘরে এসে ঢুকতেই দেখল, বেডের পাশের সিংগেল সোফায় চুপচাপ বসে আছে সায়ন ভাইয়া। তার চোখমুখ একদম অন্ধকার হয়ে আছে। যেন তার ওপর দিয়ে কোনো ঝড় বয়ে গেছে। তনু দ্রুত পায়ে ঘরে ঢুকে বলল,

” কি হয়েছে!?

সায়নের পাশে দাড়িয়েছিলো স্নেহা, তনুর গলা পেয়ে পেছনে ফিরল সে। সাথেসাথে সায়নও তাকালো তনুর দিকে। মুখ তুলে তাকাতেই সায়নের রক্তলাল চোখ জোড়া দেখে তনুর বুকের ভেতরটা ধ্বক করে উঠল! তার চেহারায় একই সাথে চরম হতাশা আর ভয়ংকর রাগ দেখতে পেলো তনু!! স্নেহা ধরা গলায় বলল,

” তনু তুই এখন যা।

স্নেহার কথা তনুর কানে গেলো কি না কে জানে। তনু এক দৃষ্টিতে সায়নের দিকে তাকিয়ে আছে। তার গলাটাও কেমন যেন ধরে আসছে। অনেক কষ্টে সে ডেকে উঠল,

” সা’য়’ন ভা’ই’য়া!

সাথেসাথেই সায়নের ভয়ংকর রাগ তনুর ওপর উপচে পড়ল,” তোর কি কথা কানে যায় না!? আপু কি বলল শুনিস নি!?

স্নেহা ভাইকে ধমক দিয়ে উঠল, ” সায়ন!!

সায়ন হাত মুষ্টি বদ্ধ করে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তনু বুঝতে পারছেনা এমন কি হয়েছে যে তার সায়ন তার সাথে এমন আচরণ করছে! তবে তার মন বলছে সায়নেরও খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্ত সায়নের রাগ দেখে আর কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা তনু।

সায়ন মাথা ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে শুধু এদিক ওদিক করছে। বেশ কিছুক্ষণ পর নিজেকে শান্ত করে সায়ন বলল,

” আপু তুই যা। আমি তনুর সাথে কথা বলবো।

” সায়ন!

স্নেহার চোখেমুখে স্পষ্ট ভয় দেখা যাচ্ছে। সায়ন তাকে আশ্বাস দিয়ে বলল,

” চিন্তা করিস না, যা।

স্নেহা ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে গিয়ে একবার তনুর দিকে তাকালো। স্নেহার চোখের চাহনি আজ তনুর কাছে বেশ অদ্ভুত লাগছে। সেই চাহনির অর্থ জানেনা সে। স্নেহা বেরিয়ে যেতেই সায়ন দরজাটা লক করে দিল।

তনু এখনও স্থির দাঁড়িয়ে আছে। সায়ন তাকে কি বলবে কে জানে! সায়ন একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। তনুর দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,

” আমি তোর সাথে এই রিলেশনশিপ আর কন্টিনিউ করতে চাইনা।

মুহুর্তেই তনুর শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো। এসব কি বলছে সায়ন! আর কেনই বা বলছে!? তনু কাপা কাপা গলায় বলল,

” কিন্ত কেন?

” তনু আমি খুব খারাপ ছেলে। তুই ছাড়াও ভার্সিটিতে আমার আরও গার্লফ্রেন্ড আছে।

” আপনি মজা করছেন তাই না?

” হুম, তোর সাথে মজা করা শেষ। এবার অন্য কাউকে নিয়ে মজা করবো আরও অনেক কিছু করবো।

” কিন্ত আপনি তো আমার সাথে কিছুই করেননি!

” তো তুই কি চাইছিস, তোর সাথে সব করে ফেলি!

” আপনি মিথ্যে বলছেন!

তনুর চোখ জোড়া নোনাজলে ভরে উঠেছে। সায়ন রেগেমেগে বলল,” একদম কাদবি না বলে দিলাম। নাহলে তোর সাথে সব করে সবাইকে বলে দেবো।

” আমি জানি বিয়ের আগে আপনি আমার সাথে এমন কিছুই করবেন না। তাও যদি সবাইকে মিথ্যে বলে বেড়াতে চান, তো বলুন। কিন্ত আমাকে ছেড়ে যাবেন না!

সায়ন আর নিজেকে সামলাতে পারছেনা, ভীষণ অসহায় মনে হচ্ছে তার। নিজের সব রাগ নিয়ে তনুকে হ্যাচকা টান মেরে নিজের কাছে এনে বলল,

” আমাকে ভুলে যা তনু! নাহলে আমি তোকে খুন করে ফেলবো।

তনুর চোখে বাধ ভেঙেছে, নোনাজলে মাখামাখি হয়ে যাচ্ছে তার আকুতিভরা মুখটা। সায়ন এক ঝটকায় তনুকে সরিয়ে দিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেল।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
[চলবে]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here