The_Terrible_Lover part 23

#The_Terrible_Lover
#অদ্রিতা_জান্নাত
#পর্ব__২৩

আস্তে আস্তে চোখ খুললাম ৷ একটা রুমের বিছানায় শুয়ে আছি ৷ কিছুক্ষন বুজতে পারলাম না যে কি হয়েছে আমার ৷ পরক্ষনেই একটু আগের ঘটনা মনে পরে গেলো ৷ ঘরের চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখি আরিহান আমার পাশেই বসে আছেন চোখ বন্ধ করে ৷ ওনাকে দেখে ভয়ে দূরে চলে গেলাম ৷ উনি চোখ খুলে আমার কাছে আসতে গেলে বললাম,,,,,

কাশফিয়া : নননা না প্লিজ ৷ আআসবেন না ৷ আমার কাছে আসবেন না ৷

আরিহান : কাশফিয়া তোমার কি হয়েছে? এরকম কেন করছো? ভয় পাচ্ছো কেন? আমার কথা শোনো ৷

কাশফিয়া : আআমার কাছে আসবেন ননা প্লিজ ৷ আআপনি দদূরে যান ৷ এএগোবেন না ৷

আরিহান : আচ্ছা এগোবো না ৷ কিন্তু এরকম কেন করছো?

কাশফিয়া : আআপনি খখখুনি ৷ ওওই ছেলেটাকে মমেরে ফেলেছেন ৷ আআমাকেও মমেরে দিবেন ৷ আসবেন না ৷ চচলে যান আপনি ৷

আরিহান : কেন মারবো তোমাকে? শুধু শুধু ভয় কেন পাচ্ছো? আমি মারবো না তোমাকে ৷ তুমি ভুল বুঝচ্ছো৷

কাশফিয়া : ভভুল ননা ৷ ঠঠিক বলেছি ৷ আপনি একটা খখুনি ৷ চচলে যাবো আমি ৷ থাকবো নননা ৷

বলে নেমে চলে যেতে নিলে আরিহান আমার হাত ধরে বললো,,,,,

আরিহান : কাশফিয়া আমার পুরো কথাটা তো শোনো ৷

আমি মাথা নাড়িয়ে ‘না’ করে আরিহানকে জোরে একটা ধাক্কা দিলাম ৷ আরিহান টাল সামলাতে না পেরে ছিটকে দূরে পরে গেলো ৷ আমি সাথে সাথে দৌঁড় দিয়ে বাহিরে আসতে গেলে একটা মহিলার সঙ্গে ধাক্কা খেলাম ৷ পরে যেতে নিলে আমাকে ধরে ফেললো সে ৷ আমি দাঁড়িয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি আরিহান আসছেন ৷ আমি মহিলাটিকে ছাড়িয়ে চলে যেতে নিয়েও পারলাম না ৷ আরিহান হাত ধরে টেনে এনে ঠাস করে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলেন ৷ আমি গালে হাত দিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে দিলাম ৷ উনি আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললেন,,,,,

আরিহান : কেন এরকম করছো বলো তো? কি করেছি আমি? আমাকে মারতে দেখেছো বলে এরকম করছো তুমি?

কাশফিয়া : আআপনি…এএকটা…খুনি ৷ থথাকবো না…আমি আআপনার…কাছে ৷

আরিহান : আমি কেন করেছি সেটা কি জানতে চাইবে না? শুধু শুধু অর্ধেক জেনে দোষারোপ করবে?

আমি চুপ করে রইলাম ৷ আর ভাবতে লাগলাম তখনকার কথা ৷ যখন সায়ান আমাকে আরিহানের কাছে নিয়ে গিয়েছিল ৷ আমি সামনে তাকাতেই দেখতে পেয়েছিলাম আরিহানকে ৷ আরিহানের সামনে একটা ছেলে পরে ছিল রক্তাত্ত অবস্থায় ৷ ছেলেটার একটা হাত কেটে ফেলা হয়েছিল আর সেই জন্য রক্ত ভেসে যাচ্ছিল ৷ আর আরিহানের হাতে ছিল বড় লম্বা একটা চাকু ৷ যেটা দেখেই আমার মাথা ঘুরে গিয়েছিল তখন ৷ হাত পা কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ এমনিতেই এসবে আমার ফোবিয়া আছে ৷ তার উপর আরিহানকে এভাবে দেখে আমার মাথা ঠিক ছিল না ৷ তাকে দেখেই ভয় হচ্ছিল আমার ৷

এখনো ভয় লাগছে ওনাকে ৷ কিন্তু ওনার বুকে মাথা রেখে ভয়টা অনেকটা হাল্কা হয়ে গিয়েছে ৷ আরিহানের আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললেন,,,,

আরিহান : কি হলো?

কাশফিয়া : আমি থাকবো না আপনার কাছে ৷ (ঠোঁট উল্টে)

আরিহান : আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে?

কাশফিয়া : জানিনা ৷ কিন্তু আপনি খুব খারাপ ৷

আরিহান : ওই ছেলেটা তোমার পিছু নিচ্ছিল তাই মেরেছি ৷

আমি মুখ তুলে বললাম,,,,,

কাশফিয়া : মানে?

আরিহান : তুমি যখন শাড়ি চুজ করছিলে তখন এই ছেলেটা তোমার দিকে বাজে নজরে তাকিয়ে ছিল ৷ আমি তোমার কাছে যখন আসতে নিয়েছিলাম তখন দেখেছিলাম ৷ খুব রাগ হয়েছে আমার ৷ তারপর তুমি যখন ক্যাশ কাউন্টারে যাচ্ছিলে তখন ওই ছেলেটা তোমার পিছু পিছু যাচ্ছিল ৷ তাই ছেলেটাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মেরেছি আমি ৷

ওনার কথা শুনে হাত পা কাঁপছিল আমার ৷ এতোটা হিংস্র রূপ আমি আগে কখনো দেখেনি ৷ না চাইতেও ভয় লাগছে ৷

আরিহান : কি হয়েছে? এরকম করছো কেন?

কাশফিয়া : পপানি পানি খাবো ৷

আরিহান আমাকে বেডে বসিয়ে পানির গ্লাস হাতে দিলেন ৷ পুরোটা খেয়ে নিজেকে শান্ত করলাম আমি ৷ আরিহান গ্লাসটা নিয়ে বললেন,,,,

আরিহান : আসলে তোমার কি হয়েছে? এত ভয়?

কাশফিয়া : আআপনি এএসব কেন করেছেন?

আরিহান : করবো না কেন তাই বলো? আমার নজরে না পরলে ওই ছেলেটা তোমার ক্ষতি করে দিতে পারতো তখন? আর শুধু তোমার না যেকোনো মেয়ের ৷

কাশফিয়া : তাই বলে আপনি এভাবে মারবেন?

আরিহান : হ্যাঁ মারবো ৷ কারণ ওরা কিন্তু মারতে দুবারও ভাবতো না সেখানে আমি কেন ভাববো? কিছু কিছু ছেলেদের জন্য আমরা সব ছেলেরাই দোষী হই ৷ কেন? যেটা আমরা করি নি সেটার দোষ কেন পাবো?

কাশফিয়া : তাই বলে এসব কাজে নিজেকে জড়াবেন?

আরিহান : হ্যাঁ জড়াবো ৷ শুধু তোমার জন্য না এখানে অন্য কোনো মেয়ে থাকলেও এরকম করতাম আমি ৷ যেই চোখ দিয়ে বাজে নজড় দিবে সেই চোখ আমি উপরে ফেলবো ৷ যেই কান দিয়ে বাজে কথা শুনেছে তাদের কান কেটে ফেলবো ৷ যে মুখ দিয়ে ওরা খারাপ কথা বলেছে সেই মুখ….

কাশফিয়া : চুপ ৷ (চিৎকার করে মাথায় হাত দিয়ে) চুপ করুন ৷ চুপ করুন ৷ আমি আর পারছি না ৷ পারছি না আমি ৷

আরিহান : আচ্ছা আচ্ছা কি হয়েছে? কোথায় কষ্ট হচ্ছে?

কাশফিয়া : আপনি এসব কাজ থেকে বেরিয়ে আসুন প্লিজ ৷ আমার এইসব ভাবলেও হাত পা কাঁপতে থাকে ৷ প্লিজ আপনি আর কাউকে মারবেন না ৷ প্রাণে মারবেন না প্লিজ ৷ আমি আর সহ্য করতে পারছি না ৷

আরিহান : আচ্ছা আচ্ছা ৷ তুমি শান্ত হও আগে ৷ আর তুমি কি যাবে নাকি যাবে না?

কাশফিয়া : কোথায়?

আরিহান : তোমার বাবা মায়ের কাছে ৷

কাশফিয়া : এখন আমরা কোথায়?

আরিহান : শপিংমলের পাশের একটা ক্লিনিকে নিয়ে এসেছি তোমাকে ৷ তুমি সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলে তাই৷

কাশফিয়া : সায়ান কোথায়?

আরিহান : ওকে ধরার আগেই ও চলে গিয়েছে ৷ এখন চলো এমনিতেই দেরি হয়ে গিয়েছে ৷

কাশফিয়া : হুম ৷

_____________________

বাসায় এসে কলিংবেল বাজালে আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো ৷ আর আমি আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বললাম,,,,

কাশফিয়া : কেমন আছো আম্মু?

আম্মু : তুই এসেছিস? বিশ্বাসই হচ্ছে না আমার ৷ আয় মা ভিতরে আয় ৷ আসো বাবা ভিতরে এসো ৷

আরিহান আর আমি ভিতরে গেলাম ৷ উপর থেকে আব্বু নামছে ৷ আব্বুর কাছে গিয়ে আব্বুকে জড়িয়ে ধরে বললাম,,,,,

কাশফিয়া : কেমন আছো আব্বু? নিজের একদম খেয়াল রাখো না তুমি? কতটা শুকিয়ে গেছো দেখো ৷

আব্বু : বয়স হলে এরকম হয়রে মা ৷ আর তুই এসেছিস আমি ভালো হয়ে গেছি ৷

আমি আব্বুকে নিচে নিয়ে এসে সোফায় বসিয়ে দিলাম ৷ তারপর হাঁটু গেড়ে বসে বললাম,,,,,

কাশফিয়া : কে বলেছে তোমার বয়স হয়ে গেছে? তুমি বুড়ো হয়ে গেছো? তোমাকে বিয়ে করতে এখনো মেয়েরা লাইনে দাঁড়াবে বুঝেছো?

আব্বু : পাগলি মেয়ে আমার ৷ কতদিন পর এলি বলতো?

কাশফিয়া : সরি ৷ (কান ধরে)

আব্বু : আচ্ছা আচ্ছা ওঠ এখন ৷ এখানে বস তো ৷ কনিকা (আম্মু) খাবারের ব্যবস্থা করো ৷ আর তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেন? বসো? (আরিহানকে)

কাশফিয়া : আব্বু রাগ করে নেই তো তুমি আমার ওপর?

আব্বু : না রে মা ৷ রাগ কেন করবো বল? তোর খুশিই তো আমাদের খুশি ৷ তুই তো ভুল করিস নি?

আরিহান : আমি ভুল করেছি ৷ কাশফিয়াকে আর আপনাদেরও জোর করেছি ৷ মাফ করে দিবেন ৷

আব্বু : আরে না ভুল সবাই করে ৷ বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক ৷ তবে আমার মেয়েটাকে সুখে রাখতে হবে নয়তো তোমার খবর আছে ৷

আরিহান : নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো আমি বাবা ৷

কাশফিয়া : আব্বু আমি আসি ৷ ফ্রেশ হয়ে তোমাদের সঙ্গে সারাদিন গল্প করবো আমরা ৷

আব্বু : আচ্ছা ঠিক আছে যা ৷ জামাইকেও নিয়ে যা ৷

আমি আর আরিহান উপরে চলে এলাম ৷ উনি ফ্রেশ হতে গেলেন আর আমি বেলকনিতে চলে গেলাম ৷ অনেকদিন এখানে দাঁড়িয়ে টাইম স্পেন্ড করিনা ৷ জীবনটা কত সহজেই বদলে গেলো ৷ প্রাণ ভরে খোলা বাতাসে একটা নিঃশ্বাস টেনে নিলাম ৷ কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে রইলাম ৷

হঠাৎ পেছন থেকে আরিহান জড়িয়ে ধরলেন আমাকে ৷ কেঁপে উঠলাম আমি কিন্তু কিছু বললাম না ৷ চুপ করে রইলাম ৷ আরিহান বললেন,,,,,,

আরিহান : রাগ করেছো আমার উপর?

কাশফিয়া : কেন?

আরিহান : এই যে আমি এসব খারাপ কাজ করি বলে?

কাশফিয়া : এরকম ভাবে মারা মোটেও ভালো না ৷ আমার এসব দেখলে প্রচুর ভয় করে ৷ আপনি সেফটির কথা ভেবে এসব করছেন বুঝতে পারছি ৷ কিন্তু প্রাণে মারবেন না প্লিজ ৷

আরিহান আমাকে তার দিকে ঘুরিয়ে বললেন,,,,,,

আরিহান : আচ্ছা ঠিক আছে ৷

কাশফিয়া : প্রমিজ করুন ৷

আরিহান : প্রমিজ তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না তো কখনো?

কাশফিয়া : উহু ৷

আরিহান : প্রমিজ করো ৷

কাশফিয়া : প্রমিজ ৷

আরিহান : রাগ করে নেই তো আর?

কাশফিয়া : উহু ৷

আরিহান : তো এখানে দাঁড়িয়ে কি করছো?

কাশফিয়া : অনেকদিন পর আসলাম তো তাই দেখছিলাম ৷

আরিহান আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,,,,,

আরিহান : ওই সময় তোমাকে থাপ্পড় মেরেছিলাম খুব লেগেছিল না?

কাশফিয়া : হুম ৷

আরিহান : রাগ উঠে গিয়েছিল ৷ আমার কোনো কথাই শুনছিলে না তুমি তাই ৷ কি করবো বলো?

কাশফিয়া : আমাকে না ছাড়লেই হবে ৷

বলে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম ওনাকে ৷ উনি আমার মুখটা উঁচু করে তুলে ধরে গালে ঠোঁট ছোঁয়ালেন ৷ যেখানে থাপ্পড়টা মেরেছিলেন ৷ তারপর বললেন,,,,

আরিহান : কোন জায়গা তোমার পচ্ছন্দ?

কাশফিয়া : মানে?

আরিহান : অনেক দিন তো হলো ৷ এবার হানিমুনে যাওয়া দরকার কি বলো?

কাশফিয়া : আমার পাহাড়ি এলাকা অনেক পচ্ছন্দ ৷ আব্বু কখনো নিয়ে যায় নি ৷ কারণ পাহাড়ি রাস্তা রিস্কি হয় ৷ তাই নিতো না ৷ আপনি নিয়ে যাবেন?

আরিহান : কেন নয়? তুমি যেখানে যাবে সেখানেই নিয়ে যাবো ৷

কাশফিয়া : ইয়েএএ ঘুরতে যাবো আমরা?

আরিহান : না হানিমুনে যাবো ৷

কাশফিয়া : ওই একি হলো ৷

আরিহান : উহু ৷ এখন আমার কিন্তু খুব খিদে পেয়েছে ৷ দুপুর হয়ে গিয়েছে কিছু খাইনি ৷

কাশফিয়া : তো ছাড়ুন আমাকে ৷ ফ্রেশ হয়ে আসি আমি তারপর নিচে গিয়ে খেয়ে নিবো ৷

আরিহান : ছাড়তেই তো ইচ্ছা করছে না ৷

কাশফিয়া : উফ ছাড়ুন তো ৷ আগে খেয়ে নি পরে যা করার করবেন আগে ছাড়ুন ৷

আরিহান : যা করার করবো?

কাশফিয়া : হুম এবার তো ছাড়ুন ৷

উনি আমাকে ছেড়ে দিলে দৌঁড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম তারপর একটু উঁকি দিয়ে চিল্লিয়ে বললাম,,,,

কাশফিয়া : আজ সারাদিন আমার আম্মু আব্বুর ৷ আপনাকে কিন্তু টাইম দিতে পারবো না ৷ তাই আশা আর অপেক্ষা করেও লাভ নেই ৷

বলেই দরজা লাগিয়ে দিলাম আমি ৷ উনি বাহির থেকে বললেন,,,,,

আরিহান : তবে রে? বাহিরে এসো দেখাচ্ছি মজা ৷

ফ্রেশ হয়ে পা টিপে টিপে নিচে চলে গেলাম আমি ৷ আরিহান নিচে আব্বুর সাথে বসে গল্প করছিলেন কিন্তু এতক্ষন শুধু শুধু ভয় পেয়েছি আমি ৷ আম্মু, আব্বু আর আরিহানকে টেবিলে বসতে বললো ৷ আমি আম্মুর পাশে বসেছি ৷ আর আরিহান আব্বুর পাশে আর আমার সামনে ৷ আম্মুকে বললাম,,,,,

কাশফিয়া : খাইয়ে দাও না আম্মু ৷ কতদিন হলো তোমার হাতে খাই না ৷

আম্মু : আচ্ছা তুই বস হাত ধুয়ে নিচ্ছি আমি ৷

আম্মু হাত ধুয়ে খাইয়ে দিতে লাগলো ৷ এদিকে আব্বু আরিহানকে এটা, ওটা জিজ্ঞেস করছে ৷ আর উনি হ্যাঁ, না করে যাচ্ছেন ৷ আমি ফোন টিপছি আর খাচ্ছি ৷ এরমধ্যে আরিহান টেবিলের নিচে পা দিয়ে আমার পায়ে সুরসুরি দিচ্ছেন ৷ তাই হঠাৎ কাশি উঠে গেলো আমার ৷ আম্মু আমাকে পানি এগিয়ে দিয়ে বললো,,,,

আম্মু : কি হলো আবার? ঠিক ভাবে খাবি তো নাকি?

পানি খেয়ে আমি বললাম,,,,,

কাশফিয়া : ওহ আম্মু আমি তো ঠিক ভাবেই খাচ্ছি ৷

আম্মু : তাহলে কাশি উঠলো কেন?

কাশফিয়া : একটা ফাজিল মানুষরূপি বিড়ালের জন্য খেতে পারছি না আমি?

আম্মু : বিড়াল মানে?

কাশফিয়া : উফফ আম্মু তুমি এতো কথা বলো কেন বলোতো? চুপচাপ খাওয়ায় তো ৷

আরিহানের দিকে তাকিয়ে দেখি উনি রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে ৷ আমি মনে মনে একটা ঢোক গিলে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে একটা হাসি দিলাম ৷ আর ওনার পায়ে জোরে দিলাম একটা লাথি ৷ উনি টেবিলের নিচে পায়ে হাত দিয়ে,,,”আউচ” করে উঠলেন ৷ পাশ থেকে আব্বু বললো,,,,

আব্বু : কি হয়েছে বাবা?

আরিহান : না না কিছু না ৷ কিছু না ৷

তারপর আমার দিকে তাকিয়ে ইশারা করে বললেন,,,, “আসো একবার আমার কাছে ৷ তোমার কি করি দেখিও ৷” আমিও মুচকি হেসে ওনাকে ইশারা করে বললাম,,,, “ওক্কে ৷ আই ডোন্ট কেয়ার ৷”
তারপর মোবাইল দেখায় মনোযোগ দিলাম আমি ৷ জানিনা আজ আমার কপালে কি আছে!!

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

(এখন সবটা ক্লিয়ার কি? আগামী পর্বে আরেকটু ক্লিয়ার করবো ৷ ততক্ষন অপেক্ষা করুন ৷)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here