dangerous love পর্ব -০৬

#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#06,07

আগুন আনুশকা বলে চিল্লাচ্ছে ।

বাট আনুশকার কোনো খবর নেই ।

এক পর্যায়ে আগুন জোড়ে একটা লাথি দিলো ।

সাথে সাথে দরজা খুলে দেখলো,,,,

আনুশকা সবে মাত্র শাড়ি পড়ছে ।

এতো সময় শাড়ি পড়তে লাগে কারো ।

এতোক্ষণ সময়ে একশত জনকে শাড়ি পড়ানো যায় ।

আগুন এগুলো ভাবছে আর রাগে ফুলছে ।

এদিকে আনুশকা ভয়ে প্রায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সিচিয়েশন ।

আগুন একটা টানে আনুশকার অর্ধেক পড়া শাড়িটা খুলে ফেললো ।

তারপর আনুশকার হাত ধরে ওয়াস রুমের ঝর্ণার নিচে
নিয়ে গেলো ।

এক হাত দিয়ে আনুশকার দুই হাত চেপে ধরেছে আগুন ।

আর অন্য হাত দিয়ে আগুন
ঝর্ণার অন করলো ।

টুপ টুপ পানি পড়ছে আর
আগুন শুধু তার আনুশকাকে দেখছে ।

আনুশকা ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছে ।

আনুশকাকে ঠিক নিরীহ একটা হরিণের মতো লাগছে ।

এন্ড আগুনকে ঠি হিস্র রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো লাগছে ।

আগুন এতোক্ষণ রেগে থাকলেও আনুশকার নিশপাপ
ফেস দেখে নিমিষেই তার রাগ চলে গেলো ।

আসলে ভালোবাসার মানুষের উপর রাগ বেশি ক্ষণ থাকেনা ।

ভালোবাসার মানুষের সাথে ঝগড়া হলেও একটু পর দুইজন একসাথে আবার আগের মতো থাকবে এটাই স্বাভাবিক ॥।

এবং এগুলোই প্রকৃত সুখময় ভালোবাসা ।

আনুশকা জমে প্রায় ঠান্ডা হয়ে গেছে ।

আনুশকা কাপা শুরু করে দিয়েছে ।

আগুনের যেনো ঘোর কাটছেনা ।

সে আনুশকার দিকে তাকিয়ে আছে ।

টুপ টাপ পানি পড়ে আনুশকার ঠোঁট কেপে কেপে উঠছে ।

আগুন তার হাত দিয়ে
আনুশকার সামনে থাকা চুল গুলি সড়ালো,,

আচমকা সে দেখতে পেলো
আনুশকার গলার একপাশে একটা কালো তিল ।

এটা আনুশকার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে ।

আগুন আর ওয়েট না করে
আনুশকার গলায় অজস্র ঠোঁট ছোয়াতে শুরু করলো ।

তারপর আনুশকার ঠোটের দিকে এগুতো
লাগলো তখন আগুনের

ফোনের রিংটন বেজে উঠলো ।

আগুন দেয়ালে একটা বারি দিলো ।
আগুন আনশকাকে বললো ।

আগুন : আনুশকা সুইট হার্ট তোমাকে দশ মিনিট সময় দিলাম
এর মধ্যেই ফ্রেস হয়ে রুমে এসো ।

তা না হলে তোমাকে নিজের হাতে ড্রেস চেন্জ করে দিতে বাধ্য হবো ।Mind it sweet heart l
।And love u,,,

আগুন ওয়াস রুম থেকে চলে এসে ফোন রিসিভ করলো ।

আগুন : Hello,, Who the hell are you.

অচেনা : Sir আমি বলছি,,, ডনরাজ আসলাম ।

আগুন : Oh. I see “! বল তোর খবর বলো,,

ওদিকের সব খবর বল ।
সব কি ঠিক ঠাক হয়েছে ॥।

অচেনা : জি স্যার আপনার কথা মতো আপনার শুরুরের বাড়িতে পুরো প্রেস মিডিয়া লেলিয়ে
দিয়েছি ।

আগুন :Gd job. আমি তোর চ্যাক পাঠিয়ে দিচ্ছি,, ।

নেক্স্ট কাজের জন্য ওয়েট কর ।

অচেনা : জি স্যার,, আপনার মেহেরবানি ।

আগুন পিছন ফিরে তাকালো,

তখন দেখলো আনুশকা
গুটি গুটি পায়ে এগুচ্ছে ।

আগুন একবার আনুশকাকে দেখে নিলো পা থেকে মাথা পর্যন্ত । ।

দেখলো,, আনুশকা কোনো মতো
শাড়ি পেচিয়েছে ।

আগুন : কি ব্যাপার মনে হচ্ছে তুমি আমার হাতে শাড়ি পড়তে চাইছো ।

আনুশকা : আসলে আমি শাড়ি পড়তে জানিনা ।

আগুন শয়তানি হাসি দিলো ।

আগুন : সুইটহার্ট সেটাতো জানি,

তোমাকে নিজের হাতে শাড়ি পড়াবো ।
এজন্যইতো শাড়ি পড়তে বললাম ।
…মনে মনে বলল কথাটা আগুন ।

আগুন : সামনে এসো ডিয়ার

আনুশকা ভয়ে ভয়ে সামনে আসলো ।

কারণ না আসলে আগুন তাকে শাড়ি ছাড়াই রাখবে ।

আগুন আনুশকাকে শাড়ি পড়িয়ে দিলো নিজ হাতে ।

শাড়ি পড়ানোর সময় ইচ্ছে করেই অনেক দুষ্টামি করেছে ।

তারপর এক ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলো দিলো আনুশকাকে ।

তারপর কিছু বোঝে উঠার আগেই আগুন
আনুশকার ঠোটে ঠোট লাগিয়ে দিলো ।

আগুন.কিছু ক্ষণ পর আনুশকাকে ছেড়ে দিলো ।

আগুন : আমি আসি তুমি ঘুমাও জান ।

জেগে থাকলে আমার রোমান্স
আবার জেগে থাকবে ।

কাল তোমার জন্য সারপ্রাইস ওয়েট করছে ।

আগুন চলে গেলো ।নিচে গিয়ে টিভি অন করলো ।

চ্যানেল আনুশকাদের বাড়ি দেখছে ।

সাংবাদিকরা কিভাবে তার চাচার নিয়ে হেনস্তা করে কথা বলছে সেটা শুনে আগুনের শান্তি লাগছে ।

অনেকে বলছে আনুশকাকে কোনো ধর্ষক পার্টি নিয়ে গেছে ।
।এটা শুনে আগৃনের রাগ উঠলেও আনুশকার বাবার অপমানিত ফেস দেখে তার শান্তি লাগছে ।

সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেছে তার চাচাকে ।

আনুশকার বাবা কারো কথার কোনো উওর দিতে পারছেনা ।

আগুন : sry dear Anushka তোমারা যা করেছো তার তুলনায় এগুলো কিছুই না ।
সবে শুরু ,আমার নেকস্ট প্ল্যান আরো ডেনজারাস ।

আনুশকা খেয়াল করলো ঘুমের মধ্যে দুই জোড়া হাত তার পা থেকে কোমরের দিকে উঠছে ,,,

চলবে, ,,,
.
#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
07
আনুশকা কিছু বুঝতে পারছেনা ।

হঠাৎ ঘুমের মধ্যে এমন হলে যে কেউ ঘোরের মধ্যে থাকে ।

আনুশকা একজোড়া হাত ধরে ফেলে জোরে জোরে চিৎকার দিতে লাগলো ।

কেউ আনুশকার মুখ চেপে ধরে ফেললো ।

হতে পারে এটা ঐ হাত গুলোর মালিক ।

আনুশকার মুখ চেপে ধরে একটানৈ কোলে তুলে নিলো সেই হাত জোরার মালিক ।

আনুশকার খুব ভয় করছে,,,, ভয় হওয়ার কথা বিকোজ হঠাৎ
এমন কারো সাথে হলে তো
ভয় পাবে স্বাভাবিক ।

বাট লোকটার গায়ের গন্ধ আনুশকার চেনা লাগছে ।

এটা তো সেই গায়ের গন্ধ যে এখানে তাকে এনেছে ।

আনুশকা এবার হাফ ছেড়ে বাচলো ।

কিছুটা ভয় কমেছে তার ।
তাই সে চুপচাপ করে দেখছে কি হচ্ছে ।

আসলে এটা আগুন ছিলো ।
আগুন আনুশকাকে করিডর
দিয়ে ছাদে নিয়ে যাচ্ছে ।

আগুন : হঠাৎ আনুশকার কথা মনে পড়ছে তাই ওকে
দেখতে চলে গেলাম ।

রুমে গিয়ে দেখি আনুশকা ঘুমাচ্ছে ।

জানালা দিয়ে বাইরের ল্যমপোষ্টের আলোতে আনুশকাকে পুরো #চাদঁ এর মতো লাগছে ।

আনুশকাকে আমি চাদঁ বলে ডাকতাম ছোটবেলায় মাঝে মাঝে ।

আমি যখন ঘুমিয়ে পড়তাম তখন আনুশকা ওর ছোট ছোট হাত দিয়ে আমার পায়ে হাত বুলাতো ।

তখন ঘুমের মধ্যে আমি আমার চাদঁকে ফিল করতাম । ।
এটাই আমার আনুশকা,,, আমি ইচ্ছে করে ঘুমানোর ড্রামা করতাম ।

ও ওর ছোট ছোট আঙুল দিয়ে আমার কোমরে সুরসুরি দিতো তখন আমি মিট মিট হাসতাম ।
আর ওর প্রতি আমার ভালোবাসা ফিল করতাম ।

তখন ওর তিন বছম বয়স ছিলো এগুলো এখন মনে থাকার কথা না ।

তাই হঠাৎ ওকে ঘুমন্ত সিচিয়েশনে দেখে আমিও
ওর মতো করে এমন বিহেভ
করলাম ।

আগুনের ঘোর কাটলো সে
আনুশকাকে কোল নেওয়া অবস্থায় বলল,,,,

আগুন : আনুশকা সুইটহার্ট সামনে তাকিয়ে দেখো ।

আনুশকা সামনে তাকিয়ে দেখলো,,,

আনুশকা : আমি সামনে তাকিয়ে দেখলাম ।
বিশ্বাস করতে পারছিনা ।

আমার সামনে অজস্র জোনাকি পোকা ।

মিট মিট করে জ্বলছে জোনাকি পোকা গুলো ।

হঠাৎ খেয়াল করলাম অনেক গুলো ঝারের মধ্যে কতগুলো জোনাকি পোকা বন্ধি ।

আমার জন্য এই লোকটা এতো কিছু করলো ।

আমি কোল থেকে নেমে যেতে চাইলাম বাট পারলাম না ।

আগুন : আমার সুইটহার্ট নেমে যেতে চাইলো ।

আমি নামতে দিলাম না ।

কত বড় সাহস আমি ওর জন্য এতো কিছু ডেকোরেট করলাম,,
যেনো ওকে কোলে নিয়ে জোনাকি বিলাস করতে পারি ।

আর ও আমার কোল থেকে নেমে যেতে চাইছে ।

দিলাম এক ধমক ।

আনুশকা : হঠাৎ আনন্দের মাঝে ভমিকম্প কোথা থেকে এলো ।

তখনই বুঝতে পারলাম এটা ভুমিকম্প না এই লোকটার কর্কশ কণ্ঠ ।

আমি ভয়ে চুপ হয়ে গেলাম ।

আগুন : ভোর হতে আরো কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে ।

ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমার কোলে থাকো এন্ড জোনাকি পোকা গুলো দেখো ।

আনুশকা : লোক কি পাগল না ছাগল,,, এতক্ষণ কেউ কাউকে

আমি তো মাশআল্লা ৫০ কেজি ।

আনুশকা : আচ্ছা আমাকে এভাবে কোলে রাখতে আপনার কষ্ট লাগছেনা???

আগুন : তোমার ওয়েট কত???

আনুশকা : ৪৮ কেজি??? কেনো আমি কি বেশি ভারি??

আগুন : আমার তোমাকে ৩০ কেজি লাগছে,,, এমন কেজি কেজি নিয়ে আমি পাচঁ মাইল রোডে রান আপ করি ।


সেই তুলনায় তুমি কিছু না ।

তোমার ওজন আরো বাড়াতে হবে ।কাল থেকে তোমার খাবার খাওয়ার টর্চার শুরু হবে ।রেডি থাকো সুইটহার্ট ।

আনুশকা ঢোক গিলতে গিলতে ভাবলো ।

আনুশকা : লোকের ধম আছে বলতে হবে ।

এই লোক আসলেই # Dangerous boy.

চুপচাপ করে থাকি না হলে আমাকেই রড ভেবে দৌড় শুরু করবে ।

আনুশকা চুপচাপ করে জোনাকি দেখতে থাকলো ।

আগুনের ফিলিং টা জাস্ট বলা যাবেনা ।

সে যেনো একটা স্বর্গের মধ্যে আছে আনুশকাকে কোলে নিয়ে ।
আনুশকার দিকে আগুন এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে


এভাবে সকাল হয়ে গিয়েছো ।

আগুন আনুশকাকে কোলে নিয়ে নিচে নামলো ।

কিচেনৈ নিয়ে গেলো ॥
আগুন : কি খাবে বলো ???
নিজের হাত দিয়ে বানিয়ে খাওয়াবো ।

আনুশকা :: কি করে ভাবলেন আপনার মতো ঢেড়সের মতো লোকের হাতে ব খাবার খাবো ।

আগুন : কি বললে ?আরেকবার বলো??

আনুশকা : আমি কিছু বলিনি ,জিহ্বায় কামড় দিয়ে বললো কথাটা ।

আগুন : কিসের যেনো ঢেড়স বললে ।

আনুশকা : না মানে আমি ঢেড়স খেতে লাইক করি ।

কিছুটা ভয়ে ভয় কথাটা বললো ।

আগুন মুচকি হেসে খাবার তৈরি করে আনুশকাকে খেতে দিলো ।
। আনুশকাকে খেতে দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকলো আগুন ।

আনুশকা ভয়ে ভয়ে খাবার খাচ্ছে না ।

আগুন ভয় পেয়ো না ।এখন কিছু করবোনা ,করার জন্য সারাজীবন পড়ে আছে ।
।বাট খাবার মুখে লেগে থাকে তাহলে ,,,
বলে একটা শয়তানি হাসি দিলো ।

অনেক্ষণ হয়েছে আগুনকে দেখতে না পেয়ে আনুশকা পিছনের দরজা দিয় পালালো ।
আনুশকা একটা রাস্তায় দৌড়াতে দৌড়াতে পৌছালো ।

হঠাৎ কিছু ছেলের আওয়াজ পেলো ।

ছেলেগুলো : ঐ দেখ একটা পরি ।
এটা বলে আনুশকার কাছে আসতে লাগলো ।

আনুশকা দোড়াতে গেলে একজন তার শাড়ি ধরে টান দিলো ।

হঠাৎ আগুন চিৎকার করে উঠলো ,,
আনুশকা ,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here