dangerous love পর্ব -২৫+২৬

#Dangerous_Lover
#Angle_Moon_Angle_Moon
#Part_26
আগুনের যখন জ্ঞান ফিরলো তখন সে নিজেকে ক্লিনিকে আবিষ্কার করলো.
.
সার্ভেন্টরা তাকে এখানে নিয়ে এসেছে.
আগুনের চোখ খুলতেই সে সবকিছুই বুঝতে পারলো.
মুম বলে চিৎকার করে উঠলো.
.
ডক্টররা সবাই আগুনকে থামানোর চেষ্টা করছে.
আগুন কারো কথা শুনছেনা সে মুমের নাম ধরে চিৎকার করেই যাচ্ছে.

.
ঠিক তখনই আগুনের ফোনের রিংটন বেজে উঠলো.
.
আগুন ফোনটা রিসিভ করলো.
.
অপরিচিত নাম্বার থেকে কলটা এসেছে.
আগুন নিজেকে অনেক কষ্টে কন্ট্রোল করে কথা বললো.
.
আগুন : Hello
অপর প্রান্ত থেকে : কেমন লাগছে হস্পিটালে? ?
মুমকে ছাড়া তোর কেমন ফিলিংস হচ্ছে সেটা জানার জন্য তোকে ফোন করলাম.
.
আগুন মুমের কথা হঠাৎ শুনে আকস্মিক ভাবে কিছু ক্ষণ স্তব্ধ হয়ে গেলো.
.
আগুন : কে বলছিস??? আমার মুমের খবর তুই কিভাবে জানলি.
কে তুই.
.
অপর পাশে : আমি আসলাম খান বলছি.
মনে পড়েছে আমাকে.
মুমকে কিডনাপ করাতে তোকে হেল্প করেছিলাম.
আমার লোকেরা হেল্প করেছিলো তোকে.
.
আগুন : কুকুরের বাচ্চা আসলাম তোকে আমার হাত থেকে কেউ বাচাতে পারবেনা.
.
একবার তোকে পেয়ে নিই হাতের কাছে তারপর তোর এমন অবস্থা করবো.
.
আসলাম : তুই আমাকে কিছুই করতে পারবিনা.
তুই এখন মুমকে ছাড়া জিবন্ত লাস হয়ে গিয়েছিস.
তোর মতো দূর্বল আমার সাথে পেরে উঠবেনা.
.
আগৃন রাগে গজ গজ করতে করতে বললো..

.
আগুন : আরেক বার তোর মুখে মুমের নাম শুনলৈ তোর জিহ্বা ছিড়ে ফেলবো.
.
আমি দূর্বল নই. আমার মুমের জন্য আমি তোর মতো একশত কুকুর কে একসাথে হ্যান্ডেল করতে পারি.
.
আসলাম : সময় হলে দেখা যাবে কে কাকে হ্যান্ডেল দেয়. ভুলে যাস না আমি কে. আমার হিস্ট্রি তোর জানায় আছে.
.
আগুন : আমার হিস্ট্রি তোর জানা নেই. তোকে জানাবো একসঙ্গে আমি কে.
প্রথম আর শেষ বারের মতো বলছি মুম কোথায়???
মুমকে এখনি আমার কাছে দিয়ে যা এতেই তোর মঙ্গল.
.
যত টাকা লাগবে আমার কাছ থেকে নিয়ে যা.
.
আসলাম : মুমের কথা ভুলে যা. আর গরম আমাকে দেখাবিনা.
মুম প্রথম মেয়ে যাকে দেখে আমার মনে ভালোবাসার জন্ম নিয়েছে.
মুমকে আমি বিয়ে করবো.
পারলে ঠেকিয়ে দেখা.
কথা গুলো বলে আসলাম কল কেটে দিলো.
.
আগুনের মাথায় চরম রাগ উঠে গেলো.
তার মুমকে বিয়ে করবে কেউ সেটা আবার তাকেই বলছে .
.
কল কেটে যাওয়ার পর আগুন আবার কল করলো বাট ফোন অফ পেলো.
.
আগুন রেগে নিজের ফোন ফ্লোরে আছাড় মারলো
.
আসলাম বলে চিৎকার করে ক্লিনিকের বেডটা দুই হাত দিয়ে সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে
উল্টিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলো.
.
ডক্টর রা সব ভয়ে একাকার.
.
আগুন দ্রুত থানায় গেলো আইজি সাহেব কে সব জানালো.
আইজি সাহেব শহরের সব পুলিশ মুমকে খুঁজতে কাজে লাগিয়ে দিলো.
.
আগুন নিজের বাংলোতে এলো.
মুম আর তার বেড রুমে গেলো.
আগুনের কষ্টে বুক চিরে যাচ্ছে মুমের জন্য.
.
বেশি ক্ষণ রুমে থাকত পারলোনা সে বিকোজ রুমে মুমের স্মৃতি তাকে আরো বেশি কষ দিচ্ছে.
.
আগুন ওয়াস রুমে গেলো
তারপর শার্ট খুলে শাওয়ারের নিচে দাড়ালো সে.
.
আর ভাবছে আসলামকে শাস্তি দিয়ে মুমকে কিভাবে তার কাছে আনাবে.
.
আগুন চোখ বন্ধ করে মুমের কথা ভাবছে.

আগৃন চোখ খুলে ফ্লোরের দিকে তাকাতেই কয়েকদিন আগের একটা ঘটনা মনে পড়ে তার.
.
একদিন মুম গোসল করতে চাইছিলো না.
আগুন মুমকে জোর করে কোলে তোলে এই ওয়াস রুমে নিয়ে আসে.
.
মুম : খবর দার ঢেড়স, গর্দব, শয়তান আমার কাছে আসবেন না.
আমাকে টাচ করলে আমি মাডার করবো আপনাকে.
.
আগুন শয়তানি হাসি দিলো.
আগুন : তাই বুঝি ডিয়ার?
তোমাকে টাচ তো করবোই সেই সাথে নিজের হাতে গোসল করিয়ে দিবো.
.
মুম ওয়াস রুমের দরজার কাছে যেতেই আগুন মুমের শাড়ি ধরে টান দিলো.
.
মুম লজ্জা পেয়ে আগুনকে জড়িয়ে ধরলো.
আকস্মিক ভাবে টাল সামলাতে না পেরে মুমকে নিয়ে ফ্লোরে পড়ে গেলো.
মুম ভয়ে চিৎতকার দিলো.
.
তখনি আগুন মুম বলে চিৎকার দিয়ে বাস্তবে ফিরে এলো.
.
আগুন ওয়াস রুমে তাকিয়ে
মুমকে দেখতে না পেয়ে বাঘের মতো গর্জন দিতে লাগলো….
.
পাক্কা দুই ঘন্টা শাওয়ার নিয়ে ওয়াস রুম থেকে বের হল আগুন.
.
ঠিক তখনি ফোনের রিংটন বেজে উঠলো.
আগুন কল রিসিভ করল..
.
অপর পাশে : Hello .mr agun. আমি ডক্টর শফিক বলছি. আপনার ওয়াইফ এর রিপোর্ট গুলো টেস্ট করেছি.
.
আপনার জন্য good news আছে .ওয়ার্ড বয় দিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি .
Kindly collect করে নিবেন.
.
আগুন : Okay. আপনার পেমেন্ট যথা সময়ে পাঠিয়ে দিবো.
.
এদিকে আসলাম মুমের কাছে গিয়ে চোখে হালকা পানি দিলো.
মুম অজ্ঞান হয়ে আছে .
কাল রাতে ক্লোরোফ্রম দিয়ে
অজ্ঞান বানিয়ে মুমকে নিয়ে এসেছে আসলাম.

.
Mum akta chitkar dilo nejer chok duto khuley.
Chok khuley Aslam k dekhte pelo mum .
Anushka kichuta etosto bud korlo.
.
Sha bujte parlo tar shate ki hoyeche kal rate.Tar result shurup sha akhane .
Anushka nijeke shamliye niye bollo.
.
Anushka: Who the hell are you ??? Please amk akhan theke jete din ,
Do you know who i am ???
.
আসলাম বেশ শান্ত হয়ে একটা চেয়ার টেনে বসলো মুমের সামনে।

মুম কিছুটা সরে বসলে।
আসলামঃঃ ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
আমি আপনার কোনো ক্ষতি করবোনা।

মুম ঃঃআমাকে এখানে কেনো এনেছেন?? আমাকে যেতেে দিন।

আসলাম ঃ যেতে দিবো তার আগে বলুন তো আমাকে চিনতে পারেন কিনা।
একটু মনে করুন।

মুম মনে করে দেখলো এটা তো ঐ লোকটা যে তাকে হেল্প করেছিলো।

সেজন্য আগুন তাকে মেরে ছিলো।
মুম ঃঃ মনে পড়েছে আমার।
আপনাকে বাংলোতে দেখেছিলাম।
আমাকে হেল্প করাতে আমার হাসবেন্ড আপনাকে মেরে অনেক অপমান করেছিলেন।

আমি সরি ঐ দিনের জন্য।

আসলাম ঃঃ না ঠিক আছে।
আপনি কোনো দোষ করেননি।

মুম ঃঃ আমাকে এখানে কেনো এনেছেন?? আমি তো কিছু বুঝতে পারছিনা।

আমাকে যেতে দিন।

আসলামঃঃ আপনি কিছু করেননি।আপনাকে কেনো এনেছি সেটা পরে জানতে পারবেন।

এখন এখানে কিছু দিন থাকতে হবে আপনাকে।
নিজের মনে করে এখানে থাকবেন।

মুম ঃঃ আমি কেনো এখানে থাকবো?? আমার হাসবেন্ড জানতে পারলে আপনাকে ছাড়বেনা।

আসলাম ঃঃ কেনো এখানে থাকবেন পরে বলবো। আর আপনার হাসবেন্ডের চিন্তা করতে হবেনা। আপাতত এই খাবার গুলি খান।
কথা গুলি বলেই আসলাম ডোর লক করে বাইরে চলে গেলো।

মুম চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে দরজায় ধাক্কা দিলো। বাট দরজা খুললোনা।

মুম ক্লান্ত হয়ে ফ্লোরে বসে পড়লো।
মুমের চোখ খাবারের দিকে গেলো।তখন আগুনের কথা পড়লে।আগুন থাকলে তাকে খাইয়ে দিতো।
অনেক ক্ষন হলো মুম না খেয়ে আছে।
হঠাৎ মুম আগুন কে মিস করছে। আগুনের জন্য তার কেমন যেনো লাগছে….

_চলবে..
..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here