পবিত্রতার_ছোঁয়া পর্ব ৬

গল্প :#_পবিত্রতার_ ছোঁয়া
পর্ব :#6
লেখিকা :#জাবিন _মাছুরা [ছদ্মনাম]

তাহসিন ভেজা কাপড় না খুলেই, একটা ছবির সামনে চলে এলো।ছবিরটির সামনে হাঁটু ভেঙে বসে পড়ল। আর বলতে লাগল, তুমি অনেক নিষ্ঠুর। কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেলে। তুমি কখনোই আমাকে ভালবাসোনি। ভালোবাসলে আমাকে কি একা ফেলে চলে যেতে পারতে। বলো,,, বলো,, [ভাঙা গলায়]

||

আমার খারপ লাগছে কেন। স্যার তো কখনোই আমাকে ভালোবাসে না। ভালো ভাবে কথাও বলা না। তাহলে কেন একটা বাইরের মানুষের জন্য আমার চিন্তা হচ্ছে। সে আমাকে বলে, আমি নাকি পিচ্চি। তাকে নাকি স্বামী হিসেবে ভাবা যাবে না। তাহলে আমাকে বিয়ে করলো কেন?? [মনে মনে]

||
শাদিয়া :হ্যালো আবির?

আবির :বলো?

শাদিয়া :আমরা বিয়ে করবো কবে?

আবির :দেখ শাদিয়া কত বার বলবো আমার বোনের আগে বিয়ে হবে। তারপর আমার। [রেগে]

শাদিয়া :রেগে যাচ্ছো কেন?

আবির:সরি।

শাদিয়া :আসবে কবে?

আবির:এইতো কিছু দিন পর। তুমি শুধু দোয়া করো যাতে রিমিকে তাহসিন বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়। তারপরে আমারা বিয়ে করে ফেলব।

শাদিয়া :কিন্তু, তাহসিন তো রিমিকে বিয়ে কখনো করবে না।

আবির:কেন? ওই তাহসিন যদি আমর বোনকে বিয়ে না করে তাহলে আমি ওকে জাস্ট মেরে ফেলব? [উত্তেজিত হয়ে]

শাদিয়া : দেখ আবির তাহসিন যদি অন্য কাউকে ভালোবাসে তাহলে?

আবির:মনে কি? তুমি আছো কেন? তুমি তো তাহসিনের বেস্ট ফ্রেন্ড। তোমার দ্বায়িত্ব হলো তাহসিন আর রিমির সম্পর্কে যাতে কেউ না আসতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখা। আর যদি কেউ এসোও থাকে তাহলে তাকেও আমি কি করবো তা আমি নিজেই জানিনা। [রেগে]

শাদিয়া আর একটাও কথা না বলে ফোন রেখে দিল। আর বলতে লাগল, আমি তাহসিনের সাথে কথা বলব। মামা মামি কেউ বোঝাবো। আমি চাই না মিহুর জন্য আমার আর আবিরের সম্পর্কে কোনো বাধা আসুক।
||

বাইরের আলো এসে তাহসিনের মুখে পড়েছে। রাতের ভেজা কাপড় শুকিয়ে গিয়েছে য়েছে। সে যে কাল রাতে কখন ছবিটির সামনে ঘুমিয়ে গিয়েছিল তা তার মনে নেই।
তাহসিন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে মায়ের কাছে গেল।

তাহসিন :মা,,

রিনা :ভেতরে আই।

তাহসিন :খেয়েছ?

রিনা:না বাবা।তুই আগে বল, কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিস?

তাহসিন :মা আমি বিয়ে করবো।

রিনা:সত্যিই? এই তো আমার সোনা বাবা।

তাহসিন :হ্যাঁ মা। কিন্তু এখন না।

রিনা: তাহলে কখন। তুই যখন বলবি তখনই আমি রাজি।

তাহসিন :আমার ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার পরে।

রিনা:কিন্তু,, আচ্ছা ঠিক আছে।এখন থেকেই রিমির সাথে কথা বলবি। আমি চাই আগে থেকেই তোরা একে অপরকে ভালো ভাবে বুঝতে পারিস।

তাহসিন :হুম। তুমি যা বলবে তাই হবে।

রিনা:আমি আজকেই ভাইয়ের সাথে কথা বলব। তোর পরীক্ষা শুরু হওয়ার তো আর বেশি দিন নেই। খুব তাড়াতাড়িই বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে ফেলব।

তামিম সাহেব তাহসিন আর রিনার কথা শুনে ও কিছু বললেন না। তিনি তাহসিনের কথায় অবাক। তার মতে, ছেলেটা কী পেয়েছে। যখন যা ইচ্ছা তাই করবে। মিহুর কি হবে একবার ও ভাবলো না। [মনে মনে]

তামিম সাহেব :তাহসিন,,

তাহসিন :জী বাবা। কিছু বলবে।

তামিম সাহেব :হ্যাঁ ।তোমার সাথে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। একটু পরে অফিসে যেয়ে আমার সাথে দেখা করো।

তাহসিন :ঠিক আছে ।

|||

আমার ঘুম থেকে উঠেই স্যারের কথা মনে পড়লো।কাল রাতে মা আঙ্কেল কে ফোন দিয়েছিল। আঙ্কেল বলছে স্যার ঠিক মতো পৌঁছে গেছেন। স্যারের ফোনে চাজ ছিল না, তাই সে কথা বলতে পারে নি।

তার কথা মনে পড়তেই বাড়ি কাজের কথা মনে পড়ে গেলো । আল্লাহ আমার তো পড়া বানানো হয় নি। আমি তাড়াতাড়ি পড়তে বসলাম।
পড়া শেষে খাওয়া দাওয়া করে স্কুলের জন্য রওনা হলাম।

রাস্তা যেয়ে আমি যা দেখলাম তা দেখে আমি স্তব্ধ।যা দেখে আমার,,,,,,

চলবে?

[দুঃখিত, পরীক্ষার জন্য লিখতে লেট হয়ে গিয়েছে]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here