King_in_the_city_of_Mafia পর্ব ৮

#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-8
-তোঁতলাচ্ছো কেন আরমান?তুমি কি কোন ভুল করেছো যে আমাকে ভয় পাচ্ছ?
তোমার ওপর ভরসা করে ৯ বছর ।এই ৯ বছরে আমার গ্যাংস্টার কে রসাতলে পাঠিয়েছো।যেটা সাথে বক্রিসিন করছিলো সেটা মধ্যে লাশ ছিলো যা রক্তে মাখামাখি।ওটাই আরমান মির্জার সামনে ছুড়ে মারলে থেঁতলে যাওয়া লাশটা বের হয়ে আসে।জগৎ রায় মাফিয়া টিমের লিডার।

-;রাজন কাম হিয়ার!!!!চিৎকার করে ডাকলেন জগৎ রায়।

-;গার্ড প্রধান দৌড়ে ভিতরে আসলো ইয়েস স্যার।

-;এই লাশটাকে আমার আমার হিংস কুমির খাঁচায় দিয়ে আয়।বলে উঠলেন জগৎ রায়।

-;জি স্যার।তিন জন গার্ড মিলে লাশটাকে উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলো।

-; “জগৎ রায় কাউকে ফোন করলো।আরাভ খান সকল ইনফরমেশন চাই রাইট নাও।বলেই ফোন ছুড়ে মারলেন জগৎ রায়।আরমান মির্জা দিকে চোঙ রাঙিয়ে বল তোকে রাখছি আমার বা* হালাতে। যা আমার রাতে তৃষ্ণা মিটানো ব্যাবস্থা কর।দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে।আরমান মির্জা ভয়ে তাড়াতাড়ি বের হলো।এতখন মনে হচ্ছিলো বাঘের কাচাঁ ছিলো এই যাএা বেচে গেছে”।

—-
“দিনের সূর্য ডুবে রাত কালো আধার করে ডেকে আরেকবার ভোরে বার্তা আসলো।”শীতল আরামে সুন্দর ঘুমটা ভাঙ্গতে। বেলকনি রোদ বিছানায় শীতল মুখের ওপর পরলো।শীতল এতে খুব বিরক্ত হল”। “শীতল ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে টেবিল বসলো”।”শীতল খাবার টেবিলে দিয়ে গেলো একজন সাভেন্ট।শীতল আড়চোখ আশেপাশে চোখ ভুলালো,না কোথাও নেই লুচুম্যানটা।কোথা আছে কে জানে কালকে আরাভ চলে গেছে যাওয়ার পর কখন আরাভ এসেছে নিজের রুমে শুয়েছে সেটা শীতল জানে না”।
“তাই খাবারটা এক কামড় বসিয়ে সাভেন্ট ডেকে এনে জিজ্ঞাস করল মিষ্টার আরাভ খান কোথায়?তিনি এখন পরে পরে ঘুমাচ্ছে বেলা তো অনেক হলো।এত লেট তো এর আগে হতে দেখিনি তাকে”।

সাভেন্টঃ”ম্যাম কাল রাত তোও স্যার বাসা ফিরেনি। স্যার আসলে জানতাম।আর স্যার কখনোও এত লেট করে ঘুম থেকে উঠে না।সাভেন্ট কথা শীতল কপালে বাজ পড়লো।লোকটা নাকি কাল রাতে বাড়িতে ফিরেনি তাহলে গেলো কোথায়?শীতল খাবারটা আর খেলো না।”

” খাবারটা রেখে উপরে চলে গেলো।সকাল গড়িয়ে দুপুর,তারপরে সন্ধ্যা হয়ে গেলো কিন্তু আরাভ আসার কোনো নাম নেই।শীতল সারাদিন কিছু খায় নি। কাউকে আর কিছু জিজ্ঞেস না করে আরাভ ঘরে বারবার উঁকিঝুঁকি মারছিলো।আরাভ নেই এই তো সুযোগ পুরো রুমটা সার্চ করার।শীতল পুরো রুমে কিছু খুঁজে চলেছে।আরাভ রুমে তেমন কোনো প্রমান মিলেনি যা দ্বারা আরাভ বরবাদি করা যাবে।রাতের বেলা খুব খারাপ লাগছিল শীতলের।মাথা টা কেমন ঝিমঝিম করছিলো। হয়তো সারাদিন না খেয়ে থাকায় খুব খারাপ লাগছে”!

“হঠ্যাৎ একটা কল আসলো শীতলের নামে।শীতল হ্যালো বলতেই।অপরপাশ থেকে নিজের বাবা কন্ঠ শুনতে পেলো।বাবা ভালো হোক কিংবা খারাপ। বাবা তো বাবাই হয়।বাবা জঘন্যতম রুপটা শীতল জানা নেই!তার কাছে অজানা।তাই তো বাবা কন্ঠ শীতলের কানে বাজতেই একটা ঠাণ্ডা হাওয়া ছুয়ে গেলো।শীতলের চোখে মুখে খুশীর ছলক রেখা ফুটে উঠলো।”

-;”অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠলো বাবববা….কেমন আছো তুমি”।

“আরমান মির্জাঃতুই ছাড়া তোর বাবাটা ভালো থাকে কি করে বল?চলে আয় না ফিরে আয় মা।তোকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে।আরাভ জন্য তোর সাথে যোগাযোগ করতে ভয় করে। যদি তোর কোনো ক্ষতি করে বসে ওহি জানোয়ারটা।”

-“;আমি ফিরব বাবা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব।ওহ আমার কোনো ক্ষতি করবে না বাবা।আমি আমাকে সেফ করতে জানি বাবা।আমি আরাভ রাজ্য ছেড়ে তোমার কাছে খুব তাড়াতাড়ি ফিরবো”।

“আরমান মির্জা যেন উত্তর টা শুনে মোটেও খুশি হল না। আবার জোর করতে লাগল সত্যি বল না আরাভ সাথে কিছু চলছে তোর? না মানে আশেপাশে অনেক মানুষদের জানাজানি হয়ে গেছে।ওরা বলাবলি করে যে তুই আর আরাভ একই বাড়িতে একই বিছানায় থাকছিস,খাচ্ছিস। লিভ টুগেদার করচ্ছিস নাতো”?

“‘শীতল চমকে উঠল বাবা বলছে এসব কথা’।সে কি করে পারল মেয়ে কে এসব বলতে।শীতল বাবা কি জানে না তার মেয়ে মরে যাবে তবু এমন কাজ কখন করবে না।আর ওহি লোকটার সাথে লিভ টুগেদার ইম্পসিবল”।

“এত গুলো প্রশ্ন তে পুরো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ল। প্র‍থম দুটো ঠিক আছে কিন্তু পরের প্রশ্ন টা কি ছিল?লিভ টুগেদার মানে কি?কিছুটা রাগ দুঃখ মিশ্রিত নিয়ে ফোনটা কেটে যার ফোন তাকে দিয়ে দিলো।শীতল মাথায় হাজার চিন্তা ঘুরছে রাগে দুঃখে নিজের ঠোটঁ কামড়াচ্ছে”।
“নিজেকে শক্ত করে ধরে রাখার আপ্রান বৃথা চেষ্টা চালালো।যখন আর নিজেকে সামলাতে পারলো না তখন টুকরে কেদে উঠলো।হাটু সাথে দুইহাত বেধে মাথা গুছে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদতে লাগলো”।

আরমান মির্জা কান থেকে ফোন সরিয়ে বাকাঁ একটা হাসি দিলো।

******

” মেইন দরজা দিয়ে বাসায় প্রবেশ করলো আরাভ।এক হাতে কোর্ট আরেক হাত ফোন যেটা কানে ধরে কারো সাথে কথা বলছে।আরাভ কথা শেষ করে নিজের রুমে গেলো। ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেশ খুব সাবধানে হলো। কারন আরাভ কাধটা খুব গভীরভাবে কেটেছে। যার জন্য তাকে কাল হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। ফ্রেশ হয়ে গায়ে শার্ট জড়িয়ে শীতল রুমে দিকে রওনা হলো”।ভালোবাসার মানুষটা একটু দেখবে আর নিজে হাতে খাইয়ে দিবে”।

“আরাভ স্তব্ধ হয়ে গেল শীতল কে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে।দৌড়ে শীতলের কাছে এলো।শীতল অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে।আরাভ দ্রুত কোলে তুলে বিছানা শুইয়ে রেখে ডক্টর কে কল করলো।
কয়েক মিনিট পর শীতল জ্ঞান ফিরে আসল। চোখ মেলে একজন ডক্টর কে দেখতে পেলো আগেরবার ডক্টর নয় এটা।এই ডক্টর বয়স আরাভ মতো হবে দেখতে বেশ সুর্দশন ইয়াং”।

-;এখন কেমন আছেন?

“শীতল হালকা হাসার চেষ্টা করে বলল “ভালো আছি”।খাওয়া দাওয়া তে এত অনিয়ম কেন জানতে পারি?সারাদিন কিছু না খাওয়ার কারনে আপনি অজ্ঞান হয়েছেন! বিশ্রাম নিন ঠিক হয়ে যাবে!আরাভ শীতল পাশে বসা ছিলো”।

“আরাভ তোর বাড়িতে কি খাবার অভাব পড়েছে।
আরাভ কপাল কুঁচকে ডক্টর আন্নাফ দিকে তাকালো।বন্ধু হয়ে বন্ধু কে খোঁচা মারছে ক্লাসের সেরা টপার বয়।আরাভ খান শকট বন্ধু তার নিরামিষ থেকে আমিষ পরির্বতন কি করে আসলো তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছে।আন্নাফ জীবন সঙ্গীনি তার বিবাহিত অর্ধাঙ্গিনী মেঘলা অবদান”।

“হুম শীতল আরাভ সাথে বসে আছে ডক্টর আদ্রনান চৌধুরী আন্নাফ”।

-;আপনার উচিত নিজের খেয়াল রাখা। এত কেয়ার কিন্তু সচরাচর জনাব কাউকে করে না। “আপনাকে করেছে নিশ্চয় তার পিছনে কারন আছে।আজ আসি নিজের যত্ন নিবেন আল্লাহ হাফেজ।

“আরাভ আন্নাফ দিকে চোখ রাঙিয়ে বলো তোকে দেখে নিবো আমি।আজ তুই চৌধুরী বাড়িতে যা ভাবী তোর জন্য আইক্কা কলা বাশ নিয়ে দাড়িয়ে আছে।আন্নাফ মুচকি হাসলো তোর ভাবী কে আমি সামলে নিবো তুই বরং তোরটা সামলা আগে।দুই বন্ধু চোখে চোখে কত কথা বলে ফেলো শীতল বুঝতে পারলো না”।

—-
“আপনার জন্য কি আমার বাড়িতে খাবার কম পড়ে গেছিলো।খাবার খেয়ে নিলো তো এইরকম হতো না।
কথাটা বলে শীতল দিকে চাইল।শীতল ক্রোধের দৃষ্টিতে চাইল আরাভ দিকে।শীতল এভাবে চাওয়াটা আরাভ কে ভাবাচ্ছে আবার কি করলাম যার এমন ধানিলংকা হচ্ছে। আরাভ চুপ করে গম্ভীর হয়ে কিছু ভেবে উওর না পেয়ে নিচে চলে গেল খাবার আনতে।”

“আরাভ খাবার নিয়ে শীতলের সামনে বসে। ঠান্ডা গলায় বলল “উঠ খাবার খেয়ে নেও। ”

-;আমি খাব কি খাব না সেটা আপনাকে ভাবতে হবে না।

শীতল কথা শুনে আরাভ চমকে উঠলো।

-;কি হয়েছে তোমার এমন করছো কেনো?

-;আমি কি করব না করবো সেটা তোমাকে কেনো বলতে হবে? কে তুমি আমার?আমার ভাই হওয়,হওয় নাতো।আমার স্বামী হওয়,হওয় নাতো,তাহলে তোমার কাছে আমি আছি কি করতে অবৈধ সম্পক আর লিভ টুগেদার জন্য।

-;শীতললললল,ঠাসস।আরাভ শীতল কে থাপ্পড় মারল।শীতল থাপ্পড় সামলানোর আগেই আরাভ দুই কাঁধে হাত দিয়ে চেপে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো শীতল কে।কি সমস্যা তোর?তুই কি বলি আমি তোর সাথে লিভ টুগেদার আছি।

-;আরাভ কাঁধে জোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলে,

-;”তো কি বলবো আজ একজন বলেছে।কাল আরেকজন বলবে তারপরে হাজার লোক বলবে। আমি তোমার সাথে একই বাড়িতে একই ছাদে নিচে থাকছি কোনো সম্পকে টানে।একটা ছেলে একটা মেয়ে একই বাড়ি নিচে থাকে।তাদের মধ্যে লিভ টুগেদার সম্পক না থাকলে তাহলে কি সম্পক আছে”।

-; মিষ্টার আরাভ খান আপনার মান সম্মান নাই থাকতে পারে।কিন্তু আমার মানসম্মান আছে।আমি মির্জা বাড়ির মেয়ে, কোনো রাস্তায় মেয়ে আমি নই। আমার পরিবার আছে,বাবা আছে,ভাই আছে।তাহলে আমাকে এখানে আটকে রেখে কিসের প্রতিশোধ নিচ্ছেন আপনি?আপনার পরিবার নেই, মা নেই, বাবা নেই,ভাই নেই।সেজন্য আমাকে আমার বাবা, ভাই কাছ থেকে দূরে সরাতে চাইছেন।নিজের বাবা মা থাকলে কখনো এমন করতে পারতেন না”।

“আপনার আতো কোনো পরিবার আছে তো।নাকি আপনি শুধু মিথ্যে পরিচয়ে বড় হয়েছেন। কে বলতে পারে আপনার মায়ের পাপের ফসল আপনি।আপনাকে জম্ম দিয়ে রাস্তা ছেলে করে চলে গেছে নতুন ঘর….।শীতল পুরো কথা শেষ করার আগেই আবার ভারী হাতের থাপ্পড় পড়লো।”

“শীতল কথায় আরাভ ভিতরটা মরিচ মতো কামড়ে ধরলো।বুকটা জ্বলে উঠলো।পাশের ফুলদানিটাকে খুব জোরে আছাড় দিলো।কাঁচের ফুলদানিটা গুড়া গুড়া হয়ে গেলো।এ যে একটা অসয্য জন্তনা।শীতল তার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।তাকে অবৈধ বলেছে, তার মমতাময়ী মাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে।শীতল কে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো আরাভ।আরাভ এখানে থাকলে ভয়কংর কিছু করে ফেলবে তাই বের হয়ে গেলো।আরাভ ফ্রেশ ভেবেছিলো ভালোবাসার মানুষটা কে নিয়ে একসাথে খাবে।কাল থেকে আরাভ না খাওয়া। একটা মিশন ছিলো যেখানে জগম হয় মারাত্মকভাবে।এখন আরাভ কাছে মনে হচ্ছে ওহ বেচে ফিরে কেনো এলো। মরে গেলো তো পারত অন্তত শীতল আরাভ রাজ্য থেকে মুক্তি পেতো।”

চলবে……

মাথা প্রচণ্ড ব্যাথা করছে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।কি লিখেছি আমি নিজেই জানি না। লিখাগুলো বড্ড অগোছালো সবাই একটু কষ্ট করে বুঝে পড়েনিন।

ভুলত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here