তোমাতেই খুজি আমার পূর্ণতা পর্ব -০২+৩

#তোমাতেই_খুজি_আমার_পূর্ণতা🤗 (২) (৩)
#maisha_jannat_nura (লেখিকা)


ভ’য়ে চোখ-মুখ খি’চে দাঁড়িয়ে আছি আমি, বুকের ভিতর এতো জোড়ে জোড়ে ঢি’প’ঢি’প আওয়াজ করছে মনে হচ্ছে যেন হৃদ’পি’ন্ড’টা ছি’ড়ে বাহিরে বেড়িয়ে আসবে। তীব্র আমার দু-বাহু ছে’ড়ে ধা’ক্কা দিয়ে নিজের থেকে দূরে সড়িয়ে দিলেন, হঠাৎ তার এমন কাজে তাল সামলাতে না পেরে রাস্তায় হু’ম’ড়ি খে’য়ে পড়ে গেলাম আমি। পি’চ ঢা’লা পাকা রাস্তার সাথে ঘ’ষা লেগে হাতের কনুই সহ পায়ের গো’ড়া’লি ও শরীরে আরো কিছু অংশের চা’ম’ড়া উঠে গিয়েছে, ভিষণ জ্বা’লা’র সৃষ্টি হওয়ায় ব্য’থা’য় মুখ দিয়ে “””আহহহ””” শব্দ বের করে চোখ-মুখ কু’চ’কে ফেললাম।

তীব্র তার পূর্বের স্থানেই স্ট্রে’ট ভাবে দাড়িয়ে ভা’ব’লে’শ’হী’ন কন্ঠে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন….

_____আজ থেকে তোমার প্রতিটি কাজে, প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতি আমার তীক্ষ্ণ নজর থাকবে। বা’ঘে’র খা’চা’য় স্বইচ্ছায় ঢু’কে পড়েছো, এই সামান্য আ’ঘা’তে চোখ-মুখের অবস্থা এমন ক’রু’ণ করলে চলবে? এখনও তো লম্বা একটা জার্নি বাকি তোমার। আপাতত এখানে আমার কাজ শে’ষ তাই এখন এসব না’ট’ক বন্ধ করে, যে কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলে সেই কাজে চলে যাও। কারণ এবার তোমার জন্য সাধারণ জনতাদের অ’সু’বি’ধা’র সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তাদের মূল্যবাণ সময়গুলো ন’ষ্ট হচ্ছে মিস মি’ডে’ল’ক্লা’স।

শারীরিক বে’দ’না সহ্য করা গেলেও লোকটির(তীব্র) তি’ক্ত কথা স’হ্য করার মতো শক্তি বা ধৈর্য কোনোটাই কু’লি’য়ে উঠতে সক্ষম হলাম না আমি। দা’তে’র সাথে দা’ত চে’পে একহাতে ভ’র দিয়ে বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াই। লোকটির(তীব্র) দিকে তাকাতেও মন সা’য় দিচ্ছে না, হাতে থাকা ঘড়িটির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই আমার চোখ কপালে উঠার উপক্রম হলো।

অলরেডি ৯টা ৫০ বে’জে গিয়েছে এখানেই, এখনও কতোটা রাস্তা বাকি শরীরের এই অবস্থা নিয়ে হেঁটে বাকিটা রাস্তা যাওয়া দ’রু’ণ ক’ষ্ট’ক’র হয়ে দা’ড়া’বে তবুও আমাকে যেতে তো হবেই, চূড়ান্ত পরীক্ষা মিস দেওয়ার মতো ছাত্রী আমি নই। মনের জো’ড় বাড়িয়ে আর কোনোদিকে না তাকিয়ে ফু’ট’পা’তে উঠে কলেজের পথে হাঁটা ধরি।
________________
~~~~~
বর্তমান…
~~~~~
রহমান মন্ঞ্জিলের ড্রয়িং রুমে থাকা দেওয়াল ঘড়িটি রাত ২টার ঘড়ে পড়তেই মৃদুস্বরে টিংটং সুর তুলতে শুরু করেছে,
কালো চা’দ’রে মু’ড়া’নো রাতটি গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। ড্রয়িংরুমের মেঝেতে ড্রিং’ক’স এর কয়েকটি দামী ব্রা’ন্ডে’র বোতল খালি হয়ে পরে আছে। তৃপ্তির সাথে রু’ড বিহেভ করার পর সেই যে রুম থেকে বেড়িয়ে আসলো তখন থেকে এখন পর্যন্ত ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে একের পর এক ড্রিং’ক’সে’র বোতল শে’ষ করে নিজেকে নে’শা’গ্র’স্থ করার চেষ্টা করছে তীব্র, কিন্তু আ’শ্চ’র্যে’র বিষয় এতোগুলো ড্রিং’ক’সে’র বোতল খা’লি করেও নে’শা চ’ড়’ছে না তীব্রের।

বি’র’ক্তি’তে ছেয়ে যায় তীব্রের মুখশ্রী। রা’গে একহাত দিয়ে টি-টেবিলের উপর থাকা সব ড্রিং’ক’সে’র বোতলগুলো ফেলে দেয়। পিনপতন নীরবতা বিরাজ করা রহমান মন্ঞ্জিল এর কানায় কানায় মূহূর্তেই কাঁচের বোতল গুলো ভা’ঙা’র শব্দের প্রতিধ্বনি হতে থাকে, তীব্র উচ্চস্বরে চিৎকার দিয়ে উঠে।

কান্না করতে করতে দেওয়ালের সাথে মাথা ঠেকিয়েই ত’ন্দ্রা’চ্ছ’ন্ন হয়ে পড়েছিলো আমি (তৃপ্তি)। হঠাৎ এমন উচ্চস্বরের চিৎকার কর্ণপাত হতেই ত’ন্দ্রা ভাব কে’টে যায় আমার। কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে আমার কি হয়েছে তা বুঝে উঠতে। পরমুহূর্তেই বুঝতে সক্ষম হতেই দ্রুত বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এক ছু’টে রুম থেকে বেড়িয়ে আসি আমি, কোনো দি’ক-বে’দি’ক লক্ষ না করে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসি।

ড্রয়িং রুমে এসে দাঁড়িয়ে জোড়ে জোড়ে বারকয়েক নিঃশ্বাস নিয়ে সামনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই আবছা আলোয় অগোছালো ভাবে সোফার উপর শুয়ে থাকতে দেখি তীব্রকে। পরক্ষণেই ড্রয়িং রুমের মেঝেতে দৃষ্টি পড়ে আমার, সাদা টাইলস থাকায় ড্রিং’ক’স এর বোতলের ভা’ঙা কা’চে’র টুকরো গুলো জ্বল জ্বল করতে দেখি।

কাঁ’চে’র টুকরোগুলো পরিষ্কার না করা পর্যন্ত সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারবো না, ড্রয়িং রুমের চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম ঝা’ড়ু জাতীয় কিছু পাওয়া যায় কিনা। পরক্ষণেই সিঁড়ির পাশে কর্ণারে ঝা’ড়ু রাখা দেখতে পেলাম, ঝা’ড়ু’টি হাতে নিতে আবারও পূর্বের স্থানে ফিরে এলাম। পরনে থাকা শাড়ির আঁচলে ঘুড়িয়ে কমোরে গু’জে দিয়ে কুচিগুলো একহাত দিয়ে একটু উঁচু করে ধরে ঝা’ড়ু’র সাহায্যে সবগুলো কা’চে’র টুকরোগুলো একত্র করলাম।

কাঁচের টুকরো গুলো ফে’লে দিয়ে তীব্রের সম্মুখে এসে দাঁড়িয়ে পড়লাম, হাঁটু ভে’ঙে তীব্রের মাথার সন্নিকটে বসে ওর মুখশ্রী পানে নিজের শীতল দৃষ্টি স্থির করলাম। ঘুমন্ত অবস্থায় কতোটা নিষ্পাপ আর মায়াবি লাগে দেখতে লোকটিকে (তীব্র), প্রথমবার কেও তাকে (তীব্র) এভাবে দেখলে বুঝতেই পারবে না এই মায়া মাখানো শান্ত মুখশ্রী এর আড়ালে একটা ভ’য়ং’ক’র রূপের মানুষ লু’কি’য়ে আছে। যেই রূপের বহিঃপ্রকাশ জেগে থাকা কালীন ঘ’টে।

এই বুঝে যাওয়া শীথিল চোখ হু’ট করেই র’ক্ত লাল বর্ণ ধারণ করে, এই সুঠাম দুটি হাত চোখের পলকে কয়েকটি লা’শ ফে’লে দিতে পারে। এই মানুষটিকে কি আসলেই ঘৃ’ণা করা যায়! মনের কোনে কোথাও যেনো বারংবার জানান দিচ্ছে লোকটির (তীব্র) আরো একটি রূপ চা’পা পড়ে আছে তারই মাঝে, যে রূপের বহিঃপ্রকাশ সে (তীব্র) নিজেও করতে চায় না। কিন্তু কেনো চায় না?

এই কেন নিয়ে একরাশ প্রশ্ন জমে আছে আমার মনের ভিতর। কখনও কি পারবো এই সব কেন আর প্রশ্ন গুলো উত্তর জানতে? নাকি সব জানার পূর্বেই এই লোকটি (তীব্র) যাকে আমার মনের পুরুষ বলে মেনে নিয়েছিলাম ২মাস পূর্বেই তার (তীব্র) হাতেই আমাকে ম’র’তে হবে? ভাগ্য আমাকে এ কোন মো’ড়ে এনে দাঁড় করালো! নিজের চারপাশে তাকালে মনে হচ্ছে কোনো গোলক ধা’ধা’য় আ’ট’কা পড়েছি যেখান থেকে বের হতে চাইলে শক্তি নয় বুদ্ধি প্রয়োগ করে প্রতিটি পদক্ষেপ ফে’ল’তে হবে।

নানান ধরনের চি’ন্তা’য় ম’শ’গু’ল হয়ে তীব্রের মাথার পাশেই ঘুমিয়ে পড়ি।
_______________________
হঠাৎ মুখের উপর পানি ছি’ট’কে এসে পড়ায় ধ’র’ফ’রি’য়ে উঠে জোরে জোরে কয়েকবার নিঃশ্বাস নেই। দুহাতে মুখ মু’ছে চুলগুলো কানে পাশে গু’জে সামনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই দেখি, আমার সামনে তীব্র একটা খালি বালতি হাতে নিয়ে রা’গা’ন্বি’ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দাঁড়িয়ে আছে। স্বাভাবিক হতে আর পরিস্থিতি বুঝে উঠতে আমার কিছুটা সময় লাগে। তীব্র উচ্চাস্বরে চে’চি’য়ে বলে উঠে…….

_____এতো আরাম করে ঘুমানোর জন্য তো দুইমাস ধরে কা’ঠ’খো’ড় পু’ড়ি’য়ে তোমাকে এখানে আনা হয় নি
মিস. মি’ডে’ল’ক্লা’স।

তীব্রের মুখে আবার সেই ১ম সময়ের তা’চ্ছি’ল্য’ক’র নামটি শুনে বুকের বাম পার্শ্বে চি’ন’চি’নে ব্য”থা অনুভব হলো। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মূহূর্তেই নোনা জলে ছলছলে হলে উঠলো। আমার এই ছ’ল’ছ’ল দৃষ্টি তীব্রের মাঝে কোনো পরিবর্তন আনতে সক্ষম হলো না। তীব্র দ্রুত পায়ে আমার সন্নিকটে এসে নিজের একহাত দিয়ে আমার ডান হাতের বাহু খু’ব জো’ড়ে চে’পে ধরে একটানে বসা অবস্থা থেকে দাঁড় করালো, আমি মূহূর্তেই চা’পা আ’র্ত’না’দ করে উঠলাম। তীব্র আমার আ’র্ত’না’দ’কে গুরুত্ব না দিয়ে হি’স’হি’সি’য়ে বললো….

_____এসব ন্য’কা কান্না আমার সামনে করবা না, ভিষন ডি’স’গা’স্টিং লাগে। আজ থেকে তোমার অন্য জীবনের নতুন সকালের সূচনা হলো তাই সেই খুশিতে ছোট্ট একটা উপহার তোমাকে দিতে চাই। তার আগে দ্রুত নিজের শরীরে থাকা এই ভি’জে পোশাক পরিবর্তন করে আসো, ভিজে অবস্থায় বেশিসময় থেকে ঠা’ন্ডা লা’গি’য়ে অ’সু’স্থ হয়ে আমার হাত থেকে রে’হা’ই পাবে এমন চিন্তা করো না কেমন!

তীব্র আমার হাত ছে’ড়ে দিয়ে হালকা ধা’ক্কা প্রয়োগ করে নিজের থেকে কয়েক কদম দূরে সরিয়ে দিলো। আমি আমার বাহুতে হাত বু’লা’তে লাগলাম। পরমুহূর্তে ভিজে পোশাক পরিবর্তন করে আবারও তীব্রের সামনে এসে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আ’ড় দৃষ্টিতে একপলক দেখলাম তীব্রকে, আয়েশের সাথে পায়ের উপর পা তুলে শোফায় বসে ফোন স্ক্র’লিং করছে। আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে, হাতে থাকা ফোনটি পকেটে রেখে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হতে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো…

_____সং এর মতো দাঁড়িয়ে না থেকে আমাকে ফলো করো।

আমি একদৃষ্টিতে তীব্রের যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলাম কিছুসময়। পরমূহূর্তেই ওর পিছন পিছন দ্রুত পায়ে হাঁটা ধরলাম, একটু দে’ড়ি হয়ে গেলে না জানি আবার কোন শা’স্তি পেতে হয় আমায়। কিছুসময় হাঁটার পর একটা বন্ধ দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখলাম তীব্র। ভ্রু কিন্ঞ্চিত কুঁচকে নিয়ে তাকিয়ে রইলাম তীব্রের মুখশ্রী পানে। তীব্র ওর পকেট থেকে বড় আকারের একটা চাবি বের করে দরজায় লা’গি’য়ে রাখা তালাটি খুলে ফেললো তারপর দুহাত দিয়ে ঠে’লে দরজাটি মেলে দিলো।

পরমুহূর্তে আমার দিকে ঘুরে প্যন্টের পকেটে দু-হাত গু’জে স্ট্রে’ই’ট হয়ে দাড়িয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো…

_____রুমটি প্রায় ১বছর হলো পরিষ্কার করা হয় না, ভেবেছিলাম এই কাজটি করার যোগ্য কাওকে পেয়ে গেলে পরিষ্কার করার দায়িত্ব তাকেই দেবো। দেখো খুব তাড়াতাড়ি তোমাকেও পেয়ে গেলাম, তুমিই একমাত্র যোগ্য এই রুমটি পরিষ্কার করার জন্য। তাই খুব দ্রুত রুমের ভিতর জ’মে থাকা সব ম’য়’লা’গুলো পরিষ্কার করে রুমটিকে ঝ’ক’ঝ’কে ত’ক’ত’কে করে ফে’লো তো। ও হ্য বলেছিলাম না তোমাকে একটি উপহার দিবো, এই কাজটিই তোমার উপহার।

ওনার (তীব্র) এমন কথায় আমি যেনো অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি৷ ধীরপায়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে একপলক রুমের ভিতরটা দেখে নিলাম, পুরো রুম যেনো একটা ম’য়”লা’র স্তূ’প হয়ে আছে। আমি একলা কি করে এতো ম’য়’লা পরিষ্কার করবো! আমি অ’স’হা’য় দৃষ্টিতে ওনার দিকে তাকালাম, উনি ঠোট বা’কি’য়ে হেসে বললেন….

_____দ্রুত হাত চা’লি’য়ে কাজ শে’ষ করো। আমি একটু বাহিরে যাবো, এসে যদি দেখি কাজ শে’ষ হয় নি তখন ঠিক কি লে’ভে’লে’র পা’নি’শ’মে’ন্ট তোমার জন্য অপেক্ষা করছে তা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না মিস.মি’ডে’ল’ক্লা’স।

কথাগুলো বলেই তীব্র আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত পায়ে স্থান ত্য’গ করলো, আমি হ’তা’শ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ওনার যাওয়া দেখলাম। উনি আমার দৃষ্টির আড়াল হতেই ভিতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো। পরমুহূর্তে রুমের ভিতর প্রবেশ করি, ধু’লো’তে আমার এ’লা’র্জি হয় ও শ্বা’স নিতে স’ম’স্যা হয়। তীব্র আমার স’ম’স্যা’র কথা জানে খুব ভালো ভাবেই তবুও এই ক’ঠি’ন কাজটিই করতে দিলো আমাকে। জানি না কিসের অ’প’রা’ধে আজ এই দিনগুলো দেখতে হচ্ছে আমার।

অনেকদিন থেকে তা’লা ব’দ্ধ থাকা রুমটিতে প্রতিটি জিনিসের উপর যেনো এক ইন্ঞ্চি পরিমান করে ম’য়’লা’র প্র’লে’প পড়ে গিয়েছে। আমি (তৃপ্তি) ড্রয়িং রুমে এসে ঝা’ড়ু, আর মেঝেতে পড়ে থাকা বলতিটি (যে বালতিতে পানি নিয়ে তীব্র তৃপ্তির উপর ফে’লে’ছি’লো) হাতে উঠিয়ে নিলাম, কারণ রুমটি শুধু ঝা’ড়ু দিলেই সব ধু’লো পরিষ্কার করা যাবে না পুরোপুরি পরিষ্কার করার জন্য পানি আর নরম কাপড়ের ও প্রয়োজন আছে। নরম কাপড়টি পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ রুমটি পরিষ্কার করে ফে’ল’তে পারবো।

রুম পরিষ্কার করার সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে রুমের দরজার সামনে রাখি, রুমের ভিতর প্রবেশ করার পূর্বে হাতে থাকা অন্য একটি পরিস্কার ওড়না দিয়ে নাম আর মুখ ভালোভাবে বেঁধে ফে’লি, হালকা ভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছি।
তারপর রুম পরিষ্কার করার কাজে লে’গে পড়ি। রুমের অর্ধাংশের ও কম জায়গা পরিষ্কার করতেই আমার শ্বাস নেওয়ার স’ম’স্যা শুরু হয়, দ্রুত রুমের বাহিরে এসে মুখে বে’ধে রাখা ওড়নাটি খু’লে ফেলে দেই, জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিতে থাকি তার পাশাপাশি কাশি ও হতে থাকে। বেশ কিছুটা সময় লাগে নিজেকে স্বাভাবিক করতে। কিন্তু এভাবে তো বসে থাকলে চলবে না, আমাকে কাজ সম্পন্ন করতে হবে তীব্র আসার পূর্বেই।

পরক্ষণেই চি’ন্তা করি এক’টা’না সময় নিয়ে আর কাজ করবো না, কিছু সময় কাজ করে আবারও বাহিরে এসে কিছুসময় রেস্ট নিবো তাহলে আর তেমন কোনো স’ম’স্যা হবে না, যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। আমি আবারও রুমের ভিতর প্রবেশ করি, একটু করে পরিষ্কার করছি আবারও বাহিরে এসে একটু সময় বিশ্রাম নিচ্ছি। এভাবেই রুমটির অনেকটা জায়গা পরিষ্কার করে ফে’লি, আর একটু বাকি। কিন্তু ইতিমধ্যেই শরীর আমার অ’সা’র হয়ে আসছে, দূ’র্ব’ল লাগছে ভিষণ হয়তো গতকাল রাত থেকে এখনও পর্যন্ত পে’টে কোনো দা’না-পানি পড়ে নি তার কারণেই এমন হচ্ছে।

রুমের শে’ষ অংশটুকু পরিষ্কার করতে ভিতরে প্রবেশ করতে করতে বিরবির করে বললাম….
_____ব্য’টা ব’দে’র এক’শে’ষ সময় আমারও আসবে তখন তোকে যদি আমি না’কা’নি-চু’বা’নি না খা’ও’য়া’ই’ছি তো আমার নাম ও তাইয়্যবা ইসলাম থু’রি তাইয়্যবা রহমান তৃপ্তি নয়। আমাকে এমন খা’রা’প ভাবে শা’য়ে’স্তা করছিস তো তোকে আমি নী’ম পাতার রস এর সাথে কমলার রস মিশিয়ে খাওয়াবো, খা’রু’স কোথাকার।

ইতিমধ্যে হাতের কনুই এর নিচ থেকে আঙুলের ডগা পর্যন্ত, দুই পায়ের নিচের অংশ চু’ল’কা’তে শুরু করেছে বুঝতে আর বাকি রইলো না এগুলো এ’লা’র্জি হওয়ার জানান দিচ্ছে। চোখ সম্পূর্ণ ঘো’লা’টে হয়ে আসছে, কোনো ভাবে বাকি কাজটুকু করে পানির বালতিটি হাতে উঠিয়ে ঢু’লু’ঢু’লু পায়ে রুমের বাহিরে বেড়িয়ে আসতে নিলাম হঠাৎ মাথা ঘু’রে উঠায় আর নিজেকে সামলাতে সক্ষম হলাম না সেখানেই প’ড়ে যাই।
________________________
অনেকসময় পে’রি’য়ে গেলে সে’ন্স ফিরে আমার, চোখ পি’ট’পি’ট করে মেলে নিজের বর্তমান অবস্থা বুঝার চেষ্টা করি। পরমূহূর্তেই নিজেকে আবিষ্কার করি তীব্রের রুমের বিছানায়, অবশ্য আ’ই’ন’ত এবং ইসলামিক দুই দিক থেকে বি’চা’র করলে এই রুমটি এখন আর শুধু তীব্রের রুম থাকে না এই রুমের সমান অধিকারীনি আমি নিজেও। হাতে ভর দিয়ে শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসি, মাথা ভিষণ ভা’র লাগছে।

আশ্চর্যের বিষয় হলো হাতে আর পায়ে যে ধু’লা’র প্রভাবে চু’ল’কা’নী হচ্ছিলো এখন আর তা নেই। পরক্ষণেই নিজের হাত দুটো সামনে এনে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে নেই, কেও খুব যত্ন নিয়ে সব ম’য়’লা পরিষ্কার করে ঔষধ ও লা’গি’য়ে দিয়েছে, আর এই কেও যে তীব্র ছাড়া ৩য় কোনো ব্যক্তি নয় তা বুঝতে আমার সময় লাগে না। কি অ’দ্ভু’ত তাই না ক’ষ্ট দানকারী মানুষটি যে সেই ক’ষ্টে’র জায়গায় ঔষধ এর প্র’লে’প লাগিয়ে দেওয়া মানুষটিও তিনি। কখন যে তার কোন রূপের বহিঃপ্রকাশ ঘ’টে তা বো’ঝা বড় দা’য়।

দরজা খোলার শব্দ কর্নপাত হতেই চি’ন্তা’র ঘো’র থেকে বেড়িয়ে আসি, দরজার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই দেখি তীব্র একটা খাবারের ট্রে হাতে নিয়ে রুমের ভিতর প্রবেশ করছে। তীব্রকে আবারও পূর্বের মতো যত্নশীল হতে দেখে মনের কোনে এক অদ্ভুত প্রশান্তির বি’স্তা’র হয়, ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠে সেই প্রশান্তির এক চি’ল’তে হাসির রেখা। তীব্র আমার পাশে এসে বসে খাবারের ট্রে টা আমার হাতে দিয়ে ইশারায় খাওয়া শে’ষ করতে বলে। আমি খুশিমনে সম্পূর্ণ খাবার শে’ষ করি।

খাওয়া শে’ষ হতেই তীব্র রা’শ’ভা’ড়ি কন্ঠে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে….
_____কি ভেবেছিলে ঐ সামান্য কাজ করে অ’সু’স্থ হয়ে প’ড়’বে আর আমি তোমার অ’সু’স্থ’তা দেখে তোমার প্রতি সত্যি সত্যিই নরম হয়ে যাবো! ভালোবাসবো! সো ফা’নি।
তোমাকে ক’ঠি’ন থেকে ক’ঠি’ন’ত’র শা’স্তি দিতেই তোমাকে আমার কাছে আনা সেটা তুমি ভু’লে গেলেও আমি ভু’ল’বো না। তাই শা’স্তি ভো’গ করতে করতে যখন অ’সু’স্থ হয়ে যাবে তখন ক্ষ’ণি’ক সময়ের জন্য তোমার উপর দ’য়া আমি দেখাবো, পুনরায় তোমাকে সু’স্থ হতে হবে আবারও আমার দেওয়া সকল শা’স্তি মা’থা পেতে গ্রহন ও করতে হবে।

আর এর কোনো শে’ষ নেই মিস.মি’ডে’ল’ক্লা’স তাই আমার এই দ’য়া দেখে নিজের মধ্যে উ’ল্টো-পা’ল্টা ভু’ল ধারণাগুলোর বি’স্তা’র করো না, এতে তো তোমার লাভের লাভ কিছু হবে না বরং পরবর্তীতে যখন আমার আসল রূ’প আবারও দেখবে তখন অনেক বেশিই ক’ষ্ট পাবে। অবশ্য তোমার এই ক’ষ্ট পাওয়াতে আমার বেশ লাভ হবে, আমি তো এটাই চাই তুমি ক’ষ্ট পাও।

কথাগুলো বলে তীব্র থে’মে যায়, আমার চোখে-মুখে বিরাজ করা কিছু সময় পূর্বের সেই খুশি আর আনন্দ গুলো মূহূর্তেই বি’ষ’ন্ন’তা’র কালো চাদরে ছে’য়ে যায়। চোখ দুটো ছলছল করে উঠে, বুকের ভিতর আবারও সেই চা’পা ক’ষ্ট গুলো নিরবে আ’র্ত’না’দ করে উঠে। তীব্রের ঠোঁটের কোনে বাকা হাসির রেখা ফুটে উঠতে দেখে আর ওর দিকে তাকিয়ে থাকার ইচ্ছে হলো না, ঘৃ”ণা’য় নিজের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে কাথা মু’ড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম।

তীব্র আমাকে শুয়ে পড়তে দেখে রুম থেকে বে’ড়ি’য়ে গেলেন, এতোসময় ধরে বে’ধে রাখা চোখের নোনাজল বা’ধ ভে’ঙে বেড়িয়ে এলো আর আর বুকের ভিতর হওয়া সেই চা’পা ক’ষ্টে’র আ’র্ত’না’দ ও বুক চি’ড়ে যেনো বেড়িয়ে এলো।
চোখের সামনে ভে’সে উঠলো দুমাস আগের স্মৃ’তি গুলো….
_________________
~~~~~~
ফ্লাসব্যক…
~~~~~~
১০টা বেজে গিয়েছে কলেজ গেইটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ি আমি। বুকের মাঝখানে হাত রেখে জো’রে জো’রে নিঃশ্বাস নিতে থাকি, কলেজ গেইটে থাকা দারোয়ান চাচা গেইট ব’ন্ধ করতে নিয়েছিলেন সেইমূহূর্তে আমাকে দেখতে পেয়ে নম্রস্বরে বললেন…

_____আরে মা তুমি এ’হ’ন ও (এখনও) ভি’ত্রে (ভিতরে) আহো (আসো) নি কে (কেন)? আমি তো এ’হ’নি (এখনি) দরজা ব’ন্ধ করতে নিছিলাম, তো’মা’গো (তোমাদের) না পরীক্ষা শুরু আইজ থাইকা। এতো দেড়ি কইরা কেও আহে (আসে), আহো (আসো) তাড়াতাড়ি ঢুকো ভি’ত্রে (ভিতরে) নয়তো তো’মা’গো স্যার আর তোমারে পরীক্ষা দিবার দিবো না।

আমি স্মিত হেসে দ্রুত পায়ে কলেজের ভিতর প্রবেশ করি, দিক-বে’দি’ক লক্ষ না করেই পরীক্ষার হ’ল রুমের উদ্দেশ্যে ছু’টে যাই। হ’ল রুমের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে ডান হাত রুমের ভিতর প্রবেশ করিয়ে অ’স্থি’র কন্ঠে বলে উঠি….

_____আমি কি ভিতরে প্রবেশ করতে পারি স্যার?

আমার কন্ঠ কর্ণপাত হতেই রুমের ভিতর থাকা ডি’উ’টি’র’ত স্যার আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। তারপর আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে রা’শ ভা’ড়ি কন্ঠে বললেন….

_____তোমার থেকে তো ব্য’ক’ব্য’ন্ঞ্চা’রা বেশি সচেতন তৃপ্তি। তুমি আজকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে এমন ই’রে’স’প’ন্সে’ব’ল এর মতো কাজ করবে এমনটা আশা করি নি, যাও ভিতরে প্রবেশ করো।

স্যারের মুখে নিজেকে নিয়ে এমন মন্তব্য শুনে বি’ষ’ন্ন’তা’য় ছেয়ে গেলো আমার মুখশ্রী, কান্না পাচ্ছে ভিষণ। মাথা নিচু করে ধী’র পায়ে রুমের ভিতর প্রবেশ করি, টেবিলের উপর থেকে একসেট প্রশ্ন ও খাতা নিয়ে নিজের জায়গায় গিয়ে বসে পড়ি। পরমুহূর্তে নিজের মনকে আস্বস্ত করি এটা ভেবে….

_____এভাবে ভে’ঙে পড়লে চলবে না, আমাকে ভালোভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।

চি’ন্তা’র ঘো’র কা’টি’য়ে পরীক্ষায় মনোনিবেশ করি।

৩ঘন্টা পে’ড়ি’য়ে যাওয়ার পর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়, খাতা জমা দিয়ে রুম থেকে বের হতে হতে আল্লাহর শুকর আদায় করলাম, পরীক্ষা শুরুর সময়ে সবকিছু মিলে যতোটা না’র্ভা’স ছিলাম এখন সেই সব না’র্ভা’স’নে’স কে’টে গিয়েছে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি। হঠাৎ পিছন থেকে কেও আমার মাথায় টো’কা দিতেই চি’ন্তা’র ঘো’র থেকে বেড়িয়ে হাতের বাম পার্শে লক্ষ্য করতেই আমার সবথেকে প্রিয় ও কাছের বান্ধবী লিনাকে দেখতে পেলাম নিজের ট্য’রা বা’কা ৩২ পা’টি দাঁত বের করে হাসছে। আমি ভ্রু কিন্ঞ্চিত কুঁচকে নিয়ে বললাম…

_____কিরে সি’না’র হা’ড্ডি এতো খুশি হইছিস কোন সুখে?

_____জানিস না তো বেস্টু আজ আমি যে ফা’টা’ফা’টি এক্সাম দিয়েছে তাতে এবার আমি ১০০ তে ৭০+ মার্ক নিশ্চিত পাবো।

_____যাক শুনে ভালো লাগলো, তোর এ’ক্সা’ই’ট’মে’ন্ট দেখে তো মনে হচ্ছে আজকের সব প্রশ্ন কমন পড়েছিলো তোর, আর সব সঠিক এন্সার ও করে এসেছিস।

_____হুম তা আর বলতে!

লিনার সাথে কথা বলতে বলতেই আমি ফাইলের ভিতর থেকে প্রশ্ন বের করে লা’স্ট চেইক আপ করে নিচ্ছিলাম। হঠাৎ লিনা ছো মে’রে আমার হাত থেকে প্রশ্ন টি নিয়ে এপাশ ওপাশ দেখে ঠোট উ’ল্টে আমার দিকে ক’রু’ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।
স’ন্দে’হ হলো এবার ও মেয়েটা নিশ্চিত কোনো না কোনো গো’ল’মা’ল পা’কি’য়ে এসেছে পরীক্ষার খাতায়। আমি কিছু বলতে নিবো তার পূর্বেই লিনা ন্য’কা সুরে বলে উঠলো…

_____দো’স্ত এখন আমার কি হবে? এ আমি কি করলাম! কতো খুশি ছিলাম সব প্রশ্নের এন্সার করে এসেছি ভেবে এখন তো দেখছি না আমি মাত্র অর্ধেক এন্সার করেছি, এ্যএএএএ…..

_____মানে?

_____প্রশ্নের এক পার্শে কমন পড়েছিলো তাই এ’ক্সা’ই’ট’মে’ন্ট এতো বেশি ছিলো অন্য পার্শেও যে প্রশ্ন ছিলো তা না দেখেই খাতা জমা দিয়ে এসেছি।

লিনার এমন কথায় আমি হাসবো নাকি কা’দ’বো বুঝে উঠতে পারলাম না, মেয়েটা জীবনে শু’ধ’রা’নো’র না। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে অবশেষে শা’ন্ত করতে সক্ষম হলাম লিনাকে। শান্ত হওয়ার পরমুহূর্তেই আমাকে প্রশ্নসিক্ত কন্ঠে বললো…

_____আচ্ছা তুই আজ এতো দে’ড়ি করে পরীক্ষার হ’লে আসলি কেন? আর তোর হাতের কনুই এভাবে ছি’লে গেলো কি করে? রাস্তায় কি কোনো স’ম’স্যা হয়েছিলো নাকি?

লিনার প্রশ্ন কর্ণপাত হতেই আমার সকালে ঘ’টে যাওয়া ঘ’ট’না গুলোর কথা স্ম’র’ণ হলো৷ একমূহূর্তের জন্য মাথা থেকে বেরিয়েই গিয়েছিলো বিষয়টা। কিছুসময় নিরব থেকে লিনাকে সকালে ঘ’টে সম্পূর্ণ ঘ’ট’না খু’লে বলি। লিনা ওর চোখ-মুখ এর আকার আকৃতি এমন করে ফে’লে’ছে যেনো আমি মধ্যরাতে ওকে ভ’য়ং’ক’র রা’ক্ষ’স পু’রী’তে আমার সাথে ঘ’টে যাওয়া কোনো দু’র্বি”ষ’হ ঘ’ট’না প্রবাহ শুনালাম।

আমি লিনার কা’ধ ঝা’কি’য়ে বললাম….
_____কি রে কোন চি’ন্তা’র অ’ত’ল দেশে ডু’বে গেলি?

লিনা কা’পা কা’পা কন্ঠে বললো…
_____দোস্ত কাজটি তুই একদম ঠিক করিস নি, যার নাম বললি সে কোনো এ’রা গে’রা গু’ন্দা বা মা’ফি’য়া নয়। আমি যতোদূর জানি এই শহরের যতো মা’ফি’য়া’রা আছে সবাই ওনার (তীব্র) আ’ন্ডা’রে কাজ করে ওনার (তীব্র) কথায় উঠে আবার বসে। আর তুই কিনা রাস্তায় ভ’রা পাবলিকাের সামনে ওনার মাথায় ওনারই ব’ন্দু’ক ঠে’কি’য়ে ওনাকে (তীব্র) মে’রে ফেলার হু’ম’কি দিয়েছিলি! এর জন্য তোকে চ’র’ম ভো’গা’ন্তি’র শি’কা’র হতে হবে দেখে নিস। উনি (তীব্র) যা বলেন তা কাজেও করে দেখান, একবার যখন বলেছে তোর উপর ক’ড়া নজর রাখবে তোকে ন’র’ক য’ন্ত্র’ণা দিবে তার মানে তোর আর রে’হা’ই নেই ওনার হাত থেকে।

লিনার কথায় আমার মধ্যে চা’পা চি’ন্তা আর ভ’য় কাজ করতে শুরু করলো, ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুল এর নখ দা’ত দিয়ে কা’ট’তে কা’ট’তে লিনা উদ্দেশ্য করে বললাম….

_____এবার আমার কি হবে? আমি তো তখন নিজের মধ্যে ছিলাম না, কেন যে ওসব করে ফে’লে’ছিলাম তা নিজেও জানি না। বেস্টু কিছু একটা উপায় বের কর, এতো তাড়াতাড়ি আমি ম’র’তে চাই না।

#চলবে………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here