#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-6+7 (Special part)
“প্রত্যেকদিন রাতে একজন করে মানুষের মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশও কোনো ক্লু পাচ্ছেনা।কে করছে এই খুনগুলো জানা যায়নি।পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে স্পষ্টভাবে প্রত্যেকটা মানুষকে নাকি খুব জঘন্যতমভাবে খুন করা হয়েছে।আর খুনের ধরণ বর্ননা খুবই নিখুঁতভাবে সাজিয়েছে মাস্টারম্যান। যার জন্য পুলিশ কোনো কুল কিনার করতে পারছে না। এই বিষয় নিয়েই পুরো শহরে আতংক। এই নিয়ে মোট ১২ জন লোকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ৩ সপ্তাহ সপ্তাহ ধরে এই মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে। তাদের ফ্যামেলি মতে সবাই সকালে কাজ করতে বের হয়েছিলো ঠিকই। যখন রাত হয়ে দিনের সূর্য উদয় হয়ে আসলো।পরিবার আপন লোকগুলো কেউ ফিরলো না।তখন মিসিং ডায়রি করার থেকে শুরু করে পুরো পুলিশ ফোস্ট লাগানো হয় নিখোঁজ লোকদের উদ্ধার করার জন্য।”
“১২জন মধ্যে যারা মারা গেছে। তারা সবাই কোনো সাধারণ পরিবারের মানুষ ছিলো না।সবাই নামকরা বিজনেসম্যান,সাংবাদিক, পুলিশ অফিসার,উকিল,ফার্ম হাউজের বিল্তারের নামকরা টিলার অফিসার,মন্ত্রী ছেলে এবং ৫ বন্ধু।এদের মতো পাওয়াওয়ালা মানুষগুলোকে খুন করা চারটে খানি কথা নয়।যে মেরেছে সে হয়তো তাদের থেকে বেশি পাওয়ারফুল।সে তাদের থেকে বেশি হিংস”।
“কিন্তু সে কে?আতো কোনো মানুষ নাকি অন্য কিছু এখন সেটাই দেখার পালা”।
****
-;”স্যার এই খুনগুলো কে করলো?আমরা তো করিনি! তাহলে অন্য কেউ এসব ঘটালো।”
“রাসেল করা প্রশ্নে পায়চারি থামিয়ে আরাভ আবার চেয়ারে বসল।মুখে একটা বাকাঁ হাসি লেগে আছে। তোমাদের কি মনে হয়।আরাভ রাজ্য দ্বিতীয় কেউ আসবে।তা ওহ আবার এমন জঘন্যতম কাজ করতে।”
“রাসেল তার পাশের সঙ্গী শাওন সাথে মুখ চাওয়া চাওয়ই করলো।আরাভ দিকে তাকিয়ে চোখ বড় বড় করলো।
-;তারমানে আ..পপপপ… পুরো কথাটা শেষ করার আগেই আরাভ বলে উঠোল।”
-;” তোমরা নিশ্চয়ই আমাজনের জঙ্গলের নাম শুনেছ? এটা “ভারতের আমাজন” বলতে পার।
200 বর্গ কিলোমিটারের এই জঙ্গল এতটাই দুর্গম আর ভয়ঙ্কর। যে এক হাত দূরের জিনিস ও স্পষ্ট নয়। সূর্যের আলোর মাত্র 1% ই জঙ্গলে ঢোকে। তাও সর্বত্র নয়। সব সময় অন্ধকার।পুরো জঙ্গল টাই 200-1000 মিটার উঁচু পাহাড়ী টিলার উপর বিস্তৃত। আর কি না নেই এই জঙ্গলে”।
-;”বাঘ, চিতাবাঘ, হিমালয়ান ভালুক, গিবনের মতন প্রাণীর নিরাপদ আবাস এই জঙ্গল। এছাড়া সব রকমের হরিণ, সরীসৃপ ইত্যাদি ও রয়েছে”।
“-;এই জঙ্গলে সঠিক ম্যাপ আর গাইড ছাড়া যাওয়া মানে ধরে রাখ, রাস্তা না পেয়ে আর বাড়ি ফিরে না আসা। চির জীবনের মতন জঙ্গলে গুম হয়ে যেতে হবে। এই ভয়ঙ্করতার জন্য ই এই জঙ্গল কে বলে “ল্যান্ড অফ নো রিটার্ন ”
‘চার জোড়া চোখই অবাক বিষ্ময়ে তাকাল আরাভ মুখ প্রানে দিকে’।
-;”হ্যাঁ, ঠিকই বলছি। এছাড়া আছে পদে পদে চোরাশিকারী, বিভিন্ন জঙ্গী গোষ্ঠীর ভয়”।
“স্যার এসব সাথে ওহি খুনের কি সম্পক”।”সম্পক নেই। কিন্তু থাকতে কতখন”।জগৎ রায় বাংলাদেশ পা রেখেছে সেটা নিশ্চয় জানো।তার প্রথম শিকার আমাদের দেশের মেয়েরা।তারপরে তো অনেককিছু আছে যা জগৎ রায় চোখ অলরেডি বাংলাদেশে পা রাখার সাথে সাথে নজর পড়েছে।এর আগেরবার কিছু করেতে পারিনি বলে এবার ও কিছু করবো না তা ভাবার চেষ্টা করো না”।
“স্যার খুনগুলো কেনো হলো জানতে পারি? যদি ও এসব সাথে আমাদের কাউকে জোড়ালেনা বা কেনো?আমার তো সাহায্য করতে পারতাম”।’আরাভ কিছুখন নিরবতা পালন করে মুখ স্পষ্টতা সাথে বলে উঠলো’।
-;”কয়েকমাস আগে রাহেমা মার্ডার ওপেন কেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো সেটা নিশ্চয় শুনেছ।রাহেমা মা নেই।বাবা বৃদ্ধ।সংসার চালানো বোনদের লালন পালন করা তাদের পড়াশোনা খরচ সব দায়িত্ব চলে আসে রাহেমা কাধেঁ।ছোট চার বোন আর বাবাকে নিয়ে বাচার লড়াই শুরু করে রাহেমা।কোনো ভাই ছিলো না রাহেমা পরিবারে যে শক্ত করে সংসার হাল ধরবে”।
” -;দুই বছর চাকরী বয়স পার হলো ছোট রাহেমা তখন ২১ বছর প্রাপ্ত এডাল্ট মেয়ে। সংসার আর বাবা বোনকে নিয়ে তারা সাজানো ঘর আলোয় ভরা ছিলো।ছোট বোন ডাক্তারি পড়ছে।এক বোন কে বিয়ে দিবে বাকি দুটো খুব ছোট ছিলো ওরা তখন ক্লাস ওয়ান টুয়ে পড়ে।প্রতিদিনের মতো অফিস কাজ সেরে রাহেমা একা বাসায় ফিরার জন্য রওনা হলে সে বাড়িতে আর ফিরেনি।এইদিকে বাবা মেয়ে কে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন থানায় দৌড়াদৌড়ি শুরু করে একটা মিসিং ডায়রি লিখানোর জন্য।এই থানায় মধ্যে পরে না তো ওহি থানা পড়ে। সেখানে চলে যান।পুলিশসাহেবগুলোর তখন খুব গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরছিলো। কারণ ওপর মল থেকে তাদের আগেই আদেশ জারি করা হয়েছিলো।এমন কেস আসলে ও যেনো গুরুত্ব না দেওয়া হয়।
এই থানায় ওহি থানায় দৌড়ে যখন লাভ হলো না।তখন অসহায় একজন বাবা বৃষ্টি মাঝে মাথা হাত দিয়ে বসে কাঁদছিল। ছোট মেয়েগুলো বড় বোনের কথা জানতে চাইলে কিছুই বলতে পারেনি”।
“পাচঁদিন পর, বুড়িগঙ্গা ঘাটে উলঙ্গ বিবস্ত্র অবস্থায় রাহেমা কে পাওয়া যায়।কিছু মানুষ দাড়িয়ে ছবি তুলছে ফেসবুক ছাড়বে কিছু লাইক কমেন্ট জন্য।আর কিছু মানুষ মেয়েটা শরীরে দিকে তাকিয়ে বিপাসা মিটাচ্ছিলো।অথচ মেয়েটার গায়ে এক টুকরো কাপড় নেই।মেয়েটাকে একটা কাপড় দিয়ে ঢাকা উচিত সেটা কেউ মনেই করেনি। বাবা আর বোনগুলো খবর পেয়ে আসলো।বোনের এই অবস্থা দেখে কেঁদেছ বোনেরা।বাবা মেয়েকে এমন অবস্থায় দেখে নিজের গায়ের চাদর দিয়ে জড়িয়ে ধরেন আর চিতকার করে কেঁদেছিলো।বাবা নাকি শক্ত পাথর মনের মানুষ হয়।বাবারা নাকি কাঁদতে জানে না। তাদের কাঁদতে নেই।ওখানকার মেম্বার ছিলো একজন মহিলা নাম তার আয়েশা সিদ্দিকি।তিনি পুলিশ কে চাপ দিয়ে ডাক্তার মাধ্যমে পোসমর্ডাম করলে জানতে পারে।রাহেমা কে রেপ করা হয়েছে। পাচঁদিন শারিরীক,মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে মাথার ব্রেন্ডে চাপ পরে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরয়ন হয় মেয়েটা মারা যায়।”
“আয়েশা সিদ্দিকি মেয়েটা ন্যায় জন্য সবমহিলাকে নিয়ে প্রতিবাদের মাঠে নেমে পড়ে।বিভিন্ন মিডিয়া খবরটা পৌছে যায়।ঝড় বয় পুরো দেশে।উপরে মহলে সিএম এর কাছে খবরাটা পৌছায়।যখন দেখলো কেসটা দমনো যাচ্ছে না তখন শুরু হলো আরেক কুৎসিত মনের ষড়যন্ত্র।রাহেমা মার্ডার কেস মামলা হয় থানায়।কেসটা কোর্টো উঠে যায়।বাবা,আর বোনগুল বোনের ন্যায় বিচার শুনতে এসেছিলো কোর্টে”।
“শুরু হলো জজ্ এর সামনে এক উকিল ন্যায় পক্ষ আর অন্য উকিল বিছানো ষড়যন্ত্র জাল”।
উকিলঃ”মাননীয় মহা মান্য আদালত।রাহেমা একজন গরিব সাধারণ ঘরে মেয়ে।বাবা, বোনদের নিয়ে তার বেচে থাকা। সে কাজ করে খেটে খাওয়া পরিশ্রমী মেয়ে।তার কারো সাথে কোনো প্রেম নামক সংন্জাত ছিলো না”।
বিপক্ষে উকিলঃ”মাননীয় আদালত দাড়িয়ে বানোয়াট একটা গল্প বলেই কি জজ্ মেনে নিবেন।কি প্রমান আছে দেখেন”।
উকিলঃ”প্রমান আমাদের আছে। কিন্তু যার কাছে প্রমান ছিলো সে তখন কোর্টে পৌছেতে পারেনি।আমি কিছুটা সময় পাওয়ার জন্য আরজি করছি।সে এসে যাবে”।
“কিছু সময় দেওয়ার পর যখন আসলো না”।তখন,
বিপক্ষের উকিলঃ”আপনাদের সময় দেওয়ার পরে সে আসেনি। আর কোনোদিন আসবে বলে আমার মনে হয় না।সবার সময় নষ্ট করলেন শুধু শুধু।
আপনার কাছে কোনো প্রমান না থাকলে ও আমার কাছে সব প্রমান আছে তা পাকাপোক্ত প্রমান।মহামান্য আদালত আপনি অনুমতি দিলে প্রমান দেখাতে পারি”।
জজঃ’অনুমতি দেওয়া হলো’।
বিপক্ষ উকিলঃ”মাননীয় আদালত আমার হাতে রাহেমা মার্ডারকেন্সের রির্পোট রয়েছে।এখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে তাকে ৫ থেকে ৬ জন রেপ করেছে।সেটা যদি নিজ ইচ্ছাকৃত করে তাহলে সেখানে আমরা কি করতে পারি।রাহেমা কে কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় পরপুরুষ সাথে বিভিন্ন হোটেল দেখেছে আমাদের পুলিশ অফিসার।বিশ্বাস না হলে যাচাই করুন”।
“পুলিশ অফিসার নিজের মাথা ক্যাপ খুলে কোর্টে বক্রে উঠে দাড়িয়ে বয়ান দিলো”!
পুলিশঃ”মহামান্য আদালত আমি রাহেমা কে কয়েক বার বিভিন্ন জায়গায় এমন কাজে জন্য কয়েকবার নিষেধ ও গেপ্তার করলে চাইলে বলে।তার বাবা,বোনের চাহিদা আর নিজের সুখ খুঁজতে নিজে থেকে শরীর বিলিয়ে দিচ্ছে।অনেক কান্নাকাটি করে যার জন্য কেন্স ফাইল না করে ছেড়ে দেই”।
বিপক্ষে উকিলঃ”মহামান্য আদালতে কাছে আমি আর কিছু পেইস করতে চাই।কিছু রির্পোট দেওয়া হলো জজ সাহেব রির্পোটে স্পষ্ট লিখা আছে রাহেমা মার্ডারকেন্স হওয়ার আগেই কয়েকবার বাচ্চা এর্বোশন করতে হাসপাতালে দেখা গেছে।যে ডক্টর এর্বোশন করেছে সে এখানে উপস্থিত। লাস্ট বাচ্চা যখন পেটে লাগে সেটা ফেলতে পারেনি।রাহেমা তখন ৪ মাসের অন্তঃ সপ্তাহ।সে অবৈধ বাচ্চা মা হতে চলেছে।নিজের বাচ্চা কে মারা জন্য মন্ত্রী ছেলে আকবর ওহ তার পাঁচ বন্ধু কে ফাসায়।সত্যি এটাই রাহেমা আতো কোনো রেপ হয়নি সে নিজে পাপের ফল নষ্ট করতে এমন চাল চেলেছে যাতে সাপ মরে লাঠি না ভাঙ্গে”।
“এখানে আমার মকেল্ল কে ফাঁসানো ছাড়া কিছু না।তাই এই কেন্স চালু রাখার কোনো মানে নেই। আমার মক্কেলদের ছেড়ে দেওয়া হোক মহামান্য আদালত”।
“রাহেমা কেন্স বন্ধ হলো। সাংবাদিক একটু কাহিনীকে বিরাট বড় করে তেল মশলা মাখিয়ে খবর প্রচার করল মোটা অঙ্গের টাকা নিয়ে।
আর জজ কেন্স বন্ধ করা সাথে বাবা মেয়েদের বুকে জড়িয়ে চিতকার করে কেঁদেছিলো।আমার মেয়ে বোরকা ছাড়া ঘরতে কখন বের হয়নি। সে সংসার বাঁচাতে পরিবারে মুখে কাজে লেগেছ ঠিকই। কিন্তু পর্দা নষ্টা করেনি।এসব মিথ্যে আমার মেয়ের কোনো অবৈধ সম্পক ছিলো না।একজন বাবার আহাজারি যখন কেউ শুনলো না।তখন চারমেয়ে কে নিয়ে ওহি কোর্টে ছাদে আত্মহত্যা করে বসে।বেচে থাকলে মেয়েদের মানুষ করতে পারতো না।হয়তো রাহেমা মতো তাদের করুন পরিনতি হতো।তাই বাবা তার মেয়েগুলোকে সাথে নিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলো”।
“সেইদিন খুনিরা মুক্তি পেলো।এতে সাহায্য করলো এই ১২জন।বিজনেসম্যান,সাংবাদিক, পুলিশ অফিসার,উকিল,ডক্টর, ফার্ম হাউজের বিল্তারের নামকরা টিলার অফিসার,মন্ত্রী ছেলে এবং ৫ বন্ধু”!
“স্যার আপনি এসব কি করে জানলেন?আমরা তো ব্যাপরটা বলিনি”!
-;”কয়েকদিন আগে একটা চিঠি সাথে গিফটসহ আমার বাড়ি সামনে রেখে আসে।কে রেখেছে জানতাম না বর্ডিগার্ড প্যাকেটটা দিলে। আমি খুলে দেখি একটা লাল বেনারসি তাতে রক্তে দাগ।শাড়িটা রেখে চিঠি পড়া শুরু করি।সেখানে একজন ভালোবাসা মানুষ কষ্ট ফুটে ছিলো।রাহেমা যেখানে কাজ করতো সেখানে এই ছেলেটা কাজ করতো।নাম ছিলো রাকিব অফিস ম্যানেজার দায়িত্ব ছিলো।অফিস কিছু কাছের জন্য সিলেট গিয়েছিল। যখন আসে তখন সব শেষ।ভালোবাসা মানুষটা কে জীবন সঙ্গী করার হলো না।বলা হলো না কেউ তাকে ভালোবেসে ছিলো।”
“আরাভ কথাগুলো বলে চুপ করে রইল।কিছু একটা ভেবে নিজের অফিস থেকে বের হয়ে গেলো।রাসেল আর সাওন কে বাকি কাজ শেষ করে চলে যেতে বলো”!
*******
“মুখে বাকাঁ হাসি ফুটিয়ে আরাভ পায়ের ওপর পা তুলে বসে আছে। তার বরাবর আরমান মির্জা রাগে দাতঁ কটমট করছে।
ছেলেটা সাহস কত বড়। তার বাড়িতে এসে এমন বেয়াদবি তার সামনে”।
-;হ্যালো মিষ্টার মির্জা।দিন কাল কেমন যাচ্ছে।অবশ্যই ভালো যাওয়ার কথা না।তোমাদের বরবাদি কারন যেহেতু এই আরাভ খান।তো তাকে সামনে দেখে ঘুম তো হারাম হবেই।(আরাভ মুখে সেই দুষ্টু হাসি।)
-;তুমি আমার বাড়িতে কেনো এসেছো।কি চাই তোমার।আমার সব শেষ করে এখন তামাশা করছো এখানে।বের হওয়া আমার বাড়ি থেকে।আমার মেয়ে কে আমার বাড়িতে ভালোই ভালো দিয়ে যাও বলছি।নয়ত…
-;নয়ত কি মিষ্টার মির্জা? বলুন..আপনার মেয়ে আমার কাছেই থাকবে।আর সেটা সারাজীবন জন্য।আর হ্যা শ্বাশুর মা কোথায় তাকে দেখতে পাচ্ছি না কেনো?শ্বাশুরী মা…ওহ শ্বাশুরী মা….
-;কি হচ্ছে এটা এভাবে ষাড় মতো চেঁচাচ্ছ কেনো?আর কি শ্বাশুরী মা হ্যা?
-;বারে বউ টা যেহেতু আমার কাছে আছে। বিয়ের আয়োজন করব আর শ্বশুর, শ্বাশুরী দোয়া নিবো না এটা কি হয় শ্বশুর মশাই। শ্বাশুরী, শ্বশুর তো মা,বাবার মতো।আমার মা, বাবা কেউ নেই সেখানে আপনাদের দায়িত্ব কতব্য দুটোই আছে।তাই বিয়ের সময় যেনো আমি আমার ওয়ান ওনলি শ্বাশুরী মায়ের সাথে শ্বশুর মশাইয়ে কে যেনো পাই।
-;আচ্ছা শ্বশুর মশাই আপনাদের বাড়িতে নতুন জামাই আসলে কি তাকে জারি মেরে পেট ভরানো হয়।একটু মিষ্টি কথা বলে ওহ পেট ভরাতে পারেন তো।ইস আমার কি কপাল শেষমেশ কিনা কিপ্টে শ্বশুর মশাই জুটলো।তাই তো বলি আমার বউটা জিরো ফিগার হলো কি করে?একটু ফু দিলে উড়ে যাবে।
-;জাস্ট গেট লস্ট।
-;আরে চলে তো যাবো।যেটা জন্য এত কষ্ট করে এলাম সেটা পূরন না করে চলে যাবো নাকি।ডাকুন না আমার শ্বাশুরী মাকে।
-;কনিকা বাড়িতে নেই তার বোনের বাসায় গেছে।কবে আসবে বলে যায় নিই।
আরমান মির্জা আর কিছু বলার আগেই ধুম করে কাচ ভাঙ্গার শব্দ হলো!
-;”কি অবাক হচ্ছিস?এত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলাম আর এখন এমন করছি কেনো?হঠ্যাৎ মির্জাকে চেয়ার বসিয়ে টেবিলের ওপর বসে মির্জা চেয়ার দুই সাইটে পা দিয়ে আটকে দিলো।এই আরমান মির্জা তোর সাহস কি করে হয়।আমার মায়ের মতো মাকে আঘাত করা”।
“কি ভাবিস নিজেকে তুই? নারী গায়ে হাত তুলে নিজেকে বীরুপুরুষ ভাবিস।আসলে তুইতো একটা কাপুরুষ।মানুষের মধ্যে পড়িস না একটা অমানুষ।
তুই না হতে পেরেছিস ভালো স্বামী।আর না হতে পেরেছিস একজন ভালো বাবা।বাহিরে মেয়েদের পাচার করে তোর জিহ্বাটা বড্ড বড় হয়ে গেছে”।”
“কেটে ফেলবো,একদম আগা থেকে গোড়াটা কেটে ফেলবো।তোর সো কল্ড জগৎ রায় বরবাদি নিজে ডেকে এনেছে।বাংলাদেশ আশাটা ওর জন্য কাল হয়ে দাড়াবে”।
জগৎ রায় কে সর্তক থাকতে বল, না হলে ফল খুব খারাপ হবে।আসছি।
আরমান মির্জা চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে।এই প্রথম নিজের বাড়িতে অপমান হলো তাও নিজের শএু কাছে।ভাবলে রাগে রিরিরিরি করছে শরীর।
আরাভ বাড়িতে ফিরে আসলো হাতে রয়েছে কিছু শপিং ব্যাগ সেগুলো আলমারিতে রেখে।শীতল কে খুঁজতে শুরু করলো।এই মেয়েটা গেলো কই?সুইমিংপুল সামনে পেলো শীতলকে।এখানে কি করছো?শীতল সুইমিংপুলের কিনার বসে পানি মধ্যে পা দিয়ে চকলেট খাচ্ছে তৃপ্তিসহকারে।হঠ্যা পিছনে থেকে কেউ ডাকায়।মাথাটা বাকাঁ করে তাকিয়ে দেখলো আরাভ তা ওহ কোনো উওর না দিয়ে নিজের মতো পানিতে পা নরচরা করছে।আরাভ ডাকে সারা না দেওয়।আরাভ রেগে শীতল গাল টেনে আরাভ মুখোমুখি করলো।
-;বজ্জাত মেয়ে কখন থেকে ডাকছি শুনতে পারছো না।থাপ্পড় খাওয়া ইচ্ছে হয়েছে।
আরাভ শীতল গাল টেনে ধরে শীতল রেগে বুম।মুখের মধ্যে চকলেট টা গিলে এক প্রকার আরাভ কে ঝারি মারলো।
-;ওহি ছেমরা তোর সমস্যা কি আমি চকলেট খাচ্ছিলাম শান্তিতে।সেটা ও তোর হজম হয় না।
-;আরাভ ভ্রু কুচকে থাকালো মেয়েটা মুখের ভাসা দিন দিন খারাপ হচ্ছে ইচ্ছে করছে গালে একটা থাপ্পর লাগাই।চকলেট পেলে কোথা থেকে?
-;আপনার গার্ড কে দিয়ে আনিয়েছি।
-; টাকা পেলে কোথা থেকে।
-;টাকা আপনার শার্টের পকেট থেকে চাকু কেটে বের করেছি।
-;কি কোন শার্ট?
-;লক করা শাট কা পকেট সেটা।
আরাভ সামনে তাকিয়ে বাঁকা হেসে সিড়ি বেয়ে রুমে চলে এলো।একটা শার্ট গায়ে জড়িয়ে নিচে নেমে এলো।তারপর শীতল সুইমিংপুল এখন বসে থাকতে দেখে এগিয়ে এসে তুড়ি বাজালো।তুড়ির শব্দে মাথা উঁচু করে তাকলো শীতল।বাহিরে যাচ্ছি প্রায় একঘন্টার জন্য।আমার অনুপস্থিতিতে যদি বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছো তো হাত পা ভেঙ্গে ঘরে বসিয়ে রাখবো।শীতল দিকে আরো একটু ঝুঁকলো আরাভ।
শীতল খুব কাছে আরাভ।আরাভ নিশ্বাস সাথে রুহীর নিশ্বাসের সাথে বাড়ি খাচ্ছে।কখনো দূরে যেতে পারবেনা, আমার কাছেই থাকতে হবে।কারন তুমি শুধু আমার।কথা গুলো বলে শীতল গাল ধরে চুমো খেতে যেতেই শীতল ঘাড় ঘুরিয়ে নিলো।আরাভ দাঁতে দাঁত চেপে চোখ বুঝে রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলো।শীতল গাল চেপে ধরে ওর ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ালো আরাভ।শীতল ঠোঁটে আলতো জোরে একটা কামড় দিয়ে ছেড়ে চলে গেলো।
-;ইউ লুচুম্যান আমার ঠোটঁ ওপর অত্যাচার করিস।তোকে তো আমি একদিন এমন শিক্ষা দিবো ভুলে আমার কাছে আসবি না।
Crocodile Mafia Gang
আরমান মির্জা হেটে হেটে একটা কাচে দরজার সামনে দাড়ালো।দরজায় নিজের চেয়ারা স্ক্যান হত হতে গেইট অটোমেটেডলিক খুলে গেলো।চারদিকে গার্ড দাড় করানো ভিতর ঢুকতে হলে আরেকটা দরজা পার করতে হবে।গার্ড মাথা দেয়াল থেকে বের হয়ে আসলে আরমান মির্জা বলে উঠলো।
-;স্যারের সাথে দেখা করতে এসেছি।
-;আপনার পরিচয়?লোক গুলো একসাথে জিজ্ঞেস করলো।
-;স্যারের ডান হাত।আমার নাম আরমান মির্জা।বলে উঠে আরমান মির্জা।
লোকগুলো আরমান মির্জা কে একবার চেক করে ছেড়ে দিলো।
-;ওকে।ইউ ক্যান গো নাউ।বলে উঠে গার্ড প্রধান।
আরমান মির্জা সামনে হেঁটে যেতে লাগলো।
আরমান মির্জা একটা কালো দরজার সামনে থামলো।দরজায় ধাঁ ধাঁ দেওয়া সেটা মিলাতে পারলেই দরজা খুলবে। আর না পারলে দূর নিশানা তীরে আঘাতে মরতে হবে।
আরমান মির্জা ধাঁধাঁ মিলাতে দরজা খুলে গেলো।আরমান মির্জা হেটে রুম আসলো।
-;নিজের রুমে বক্রসিন করছে সুঠাম দেহ লোকটি।পিছনে আরমান মির্জা এসে দাড়িয়েছে সে খেয়াল নেই।
-;স স স্যার!।তোঁতলাতে লাগলো আরমান মির্জা। হাটু কাঁপছে তার জগৎ রায় নিজের কাজে ব্যাস্ত।
সামনের থেকে লোকটা রিপ্লাই দেইনি এখনো।সে নিজের কাজ করে যাচ্ছে।লোকটা গ্লাসে লাল রং এর কিছু পানীয় ঢেলে একবার সিপ দিয়ে বলল
-;ওহ আরমান তুমি?
-;জ জ জি স্যার।ভালো আছেন?জিজ্ঞাস করে উঠে আরমান মির্জা।
-তোঁতলাচ্ছো কেন আরমান?তুমি কি কোন ভুল করেছো যে আমাকে ভয় পাচ্ছ?
তোমার ওপর ভরসা করে ৯ বছর ।এই ৯ বছরে আমার গ্যাংস্টার কে রসাতলে পাঠিয়েছো।যেটা সাথে বক্রিসিন করছিলো সেটা মধ্যে লাশ ছিলো যা রক্তে মাখামাখি।ওটাই আরমান মির্জার সামনে ছুড়ে মারলে থেঁতলে যাওয়া লাশটা বের হয়ে আসে।জগৎ রায় মাফিয়া টিমের লিডার।
-;রাজন কাম হিয়ার!!!!চিৎকার করে ডাকলেন জগৎ রায়।
-;গার্ড প্রধান দৌড়ে ভিতরে আসলো ইয়েস স্যার।
-;এই লাশটাকে আমার আমার হিংস কুমির খাঁচায় দিয়ে আয়।বলে উঠলেন জগৎ রায়।
-;জি স্যার।তিন জন গার্ড মিলে লাশটাকে উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলো।
-; জগৎ রায় কাউকে ফোন করলো।আরাভ খান সকল ইনফরমেশন চাই রাইট নাও।বলেই ফোন ছুড়ে মারলেন জগৎ রায়।আরমান মির্জা দিকে চোঙ রাঙিয়ে বল তোকে রাখছি আমার বা* হালাতে। যা আমার রাতে তৃষ্ণা মিটানো ব্যাবস্থা কর।দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে।আরমান মির্জা ভয়ে তাড়াতাড়ি বের হলো।এতখন মনে হচ্ছিলো বাঘের কাচাঁ ছিলো এই যাএা বেচে গেছে।
চলবে……
বানান ভুলত্রুটি ক্ষমা চোখে দেখবেন।
দুটো পাঠ একসাথে দেওয়ার কথা দিয়েছিলাম সেটা রাখতে পারেনি।তাই আজকে দিয়ে দিলাম।প্রতিদিন দিতে পারবো না ঝামেলা শেষ গল্প রেগুলার দিবো।
ভালোবাসার সাত রং সিজন -২ রাইপিং আছি মনে হয়না রাতে পোস্ট করতে পারবো।লিখা শেষ হাতে পাবে আর না হলে কালকে পাবে।
ধন্যবাদ