আরশি পর্ব ১

বিছানায় চুপটি করে বসে আছি আর বা হাতে থাকা ডিভোর্স পেপারসটির দিকে বার বার চোখ বুলাচ্ছি। দীর্ঘ এক নিশ্বাস নিয়ে মাথা তুলে ফাহাদের দিকে ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করি,
— বিয়ের ১০ বছর তুমি আমার কাছে ডিভোর্স চাইছো?

আমার কথা শুনার সাথে সাথে ফাহাদের চেহেরায় বিরক্তির ছাপ ফুটে উঠে। চোয়ালও শক্ত হয়ে আসে। সে ভ্রুকুটি কুঞ্চিত করে কর্কশ কন্ঠে বলে,

— হ্যাঁ চাইছি তো? বিয়ের ১০ বছর পর যে মানুষ ডিভোর্স চাইতে পারবে না তা কোথায় লিখা আছে?

আমি কিছু না বলে স্থির হয়ে বসে থাকি। সামনে চোখ যেতেই দেখি দরজার ধার ঘেঁষে কাচুমাচু হয়ে ছোট অহনা দাঁড়িয়ে আছে। চোখে মুখে তার ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। হয়তো ভাবছে আজও বুঝি তার বাবা তার মাকে মারবে। কিন্তু সে তো জানে না আজ যে এর থেকেও ভয়াবহ কিছু হতে চলেছে। আমি ছলছল দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে রই৷ অহনার মুখেরপানে তাকাতেই বুকটা ছেঁদ করে উঠে। মনটা কেমন শূন্যতায় ভরে যায়। ফাহাদ আমাকে স্থিরভাবে বসে থাকতে দেখে তিক্ত কন্ঠে বলে উঠে,

— দেখ আরশি! কোনরকম ভনিতা না করে সাইন করে দাও। আমি কোন প্রকার মেলোড্রামা চাচ্ছি না।

ফাহাদের কন্ঠ কানে ভেসে আসতেই আমি অহনার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে ফাহাদের দিকে তাকাই। আমার উপর যে বেশ বিরক্ত হয়ে তা ওর চেহেরা দেখেই বুঝতে পারছি। কিন্তু আমি চেয়েও কিছু বলতে পারছি না। আমি একবার ডিভোর্স পেপারসের দিকে তাকাচ্ছি তো আরেকবার দরজার পাশে দাঁড়ানো অহনার মুখখানাটি দেখছি। চেহেরার তার মলিন হয়ে আছে। এক মূহুর্তের জন্য মনে হলো যদি আমি সাইনটা করে দেই তাহলে অহনার কি হবে? ও মা বলে কাকে ডাকবে? ৫ বছরের বাচ্চাটি কার স্নেহে-আদরে বড় হবে? এই ভাবনার গুলোর মাঝেই ফাদাত গলা খেঁকিয়ে বলে উঠে,

— আজব তো! এইভাবে মূর্তির মত বসে থাকার মানে কি? সাইন করো!

আমি এইবার ফাহাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস নেই। নিজেকে সামলে বলি,

— সাইন না হয় দিয়ে দিব। কিন্তু তার আগে শুধু আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দাও।

ফাহাদ আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকায়। কৌতূহলী কন্ঠে বলে উঠে,

— কি প্রশ্ন?

— আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার কারণ?

ফাহাদ বিরক্তিকর একটা ভাব নিয়ে কাঠ কাঠ গলায় বলে,

— মূল কারণটাই হচ্ছো তুমি। আছেটা কি তোমার মধ্যে? না আছে রুপ, না আছে কোন ক্লাস। তোমাকে নিজের পাশে দাড় করাতে আমার কত লজ্জা লাগে জানো? ইভেন আ’ম নোট স্ট্যাটিস্ফাইড ফোরম ইউ। আ’ম ফেড উইথ ইউ। আমার পক্ষে তোমার সাথে সংসার করা আর সম্ভব না। তাই সাইনটা করে আমাকে মুক্ত করে দাও।

তার কথাগুলো শুনে আমার মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা দিল না। অনুভূতিহীন ভাবে বসে আছি। নিরলস চোখে তাকিয়ে রই ফাহাদের দিকে। ফোঁস করে এক নিঃশ্বাস নিয়ে বলি,

— ওয়েল! সাইনটা না হয় আমি করে দিব কিন্তু অহনা…

ফাহাদ আমার কথার মাঝেই ফোঁড়ন দিয়ে বলে,

— ওকে তুমি নিজের সাথেই নিয়ে যেও। আই ডোন্ট নিড হার। এইসব উটকো ঝামেলা আমি আমার কাছে রাখতে চাই না। তার উপর ওর জন্য হয়তো আমার পরের লাইফে প্রবলেমও হতে পারে।

তার কথা শুনে আমি প্রত্যুত্তরে তাচ্ছিল্যের হাসি উপহার দিলাম। নিজের সন্তানকে কেউ উটকো ঝামেলা বলতে পারে তা হয়তো এই মানুষটিকে না দেখলে বুঝাই যেত না। কিন্তু অতঃপর এইভেবে প্রশান্তির নিঃশ্বাস নিলাম যে আমার সন্তানের কাছ থেকে আমাকে কেউ আলাদা করবে না। ও আমার সাথে, আমার কাছেই থাকবে। এর মধ্যেই ফাহাদ পুনরায় বলে উঠে,

— সাইনটা করবে নাকি?

আমি ফাহাদের দিকে একবার ঘৃণা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেই। অতঃপর বলে উঠি,

— আমি সাইনটা করে দিয়েছি কিন্তু এর আগে আপনাকেও একটা কাগজে সাইন করতে হবে।

ফাহাদ ভ্রু কুচকে বলে,

— কিসে সাইন করতে হবে?

আমি কিছু না বলে সাইড টেবিলের নিচের ড্রয়ার থেকে একটা সাদা কাগজ বের করি। অতঃপর সাইড টেবিলে কাগজটা রেখে কলম নিয়ে সেখানে একটা শর্ত লিখে দেই। তারপর সেটা তার দিকে এগিয়ে দেই। ফাহাদ ভ্রু-কুচকে তাকিয়ে থেকে কাগজটা হাতে নেয়। কাগজটা তাকে দিয়ে আমি বলি,

— এইখানে লেখা আছে, আপনি কখনোই আমার কাছে অহনার বাবার হওয়ার দাবী নিয়ে সামনে আসতে পারবেন না। আর না কখনো ওকে আমার কাছ থেকে দূরে নিয়ে যেতে পারবেন। ও এখন থেকে আপনার কেউ না। ও শুধু আমার একার মেয়ে। ওর উপর আপনার আর কোন অধিকার নেই। যদি আপনি এই শর্তে রাজি থাকেন তাহলেই আমি ডিভোর্স পেপারে সাইন করবো। অন্যথায় না।

ফাহাদ বিনা বাক্যে আমার কাছ থেকে কলমটা নিয়ে নিচের দিকে সই করে দেয়। অতঃপর আমার দিকে কাগজ আর কলমটা এগিয়ে দেয়। আমি কাগজ আর কলমটা নেই। কাগজটা অতিযত্ন সহকারে ভাঁজ করে নেই। অতঃপর সাইড টেবিলে ডিভোর্স পেপারটা রেখে তাতে সাইন করতে গিয়ে দেখি সেখানে আগে থেকেই ফাহাদের সাইন আছে। ডিভোর্সের বেশ তাড়া বুঝাই যাচ্ছে। আমি কিছু না বলে সাইন করে দেই৷ হুট করে চোখ দিয়ে একফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে কাগজের উপর। সাথে সাথে আমি চমকে উঠি। নিজেকেই প্রশ্ন করি, “চোখ দিয়ে পানি পড়ছে কেন আমার? আমি তো দুঃখী না। তাহলে কেন? আমার মনে কি আদৌ ফাহাদের জন্য কোন অনুভূতি অবশিষ্ট আছে?”

এইসব আকাশ-পাতাল চিন্তা-ভাবনা ভেবে আমি পেপারটা হাতে নিয়ে একবার চোখ বুলিয়ে নেই। অতঃপর মনে মনে বলি,

— “তিন কবুল বলে একটা সম্পর্ক গড়ে তুলাটা যতটা না কঠিন, একটা সই করে সেই সম্পর্কটাই ভাঙ্গা ততটা সহজ।”

সাইন করা শেষে আমি কাগজটা এগিয়ে দেই ফাহাদের দিকে। কাগজটা পেয়েই যেন ফাহাদের মুখটা উজ্জ্বল হয়ে যায়। হয়তো অধীর আগ্রহের সাথেই এই মূহুর্তেরই অপেক্ষা করছিল সে। সে এইবার নরম কন্ঠেই বলে,

— থেংক্স ফোর দিস।

আমি তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলি,

— উহু! থেংক্স টু ইউ। আমাকে আপনার এই জেলখানা থেকে আমাকে মুক্ত করার জন্য। সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে মুক্ত করার জন্য। নিজেকে এখন বেশ হাল্কা লাগছে।

ফাহাদ বাঁকা হেসে বলে,

— বাহ! কথার বুলি দেখি বেশ ফুটেছে।

— কথা বুলি অনেক আগেই ফুটেছিল শুধু মাত্র সংসারের দায়িত্বগুলোর নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল। এখন যেহেতু সেই দায়িত্বটা আর আমার কাধে নেই সেহেতু এখন আর কোন বাঁধা নেই।

ফাহাদ এইবার ডোন্ট কেয়ার একটা ভাব নিয়ে বলে,

— হোয়াট এভার! তোমার যা ইচ্ছা তা করো।

এই বলে ফাহাদ রুম থেকে বেরিয়ে যায়। ফাহাদকে বেরিয়ে আসতে দেখে অহনা তারাতারি পর্দার আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। ওকে দেখা গেলেও ওর মতে ওকে দেখা যাচ্ছে না। তাই সে নির্ভয়ে চুপটি মেরে পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে। ফাহাদ ড্রয়িং রুমে চলে যেতেই অহনা পর্দার ফাঁক দিয়ে নিজের মাথা বের করে। ফাহাদকে দেখতে না পেয়ে ও এক দৌঁড়ে রুমে চলে আসে। অতঃপর আমার সামনে এসে গুটি মেরে দাঁড়িয়ে পড়ে। আমার ওড়না নিজের হাতের মাঝে নিয়ে খেলতে থাকে। তারপর আদো আদো কন্ঠে বলে,

— আম্মি তুমি ঠিক আচো?

অহনার কথা শুনে আমার বুকটা হু হু করে উঠে। আমি ওর দিকে ছলছল দৃষ্টিতে তাকাই। ওর মুখপানে তাকাতেই একটা কথায় মাথায় খেলে উঠে, ” ওর এখন বাবা বলে কেউ নেই। বাবা ডাকার মত কোন মানুষ নেই।” কিন্তু হঠাৎ আমার মনে হলো, “যে বাবা নিজের সন্তানকে প্রবলেম মনে করে সেরকম বাবা থাকার না চেয়ে না থাকাই ভালো।”

আমি অহনার সামনে ঝুঁকে ওর মাথায় ছোট একটা চুমু খেয়ে বলি,

— হ্যাঁ মামনি আমি ঠিক আছি। তা চলো তোমায় রেডি করিয়ে দেই। আজ আমরা মামার বাসায় যাচ্ছি।

সাথে সাথে অহনা আমার দিকে ভিতু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,

— বাবা মারবে।

সাথে সাথে আমি ওর দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকাই। ওর মনে যে কতটা ভয় ঢুকে আছে তা হারে হারে টের পাচ্ছি। অবশ্য পাওয়ারই কথা। যত বারই আমি আমার ভাইয়ের বাসায় যেতে চেয়েছি ততোবারই ফাহাদ আমার সাথে অহেতুক গালি গালাজ করেছে। মাঝে মধ্যে হাতও উঠিয়েছে। এরপর আমি আর কিছু না বললেও একবার অহনা ফাহাদের সামনে জীদ ধরেছিল মামাবাড়ি যাবে। তখন ফাহাদ ওর গালে চড় বসিয়ে দিয়েছিল। সেই থেকে ওর মনে ভয় বসে যায় যে, মামাবাড়ির নাম বললেই হয়তো ফাহাদ ওকে মারবে। আমি সব ভেবে এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে মুখে মিথ্যে হাসি ঝুলিয়ে বলি,

— না বাবা আর মারবে না। বাবা নিজেই বলেছে আমাদের যেতে।

অহনার চোখ-মুখে সাথে সাথে হাসি ফুটে উঠে। আমি ওকে ফ্রেশ করিয়ে রেডি করিয়ে। অতঃপর অহনাকে খাটে বসিয়ে দিয়ে নিজের আর অহনার ব্যাগ গুছিয়ে নেই। ব্যাগ গুছিয়ে ক্ষণেক এর মাঝে আমিও বোরকা আর হিজাব পড়ে রেডি হয়ে নেই। সেই শর্তের কাগজটা নিজের সাইড ব্যাগে যত্নসহকারে রেখে দেই। এক হাতে ব্যাগটা নিয়ে আরেক হাত অহনার হাতের মাঝে নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে আসি। ড্রয়িং রুমে আসতেই ফাহাদকে চোখে পড়ে। ফাহাদও আমাদের দেখতে পেয়ে বলে,

— কোথাও যাচ্ছ তোমরা?

ফাহাদের কন্ঠ স্বর শুনে অহনা সাথে সাথে আমার পিছে লুকিয়ে পড়ে। শক্ত করে আমার বোরকা মুষ্টিবদ্ধ করে নেয়। আমি একবার অহনার দিকে তাকিয়ে ফাহাদের দিকে তাকাই। অতঃপর বলি,

— আমরা চলে যাচ্ছি। এইখানে থেকে তো আর আমাদের কাজ নেই।

সব শুনে ফাহাদ ইতস্তত সুরেই বলে,

— তোমরা চাইলে এইখানেই থাকতো পারো। এইভাবেও আমি এইখানে থাকছি না। পরশু আমি অন্য ফ্লাটে শিফট হয়ে যাচ্ছি। তাই আমার মতে তোমাদের কোন সমস্যা হবে না।

আমি চোয়াল শক্ত করে বলি,

— আমি আর আমার মেয়ে কোথায় থাকবো তা না ভাবলেও চলবে মি. ফাহাদ হোসেন। জানি আপনি কি করবেন না করবেন সেটা নিতান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু তাও বলছি আমাদের নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।

ফাহাদ চোয়াল শক্ত করে বলে,

— ভালো কথা দামই নেই। দুইদিন পর যখন সকল জায়গায় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবে তখন আমার কথাই মনে পড়বে।

আমি ঘৃণা ভরা দৃষ্টিতে তাকাতেই সে আমার দিকে বাঁকা হাসি উপহার দেয়। একটু পর তার ফোন বেজে উঠলে সে ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফোনের ওইপাশে যে কোন মেয়ে রয়েছে তা তার কথা বলার ধরন থেকেই বুঝা যাচ্ছে। বেশ আপ্লূত কন্ঠে কথা বলছেন তিনি। তা দেখে আমি আর সেখানে এক মূহুর্ত না দাঁড়িয়ে অহনার হাত ধরে বেরিয়ে আসি। বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফাহাদ আড়চোখে একবার আমাদের দিকে তাকায়। অতঃপর আবার চোখ ঘুরিয়ে নিয়ে কথা বলায় মগ্ন হয়ে পড়ে।

____________________________________________

খুলনা টু ঢাকা রোডে দ্রুত গতিতে বাসটি চলছে। ধীরে ধীরে গোধূলির সন্ধ্যা নামতে শুরু করেছে। সূর্যের তীক্ষ্ণ রশ্নী নরম হয়ে এসেছে। সূর্য ধীরে ধীরে হেলে পড়ছে পশ্চিমের বুকে। পুরো আকাশ আজ রক্তিম লাল। কোথাও কোথাও এই রক্তিম লালের মাঝে ফোঁড়ন দিয়ে হলুদ রঙটি বেড়িয়ে আসছে। আবার কোথাও কোথাও নীল রঙটি এসে উঁকি মেরে দিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণা দিকে সন্ধ্যাতারাটি নিজের সর্বোচ্চ আলো প্রয়োগ করে ঝলঝল করে জ্বলছে। দূর আকাশে পাখিরা হৈচৈ করে এইদিক সেদিক ছুটাছুটি করে চলেছে। দেখে মনে হচ্ছে কোথাও যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হতে আছে। নিচে তাকাতেই মনে হচ্ছে বাসের গতির সাথে পাল্লা দিয়ে যেন শা শা করে গাছেরা পিছের দিকে ছুটে যাচ্ছে। অথচ এমন কিছুই নয়। বেশ অদ্ভুত লাগছে আজকের পরিবেশটি। অদ্ভুত বলতে কেমন মোহনীয় লাগছে। কিন্তু আফসোস আমি এই মোহনীয় পরিবেশটি আজ আমায় প্রভাবিত করছে না। তার এই চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য আমার মধ্যে কোন অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারছে না। পারবেই বা কিভাবে? আজ যে আমি অনুভূতিহীন।

অহনা আমার কোলে খুব আয়েশ করে ঘুমিয়ে আছে। তীব্র বাতাসের ফলে তার ছোট ছোট চুলগুলো উড়ে এসে বার বার কপালে এসে বারি খাচ্ছে। আমি আলতো হাতে ওর চুলগুলো গুছিয়ে দিয়ে ওর কপালে ছোট একটা চুমু খাই। এক ধ্যানে ওর দিকে তাকিয়ে থাকি। অতঃপর ওর দিকে তাকিয়েই বলি,

— এখন থেকে তুই শুধুমাত্র মিশকাতুল আরা আরশির মেয়ে অহনা আরা। এইটাই হবে তোর পরিচয়। তোর বাবাও আমি, মাও আমি।

_______________________________________________

ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় রাত ৯ টা বেজে যায়। কাউকে কিছু বলা হয়নি বলে কেউ নিতেও আসে নি। আমি বাসস্ট্যান্ডে নেমে অহনাকে নিয়ে উঠে পড়ি একটা রিকশায়। গন্তব্য ভাইয়ার বাসা। কুড়ি মিনিটের মাথায় আমি পৌঁছে যাই নিজ গন্তব্যে।
বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বেল বাজাতেই এক যুবক ছেলে এসে দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলে আমাকে দেখার সাথে সাথে সে আমায় জড়িয়ে বলে,

— আরশি তুই?

#চলবে

.
.

#আরশি
#Part_01
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat

.
[গল্পটা কেমন লেগেছে প্লিজ জানাবেন। আপনাদের মন্তব্যের উপর ডিপেন্ড করেই পরবর্তী পর্ব দেওয়া হবে।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here