তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায় পর্ব ২৭+২৮

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_২৭
.রুফটফে বসে আছে সবাই। পুরোটাই সুন্দর করে ডেকরেট করা হয়েছে। চারিদিকে মোমবাতি আলো ও চাঁদের আলোয় পরিবেশ আরো মোহনীয় করে তুলছে। মাথার ওপরে ফাঁকা আকাশ আর রাতের অন্ধকার এর মাঝে মৃদু আলো সব মিলিয়ে একদম নেশা নেশা ভাব আছে। এক সাথে বারবিকিউব অ্যারেঞ্জ করা হয়েছে। অন্য পাশে টেবিলের এর ওপরে শ্যাংপেন রাখা আছে। আর বাকি গুলো সবাই সবার মত মজা করছে। এগুলো করেছে বাকিরা শুধুমাত্র বেলার জন্য কোথাও যেতে পারছে না বাইরে সেই জন্য সবাই মিলে আনন্দ এর একটা উপায় মাত্র।
.
. এদিকে সারা একটু একটু করে সরে যাচ্ছে আর কোনা চোখে পাশে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে আর সাথে সাথে মুচকি মুচকি হাসছে। বেদ তো সারার এই হাসিতে জান কবুল হয়ে যাচ্ছে। সারা যতো সরে যাচ্ছে বেদ ও ততই এগোচ্ছে সারা এর দিকে। বেদ আসতে আসতে হাত এগিয়ে নিয়ে সারার কোমরে রাখে। আর সাথে সাথেই সারা কেঁপে উঠে পাশে তাকায়। বেদ তার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
.
. বেলা মুখ গোমরামুখো করে বসে আছে। কিন্তু মনে মনে ফুলে উঠছে। সাঁঝ এর কাজ কারবার দেখে। একটু আগে নিচে সবার সামনে তাকে চুমু খেয়েছিল। আর তারপরেই সব কটা তাকে ক্ষেপাতে ছিল। তাই জন্য বেলা মুখ ফুলিয়ে ছিল সাঁঝ এর সাথে কথা তো দূরে থাক তাকাচ্ছিল না পর্যন্ত। তাই সাঁঝ বেলা কে কোলে তুলে রুফটফে নিয়ে আসে। বেলার মান ভাঙানোর জন্য বেলার দিকে চেপে বসে বেলার দিকে তাকিয়ে গান শুরু করে।

.🎶 জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া

জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া
খুদকো তেরে হি খাতির
বাদনাম কার দিয়া
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি

জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া

জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া
খুদকো তেরে হি খাতির
বাদনাম কার দিয়া
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি 🎶
.
. এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বেলা সাঁঝ এর দিকে ।ঘোর লাগা দৃষ্টি। চোখ সরিয়ে নিতে চেয়ে ও পারছে না। তার দিকে কেমন ঘোর লাগা চোখে সাঁঝ তাকিয়ে আছে। এই দৃষ্টিতে বেলা দেখতে পায় কতটা নেশা আর আসক্তি ভরা আছে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি তার মাঝেই ডুব দেবে। সাঁঝ ভ্রু উচু করে তার দিকে ইশারা করছে। কিন্তু বেলা তো বেলা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাঁঝ এর দিকে। সাঁঝ ও বেলার দৃষ্টি দেখে বাঁকা হাসছে। আরো একটু চেপে এসে বসে বেলার দিকে। বেলার চোখের দিকে তাকিয়ে এক হাত দিয়ে বেলার কোমর জড়িয়ে ধরে।
.
. এদিকে ওদের সামনে বসে সব কটা মিট মিটিয়ে হাসছে। আর বেলা তো চোখ গরম করে ইশারা করলেও সরে না সাঁঝ। আরো বেশি বেশি করে বেলার দিকে সরে যাচ্ছে। বেলা পারে না উঠে চলে যায়। কিন্তু কপাল সেটাও করতে পারে না।
.
. 🎶 হার পাল এ দিল ইয়াদ
তুঝে কারতে রেহতা হে
হার পাল তেরে স্বপ্নে
এ দেখা কারতা হে
মানা তুমনে রাস্তে আপনে বাদাল দিয়ে
এ বেচারা বিতে কাল মে হি রেহতা হে
আখরি সাঁস কো তেরে নাম কার দিয়া
আখরি সাঁস কো তেরে নাম কার দিয়া
খুদকো তেরে হি খাতির নাকাম কার দিয়া
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি 🎶
.
. নিশান উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে শান্তা কে টেনে তুলে নিয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায়। শান্তা হঠাৎ এমন হওয়াতে হকচকিয়ে গিয়েছে চোখ বড় বড় করে দেখছে। আর এদিকে সবাই সিটি দিয়ে ওঠে। হাত তালি দিয়ে ওদের এপ্রিসিয়েট করে। নিশান শান্তার কোমর টেনে নিজের বুকের ওপরে ফেলে। দু হাত দিয়ে কোমরে ধরে উপরে উচু করে তুলে ধরে। শান্তা ভয় মুচকি হেসে নিশান এর গলা জড়িয়ে নেয়। শান্তা যেহেতু বিদেশী কালচার এর মধ্যে বড় হয়েছে তাই লজ্জা টা ঠিক নেই। আর এদিকে সবাই দেখছে ওদের দুজন এর জুটি টা। সাঁঝ বেলার কোমরে নিজের হাত দিয়ে স্লাইড করতে করতে ওদের দিকে দেখছে। আর বেলা তো সাঁঝ এর স্পর্শে বরাবর কেঁপে ওঠে।
.
. শান্তার কোমরে হাত রেখে স্লাইড করে যাচ্ছে নিশান। শান্তার হাত নিশান এর গলা জড়িয়ে রেখেছে। কোমর থেকে বডি টা পিছনের দিকে হেলিয়ে রেখেছে পিছনের দিকে। নিশানা এর মাথা টা ঠিক শান্তার গলায় আটকে আছে। সাঁঝ এর রোমান্টিক গান এর সাথে নিশান শান্তার রোমান্টিক ডান্স । পরিবেশ টা আরো বেশি নেশায় আর আসক্তি ভরা করে তুলেছে। সাঁঝ এর গানের প্রতি টা লাইন ছিল বেলার জন্য। আর ঠিক তাদের সামনে নিশান শান্তা তাদের প্রেম ভালোবাসা দিয়ে মুহূর্ত টা কে আরো ফুটিয়ে তুলেছে। ঠিক সাঁঝ এর মনের মত। সাঁঝ ওদের দিকে না তাকিয়ে শুধু মাত্র বেলার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখছে। নিশান শান্তার গলায় থেকে আসতে আসতে নিচের দিকে নেমে আসছে। শান্তা কে কোলে নিয়ে উঁচু করে ঘুরিয়ে নেয়। শান্তার দুই পা নিশান এর কোমর জড়িয়ে আছে। আর এক হাত গলায়।।
.
. ওদের মাঝেই ওম উঠে দাঁড়িয়ে জাকিয়া কে টেনে নিয়ে যায় ফ্লোরে। জাকিয়া কে ঘুরিয়ে নিয়ে পিছন দিকে থেকে জড়িয়ে নেয়। আর বাকিরা ও সিটি আর হাত তালি দিয়ে ওঠে। জাকিয়া কে পিছন থেকে জড়িয়ে নিয়ে কোমরে হাত রাখে ওম। কাঁধে মুখ রেখে নিজের সাথে নিয়ে আসতে আসতে ঘুরতে থাকে। জাকিয়া কে হাত ধরে ঘুরিয়ে ছেড়ে দেয়। আর তারপরেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে ফ্লোরে। নিজের গলার হারের থেকে একটা রিং বের করে ওম। একটা জাকিয়ার হাতে পরিয়ে দেয়। হাত টেনে মুখের কাছে একটা উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্শ দেয়। আর সাথে হাত তালি আর সিটি বেজে ওঠে। আর জাকিয়া মুখে হাত দিয়ে লাফিয়ে ওঠে। তারপরেই লাফিয়ে উঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওম ওপরে। আর ওম ও দু হাতে জড়িয়ে উঁচু করে তোলে ওপরের দিকে।
.
. এবারে সাঁঝ এর গানের সাথে ওম জাকিয়া আর নিশান শান্তা জমিয়ে ডান্স দিতে থাকে। তাদের এই রোমান্টিক ডান্স এর সাথে সবাই সবার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
.
. 🎶 মে তেরি আঁখো মে দেখতা হু খুদকো
মে তেরি আঁখো মে দেখতা হু খুদকো
তুমকো কেয়া দিখতা হে
মেরি নাজরো মে কাহো
দেখতে চাহতে সুবহা কো সাম কার দিয়া
দেখতে চাহতে সুবহা কো সাম কার দিয়া
খুদকো তেরে হি খাতির কুরবা কার দিয়া
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি 🎶
.
. সারিফ কোনো কথা না বলে আসতে আসতে পিছন থেকে এসে রুহি টেনে তুলে নিয়ে যায়। সবাই এখন ডান্স আর গানে মত্ত হওয়ার জন্য বুঝতে পারিনি। সারিফ রুহি এনে এক কোণের দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। একটু একটু করে রুহি এর গায়ের সাথে লেগে দাঁড়ায়। আসতে আসতে হাত উঠিয়ে রুহির পুরো মুখে স্লাইড করতে থাকে। মুখের ওপরে আশা ছোটো ছোটো চুল গুলো কে ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়। সারিফ এর ফু দেয়ার জন্য রুহি কেঁপে ওঠে। চোখ চেপে বন্ধ করে নেয় রুহি। সারিফ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রুহির দিকে। তার পুরো নেশা লেগে যাচ্ছে। নিজেকে আর আটকে রাখতে পারে না। মুখ নামিয়ে রুহির পুরো মুখে চুমু খেতে শুরু করে। আর এক হাত দিয়ে গলায় স্লাইড করতে থাকে। মুখ নামিয়ে এনে গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। আসতে আসতে ভিজে যেতে থাকে রুহির গলা।
.
. 🎶 জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া

জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া
খুদকো তেরে হি খাতির
বাদনাম কার দিয়া
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি 🎶
.
.গান শেষ হতে সাঁঝ বেলা কোলে তুলে নিয়ে নেয়। সবার দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে সবাই কে চোখের ইশারায় রোম্যান্স করার অনুমতি দিয়ে বেলা কে নিচে নেমে যায়। ওদের চলে যেতেই এবার বেদ এসে সারা কে টেনে নিয়ে যায় অন্য দিকে। সাথে টেবিলে থাকা শ্যাংপেন এর গ্লাস হাতে নিয়ে। বেদ সারা কে ওখানে থাকা টেবিলের ওপরে তুলে বসিয়ে দেয়। বেদ সারা কোমরে হাত রেখে নিজের দিকে টেনে নেয়। সারা ও তার হাত দিয়ে বেদ এর কোমর জড়িয়ে নেয়। হাতে থাকা গ্লাস টা নিয়ে সারার মুখের সামনে ধরে। চোখের ইশারায় এক সিপ নিতে বলে। সারা মুখে নিতেই বেদ দু হাতে মুখ তুলে ধরে তার মুখ বসিয়ে দেয় সারার ঠোঁটে। গিলে নেয় সবটুকু সারার মুখে থাকা পানীয়। তার পরেই শুষে নিতে থাকে একে অপরের ঠোঁট। এতক্ষণ সাঁঝ বসে ছিল বলে বেদ শুধু চোখে চোখে হাতে হাত রেখে বসে ছিল। আর সাঁঝ চলে যেতেই এতক্ষণ এর জমে থাকা রোম্যান্স টা উজাড় করে দেয় সারার ওপরে।
.
. এদিকে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে শান্তা আর ঠিক তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে নিশান। হাত তার শান্তার কোমরে জড়িয়ে রাখা। মুখ নামিয়ে ডুবিয়ে রেখেছে শান্তার কাঁধে। চুল গুলো এক পাশে রেখে চুমু খেয়ে যাচ্ছে। আর শান্তা চোখ বন্ধ করে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে।
.
–“প্রথম দিন তুমি আমাকে চুমু দিয়েছিলে। তখন আমি তোমাকে রিটার্ন করতে পারিনি তাই আজ সুদে আসলে ফেরত দিচ্ছি। আমি আবার উধার রাখি না। নিশান কাঁধে চুমু খেতে বলে ওঠে ফিস ফিস করে।
.
. নিশান এর ওই ফিসফিসানো আর তার সাথে ঠোঁটের স্পর্শ পাগল করে দিচ্ছে শান্তা কে। নিশান কে সে ভেবেছিল অন্য রকম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছে পুরো তার উল্টো এত পুরো রোম্যান্স এর মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। শান্তা কে ঘুরিয়ে নিজের দিকে করে নেয় নিশান। গলায় থেকে মুখ তুলছে ওপরের দিকে। আর এর জন্য ঠোঁট দুটো শান্তার গলায় ঘষা খেয়ে যাচ্ছে। শান্তা দু হাত দিয়ে আকড়ে ধরে নিশান কে পিঠে বসে যায় নখ। নিশান আসতে আসতে শান্তার কাঁপতে থাকা ঠোঁট দুটোর মাঝে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। আসতে আসতে শুষে নিতে থাকে একে অপরের ঠোঁটের রস। দুজনেই মেতে ওঠে একে অপরের মাঝে।
.
. ওম এর কোলে বসে আছে জাকিয়া। হাতে থাকা রিং টা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছে। মুখে রয়েছে মিষ্টি হাসি। সে ভাবতেই পারিনি সবার সামনে এই ভাবে তাকে রিং পরাবে ওম। ওম এতক্ষণ বসে বসে জাকিয়ার মুচকি মুচকি হাসি দেখেছিল। এখন সে হাত বাড়িয়ে পায়ে আলতো করে স্লাইড করতে থাকে। পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত। হঠাৎ করে এমন স্পর্শ পেয়ে জাকিয়া কেঁপে ওঠে। মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজ বেরোচ্ছে না। চোখ বড় বড় করে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। বুকের ওঠানামা শুরু হয়ে গেছে। ওম মুখ এগিয়ে এনে জাকিয়ার চুলের মাঝে মুখ ডুবিয়ে দেয়। আর এক হাত দিয়ে কোমরে চেপে ধরে। এদিকে জাকিয়ার অবস্থা কঠিন থেকে কঠিন হতে চলেছে। পায়ের থেকে হাত স্লাইড করতে করতে ওপরে দিকে ওঠে। মুখের কাছে এনে থেমে যায়। ঠোঁটের ওপরে আঙুল দিয়ে বুলিয়ে দিচ্ছে। সারা মুখে ওম এর হাত ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাথে কেঁপে ওঠে দ্বিগুণ হতে চলেছে। কাঁধের থেকে জামা নামিয়ে আসতে আসতে চুমু খেতে থাকে মাঝে মাঝে চুমু থেকে বাইট ও পড়ছে।
.
. পুরো রুফটফ জুড়ে এখন প্রেমের জুয়ার বয়ে যাচ্ছে সবাই এখন তাদের রোম্যান্স নিয়ে ব্যস্ত । একে অপরের মাঝে ডুবে আছে।

—————–

সাঁঝ বেলা কে কোলে করে রুমে এনে বিছানায় বসিয়ে দেয়। মেডিসিন বক্স এনে আসতে আসতে বেলার হাতের ও পায়ের ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দেয়। উঠে গিয়ে কাবার্ড থেকে বেলার ড্রেস দিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। এদিকে বেলা মুখ ফুলিয়ে আছে। বিরক্তিকর ভাবে চেঞ্জ করে নেয়।
.
.সাঁঝ বেরিয়ে দেখে বেলা মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। বাঁকা হেসে আসতে আসতে গিয়ে বেলার ওপরে ঝুঁকে পড়ে। বেলা অন্যমনস্ক থাকার কারণে চমকে যায়। দেখে তার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসছে অসভ্য টা।
.
–“গাল ফুলিয়ে রেখেছ কেনো? যে কোনও সময়ে আমি স্ট্রবেরী ভেবে খেয়ে ফেলব। সাঁঝ দুষ্টু হেসে বলে ওঠে।
.
–” তুমি আমাকে নিয়ে চলে এলে কেনো। কি সুন্দর ওদের রোম্যান্স দেখছিলাম। বেলা গাল ফুলিয়ে বলে ওঠে।
.
–“ওহ তো এই কথা। ওদের দেখে তুমি কি করে বুঝবে। আমি তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি রোম্যান্স কি করতে হয়। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
. বেলা ভ্রু কুঁচকে তাকালে দেখে সাঁঝ এর মুখে ফুটে আছে দুষ্টুমির হাসি। সাঁঝ তার আঙুল দিয়ে আসতে আসতে বেলার শার্ট সরিয়ে দিয়ে কোমরে স্লাইড করতে লেগে গেছে। বেলা তার দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে বুঝতে পারিনি। হটাৎ করে স্পর্শ পেয়ে কেঁপে ওঠে।
.
–“বাহ বাহ এখনও এত কেঁপে ওঠো। আমার স্পর্শ কি প্রতিবার নতুন লাগে। বাঁকা হেসে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
–” আমাকে ছাড়ো। আমি ঘুমাবো ।বেলা বলে ওঠে।
.
–“তো ঘুমাও না কে বারণ করেছে। বলেই সাঁঝ হাত বাড়িয়ে লাইট অফ করে দিয়ে বেলার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। গলায় নাক ঘষে স্মেল নিতে থাকে। তারপরেই আলতো আলতো ঠোঁটের স্পর্শ থেকে শুরু করে আরো গভীর থেকে গভীর হতে শুরু করেছে। বেলা বুঝতে পারছে সাঁঝ এখন তার নেশায় ডুবে গেছে আর তাকে ও ডুবিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাঁঝ তার ভালোবাসার সাগরে। দুজন এখনও সম্পূর্ণ ফিজিক্যাল হয়নি। তারপরেই একে অপরের মাঝে ডুবে যায়। সাঁঝ মুখ তুলে বেলার ঠোঁটের মাঝে ডুব দেয়। আসতে আসতে প্যাশনেট ভাবে কিস করতে থাকে দুজন। দুজন দুজনের মাঝে ডুবে যেতে থাকে। মুড়ে নেয় একে অপরের ভালোবাসার মাঝে।
.
. #তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_২৮
.
–“সারা বেবি তুমি ওম বেদ নিশান রুহি শান্তা জাকিয়া এক সাথে লাঞ্চ করে নিও আমার জন্য ওয়েট করতে হবে না। বেলা এক নিশ্বাস এর সাথে বলে ওঠে। একবার কিচেন আর একবার ডাইনিং রুম করে।
.
–” মিষ্টি তুমি একটু রিলাক্স হও। আমরা ঠিক লাঞ্চ করে নেবো। জাকিয়া বলে ওঠে।
.
–“আজ মনে হয় তোর আনন্দ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে হু। বেদ চেয়ার টেনে বসে বলে ওঠে।
.
–“হুম একদম তাই তো মনে হচ্ছে দেখ না কেমন ছুটে চলেছে সকাল থেকে। শান্তা বলে ওঠে।
.
–” ওহহো টুসুন বেবি আজ আমার আনন্দ কোনো উৎসব এর থেকে কম নয়। বাই দ্যা ওয়ে আমি রেডি হতে গেলাম। হেসে চলে যায় বেলা।
.
. আজ বাড়ির মহল খুশি খুশি লাগছে না? একদম তাই বাড়িতে খুশির আলো দেখা যাচ্ছে। এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে বেলা এখন পুরো পুরি সুস্থ। সাঁঝ এর কেয়ার ভালোবাসা আর বেস্ট মেডিসিন আর প্রপার ট্রিটমেন্ট এর জন্য বেলা সাতদিন এর মধ্যে ঠিক হয়ে গেছে। তবে তার হাতে আর পায়ে এখন ও অল্প অল্প পুড়ে যাওয়ার দাগ আছে। আজ সকালেই সাঁঝ এর থেকে বেলা পারমিশন পেয়ে গেছে ছুটে হেঁটে বেড়াবার। তবে বেশি নয় নিয়ম মাফিক। কিন্তু বেলা তো বেলা। এক সপ্তাহ পর আজাদি পেয়েছে সেটা কি আর কোনো নিয়ম মেনে চলে। তাই সাঁঝ সকালে অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে বেলার নাচন কোদন শুরু হয়ে গেছে।
.
. বেলা রেডি হচ্ছে ।এখন সে সাঁঝ এর অফিসে যাবে। সকাল থেকে সাঁঝ এর পছন্দ মত ডিশ বানিয়েছে। জানে এতে রাগ করবে আবারো আগুনের কাছে যাওয়ার জন্য। তাতে কি তাকে দেখলে সব রাগ পানি করার জন্য তৈরী হচ্ছে। সাঁঝ এর পছন্দের কালার ফুল স্লিভ ট্রান্সপারেন্ট ব্ল্যাক ম্যাক্সি ড্রেস। চুল গুলো কে হাল্কা কার্ল করে ছেড়ে দিয়েছে। ঠোঁটে ওয়াইন কালার লিপস্টিক। চোখে গাড়ো করে কাজল টেনেছে। হাতে ব্ল্যাক স্টোন এর ব্রেসলেট ও আরেক হাতে ব্ল্যাক স্টোন এর ঘড়ি। পায়ে ব্ল্যাক স্ট্রাপেড হিল। পুরোই ব্ল্যাক গেট আপ নিয়েছে সাঁঝ কে আবার ও নতুন করে তার নেশায় আসক্ত করার জন্য। ব্যাস বেলার এই লুকে কুপোকাত হবে আজ সাঁঝ। আয়নায় নিজেকে দেখে নিয়ে বাঁকা হেসে বেরিয়ে যায় বেলা।

—————

সাঁঝ অফিসে বেসমেন্টে গাড়ি পার্ক করিয়ে নেমে ভিতরে ঢুকে যায় বেলা। অফিসে তাকে অনেকে চেনে আগের এখানে কাজ করার জন্য। আবার কিছু চেনে তাকে অফিসের মালিক এর বউ হিসাবে। অফিসে ঢুকতে সবাই তার দিকে হ্যাঁ করে তাকিয়ে আছে। বেলা এগিয়ে যায় রিশেপসান এর দিকে।
.
–“সাঁঝ… বেলা কে পুরো বলতে দেয় না।
.
–“গুড নুন ম্যাম। স্যার এখন একটা মিটিংয়ে আছে।আপনি কেবিনে গিয়ে বসুন। হেসে বলে ওঠে রিশেপসানে থাকা মেয়েটি।
.
–ওকে থ্যাঙ্কস । বেলা হাসার চেষ্টা করে বলে ওঠে।
.
. বেলা সাঁঝ এর কেবিনের দিকে এগিয়ে যেতে নিলেই সামনে এসে দাঁড়ায় দিশা। পুরো অ্যাটিটিউড নিয়ে বেলা কে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঘুরতে থাকে। মুখে রয়েছে শয়তানি ভাব। বেলা হঠাৎ করে সামনে কেউ এসে যাওয়াতে দাঁড়িয়ে পড়ে সামনে দিশা কে দাঁড়াতে দেখে ভ্রু কুঁচকে যায়। দিশার মুখ চোখ দেখে বেলার অন্য রকম লাগে। তার ওপরে আবার তাকে ঘুরে ঘুরে দেখছে।
.
–“হে বেলা। কেমন আছো? তুমি হঠাৎ এই অফিসে? কোনো দরকার ছিল। দিশা বলে ওঠে।
.
–” আমি তো ভালো আছি। কিন্তু মনে হয় আপনি ভালো নেই। বেলা তীক্ষ্ণ গলায় বলে ওঠে।.
.
. এই প্রথমবারের জন্য দুজনের কথা হচ্ছে। এর আগেও দেখা হলেও বেলা এড়িয়ে গেছে বা হেসে পাশ কাটিয়ে গেছে।
.
–” আমি? আমি তো খুব ভালো আছি। আসলে আমি যতক্ষন অফিসে সাঁঝ এর সাথে থাকি ততক্ষণ খুব ভালো থাকি দুজন একসাথে অনেক টাইম স্পেন্ড করি। দিশা শয়তানি হেসে বলে ওঠে।
.
–” বাই দ্য ওয়ে তুমি অফিসে কি কোনো দরকার এর জন্য এসেছিলে? আমি জানি তোমার সাথে সাঁঝ এর রিলেশন । আর এটাও জানি যে ও ওর মন যতো দিন তোমার প্রতি আছে ততদিন তোমাদের রিলেশন আছে। তোমার খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি আমি সাঁঝ কে ছোট্ট থেকে চিনি। এক জিনিসের ওপরে ওর বেশি দিন মন টেকে না। তাই তোমাকে আগে থেকেই বলছি। আর সাঁঝ পছন্দ ও করে না ওর কাজের জায়গায় এই ভাবে এসে কেউ ডিসট্রাব করুক। মিথ্যে সহানুভূতি দেখিয়ে বলে ওঠে দিশা।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে চুপচাপ শুনে যাচ্ছে কথা গুলো। দিশা একবার বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে বেলার মুখে কোনো অনুভূতির চিহ্ন নেই। তাই আবারো বলে ওঠে।
.
–“আর তাছাড়া ওর মিটিং শেষ হলে আমাদের আজকে লাঞ্চ তারপর লং ড্রাইভ যাওয়ার প্ল্যান আছে। অনেক দিন দিয়ে সাঁঝ এর সাথে কোনো টাইম কাটানো হয়নি তাই সাঁঝ খুব বিরক্ত হয়ে আছে। তাই আজকে এসেই প্ল্যান করে নিয়েছে আমরা আজকে পুরোটা সময়ে এক সাথে থাকবো। দিশা বেলা কে দেখিয়ে লজ্জা পাওয়ার ভান করে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা বলে না চুপচাপ দিশার কথা গুলো শুনে যাচ্ছে। মনে মনে রাগ হচ্ছে তার কিন্তু মুখে কোনো রকম চিহ্ন নেই রাগ এর।
.
–“হয়ে গেছে? বলা শেষ? এবার আমি যেতে পারি? বলে দিশার হতভম্ব হয়ে যাওয়া মুখের দিকে তাকায়।
.
. এতক্ষণ ধরে বলা কথা গুলোর কোনো রকম প্রতিক্রিয়া ছাড়াই কোনো কথা না বলে তাকে এড়িয়ে যাচ্ছে ভেবে দিশা হতভম্ব হয়ে গেছে। বেলা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে গিয়েও ফিরে আসে।
.
–” ওহ হ্যাঁ আর একটা কথা নাইস ট্রাই। বাঁকা হেসে ওঠে বেলা। আসলে আমি এই সব ট্রিকে পা দেয় না। আমার বিশ্বাস এত টা ও ঠুংকো নয়। এই গুলো খুব সস্তা ছিল। ইউনিক কিছু ট্রাই করো তাহলে কাজে দেবে কেমন? আর থ্যাঙ্কস। আমার কিছু বিভ্রান্তি পরিষ্কার করে দেয়ার জন্য। বলে বেলা চলে যায় সাঁঝ এর কেবিনে।
.
. এদিকে বাইরে দাঁড়িয়ে ফুসছে দিশা। প্রথমে হতভম্ব হয়ে গেলেও বেলার বলা কথা গুলো শুনে রাগের পারদ যেনো চড়ে গেছে। নিজের কেবিনে গিয়ে টেবিলের ওপরে থাকা জিনিস পত্র ফেলে দেয় নিচে। রাগে পাগল হয়ে যাচ্ছে । সে বেলার সামনে এত কিছু বললো বেলা কে ছোটো করলো অথচ বেলা উল্টে তাকে অপমান করে চলে গেলো এটা ভাবতেই মাথা ছিড়ে যাচ্ছে দিশার। মাথা চেপে বসে পড়ে চেয়ারে।
.
–“আমাকে অপমান করা। ঠিক আছে তোমার খুব বিশ্বাস তাই না। আর যেনো কি বললে তোমার বিশ্বাস ঠুংকো নয়। তুমি এই সব ট্রিকে পা দাও না। সাঁঝ এর ওপরে তোমার খুব বিশ্বাস না এই বিশ্বাস যদি না আমি ভেঙে গুড়িয়ে দিতে পেরেছি তাহলে আমার নামও দিশা মির্জা না। তখন দেখব কোথায় থাকে তোমার বিশ্বাস। সাঁঝ কে নিয়ে খুব বড় বড় কথা না। সেই সময়ে আমিও দেখব কোথায় থাকে সেই বড় বড় কথা আর বিশ্বাস। তোমার থেকে আমি সাঁঝ কে কেড়ে নেবো। সাঁঝ শুধু আমার। তোমার চোখের সামনে সাঁঝ কে আমার হতে দেখবে তুমি। আর আমিও তখন দেখব তোমার বিশ্বাস এর জোর কতটা? এবার বোঝা যাবে তোমার বিশ্বাস এর জোর বেশি নাকি আমার করা প্ল্যান এর। বলেই ঘর কাঁপিয়ে হাসতে থাকে দিশা।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…..
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রিচেক করা হয়নি। সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊

(আজ আমি প্রচুর টায়ার্ড আর তার সাথে আমার মাথা পুরো হ্যাং হয়ে পুরো খিচুড়ি পাকিয়ে গেছে। তারপরে 1000 ওয়ার্ড এর ছোটো করে পার্ট লিখে দিলাম আপনাদের জন্য। জানি না কি খিচুড়ি লিখেছি তাও ঘুম ঘুম চোখে লিখেছি। তাই ভুল যুগ ক্ষমার চোখে দেখবেন আর নিজেদের মূল্যবান মতামত জানাবেন নেক্সট নাইস কে সাইট করে। গুনীত এভরিওয়ান 😊😊😊)

#
.
. 💝💝💝
.
. চলবে….
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন । সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊

(আজ পুরো পরিবেশ টা রোমান্টিক করে দিয়েছি। নেক্সট পার্ট আপনাদের ওপরে ডিপেন্ড করছে। আপনাদের নেক্সট এর মাঝে পড়ে আমি ডুবে যেতে বসেছি। এত তুমুল হারে নেক্সট আসে যে আমি আর উঠতে পারিনা নেক্সট এর মাঝে থেকে। নেক্সট দেখলেই আমিও নেক্সট পার্ট ডুব দেবো। তাই এখন আপনারা দেখুন। গঠনমূলক কমেন্ট না পেলেই আমি কালকে গল্প থেকে ডুব দেবো। 😊 😊 😊)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here