Love Treatment পর্ব -১৯+২০

#Love_Treatment
Part-19
Writer- Tanzin Islam Ishika

এইভাবে কেটে যায় ৬ মাস,,, এই ৬ মাসে নিশম ও তান্নাজের ভালবাসা যেন গভীর থেকেও গভীর হয়েছে,,, দুইজন দুইজনকে ছাড়া যেন অচল,,, তান্নাজ নিশমকে নিজের থেকেও বেশি ভালবাসে,,, যা বলে প্রকাশ করা দায়,,, তান্নাজ এখন নিশমকে তুমি বলে ডাকে,,আর নিশম,, সে তহ আগে থেকেই তান্নাজকে ভালবেসেছে,, কিন্তু এখন যেন তান্নাজকে ছাড়া এক মূহুর্তও সে কল্পনা করতে পারে না,,, প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় কল দেওয়া,,, রাত জেগে কথা বলা,,, তান্নাজ রাগ করলে তার বাসার সামনে দারিয়ে থাকা,,,যতখুন না তার ভাংগে তার বাসার সামনে দারিয়ে থাকা,, যেন ওর অভ্যাসে পরিনত হয়েছে,,, এইভাবেই কাটছে তাদের দিন,,,

সেইদিন ছিল নিশমের বার্থডে,,সে নিশমকে সাপ্রাইস দেওয়ার জন্য একটা পার্টি এরেঞ্জ করে,, রুহানের সাথে ভাল সম্পর্ক হওয়ায় সে রুহানের মাধ্যমে নিশমের সব ফ্রেন্ডসদের ইনভাইট করে,,, আর রুহান কে বলে দেয় যাতে কেউ না জানে সে এই পার্টিটা এরেঞ্জ করেছে,,, সে ওইখানে গিয়ে সাপ্রাইস টা দিবে,,, রুহান ও তার কথা মত সব প্লেন করে,, সবাই জানে রুহান পার্টি টা থ্রো করেছে,,,এই প্লেনের জন্য তান্নাজ নিজের ফোন অফ করে রেখে দেয়,, আর নিশমকে উইস করে না,, নিশম এইদিকে আশা নিয়ে বসে আছে যে কখন তান্নাজ তাকে ফোন বা মেসেজ দিয়ে উইস করবে,, কিন্তু তান্নাজ তা কিছুই করে নি বলে নিসগমের মন খারাপ হয়ে যায়,,এইদিকে তান্নাজ নিশমের জন্য একটা নীল শাড়ি পরে,, আর হাত ভর্তি নীল রেশমী চুড়ি,,, চোখে টানা কাজল,, ঠোঁটে হাল্কা পিংংক কালারের লিপস্টিক, , কানে বড় বড় দুল,,, আর যেন তান্নাজকে নীল পরি লাগছে,,, তান্নাজ নিজে দেখে বেরিয়ে পরে,, তারপর একটা দোকান থেকে একটা কেক কিনে নেয়,,, আজ আবহাওয়া টা তেমন ভাল না,,, ঝড় আসার পূর্ব ভাস,,, কিন্তু কে জানতো যে এই ঝড় এসে সব কিছু উলোট পালোট করে দিয়ে যাবে,,, যা নাকি এসেছে তান্নাজ আর নিশমের জীবন পুরো উল্ট পাল্ট করে দিতে,,,



এইদিকে,,,
রুহান অনেক আগেই নিশমকে তান্নাজের নির্ধারিত রেস্টুরেন্টে ছাদে নিয়ে আসে,,, ছাদটা অনেক সুন্দর করে সাজানো,, ছাদের উপর চাচের দেয়াল আছে,, মানে বৃষ্টি পরলেও তারা ভিজবে না,,, সেখানে গিয়ে দেখে সবাই আছে,,, নিশনের একটু মন খারাপ হলো যে তান্নাজ তাকে উইস করে নি,,, আর যেখানে তার ফ্রেন্ডস রা পার্টি দিচ্ছে,,,কিন্তু সে এইটা ভেবে নিজেকে শান্ত না দেয় যে হয়তো সে জানে না তাই উইস করেনি,, জানলে ঠিকই উইস করবে,,, নিশম সবার সাথে গিয়ে বসে,,, সবাই তাকে উইস করে,, মেনেজার এসে বলে কিছু প্রবলেম হইসে তা যদি কেউ এসে দেখতো,, তাই রুহান মেনেজারের সাথে যায়,,, এইদিকে রায়ান বলে উঠে,,

রায়ানঃ কিরে মামা গেম তহ ভালই জমিয়ে ফেলছো,,,

নিশমঃ মানে,,

রায়ানঃ দেখ দেখ কেমন ইনোসেন্ট সাজছে,,

রাহুলঃ হা ঠিকই,,, আরেহ বেটা এখন বল গেম কবে শেষ করবি,,,

নিশমঃ কিসের গেমের কথা বলছিস তোরা,,,

রাহুলঃ আরেহ বাহ এত তারাতারি ভুলে গেলি,,, আমাদের মধ্যে কি কথা হয়েছিল,,,তুই রায়ানের অপমানের প্রতিশোধ নিবি,, তার জন্য তুই তান্নাজের সাথে ভালবাসার নাটক করবি,,৷ আর তান্নাজকে নিজের ভালবাসার জ্বালে ফাসিয়ে ওর মন নিয়ে খেলে দেন মন ভাংগবি,,,

নিশমঃ হা তা ঠিক কিন্তু,,,

নিশমকে কথা বলতে না দিয়ে,,
রায়ানঃ আরেহ রাখ তোর কিন্তু,,,,, আর তুই তহ আর আমার প্রতিশোধ নেস নি,,, নিজের প্রতিশোধ টাই নিলি,,, ও তোকে সবার সামনে যে থাপ্পর মেড়েছিল সেটার প্রতিশোধ,,

নিয়ানঃ তা নয় তহ কি,,, এতটুকু মেয়ের সাহসই না কত,, নিশমকে অপমান করার সাহস হয় কিভাবে,,, বাট যাই বলোস মিতু কিন্তু নিজের অজান্তে তান্নাজকে পটাতে তোকে অনেক হেল্প করসে,,,

রায়ানঃ হা একদম ঠিক,,ভালই তহ ফাসিয়েছিস নিজের ভালবাসার জ্বালে,,, ওই তহ এখন তোর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে,,, এখনই ঠিক সময় ওকে ডিচ করার,, আর নিজের প্রতিশোধটা শেষ কর,,,

নিয়ানঃ আমি বলি একবার না হয় ওকে বেডে নিয়ে যা,,, তারপর মজা নিয়ে না হয় ছুড়ে ফেলে দিস,,,
এই কথা শুনে নিশমের যেন পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায়,,, যেই না নিশম উঠে গিয়ে নিয়ানকে মারতে যাবে,, এখন কিছু পরার শব্দে সবাই পিছনে ফিরে তাকায়,,, নিশম তাকিয়ে যেন ৪২০ ভোল্টের শোক খায়,,,
সবাই দেখে তান্নাজ দারিয়ে আছে আর নিচে কেক পরে আছে,,,আর তান্নাজ কান্না করছে,, নিশম তহ তান্নাজকে দেখে ফ্রিসড হয়ে গেছে,,, ওর মাথায় এখন একটাই কথা চলছে,,, তান্নাজ কি তাহলে সব শুনে নিল,,, নিশম তান্নাজের দিকে যাচ্ছে,,, নিশম তান্নাজ সামনে এসে যেই না ওর হাত টা ধরতে যাবে ঠিক তখনই তান্নাজ সজোরে নিশমকে থাপ্পর মারে,,আর বলতে থাকে,,,

তান্নাজঃ এই একটা থাপ্পরের জন্য আমার মন নিয়ে খেললি,, এত নাটক শুধু এই থাপ্পড়টার জন্য,,, আরেহ প্রতিশোধ যখন নিতেই চেয়েছিলে তাহলে অন্যভাবে নিতি,,, কেন আমার মন নিয়ে খেলতি,,, তোকে একটা থাপ্পর মেরেছিলাম তুই আমাকে তার জায়গায় ১০০ শা মারতি,,, তোকে আমার মন নিয়ে খেলার অধিকার কে দিল,,, বল কে দিল,,, কেন করলি আমার কেন,,, আমি কি না ভেবেছিলাম তোর বার্থডে তে তোকে সাপ্রাইস দিব,,, বাট আমি নিজেই শোকড খেলাম,,,

বলেই তান্নাজ নিচে বসে পরে,,, আর কান্না করতে থাকে,, তান্নাজকে এভাবে দেখে নিশমের যেন বুক ফেটে জানে,, নিশমও তান্নাজের সামনে হাটু গেড়ে বসে,,,আর বলে,

নিশমঃ জান আমার কথা টা শুন,,,

তান্নাজঃ কি শুনবো হা,,, কি শুনবো যে তুমি কিভাবে আমাকে তোমার প্রেমের জ্বালে ফাসিয়েছো,,নাকি এইটা শুনবো কিভাবে তুমি আমার ফ্রেন্ডের সাথে মিলে এমন করলে,,নাকি এইটা শুনবো যে তুমি কিভাবে তোমার ফ্রেন্ডস দের সাথে মিলে প্লেন করেছো আমাকে ভেংগে চুড়মার করার জন্য,,, তাহলে তুমি শুনে রাখো তুমি পেরে গিয়েছো নিশম তুমি পেরে গিয়েছো,,, আমাকে তুমি চুড়মার করে ভেংগে দিয়েছ,,, আমার হৃদয়কে ভেংগে গুড়ো গুড়ো করে ফেলছো,,, আমার মনকে নিস্বতেজ করে দিয়েছ,,, জীবন্ত লাশ করে দিয়েছ আমাকে,,, আমার বিশ্বাস ভেংগে দিয়েছ তুমি,,,, তুমি সফল হয়েছ নিশম তুমি সফল হয়েছ,,আর কি চাই বলো আর কি চাই,,,

নিশমঃ জান আমার কথাটা শুন,,, আমি সত্যি তোমায় ভালবা,,,

তান্নাজ আবার নিশমের গালে চড় বসিয়ে দেয়,,,

তান্নাজঃ তোমার এই নোংরা মুখে ভালবাসি কথা টা মানায় না,,, আর কি বাকি আছে,,, যে এখন ও নাটক টা করছো,,, ওওও এখন ও তহ আমাকে বেডে নিতে পারো নি তাই না,,, তাই এখন ও নাটক করছো তাই তহ,, আচ্ছা চল,, কার বাসা খালি আছে বল,, কোথায় নিয়ে আমাকে ভোগ,,,
আর বলতে নিশম নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে তান্নাজের গালে একটা থাপ্পড় মারে,,,, আর ওর দুই বাহু চেপে বলে,,,

নিশমঃ একদম চুপ,,, আর একটাও কথা বলবি না,,, কি মনে করিস নিজেকে হা,,, তুই যা বলবি তাই হবে,,, আরেহ ভালবাসি তোকে,,, অনেক বেশি ভালবাসি,,, হা মানছি প্রথমে আমি তোর থেকে প্রতিশোধ নিতে চাইছিলাম,,, কিন্তু বিশ্বাস কর,, নিজের অজানতে তোকে অনেক বেশি ভাল বেসে ফেলেছি,,,

তান্নাজঃ তোমাকে আর বিশ্বাস,,, আরেহ তোমার থেকে তহ সাপকে বিশ্বাস করা ভাল,,,আমি তহ এখন নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারব না,,, আমার ভিতরে বিশ্বাস নামক জিনিসটা তহ তুমি পুড়িয়ে দিয়েছ,, কেন করলে এমন নিশম কেন,,, কি দোষ ছিল আমার,,, এমন কেন করলে,,,

নিশমঃ জান আমি জানি আমি অনেক বড় ভুল করসি,, কিন্তু আমি তোমাকে হার্ট করতে চাই নি,, বিশ্বাস কর,,,

তান্নাজঃ বাসসস,, অনেক হইসে,, ছাড় আমাকে,,, আমাকে ধরার সাহস হয় কিভাবে তোমার,,,
তারপর তান্নাজ নিজেকে ছারিয়ে চলে যায়,,, নিশম ও তান্নাজের পিছে যেতে চাইলে রুহান এসে ওকে থামায়,,,,

রুহানঃ যেতে দে ওকে,, এইটাই হওয়ার কথা ছিল,, আমি তোকে আগেই বলেছিলাম,, এখন ওকে একা থাকতে দে,,,

নিশমঃ কিভাবে দেই বল,, ওকে যে আমি সত্যি অনেক বেশি ভালবাসি,,,

রায়ানঃ কি বলছিস এইসব,,, তুই ওই মেয়েকে ভালবাসিস,,,

নিশমঃ হা নিজের থেকেও বেশি ভালবাসি,,,

রাহুলঃ আচ্ছা বুঝলাম বাট তান্নাজ এইখানে এলো কিভাবে,,

রুহানঃ এইসব কিছুই তান্নাজই করেছে,, আর তদের সাবাইকেও ওই ইনভাইট করতে বলসে,,, ও নিশমকে সাপ্রাইস দিতে চেয়েছিল,,,

নিয়ানঃ আরেহ ইয়ার বাদ দে,,, এক গেসে অন্য আসবে,,
নিশম আর সহ্য করতে না পেরে নিয়ানকে এবড়ো থেবড়ো মারতে শুরু করে,,,

নিশমঃ তোর কাছে কি আমার ভালবাসা এতই থুকনো মনে হয়,,, আজ তদের জন্য তান্নাজ আমার থেকে দুরে,, তদের আমি কোন দিন ক্ষমা করবো না,,, এই বলে নিশম নিয়ানকে ছেড়ে দিয়ে বাসায় চলে আসে,,,

।#Love_Treatment
Part- 20
Writer- Tanzin Islam Ishika

৫ বছর পর,,,
নিশম নিজের বারান্দায় বসে আছে,, সে আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,,, আর হাতে একটা গিটার,,, সে গিটারে শুর ধরলো,,,

এত বড় পৃথিবীতে,,
একা কি থাকা যায়,,
পাগল হয়ে খুজিছি আমি,,,
কোথায়,,
তুমি কোথায়,

এত বড় পৃথিবীতে,,
একা কি থাকা যায়,,
পাগল হয়ে খুজিছি আমি,,,
কোথায়,,
তুমি কোথায়,

চলেই যদি যাবে বলে,, ভালবাসতে কেন শিখালে,,
ভেংগেই দিবে স্বপ্ন যদি,,
তবে তা দেখালে,,,

যেই তুমিটাই করেছিলে প্রেমের সুচনা,,,
সেই তুমিটাই করেছো তার কবর রচনা,,
যেই তুমিটাই করেছিলে প্রেমের সুচনা,,,
সেই তুমিটাই করেছো তার কবর রচনা,,
থাকতে যদি নাই বা পারো,,
কেন পাশে দাড়ালে,,
কেন দাড়ালে,,
ভেংগেই দেবে স্বপ্ন যদি,,
তবে তা দেখালে,,,


নিজেকেই ভেবেছো শুধু শুধু পরের মত,,,
তোমারাই অভাব করেছে ক্ষত বিক্ষত,,,
নিজেকেই ভেবেছো শুধু শুধু পরের মত,,,
তোমারাই অভাব করেছে ক্ষত বিক্ষত,,,
থাকতে যদি নাই বা পারো,,
কেন পাশে দাড়ালে,,
কেন দাড়ালে,,
ভেংগেই দেবে স্বপ্ন যদি,,
তবে তা দেখালে,,,

গান গাওয়া শেষে নিশমের চোখ দিয়ে দুই ফোটা নোনা জল গরিয়ে পরে,, নিশম আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,,

নিশমঃ এই শহরে তুমি যেখানেই থাক না কেন আমি তোমাকে খুজে বের করবই,,,
তারপর কি হবে জানি না,,
আমি আদো তোমার মুখ মুখি হতে পারব কি না সেটাও জানি না,,,
শুধু এতটুকু জানি,, যাকে ৫ টি বছর ধরে দেখি না,, তাকে আমি একবার হলেও দেখব প্রান ভরে,,,
কি বুঝতে পারছেন না তহ,,, তাহলে আসুন দেখে আসি সেইদিন কি হয়েছিল,,,
Flasback,,,
সেই দিন নিশম বাসায় গিয়ে তান্নাজকে লাগাতার ফোন দেয়,, কিন্তু তার ফোন অফ বলে,, নিশম মিতুর সাথেও যোগাযোগ করে কিন্তু কোন লাভ হয় না,,, তান্নাজের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে নিশম যেন পাগল হয়ে গিয়েছিল,,, নিশম ঠিক করে কাল ভারসিটি গিয়ে ওর সাথে কথা বলবে,,, কিন্তু তান্নাজ পরেরদিন ভারসিটি আসেনি,,, তাই সে না পেরে মিতুকে তান্নাজের বাসায় পাঠায়,, তারপর মিতু নিশমকে জানায় যে তান্নাজ আগের রাতেই তার খালার বাসায় চলে গেছে,, আর ওইখান থেকেই পড়ালেখা করবে,,, নিশম যখন জানতে চাইলো তার খালার বাসা কই তখন মিতু জানালো যে তান্নাজ তা বাবা মাকে নিজের কসোম দিয়ে গিয়েছে তারা জেন কাউকে না বলে যে তার খালার বাসা কথায়,, যদি তারা বলে তাহলে নাকি তান্নাজের মরা মুখ দেখবে,, তাই তার বাবা মা কিছু বলে নেই,,, আর যেহেতু ওই জানে মাআমি আপনার পক্ষে তাই ওই সবাইকে আগেই বলে রাখসে যে কেউ জাতে আমাকে না জানায়,, নিশম তখন প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিল,,, তান্নাজকে সে অনেক খুজেছে,, কিন্তু পায়নি,, তান্নাজ দুরে যাওয়ার পর নিশম বুঝেছে যে তান্নাজ কে কতটা ভালবাসে, তান্নাজের শোকে যে ড্রিপ্রেসনে চলে যায়,,, প্রায় ২ বছর সাইকেটট্রিসরা মিলে তার ট্রিটমেন্ট করে,, সে সুস্থ হলেও তার মনের মধ্যে তান্নাজ রয়েই যায়,,, সেইদিনের পর থেকে রুহান বাদে সব ফ্রেন্ডসদের সাথে নিশম তার ফ্রেন্ডসিপ ভেংগে ফেলে,,রুহান ওর সাথে সব সময় ছিল,,, ওর সামলিয়েছে ওই,, তার মধ্যে আরও ২ টি বছর কেটে যায়,,, নিশম পড়ালেখা শেষ করে বাবার কোম্পানি তে জয়েন করে,,, তার মধ্যেই তার বাবা মারা যায়,, আবার নিশম ভেংগে পরে,, কিন্তু তখন মা আর বোনের দিকে চেয়ে নিজেকে সামলে নেয়,, তারপর সে পরিবারে হাল ধরে নেয়,,, বাবার মেইন অফিস ছিল ঢাকা তে,, তাই নিশমও সেইখানেই বস হিসাবে যাবে বলে ডিসাইড করে,,, নিশম এত দিন খুলনার অফিস দেখছিল আর তার বাবা ঢাকার,, নিশম খুলনার কোম্পানিটা রুহানকে বুঝিয়ে দেয়,,, আর নিজে ঢাকা আসে,,, ,নিশম তখন বারান্দায় বসে আছিল,,তখন মিতু ফোন দেয় আর জানায় তান্নাজ ঢাকাতেই আছে,,তার কাজিন নাকি তান্নাজকে ঢাকায় দেখেছে,,, এর পর যা হলো তা তহ আপনারা যানেন এই,, নিশম ঢাকায় একাই থাকে,,, তার এখন একটাই কাজ যেমনেই হক তান্নাজকে সে খুজে বের করবেই,,, নিশম এখন আগের মত নেই,,, সব সময় রাগি ভাব যেন মুখে লেগেই থাকে,, অনেক বদমেজাজি আর রাগি হয়ে গেছে,,,আর কথা যেন করলার চেয়েও তিতা,,, হাসি খুব কমেই মুখে ফুটে,,
এখন আসি মেইন গল্পে,,,


আজ নিশমের ফাস্ট ডে অফিসে,,, তাই সে আজকে একটা হোয়াইট শার্ট উপরে ব্লু ব্লেজার,,, সাথে ব্লু পেন্ট পরে,, চুল গুলো স্পাইক করা,, হাতে ওয়াচ,, তারপর নিশম চলে যায় অফিসের উদ্দেশ্যে,, আজও আকাশের অবস্থা ভাল না,,, আজকেও যেন আবার ঝড় আসবে,, আচ্ছা এইবারের ঝড় কি সব ঠিক করে দিবে নাকি সব আগের চেয়েও অগোছালো করে দিবে,,,অফিসে পৌছে সামনে যেতেই সবাই তাকে বরন করে নেয়,,, সে তার নিজের রুমে গিয়ে বসে,,, তারপর মেনেজারকে নিজের রুমে ডাকে,,, তারপর জিজ্ঞাসা করে,,,

নিশমঃ হোয়ার ইজ মাই পিএ,,,

মেনেজারঃ সি ইজ অন দা ওয়ে সার,,,

নিশমঃ হোয়াট দা হেল,,, এইটা অফিস নাকি বাসা,,, যে যখন ইচ্ছা তখন আসবে,,,

মেনেজারঃ সরি সার,,, বাট সার সি ইজ ভেরি সিন্সিয়ার,, ও কখনই এমন করে না,,,

নিশমঃ আপনাকে কি আমি তার পক্ষে কথা বলতে বলসি,,, আর এইটা কি আব্বুর পুরানো পিএ,,

মেনেজারঃ জি সার,,, প্রায় ২ বছর ধরে এইখানে কাজ করছে,,, আপনার বাবার খুব প্রিয় ছিল,,

নিশমঃ প্রিয় মাই ফুট,, বাবা তহ ভাল মানুষ ছিলেন তাই যাকে না তাকে প্রিয় বানিয়ে ফেলেছে,,, আচ্ছা যাই হক সে যখন আসে তাকে আমার রুমে পাঠিয়ে দিয়েন,,,ইউ মে কেন গো নাও,,

মেনেজারঃ জি সার,,,

এই বলে সে চলে গেল,,, প্রায় ১৫ মিনিট পর একটা মেয়ে অফিসে আসলো,, তাকে দেখেই মেনেজার বলে উঠে,,

মেনেজারঃ তোমার তহ মনে হয় আজকে চাকরি গেল,,, কত করে বললাম তারাতারি এসো,, আজকে নিউ বস আসবে,,, তাও আজকে লেট করলে,,,

মেয়েটিঃ সরি আংকেল,,, আসলে রাস্তায় অনেক জেম ছিল,,, কি করবো বলেন,,

মেনেজারঃ হুম আমাকে বুঝালে লাভ হবে,, যাও সারের রুমে যাও,,, সার তহ রেগে মেগে ফায়ার,,, দেখ কোন ভাবে চাকরি টা বাচাতে পারো কিনা,,,

মেয়েটিঃ উফফ আংকেল,,, তাকে বলে দিব যে একটা সাদা বিলাই আমার রাস্তা কাটছে তাই দেরি হয়ে গেসে,,,

মেনেজারঃ তুমি না আর শুধরাবে না,,, সাদা বিলাই কাটলে বলে দেরি হয়,, পাগলি একটা,, এখন যাও ভিতরে যাও,,,

তারপর মেয়েটি নিশমের কেবিনের সামনে এসে দারিয়ে নিচু স্বরে বলে,,,

মেয়েটিঃ মে আই কাম ইন সার,,

নিশম পিছনের দিকে ঘুরে ছিল,,, আর একটা ফাইল দেখছিল,,, কাওরো কন্ঠ ভেসে আস্তেই যেন মনে হলো চিরচেনা সেই কন্ঠটি,,, কিন্তু মনের ভুল মনে করে সে উত্তর দিল,,

নিশমঃ ইয়েস কাম ইন,,,

মেয়েটি ধীর পায়ে রুমে ঢুকে,,, তারপর দরজা লাগিয়ে মাথা নিচু করে দারায়,,,

নিশমঃ সো মিস পিএ,,, আপনি আজকে আপনি প্রায় ২০ মিনিট লেট,, সো শাস্তি হিসাবে,,,
মেয়েটি আর কিছু বলতে না দিয়ে বলতে থাকে,,

মেয়েটিঃ আই এম রেইলি সরি সার,,, আসলে রাস্তায় অনেক জেম ছিল তাই আসতে লেট হয়ে গিয়েছে,, আর কখনো এমন হবে না সার,, প্লিজ প্লিজ প্লিজ আমাকে চাকরি থেকে বের করবেন না,,, প্লিজ প্লিজ প্লিজ,,,
মেয়েটি চোখ বন্ধ করে এইসব বলে ফেলে,,, নিশম মেয়েটি কথা শুনে পিছনে ঘুরে তাকিয়ে যেন আকাশ থেকে পরলো,,, সে কি সত্যি দেখছে নাকি কল্পনা,,, যাকে সেই ৫ টি বছর ধরে খুজে বেরাচ্ছে সে নাকি সামনে দারিয়ে আছে,,, যার জন্য সে রোজ তিলে তিলে মরে সে তার সামনে দারিয়ে আছে,,, হা সামনে থাকা মেয়েটি আর কেউ না,,, তান্নাজ,,,
নিশম যেন তার পুরো দুনিয়া খুজে পেয়ে গেছে,,, সে তার তান্নাজকে খুজে পেয়েছে,,, এইদিকে তান্নাজ কোন সারাশব্দ না পেয়ে মিটিমিটি করে চোখ খুলে,, সে সামনে তাকিয়ে দেখে যা দেখলো তাতে সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না,,, যাকে সে ৫ বছর আগে নিজের লাইফ থেকে মুছে ফেলেছি,,, যাকে সে তার হৃদয়ের ঘরে চাপা দিয়ে চলে এসেছিল,,, যাকে সে তার তার স্মৃতি থেকে মুছে ফেলেছিল,, সে আজ তার সামনে দারিয়ে আছে,, তাকে দেখে যেন সেই পুরনো ক্ষত আবার জেগে উঠেছে,,, তান্নাজের মনের মধ্যে যেন তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে,,,
নিশম খুশির আবেসে তান্নাজকে গিয়ে জরিয়ে ধরে,,, আর বলতে থাকে,,

নিশমঃ কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে জান আমাকে ফেলে,,, জান তোমায় কোথায় কোথায় খুজে নি আমি,,, তুমি কেন ছেড়ে চলে আসলে আমাকে ফেলে,,, আর এসেছো তহ এসেছো,,, নিজের কাছে আসার সব রাস্তা বন্ধ করে এসেছো,, কেন করলে এমন,,,
তান্নাজ নিশমকে জরিয়ে ধরতে গিয়েও থেকে গেল তারপর তান্নাজ নিশমকে ঢাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়,, আচমকা এমন ঢাক্কা পাওয়ায় নিশম কিছুটা পিছিয়ে পরে,,,আর অসহায় দৃষ্টিতে তাকায় তান্নাজের দিকে,,

তান্নাজঃ প্লিজ আপনি দুরে জান,,, আমার কাছে আসবেন না,,, দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার,,, আর আপনার সাথে আমার কোন পরিচয় বা কিছু ছিল না,, সো অযথা এইসব ফাল্টু কথা বলে টাইম নষ্ট করবেন না,,, ভুলে জেয়েন না আপনি আমার বস আর আমি আপনার সাধারাণ স্টাফ,,,

নিশমঃ আমি জানি তুমি আমার থেকে রেগে আছো তাই এইসব বলছো,,, আমি জানি ভুল করেছি তার শাস্তিও পেয়েছি তোমাকে হারিয়ে,,, কিন্তু বিশ্বাস কর আমি সত্যি তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি,,, তোমাকে হারিয়ে যেন আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম,,, প্লিজ জান ফিরে আসো,,, আই প্রোমিস আর কোন দিন তোমাকে কষ্ট দিব না,,,

তান্নাজঃ আবার কেন আছেন আমার লাইফে,,, কি আর বাকি আসে ধ্বংস করার,,, আবার কিসের প্রতিশোধ নিতে আসছেন আপনি,,, একবার কি ভেংগে মজা লাগি নি যে আবার আসছেন,, তহ শুনে রাখেন আমি আপনাকে শুধু ঘৃণা করি,,, শুনছেন আপনাকে আমি ঘৃণা করি,,, আই জাস্ট হেট ইউ মি. নিশম খান,,

নিশমঃ জি না বুঝি নাই,, আর তুমি আমাকে ভুল বুঝছো,,, আমি এমন কিছুই চাই নি,,, আমি শুধু তোমাকে চাই,,, তোমার হয়ে বাচতে চাই,,,

তান্নাজঃ অহহ প্লিজ,,, আর এইসব নাটক ভাল লাগে না,,, সো স্টপ ইট,,,

নিশমঃ আমার ভালবাসা তোমার কাছে নাটক,,,

তান্নাজঃ তা নয় তো কি,,, এমনেও এইটা অফিস,,, সো যদি আপনি আপনার এইসব ফাউল পেচাল না পেরে কাজের কথায় আসতেন খুশি হতাম,,,

নিশম মুচকি হেসে তারপর বলে,,,

নিশমঃ আচ্ছা তাহলে তাই হবে,,, তুমি তহ আমার পিএ রাইট,,,

তান্নাজঃ জি,,,

নিশমঃ তাহলে যাও আমার জন্য এক কাপ কফি নিয়ে আসো,,,

তান্নাজঃ আমি আপনার পিএ ঠিকই কিন্তু চাকর নই,,, আর আপনার হাতের পুতুল যে যা ইচ্ছা তা করাবেন,,

নিশমঃ বেশি কথা বলা একদম পছন্দ করি না,, আর তুমি আমার পিএ আমি যাই বলবো তোমাকে তাই করতে হবে,,, যাও জাস্ট গো,,,
তান্নাজ আর কিছু না বলে বেরিয়ে যায়,,,
আর নিশম নিজের ইজি চেয়ারে বসে পা উঠিয়ে বসে বলতে থাকে,,,

নিশমঃ তোমাকে আমি ভাল করেই চিনি,,, তুমি যে ঘাড়তেড়া,,, তোমাকে এখন আমি অন্য ভাবে নিজের করবো,,, একবার নিজের থেকে আড়াল হতে দিয়েছি কিন্তু এইবার না,,, তোমাকে তহ আমার হতেই হবে,,, যদি সোজা আংগুলে ঘি না বের হয়ে তাহলে তহ আংগুল তেড়া করতেই হবে,,, গেট বি রেডি জান ফোর মাই #Love_Treatment,,,
এই বলে নিশম একটা ডেবিল স্মাইল দেয়,,, নিশম ভাল করেই জানে তান্নাজ কে বুঝিয়ে কোন লাভ নাই,, তাই এখন যা করার সে তাই করবে,,,

কিছুখন পর তান্নাজ কফি নিয়ে আসে,, আর নিশমকে দেয়,,, নিশম এক চুমুক দিয়ে বলে,,,

নিশমঃ কফিতে কি চিনি দিতে ভুলে গিয়েছো,,,

তান্নাজঃ জি না সার আমি ঠিক মতই দিয়েছি,,, কিন্তু কিছু মানুষ আছে যাদের মুখ তেতো,, তাদের যতই মিষ্টিমুখ করানো তাদের কাছে সব তেতোই লাগে,,,

নিশমঃ তোমাকে এত কথা বলতে কে বলসে,, এখনই যাও বেশি চিনি দিতে আরেক কাপ কফি নিয়ে আসো,,,

তান্নাজ একটা ভেংচি কেটে কফি আনতে যায়,,, তারপর কফি নিয়ে হাজির হয়,,, নিশম কফি টা হাতে নিয়ে এক চুমুক দিয়ে বলে

নিশমঃ অফিসে কি চিনির অভাব পরসে নাকি তুমি এই চিনি দিতে চাও না,,,

তান্নাজঃ আচ্ছা কফিটা দেন তহ দেখি মিষ্টি হয়েছে কিনা,,,

নিশম তান্নাজকে কফিটা এগিয়ে দেয়,,, তান্নাজ এক চুমুক দিয়ে খেয়ে বলে,,

তান্নাজঃ আপনার মুখ এই তেতো,,, এত মিষ্টি কফি কে বলে নাকি মিষ্টি না,,

নিশমঃ কই দেখি দাও তহ,,,
তারপর নিশম এক চুমুক দিয়ে বলে হা এখন ঠিক আসে,,, তান্নাজ নিশমের কথা শুনে ভেংচি কেটে চলে যেতে নিলে নিশম তান্নাজের হাত টান দিয়ে নিজের কোলে বসিয়ে ওর কোমর জরিয়ে ধরে ,, তারপর তান্নাজের ঘাড়ে মুখ গুজে,,

নিশমঃ কেন পালাও সব সময় আমার কাছ থেকে,,,

তান্নাজঃ ছাড়েন বলতাসি,,,আপনার সাহস কিভাবে হয় আমাকে ধরার,,, ছাড়েন বলতাসি,,,

নিশমঃ না ছাড়লে কি করবা,,
তান্নাজ কিছু না বলে নিশমের পায়ে জরে একটা পারা দেয়,, যার ফলে নিশম তান্নাজকে ছেড়ে দেয়,,,

তান্নাজঃ আসা করি পরের বার এমন কিছু করার আগে একশ বার ভাববেন,,,
এই বলে তান্নাজ বেরিয়ে যায়,,,
নিশম মুচকি হেসে তান্নাজের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে,,, কাজ শেষে যখন তান্নাজ বাসার জন্য রোওনা দেয় তখন একটা ব্লেক কার এর সামনে এসে দারায় তার পর গাড়ির জানাল খুলতেই দেখে নিশম,,, তান্নাজ পাশ কাটিয়ে চলে যেতে থাকে সাথে গাড়িও ওর পিছু পিছু চলতে থাকে,,, তান্নাজ বিরক্ত হয়ে বলে,,

তান্নাজঃ কি সমস্যা কি,,,

নিশমঃ গাড়িতে উঠো,

তান্নাজঃ আমার বয়ে গেসে আপনার গাড়িতে উঠার জন্য,,,

নিশমঃ ভালোই বলছি উঠে পর,।

তান্নাজঃ বললাম তহ উঠবো না,,,
এই বলে তান্নাজ হাটতে লাগলো,, নিশম গাড়ি থেকে নেমে তান্নাজ কে পাজাকোলে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দেয়,,, তান্নাজ বের হতে চেও পারলো না,,,নিশম তান্নাজের বেল্ট বেধে নিজে গিয়ে ড্রাইভিং সিটে দিয়ে বসে গাড়ি সার্ট দেয়,,,সারা রাস্তা দুইজন কোন কথা বলে নি,,
নিশম স্টাফের খাতায় তান্নাজের সব ইনফরমেশন নিয়ে নেয়,, তাই তার বাসায় চিনতে তেমন কষ্ট হয়নি,, নিশম তান্নাজের বাসার সামনে গাড়ি থামিয়ে দেয়,, তারপর যেই না তান্নাজ নামতে যাবে তখনই নিশম তান্নাজকে কাছে টেনে এনে ওর গালে ঠোঁট ছুয়ে দেয়,,, তারপর তান্নাজকে ছেড়ে দেয়,, তান্নাজ চাড়া পেয়ে তারাতারি গাড়ি থেকে নেমে বাসায় চলে যায়,,নিশম ও গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যায়,,,,


তান্নাজ আকাশের পানে তাকিয়ে আছে,,, আর বলছে,,,

তান্নাজঃ যার থেকে ৫ টা বছর পালিয়ে আসলাম,,, যার স্মৃতিগুলো মুছে নতুন জীবন শুরু করলাম,,, যার দেওয়া প্রতি টা আঘাত কে নিজের শক্তি বানালাম,,,যার থেকে দুরে থাকার জন্য নিজেকে নতুন করে সাজালাম সেই আজ আমার সামনে,,, নিয়তির কি খেল,,, তোমাকে হয়তো আমি মাফ করেও দিতাম,,, কিন্তু সেই ভিডিও আর সেই ছবি,,, সেগুলির কি করবো আমি,,, আমাকে আঘাত করার পর ও মন বলেছিল তুমি সত্যি আমাকে ভালবাস,,, কিন্তু না তুমি কোন দিন আমাকে ভালবাসই নেই,,, শুধু করেছো ছলনা,,, কি দোষ ছিল আমার,, যে এইভাবে ভেংগে চুরমার করে দিলে,,, আমার প্রতি তোমার প্রতিশোধ নেয়ার ভাবনাটাই এতটাই বিভর ছিলে যে আমার ফিলিংসের কোন দামই ছিল না তোমার কাছে,,, কেন আসলে নিশম কেন,,, কেন ফিরে আসলে আমার জীবনে,,, ভুলেই তহ গিয়েছিলাম নিজের অতীত তাহলে কেন আমার পুরনো ক্ষত নিয়ে সামনে আসলে,,,
এই বলে টুপ করে দুই ফোটা নোনা জল গরিয়ে পরলো,,,


চলবে,,,

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here