প্রণয়ের সূচনা পর্ব -২৯

#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_Shifa
#পর্ব_২৯
_____________________________
সারাদিনের ধক*ল তারপর বাসায় এসে সব নিয়ম কানুন সেরে দিনাকে জাওয়াদের রুমে দিয়ে যাওয়া হয়েছে।লোক সমাগম থেকে ছাড়া পেতেই দিনা লাগেজ থেকে একটা শাড়ি নিয়ে ছুট লাগিয়েছে ওয়াশরুমে।এমনিতেই সে অতিরিক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে।যে মেয়েটা হাতে একটু ধুলোর ছোয়া লাগলে ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য বে*হুশ হয়ে যায়,সে যে এতক্ষণ ধরে এক কাপড়ে এত লোকের মাঝে কা/টিয়েছে সেটা অনেক।জাওয়াদের রুমটা দিনার পছন্দ অনুযায়ী টক*টকে লাল গোলাপ দিয়ে সাজানো হয়েছে।সাথে অবশ্য হলুদ গোলাপ আর আর্টিফিশিয়াল ফ্লাওয়ার ও আছে। রুমে মোমবাতিও জ্বলছে গুটি কয়েক।লাইট অফ করা,মোমবাতির আলোতে যতটুকু দেখা যাচ্ছে অতটুকুই।শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে এসেছে দিনা,আয়নার সামনে বসে আছে সে।পড়নে তার কালো পাড়ের জলপাই রঙা শাড়ী।দরজা খোলার শব্দ পেতেই দিনা বুঝতে পারল যে জাওয়াদ এসেছে।মাথা তুলে তাকালোনা।দরজা লাগিয়ে কয়েক পা এগিয়ে এসে জাওয়াদ কোমল স্বরে ডাকলো-

–‘দিনা,,

খানিক কে*পে উঠল দিনা।মাথা তুলে তাকালো।জবাব দিল-

–‘জ্বী।

–‘ আমার লজ্জাবতীর সাথে আজকে রাত্রি বিলাস করব।অনুমতি আছে?

দিনা মাথা নাড়ালো।জাওয়াদ হাত বাড়িয়ে দিলে হাতে হাত রাখলো দিনা।তাকে নিয়ে ব্যালকনিতে গেল,পাশাপাশি দাড়ালো দুজন। বিস্তর আকাশে এক ফা*লি চাঁদের উকি।দুজনের দৃষ্টি সেদিকেই নিবদ্ধ।দিনার হাতটা এখনো জাওয়াদের মুঠোবন্দি।দুরু দুরু কা/পছে দিনার বু*ক। আজ যদি জাওয়াদ তার স্বামীর হক চায় তাহলে কি করবে সে? না করে দিবে?নাহ, না কেন করবে?এতদিন অপেক্ষায় ছিল এই রাতের।যা হবার বিয়ের পর হবে।বিয়ে হয়ে গেছে দুজনের মতেই,ভালোবাসা,সম্মান আছে তাদের সম্পর্কে।তাহলে দ্বিধা কিসের?কোম*রে শীতল স্পর্শ পেতেই চম/কে উঠল দিনা।বুঝতে বাকি রইলো না জাওয়াদ এটা।তার কাধে মাথা রেখে জাওয়াদ শান্ত, শীতল গলায় বললো –

–‘ লজ্জাবতীর লজ্জা কী আজকে ভা/ঙবে?ভাঙা/তে চাই যে আমি।কত শত অপেক্ষার প্রহর গুনলাম এই রাতের।তাকে একটু গভীর ভাবে ছুয়ে দেখার জন্য,আজকে কী সেই অনুমতি পাবনা?

দিনা থম/কে গেল একদম।লজ্জায় কোনো রকম প্রতিক্রিয়া দেখাতে বা কথা বলতেও ভুলে গেল যেন।জাওয়াদ এর হাতের ওপর তার কাঁপা কাঁপা হাতটা রাখলো।মুচকি হাসলো জাওয়াদ।কাধ থেকে উঠতে উঠতে দিনার চিবুকে উষ্ণ স্পর্শ আ*কলো সে।গভীর হলো স্পর্শ। নিঃশ্বাসের গতিবিধি ক্রমশ বাড়*তে লাগলো দুজনের।গ্রীবা,চিবুক ছুয়ে অতঃপর ওষ্ঠা/ধর মিলিয়ে দিল দুজনের।থাম/লো জাওয়াদ,দিনাকে পাজা কোলে তুলে নিয়ে পা বাড়ালো রুমের উদ্দেশ্য।হয়তো নতুন শুরুর পথে,গভীর থেকে গভীর স্পর্শে মত্ত হতে।
_________________________
ঘা/ড়ে গরম অনুভব হতেই ঘুম হালকা হয়ে গেল প্রণয়ের। চোখমুখ কুচকে চাইলো।ড্রিম লাইটের আলো তে আচ্ছন্ন রুম।ঘাড়ে গরম অনুভূত হওয়ার কারণ বুঝতে সময় লাগল কয়েক সেকেন্ড।আলতো ভাবে ঘাড় বা’কিয়ে তাকালো পেছনে।একদম তার সাথে লেপ্টে ঘুমোচ্ছে সূচনা।পিঠে মুখ গুজে রেখেছে।একটা হাত প্রণয়ের পেটের ওপর এসে ঠেকেছে।মাঝে জায়গা করে নেয়া শিমুল তুলোর কোলবালিশ টার অবস্থান হয়েছে আজ পায়ের নিচে।প্রণয় কিছুক্ষণ অনিমেষ তাকিয়ে রইলো সূচনার মুখের দিক।নড়লো না একদম,নড়লে যে ঘুম ভেঙে যাবে সূচনার।সেভাবেই ঘাড় ঘুরিয়ে শুয়ে রইলো।ঠোঁটে মিটিমিটি হাসির জোগান হলো তার।ব*ক্ষমাঝে আশ্বাসের সহিত ভাবনার হলো সূচনা-“আজকে তো ঘুমের ঘোরে এসেছ,ছুয়েছ আমায়।কোনো একদিন স্বইচ্ছায় মাথা রাখবে এই বু/কে,আ/কড়ে ধরবে দুই বাহু,সেই অপেক্ষায় আছি।আমার বু/কে নিজেকে নিরাপদ মনে করে প্রশান্তির শ্বাস ছাড়বে সেই অপেক্ষায় আছি।সেই অপেক্ষার অবসান ঘটানোর অপেক্ষায় আছি আমি।”
_____________________________
সবে আগমন ঘটা শীতের সকালের সময়টায় এখন শরীরে কা/পন ধরায়।রোদের মিহি ঝিলিক ও দেখা যায় আবার।ব্যালকনির দরজা বন্ধ থাকায় বাইরের আলো প্রবেশ করেনি রুমে।সূচনা ও ওঠেনি এখনও।বার কয়েক পলক ঝাপ/টে তাকালো প্রণয়।ড্রীম লাইটের সবুজ আলোর ঝ/লকানি চোখে লাগতেই লাফ দিয়ে উঠলো।ফোন হাতরে টাইম দেখল।সকাল সাতটা প্রায়। দুহাত দিয়ে মাথা চে/পে ধরল।মাত্র উঠেছে সে মানে ফজরের নামায মিস।ধ্যাত।মেজা/জ তিরিক্ষি হয়ে গেছে। পাশ ফিরে সূচনার দিকে এক পলক তাকালো।এখন ও তন্দ্রাচ্ছন্ন সে।হাত এখন ও মুড়িয়ে রেখেছে যেন বেধে রাখা।তার হাত পায়ের বাধ’ন রাতেই খুলেই দিয়েছে প্রণয়।অথচ সে এখনও বুঝেনি।মনে মনে ‘বো/কা মেয়ে’ উপাধি দিয়ে বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল।ফ্রেশ হয়ে আসতেই দেখল সূচনাও উঠে গেছে।এলোমেলো অবস্থায় দাড়িয়ে আছে বিছানার সামনে।প্রণয় তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো তার দিকে।সূচনা চোখ পিট পিট করে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো-

–‘কী সমস্যা? এভাবে তাকাচ্ছেন কেন?হাত পা বে/
/ধে শখ মেটে নি? নাকি অন্য কিছু করার শখ আছে?

প্রণয় মুখ বা/কালো।থুতনিতে হাত রেখে ভাবুক কণ্ঠে বললো-

–‘ হ্যা ঠিকই ধরেছ,তুমি বুঝলে কিভাবে বলোতো?
যাক গে আমার কিন্তু এখন,,

সূচনা কিছু টা ভীত গলায় বললো –

–‘ আ,,আপনার কী?

সূচনার দিকে এগোতে এগোতে প্রণয় মিহি স্বরে বলতে লাগলো-

–‘ আমার,,আমার ইচ্ছে করছে তোমার,,

–‘আব,,ব ক,,কী আমার?

–‘ আমার ইচ্ছে করছে তোমার হাতের বানানো চা খেতে।প্রচুর মাথা ধরেছে,তোমার বানানো কড়া লিকারে চা টা খেলেই সাড়বে।যাও তাড়াতাড়ি, বানিয়ে নিয়ে এসো।

আদেশের স্বরে বললো প্রণয়।সূচনা গোল চোখে তাকিয়ে রইলো।প্রণয় আবারও বললো –

–‘ সারাক্ষণ উল্টাপাল্টা ভাবনা,ছি/হ,তুমি এমন!যাও চা বানিয়ে আনো।

দৃষ্টি সরিয়ে স্বাভাবিক হয়ে আবারও তাকালো প্রণয়ের দিকে তার ঠোঁটে দুষ্টু হাসি জুড়ে আছে।প্রণয় ইচ্ছে করে ই তাকে লজ্জা দিচ্ছে আর সে গাধি/র মতো লজ্জায় লাল,পিলা হয়ে যাচ্ছে।নিজেই নিজেকে গাধি উপাধি দিল সূচনা। থমথমে গলায় বললো –

–‘ আমি ফ্রেশ হয়ে নেই,পাঁচ মিনিট লাগবে। একটু বসেন।

প্রণয় মাথা নাড়িয়ে বললো- “যাও।

ফ্রেশ হয়ে হাত মুখ কোনোরকম মুছে দরজার দিকে যাচ্ছিল সূচনা।পেছন থেকে হাত টেনে ধরতেই পা থেমে গেল তার।না ঘুরেই জিজ্ঞেস করলো-

–‘ আবার কী হয়েছে? হাত কেন ধরলেন এভাবে?

প্রণয় পূর্বের ন্যায় হাত টেনে নিজের দিকে ঘুরালে সূচনাকে।হাত ছেড়ে দিয়ে দুই হাতে শরীরে জড়িয়ে দিল ধূসর রঙা ওড়নাটা।সূচনার দৃষ্টি ওড়নাতেই আ/টকে গেল।মস্তিষ্কে যেন হাতুড়ি পিটি/য়ে কেউ জানান দিল -“এতক্ষণ ওড়না ছাড়াই প্রণয়ের সামনে ঘুরঘুর করছিলি সূচি।হায় হায়! লজ্জায় কেমন যেন হাসফাস লাগছে তার।ইশশশ,,কী বিব্রতকর পরিস্থিতি।তার সে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে যেন নতুন মাত্রা যোগ হলো প্রণয়ের কথায়।

–‘ এত লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, কালকে রাত থেকেই এভাবে দেখছি,শুধু কালকে না তার আগের রাতেও দেখেছি।

সূচনা ঝট করে প্রণয়ের দিকে তাকালো।তার দৃষ্টির অর্থ বুঝতে পেরে প্রণয় বললো –

–‘আজ্ঞে হ্যা কালকে রাতে আমি রুমে আসার আগে যখন ব্যালকনিতে ছুট লাগিয়েছিলেন না,তখনই ওড়না নিতে ভুলে গেছেন।ব্যালকনিতে যখন আপনি আমার দিকে ঘুরে কথা বলছিলেন তখনই খেয়াল করেছি আমি।আপনার এই ওড়না দিয়ে ই পা বেধেছিলাম আমি।আর আপনি এখনও বুঝেননি।

সূচনা হতবাক।এতটা মন ভুলো, খামখেয়ালি সে!এভাবেই বাইরে যাচ্ছিল।ক/পাল!মানুষের দিনদিন উন্নতি হয় এদিকে তার অবনতি ছাড়া কিছু ই হচ্ছে না।

–‘এখন এত ভেবে লাভ নেই যা হওয়দর আই মিন যা দেখার হয়ে গেছে।এত ভাবাভাবির কি আছে?লজ্জা পাওয়ার ই বা কি আছে?আমি আর তুমি ছিলাম, অন্য কেউ তো দেখেনি। আমি নিশ্চয়ই তোমার পর না, তোমার বর তো এত লজ্জাটজ্জা দূরে নিয়ে ফেলো।ঔসবের দরকার নেই।আমার সামনে ওড়না ছাড়া কেন অন্য কিছু আই মিন ওড়না ছাড়া থাকো সমস্যা নেই বাট বাইরে যেও না তাহলে পা ভে/ঙে ঘরে বসিয়ে রাখব।বলেছিলামনা আমার জিনিস আমি দেখব,শুধু আমি।অনেক সময় নষ্ট করেছ, পাচ মিনিট সময় দিলাম চা নিয়ে আসো যাও।

প্রণয় কথার শুরু দুষ্টুমির সাথে করলেও শেষ করলো কড়া কণ্ঠে রা/গী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। সূচনা ভয় পেল তার চোখের দিক তাকিয়ে।শুকনো ঢোক গিলে বললো-ঠিক আছে, যাচ্ছি।
_________________________________
–‘ আপনি কি ছাড়বেন না?

নিচু স্বরে জাওয়াদকে বললো দিনা।তার একহাত মুঠোবন্দি জাওয়াদের হাতে।জাওয়াদ থমথমে গলায় বললো –

–‘ছাড়বনা আগে বলো সকাল থেকে পালাচ্ছ কেন আমার কাছ থেকে?

–‘ কই পালাচ্ছি?

–‘ তাহলে আমি মিথ্যা বলছি?

–‘ তা তো বলিনি।

–‘তাহলে বলো।

–‘ আপনি ইচ্ছে করে এমন করেছেন তাই না?

–‘কি করেছি?

–‘এই যে রিসেপশন করবেননা।আর না আমাকে আজকে যেতে দিবেন।

–‘ হ্যা ঠিকই বলেছ।এবার আসল কথা বলো।

–‘আমার লজ্জা লাগছে।

দ্বিধা ছাড়াই কথাটা বললো দিনা।জাওয়াদ হাসলো।উচ্চস্বরে হাসলো।এগিয়ে যেয়ে অধর ছোয়ালো দিনার ওষ্ঠাধরে।চমকে গেল দিনা, মূহুর্তেই হানা দিল মুখশ্রীতে লজ্জারা।জাওয়াদ হেসে বললো-

–‘এবার যাও।

দিনা লাজুক হাসলো।সাথে সাথে উঠলো না।একটু সময় নিয়ে পরে উঠে দাড়ালো।রুম থেকে চলো যাওয়ার আগে জাওয়াদের হাসির শব্দ শোনা গেল।
_______________________________
অলস দুপুর।ব্যালকনিতে একটা বেতের চেয়ার টেনে বসেছে।ব্যালকনিতে অন্য গাছগুলোর সাথে নতুন করে অলকানন্দা গাছটা ও জায়গা করে নিয়েছে এক পাশে।বাগান থেকে একটাা টব নিয়ে এখানে রেখেছে।কী সুন্দর ফুল ফুটেছে সেখানে,যেন সবুজ শিয়রে হলুদ তারকাদের আগমন।মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে সেখানে।মনে মনে অবশ্য ভাবনা অনেক।দিনার অনার্স কমপ্লিট করার পর গেট টুগেদারের আয়োজন করা হবে।তাই রিসেপশন এর আয়োজন করা হয়নি।দুপুরে খেয়ে যে যার মতো রুমে।মিসেস আফিয়া অসুস্থ একটু।হওয়ারই কথা এইকয়দিনে চাপ তো কম যায়নি তার ওপর দিয়ে।প্রেশার বেড়ে গেছে একটু।ঘুমাচ্ছোন তিনি।প্রণয় বাসায়ই আজকে।সকাল থেকে একটু পর পরই ফোন বেজে যাচ্ছে তার।বিরক্তি তে একবার রুম থেকে ই চলে গিয়েছিল সূচনা।এই তো একটু আগে এই ফোন নিয়ে ছোট খাটো একটা ঝা/মেলাও হয়ে গেছে।প্রণয় সোফাতে বসেছিল।সূচনা আর তিথি কথা বলছিল বিছানায় বসে।তখনই ফোন বেজে উঠেছে প্রণয়ের।বিরক্তি তে মুখ বা’কিয়ে প্রণয়ের দিকে তাকালেও তিথি বলেই ফেলেছে –‘ভাবি আর কেউ হোক আর না হোক এই ফোন ই হচ্ছে তোমার একমাত্র স/তীন।প্রণয় অস্ফুটে স্বরে বলেছিল-শুধু কি ফোন আরও একজন আছে।আস্তে বললেও তিথি শুনে ফেলেছে।ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে-

–‘ আরেকজন?আরেকজন আবার কে?

–‘তোর পেয়ারি ভাবিকে জিজ্ঞেস কর।

–‘ বা/জে কথা বলবেন না।(সূচনা)

–‘ ভাইয়া বলোতো।

–‘আরে ওই যে শিমুল,,

–‘কিহ?তার নাম শিমুল?

–‘ আরেএ

–‘ভাইয়া এটা কে?কবে থেকে চলে এসব?

–‘ ঠা/টিয়ে দিব।এজন্যই বলে মেয়ে মানুষ বুঝে কম চি/ল্লায় বেশি।

–‘ভাইয়া।

আবারও ফোন বেজে ওঠায় প্রণয় কিছু না বলে ফোন নিয়ে বেড়িয়ে যায় রুম থেকে।

–‘ প্রণয়ী শোনো।

কোমলপ্রাণ,শীতল কণ্ঠে ঘার বা’কিয়ে পেছনে তাকালো সূচনা।প্রণয় দাড়িয়ে আছে।চোখমুখ স্বাভাবিক হলেও কেমন যেন লাগছে তাকে।সূচনা ভ্রু কুটি করে জিজ্ঞেস করলো-

–‘ কী হয়েছে? আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?

–‘ আমাকে যেতে হবে?

সূচনা কিঞ্চিৎ ভড়কে গেল।যেতে হবে মানে?কেথায় যাবে?

#চলবে

( আসসালামু আলাইকুম। দুঃখীত এত দেরি করে দেয়ার জন্য। আমি অসুস্থ ছিলাম।আবার আজকে নানু বাসায় এসেছি কাজিনের বিয়ে উপলক্ষে। চারদিন ব্যস্ত থাকব।রেগুলার দিতে পারব কিনা জানিনা।রা/গ করবেন না প্লিজ।শুরু থেকেই নিয়মিত ছিলাম।মিস দেইনি।এই চারটা দিন একটু অপেক্ষা করিয়েন।ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।হ্যাপি রিডিং❤️।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here