#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইলাম
#পর্ব ২৩
এই মুহুর্তে মিহি আমার হাতের ডাইরিতে লেখাগুলো পড়লে আমাকে অবশ্য ই ভুল বুঝবে। মিহি যেভাবে তাকিয়ে আছে আল্লাহ জানে কী ভাবছে।
আচমকা ই আমাকে জড়িয়ে ধরে বললল,
–আমি না হয় ভুল করেছি তাই কী আমাকে এভাবে শাস্তি দিবেন। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে অভ্র আই এম সরি। প্লিজ ক্ষমা করে দিন আর কখনো আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করবো নাহ।
মিহির এতো আদর মিশ্রিত কথা শোনে অভ্রের রাগ ভেঙ্গে গেলো। অভ্র ও পরম উষ্ণতায় বহুডোরে জড়িয়ে নিলো। মিহির খোলা চুলে মন মাতানো ঘ্রাণে মাতাল করে তোলছে অভ্রকে। চুলে মুখ ডুবিয়ে দিলো অভ্র।
হঠাৎ ই অভ্রের ফোন বেজে উঠলো,বিরক্তি নিয়ে ফোন রিসিভ করতে ই দাদিমার বজ্রকন্ঠ শোনতে পেলে,
–মিহি কী তোর অফিসে গিয়েছে।
অভ্র মিহির দিকে তাকিয়ে বললো,
–নাহ্ দাদিমা, আপদটা আসেনি তো।
মিহি এবার বড় বড় চোখ করে অভ্রের কাছ থেকে ফোনটা এনে কল কেটে দিয়ে জিজ্ঞেস করে,
–আমাকে আপনি আপদ বলছেন।
–আরে না তুমি তো আমার মিষ্টি বউ আপদ বলবো কেনো।
–তাহলে কী বলতে চাচ্ছেন আমি কানে কম শোনি।
–তা কখন বললাম।
–আপনি আপদ বলেছেন আমাকে আমি কিন্তু শোনেছি।
–এমন মিষ্টি বউকে কী কেউ আপদ বলে।লক্ষী বউ আমার রাগ করে না।
–রাগ করবো না একটা শর্তে…..
অসহায় ভাব নিয়ে মিহি বললো,
–কী শর্ত?
–একটা সত্যি কথা বলুন তো রাতে আপনি দাদিমার রুমে গিয়ে কী আমাকে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে এসেছিলেন।
অভ্র মাথার চুলগুলো উপরের দিকে তুলে মুচকি হাসি দিয়ে বললো,
–হুম।
–আমার শর্ত কিন্তু এটা নাহ্
–তাহলে কী??
–রাতের বেলা ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে।
–দাদিমার নিষেধ আছে তোমার সাথে দেখা করা, কথা বলা।
–আপনি এই নিষেধ মানবেন??
–দাদিমার কথা তো মানতে ই হবে, এই সব হয়েছে তোমার জন্য। তুমি যদি ঐদিন বাসা থেকে বের না হতে তাহলে আজকে আমাদের আলাদা থাকতে হয়।
–আমি কিছু জানি না, যা বলছি তা ই করতে হবে। চলি বায়।
মিহি চলে যেতে নিলে হাত ধরে ফেলে অভ্র। হাত ধরে টেনে অভ্রে কাছে নিয় আসে। পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতে গেলো ই শোনতে পায় স্যার এই ফাইলা একটু দেখবেন প্লিজ…
— সরি স্যার আমার নক করা টা উচিত ছিলো। বলে ই সামির চলে গেলো।
এমন অবস্থায় অভ্র, মিহিকে দেখে সামির ও খুব লজ্জা পায়।
মিহি এবার অভ্রের দিকে তাকিয়ে বুকে উপর কয়েকটা কিল দিয়ে দিলে, অভ্র মিহির কোমর জড়িয়ে ধরে দাড়িয়ে আছে, আর হাসতেছে।
–আপনি একটা নির্লজ্জ।
–তুমি তো নির্লজ্জ বউ।
–নাহ্ আমি নির্লজ্জের বউ নাহ্
–এতো নির্লজ্জ নির্লজ্জ করলে কিন্তু এখন সত্যি ই নির্লজ্জতা দেখাবো।
–বাজে লোক একটা ছাড়ুন। চলে যাবো আমি।
–যাও নয়তো দাদিমা বুঝে ফেলবে। কী কপাল আমার বউ এর সাথে দেখা করা ও নিষেধ।
–কাজ শেষ করে দ্রুত বাসায় চলে আসেন।
–আমি তো তোমাতে আসক্ত হয়ে আছি কাজ করবে না৷ তুমি যাও আমি বাসায় ফিরে আসতেছি।
____________________
বাসায় আসার সাথে সাথে মিহিকে দাদিমা প্রশ্ন করে,
–এতোক্ষণ কোথায় ছিলি।
–দাদিমা বলে ই তো গিয়েছি বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে তো তাই কথা বলতে বলতে লেইট হয়ে গিয়েছে।
–আচ্ছা যা, ফ্রেশ হয়েনে।
মিহি খুশিতে গজগজ করতে করতে উপরে চলে গেলো, তার মানে দাদিমা কিছু বুঝেনি।
ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতে ই মিনতি বললো,
–কী ভাবি আপনার কোন বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন।
–তোকে কেনো বলবো, ছোট জ্যা ছোট জ্যা এর মতো থাকবি। সম্মান দে।
মিনতি এবার মিহির কান টেনে দিয়ে বলে,
–তুই যে কোন বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলি তা যানা আছে।
–আমি দীপ্তিদের বাসায় গিয়েছিলাম।
–যাহ্ শেষ পর্যন্ত অভ্র ভাইয়াকে তো দীপ্তি বান্ধুবি হতে হলো।
এবার মিহি মিনতির দিকে তাকিয়ে বললো,
–আস্তে বল দাদিমা শোনে ফেলবে।
–আমাকে মিথ্যে বলেছিস কেনো, এখন দাদিমাকে বলে দেই।
–এই আপু বলিস না আর কখনো তোকে মিথ্যা বলবো না।
জীবনটা ই আমার অসহ্য লাগতেছে, সবাই শুধু ভয় ই দেখায়।
মেইন গেইট এর দিকে তাকাতে ই দেখলো অভ্র বাসার ভেতরে ডুকছে, অভ্রকে দেখেই মিহি মুচকি হাসি দিলো। সোফার উপর কয়েকটা শপিং ব্যাগ রেখে অভ্র কয়েকটা সিড়ি উপরে উঠে মিহিকে বললো, ব্যাগগুলো নিয়ে রুমে যাওয়ার জন্য।
আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো কেউ তাদের লুকিয়ে কথা বলার দৃশ্য দেখে ফেলেছে কিনা।। কিন্তু নাহ কেউ কিছু দেখেনি সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত
শপিং ব্যাগগুলো নিয়ে মিনি দাদিমার রুমে চলে গেলো, দাদিমা রুমে না থাকায় ব্যাগগুলোতে কী আছে দেখতে সুবিধা হলো
একটা শাড়ি, কতগুলো কাচের চুড়ি, গলার লকেট, কানের দুল। আরো একটা চিরকুট পেলো লিখা ছিলো,
আজকে শাড়িটা পরো আমি দেখতে চাই শাড়ির পড়া আমার তুমিটাকে। কারণ শাড়ি পড়লে তোমাকে অসম্ভব সুন্দর লাগে।
সন্ধ্যা দিকে মিনতির সাহায্যে মিহি শাড়িটা পড়ে নেয়। কিন্তু যে না দাদিমার সামনে আসলো অমনি বলা শুরু করলো,
–আমার নাতিটাকে কাছে টানার টেকনিক।
আল্লাহ এই বুড়ির হাত থেকে আমাকে বাঁচাও,আবার বলতে শুরু করলো
–হে, হে যে ঢং ধরেছিস তা দেখে তো যে কেউ ই গলে যাবে।
আমি আর কোনো কথা বললাম না, দাদিমা যা ইচ্ছা বলতে থাকুক আমি ও এক কান দিয়ে ডুকাই অন্য কান দিয়ে বের করি।
__________________
মিহি ঘুমের মধ্যে অনুভব করলো কেউ তার মুখ চেপে ধরে রেখেছে, চোখ খুলতে ই অন্ধকারের মধ্যে একটা লোক দেখতে পেলো, মিহি বুঝতে পারলো, মিহি লোকাটা কোলে।কোলে করে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে আর লোকটার এক হাত দিয়ে মিহির মুখ চেপে ধরে আছে। মুখ চেপে ধরার কারনে চিৎকার ও করতে পারছে না,
–চুপ করো, তোমার জন্য তো এখন ই দাদিমা জেগে যেতো।
–ওহ্ আল্লাহ প্রাণ ফিরে এলো, আপনিহ্
–তা অন্য কাউকে আশা করেছিলে নাকি।
–নাহ্
অভ্রের রুমের বারান্দায় আমাকে নিয়ে অভ্র বসে। আমাকে সামনে বসিয়ে অভ্র পিছনে বসে আছে। আমাকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে,
–বিয়ের পর ও বউ এর সাথে চুড়ি করে প্রেম করতে হয়, কী ভাগ্য আমার।
–একটা কথা বলবো আপনাকে….
–হে, বলো মিহি পাখি।
–সত্যি ই কী আমাদের বিয়েটা ছয় মাসের জন্য??
#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৪
দাদিমার জন্য আমার জীবনটা এখন লুকোচুরি খেলার মতো হয়ে গিয়েছে। ঘুম থেকে উঠে আমাকে বেডে না পেয়ে চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তোলছে। চিৎকার শোনে কোনো রকম দৌড়ে এসেছি,
–এই নাতবৌ তুই কোথায় ছিলি এতোক্ষণ। তোর চালচলন আমার কিন্তু ভালো ঠেকছে নাহ্।
বুড়িটা এখন ও বেডে ই বসা তারমানে বেশিক্ষণ হয়নি ঘুম থেকে যে উঠেছে। আমি হাই তোলতে তোলতে বললাম,
–এখন বাথরুমে গেলে ও বুঝি আপনাকে সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
–তুই বাথরুমে গিয়েছিলি??
–হে, দাদিমা।
কতোক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে কী যেনো ভেবে বললো,
–দরজা লক কর, চাবি টা আমার কাছে দিয়ে যা।
এই যাহ্ হলো তো কাহিনী, ভাবছিলাম আবার ঘুমিয়ে পড়লে অভ্রের রুমে চলে যাবো, এই মহিলা তো দেখছি কিছু ই হতে দিবে না।
–এই মেয়ে কী এতো ভাবছিস, লক কর। করে চাবিটা আমাকে দিয়ে যা।
দাড়া একটা বুদ্ধি পেয়েছি, চাবি ভেতরে দিয়ে লক না করে ই বলবো লক করেছি, বলে চাবিটা দাদিমাকে দিয়ে দিবো, হা হা হা, কতো বুদ্ধি আমার।
মনে মনে অট্টহাসিতে ফেটে যাওয়া আমি, দরজা লক করেতে গেলাম।
–এই শোন দরজা লক করে আবার জোড়ে টান দিয়ে দেখ দরজা লক হয়েছি কী না।
কতোক্ষন বিরক্ত ভাব নিয়ে তাকিয়ে থাকলাম।
দিলো তো আমার পাকা ধানে মই। হয়েছে আর যাওয়া হলো না। সুন্দর করে দরজা লক করে চাবিটা দিয়ে শুয়ে পড়লাম। মনে কষ্ট ফোনটা হাতে নিয়ে অভ্রকে মেসেজ করলাম,
–তোর জন্য সব হয়েছে। এখন নিজের বউ এর সাথে ও তুই দেখা ও করতে পারিস না।
মেসেজের রিপ্লাই আসে,
–তোমার জন্য হয়েছে ঐ দিন এভাবে পালিয়ে না গেলে কী আর দাদিমা এতো রাগ করতো নাকি। এখন বুঝো আমাকে ছাড়া থাকতে কেমন লাগে।
–তুই সব শর্ত মেনে নিলি কেনো। তুই আর আমার সামনে আসবি না।
–রাগ করো কেনো বউ। দাদিমা ঘুমিয়ে পড়ুক তারপর আবার নিয়ে আসবো।
–তোর দাদিমা, দরজা লক করে চাবি নিজের কাছে রেখে দিয়েছে।
–কী বুদ্ধি দাদিমার ভাবা যায়। আমার লক্ষী বউটা যে আমার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছে তা দাদিমা বুঝে গিয়েছে।
–এই নাতবৌ কীসের এতো টুংটাং করছিসরে।
এই বুড়ি তো দেখি শান্তিতে মেসেজ ও করতে দিবে না। দ্রুত ফোন সাইলেন্ট করলাম।
–তুই আমার সাথে কথা ও বলবি না সামনে ও আসবি না। তোর জন্য পাগল হতে বয়ে ই গেছে।
–উফফ যা লাগে না টিয়া পাখি তুমি যখন তুই করে বলো।
কয়েকটা রাগের ইমোজি পাঠিয়ে মিহি ঘুমিয়ে পড়লো।
__________________
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে, মিহি ফ্রেশ হয় নিচে যাওয়ার জন্য। দাদিমা আগে ই উঠে চলে গিয়েছে। মিহি রুম থেকে বের হয়ে আনমনে হাটতে থাকলো,
হঠাৎ ই অভ্র টান দিয়ে নিজরে বুকের মধ্যে নিয়ে নেয়। দু হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
–আমাকে ঘুমাতে না দিয়ে তো সারা রাত দিব্বি নাক ডেকে ঘুমিয়েছো।
–এই নাক ডেকেছি মানে, কী বলতে চান আপনি।
–আরে বাবা, মাফ চাই। যা ই একটু তোমাকে কাছে পাই এই তোমার ঝগড়ার জন্য আমার রোমান্স করা হয় না।
–আগে বলুন আমাকে কেনো বলেছেন নাক ডেকে ঘুমিয়েছি।
–মাফ চাইলাম তো বউ। রাগ করে কেনো ঘুমিয়েছো তুমি। আমি তো চাই না আমার জান রাগ করে ঘুমিয়ে পড়ুক।
–তাহলে বললেন কেনো, আমি আপনার জন্য পাগল।
–তুমি আমার জন্য পাগল কিনা তা জানি না কিন্তু আমি তোমার প্রতি খুব বাজে ভাবে আসক্ত। তোমাকে ছাড়া আমার একমুহূর্ত ও চলে না। তোমার সামনে আসলে ই নেশা লেগে যায়। আমি আমার নিজের মধ্যে থাকিনা টিয়াপাখি। আসক্ত, আমি তোমাতে আসক্ত টিয়াপাখি। খুব বাজে ভাবে আসক্ত।
অভ্র পেটে সাইড করতে করতে কথাগুলো বললো, আমি নিতে পরছিনা অভ্রের স্পর্শগুলো, প্রতিটা স্পর্শে শিহরণ সৃষ্টি হচ্ছে। সরিয়ে দিতে ও পাড়ছি না।
–মিহি নাস্তা করতে এসবি তো, অনেকটা বেলা হয়েছে।
মিনতির কন্ঠ শোনতে ই মিহি অভ্রকে বললাম,
–আপু আসছে, ছাড়ুন।
আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
–থাকো না আরেকটু, বউ
–ছাড়ুন এদিকে ই আসছে মনে হচ্ছে।
অভ্র মিহির ঠোঁট আলতো করে ছুয়ে দিতে ই মিহি চোখ বন্ধ করে নেয়।
চোখ খোলে অভ্রকে আর দেখতে পায় না।
–এই মেয়ে এইখানে এমন মুর্তি মতো দাড়িয়ে আছিস কেনো।
আনমনে উওর দিলাম
–এমনি
–মা ডাকছে, খেতে চল।
–হুম আসছি তুই যা।
–আসছি বললে চলেবে না,
মিনতি আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
___________________
দাদিমার রুমে বসে ছিলাম, মেসেজের নোটিফিকেশনে পেতে ই ফোন হাতে নিতে ই দেখি অভ্র মেসেজ করেছে,
“হ্যাপি রোজ ডে মাই টিয়া পাখি, সরি লেইট করে উইশ করার জন্য ”
আমি রিপ্লাই দিলাম,
–“ফুল ছাড়া উইশ করলে কেমন না লববিহীন তরকারি মতো লাগে, ফুল সহ উইশ করতে পরলে করবেন না হয় এই উইশ আমি গ্রহন করবো না”
—“আচ্ছা তাহলে আজ রাতে দেখে হচ্ছে তোমার যত গোলাপ লাগবে দিবো, কিন্তু বিনিময়ে আমি যা চাই দিতে হবে”
–“সে তখন দেখা যাবে”
–মিহি তোকে কী শাড়িটা অভ্র ভাইয়া দিয়েছে।
মিনতি দাদিমার রুমে ডুকতে ডুকতে বললো, মেজাজটা বেগড়ে গেলো,
–এই তুই জানিস না দাদিমা শোনলে প্রবলেম হবে, তবে কেনো চিল্লাতে হবে।
–সরি, এতো কিছু ভেবে তো বলি নাই।
–হে অভ্র ই দিয়েছে।
–শোন পরের বার থেকে যদি শুধু তোর জন্য গিফট আনে তাহলে কিংবা কথাটা দাদিমার কানে চলে যাবে, যে অভ্র ভাইয়া আর তুই লুকিয়ে দেখা করিস, গিফট দেওয়া নেওয়া ও হয়।
–তুই যে কতো স্বার্থপর, তোর জামাইকে বল এনে দিতে।
–হইছে ঝগড়া করবি না একদম। আজকে বিকেলে আমরা বাবা বাড়ি যাচ্ছি তুই কী জানিস।
মিহি খুশিতে লাফিয়ে উঠে। পরক্ষণেই ই দাদিমার কথা মনে হলো,
–দাদিমা ও যাবে নাকি??
মিহি মিনতিকে প্রশ্নটা করলো আর মনে মনে বললো,
আল্লাহ দাদিমা যেনো না যায়, তাহলে অভ্রের সাথে সময়টা ভালো কাটবে। আর যদি দাদিমা যায় তাহলে……
চলবে
চলবে