dangerous love পর্ব -০৪

#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#0_4
আগুন যেন পাগল হয়ে গেছে। সে জানোয়ারের মতে আচরণ করতে লাগলো আনুশকার সাথে।

আনুশকা জোরেে জোরে চিল্লানো শুরু করলো।
আনুশকা ঃঃ ছাড়ুন আমাকে,,ছেড়ে দিন আমাকে আল্লার দোহায়।
আগুন আনুশকার চিল্লানোোতে আর পাগল হয়ে গেছে। সে আনুশকাকে ইচ্ছে মতো কামড় আর কিস করতে লাগলো।

আসলে আগুনের কিস গুলো কামড়ে পরিণত হচ্ছে সেটা আগুন নিজেও জানেনা।

আনুশকা প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলো। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হাড়িয়ে ফেললো।
আগুন এবার কিছুটা হাঁপিয়ে গেলো।
সে আনুশকাকে ছেড়ে দিয়ে ওয়াস রুমে চলে গেলো।।
ওয়াস রুমে গিয়ে আগুন হাত মুখে পানি দিলো।
হঠাৎ সে নিজের মুখ আয়নায় দেখলো।
আগুন তার মুখে আর গায়ে অনেক গুলো খামছি দেখতে পেলো।

হঠাৎ তার আনুশকার কথা মনে হলো। সে আনুশকার সাথে কি করছে তা মনে পরতেই এক দৌড়ে রুমে চলে গেলো।

রুমে গিয়ে সে আনুশকাকে দেখতে পেলো রুমের ভিতর। আনুশকার অবস্থা দেখে আগুন চিল্লানো শুরু করলো।।

আনুশকার নাম ধরে চিল্লি চিল্লিয়ে নিজের হাত দেয়ালে সজোরে বারি দিলো।
আগুনের হাত দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করলো।
এসব তোয়াক্কা না করে সে আনুশকার কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো।

আগুনঃ আনুশকা আমাকে মাফ করে দাও।
আমি হঠাৎ তোমার এমন আচরণ দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি।

তুমি কেনো আমার থেকে দূরে যেতে চাইলো।
আমি তোমাকে ছাড়া অনেক বছর দূরে ছিলাম। আর এখন তোমাকে কাছেে পেয়েছি তখন এক মূহুর্ত তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা।।

আনুশকা কথা বলছোনা কেনো?? তুমি আমার সাথে রাগ করেছো??? ।
প্লিজ আমার সাথে কথা বলো।

আনুশকার এখনো কোনো হুশ নেই। এবার আগুন ভয় পেয়ে গেলো। সে কাদতে থাকলো আনুশকাকে জড়িয়ে ধরে।।

আগুন পকেট থেকে ফোন বের করে পরিচিত এক ডক্টরকে ফোন করলো। আগুন তার জঙ্গলের বাংলোর ঠিকানা দিলো।

বেশ কিছুক্ষন পর আগুন একটা গাড়ির হর্ন পেলো। অবশেষে ডক্টর আসলো।

আগুন তাকে আনুশকার রুমে নিয়ে এলো।
আনুশকাকে দেখে ডক্তর আগুনের দিকেে তাকালো।

ডক্টরঃঃ মিঃ আগুন,, এনাকে দেখে মনে হচ্ছে কেউ কামড় দিয়েছে। এভাবে কেউ কাউকে কামড়ায়।

আগুন,ঃঃ????
ডক্তরঃ ভিক্টিম আপনার কে হন??? কে এনার সাথে এমন করেছে বলুন??? আমার পরিচিত লোক দিয়ে এসব যে করেছে তাকে কঠিন শাস্তি দিবো।

আুন ভয়াবহ দৃষ্টি নিয়ে ডক্টরের দিকে তাকালো।

আগুনঃ আপনাকে রোগীর জ্ঞান ফিরাতে আনা হয়েছে। তাই আপনি নিজের দ্বায়িত্ব পালন করুন।
তা না হলে আপনার অবৈধ ঔষধ কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।

ডক্টর ভয় পেয়ে গেলো প্রচন্ড।
ডক্টরঃঃ আসলে বলতে চাইছিলাম এরকম ফুলের মতো মেয়েকে কেউ কামড়ায়।

আগুন এবার আরো রেগে গেলো।
আগুনঃঃ তাহলে আপনাকে একটু কামড়িয়ে দিই। দাতে দাত চেপে কথাটা বলল আগুন।
ডক্টর ঃঃ আমি প্রয়োজনিয় ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি, একটু পর জ্ঞান ফিরে আসবে ( ভয়ে ভয়ে কথা গুলি বললো ডক্টর।

আগুন ডাক্তারকে কয়েকটা বান্ডিল দিলো ডলারের। একেবারে বান্ডিল গুলো মুখে ছুরে দিলো ডক্টরের।

আগুন ঃঃ এখানে যা দেখলেন তা সব ভুলে যাবেন। মনে রাখলে আপনার ক্ষতির জন্য আপনি দ্বায়ি থাকবেন আমিনা।

আর শুনুন উনি আমার ওয়াইফ। দেশের বাইরে ছিলাম তাই এতোদিন পরে দেখতে পেয়ে একটু বেশি আদর করে ফেলেছি তাই এমনটা হলো।

আগুনের কথা শেষ হতেই ডক্টর এক মূহুর্ত দেরি না করে তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো এবং নিজের কার নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো জঙ্গল বাংলো থেকে।

আগুন আনুশার কাছেে গিয়ে বসলো।
আনুশকার কাছেে গিয়ে কপালে হাত বুলাতে থাকলো।

আগুন ঃঃ আমাকে মাফ করে দাও ডিয়ার। আমি তোমার থেকে দূরে থাকতে পারবোনা ডিয়ার। আমার এমনটা করা ঠিক হয়নি। আর আমাকে রাগিয়ে দিয়োনা প্লিজজজ।

তা না হলে এর থেকে বড় কিছু হয়ে যাবে। তখন আমি নিজেকে মাফ করতে পারবোনা কখনো। নিজেকে শেষ করতে বাধ্য হবো।

I love you dear .I love you very much sweet heart .please forgive me .
Please open your eyes sweet hear .
.
Anushka adike chok khulchna .
Ashole prochondo bhoy peyeche Anushka..
Aguno nachorbanda ,,agun anushkar kamorer jaygay aker por ak kiss korte laglo.
Ar bar bar bolche I love you dear .
.
এদিকে সন্ধ্যা হয়ছে। আনুশকা বাড়ি না ফিরাতে আগুনের চাচা মানে আনুশকার বাবা প্রচন্ড টেনশন করছে।

আনুশকার মা নেই। ছোটবেলায় মারা গেছেন। আনুশার একটা ছোট ভাই আছে নাম শাওন। আর ডাক নাম আকাশ।
আকাশ আর আনুশকা সবসময় একসাথে আঠার মতে লেগে থাকে। একেবারে কাঠালের আঠা দুইজন।

আনুশকা বাড়ি না ফিরাতে শাওন অনেক মন খারাপ করছিল।
শাওন ঃঃ বাবা কখন আপু আসবে??? আমার আপুকে এনে দাও। আর কখনো আপুর জিনিস পত্রেে হাত দিবোনা, কখনো আপুর ফোন নিবোনা,,আর কখনো গেইমও খেলবোনা।

বাবাঃ নিশ্চুপ হয়ে শাওনকে জড়িয়ে ধরে বললো,, এইতো বাবা এখনি তোমার আপু চলে আসবে,,,।

এদিকে আনুশকার জ্ঞান ফিরছে,, ধীরে ধীরে সে চোখ খুলে দেখলো বিছানায় আছে সে।
আর আগুনকে খেয়াল করে দেখলো সে সোফায় বসে আছে দুই হাত নিজের চোখে রেখে। আগুনের পা গুলি একটা টোলের উপরে রাখা। মনে হয় সে ঘুমাচ্ছে।

এই সুযোগে আনুশকা উঠে পালাতে লাগলো বাট পারলোনা। তার আগেই আগুন হাত ধরে আনুশকাকে এক ঝটকায় নিজের কাছেে এনে ফেললো,, আনুশকা আগুনর ভয়ার্ত রক্ত রাঙানো চোখ দেখে ভয়ে নিজের চোখ বন্ধ করে দিলো।।
আগুন ঃঃ আবার একই কাজ করতে যাচ্ছিলে,,এর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে।

আর কিছু না বলে আগুন আনুশকাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেলো এন্ড নিজের নিজের ঠোট আনুশকার ঠোটে লাগিয় দেয়।তারপর ইচ্ছেমত কিস করতে থাকে।সাথে কামড়াতে থাকে।আনুশকা সহ্য করতে পারছে না💘💘💘

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here