dangerous love পর্ব -০৫

#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#05
আগুন পুরো ২০ মিনিট পর আনুশকাকে ছাড়লো ।
দুইজনই হাপাচ্ছে ।বাট আগুনের মনে ছিলো অন্য রকম একটা অনুভূতি ।

হাজার হোক ওর ভালোবাসার ১ম সংস্পর্শ হচ্ছে ওদের মাঝে ।ও ভাবছে ওর যে রকম অনুভূতি হচ্ছে সে রকম কি আনুশকার হচ্ছে ।।

আনুশকাকে আর চোখে দেখছে আগুন ।
আনুশকা ভয়ে আর রাগে মাথা নিচু করে আছে ।
কিছুটা লজ্জাও পাচ্ছে আনুশকা ।

আনুশকা মাথা নিচু করে আছে আর আগুন তাকে দেখছে ।

অনেক ক্ষণ এভাবে নিরবতা পালন করছে আগুন আর আনুশকা ।

নিরবতা ভেঙে আগুন কথা বললো ।

আগুন: আনুশকা ডিয়ার আমার অনেক ক্ষুধা লেগেছে তোমার সাথে রোমান্স করতে করতে ।

আনুশকা কোনো কথা বলছেনা ।আগুন আবার বলল
আগুন : কি হলো কথা বলছোনা কেনো? ??
মনে হয় তোমার রোমান্স করতে ইচ্ছে করছে আরো ।
বাট আমার এনার্জি নেই তোমার সাথে রোমান্স করার ।

তুমি যদি খাবার না খেয়ে শুধু রোমান্স খেতে চাও তাহলে আমি রাজি ।
তোমার এই আবদার টুকু তো রাখতেই হবে ।( একটা শয়তানি হাসি দিলো আগুন ।

আনুশকা আগুনের কথা শুনে তাড়াতাড়ি চোখ তোলে উপরে তাকালো ।
।আনুশকা : আমার ক্ষিধে লেগেছে আমি খাবো ।

প্লিজজজ আমাকে খাবার খেতে দিন ।

আগুন একটা শয়তানি হাসি দিলো,, কারণ আগুন জানে আনুশকা খাবার সচেতন ।

আনুশকা কখনো ক্ষিধে সহ্য করেনা ।

ছোটবেলায় মাঝে মাঝে আগুন আনুশকাকে খাইয়ে দিতো ।আনুশকা তৃপ্তি নিয়ে খেতো ।

আনুশকা খাওয়ার পর আগুনের হাতে লাগা আনুশকার এটো অবশিষ্ট টুকু আগুন চেটে খেতো ।

আগুনের ছোট ছোট আঙুলে আনুশকার ঠোটের ছোয়া থাকতো ..এজন্য আগুন তা চেটে চেটে খেতো ।

আসলে ভালোবাসার মানুষের সবকিছুই ভালো লাগে ।

ভালো খারাপ সবকিছুই ভালোবাসতে হয় ভালোবাসার মানুষের ।
।এটাই হলো প্রকৃত ভালোবাসার উধাহারণ ।

আগুনের ধ্যান ভাঙলো ।ছোটবেলার কথা মনে পড়াতে সে মুচকি মুচকি হাসলো ।

তারপর সে আনুশকাকে নিচে নিয়ে গেলো ।
সেখানে ডাইনিং টেবিলে নিজের হাতে চেয়ার টেনে বসিয়ে দিলো আনুশকাকে ।

আনুশকার পাশের চেয়ারে বসলো আগুন ।তারপর নিজের হাতে খাবার বেড়ে দিলো আনুশকাকে ।

বাট আনুশকা খাবার শুরু করছেনা ।আনুশকা খেয়াল করলো একজোড়া ভয়ংকর চোখ তার দিকে তাকিয়ে আছে ।

এটা দেখে আনুশকা তাড়াতাড়ি খাওয়া শুরু করলো ।
খেতে খেতে আনুশকার ঠোটে আর মুখে লেগে গেলো কিছুটা খাবার ।

আগুন এবার নিজেকে ঠিক রাখতে পারলোনা সে এক ঝটকায় আনুশকার কাছে গিয়ে মুখে লেগে থাকা খাবার চেটে খাওয়া শুরু করলো ।

আনুশকার দুই হাত চেপে ধরে আনুশকার ঠোঁটে লেগে থাকা খাবার গুলো খেতে লাগলো ।

আনুশকার দম প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে ।সে কিছুই করতে পারছেনা ।

নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে বাট পেরে উঠছৈনা ।
আগুনের কোনো হুস নেই ।সে নিজের মনে আনুশকার গালে আর মুখে লেগে থাকা খাবার খেয়ে যাচ্ছে ।

অনেক ক্ষণ যাবৎ পর আগুন থেমে নিজের চেয়ারে বসে পানি খেতে গ্লাস নিলো হাতৈ বাট পানি খেলোনা ।
কারণ তার মুখে যে আনুশকার ছোঁয়া লেগে আছে ।

সে আজ এভাবেই থাকবে না খেয়ে ।
সারা রাত আনুশকার ছোঁয়া নিয়েই কাটিয়ে দিবে ।

অন্য দিকে আনুশকা স্টেচু হয়ে বসে রইলো চেয়ারে ।

কি হচ্ছে ওর সাথে কিছুই বুঝতে পারছেনা সে ।
সে আগুনের দিকে তাকালো …আগুন লেপটপ নিয়ে কাজ করছে ।

এমন একটা ভাব করছে যেনো কিছুই হয়নি ।
মানুষ এত বড় ঘটনা করার পর কিভাবে চুপ থাকতে পারে সেটা ভাবছে আনুশকা ।

আগুন হঠাৎ বলে উঠলো,
আগুন ; রোমান্স আপাতত অফ ।এখন খাবার খাও । না খেলে বলো আবার রোমান্স শুরু করবো ।

আনুশকা ভয়ে তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া শুরু করলো ।

আগুন মুচকি মুচকি হাসছে আর কাজ করছে ।
বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে আগুন সেখানে নিজের বিসনেজ তৈরি করছে ।

এখন সে এখানে বসে বসে কিছু ইমপর্টেন্ট কাজ করে নিচ্ছে আর আর চোখে তার আনুশকাকে দেখছে ।

আনুশকা খাবার খাওয়া শেষ হলে উঠে যেতে চাইলো বাট পারলোনা ।

আগুন: তোমাকে যেতে বলেছি ।চুপচাপ এখানৈ বসে থাকো নইলে ..

আনুশকা ভাদ্য মেয়ের মতো বসে রইলো ।
আগুনের কাজ শেষ হলে সে আনুশকাকে নিয়ে উপরে চলে গেলো ।

রুমে গিয়ে শপিং ব্যাগ গুলো আনুশকার হাতে ।

আগুন : গোসল করে এগুলো পড়ে এসো ।
সারাদিন এক কাপড়ে থাকতে থাকতে তোমার গা থেকে কেমন বাজে গন্ধ বের হচ্ছে ।

এজন্য আজকে বেশি.রোমান্স করতে পারলামনা ।

টায়ার্ড লাগলে বলো আমি তোমাকে ফ্রেস করিয়ে দিবো ডিয়ার ।

আনুশকা এক দৌড়ে ফ্রেস রুমে চলে গেলো ।
দুই ঘণ্টা হয়ে গেলো বাট আনুশকার খবর নেই ।

আগুন ভয়ে আর রাগে ওয়াস রুমের দরজা ধাক্কা দিতে লাগলো ।অনেক গুলি লাথি দিতে লাগলো ।

এদিকে আনুশকাদেরর বাড়ি পুরো মিডিয়া ঘিরে ধরেছে ।আসলে আগুন জানিয়েছেন আনুশকার বাড়ি না ফেরার ব্যাপার মিডিয়াকে ।

চলবে, ,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here