হৃদয়ের প্রতিশ্রুতি পর্ব ২২+২৩

🌸#হৃদয়ের_প্রতিশ্রুতি🌸

#লেখিকাঃআদিলা
#পর্ব_২২_২৩
_________________________🌸🌸
আমির একহাতে ব্লেজার অন্য হাত দিয়ে শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে নিছে নামচ্ছে। হল রুমে যেয়ে আমিরের মাথায় রাগ যেন চর চর করে চটে উঠেছে।ডাইনিং টেবিলে জাবির আরুশি বসে ছিল। জাফরা ভাবি আমিরকে দেখে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।দেখে বোঝা যাচ্ছে জাফরা ভাবি অনেকটা বিরক্ত। তাদের সবার মুখে বিরক্তির ছাপ। ইয়ামিনা এতক্ষনে নিচে এসে পড়েছে।

আমির চুপচাপ ইশিতার সামনে দাড়ায়৷ নিচের দিকে তাকিয়ে শার্টের হাতা ঠিক করতে করতে বেশ গম্ভীর গলায় বলে….

__মনে হয় সেদিনের ডোজটা কম পড়েছে। তাই আবার চলে এসেছো। তোমাকে ঢোকার পারমিশন কে দিয়েছে।
____তোমার বাসায় আসার জন্য এখন আমার পারমিশন নিয়া লাগবে৷ কেন এমন করছো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমির। প্লিজ ট্রাস্ট মি এন্ড কাম বেক।

ইয়ামিনা ইশিতাকে এ বাসায় দেখে কিছুটা অবাক হয়। তারমধ্যে এইভাবে ইশিতার ঢং করে বলা কথাগুলো ইয়ামিনার কেন জানি অসহ্য লাগছে।।এই মেয়েটাকে আমিরের সাথে দেখলে অসহ্য লাগে। ইয়ামিনার রাগে দুঃখে চোখে পানি চলে এসেছে।। সোফার পিছন দাড়িয়ে সোফার কোনা থেকে টেনে টেনে সুতো ছিড়চ্ছে আর আমির আর ইশিতার দিকে তাকিয়ে আছে।।

______বলা শেষ। এখন আসতে পারো। যদি সামান্য লজ্জাটুকু বেচে থাকে তাহলে এ বাসায় আর আসবে না।
_______আমির প্লিজ আমির আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি আমার ভুল হয়ে গেছে একটা ভুলের জন্য আমাকে ক্ষমা করতে পারবে না।।ইশিতা কান্না করতে করতে আমিরের হাতটা ধরতে যেয়ে পারল না। আমিরের দিকে তাকিয়ে ভয়ে হাতটা সড়িয়ে ফেলে।সব সমস্যা ওই মেয়ের জন্য । ওই মেয়ের জন্য তোমার এই অবস্থা । ওই মেয়েকে তুমি বিয়ে করেছো শাস্তি দেওয়ার জন্য হয়েছে ছেড়ে দিচ্ছি না কেন। নাকি ওই মেয়ে তোমাকে নিজের জালে ফাসিয়েছে চরিত্রহী..তার আগেই আমির বেশ জোরে গলায় বলে….

এনাফফফফফফফফফফফ!!
আমিরের চিৎকারে সবাই খাবার অফ করে হল রুমে এসে দাড়ায় কেউ বুঝতে পারচ্ছে না আমিরের এত রাগার কারন।। এমন ধমকে ইশিতা ভয় পেয়ে যায় । ইয়ামিনা শুধু আমিরের দিকে তাকিয়ে আছে।।

____খবরদার ওই মুখ দিয়ে যদি আমার বউয়ের নামে আর একটা বাজে কথা বের হয়। এই মেয়ে এই ভেবেছো কি শরীর দেখিয়ে ভালোবাসা পাওয়া যায় সেটা তোমাদের মত মেয়ের জন্য। নিজের নোংরা মেন্টালিটি চেঞ্জ করো। আমির ইয়ামিনার হাত ধরে ইশিতার সামনে এনে দাড় করায়.ইয়ামিনা শুধু আমিরের দিকে চেয়ে আছে।।আমির একহাত দিয়ে ইয়ামিনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে…. আমার বউকে যায করার সামর্থ্য তোমার এখনও হয়নি।৷অনন্য আমার বউ তুলনা হয়না কারো সাথে আর হবেও না।কান খুলে শুনে রাখো এই আমিরের মন প্রাণ জুড়ে শুধু ইয়ামিনার বিচরন হবে আর কারো না।আমার বউ আগে পবিত্র ছিল এখনো পবিত্র তোমার মত না ছেলেদের শরীর দেখিয়ে বেরায়৷ আজ বলে দিয়েছো নেক্সট টাইম এই আমির কি করতে পারে ভালো করে জানো। জাস্ট গেট লস্ট ইডিয়ট!!!

ইশিতা কিছু বলতে যেয়ে পারলো না আমির দাত চোয়াল শক্ত করে লাল লাল চোখ করে ইশিতার দিকে তাকিয়ে আছে।ইশিতা রাগে ইয়ামিনার দিকে একবার তাকিয়ে চলে যায় সেখান থেকে৷। জাবির জাফরা আরুশি হা হয়ে এতক্ষন দেখছিল।আমির ইশিতাকে এত গুলো কথা শুনিয়ে দিয়েছে তারা ভেবেই পাচ্ছে না।

ইয়ামিনার মনটা খুশিতে ফুরফুর হয়ে গেছে। ওই ইশিতাকে আমির এত কথা শুনিয়েছে একদম ঠিক হয়েছে পচা পেত্নি একটা। । আর আমিও না কি না কি ভেবেছিলাম সেদিন ধুর বলে ইয়ামিনা নিজের মাথায় নিজে হাল্কা করে বারি দেয়।।

কি হলো এখানে দাড়িয়ে থাকবে নাকি ভার্সিটির যাওয়ার ইচ্ছে নেই কোনটা।

আমিরের কথা ইয়মিনার ধ্যান ভাঙে… এই না না যাব তো। চলুন।
আমির একটা হাসি দিয়ে ইয়ামিনার হাত ধরে বেরিয়ে পড়ে৷৷
আমির গাড়ি ড্রাইভ করচ্ছে সামনে তাকিয়ে আর ইয়ামিনা একহাত ধরে রেখেছে। ইয়ামিনা শুধু আমির দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আজ কেন জানি ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে আমিরকে৷

____ মিষ্টিপাখি এভাবে তাকিয়ে থাকলে গাড়ি চালাতে বড্ড দায় হয়ে পড়বে।।
শোনা মাএই ইয়ামিনা দ্রুত চোখ সরিয়ে ফেলে। হাতটা সরাতে নিলে আমির ইয়ামিনার দিকে তাকায় হাসি দিয়ে বলে… এটা থাকুক সরিও না।
ইয়ামিনা কিছু না বলে চুপচাপ হয়ে আছে।
শোনো মিষ্টিপাখি বাহিরে দাড়িয়ে যেন ওইসব হাবিযাবি ফুচকা না খেতে দেখি।
আমিরের কথা শুনে ইয়মিনা চোখ ছোট ছোট করে তাকায়…..আপনি বুঝবেন না ফুচকা খাওয়ার মজা কি আমি ওটা না খেয়ে থাকতে পারবো না।সো আমি ওটা খাবো খাবো খাবোই।

আমির ইয়ামিনার বাচ্চামো জিদ দেখে হেসে দেয়.. আমি সেটা বলিনি মিষ্টিপাখি খেতে ইচ্ছে করলে কিনে নিয়ে খাবে। আমার সাথে যেয়ে খাবে কিন্তু রাস্তার ধারে দাড়িয়ে না বুঝেছো!
ইয়ামিনা শুধু মাথা নাড়ায়।।
ভার্সিটির সামনে গাড়ি থামাতে ইয়ামিনা গাড়ি থেকে নেমে পড়ে।
নিজের খেয়াল রেখো মিষ্টিপাখি। আর কল দিলে রিসিভ করো ফোনটা৷
ইয়ামিনা মাথা নাড়িয়ে মুচকি হেসে চলে যায়।
.
.
.
.
#পর্বঃ২৩
_______________________🌸🌸
ভালোবাসা ভালোবাসা মাই ফুট।। ভালোবাসার কথা বলছেন কোন ভালোবাসা যখন সবথেকে বেশি আমার আপনার প্রয়োজন ছিল তখন তো ঠিকই কাপুরুষের মত আমার হাত ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখন কোথায় ছিল আপনার এই ভালোবাসা। বলুন বলচ্ছেন না৷ কেন। সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে এসেছিলাম আপনার কাছে একটু ভালোবাসার জন্য। মা বাবা ইহান ভাইয়ার কথাও সেদিনা আমি ভাবি নি আমি চলে আসলে তাদের কি হতো। কিন্তু এখন আমি ভালো ভাবেই বুঝেছি তারা যা করেছে ভালোই করেছে৷ আগে তো আপনার জন্য সম্মান টুকু অন্তত ছিল এটা শেষ করবেন না প্লিজ । কিভাবে ভাবলেন আমি আমিরকে ধোকা দিব এতটা নিচ আমি না। সবটুকু দিয়ে যে মানুষটা আমাকে ভালোবেসেছে তাকে ঠোকাতে আমি পারবো না।প্লিজ আমি চাইনা আপনি আমার সামনে আর আসুন আমি ভালো আছি আপনিও আপনার মত ভালো থাকুন দিহানজি!!

ইয়ামিনার মুখে দিহানজি নামটা শুনে দিহান নিজেকে আর আটকে রাখতে পারে নি বসা থেকে উঠে ইয়ামিনাকে জড়িয়ে ধরে। চকিতে ইয়ামিনা কয়েকপা পিছিয়ে পড়ে৷অভ্যাসের কারনে দিহানজি নামটা ইয়ামিনার মুখ থেকে ফসকে বেড়িয়ে গেছে।।

কিছুক্ষন আগে…….🌸🌸

ইয়ামিনা ভার্সিটির ক্লাস মাএ শেষ হয়েছে। বের হয়ে আমিরকে কল দিয়েছে আমির বলেছে দশ পনেরো মিনিট লাগবে আসতে৷ একা একা যেতে একদম নিষেধ করে দিয়েছে। ইয়ামিনা তাই ক্যাম্পাসে বসে আছে আমিরের অপেক্ষায়।রুহি আর রাইসার সাথে বসে কথা বলছিল আর বার বার সময় দেখছে কখন আমির আসবে।।

ইয়ুমনি…

নামটা শুনে চমকে ইয়ামিনা সামনে তাকায়। দিহান দারিয়ে আছে তার সামনে। দিহান এই ভার্সিটি থেকে পাশ করে বেড়িয়েছে। ইয়ামিনা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে উঠে দাড়ায় সাথে ইরা আর রাইসাও।

ইয়মিনা একটু সামনে এগিয়ে বলে.. আপনি এখানে কি জন্য এসেছেন। প্লিজ চলে যান আমির দেখলে আবার রেগে যাবে। আমি চায়না কোনো সিনক্রিয়েট হোন। প্লিজ চলে যান।

দিহানকে দেখে আজ খুব অগোছালো লাগছে। দিহান আহত চোখে ইয়ামিনার দিকে তাকায়….
বিশ্বাস করো আমার ভালোবাসাটা সত্যি ছিল। সেখানে মিথ্যে ছিটেফোটাও ছিল না। আমি তোমাকে আগে যেমন ভালোবাসতাম এখন ঠিক সেরকমই আছে আমার ভালোবাসা একটুকু বদলায়নি ভালোবাসি। প্লিজ আমার সামনে ওই আমিরকে বড় করার চেষ্টা করো না। তুমি ওই আমিরের সাথে সুখি নোও আমি জানি।। আমির তো ভালো হয়ে গেছে তো কেন আছো ওই আমিরের সাথে প্লিজ ইয়ুমনি আমার ভালোবাসায় একবার হ্যা বলে দেখ এবার কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না। মাকে আমি রাজি করিয়েছি। মা আমাকে তখন প্রতিশ্রুত দিয়ে বসে ছিল কি করবো বলো।বলে দিহান মাথা নিচু করে হাটু গেরে বসে পড়ে নিজের অশ্রু গুলোকে বাহিরের মানুষের সামনে জানান দিতে চাচ্ছে না৷

ইয়ামিনার চোখ থেকে পানি টপ টপ করে মাটিতে পড়চ্ছে।।নিজের কামিজ টেনে ধরে যথাসম্ভব নিজেকে শান্ত করে দিহানের দিকে তাকায়…

বর্তমান…..🌸🌸

পুরো ক্যাম্পাসের সামনে দিহান এমনটা করে বসবে ইয়ামিনার ধারনাই ছিল না৷ইয়ামিনা নিজের ধ্যানে আসতে দিহানকে সরাতে নিবে তার আগে….কেউ একজন ঝটকা মেরে দুজনকে আলাদা করে দেয়।
ইয়ামিনা ছাড় পেয়ে সামনে তাকাতে দেখে আমির দাত চোয়াল শক্ত করে দিহানের কলার চেপে ধরেছে।চোখ গুলো অসম্ভব লাল হয়ে আছে৷ ইয়ামিনা ভালো করে বুঝতে পারচ্ছে এর আবাস কতটা ভয়ংকর হতে পারে..

আমির দিহানের কলার ধরে সামনে নিয়ে কর্কশ গলায় বলে….. হাউ ডেয়ার ইউ টু টার্চ মায় ওয়াইফ।
দিহান কিছু বলতে যাবে তার আগে ইয়ামিনা আমিরের অন্য হাত টান দিয়ে বলে…প্লিজ এখান থেকে চলুন আমি কোনো সিন ক্রিয়েট করতে চাচ্ছি না। প্লিজ আমির চলুন বলে ইয়ামিনা আমিরের অন্য হাত দরে টানতে থাকে…..
আমির দিহানের কলার ছেড়ে ধাক্কা মারে৷ আজ বেচে গেলি তোর হাল আমি বেহাল করব মনে রাখিস।
_________________🌸

আমির চুপচাপ বসে গাড়ি চালাচ্ছে। ইয়ামিনার দিকে একটা বারের জন্য তাকায় নি কথাটুকু বলে নি। ইয়ামিনা ভালো করে বুঝচ্ছে আমির কতটা রেগে আছে। চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে। সব ঝড় ইয়ামিনার উপর দিয়ে যাবে।

__প্লিজ গাড়ি আস্তে চালান আমার ভয় লাগছে কিছু অঘটন হয়ে যেতে পারে পরে৷

আমির ইয়ামিনার কোনো কথায় শুনচ্ছে না। ইয়ামিনা বুঝতে পারচ্ছে না কি করবে। আবরার মেনশনে এসে আমির গাড়ি জোরে ব্রেক কষে। ইয়ামিনা কিছুটা সামনের দিকে ঝুকে পড়ে। আমির সিট বেল খুলে গাড়ি থেকে বের হয়ে ইয়ামিনাকে গাড়ি থেকে বের করে ইয়ামিনার হাত ধরে ভেতরে নিয়ে যায়…

জাফরা ভাবি ড্রইং রুমে বসে আরুশির সাথে গল্প করছিলো। জাফরা ভাবি আর আরুশি কিছুটা অবাক হয় আমিরকে এসময় এখানে দেখে। দেখে বুঝা যাচ্ছে আমির অনেকটা রেগে আছে।

প্লিজ আমাকে কিছু বলতে দিন আমার কথা আগে শুনুন বলেই ইয়ামিনা আমিরের থেকে হাত ছাড়িয়ে নেই। আমির চুপ থেকে একবার ইয়ামিনার দিকে তাকায়।
জাফরা ভাবি কিছু বলতে যাবে তার আগে আমির ইয়ামিনার হাত ধরে টেনে উপরে নিয়ে যায়৷

আমির সোজা রুমে ডুকে ইয়ামিনাকে ওয়াশরুম নিয়ে শাওয়ারের সামনে দার করায়।।
এখানে নিয়ে এসেছেন কেন।আপনি প্লিজ শান্ত হোন আপনার মাথা ঠিক নেই। আমার ক…তার আগে আমির শাওয়ার ছেড়ে দেয়।
ঠান্ডা পানিতে ইয়ামিনা যেন ফ্রিজড হয়ে গেছে।কাপা কাপা কন্ঠে বলে….
ক..ক..ক কি করছেন কি শাওয়ার কেন ছেড়েছেন।আমির এখনও চুপ করে আছে।যে যে জায়গায় দিহানের স্পর্শ ছিল সে জায়গায় গুলো পানি দিয়ে মুচচ্ছে। ইয়ামিনা যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে আমিরের এমন কাজে।
ইয়ামিনা একটু রেগে বলে.. বন্ধ করুন আপনার এসব পাগলামি।। কি করছেন কি ছাড়ুন লাগছে আমার।

আর আমার যে লাগচ্ছে এখানটায় হাত দিয়ে ইশারা করে দেখায় বুকে বা পাশে। এটা কে দেখবে বলো।
ইয়ামিনা এতক্ষনে আমিরের চোখের দিকে তাকায় ওই চোখের দিকে তাকালে বার বার হারিয়ে যায়।এক অন্য রকম অনুভূতি তাকে বার বার জানান দিতে চায় আমির তাকে কতটা ভালোবাসে। এই চোখে নিজের জন্য ভালোবাসা আকুতি দেখতে পায়৷আমির চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। চোখ থেকে পানি পড়ছে কয়েক ফোটা সেটা শাওয়ারের পানিতে দেখা না গেলে ইয়ামিনা ঠিকই বুঝতে পারচ্ছে।
আমির ইয়ামিনার মুখ দুহাতে আজলে নিয়ে কপালের সাথে কপাল এক করে ধরে শাওয়ারের টপ টপ পানিতে দুজনেই ফুপাচ্ছে। দুজনেরই নিশ্বাস বেগতিক ভাবে ওঠা নামা করছে
আমির করুন কন্ঠে বলে…. আমি একা বড্ড একা তুমি ছাড়া আমাকে সামলাবে কে৷ আমাকে গোছালো করবে কে।আমি তোমাকে আকড়ে ধরে বাচতে চাই এর বেশি আমার কিছুই চাওয়ার নেই। বলো না আমাকে কখনও ছেড়ে যাবে না।। সবটুকু দিয়ে তোমাকে ভালোবাসতে চাই আগলে রাখতে চায়৷ আমি আর পাচ্ছি না মিষ্টি পাখি তোমাকে ওই কষ্টগুলো দেওয়ার জন্য শাস্তি দিচ্ছো! দাও আমি কিছুই বলবো না কিন্তু প্লিজ দিহানের কাছে যেয়ে বেদনা দায়ক শাস্তি আমকে দিও না।

ইয়ামিনাকে চুপ দেখে আমির ইয়ামিনার গাল ছেড়ে ইয়ামিনার মাথা পাশে দেয়ালে ঘুষি দেয় রাগমিশ্রিত কন্ঠে বলে…. আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চাও তাই না ওই দিহানের কাছে। যাও আমি আটকাবো না শুধু এতটুকুই আমাকে মেরে তারপর চলে যেও।শাওয়ারটা বন্ধ করে আমির চলে যেতে নিলে হাতে টান পেয়ে আমির পিছে ফিরে ইয়ামিনার চোখে তাকায়।
ইয়ামিনার চোখ দিয়ে পানি পড়চ্ছে অনবরত।।

___কাদছো কেন প্লিজ কেদো না। তোমার চোখে পানির মুল্য অনেক বেশি সবকিছু থেকে প্লিজ স্টোপ আমি নিতে পারচ্ছিনা৷ আমি আবারও তো…..বলার আগে ইয়ামিনা পা দুটো হাল্কা উচু করে আমিরের ঠোটে আলত করে ঠোট ছোয়ায়।
“ভালোবাসি আপনাকে” বলে আমিরকে জড়িয়ে ধরে।আমির যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে। শরীরে মনে হচ্ছে প্রচন্ড জোরে কারেন্ট বয়ে গেলো।এক অন্যরকম ভয়ংকর অনুভুতি কাজ করচ্ছে।
ইয়ামিনা আমিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে বলে…. ভালোবাসি!! ভালোবাসি!!আপনাকে কেন বলতে হবে ভালোবাসি। আপনি বুঝে নিতে পারেন না।। সব সময় এইভাবে রাগ দেখান কেন আমি কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম জানেন। আমি আপনাকে ছেড়ে কথাও যাচ্ছিনা কোথাও না যা কিছু হয়ে যাক আমি আপনারই থাকবো।
আমির ইয়ামিনাকে নিজের বাহুডরে আগলে নিয়ে বলে…তোমার মুখে শুনতে চেয়েছিলাম মিষ্টিপাখি।বিশ্বাস করো আমার আর শোনার প্রয়োজন নেই এই একটা বারই যথেষ্ট। ভালোবাসি মিষ্টিপাখি ভীষণ ভালোবাসি৷ আমির ইয়ামিনা মাথায় ছোট ছোট করে ঠোট ছোয়াচ্ছে।।। আমির মুচকি হেসে ইয়ামিনাকে পাজা কলে তুলে নেয় ইয়ামিনা শুধু আমিরের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।

রুমে এসে আমির নিজ হাতে ইয়ামিনার হিজাবের একটা একটা পিন খুলে পুরো হিজাবটাই গা থেকে সড়িয়ে নেয়।। ইয়ামিনা আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছে আমির পিছনে দাড়িয়ে ইয়ামিনার আধো ভেজা চুল গুলো মুছে দিচ্ছে৷ আয়নাতে তাকাতে ইয়ামিনাকে আধো ভেজা কামিজে দেখে আমিরের যেন অন্য রকম নেশা ধরে যায়। একটা ঘোড়ে চলে যায়।ইয়ামিনা কানে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে… মিষ্টি পাখি আজ যদি তোমাকে সম্পূর্ণ নিজের করে পেতে চায় বাধা দিবে। কিছু ভয়ংকর অনুভুতি জানান দিতে চায় তোমার আর আমার মাঝে নিষেধ করবে। আমির ইয়ামিনার এতটাই কাছে যে ইয়ামিনার কানে আমিরের শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ বার বার ধাক্কা খাচ্ছে। ইয়ামিনা কিছুটা কেপে ওটে। আমির কামিজের চেইন ধীরে ধীরে নিচে নামাচ্ছে ইয়ামিনা যেন অসম্ভব রকম কাপচ্ছে। কামিজের নিচের অংশ খামচ্ছে ধরে আছে ইয়ামিনা। আমির ইয়ামিনার ঘাড়ে আলতো করে কামড় দেয় ইয়ামিনা না পেরে সামনে ঘুরে আমিরকে জড়িয়ে ধরে।।
আমির হাল্কা হেসে ইয়ামিনাকে কোলে তুলে নেয় ইয়ামিনা লজ্জায় আমিরের বুকে মুখ লুকায়।
লজ্জায় যেন ইয়ামিনার গাল দুটো লাল টমেটো হয়ে গেছে।
আমির ইয়ামিনার দিকে তাকিয়ে হেসে দেয়… প্লিজ মিষ্টিপাখি এইভাবে লজ্জা পেয় না আমি শেষ হয়ে যাবো।ইয়ামিনা লজ্জায় মুখই তুলচ্ছে না। আমির ইয়ামিনাকে খাটে শুয়ে দেয় নিজে ইয়ামিনার উপর শরীর সব ভোর ছেড়ে দেয়।
ইয়ামিনার চোখে কপালে গালে থুতনীতে পাগলের মত চুমু দিচ্ছে আমির। ইয়ামিনার ঠোটের সাথে ঠোট মিলিয়ে নেয়।। ইয়ামিনা আমিরের শার্ট খামচে ধরেছে। আমিরের চুমু গুলো ক্রমশ গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে৷ আজ আমির পুরোই উম্মাদ হয়ে গেছে।পাগলের মত ইয়ামিনার গলায় ঘাড়ে নিজের ঠোটের স্পর্শ দিয়ে চলেছে। আমির শার্টের বোতাম খুলে শার্টটা ফ্লোরে ছুড়ে মারে। ভুব দেয় তার মিষ্টিপাখির মাঝে। আজ সে হারিয়ে যেতে চায় তার মিষ্টিপাখির মাঝে।
ঝুম ধরে বাহিরে বৃষ্টি বজ্রপাত হচ্ছে৷ আর দুজন ভালোবাসার মানুষ নিজেদের ভালোবাসা জানান দিচ্ছে।
.
.
.
.
চলবে…🌸🌸
কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন। ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। দেরি করে দেওয়ার জন্য আবারও দুঃখিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here