#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_২০
#অধির_রায়
আঁধারের ঘনঘটা কেটে ফুটে উঠে দিনের আলো৷ সূর্য্যি মামার সকাল বেলা বেশ প্রখর৷ ভ্যাপ্সা গরমে ভালো ঘুম আসছে না৷ এসির শীতল হাওয়ার একটু ঠান্ডা লাগছিল৷ এসি বন্ধ করে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানা নেই? ইহান আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আছেন৷ আমি ছোট বাচ্চার মতো গুটিশুটি হয়ে উনার বুকে শুয়ে আছি৷ উনার হৃৎপিণ্ড প্রতিটি কম্পন কানে আসছে৷ হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করছে উনার প্রতিটি নিশ্বাসে। উনাকে হালকা করে ধাক্কা দিলাম৷ কোন কাজ হলো না৷ আমাকে আরও জোরে চেপে ধরেন। মন বলছে সারাক্ষণ এভাবে শুয়ে থাকতে৷ এভাবে শুয়ে থাকলে মায়া ফুপির উপর অনেক চাপ যাবে৷ বৃদ্ধ মানুষটি আর নিতে পারছেন না। বয়সের ভারে বৃদ্ধ হলেও এখনও আগের মতে কাজ করতে চান৷ পেটে শুরশুড়ি দিয়ে মায়া ভরা কন্ঠে বললাম,
“এই যে শুনছেন! আমাকে ছেড়ে দেন। অনেক বেলা হয়ে গেছে৷ এতো বেলা অব্ধি ঘুমাতে পারব না৷ আপনার জন্য এমনি আমার কুরআন শরীফ তেলওয়াত করতে পারিনি৷ এভাবে কাউকে জড়িয়ে ধরে ঘামায়৷ আমি কোথাও হারিয়ে যাব না৷”
আমার কথা ইহানের কান অব্ধি পৌঁছাল না৷ ইহান এক ধ্যানে শুয়ে আছেন৷ একটু জোরেই করে ধাক্কা দিলাম৷ পিনপিন আঁখি মেলে তাকান৷ ঘুম ঘুম চোখে নেশা ভরা চোখে বলল,
“বিরক্ত করো না৷ আমাকে একটু ঘুমাতে দাও৷ চোখের পাতায় অনেক ঘুম জমে আছে। শুক্রবারটা আমার মতো করে ঘুমাতে দাও। বাকী ছয় দিন আমার কথা শুনে চলব৷”
চড়া গম্ভীর কন্ঠে বললাম,
“আপনাকে ঘুমাতে মানা করছে কে? আমাকে উঠতে দেন৷ আমার অনেক কাজ আছে৷ আমাকে জড়িয়ে ধরে আছেন কেন? লজ্জা করে না একজন অসহায় মেয়ের ঘুমের সুযোগ নিতে৷ আমি কিন্তু আপনাকে এখনও স্বামীর অধিকার দেয়নি৷”
চোখ মেলে তাকিয়ে দেখেন উনার দুই বাহুর মাঝে আমি শুয়ে আছি৷
জড়িয়ে ধরার দৃশ্য উনার চোখে পড়তেই উনি লাফ দিয়ে উঠেন৷ উনার এমন কান্ডে আমি ভীষণ ভয় পেয়ে যাই৷ এলোমেলো চোখে উনার দিকে তাকালাম৷ উনি অসহায় মুখ করে বলল,
“আমি বুঝতে পারিনি৷ আমাকে ক্ষমা করে দাও৷ অজান্তেই এমন হয়ে গেছে৷ ঘুমের মাঝে তোমাকে পাশবালিশ মনে করে জড়িয়ে ধরে ছিলাম৷ আমার মনে খারাপ কোন চিন্তা ছিল৷ আমাকে বিশ্বাস করো৷”
উনার অপরাধী মুখ দেখে ভীষণ হাসি পাচ্ছে৷ উনার কথা বলার ধরণ হাতে নাতে চো*র ধরার মতো অবস্থা। হেঁসে গেলেই ফেসে যাবো৷ ঠোঁট কামড়ে হাসি আটকানোর চেষ্টা করলাম৷ গম্ভীর্যভাব নিয়ে,
“প্রথম বারের মতো ক্ষমা করে দিলাম৷ এরপর এমন কাজ করলে কখনও ক্ষমা পাবেন না৷ কান ধরে ওঠবস করতে হবে৷ ভুলেও আমার ঘুমের সুযোগ নিবেন না৷”
উনি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানান। এমম ভুল দ্বিতীয় বার করবেন না৷ আমি ঠোঁট কামড়ে ওয়াসরুমে চলে আসি৷ শ্রুতির ভাবীর সাথে রাতে কথা শেষ করে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করি৷ টানা চল্লিশ দিন তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করলে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দার সকল ইচ্ছা পূরণ করেন৷ অঝোরে কান্না করে আল্লাহর দরবারে কিছু চাইলে আল্লাহ কখনও আমাদের ফিরিয়ে দেননা৷ ধৈর্যশীল সাথে কখনও অন্যায় করেন না৷ ইহান উবুড় হয়ে আগের মতো পাশবালিশ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে৷ আলতো করে স্পর্শ করতে মন বলছে৷ উনার ঘুম ভাঙাতে ইচ্ছা করছে৷ মায়ামাখা মুখ দেখে নিজের ইচ্ছাকে কুরবানি দিয়ে রান্না ঘরে চলে আসি৷ রাতে দেরি করে ঘুমানোর জন্য শ্রুতি ভাবী এখনও ঘুম থেকে উঠেননি৷ আমি মায়া ফুপিকে নিজের রুমে পাঠিয়ে দিলাম। নিজ হাতে সবার জন্য রান্না শুরু করলাম৷ একটু পর শুরু হবে বিশাল রান্নার আয়োজন। প্রতি শুক্রবারে হয়ে থাকে৷ শরীফ চৌধুরী প্রতি শুক্রবারে জুম্মার নামাজ পড়ে এসে সবাইকে এক সাথে নিয়ে খান৷ উনার চোখে শুক্রবারের দিনে সবাই সমান৷ আজ ইমন ভাইয়াও ফিরে আসবেন। উনাকে সব কর্মের শাস্তি দিব৷ শ্রুতি ভাবীর জন্য খুব খারাপ লাগছে৷ আমার সাথে কতো খারাপ ব্যবহার করেছে তবুও উনার জন্য খারাপ লাগছে৷ কেন উনার জন্য এতো খারাপ লাগছে? ভাবনার মাঝে বাড়ির মালকিন আফসানা চৌধুরী রান্না ঘরে আসেন৷ চাপা স্বরে গম্ভীর কন্ঠে বলল,
“ইহান তোমাকে নিয়ে কোথায় গেছিল? গত দুইদিন বাড়ি ছিলে না৷ আমাদের তো চিন্তা হয়৷ ফোন করলে ফোনও ধরো না৷ বেশি সাহস হয়ে গেছে৷ আর একবার বাড়ির বাহিরে পা রাখলে পা ভে*ঙে দিব৷”
উনা কথা গায়ে মাখলাম না৷ মা হিসাবে একটু বকা দিতেই পারেন৷ না শোনার ভান করে কাজ করে যাচ্ছি৷ আফসানা চৌধুরী পুনরায় আমাকে একই প্রশ্ন করলেন৷ আমি নড়েচড়ে বললাম,
“ইহান আমাকে আমাদের গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে নিয়ে গেছিলেন। আমার বাবা খুব অসুস্থ। আমরা উনাকে দেখতে গিয়েছিলাম৷ এখন উনি সুস্থ আছেন।”
আমার কথা শুনে আফসানা চৌধুরী কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেন৷ মুখে হাত দিয়ে এক কদম পিছিয়ে যান৷ আমি ইচ্ছা করেই নিজ থেকেই সত্য কথা বলেছি৷ সত্য কখনও চাপা থাকে না৷ দিনের আলোর মতো একদিন ভেসে উঠবে৷ পরবর্তী আ’শ’ঙ্কা থেকে বাঁচার জন্য এখনই বলা উচিত। চকিত হয়ে বলল,
“তোমার বাবা বেঁচে আছেন? তুমি তো আমাদের একদিনও বলোনি৷ আমরা তোমাকে এতিম ভেবেই এসেছি৷ আমাদের ঠকিয়ে তুমি এ বাড়িতে প্রবেশ করেছো৷ তোমাকে সত্যবাদী ভাবতাম৷ তুমি মিথ্যার আশ্রয় নিবে কল্পনাও করতে পারিনা৷”
উনার কথা শুনে চোখের কোণে জল এসে পড়ে৷ এতিম ভেবে আমাকে এতোদিন মায়া দেখিয়েছেন৷ আগে জানলে কখনও আমাকে এ বাড়িতে ঢুকতে দিতেন না৷ মলিন কন্ঠে,
“আমার মা বাবা, ভাই বোব সবাই বেঁচে আছেন৷ আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন৷ আপনাদের কাজ থেকে সত্য লুকিয়ে রাখার জন্য ক্ষমা করে দিবেন৷ আমি আপনাকে অনেক চেষ্টা করেছি বলার। কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনি৷ আজ বলতে কোন ভয় নেই৷ আজ আমার সাথে আমার স্বামী আছে৷”
“আমি ইহানের অন্যত্র বিয়ের ব্যবস্থা করব৷ তোমার মতো মিথ্যাবাদী মেয়ের সাথে কখনও আমার ছেলেকে মানায় না৷ দেখতে একদম কালো তুমি৷ আমার ছেলের পাশে তোমাকে কোনদিন মানায় না৷”
“ভালোবাসা হয় মন থেকে৷ গায়ের রং যেমনই হোক না কেন? পবিত্র বন্ধন কখনও ভাঙতে পারবেন না৷ আমি ইহানের চোখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখেছি৷ সত্যি বলছি ইহানের চোখে ভালোবাসা না দেখলে আমি নিজ থেকে ইহানের জীবন থেকে চলে যেতাম৷ কখনো উনার মনে কষ্ট দিতাম না৷ এই বাড়িতে একমাত্র উনিই আমার সঙ্গী ছিল৷”
আমার কথা শুনে আফসানা চৌধুরীর প্রতিটি রগে রগে রাগ চলে যায়৷ অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন আমার উপর৷ দেখে মনে হচ্ছে এখনই আমাকে চোখের অগ্নিতে জ্বালিয়ে দিবেন৷ রাগী ভাব নিয়ে চলে যেতে নিলেই বললাম,
“আমি কেন পরিচয় গোপন করেছি জানতে চাইলেন না? এখন তো আমি চৌধুরী বাড়ির ছোট বউ৷ আমার বিষয়ে সব জানার আপনার অধিকার আছে৷”
রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ক্ষোভ নিয়ে বলল,
“তোমার অতীত নিয়ে জানার আমার কোন আগ্রহ নেই৷ তোমাকে দেখলে আমার মাথায় একটা কথা ঘুরে তুমি কালো জাদুকর।”
আফসানা চৌধুরীর কথা শুনে হেঁসে দিলাম৷ আমার ঠোঁট প্রসারিত হওয়ায় উনার রাগ আরও বেড়ে যায়৷ ঠোঁট কামড়ে হাসি আটকিয়ে বললাম,
“কালো জাদুকর হলে এতোদিনে আপনার মন জয় করতে পারলাম৷ আমাকেও মায়ের আদর দিতেন৷ আমার একটাই আফসোস। আপনি শিক্ষিত মানুষ হয়ে কেন অশিক্ষিতদের মতো কথা বলেন?”
রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
“শালিক তুমি সীমা অতিক্রম করে ফেলছো৷ তুমি ভুলে যাচ্ছো, কার সম্মুখে কথা বলছো? এ বাড়িতে আমার কথাই শেষ কথা৷”
“আমি নিজের সীমার মাঝে কথা বলছি৷ এমন কোন কাজ করবেন না যাতে ইহান মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত হয়৷ আমাকে আপনি পছন্দ করেন না৷ আমার জায়গায় আপনি অন্য কাউকে দেখতে চান৷ সে কি আপনার ছেলেকে ভালো রাখতে পারবে৷ তার কোন নিশ্চয়তা আছে আপনার কাছে৷ নিশ্চয়তা দিতে পারলে আমি ছেড়ে চলে যাব৷ আলোর আঁধার হয়ে কখনও ইহানের জীবনে অন্ধকার হয়ে থাকব না৷”
আফসানা চৌধুরী কোন কথা না বলে চলে যান৷ আমার কথাগুলো উনাকে অনেকনার ভাবাবে৷ প্রতিটি সম্পর্কই পবিত্র বন্ধন৷ তৃতীয় ব্যক্তির কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয়৷ আমি কিছুতেই আমাদের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তিকে আসতে দিব না৷ নিজের মাঝে সমস্ত ভালোবাসা যত্ন করে রাখব৷ কাউকে ইহানের কাছাকাছি আসতে দিব না৷
______
দুপুরের খাওয়ার পর সকলে নিন্দায় আচ্ছন্ন৷ শ্রুতির ভাবীর কথা মনে নাড়া দিচ্ছে৷ কিছুতেই আমার ঘুম আসছে না৷ আমি শ্রুতি ভাবীর রুমে উঁকি দিয়ে দেখি ভাবী ঘুমাচ্ছেন৷ কিন্তু ইমন ভাইয়া রুমে নেই৷ জুম্মার সালাত আদায়ের পর সকলে এক সাথে বসে খেয়েছেন৷ ইমন ভাইয়া কোথায় গেল? আমি বেলকনিতে থেকে নজর রেখেছিলাম গেইটের দিকে৷ ইমন ভাইয়া বাহিরে বের হয়নি৷ নিশ্চয় ইমন ভাইয়া ছাঁদে আছেন৷ ধীর পায়ে ছাঁদে চলে গেলাম৷ ইমন ভাইয়া আকাশের দিকে নিকোটিনের ধোঁয়া বাতাসে ছাড়ছে৷ নিজেকে ধ্বংস করার পাশাপাশি পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ বায়ু দূষণের কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার লোক শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে৷ সিগারেট শেষ হওয়া অব্দি দূরে দাঁড়িয়ে থাকলাম৷ শেষ হওয়ার পর ইমন ভাইয়াকে পিছন থেকে বললাম,
“আপনি অনেক অন্যায় করতেছেন৷ আপনার অন্যায়ের কোন ক্ষমা হবে না৷ এখনও সময় আছে নিজের ভালোবাসার দিকে নজর দেন৷ শ্রুতি ভাবীই পারবে আপনাকে সকল অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে৷”
আমার কথা শুনে ইমন ভাইয়ার মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া হলো না৷ এগুলো তার বাম হাতের খেলা৷ মুখের কোণে পি’চা’শে’র ন্যায় মুচকি হাসি। মুচকি হেঁসে বলল,
“আমি এক নারীতে আসক্ত নয়৷ পুরুষকে এক নারীতে আবদ্ধ করা সম্ভব নয়৷ যতদিন যৌবন আছে ততদিন এমন চলবে৷ আমার জীবন আমি কেমনভাবে উপভোগ করব সেটা তোমার কাছে জানতে চাইব না৷”
ইমন ভাইয়ার কথা শুনে ঘৃণায় সমস্ত শরীর রি রি করে উঠল৷ উনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেও ঘৃণা হচ্ছে৷ বিরক্ত সূচক মনোভাব নিয়ে বললাম,
“পরকীয়ার শাস্তি সর্বোচ্চ। আল্লাহকে ভয় করেন৷ আল্লাহর কাছে তওবা করে আলোর পথে ফিরে আসেন৷ জীবনকে ইসলামের দৃষ্টিতে একবার সাজিয়ে দেখেন৷ পরকালে জান্নাতের জন্য দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে কান্না করেন৷”
“বইয়ের দুইপাতা পড়ে নিজেকে জ্ঞানী ভাবছো৷ বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়েছে উভয়ধর্মী এক অপরকে আকর্ষণ করে৷ বলে দেওয়া হয়নি নির্দিষ্ট কাউকে আকর্ষণ করতে৷ আমার চোখ সবার উপর পড়তেই পারি৷ তোমাকে অনেক ধন্যবাদ৷ আগে শ্রুতির আড়ালে সবকিছু করতে হতো৷ এখন শ্রুতির সামনেই সবকিছু করতে পারি৷ তোমাকে একটা কথা বলি তুমি দিয়া বাড়িতে যার সাথে আমাকে দেখেছিলে সে আমার প্রথম স্ত্রী। ওঁকে ভোগের জন্য ভার্সিটি লাইফে বিয়ে করি৷ আলো খুব জেদি মেয়ে৷ বিয়ে না করলে আমার সাথে বিছানা শেয়ার করবে না৷ সেজন্য একপ্রকার বাধ্য হয়ে ওঁকে বিয়ে করি৷ সে এখনও জানে না তাকে ছাড়া আমি শ্রুতিকে নিয়ে সংসার করছি৷ পারলে তুমি তাকে বলে দিও৷ দরকার পড়লে আমি তোমাকে ঠিকানাও দিয়ে দিব৷”
ইমন ভাইয়ার মনে কোন আফসোস নেই৷ উনার ভাব ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে উনার কাছে এসব নিত্য দিনের কাজ৷ উনার চোখে মেয়েরা ভোগের সামগ্রী। চোখ টিপল দিয়ে নিচে চলে যান। ঘৃণায় গা রি রি করে উঠল৷ ইচ্ছা করছে উনাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে। এতো খারাপ মানুষ কি করে হয়? আমার চোখে সব চেয়ে খারাপ লোক ছিল আমার বড় খালা৷ বড় খালার থেকেও বেশি খারাপ ইমন ভাইয়া৷ ইমন ভাইয়ার পাশে আফসানা চৌধুরী আছেন৷ ছেলেকে এসব নোংরা কাজে উৎসাহিত করেন৷ দেখে মনে হয় আদর্শ মা৷ কিছুতেই উনাকে হারানো যাবে না৷ উনার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ লাগবে৷
মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিছে৷ ধপাস করে ছাঁদের রেলিং ধরে বসে পড়লাম৷ নিজেকে মেধাশূন্য মানসিক পা*গ*ল মনে হচ্ছে৷ কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না৷ শ্রুতি ভাবী ইমন ভাইয়াকে পা*গ*লে*র মতো ভালোবাসেন৷ শ্রুতি ভাবীর ভালোবাসা সত্য হলে আমরা ঠিক পথ পেয়ে যাব৷ আজ থেকে আমার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো ইমন ভাইয়াকে চোখে চোখে রাখা৷ ইমন ভাইয়ার সকল খারাপ কাজ গোড়া থেকে উপড়ে ফেলব৷
চলবে…