পর্ব ১৮+১৯
#তুই_আমারই_থাকবি💜
#Esrat_Jahan💜
#Part_18
!
‘-তারপর আমি রেগে দিলাম এক চিৎকার। আর সেই চিৎকারে উনার ঘুম গেলো ভেঙ্গে।উনি লাফ দিয়ে উঠে বসলেন।বেড-সাইট ল্যাম্পের আলোতে দেখলাম,উনি সেই স্যুট-প্যান্ট পরেই আছেন।যেগুলো পরিধান করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়েছিলেন।
!
-আর আমিতো রেগে বোম হয়ে আছি।এসব কোনো কাজ?আমার ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নিয়ে ব্যাটা এমন একটা কান্ড করলো,ভাবা যায়?যে কিনা দুদিন আগেও ভার্জিনিটি নিয়ে একটা কান্ড করলো।এখন কোথায় গেলো, সেই ভার্জিনিটি?
!
-আর অসময়ে ঘুম ভাঙ্গলে সবারই মেজাজ খারাপ হয়,তার উপর আবার যদি ঘুম থেকে উঠে এসব অসভ্যতামি দেখতে হয়, তাহলে মনটার কী অবস্থা হওয়া উচিৎ সেটা যার সাথে এরকম হয়েছে সেই বুঝবে!তাই আমিও গেলাম রেগে।আর উনি?উনি চোখ কচলাতে কচলাতে জিজ্ঞেস করছেন,হোয়াট?কী হয়েছে?এত জোরে চিৎকার করলে কেন?
!
-বুঝো কান্ড!আমাকেই জিজ্ঞেস করছে,কী হয়েছে!প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে বললাম,আপনার সমস্যাটা কী?
!
-মানে?আমার আবার কি সমস্যা থাকবে?
!
-ওহহ…আপনি বলতে চাইছেন,আপনার কোনো সমস্যাই নেই!
!
-উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,নো।আই এম অলওয়েজ অলরাইট!আমার কোনো প্রবলেমই নেই।
!
-তাহলে জেনে রাখুন, আপনি তাহলে লুচুগিরি সমস্যায় আক্রান্ত!
!
-উনি চোখ বড় বড় করে বললেন,কিহ?লুচুগিরি সমস্যা?
!
-জ্বি।আপনি যে আস্ত একটা লুচু,আজ সেটা ভালোভাবে বুঝতে পারলাম।রেগে
!
-হোয়াট দ্যা হেল আর ইউ টকিং? অলওয়েজ তোমার এসব পকপকানি আমার অসহ্য লাগে।আজাইরা ফাউল কথা তুমি এসব কোথা থেকে শিখে আসো?রেগে
!
-ওহহ….আমি বাজে কথা শিখে আসি?তাহলে আপনি এসব লুচুগিরি কোথা থেকে শিখে আসেন?নিশ্চয়ই ওই গুণ্ডাপাণ্ডার সাথে থেকে এগুলোও রপ্ত করে এসেছেন।
!
-তুমি কিন্ত বেশী কথা বলছ!আমি মোটেই লুচু না!
আর আমার ফ্রেন্ড’রা এমন না, বুঝলে!আমার ফ্রেন্ড সার্কেল এমন খারাপ না।সো তুমি কারো সম্বন্ধে না জেনে উল্টাপাল্টা কমেন্ট করতে পারো না।সেগুলো আমি মোটেই মেনে নিবো না।গট ইট!রেগেমেগে
!
-তাহলে আপনি আমার সাথে এমন করলেন কেন?আমার ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নিয়েছেন আপনি!আপনার মন মানসিকতা এতই ছোট…..
!
-শাট আপ!ননসেন্স, আমি কোনো সুযোগ নেইনি।ভাব নিয়ে
!
-ওহ..তাহলে আমার পেটের মধ্যে কে ঘুমিয়ে ছিলো?রেগে
!
-উনি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললেন, আমি, আমি ঘুমিয়েছি।
!
-সেইতো,,,,,এখন তো প্রুফ হলো।স্বীকার করলেন অবশেষে চাপে পড়ে!
!
-এখানে স্বীকার করার কিছুই নেই।আমি আমার বউয়ের সাথে যা ইচ্ছা তাই করবো।একলিস্ট,,আমি কারো অনুমতির ধার ধারি না।ভাব দেখিয়ে
!
-এদিকে প্রচণ্ড ঘুমে আমার চোখ বুজে আসছে।আর উনার ফাউল ডায়লগ শুনে মেজাজ চরম আকার ধারণ করলো।আমি নিজেকে শান্ত রাখার জন্য চুপ রইলাম।
!
-চলো,শুয়ে পড়ো।আর তোমার পেটটা না সফট বালিশের মতো। সো এখানেই ঘুমুবো আমি।হাই তুলতে তুলতে
!
-কখখনোই না……..রেগে
!
-অভিয়াসলি হ্যাঁ!
!
-আপনি আমার উপর জোর করতে পারেন না।আর আপনার চিন্তাভাবনা এত চিপ কেন?
!
-এই তুমি কী সারাদিন বাংলা সিনেমা দেখ?
!
-কেন?সন্দেহ নিয়ে
!
-ডেফিনেটলি তুমি বাংলা সিনেমা দেখো, নাহলে এই মাঝরাতে বাংলা সিনেমার কাহিনী করছো কেন?
!
-আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,আমার প্রচুর ঘুম পাচ্ছে।আপনি আপনার ডলটাকে নিয়ে ঘুমান প্লিজ।আমার সাথে এমন করবেন না।
!
-তোমার কথামতোই সব হবে নাকি?
!
-প্লিজ,এসব বন্ধ করেন।আমার মাথাব্যথা করছে,আমি ঘুমুতে চাই!
!
-উনি কিছুক্ষণ কী যেন ভাবলেন।তারপর আমার দিকে তাকিয়ে জড়ানো গলায় বললেন,তোমার কাছে দুটো অপশন আছে!এ দুটোর যেকোনো একটা তুমি চয়েজ করতে পারো।আমার এতে আপত্তি নেই,বাট মেনে না নিলে আর কোনো অপশন নেই।আমি যা বলবো তাই হবে!
!
-জীবনেও না!
!
-তাহলে অপশন নিতে রাজি?
!
-হুম,বলেন।
!
-এইতো, গুড গার্ল!তবে বলি এবার!
!
-আমিও ওনার অপশন শুনার জন্য রেডি হলাম।খোদা জানে,কি শয়তানী চলছে,এর মনে!শান্তিতে আর বেশিদিন বাঁচবো বলে মনে হয় না।বিয়ে করলে যেএতো কাহিনী হয়,সেটা যদি আগে জানতাম তাহলে সারাজীবন কুমারী হয়েই কাটাতাম।বিয়েই করতে চাইতাম না।কিন্ত যাকে বলে ভাগ্য……..
!
!
!
!
!
-সো অপশন নাম্বার ওয়ান:আমি তোমার পেটে মাথা রেখে ঘুমুবো,তুমি কোনো বাংলা সিনেমার কাহিনী করতে পারবেনা।এর ফলে যা হবে তা হলো,তুমি বেডে ঘুমাতে পারো নিশ্চিন্তে।
আর অপশন নাম্বার টু:ফার্স্ট অপশনে যদি রাজি না থাকো তাহলে বালিশ নিয়ে সোজা ফ্লোরে।বেডে কোনো জায়গা নেই!ঠান্ডা গলায় বললেন উনি!
!
-আমি ক্লান্ত হয়ে বললাম,সেকেন্ড অপশন! আমি সেকেন্ড অপশন নিলাম।বুঝলাম উনার সাথে অযথা তর্ক করে লাভ নেই।কথায় কথা বাড়ে।আর এদিকে মাথা ফেটে যাচ্ছে যন্ত্রণায়।কাউকে কিছু বলতেও পারছিনা।তাই এটাই বেটার।লুচুর সাথে থাকার চেয়ে ফ্লোরে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দেওয়া অনেক বেশী ইজি!
!
-তুমি নিজেকে চালাক ভাবো, তাই না?রেগে
!
-চালাক ভাবার কিছু নেই।আপনার থেকে দূরত্ব মেইনটেইন করা দরকার। এমন মানুষ আমার পছন্দ না।
!
-ওকে,গুড লাক।ফ্লোরে গিয়ে ঘুমাও।যাকে যেখানে মানায় সেখানেই থাকো।বাঁকা হেসে!
!
-আমি আর কথা না বাড়িয়ে কাঁথা,বালিশ নিয়ে ফ্লোরে বিছানা করলাম।মাইগ্রেনের ব্যাথা আমায় জ্বালিয়ে খেলো।
!
!
!
-উনার বোধহয় আমার শান্তি সহ্য হয় না।তাই ফ্যান অফ করে এসি অন করলেন।গুন্ডার শরীরে এতই গরম যে,এসির টেম্পারেচার একেবারে কমিয়ে দিলেন।আমার তো ঠান্ডায় জমে যাওয়ার অবস্থা।মনে হচ্ছে,রুমে বরফ পড়ছে,এক্ষুণি তুষারঝড় শুরু হবে।
!
!
আমি কাঁথা গায়ে দিয়ে সিঁটিয়ে রইলাম।মাথার যন্ত্রণা ক্রমেই বাড়ছে,তার উপর এই অত্যাচার।এমন সিচুয়েশনে আমার ভীষণ কান্না পেলো। আর আমি কেঁদেই দিলাম।প্রথমে আস্তে আস্তে কাঁদতে থাকলাম,গলায় কান্না আটকে যাচ্ছে।
!
কিছুক্ষণ যাবার পর মাথাব্যথা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেলো।মনে হচ্ছে জ্বর এসেছে।আমি কান্না থামাতে না পেরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছি।
!
আমার ফুঁপানোর আওয়াজ শুনে উনি লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে রুমের আলো জ্বালালেন।আমার কাছে এসে দেখেন আমি ঠান্ডায় কাঁপছি।উনি সাথে সাথে এসি অফ করে দিলেন।আর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,খুশবু!কী হয়েছে তোমার?এরকম করছো কেন?
!
আমি চোখ খুলতে পারছিলাম না।উনার কণ্ঠ শুনে বুঝলাম,বেচারার কণ্ঠে ভয়!উনি কপালে হাত দিয়ে দেখেন,জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে!আর এদিকে আমার গলা দিয়ে সাউন্ড বেরুচ্ছে না।
!
আবরার গুন্ডা বললো,ওহহ….নো।শীট…. এখন কী করবো??ওতো,অসুস্থ হয়ে পড়েছে।কন্ঠে ভয়…..
!
আমি আস্তে বললাম…….’
#Part_19
!
-আমি আস্তে বললাম,শীত লাগছে!
!
-উনি তাড়াতাড়ি বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিলেন।আর আমি প্রচণ্ড জ্বরে কাঁপছি।উনি ভয় পেয়ে বাড়ির সবাইকে ডাকতে চাইলে আমি মানা করে দিলাম।এতো রাতে সবার ঘুম ভাঙ্গানোর কোনো মানে হয় না।উনিও মেনে নিলেন।ডাক্তারকে কল করলেন,উনি নাকি শ্বশুরবাড়ি খুলনাতে বেড়াতে গিয়েছেন,আসতে পারবেন না।তার বদলে বলে দিলেন কী কী করতে হবে।
!
-উনি তো ডাক্তারের কথা শুনে ভীষণ রাগান্বিত।বললেন,আসতে পারবেন না মানে কী?ডাক্তার হয়েছেন কেন তাহলে?পেশেন্ট জ্বরে অস্থির আর আপনি শ্বশুরবাড়ি গিয়ে আরাম করছেন?আর আমার বউ এখানে শীতে কাঁপাকাপি করছে!!
!
-ওপাশ থেকে ভয়ে ডাক্তার বললো,দেখুন আমি তো আর জানতাম না আপনার ওয়াইফ আজ অসুস্থ হয়ে যাবে!তো আমি কী করবো?
!
-কেন?জানলে কী করতেন?রেগে…
!
-জানলে শ্বশুরবাড়িতে কুরবানি ঈদের দাওয়াত খেতে আসতাম না!আজ পনেরোদিন পর দাওয়াত খেতে আসলাম,আর আপনার ওয়াইফ অসুস্থ হয়ে গেল?হেসে….
!
-শাট আপ!আপনাকে যদি কাল সকালে আমার বাড়িতে না দেখি,তাহলে আপনার ডাক্তারি করার সাধ জন্মের মতো মিটিয়ে দিবো!গট ইট!রেগে…..
!
-স্যার,আপনি এখন ম্যাডামকে অন্য একজন ডাক্তারের কাছে দেখান!আমি ওনার নাম্বার দিয়ে দিচ্ছি!আর আমি কাল সকালের মধ্যেই চলে আসার ট্রাই করবো।ভয়ে……
!
-কোনো ট্রাই চলবে না।আমি যাতে সকালেই আমার বাড়ির ড্রইংরুমে দেখি,নইলে ডাক্তারির সব সার্টিফিকেট আর আস্ত থাকবে না।রেগে…..
!
-ওকে স্যার।আমি নাম্বার পাঠিয়ে দিচ্ছি।
!
-উনি ডিজগাস্টিং বলে ফোন রেখে দিলেন।অন্য ডাক্তারকে ফোন করে সব জেনে নিলেন।ফোন রেখে উনি একটা বাটিতে করে পানি নিয়ে আসলেন! আমি চোখ খুলতে পারছিলাম না।তাও উনার সব কাণ্ডকারখানা দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।
!
-বাটি দিয়ে পানি নিয়ে আসতে দেখে আমি বড্ড অবাক হলাম।কোনোমতে জিজ্ঞেস করলাম,বাটিতে পানি কেন?
!
-তোমার মাথায় পানি দিতে হবে, ডাক্তার বলেছে!
!
-আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝলাম না!বললাম,এই বাটি দিয়ে পানি দিবেন?
!
-হুম!
!
-আপনি জন্মে ও কোনোদিন মানুষের সেবা করেননি,বুঝাই যাচ্ছে!
!
-তাতে কী?
!
-বাটি দিয়ে যে মাথায় পানি দেয় তা আমি জন্মেও দেখিনি!তেজপাতা মার্কা জীবন নিয়ে দুনিয়াতে এসেছেন।
!
-উনি মুখ গোমড়া করে বললেন,তাহলে কীভাবে পানি দিতে হয়?
!
-থাক,আপনাকে আর পানি দিতে হবেনা।এতটুকু সেবা করে পরে সবার কাছে বলে বেড়াবেন যে সারারাত বসে আপনি আমার সেবা করেছেন।
!
-এই!পকপক বন্ধ করো।বলো,প্লিজ!
!
-এটা আবার সবার কাছে বলে বেড়াবেন না তো?আসলে আপনার তো নিজের বিষয়ে বাড়িয়ে বলার বাতিক আছে!বাটি দিয়ে পানি দেয়া!!!!যত্তসব….. হাঁদারাম!
!
-আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম রাগে উনার মুখ থমথম করছে,তাও নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন,ওকে!
!
-আমিও সুযোগ পেয়ে বললাম,বালতি দিয়ে পানি নিয়ে আসুন,একটা মগ,আর টাওয়াল আনুন।আর মেডিসিন? ওগুলো কোথায়?ভ্রু কুঁচকে
!
-মেডিসিনের কথা শুনে উনি কাকে যেন ফোন করলেন।কিসব বলে ফোন কেটে দিয়ে বালতি দিয়ে পানি আনলেন,যা যা বললাম সবকিছু আনলেন।ধীরেসুস্থে পানি দিয়ে দিলেন আমার মাথায়।সুন্দর করে চুল মোছে দিলেন।কিছুসময় পর দরজার ঠকঠক শব্দ হলো। উনি দরজা খুলে দেখেন দারোয়ান, দারোয়ান এত রাতে কোথা থেকে যেন ঔষধ নিয়ে এলেন।ওগুলো ওনার হাতে দিয়ে দারোয়ান চলে গেলেন।আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,এত রাতে ঔষধ কোথা থেকে নিয়ে আসলো?
!
-সেটা তোমাকে বলবো কেন?
!
-আজব!
!
-আমার হাতে মেডিসিন গুলো দিয়ে বললেন,ওগুলো খেয়ে ঘুমাও!
!
-আমি ঔষধ খেয়ে দুইগ্লাস পানি খেলাম।উনি ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছেন।আমার হাসি পাচ্ছে উনাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে।উনি এখনো সেই স্যুট -প্যান্ট পরে আছেন।এভাবে কামলার মতো উনাকে আমার সেবা করতে দেখে আমি মজা পেলাম।জ্বর কমেছে বোধহয় পানি দেয়ার পরে!আরেকটু মজা নেওয়ার জন্য আমি বিছানায় ঠেস দিয়ে বসলাম…….
!
-উনি বাস্তবে ফিরে এসে বললেন,যাও,ঘুমাও!
!
-ঘুমুবো না!মন খারাপ করে
!
-কেন?ভ্রু কুঁচকে
!
-আমার পা ব্যাথা করছে!
!
-হোয়াট?
!
-হুম, পা টিপে দেন!
!
-কীহ?আমি পা টিপবো? অবাক হয়ে….
!
-ওহহ..স্যরি।আচ্ছা,আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন!
!
-উনি আবারো ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছেন।হয়তো,বোঝার চেষ্টা করছেন যে সত্যিই আমার পায়ে ব্যথা কি না!
!
-এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন।অনেক হেল্প করেছেন,সো থ্যাংকস ।আমার পা ব্যথা করছে না না করছে তাতে আপনার কিছু হবে না।আজ যদি নিজের বাসায় নিজের ফ্যামিলির কাছে থাকতাম তাহলে সবাই আমার জন্য নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দিতো। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই,চিকেন বল বানিতে খাওয়াতো আব্বু।ভাইয়া ঔষধ খাইয়ে দিতো।আম্মু সারারাত পাশে বসে সেবা করতো। সবই হতো।কিন্ত এটা তো নিজের বাড়ি না……তাই…..
!
-এটুকু বলার পরই উনি ঠাস করে বিছানায় বসে ঠুস করে আমারর পা টেনে নিয়ে টিপে দিতে লাগলেন।
!
-আমার মনে তো লাড্ডু ফুটতে লাগলো।যাইহোক,,আমি যে এত বড় এক্টর তা আজই জানলাম।বাবাহ…..নিজের উপর ফিদা।এই আবরার আগুন চৌধুরী নামক গুন্ডা লোকটাকে দিয়ে যে আমি শুভ্রতা জান্নাত খুশবু পা টিপালাম,সেটা যদি সবাই দেখিতে পাইতো তাহলে কতই না আনন্দ হইতো,মনে বড়ই আরাম পাইতাম।আর আমার মিনসে টা ও আমার ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের কাছে হারিয়া গেল?কেয়া বাত……আমি বিশ্বজয় করা হাসি ফুটাইলাম ঠোঁটের কোণে,আমার মিনসে সেটা দেখিতে পাইলো না।সে পা টিপিতেই আছে,টিপিতেই আছে।অবশ্য শরীরটা আমার খুবই খারাপ!তাও এই মুহূর্ত দেখার লোভ সামলাইতে না পারিয়া নাটক করিতেই হইলো……
!
-আমার নয়নে ততক্ষণে নিদ্রা ভর করিয়াছে।
!
-সকালবেলা……. ঘুম থেকে উঠে দেখি উনি আমার…..’
!
চলবে……