dangerous love পর্ব -০৮+৯

#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_08,09
ঘটনা স্থলে,,,,, আগুন আসার কিছুক্ষণ আগে,,,,,,

ছেলেগুলি আনুশকাকে বাজে কথা বলতে লাগলো ।

আনুশকার দিকে এগুতে লাগল,,,,

আনুশকা ভয়ে ভয়ে পিছতে লাগলো ।

এরমধ্যে একটা ছেলে আনুশকার শাড়িতে হাত দিলো এন্ড শাড়ির আচল ধরে টান দিলো ।

আনুশকা মাটিতে পড়ে গেলো ।
আনুশকা খেয়াল করলো তার সামনে দুটি পা ।

এটা আর কেউ নয় সয়ং আগুন ।

আগুন আনুশকাকে এই অবস্থায় দেখে রাগে ক্ষোভে চিল্লাতে শুরু করলো ।

আনুশকাকে উপরে টেনে তুলল আর নিজের পরনের শার্ট আনুশকাকে পড়তে দিল ।
আগুন এবার ভয়ঙকর হয়ে উঠলো ।
সে কি করবে নিজেও জানেনা,,,, তার কলিজার টুকরো আনুশকাকে এভাবে কেউ অসম্মান করবে এটা
সে মেনে নিতে পারছেনা ।

আগুন ঐ ছেলেগুলোকে মারতে শুরু করলো ।

একেকজনকে একক রকম ভাবে ইচ্ছে মতো পিটালো ।

যেই ছেলে আনুশকাকে বাজে বকেছে তার পুরো ফেস রাস্তায় ঘষতে শুরু করলো,, যতক্ষণ পর্যন্ত ফেসটা রক্তাক্ত না হয় ।

এটা দেখে আনুশকা ভয়ে মাথা নিচু করে রাখলো

এরপর যেই ছেলে আনুশকার শাড়ি টাচ করেছিলো সেই ছেলের হাত ভেঙে মুচড়ে ধুমরে দিলো আগুন ।

আরেকটুর জন্য হাত ছিড়েই যেতো ।

অন্য আরেকটা ছেলের হাতে আনুশকার শাড়ি ছিলো ।

সেই ছেলেকে শাড়ি দিয়েই গলায় ফাস দিতে থাকলো আগুন ।

ছেলেটার ধম বন্ধ হওয়ার মতো সিচিয়েশন তৈরি হয়,,,
তারপর ছেলেটা রক্ত ভমি করে ।

শেষের ছেলেটার দুই পা ভেঙে ফেলে আগুন ।

আগুন এবার আনুশকার দিকে তাকালো ।

আনুশকার ভয়ে হার্ট অ্যাটাকের অবস্থা ।

আগুন ছেলেটার হাত থেকে শাড়ি নিয়ে আনুশকাকে শাড়ি না দিয়ে নিজের গলায় স্টাইল করে মাফলারের মতো পড়লো এন্ড বাকিটা নিজের হাতে রাখলো ।


আগুনের বডি বেশ রক্তাক্ত হয়েছে ঐ ছেলে গুলির রক্তে ।

পুরো রাক্ষস হায়েনার এক ভয়ঙকর জিবের মতো লাগছে আগুনকে ।

আগুন আনুশকার সামনে এসে একটা হাত মুষ্ঠি বদ্ধ করলো ।

আনুশকা : আমার ভিষন ভয় করছে,, হঠাৎ এইভাবে সামনে এসে হাত কেনো মুঠো বন্ধি করলো,,

তাহলে কি আমাকে উনি মারবেন ঐ ছেলেগুলির মতো ।
আমাকে মারলেতো আমি শেষ,,,
উনার যে ফিট বডি,,,,,

আমাকে মারলেতো আমি শেষ,,,

আগুন : আমি ওর কাছে যেতেই ও চোখ বন্ধ করে দিলো ।
আগুন আনুশকার পিছনে থাকা দেয়ালে একটা ঘুষি দিলো ।

এক ঘুষিতে পুরো দেয়াল ভেঙে গেলো ।

আনুশকা ঘাবড়ে কান্না শুরু করে দিলো ।

আগুন কিছু না বলে আনুশকার হাত ধরে গাড়িতে বসালো,,

তখনও আনুশকার গায়ে আগুনের শার্ট ছিলো ।

আগুন চুপচাপ ড্রাইভ করছে ।
আর আনুশকা ভাবছে,, এতক্ষণ হয়ে গেলো লোকটা আমাকে কিছু করছেনা কেনো ।
আমি এতো বড় ঘটনা করলাম তারপরও আমাকে কেনো কিছু করছেনা আর বলছেনা কেনো ।

ধুর কি ভাবছি,, কিছু না বললেই তো ভালো ।

আমি বরং চুপচাপ থাকি ।
আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে গেলে নিজেরি ক্ষতি,,,

আগুন বাংলো বাড়িতে গাড়ি থামালো আর আনুশকার হাত ধরে ভিতরে নিয়ে গেলো ।

তারপর রুমে নিয়ে গেলো এবং ওয়াস রুমের দিকে আনুশকাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলৈ দিলো ।

আনুশকা : এখন উনি করবেন,,
নিজের হাত দিয়ে কি উনি আমাকে গোসল করাবেন ।

আগুন : ঠিক ধরেছো সুইট হার্ট,,
এই বলে আগুন আনুশকার দিকে এগিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিলো ।

দুইজনেই শাওয়ারের নিচে ।
টুপটাপ পানি পড়ছে ।

আনুশকা ভয়ে চোখ বন্ধ করেদিয়েছে ।

আগুন কিছু ক্ষণ এভাবে থেকে আনুশকাকে হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো ।

আনুশকা : আমি কিছুই বুঝলামনা ।

আনুশকা ফ্রেস হয়ে রুমে গিয়ে খাটে বসলো ।

হঠাৎ নিচে জিনিস পত্র ভাঙার শব্দ শুনলো ।

নিচে গিয়ে দেখে,, সব জিনিসপত্র ভেঙে গুড়ো করছে আগুন ।

আগুন জোরে জোরে চিল্লাচ্ছে

যেনো কোন হিংস্র বাঘ হয়েগেছে আগুন ।

আনুশকাকে আগুন দেখতে পেয়ে আনুশকার দিকে এগুতৈ লাগলো ।

আনুশকার পাশের একটা বিশাল শপিজে একটা লাঠি দিয়ে বারি দিলো ।

আনুশকা ভয়াবহ এরকম অবস্থা দেখে এক দৌরে উপরের রুমে চলে গেলো ।

একটু পর আগুন একটা পেপার নিয়ে এলো আর আনুশকাকে সাইন করতে বললো ।

আনুশকা প্রথমে সাইন করতে না চাইলেও পরে আগুনের হায়েনার মতো চেহেরা দেখে

আগুন চলে গেলো ।আনুশকা একটু পর নিচে গিয়ে আগুনের সাথে খেতে বসলো ।
আশ্চর্যের বিষয় আগের মতো আগুন কিছু করছেনা


আনুশকা বিষয়টি খেয়াল করলো তারপর চুপচাপ খেয়ে তাড়াতাড়ি উপরে চলে ।

আগুন আনুশকা চলে যাওয়ার পর একটা শয়তানি হাসি দিলো ।

আগুন আনুশকার রুমে গিয়ে দরজা লক করে দিলো ।

আনুশকা আচমকা শোয়া থেকে উঠে বসলো ।

আগুন নিজের শার্টের বোতাম খুলে খুলে আনুশকার দিকে এগুতে লাগলো ,,,,,

চলবে,, ,
.
#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_09
আগুন আনুশকার দিকে এগিয়ে আসছে,,,,
আগুনকে আজ অন্য রকম দেখাচ্ছে আনুশকার কাছে।

আনুশকা ভয়ে ভয়ে পিছুচ্ছে ।।
আগুন এবার পুরো শার্ট খুলে ফেললো ।
শার্টটা অনেক দূরে ছুরে ফেলে দিলো ।

আগুন আনুশকার দিকে কিছুটা ঝুকে বললো ।

তোমাকে বলেছিলাম আমার থেকে দূরে যেতে পারবেনা ।
তাই বৃথা চেষ্টাও করোনা ।

বাট তুমি এই কাজটাই করলে ।

তোমার সাহস কি করে হলো এমন কাজ করার,,

তার উপর ঐ ছেলে গুলো তোমার গায়ে হাত দিতে চেয়েছিলো ।

ওরা তোমার শাড়ি,,,, এইটুকু বলে আগুন আনুশকাকে আবার বললো ।

আগুন : তুমি ঐ জানোয়ারদের কে নিজে সুযোগ করে দিয়েছো,,,

ওদের আমি আজকে গরু কোরবানির মতো কোরবানি দিয়ে ফেলতাম,, শুধু তুমি সামনে ছিলে বলে বেশি কিছু করলামনা ।

আনুশকা : ওদের তো আপনি মেরেই ফেলেছিলেন আরেকটুর জন্য ।

তাও বলছেন আপনি ওদের বেশি কিছু করেননি ।
।মনে মনে বললো কথাটা আনুশকা ।

আগুন : আমি সব সহ্য করতে পারি বাট আমার কথা কেউ অমান্য করবে সেটা সহ্য করতে পারিনা ।

এবার তোমাকে এর শাস্তি পেতেই হবে ।রাগে চোখ আর ফেস লাল করে কথা গুলি বললো আগুন আনুশকাকে ।


এই বলে আনুশকাকে এক ধাক্কায় বিছানায় ফেলে দিলো আগুন ।

আনুশকা ভয়ে চিৎকার করে বললো ।

আনুশকা : দয়া করে আমার কোনো ক্ষতি করবেননা ।
প্লিজজজজ আমাকে ছেড়ে দিন,,
আমি আর কখনোই এমন কাজ করবোনা ।

কান্না জড়িত কণ্ঠে কথা গুলো বললো আনুশকা।

আগুনের রাগের মাত্রা বেশি ছিল তাই সে আনুশকার কান্না শুনতে পারছেনা ।

আগুন এবার আনুশকার চুলের মুঠোয় ধরলো এক হাত দিয়ে,, ।

আর অন্য হাত দিয়ে আনুশকার গলা চেপে ধরলো ।
আগুন আনুশকাকে কিস করতে শুরু করলো ।
আগুনের রাগ এতটাই বেশি ছিলো যে তার কিস গুলি কামড়ে পরিণত হতে লাগলো ।
আনুশকা চিৎকার করতে করতে বললো ।
আনুশকা : আমার ব্যথা লাগছে,, প্লিজজজজজজজ ছেড়ে দিন আমাকে ।
একটু দয়া করুন ।

আগুন আনুশকার কথা শুনতে পায়না সে তার নিজের মতো করে নিজের কাজ করতে লাগলো ।

রাত দুটো বাজে আনুশকা ব্যথায় কান্না করছে ।

আগুন রুমে নেই ।
একটু পর আগুন রুমে এসে আনুশকাকে নিজের কোলে বসিয়ে দিলো ।

আগুন : মলম এনেছি,, ব্যথার জায়গায় মলম লাগালে আর ব্যথা করবেনা ।

আনুশকা এবার এক চিৎকার দিয়ে উঠে গিয়ে বললো ।

আনুশকা : আপনি ভাবলেন কি করে আপনার দেওয়া মলম লাগাবো তাও আবার আপনার হাত দিয়ে ।

আগুন : ঠিক করে কথা বলো ।
ভেবে দেখো কার সাথে কথা বলছো ।
আনুশকা : একটা হায়েনা শয়তান জানোয়ারের সাথে কথা বলছি।

আগুন : এবার দেখবে আমার সাথে জোর গলায় কথা বলার মজা ।

আনুশকা : আমি কি কিছু ভুল করে ফেললাম,, ঘুমন্ত হায়েনাকে

আবার জাগিয়ে দিয়ে ভুল করে ফেলেছি ।মনে মনে বললো কথাগুলি ।

আগুন : বার বার তোমার আমার হায়েনার রুপ দেখতে ভালো লাগে তাইনা????

একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বললো,,
এখন তোমাকে আমার রোমান্টিক রুপ দেখাবো ।

কথাটা বলেই আগুন আনুশকার ঠোটেঁ নিজের ঠোঁট ছুয়ালো ।

প্রায় ৩০ মিনিট পর আনুশকাকে ছাড়লো ।

তারপর আনুশকাকে বললো

আগুন: এখন আবার আমার সাথে আরেকবার জোর গলায় কথা বলে দেখোতো ।

আনুশকা : নিশ্চুপ,,

তোমাকে বলেছি আমার সাথে জোর গলায় কথা বলবেনা ।
তা না হলে আমার হায়েনার রুপ বের হয়ে যাবে ।

অবশ্য এরকম বিহেভ করলে তাতে আমার লাভ ॥

তুমি যতবার এরকম বিহেভ করবে ততবার এমন করবো তোমার সাথে ।

আমিতো খুব এনজয় করবো,
আশা করি তুমিও এনজয় করবো ।

এগুলো মাথায় ঢুকিয়ে নিয়ে আমার কাছে এসো ।

তোমাকে মলম লাগিয়ে দিই,,,
তারপর আমাকে যত ইচ্ছে বকতে পারো ।

আনুশকা রাগে গজ গজ করছে আর এক ঠায় দাড়িয়ে আছে নিজের জায়গায় ।

আগুন এবার দাড়িয়ে গেলো,, এটা দেখে আনুশকা এক ঝটকায় আগুনের কাছে এসে বসলো ।

আগুন আনুশকাকে নিজের কোলে বসিয়ে মলম লাগিয়ে দিলো

মলম লাগানোর সময় আনুশকা নিজের চোখ বন্ধ করে আগুনের শার্ট খামছে ধরছিলো ।

আগুনের বেশ ভালোই লাগছিলো আনুশকার এমন বিহেভে ।

আগুন আনুশকাকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে চলে গেলো ।

আনুশকা ভাবছে এই হায়েনার কাছ থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে ।
নিজের বাড়ির কথা অনেক মনে পড়ছে আনুশকার ।

বাবা আর আকাশের জন্য ভিষন কষ্ট হচ্ছে তার ।

ওদের খুব দেখতে ইচ্ছে আনুশকার ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here