#গল্পটা_পুরনো।
লেখা – মুনিরা জলী
পর্ব – ২
* * *
কত বছর হল?দীর্ঘ ছয় বছর ! হ্যাঁ ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। তোয়া। নাজরীন রহমান তোয়া। সবে মাত্র এইচ এস সি পাশ করেছে।তাই বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা দিতে ব্যস্ত সে। ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যেই তোয়ার আজ রাজশাহীতে আগমন।
ট্রেন যখন রাজশাহী ষ্টেশনে এসে পৌছায় তখন সবে একটু একটু করে রাতের আধার কেটে ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় প্রকৃতি আলোকিত হয়ে উঠছে।হেমন্তের হালকা শিশিরস্নাত আবছায়া আলো আধার ভেদ করে ট্রেন স্টেশনে এসে থামলো। ট্রেন ভালো করে দাঁড়ানোর আগেই যাত্রীদের মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল কে কার আগে নামবে ! তোয়া ভীড় একটু কমার অপেক্ষা করছে। এটাই শেষ ষ্টেশন। তাই ওর আব্বু বলেছেন তাড়াহুড়ো না করে আস্তে ধিরে নামতে। ভীড় একটু কমতেই তোয়া উঠে দাঁড়ায়। মাঝারি সাইজের লাগেজ ব্যাগটা টেনে নামাতে যায়। তখনই দুটি সবল হাত ব্যাগটা ধরে নামিয়ে আনে। তোয়া খুশিতে প্রায় লাফিয়ে উঠে বলে,
” আসসালামুয়ালাইকুম মামা। আপনি ভীড় ঠেলে উঠে এসেছেন কেন? আমি ভীড় কমার অপেক্ষা করছিলাম। লোকজন কমলেই নামতাম। ”
তোয়ার মামা রাকিবুল হাসান।হাসি মুখে তাকায় ওর দিকে।সালামের জবাব দিয়ে বললেন, ” আরে ধুর এটা কোনো ব্যপার নাকি? এবার নামবি নাকি আবার এই ট্রেনেই ফিরে যাবি?
তোয়াও হেসে বলল, ” চলেন। ” বলেই মামার পিছু পিছু ট্রেন থেকে প্লাটফর্মে নেমে দাঁড়ায় সে। বেশ অনেকটা হেঁটে ষ্টেশনের বাইরে এসে রাকিব সাহেব একটা রিক্সা ঠিক করলেন। রিক্সা চলতে শুরু করতেই তোয়া জিজ্ঞেস করল,
” তো আপনারা সবাই কেমন আছেন? ”
” আছিরে আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছি। তা একা আসতে কোনো অসুবিধা হয়নিতো? আর তোর বাবা তোকে একা ছাড়ল কেমন করে? নিজে এসে পৌছে দিতে পারলো না। এতো ব্যস্ত উনি? ”
” আব্বু আসতে চাইছিল, কিন্তু কিছুতেই ছুটি পায়নি, এদিকে আমার পরীক্ষার সময় হয়ে আসছে। তাই আমিই জোর করে চলে আসলাম। আর কোনো সমস্যাও তো হয়নাই। ”
” যদি কোনো বিপদ হত তখন কি করতি?”
” বিপদ যেকোনো সময় হতে পারে, আব্বু থাকলেই যে কোনো বিপদ হতনা তার কোন গ্যারান্টি আছে? ”
” আচ্ছা বাদ দে, তা আপা, দুলাভাই, ছোয়া সবাই কেমন আছেরে? ”
” আলহামদুলিল্লাহ মামা সবাই ভালো আছে। ”
রিক্সা চলছে টুং টাং শব্দ করে।তোয়া চারিদিকে দেখায় ব্যস্ত। আজ প্রায় দুবছর পর রাজশাহীতে আসা হলো। আশেপাশে অল্পকিছু পরিবর্তন হয়েছে মনে হলো। রাস্তার দুপাশে প্রায় কিছুদুর পরপর ছোট বড় পুকুর চোখে পরে। আসলে রাজশাহীতে প্রচুর পুকুর আছে।আর এই কারণেই বোধহয় রাজশাহীর প্রায়ই জায়গার নাম পুকুর দিয়ে রাখা। আর গাছপালাও প্রচুর। ছিমছাম সাজানো একটা শহর। তোয়ার বেশ ভালো লাগে। বছরের শেষের দিক, সকাল বেলা, গাছের পরিমাণ বেশি বলেই বোধহয় রিক্সা চলার সাথে সাথে ঠাণ্ডা বাতাসের ঝাপ্টায় বেশ ঠান্ডা লাগছিল তোয়ার। ঢাকায় এতো আগে ঠান্ডা পরেনা তাই তোয়া খেয়াল করেনি যে এখানে একটু আগেই ঠান্ডা পরতে শুরু করে। তাই গরম কাপড় কিছু পরেনি। ঠান্ডা কাটাতে মাথার ওড়না আরও ভালো করে সারা শরীরে জড়িয়ে নেয় সে তোয়া।
রাকিব সাহেব বুঝতে পেরে বলেন, ” ঠাণ্ডা লাগছে? শাল পড়িস নাই কেন? ”
” ঢাকায় তো এখনো ঠান্ডাই পরেনি। বেশ গরম, ফ্যান চালাতে হয়। এখানে এতো ঠান্ডা লাগবে ভাবিইনি। তাই শাল পরিনাই। কিন্তু এখনই এতো ঠান্ডা, রাতে তাহলে বেশ ঠাণ্ডা পরে তাইনা? ‘
” হুম তা পরে। তবে এখন অনেক সকাল তো তাই একটু শীত করছে। বেলা বাড়লে আবার বেশ গরম লাগে। আার এই ঠান্ডাও কিছুইনা। সামনে শীতের সময় আরও ঠান্ডা পরবে, যাকে বলে হাড় কাপানো ঠান্ডা। ” বলেই হাসলেন তিনি।
রিক্সা বাড়ির গেটের সামনে থামতেই রুহী প্রায় ছুটতে ছুটতে ভিতর থেকে বেরিয়ে এল, বোধহয় জানালায় দাঁড়িয়ে ওদের অপেক্ষায় ছিল। তোয়া রিক্সা থেকে নেমে গেটের ভিতর পা দিতেই রুহী ওখে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে,
” কতদিন পর তোমাকে দেখছি আপু। ” ওকে ছেড়ে দিয়ে হাত দুটি ধরে রেখে আবার বলল, ” এবার কিন্তু অনেক দিন থাকতে হবে। বুঝতে পারছ? ”
তোয়া হাসতে হাসতে বলে, ” আচ্ছা বাবা সে দেখা যাবে, এখন বল দিনকাল কেমন চলছে? নতুন কলেজে কেমন লাগছে? ”
” খুব ভালো চলছে আপু। ”
রাকিব সাহেব ততক্ষণে রিক্সা ভাড়া মিটিয়ে তোয়ার ব্যাগ হাতে নিয়ে গেটের ভিতরে পা দিয়েছেন।ওদেরকে ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলেন,
” কিরে এখানেই দাঁড়িয়ে সব কথা সারবি? রুহী তোর আপুকে ভিতরে নিয়ে যা। ”
” হ্যাঁ আব্বু যাচ্ছি। “তোয়ার হাত ধরে বলল, ” ভিতরে চল আপু। ফ্রেস ট্রেস হও আগে তারপর অনেক গল্প করব।”
ওরা বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই তোয়ার মামী শাহানা এগিয়ে এলেন। মামীকে দেখে তোয়া সালাম দিল।মিসেস শাহানা সালামের জবাব দিয়ে বললেন,
” পথে আসত কোনো অসুবিধা হয়নিতো? এই প্রথম একা জার্নি তাইনা? ”
” না মামী কোনো অসুবিধা হয়নি একদম সিম্পুল জার্নি। ঢাকায় আব্বু ট্রেনে বসিয়ে দিয়ে গেছে এখানে মামা নামিয়ে এনেছে। ব্যস। ”
” আচ্ছা বুঝলাম, কিন্তু আপা তোর সঙ্গে আসতে পারতনা? কতদিন আসেনি বলত? ”
” আম্মু আসবে।খুব শীঘ্রই আসবে। “বলল তোয়া।
” আচ্ছা ঠিক আছে পরে এসব কথা হবে। এখন যা আগে ফ্রেশ হয়ে আয় ঝটপট। আমরা তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তুই এলে একসাথে সকালের নাস্তা খাব। ” মামী ওকে তারা দিলেন।
তোয়া বলল, ” আগে বাসায় একটা ফোন করি, তা নাইলে সবাই আবার চিন্তা করবে। প্রথম একা এসেছিতো। ”
” ঠিক আছে। কিন্তু দেরি করবিনা। আমি ততক্ষণে টেবিলে খাবার সাজিয়ে ফেলি। ”
বলেই রুহীকে ডাকতে ডাকতে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালেন মিসেস শাহানা।
তোয়া ওর মোবাইলটা ব্যাগ থেকে বের করে দেখে ইতিমধ্যে ওর মার নাম্বার থেকে কয়কটা মিসডকল উঠে আছে। ‘ ধুর এসেই আগে মোবাইলটা বের করতে হত।’ ভাবল সে। মায়ের নাম্বারে কল দিল সে। কয়কবার রিং হতেই তোয়ার মা ফোন ধরেই উদ্বিগ্ন গলায় বললেন,
” ঠিক মতো পৌঁছেছিস তো? পথে কোনো সমস্যা হয়নি তো? এতক্ষন ফোন ধরিসনি কেন? ”
” মা মা থাম, নিঃশ্বাস নাও আগে। একসাথে এতো প্রশ্ন? বাপরে বাপ। ”
” তুই ফোন ধরিসনি বলেইতো এতো চিন্তা হচ্ছিলো। আর ওখানে সবাই কেমন আছেরে?”
” আমি একটু আগেই বাসায় এসেছি। কোনো অসুবিধা হয়নি দেখতেই পারছ তোমার সাথে সহি সালামতে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। আর মোবাইল ব্যাগে ছিল তাই শুনতে পাইনি। আর হ্যাঁ সবাই ভালো আছে। তবে তোমার উপর রাগ করেছে তুমি আসনি বলে? সব প্রশ্নের জবাব পেয়েছত এবার? ”
” আচ্ছা পরে সময় করে সবার সাথে কথা বলব। ঠিক আছে জার্নি করে গেছিস, এখন খাওয়া দাওয়া সেরে রেস্ট কর। একটু ঘুমিয়ে নিস। কেমন? ‘
“আমি এখন গোসল করব। কেউ খায়নি এখনো, আমার জন্য অপেক্ষা করছে একসাথে খাব বলে। ”
” ওখানে তো মনে হয় ঠাণ্ডা। এই ঠাণ্ডায় এতো সকালে গোসল করবি? তোর কি মাথা ঠিক আছে? বেলা বাড়লে গোসল করিস। এখন হাত মুখ ধুয়েনে।”
“মা এখন কার্তিক মাস। এমন কিছু ঠান্ডা পরেনি। জার্নি করে এসে এভাবে থাকা যায়? বল? ধুলো বালিতে গাঁ কেমন কিটকিট করছে। ” বিরক্ত স্বরে কথাগুলো বলল তোয়া।
” না মা। নতুন জায়গা। আমার কথা শোন, ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে জামা-কাপড় বদলে নে। দেখবি এতেই ফ্রেশ লাগবে। ”
” আচ্ছা। ঠিক আছে আম্মু। মামারা একসাথে নাস্তা করব বলে অপেক্ষা করছে। এখন রাখি? পরে কথা হবে । ঠিকআছে? ”
” আচ্ছা ভালো থাকিস। ”
ফোন রেখে দিয়ে ব্যাগ থেকে কাপড় বের করে বাথরুমে গেল সে। দশ মিনিটের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এল। সবার সাথে নাস্তা খেতে খেতে টুকটাক কথা বার্তা হল। এরপর একে একে তোয়ার মামা অফিসে , রুহী কলেজে যার যার গন্তব্যে বেরিয়ে গেল। আর তোয়ার মামাতো ভাই শাহীল ক্লাস নাইনে পড়ে। সকালে কোচিং করে স্কুলে যায়। তাই শাহিল তোয়ার আসার আগেই বেরিয়ে গেছে। সবাই চলে যেতে বাড়ি ফাঁকা হয়ে গেল। সারারাত জার্নি করে তেমন ঘুমাতে পারেনি তোয়া। তাই নিরিবিলি ঘরে একটা গভীর ঘুম দিল।
দুপুর নাগাদ টানা ঘুমিয়ে ছিল তোয়া। তারপর মামীর ডাকে ঘুম ভাঙে তার। বেলা হয়ে যাচ্ছে। শাহানা তোয়াকে গোসলের জন্য তাড়া দিলেন।
তোয়া গোসল সেরে বারান্দায় ভেজা গামছাটা তারে মেলে দিতে গিয়ে নিচ থেকে চেনা কন্ঠস্বর কানে আসতেই গ্রিল ধরে নিচের দিকে তাকায় সে। দেখে ওর মামাতো ভাই শাহীল নিচে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে একজনের সাথে কথা বলছে। পড়নে তার স্কুল ড্রেস। কেন যেন তখনই শাহীল উপরে তাকায়। তোয়াকে দেখতে পেয়ে হাসিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তার মুখ। হাত নেড়ে জোর গলায় বলে,
” তোয়া আপু তুমি কখন এলে? ” শাহীলের দৃষ্টি অনুসরণ করে ছেলেটিও উপরে তাকায়। তোয়াও হাসি মুখে তাকিয়ে ছিলো, সরাসরি ছেলেটির চোখে চোখ পরে যায়। তারপর? তারপর কয়েক সেকেন্ডের জন্য একে অপরের চোখে বাধা পরে। নাকি আজীবনের জন্য বাধা পরে জানা নেই কারও। ওরা শুধু চেয়ে থাকে। কতক্ষণ কেউ বুঝতে পারেনা, কারণ সময় মনে হয় থমকে যায়। শাহীলের কথায় দুজনের সম্বিৎ ফেরে, শাহীলের দিকে ফিরে চায় তোয়া। শাহীল বলছিল,
” কতদিন পর দেখছি তোমাকে, আর কে আসছে আপু তোমার সাথে? ”
” তুই বাসায় আয় আগে। নিচে দাঁড়িয়েই সব কথা বলবি নাকিরে? ”
” হ্যাঁ আপু আসছি। ” বলেই ছেলেটির দিকে ফিরল শাহিল, ” আচ্ছা রাদীব ভাইয়া এখন তাহলে আসি।”
” ওকে, সন্ধ্যায় দেখা হবে। ” বলে আরেকবার উপরে তাকায় রাদীব। তারপর পাশের গেটের ভিতরে ঢুকে পরল সে। শাহীলকে বাড়ির দিকে আসতে দেখে তোয়াও বারান্দা ছেড়ে ঘরের ভিতরে চলে আসে।
* * *
মাকে দরজা খুলতে দেখে অবাক হয় রাদীব। ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বলে, ” মা তুমি কখন এসেছ? ”
” এইত এইমাত্র এলাম। আমি আর আদীব একসাথেই ফিরলাম। ”
রাদীব জুতার কেবিনেটের উপরে হাতের ব্যাগটা রেখে জুুতা খুলে জুতার বক্সের ভিতরে রেখে দিয়ে সোজা ডাইনিং টেবিলের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। জগ থেকে একটা গ্লাসে পানি ঢেলে নেয় সে। তারপর এক ঢোকে পানিটুকু শেষ করে।
রাদীবকে ওভাবে পানি খেতে দেখে ওর মা রোকেয়া বলে ওঠেন ,
” বাইরে থেকে এসেই এভাবে পানি খায়? কতবার বারন করেছি। একটু বসে জিরিয়ে নিয়ে তারপর খাবি, এইটুকু ধৈর্য্য ধরতে পারিসনা? ”
” এখন গরম কোথায় মা? দেখত আমি ঘামছি? এখন ধৈর্য্য ধরে বসে থাকতে পারবনা। আর আমার খুব খিদেও লাগছে। ”
উর্বি কিচেন থেকে ভাতের গামলা হাতে নিয়ে ডাইনিং রুমে এলো। গামলাটা টেবিলে নামিয়ে রেখে রাদীবের দিকে তাকিয়ে বলল,
” ভাইয়া তুমিও এসেছ? যাক ভালোই হলো সবাই একসাথে খেতে বসা যাবে। ”
উচ্ছাসিত দেখাচ্ছে উর্বিকে। ওর দিকে এক মুহূর্ত তাকিয়ে রইল রাদীব। তারপর জুতা খোলার সময় জুতার বক্সের উপর একটা কাগজের ব্যাগ রেখেছিল সেটা নিয়ে উর্বির হাতে দিয়ে বলল,
” দেখ ঠিক আছে কিনা?”
উর্বি প্যাকেট থেকে দুটো বই বের করে ভালো করে দেখল। বই দুটো থেকে একটা বই উচিয়ে ধরে খুশি হয়ে বলল,
” ভাইয়া তুমি এই বই কোথায় পেলে? এখানে কোনো লাইব্রেরিতে এই বইটাতো পাওয়া যাচ্ছিল না। ”
রাদীব হেসে বলল, “এখানে নাই বলে কি দেশের কোথাও থাকবে না? সায়েমকে বলে রাখছিলাম, ও গতকাল রাতে ঢাকা থেকে আসছে, ঐ আসার সময় নিয়ে আসছে।”
” থ্যাংক ইউ ভাইয়া, ইউ আর গ্রেট। আর সায়েম ভাইয়াকেও থ্যাংকস জানিয়ে দিও। ”
” থ্যাংকস তুই নিজেই জানিয়ে দিস। বিকেলে বাসায় আসবে ও।”
রোকেয়া ওদের কথা শুনে বিরক্ত হয়ে বললেন,
” হয়েছে? এবার থাম তোরা। রাদীব যাতো গোসলটা করে আয় খাবার গুলো ঠান্ডা হওয়ার আগে। তারপর খেতে খেতে যত খুশি গল্প করিস। ঠিক আছে? ”
” ওকে মা আমি যাব আর আসব, তোমাদের খাবার বাড়তে বাড়তে আমার গোসল হয়ে যাবে। ”
কথাগুলো বলেই নিজের রুমের দিকে পা বাড়ায় সে। আর উর্বি আর রোকেয়া পা বাড়ায় কিচেনের দিকে ।
চলবে ইনশাআল্লাহ।