#The_Terrible_Lover
#অদ্রিতা_জান্নাত
#পর্ব__২২
চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি দুজনে ৷ আমার দৃষ্টি নিচের দিকে ৷ আর আরিহান তাকিয়ে আছেন আমার দিকে ৷ বেশকিছুক্ষন চুপ থেকে আমাকে ওনার দিকে ঘুরিয়ে বাহু ধরে ঝাকিয়ে বললেন,,,,,,
আরিহান : উত্তর দাও ৷ আজ সব বলতেই হবে তোমাকে ৷ কি চাও তুমি? চুপ করে থেকো না জবাব দাও ৷ আমি আর পারছি না ৷ আর কত অপেক্ষা করবো বলো? তুমি যদি চাও আমার থেকে দূরে চলে যেতে তাহলে আমিই চলে যাবো ৷ হারিয়ে যাবো তোমার জীবন থেকে ৷ আর কোনো দিন আসবো না ৷ নিজের চেহারাটাও দেখাবো না ৷ শেষ করে দিব…
আমি আরিহানের মুখে হাত দিয়ে ‘না’ সূচক মাথা নাড়ালাম ৷ উনি ওনার হাত দিয়ে আমার চোখের পানিটা মুছে দিলেম ৷ শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম ওনাকে ৷
কাশফিয়া : আর কখনো বলবেন না এরকম কথা প্লিজ ৷ খুব কষ্ট হয় আমার ৷ আমাকে ছেড়ে যাবেন না প্লিজ ৷
আরিহান : তুমি তো ভালোবাসো না আমাকে ৷ তাহলে কি করবো বলো? আর ভালোবাসলেও বলো না ৷
কাশফিয়া : জানিনা ৷ আমি আপনাকে ভালোবাসি নাকি? কিন্তু আপনি আমার থেকে দূরে যাবেন না প্লিজ ৷ খুব কষ্ট হয় এসব কথা শুনলে ৷ আমাকে একা রেখে কোত্থাও যাবেন না আপনি ৷ আমি আপনাকে সারাজীবন আমার পাশে চাই ৷ আমাকে ফেলে যাবেন না একদম প্লিজ ৷ আমার ভয় হয় আপনাকে নিয়ে ৷ অনেক ৷
আরিহান : আমি তো চাই না তোমাকে ফেলে যেতে ৷ তুমিই তো দূরে করে দাও আমাকে ৷ জোর করে বিয়ে করেছি বলে ঘৃণা করো আমাকে ৷ কীভাবে তোমার ঘৃণা নিয়ে বেঁচে থাকবো আমি?
কাশফিয়া : ওটা রাগের মাথায় বলেছিলাম আমি ৷
আরিহান : তাহলে এখন কি আমার উপরে রাগ নেই?
কাশফিয়া : আপনাকে দেখলেই রাগ গায়েব হয়ে যায় ৷ তাতে আমি কি করবো?
আরিহান : ভালোবাসো না আমাকে তবুও কেন থাকতে বলছো?
আমি মাথা তুলে আরিহানের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,
কাশফিয়া : আমি শুধু একটা কথাই জানি অাপনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না ৷
উনি আমার কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললেন,,,,,
আরিহান : তুমি যেহেতু বলেছো ছাড়বোনা কখনোই ৷ কিন্তু তুমি আমাকে ভুল বুঝে দূরে সরিয়ে দিলে?
কাশফিয়া : বিশ্বাস আছে আমার ৷
আরিহান : স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছো আমাকে?
আমি ওনার বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে নিলাম ৷ ছোট্ট করে বললাম,,,,, “হুম” ৷
বেশকিছুক্ষন পর এরকমভাবে থেকেই বললাম,,,,
কাশফিয়া : শুনুন?
আরিহান : হুম..?
কাশফিয়া : আপনার মায়ের সাথে সব অভিমান ভেঙ্গে ফেলুন ৷ আবার আগের মতো হয়ে যান ৷
আরিহান : এতই সোজা কি?
কাশফিয়া : আমি জানি ভুল করেছেন উনি ৷ সেটা হয়তো বুঝতে পেরেছে ৷ শুধু শুধু অতিতকে মনে রেখে বর্তমানে কষ্ট কেন পাবেন? একটু চেষ্টা করুন অন্তত আমার জন্য ৷
আরিহান : হুম ৷
কাশফিয়া : হুম কি?
আরিহান : যা বলছো তা করবো ৷
কাশফিয়া : দেখি কেমন করেন ৷ আর আপনি নিজের রাগটা একটু কমাবেন ঠিক আছে?
আরিহান : ইশ আমাকে মেনে নিয়েছো বলে কি তোমার কথা মেনে চলতে হবে আমার?
কাশফিয়া : হ্যাঁ হবে ৷
আরিহান : না পারবো না ৷
কাশফিয়া : কি বললেন? ছাড়ুন আমি এক্ষুনি আম্মুর কাছে চলে যাবো ৷
আরিহান : আচ্ছা আচ্ছা সব পারবো হয়েছে?
কাশফিয়া : হুহ ৷
উনি শব্দ করে হেসে দিলেন ৷ আমি মাথা তুলে ওনার দিকে তাকালাম ৷ কতদিন পর প্রাণ খুলে হাসছেন উনি ৷ আরিহানের হাসি দেখে আমার মুখেও হাসি ফুটে উঠলো ৷ কখনোই ভাবতে পারিনি যাকে আগে সহ্য করতে পারতাম না তাকে এখন পাশে না দেখলে অস্বস্থিরতা শুরু হয়ে যায় ৷ উনি আমার কপালে একটা চুমু খেয়ে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন সাথে আমিও ৷
___________________
বেডে বসে মোবাইল টিপছি আমি ৷ আর আরিহান সোফায় বসে ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছেন ৷ হঠাৎ দরজা নক করার আওয়াজে বাহিরে তাকিয়ে দেখি আরিহানের মা দাঁড়িয়ে আছেন ৷ হাতে একটা ট্রে নিয়ে ৷ তাকে দেখে ভিতরে আসতে বললাম আমি ৷ উনি আস্তে করে ভিতরে এসে হাতের ট্রেটা সামনের টেবিলে রেখে আরিহানের পাশে সোফায় বসলেন ৷ ওনাকে হালকা করে একটু দেখে আরিহান কাজে মন দিলেন ৷
আরিহানের মা ট্রে থেকে একটা বাটি হাতে নিয়ে আরিহানের উদ্দেশ্যে বললেন,,,,,,
— দেখ তোর পচ্ছন্দের খাবার নিজের হাতে বানিয়ে নিয়ে এসেছি ৷ মনে আছে? ছোটবেলায় এইটা খাওয়ার জন্য আমার পিছে পিছে ঘুরতি ৷ আজ আমি খাওয়ানোর জন্য তোর পিছে পিছে ঘুরছি ৷ খাবি বাবা মায়ের হাতে?
আরিহান আমার দিকে তাকালে আমি তাকে ইশারায় খেতে বললাম ৷ আরিহানের মা এক চামচ নিয়ে আরিহানের সামনে ধরে বললো,,,,
— তোর মায়ের হাতের স্পেশাল পায়েস ৷ নে হা কর ৷
আরিহান ওনার মায়ের হাতে খেয়ে নিলো ৷ তারপর বললো,,,,
আরিহান : আর না ৷ পেট ভরা আমার ৷
আরিহানের মা কিছুক্ষন ওনার দিকে তাকিয়ে আমার দিকে বাটি হাতে এগিয়ে এলেন ৷ মুখের সামনে এক চামচ ধরে বললেন,,,,,
— খেয়ে দেখো ৷
কাশফিয়া : আন্টি আমি পায়েস খাই না ৷
— নাও হা করো একটু খেলে কিছু হবে না ৷
বলেই চামচ মুখে ঢুকিয়ে দিলেন ৷ আমি তো ভেবেছিলাম এই মহিলার রাগ, জেদ ভাঙ্গতে আমাকে কাঠ খড় পোড়াতে হবে ৷ কিন্তু এত তাড়াতাড়ি এতো সুন্দর শুধরে গেলো? পায়েসের বাটিটা আমার হাতে দিয়ে বললেন,,,,,
— খেয়ে নিও ৷ আর আমাকে আন্টি বলে ডাকতে হবে না ৷ আগে যা বলতে তাই ই বলো ৷
দরজার কাছে গিয়ে চলে যেতে নিয়েও থেমে পিছনে ঘুরে বললেন,,,,,,
— দুদিন হয়ে গেল আছি ৷ কই তোমাদের মেয়েকে তো দেখি নি আমি ৷ কই সে?
ওনার কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো আমার ৷ মোবাইলের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে একবার আরিহানের মায়ের দিকে তো আরেকবার আরিহানের দিকে তাকালাম ৷ আরিহানকে দেখে একটা ঢোক গিললাম ৷ আরিহানের মা আবার বললেন,,,,
— কি হলো বলো? আমার নাতনি কোথায়?
আরিহান : এসব কি বলছেন আপনি? নাতনি কোথা থেকে আসবে?
— না আসার কি হলো? তোমাদের বিয়ে এতো গুলো বছর হয়ে গেলো তো ছেলে মেয়ে থাকা কি অস্বাভাবিক ব্যাপার?
আরিহান : এতোগুলো বছর মানে? এক মাসও হয়নি সেখানে বছর কোত্থেকে আসবে?
— কিইই?
আরিহান : এসব কে বললো আপনাকে?
— আরে ওই মেয়েটা কি যেন নাম?
কাশফিয়া : ককই কোনো ননাম নেই তো ৷ মমানে ভভুল শুনেছেন হয়তো ৷
— ভুল?
কাশফিয়া : হ্যাঁ হ্যাঁ ভুল ৷
— কি জানি?
বলেই উনি কি ভাবতে ভাবতে চলে গেলেন ৷ আরিহানের দিকে তাকিয়ে দেখি উনি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে ৷ আমি তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে পায়েসের বাটিটা টেবিলে রেখে আরিহানকে বললাম,,,,,
কাশফিয়া : খখখেয়ে নিন হুম? আমি আসছি ৷ কাজ আছে আমার ৷
বলে এগিয়ে যেতে নিলেই শাড়ির আঁচলে টান পরলো ৷ আমি কাঁধে হাত দিয়ে পিছনে তাকিয়ে বললাম,,,,
কাশফিয়া : আআমাকে নিচে যেতে হবে বললাম না? তাহলে ধধরেছেন কেন?
আরিহান : ওই মহিলা এসব কি বলে গেলো?
কাশফিয়া : ককোন মহিলা?
আরিহান হাতে আঁচল পেচিয়ে পেচিয়ে এগিয়ে আসতে আসতে বললেন,,,,,
আরিহান : বুঝতে পারছো না?
কাশফিয়া : হ্যাঁ না মানে হ্যাঁ আপনি তো আপনার মায়ের কথা বলছেন না? তো ওই মহিলা কেন বলছেন? মম বলবেন ওকে?
আরিহান : আগে আমার কথার এন্সার দাও ৷
কাশফিয়া : ককি?
আরিহান : এতোগুলো বছর হয়ে গিয়েছে আমাদের বিয়ে হয়েছে?
কাশফিয়া : ননাহ ৷
আরিহান : তাহলে কি? কোত্থেকে জানলেন উনি বলো ৷
কাশফিয়া : সব বলবো?
আরিহান : তাহলে কি অর্ধেক বলবা? (ধমকে)
কাশফিয়া : না না সবটাই বলছি ৷
তারপর গতকালের সব কথা খুলে বললাম ওনাকে ৷ উনি কিছুক্ষন হা করে থেকে হাসতে লাগলেন ৷ আমি ওনাকে ধাক্কা দিয়ে বললাম,,,
কাশফিয়া : আজিব হাসছেন কেন?
আরিহান : হাসবো না? শেষমেষ আমার মাকে পটাতে এই উপায়?
কাশফিয়া : আমি বলছি এসব? ওই শয়তান মাইয়াটার জন্য আমি ফেসে গেছি ৷ ইচ্ছা করতেছে একটা উস্টা দিয়া ওরে উগান্ডা পাঠাইয়া দেই ৷
আরিহান : একদম নয় ৷ যা করছে একদম ঠিক করছে ৷ ওকে তো গিফ্ট দেয়া উচিত আমার ৷ আমার শালিকার মাথায় যে এতো বুদ্ধি জানতামই না আমি ৷
কাশফিয়া : ওই রাখেন আপনি আপনার শালিকার বুদ্ধি ৷ আবার আসছে গিফ্ট দিতে ৷ আমাকে দিছেন কখনো?
আরিহান : জ্বলতেছো নাকি?
কাশফিয়া : জ্বিইইই নাহ ৷ ধুর ভাল লাগে না ৷
আমি চলে যেতে নিলেই আবার টান পরে শাড়িতে ৷ আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম আঁচলটা ওনার হাতে পেচানো ৷ আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম ৷ উনি হাতে থেকে আঁচল খুলে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলেন আমাকে ৷ কেঁপে উঠলাম আমি ৷ কাঁধে থুতনি রেখে বললেন,,,
আরিহান : পালিয়ে যাচ্ছো কেন?
কাশফিয়া : ককোথায়?
আরিহান : এইযে ৷ ধরে না রাখলে তো এখনি পালিয়ে যেতে ৷
আমি চুপ করে রইলাম ৷ অস্বস্থি হচ্ছে ৷ কথাগুলো গলায় আটকে যাচ্ছে বারবার ৷ উনি শব্দ করে আমার কাঁধে একটা চুমু খেলেন ৷ চোখ বন্ধ করে কাঁপাকাঁপা গলায় বললাম,,,,
কাশফিয়া : ছছাড়ুন আমাকে ৷
আরিহান : উহু ৷
কাশফিয়া : প্লিজ ৷
আমাকে ওনার দিকে ঘুরিয়ে চোখে চুমু দিয়ে বললেন,,,,
আরিহান : এবারের মতো ছেড়ে দিলাম ৷ পরের বার কোনো ছাড়াছাড়ি নেই ৷
আমি চোখ খুলে এক দৌঁড়ে বাহিরে চলে এলাম ৷
.
.
.
রাতের বেলা ডাইনিং টেবিলে বসে সবাই খাচ্ছিলো তখন আরিহান বারবার বলছিলেন,,,, “মম এটা দাও ৷ মম ওইটা কিন্তু অনেক মজা হয়েছে ৷ ব্লা ব্লা ব্লা” আরো কত কিছু বললেন ৷ সবাই অবাক হয়ে আরিহানকে দেখছিলেন ৷ কিন্তু ওনার এরকম ব্যবহারে সবাই খুশি হয়েছে ৷
__________________
পরেরদিন…
রেডি হয়ে বেরিয়ে পরলাম আমরা আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে ৷ কতদিন পর আম্মু আব্বুকে দেখবো ভাবলেই মনটা খুশিতে ভরে যায় ৷ কিছুক্ষনপর আরিহান গাড়ি থামালেন একটা শপিংমলের সামনে ৷ গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে যেতে যেতে আমি বললাম,,,,,
কাশফিয়া : এখানে কেন এলাম?
আরিহান : শ্বশুড় শ্বাশুড়ির জন্য কিছু নিবো না তা কি করে হয়?
কাশফিয়া : মানুষ তো খাবার নিয়ে যায় ৷ আর আপনি কাপড় চোপড় নিবেন?
আরিহান : তো? দুটোই নিবো প্রবলেম?
কাশফিয়া : আমার আবার কি সমস্যা হবে?
আরিহান : তাহলে চলো ভিতরে চলো ৷
শপিংমলের ভিতরে গিয়ে আরিহান আশেপাশে তাকাতে তাকাতে বললেন,,,,,,,
আরিহান : আলাদা আলাদা চুজ করতে হবে ৷ না হলে দেরি হয়ে যাবে ৷ তুমি তোমার মায়ের জন্য শাড়ি দেখো ৷ আমি তোমার বাবারটা দেখছি ৷
কাশফিয়া : আলাদা আলাদা?
আরিহান : হুম ওইদিকটায় যাও ৷ যেটা পচ্ছন্দ হবে প্যাক করে দিতে বলবা আমি এসে বিল পে করে দিবো ৷ যাও আমি এদিকটায় আছি ৷
কাশফিয়া : আচ্ছা ৷
বলেই আমি অন্যপাশে চলে এলাম ৷ পচ্ছন্দ মতো কয়েকটা শাড়ি কিনে প্যাক করে নিলাম ৷ কিন্তু আরিহান এখনো আসেন নি ৷ ব্যাগ হাতে ক্যাশ কাউন্টারে যাওয়ার সময়ই হাতে টান পরলো ৷ কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে টেনে নিয়ে একটা দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো ৷ ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলাম আমি ৷ চোখ খুলে সামনে তাকাতেই সায়ানকে দেখতে পেলাম ৷ আলো থাকায় ততো অসুবিধা হয়নি ৷ কিন্তু ও এখানে তাও আমাকে টেনে নিয়ে এসেছে এটা দেখে রাগ হলো ৷ রাগে ওর হাত ঝাটকা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বললাম,,,,,
কাশফিয়া : কি হয়েছে কি? এভাবে টেনে আনার মানে কি? বলেছি না আমার থেকে দূরে থাকতে ৷
সায়ান : এতোটা ঘৃণা করিস আমাকে?
কাশফিয়া : তুমি যেরকম কাজ করেছো এরপর তোমাকে ঘৃণা না করার তো কোনো কারণ নেই ৷
সায়ান : কি করেছি আমি? হ্যাঁ কি করেছি? ড্রাগস বিক্রি করেছি শুধু তাই বলে তোর ভালোবাসাকে ভুলে যাবি?
কাশফিয়া : ভালোবাসি না আমি তোমাকে ৷
সায়ান : তাহলে কি তুই ওই আরিহানকে ভালোবাসিস?
কাশফিয়া : হ্যাঁ বাসি সমস্যা তোমার? আমার যেমন বিয়ে হয়ে গেছে ৷ তেমন তুমিও করে নাও ৷ আমি ভালো আছি আরিহানকে নিয়ে ৷
সায়ান : এতো সোজাভাবেই আরিহানকে বিশ্বাস করে নিলি?
কাশফিয়া : বিশ্বাস না করার তো কোনো প্রশ্ন আসে না এখানে ৷ উনি আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসেন সেখানে আমি একটু বিশ্বাস করতে পারবো না?
সায়ান : ওও তাহলে আয় তোর এই বিশ্বাসের আজ আমি প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছি ৷
কাশফিয়া : কোথায়?
সায়ান : সেটা গেলেই দেখতে পাবি ৷
আমাকে টেনে নিয়ে সায়ান শপিং মলের পিছনে নিয়ে গেলো ৷ তারপর আমাকে ধাক্কা দিয়ে বললো,,,
সায়ান : দেখ তোর বিশ্বাস ৷ দেখ তোর আরিহানকে ৷
আমি ওর থেকে চোখ সরিয়ে সামনের দিকে তাকালাম ৷ আমার হাত থেকে সব ব্যাগ গুলো পরে গেলো ৷ হাত পা সব কাঁপতে লাগলো ৷ চোখ থেকে পানি পরছে আমার ৷ কোনো রকমে মাথা চেপে ধরে জোরে চিৎকার করে মাটিতে পরে গেলাম ৷ হালকা হালকা আবছা ভাবে দেখতে পেলাম আরিহান এগিয়ে আসছেন আমার দিকে ৷ কাঁপাকাঁপা গলায় তাকে বললাম,,,,,, “অআসবেন…না…ধধরবেন…না…ছছোঁবেন…না… আমায়” ৷
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,