12+13
#ক্রাশ_ডাক্তার_বউ
#Writer_Sarjin_Islam [সারজীন]
#Part:12
মাহিন চলে গেলে জারা কি করবে ভেবে পায়না। আকাশ সমান চিন্তা নিয়ে রিসোর্টে ফিরে যায়। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায় কিন্তু জারা কাউকে কিছু বলে না।জারা আর কিছু না ভেবে মাহির কে নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে গিয়ে বলে।
.
জারা : জিজু তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
.
মাহির : তাড়াতাড়ি বলো ওদিকে রোদ আর রোদ্রি অপেক্ষা করছে।
.
জারা ছোট একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলে।
.
জারা : আপু কাল রাতের ফ্লাইটে ইউকে বেক করছে।
.
জারার কথা শুনে যেনো মাহিরের পৃথিবী থমকে দাঁড়ায়। তাহলে কি মাহির সারা কে চিরদিনের মত হারিয়ে ফেলবে। অজান্তেই মাহিরের চোখ পানি আছড়ে পড়ে। এখন কি করবে মাহির?প্রথম দিন থেকে সারার কাছে ক্ষমা চেয়ে এসেছে। কিন্তু সারা মাহিরের কোনো কথাই ঠিক মত শুনেনি। মাহির তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় জারার দিকে। জারা মাহিরের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মাহির কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে।
.
মাহির : ত,,তুমি ক,,কি করে জ,,জানো?
.
জারা : তোমার মনে আছে ছোট পাপার অপারেশনের দিন রোদ আর রোদ্রি কে একটা লোক ওদের হসপিটালে নিয়ে এসেছিল। উনার নাম মাহিন আপু উনাকে ভাই বলে ডাকে। বিয়ে উপলক্ষে আজ সকালে উনি এখানে এসেছেন। উনি কথায় কথায় বলে দেন কাল উনি,রোদ,রোদ্রি আর আপু ইউকে বেক করছেন।
.
জারার কথা শুনে মাহিরের চোখ অসম্ভব লাল হয়ে যায়। বারবার ক্ষমা চেয়েছে সারার কাছে। মাহির বলেছে যা শাস্তি দেওয়ার কাছে থেকে যত খুশি দিক কিন্তু সারা ওকে আবার একলা ফেলে চলে যাচ্ছে। জারা আর কিছু বলবে তার মাহির হনহনিয়ে ওখান থেকে চলে যায়।জারা মাহিরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। মাহির গিয়ে দেখে সারা মিথিলার সাথে কি নিয়ে যেন কথা বলছে। মাহির গিয়ে কোনো কথা না বলে সারার হাত শক্ত করে ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায়। সারা অনেকবার জিজ্ঞাসা করে তাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু মাহির সারার দিকে তাকালে সারা মাহিরের চোখ দেখে বুক কেঁপে উঠে। পাঁচ বছর আগে সারা মাহিরের এমন রূপ দেখেছিল। সারা আর কিছু না বলে মাহিরের সাথে যায়। পিছন থেকে মিথিলা মাহির কে অনেক ডাকে কিন্তু মাহির কারো কথা না শুনে একটা ফাঁকা রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে সারা কে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে শক্ত করে। সারা মাথার পিছনে আর হাতে ব্যাথা পায় মাহিরের চেপে ধরার কারণে! কিন্তু সারা টু শব্দ টুকু না করে চোখ বন্ধ করে আছে। মাহির ঝাঁঝালো কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে।
.
মাহির : তুমি কাল ইউকে বেক করছো?
.
সারা বেশ খানিকটা অবাক হয়। একথা তো মাহিরের জানান কথা নয় তাহলে ও জানলো কি করে। সারা কিছু না বলে অবাক দৃষ্টিতে মাহিরের দিকে তাকিয়ে থাকে। মাহির আবারো সারা কে জিজ্ঞাসা করে।
.
মাহির : কি হলো বলো তুমি কাল ইউকে বেক করছো?
.
সারা আন্দাজ করতে পারছে মাহির প্রচন্ড রেগে আছে।মাহিরের রাগ সম্পর্কে সারার ভালোই ধরনা আছে। সারা চোখ বন্ধ করে ছোট একটা নিঃশ্বাস নিয়ে মাহিরের উত্তর না দিয়ে বলে।
.
সারা : হাত ছাড়ুন লাগছে আমার!
.
মাহির সারার কথা শুনে আরো রেগে গিয়ে আরো জোরে চেপে ধরে বলে।
.
মাহির : আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দেও।
.
সারা বুঝে গেছে মাহির এভাবে থামবে না।তার থেকে বরং মাহির কে সত্যি কথা বলে দেওয়াই ভালো।
.
সারা : হ্যা।
.
মাহির : আমি তোর কাছে বারবার ক্ষমা চেয়েছি আমার করা ভুলের জন্য।তোকে আমি বলছি না তুই আমার কাছে থেকে যতো খুশি শাস্তি দিস। আমার থেকে দূরে যাবার কথা চিন্তাও করবি না।সেই তুই আমার থেকে আবার দূরে যেতে চাস।( রেগে চিৎকার করে কথা বলে )
.
সারা : আমি কি করবো না করবো সেটা আমার বেপার। আমার বেপারে আপনি বলার কে?( শান্ত গলায় )
.
মাহির : আমি তোর কে তাই না। তুই জানিস না আমি তোর কে? তুই আমার বউ বুঝিস তুই আমার বউ।
.
সারা : বউ?( তাচ্ছিল্য করে ) পাঁচ বছর আগে আমি কারো বউ ছিলাম। কিন্তু সে তার বউকে বিশ্বাস করে নি।তার বউয়ের কথা না শুনে অন্ধকার রাতে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।( চোখ দিয়ে পানি পড়ে ) সেই অন্ধকার রাতে তার বউ কোথায় ছিলো তার একবারো জানতে ইচ্ছে করে নি।এক বছর পর যখন সে প্রমাণ পায় যে তার বউ নির্দোষ তখন সে তার বউ বাচ্চার জন্য উতলা হয়ে পড়ে। এখন আপনি বলুন আমি কোনো ভুল করেছি?
.
সারার কথা শুনে মাহিরের রাগ কিছুটা কমে আছে। সারা কথা শুনে মাহির মাথা নিচু করে ফেলে। সারা চোখ মুছে মাহির কে সরিয়ে দিয়ে বলে।
.
সারা : আমাদের জীবনে আপনার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদেরকে আমাদের মত থাকতে দিন।
.
সারা চলে যেতে চাইলে মাহির সারার হাত ধরে বলে।
.
মাহির : একটা কথা রাখবে প্লিজ!
.
সারা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলে।
.
সারা : কি কথা?
.
মাহির : আজকে জন্য আগের সারা হয়ে যাবে।যে শুরু আমার জন্য সাজতো। আমার পছন্দ অপছন্দ গুরুত্ব দিতো। আমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসতো। কালকে তো তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে অনেক দূরে।প্লিজ শুধু আজকে জন্য।( ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকে সারার দিকে )
.
সারা ভাবে কাল তো চলেই যাবো।আজ না হয় ভালোবাসার মানুষটার জন্য একটু করলাম ক্ষতি কি তাতে।
.
সারা : ঠিক আছে কিন্তু বিয়ে শেষ হলে আমাকে কোনো কিছু নিয়ে জোর করবেন না। তারপর যে যার রাস্তায়।
.
এই বলে চলে যায়।সারার কথা শুনে মাহিরের মুখে এক চিল হাসি ফুটে উঠে।
To be continue…🍁
#ক্রাশ_ডাক্তার_বউ
#Writer_Sarjin_Islam [সারজীন]
#Part:13
সারা ভাবে কাল তো চলেই যাবো।আজ না হয় ভালোবাসার মানুষটার জন্য একটু করলাম ক্ষতি কি তাতে।
.
সারা : ঠিক আছে কিন্তু বিয়ে শেষ হলে আমাকে কোনো কিছু নিয়ে জোর করবেন না। তারপর যে যার রাস্তায়।
.
এই বলে চলে যায়।সারার কথা শুনে মাহিরের মুখে এক চিল হাসি ফুটে উঠে।
.
দুপুরে সারা রোদ আর রোদ্রি কে রেডী করিয়ে দিয়ে নিজে রেডী হতে শুরু করে। রোদ আর রোদ্রি ওদের মাম্মার জন্য একটা শাড়ি সিলেক্ট করেছে নীল আর কালো রঙের কম্বিনেশনে।সারাও সন্তানদের কথা রাখতে হাসি মুখে ঐ শাড়িটাই পড়ে। সারা মাহিরের কথা রাখতে হালকা সাজে। কেনো জানি সারার মাহিরের কথাটা রাখতে খুব ইচ্ছে করছিলো তাই আর না করেনি। সারা শাড়ি ঠিক করতে করতে রোদ আর রোদ্রির সামনে এসে দাঁড়ায়। রোদ আর রোদ্রি সারা কে ঘুরে ঘুরে দেখছে। সারা কোমরে হাত দিয়ে ভ্রু কুঁচকে ওদের জিজ্ঞাসা করে।
.
সারা : কি হলো তোমরা আমার চারপাশে ঘুরছো কেনো?
.
রোদ : মাম্মা তুমাকে থুব থুন্দর লাগছে।
.
রোদ্রি : অহহহ,,,,মাম্মা একদুম পুতুলের মতু লাগছে।
.
সারা ওদের কথায় মুচকি হেসে। ওদের জড়িয়ে ধরে বলে।
.
সারা : আমার থেকেও আমার কলিজা দুটো কে বেশি লাগছে।
.
সারার কথা শুনে রোদ আর রোদ্রি খিলখিল করে হেসে দিয়ে সারার গালে দুজনে চুমু দেয়। সারাও ওদের দুজনের গালে চুমু দিয়ে হাত দিয়ে দুজনার চুল ঠিক করতে করতে বলে।
.
সারা : আজকে অনুষ্ঠানে অনেক লোক আসবে। কোনো অপরিচিত লোকদের কাছে যাবে না কিছু দিলে খাবে না। তোমাদের বড় খালামনি, ছোট খালামনি,ডেডা,ফুপি, দাদু,দিদা,পাপা এদের ছাড়া আর কারো কাছে যাবে না ঠিক আছে।
.
রোদ,রোদ্রি : আথা মাম্মা।
.
সারা : এইতো মাম্মার গুড বেবিস। চলো আমরা এখন নিচে যাবো।
.
সারা রোদ আর রোদ্রি হাত ধরে আস্তে আস্তে হেটে চলছে অনুষ্ঠানে উদ্দেশ্যে। সারা বিয়ে পড়ানো জায়গায় এলে আশেপাশের সবাই সারার দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে। সারা সেদিন না তাকিয়ে রোদ আর রোদ্রি নিয়ে সামনে এগোতে থাকে।মাহিরের হঠাৎ চোখ যায় সারার দিকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তার বউ টাকে আজ। আশেপাশের কোলাহলের শব্দে মাহিরের ঘোর কাটে। মাহির আশেপাশের ছেলেগুলো অবস্থা দেখে দূত পায়ে সারার কাছে গিয়ে রোদ আর রোদ্রি কে এক হাত দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিয়ে সারার হাত ধরে স্টেজের দিকে নিয়ে যায়। মাহির সারার হাত ধরায় সারার পুরনো অনুভূতিগুলো সারা অনুভব করতে থাকে। সারা এক ধ্যানে মাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে। মাহির সারার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রাজ আর মিথিলার কাছে যায় ওরা। সারা এখন কিছু ভাবতে চায় না শুধু এই মুহূর্তটুকু অনুভব করতে চায়। না জানি আর কখনো এমন মুহূর্ত পাবে কি না।
.
.
.
.
.
সারা সমুদ্রের পাশে একটা বড় পাথরের উপর বসে আছে। সমুদ্রের ঢেউ ছিটকে সারার গায়ে পড়ছে।সারার সেদিকে মাথা ব্যাথা নেই। সারা কান্না করতে ব্যস্ত। আকাশ সমান কষ্ট আজ সব বাঁধ ভেঙে সারার চোখের পানি হয়ে বেরিয়ে আসছে। অতীত বড়ই নিষ্ঠুর যেকোনো সময় সামনে এসে দাঁড়াতে পারে। সারা মাহিরের কথা রাখতে ওর সাথে স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলছিল। কিন্তু সুখ নামের জিনিসটা সারার কাছে এসে ধরা দিয়েও দেয়না।
.
.
কিছুক্ষণ আগে
সবে মিথিলার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।যে যার মত আনন্দ করতে ব্যস্ত। মাহির চিন্তা করছে আজকে রাতে মধ্যেই সারার অভিমান যে করেই হোক ভাঙাতে হবে।কে জানতো হঠাৎ কোনো ঝড় এসে সব আবার এলোমেলো করে দিয়ে যাবে।সারার একটা ফোন আসায় সারা ফোন নিয়ে বাগানে চলে আসে। সারা ফোনে কথা বলে পিছন ঘুরতেই সারা কাউকে দেখে আঁতকে উঠে। লোকটি ভয়ংকর করে হেসে বলে উঠে।
.
– জানেমান কেমন আছো? আগের থেকেও তো সুন্দরী হয়ে গেছে। দেখতে অনেক হট লাগছে। এতদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলে। তোমাকে কত জায়গায় খুঁজেছি।
.
সারা অস্পষ্ট সুরে বলে উঠে।
.
সারা : রিয়ন!
.
রিয়ন : আরে বা তুমি তো আমার নামটা ও মনে রেখেছো। এখানে কি করছো তুমি? ভালো হয়েছে…( এরমধ্যে কেউ ওদের কাছে এসে রিয়ন বলে ) রিয়া ( রিয়নের বোন ) তুই এসেছিস ভালো হয়েছে এই দেখ কে এখান?
.
রিয়া : এই খারাপ মেয়েটা সাথে এখানে দাঁড়িয়ে কি কথা বলছো ভাইয়া।চলো এখন থেকে।
.
সারা : মুখ সামলে কথা বলো রিয়া।
.
রিয়া : তেজ তো এখনো কমেনি। এখনো কিসের তেজ তোমার। মাহির তো এখন আর তোমাকে ভালোবাসে না।ও এখান আমাকে ভালোবাসে। তোমাকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে আপন করে নিয়েছে।জানো আমাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রী মত সব কিছু হয়ে গেছে। এমনকি আমরা খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চলছি। তোমাকে বিয়েতে ইনভাইট করবো আসবে কিন্তু।
.
সারা আর ওদের কথা সহ্য করতে পারে নি। ওখান থেকে দৌড়ে চলে আসে। রিসোর্টের রিসেপশন থেকে একটা গাড়ির চাবি দিয়ে চলে যায় সারা সমুদ্র পাড়ে। কেউ কারো ভালোবাসা মানুষের নামে এমন কিছু সহ্য করতে পারে না। সারা তো এখনো মাহির কে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসে শুধু অভিমানের কারণে তা প্রকাশ করতে পারছে না।সারার মনে এখন একটাই প্রশ্ন মাহির সারার কাছে কি ক্ষমা চাওয়ার অভিনয় করেছে?আর মাহির কি এখনো ওকে ভালোবেসে?আর রিয়া ওসব কি বলছিলো!
.
.
বর্তমানে
সারা চোখের পানি কোনো বাধ মানছে না। শুধু রিয়ার কথাগুলো ওর কানে বাজছে। কিন্তু ওর মাহির তো এমন ছিলো না। সারা ছিলো মাহিরের জীবনের প্রথম নারী। না কি রিয়া ওকে ভুল বুঝিছে? সারা আর কিছু ভাবতে পারছে না। সারা মাহিরের দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার মধ্যে কিভাবে রিয়া আর রিয়ন ফাটল ধরায় তা সারা আবার মনে করতে থাকে।
.
.
.
অতীত 🍁
সারা মাহিরের অসীম ভালোবাসা দেখে সারাও মাহির কে ভালোবেসেছে ফেলে। সারা মাহির কে তার ভালোবাসার কথা বলবে বলে ওদের রুমে মোমবাতি আর ফুল দিয়ে সাজিয়ে মাহিরের পছন্দের শাড়ি পরে বসে থাকে সারা মাহিরের অপেক্ষায়। মাহির ক্লান্ত শরীর নিয়ে রুমে প্রবেশ করলে মাহির বেশ চমকে যায়।সারার সাজ দেখে মাহিরের মাথা খারাপ হয়ে যাবার উপক্রম। মাহির শুকনো ঢোক গিলে দরজায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করে।
.
মাহির : বউ রুমটা সাজানো কেনো?আর তুমি এইভাবে সাজছো কেনো?
.
সারা এক পা এক পা করে মাহিরের কাছে গিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে। মাহির সারা অবস্থা দেখে ওর কাঁপা কাঁপি শুরু করে দেয়। মাহির কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে।
.
মাহির : ককককি করছো বউ।
.
সারা মাহিরের অবস্থা দেখে মুচকি হেসে দিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে।
.
সারা : ভালোবাসি!
.
মাহির নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না।যে কথাটা শোনার জন্য এতদিন অপেক্ষা করছে ওর ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে আজ তা পূরণ হয়েছে।তাও মাহিরের কেমন স্বপ্ন স্বপ্ন লাগছে তাই আবার সারা কে জিজ্ঞাসা করছে।
.
মাহির : কি আবার বলো।( উত্তেজিত হয়ে )
.
সারা মুচকি হেসে মাহিরের গালে একটা চুমু দিয়ে আবার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে।
.
সারা : ভালোবাসি প্রিয়।
To be continue…🍁