King_in_the_city_of_Mafia পর্ব ৯

#King_in_the_city_of_Mafia
#Yanur_Akter_Eanya
#Part-9
“আপনার আতো কোনো পরিবার আছে তো।নাকি আপনি শুধু মিথ্যে পরিচয়ে বড় হয়েছেন। কে বলতে পারে আপনার মায়ের পাপের ফসল আপনি।আপনাকে জম্ম দিয়ে রাস্তা ছেলে করে চলে গেছে নতুন ঘর….।শীতল পুরো কথা শেষ করার আগেই আবার ভারী হাতের থাপ্পড় পড়লো।”

“শীতল কথায় আরাভ ভিতরটা মরিচ মতো কামড়ে ধরলো।বুকটা জ্বলে উঠলো।পাশের ফুলদানিটাকে খুব জোরে আছাড় দিলো।কাঁচের ফুলদানিটা গুড়া গুড়া হয়ে গেলো।এ যে একটা অসয্য জন্তনা।শীতল তার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।তাকে অবৈধ বলেছে, তার মমতাময়ী মাকে নিয়ে নোংরা কথা বলেছে।শীতল কে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো আরাভ।আরাভ এখানে থাকলে ভয়কংর কিছু করে ফেলবে তাই বের হয়ে গেলো।আরাভ ফ্রেশ ভেবেছিলো ভালোবাসার মানুষটা কে নিয়ে একসাথে খাবে।কাল থেকে আরাভ না খাওয়া। একটা মিশন ছিলো যেখানে জগম হয় মারাত্মকভাবে।এখন আরাভ কাছে মনে হচ্ছে ওহ বেচে ফিরে কেনো এলো। মরে গেলো তো পারত অন্তত শীতল আরাভ রাজ্য থেকে মুক্তি পেতো।”

——
-; Mr. Arham Mirza, your project has been very nice. You have been selected for the second project.

-; Thank you sir, I have been successful with all my work day and night. This time I will be successful in the second hour InshaAllah.

-; Okay then get to work I want this project we win.

-; Yes, sir!

“আরহাম নিজের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত।কাজের মাঝে কফি খাওয়ার স্বভাব রয়েছে।তাই নিজের কফি বানিয়ে নিয়ে আসার পথে কারো সাথে
ধাক্কা লাগায় হুবড়ি খেয়ে পড়ে গেলো”।

“আরহাম কফির মগটা দূরে পড়ে ভেঙ্গে কফিটা ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে”।

“আরহাম রেগে কিছু বলতে যাবে। তখন সামনে তাকিয়ে নিজেই এক ঢোক গিলো।কারণ তার সামনে জমরাজ দাড়িয়ে আছে।আরহাম ব্রুেস্টফ্রেন্ড
নীলিমা”।

-;”ওই আক্কেলআলী কুদ্দস আলীর বাপ,চোখের কি মাথা খাইচ্ছস।সামনে আস্ত একটা মানুষ আসছে সেটা চোখে পড়ে নাই।চোখ কি পকেটে নিয়ে হাটঁছ”।

“আমার জায়গায় সুন্দরী মীরা থাকলে না এতখনে তোর দুটো গাল থাপ্পড় মেড়ে লাল করে দিত।বেটা ফাজিল”।

“আমার এত সুন্দর ড্রেস নষ্ট করলি কেন।টাকা বের কর?এখুনি আমার ড্রেস কিনার জন্য টাকা দিবি।জানিস এটা কত মহল ঘুরে পছন্দ করে কিনে আজকেই পড়লাম। আর আজকেই কিনা তুই সব বরবাদ করে দিলি।তুই জানিস আজকে আমাকে জেন প্রোপজ করতে চেয়ে ছিলো।আমি কত সুন্দর একটু সাজুগুজু করলাম,হ্যা বলবো বলে। আর তুই কি করলি এটা ভ্যাভ্যা….আম্মু গোও তোমার মেয়ের আর বিয়ে হবে না”।

-;”চুপ একদম চুপ। আমি কি এগুলো ইচ্ছে করে করেছি।আমি তো জাস্ট কফিটা নিয়ে আসছিলাম তুই তো আসমান থেকে টপকে পড়লি।এতে আমার কি দোষ”?

“নীলিমা বাচ্চাদের মতো ঠোট উল্টে কাঁদছে।আরহাম নীলিমা কোমড় টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো”।

-;”এই একদম ঠোট উল্টাবি না তাহলে কামড়ে দিবো।আর কি বলি জেন তোকে প্রোপজ করবে? আর তুই নাচতে নাচতে একসেপ্ট করবি।তোর সাহস কি করে হয় জেন প্রপোজ একসেপ্ট করার।একদম জানে মেরে ফেলবো। ওই জেন নাম মাথা থেকে ডিলিট কর না হলে ফল ভালো হবেনা”।

“আরহাম নীলিমা কোমড় কামচে ধরায় নীলিমা চোখ দিয়ে পানি পরে গেলো।আমাকে জেন প্রোপজ করলে তোর কি যায় আসে!তুই তো আমাকে আর ভালোবাসিস না।তোর তো নতুন নতুন মেয়ে গার্লফ্রেন্ড আছে।আমি কি তখন তোকে কিছু বলি তাহলে আমার ব্যাপারে নাক গলাস কেন”?(কথাগুলো আখিঁ ভরা নয়ন জল নিয়ে অভিমানী গলায় বলো নীলিমা।)লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।

-;”নিলীমা কথায় আরহাম নীলিমাকে ছেড়ে দিয়ে দুই হাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে চলে গেলো।আর নীলিমা এক বুক আহাকার নিয়ে তাকিয়ে আছে আরহামের চলে যাওয়া প্রানে”।

“আরহাম নিজের কেবিনে এসে চেয়ারে বসে পড়ে।টেবিল ওপর দুই হাত ভর দিয়ে নিজের কপাল হাত বুলালো।আরহাম নিলীমাকে ভালোবাসে অনেক আগে থেকেই। কিন্তু মুখ ফুটে ভালোবাসি কথা প্রিয় মানুষটাকে বলতে পারেনি আরহাম।বলবে কি করে নিজের বাবার জন্য এত দূরে এসে পড়ে আছে।যাতে একটু ভালো থাকতে পারে।বাট আরহাম কপাল খারাপ।আরমান মির্জা আরহাম কখন কার সাথে মিশে, কোথায় যায় সব নজর বন্দি করে দিয়েছে। এরজন্য আরহাম ভয় পায়।তার বড় ভাইয়ের মতো যদি নীলিমা কে হারিয়ে ফেলে।নীলিমা ক্ষতি হোক এটা আরহাম চায় না।আরহাম নীলিমা কে দূর থেকেই ভালোবেসে যাবে।নীলিমা মৃত্যু আরহাম পারবে না মেনে নিতে। তার বাবার জঘন্য খেলায় নীলিমা কে জড়াতে দিবে না।তারজন্য নিজেকে এত দূরে সরিয়ে রাখা।আরহাম কষ্ট হলে মুখ বুজে মেনে নেওয়া যারা কিছু করার ছিলো না”!

“আরহাম অফিস কাজ শেষ করে বের হতে নিলে শুনতে পেলো শত শত করতালির আওয়াজ।কি হচ্ছে এগিয়ে দেখতে গিয়ে চমকে গেলো।এ যেন এক প্রেমিক রিদয় ক্ষত বিক্ষত লাশ। জেন সবার সামনে হাটু গেড়ে ডায়মন্ড রিং দিয়ে প্রপোজ করছে আরহাম ভালোবাসার মানুষটা কে।নীলিমা আরহাম কে দেখে সবার সামনে হ্যা বলে হাত বাড়িয়ে দিলো।জেন খুশী হয়ে রিং টা পড়িয়ে হাত কিস করে দিলো।”

“আরহাম আর পারল না সেখানে থাকতে চলে গেলো।বাসায় এসে শান্তি পাচ্ছে না শুধু ভেতরে ভেতরে জ্বলে পুড়ে মরছে।আরহাম ভাবতে পারছে না তার নীলিমা তার নেই।সে এখন অন্য কারো,না এ হতে পারেনা।আরহাম নিজের দগ্ধ রিদয়ে ঠাণ্ডা করতে মদে নেশায় ডুব দিয়ে বসলো।মদ পারবে আরহাম কে এখন ঠাণ্ডা করতে”।

——
-;”ভাইয়া শুনো আমার বন্ধু রকি আজকে হাগু করে হুচু দেয়নি, টিস্যু দিয়ে কাম চালিয়ে নিয়েছে।আমি সেটা দেখে ফেলছি”।

-;”আমি যে দেখেছি সেটা রকি কে বলিনি।পরে ব্ল্যাকমেইল করতে সুবিধা হবে।রকি আমাদের ক্লাস সবাই কে জ্বালায় তাই টাইট দিলাম”।

-;কি করছো তুমি?

-;”কি আর করবো পিছনে বসে ওর শার্টে লিখে দিয়েছি। আমি এক আনার কানা,দুই আনার নানা,তিন আনার ছানা, তিন টাকা দিলে চা খাবো পাচটাকে দিলে ইস্যু করতে যাবো।টাকা না দিলে টিস্যু দিয়ে কাজ চালাবো”।

“সাহেল আরো কিছু বলার আগেই নিচ থেকে মা ডাকল জুম্মা নামাজ পড়তে চাওয়ার জন্য।আরাভ রেডি হয়ে বসে আছে।সাহেল রেডি হওয়া তো দূর।এখন গোসল শেষ করতে পারেনি।আরাভ ডেকে উঠলো।সাহেল আমি চলাম নামাজ দেড়ি হচ্ছে। আজকে তোর জন্য আমার নামাজ মিস যাবে”।

“সাহেল বাথটবে বসে সাবান পানির মধ্যে বেলুন ফুলাচ্ছিলো।আরাভ চলে যাওয়া কথা শুনে তাড়াহুড়ো করে ফ্রেশ হয়ে বের হয়।পান্জাবী ছাদে ছিলো। সাহেল দৌড়ে ছাদে যায়।আর পান্জাবী গায়ে দিতে দিতে আরাভ পিছু হাটে”।

“রাস্তা মানুষ সব হা করে দেখছে।সাহেল কপাল কুঁচকে আরাভ কে জিজ্ঞাসা করলো।ভাইয়া আজকে কি আমাকে বেশি হ্যান্ডশাম লাগছে।না মানে জোয়ান থেকে বুড়ি তুত থুরী পর্যন্ত তাকিয়ে আছে।আরাভ সাহেল কথা শুনে পিছুনে তাকালো।আরাভ এতখন খেয়াল করেনি।এখন খেয়াল করতেই চোখ কপালে উঠে গেলো”!

“কারণ সাহেল তাড়াহুড়োয় খেয়াল করেনি পান্জাবী জায়াগায় মায়ের ছাদে দেওয়া লাল পেটিকোট পড়ে চলে আসছে।আরাভ সাহেল দিকে হা করে তাকাতে দেখে। সাহেল নিজের দিকে তাকিয়ে এক গগনবিদারীত চিতকার দিলো।রাস্তা পাশে বড় আম গাছের আড়ালে লুকিয়ে বলো আহারে গেলো গেলো আমার মান সম্মানন সব গেলো বজ্জাত গুলো আমার ইজ্জত হরণ করে নিলো।ভাইয়া আমার ইজ্জত এখন তোমার হাতে।ভাইয়ের ইজ্জত এফাজাত করো”।

“আরাভ সেইদিন ভাইয়ের ভুল জন্য মুখ টিপে হেসে ছিলো।ভাইটা বড্ড পাজ্জি।এত দুষ্টু ছিলো যে কেউ ভুলতে চাইলে ও ভুলতে পারতো না।আরেকদিন স্কুল ছুটির পর দৌড়ে পাশায় ঢুকতে গিয়ে সোফা সাথে বাড়ি খেয়ে দুম করে পড়ে গেলো।”লেখনীতে ইয়ানুর আক্তার ইনায়া।

-;”সাহেল রেগে সোফাটাকে লাধি মেরে বলো। ব্যাথা দেওয়ার জায়গায় পাস না তোরা।সব বাদ দিয়ে আমার ইয়েটাকে ব্যাথা দিস।ইস আমার ইয়েটা ওপর ঝড়, বন্যা,সিডর আসে কেন? হারিকেন,নার্গিস, বুলবুল, ফণি আসলে কি খুব ক্ষতি হতো”?

——–
“আরাভ, সাহেল আর বাবা মা কে নিয়ে সুখের দিন কাটাচ্ছিল।হঠ্যাৎ একদিন সব লন্ডভন্ড হয়ে গেলো।সেই লণ্ডভণ্ড জন্য আজ আরাভ বড্ড একা।সব কিছুতো ছিল।আজ তার জীবন অন্ধকারে ভরপুর। আরাভ মা থেকে ওহ মা নেই ভাই থেকো তো ভাই নেই,আর বাবা সেতো একটা অমানুষ পরিনত হয়েছে”।

“সুখের সংসার আজ ভেঙ্গে তছনছ। আরাভ জীবনে
শীতল কি নিয়ে বাচার আশা করেছিলো।কিন্তু শীতল একে একে সবটা শেষ করে দিচ্ছে।ভালোবাসা হয়ত আরাভ ভাগ্যে নেই।তাই আরাভ যা সিন্ধান্ত নেওয়া নিয়ে নিয়েছে।মুক্তি দিবে নিজের রাজ্য থেকে”।

চলবে…..

শীতল নামটা নিয়ে অনেকে বলেছেন নামটা পাল্টে দিতে।কিন্তু আপনার যে নামগুলল সিলেক্ট করেছেন
সেগুলো অলরেডি বিভিন্ন রাইটার ইউস করেছে।আমি দিলে হয়তো কপিবাজ শব্দ শুনতে হতে পারে।যেটা আমি চাই না।তাই প্লিজ নামটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আমাকে আমার মতো লিখতে দিন।আর রহস্যজট বলছেন তাড়াতাড়ি খুলতে।আমি তো রহস্যজট এখনো কিছু করিনি। সামনে হবে রহস্য বেশি।
পরর্বতীর পর্বে ধামাকা আছে।

ধন্যবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here