#Love_Treatment
Part-16
Writer- Tanzin Islam Ishika
।
।
তান্নাজ আর কিছু না বলে চুপ হয়ে যায়,,, সারা রাস্তা নিশম তান্নাজের কোমর জরিয়ে ধরে ছিল,,, তান্নাজ বেচারি না সইতে পারছে না কিছু বলতে পারছে,,, দেখতে দেখতে তারা সবাই পৌছে গেল,,, বাস থেকে সবাই নেমে যায়,,, তান্নাজ আর নিশম ও নেমে আসে,,, তান্নাজ বাকি সবার সাথে সামনে যেতে নিলে,,নিশম তান্নাজকে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে,, তারপর বলে
।
নিশমঃ ওইদিকে কই যাচ্ছ,,
।
তান্নাজঃ কেন সবাই যেখানে যাচ্ছে,,,
।
নিশমঃ তোমাকে ওদের সাথে যেতে হবে না,,
।
তান্নাজঃ কেন,,
।
নিশমঃ কারন আজ সারাদিন তুমি আমার সাথে থাকবা,,,
।
তান্নাজঃ জীবনেও না,,
।
নিশমঃ দেখা যাক,,,
তারপর নিশম তান্নাজকে টানতে টানতে অনেক দুর নিয়ে যায়,, সেখানে গিয়ে দেখে রুহান একটা গাড়ি তে হেলান দিয়ে দারিয়ে আছে,, নিশম কাছে আসতেই বলে,,
।
রুহানঃ তুই যা বলসিলি সব রেডি,,, এই নে গাড়ির চাবি,,
।
নিশমঃ থেংকস ইয়ার,, তুই যা বাকিদের সাথে ইনজয় কর,,, আর বাস ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে আমাকে জানিয়ে দিবি কিন্তু,,,
।
রুহানঃ ওকে,,
।
এই বলে রুহান চলে যায়,,, আর নিশম তান্নাজকে গাড়ি তে বসিয়ে নিজে গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে,,, তারপর তান্নাজের দিকে ঝুকে সিট বেল টা লাগিয়ে দেয়,,,
।
তান্নাজঃ আরেহ ভাই কই নিয়া যাইসেন আমারে,,,
।
নিশমঃ আরেকবার যদি ভাই বলসো না,,, দেইখো কি করি,,,
।
তান্নাজঃ আচ্ছা ভাই বলুম না,, মামা বলুম,,, এখন তহ বলেন মামা কই নিয়া যাইতাসেন,,,
।
নিশম কাদবে না হাসবে বুঝতাসে না,,, উফফ কোন মাইয়ার পাল্লায় যে পরলাম,,,
।
নিশমঃ আমারে তোমার মামা মনে হয়,,, অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে,,,
।
তান্নাজঃ আমার তহ আরও কিছু মনে হয়,,, যেমন চাচা,,খালু,, কাকা,, আংকেল,,, বুইড়া বেটা,,, সাদা ভাল্লুক,, সাদা ইন্দুর,,, সাদা বিলাই,,, আর,,, আরও কিছু বলতে গিয়েও তান্নাজ থেমে গেল,,, সে নিশমের দিকে চেয়ে দেখে নিশম রাগে ফুসছে,,,
নিশম রাগে ফুসতে ফুসতে বলে,,,
।
নিশমঃ আমারে তোমার চাচা,,খালু,, কাকা,, আংকেল,,, বুইড়া বেটা,,, সাদা ভাল্লুক,, সাদা ইন্দুর,,, সাদা বিলাই,, মনে হয় তাই না,,, এখন দেখো এই বুইড়া বেটা কি করে,,
।
এই বলে নিশম তান্নাজেত সিট বেল খুলে তাকে টান দিয়ে নিজের কোলে বসায়,,, তারপর এক হাত দিয়ে ওর কোমর শক্ত করে চেপে ধরে আর আরেক হাত দিয়ে তান্নাজের চুলের মুঠি ধরে ওর ঠোঁট দখল করে,,, তান্নাজ ঠোঁট দুটো একদম চেপে আছে,,, কিছুতেই তান্নাজ মুখ খুলছে না,,, নিশম এতে আরও রেগে যায় আর ওর চুলের মুঠি ছেড়ে এর গাল চেপে ধরে,,, যার ফলে তান্নাজ মুখ খুলতে বাধ্য হয়,,, আর নিশম এই সুযোগে তান্নাজের ঠোঁট পুরো পুরি আকড়ে ধরে করে নেয়,,, তান্নাজ লরতেও পারছে না,,,
আর নিশম তহ মনে হয় তার তৃষ্ণা মিটাচ্ছে,,, প্রায় ২০ মিনিট পর নিশম তান্নাজকে ছাড়লো,,, তান্নাজ তহ ছাড়া পেয়ে গোলা কাটা মুরগির মত ছোট ফোট করতে লাগলো,,, সে নিজেকে সামলিয়ে বলে,,
।
তান্নাজঃ আপনি আমার ঠোঁট রে কি সরকারি মাল পাইসেন,, যে যখন তখন এইটার উপর ঝাপাইয়া পরেন,,, ইডিয়ট একটা,,, শয়তান ইব্বলিস,,, সাদা ভুত,,, দেইখেন আপনার জীবনেও বিয়ে হবে না,,, হুহ
।
নিশমঃ হইসে,,, এখন যদি আরও কিছু বল তাহলে এর পর যা করবো তার জন্য কিন্তু আমি দায়ি থাকবো না,,,
।
তান্নাজঃ কি করবেন হা শুনি,,,
।
নিশম তান্নাজের কানের সামনে মুখ এনে বলে,,,
।
নিশমঃ একটা ছেলে একটা মেয়েকে একা পেলে যা করে,,,তুমি যদি চাও আমি কিছু না করি দেন আমার সব কথা শুনতে হবে,,, দুষ্টু হাসি দিয়ে
।
তান্নাজ চোখ বড় বড় করে নিশমের দিকে তাকিয়ে থাকে তারপর ঢোক গিলে বলে,,,
।
তান্নাজঃ ভাইয়া থুক্কু মানে মামু থুক্কু আর ধুর যাই হন,,,আমি আপনার সব কথা শুনব,,,( শয়তান বেটা এখন একা দেইখা নাইলে তোর যে অবস্থা করতাম,,, শালা বদের হাড্ডি দেখিস তোর বউ একটা চুরেল হইবো,, হুহ,, মনে মনে)
।
নিশমঃ হুম গুড গার্ল,,,
নিশম তান্নাজকে তার পাশে বসিয়ে দেই আর সিট বেল্ট বেধে দেয়,,, তারপর গাড়ি চালাতে সার্ট করে,,, প্রায় ২০ মিনিট পর তারা একটা লেকের পাশে আসে,,, লেকের সাইডে এক লাইনে গাছের সারি,,, আর অন্য পাশে একটা কোর্টেজ,,, কোর্টেজটা সামনে রং বে রংগের ফুল,,, পরিবেশ টা মন মুগ্ধ কর,,, নিশম তান্নাজকে কোর্টেজের ভিতর নিয়ে যায়,,, কোর্টেজটা ভিতর বেশ সুন্দর,,, এর ভিতরে সব আধুনিক জিনিস দিয়ে ভরপুর,,,দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের পেন্টিং,,, নিশম তান্নাজকে একটা রুমে নিয়ে গিয়ে তার সামনে একটা পেকেট ধরে বলে এইটা পরে রেডি হয়ে নাও,,, তান্নাজ কিছু বলতে যাবে তার আগে নিশম বলে,,
।
নিশমঃ মনে নেই তখন কি বলসিলা আমার সব কথা শুনবা,,, সো কথা না বারিয়ে রেডি হও,,
এই বলে নিশম গটগট করে চলে যায়,,, তানবাজ কিছুখন নিশমের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে তারপর পেকেট তা খুলে,,, খুলে দেখে একটা ব্লু কালার কামিজ,,, সামনে অনেক সুন্দর কাজ করা,,, মন ভুলানোর মত ড্রেস,, তান্নাজ তারাতারি রেডি হয়ে বাইরে যায়,, গিয়ে দেখে নিশম ও ব্লু কালার শার্ট পরেছে,, তারপর নিশম তান্নাজকে নিয়ে লেকে যায়,,, লেকে দিয়ে দেখে সামনেই একটা টেবিল,,
।
।
তারউপর পাস্তা আর বিরিয়ানি রাখা,,, তান্নাজের এমনেও খিদা পেয়েছিল,,, এইগুলা তান্নাজের অলটাইম ফেবারিট খাবার,,, তান্নাজ তারাতারি গিয়ে খেতে বসে,,, তান্নাজ যেই না খেতে যাবে,, নিশম তার হাত ধরে ফেলে দেন নিজের হাত দিয়ে তান্নাজকে খাওয়াতে থাকে,,, তান্নাজও বাধ্য মেয়ের মত খেতে থাকে,,, নিশম ও খেয়ে নেয়,,, তারপর খাওয়া শেষে তান্নাজের হাত ধরে একটু সামনে নিয়ে যায়,,, সেখানে গিয়ে তান্নাজকে দাড় করায় আর নিশম কথাও যেন যায়,,, তার পর ফিরে আসে এক গাদা ব্লু এন্ড হোয়াট হার্ট সেপ গেস বেলুন নিয়ে,,, নিশম সব গুলো বেলুন তান্নাজের হাতে দেয়,,, তান্নাজের খুশি দেখে কে,,, তান্নাজ বেলুন দিয়ে বাচ্চাদের মত লাফাতে থাকে,, তান্নাজ হঠাৎ খেয়াল করলো,, সব বেলুনে কি জানি লিখা,,, সে ভাল করে দেখলো সবটি তে লিখা “আই লাভ ইউ”,,,
তান্নাজ চুপ করে থাকে,,, নিশম তান্নাজকে ইশারা করে সব বেলুন উড়াতে,,, কিন্তু তান্নাজ রাজি না,, সে জোর করেই বেলুন গুলি উরিয়ে দেয়,, উড়ানোর ২ মিনিট পরই সব বেলুন একটা একটা করে ফুটতে থাকে আর তার মধ্য দিয়ে গোলাপের পাপড়ি পরতে থাকে,,, তান্নাজ অবাক চোখে তা দেখে আর নিজের হাত ছড়িয়ে তা উপভোগ করতে থাকে,,, নিশম মুগ্ধ হয়ে তা দেখতে থাকে আর তা কেমেড়ায় বন্ধি করতে থাকে,,, কে জানতো আগে গিয়ে এই ছবিগুলোই হবে তার বেচে থাকার এক মাত্র সম্বোল,,
।
।
নিশম আর তান্নাজ আরও কিছুখন ঘুরে,,, তারপর রুহানের কল আসায় তারা বাসের দিকে রওনা দেয়,,, তারা গিয়ে দেখে প্রায় সবাই বাসে উঠে গেসে,,, তান্নাজ আর নিশম ও বাসে গিয়ে বসে,, বাসে উঠার কিছুখন পরেই বাস ছেড়ে দেয়,,,
তান্নাজ আজ অনেক খুশি,, সে এইরকম কিছু এক্সপেক্ট করেনি,, তার ভিতরেও কেমন এক ভাল লাগা কাজ করছিল,,, কিন্তু তা প্রকাশ করে নি,,, তান্নাজ বাসে ক্লান্ত থাকায় কিছুখনের মধ্যে ঘুমিয়ে পরে,,, তার নিশমের কাধে ঝুকে পরে,, নিশম খেয়াল করে তান্নাজ ঘুমিয়ে পিরেছে,,, সে সাবধানে তান্নাজের মাথা তার বুকে রাখে,,, আর পরম আয়েসে তান্নাজকে জরিয়ে ধরে,,, নিশমের কেন জানি অনেক বেশি ভাল লাগছে,,, নিজের অজান্তেই খালি বুকে কোনো একটা পুর্নতা পাচ্ছে সে,,,
দেখতে দেখতে তারা ঢাকা এসে পরে,,, তান্নাজও ঘুম থেকে উঠে গিয়েছে,,, তান্নাজের উঠার আগেই নিশম ওকে ঠিক করে শুয়ে দেয়,,, তারপর সবাই বাস থেকে নেমে সবার বাসায় চলে যায়,, তান্নাজও যেতে নিলে নিশম ওকে থামিয়ে বলে ওর সাথে যেতে,,, এই টাইলে একা যাওয়া সেফ না,,, তান্নাজও আপত্তি করল না,, তারপর নিশম তান্নাজকে বাসায় ড্রপ করে চলে যায়,,, তান্নাজ নিশমের যাওয়ার দিকে তাকিতে একটা মুচকি হাসি দিয়ে ভিতরে চলে যায়,,,
।
।
নিশম বাসায় গিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়,,, তখনই তার ফোন বেজে উঠে,,, ফোন হাতে নিয়ে দেখে ইমো তে সবাই মিলে ওকে গ্রুপ ভিডিও কল দিয়েছে,,, ফোন রিসিভ করতে,,,
।
রায়ানঃ কিরে তুই না বললি পিকনিকে আসবি না,,, তাও যে আসলি,,, আর আসলি তহ আসলি আমাদের সাথে কোন কথা তহ দুরের কথা দেখাই করলি না,,,
।
নিয়ানঃ তোর কি হয়েছে বলতো,,, আমাদের সাথে না কোন কিছুই বললি না,,,
।
রাহুলঃ বলবি কিছু,,,
।
নিশমঃ আরেহ থাম থাম,,, বলতে তহ দে,, হা আমার যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু পরে শুনলাম তান্নাজ যাবে তাই ভাবলাম ওকে এই সুযোগে ওর সাথে একটু টাইম স্পেন্ড করতে পারব আর ওএ কাছে যেতে পারবো তাই গেসি,,, আর তদের বলি নাই কারন আমি চাই নি তোরা এইসব নিয়ে ইন্টাফেয়ার করোস,, আমি ওকে নিজেই হেন্ডেল করতে চাই,,,
।
রায়ানঃ ওহহহ আমি আর ভাবলাম তুই সত্যি মনে হয় তান্নাজের প্রেমে পরে গেলি,,,
।
রাহুলঃ আরেহ ধুর নিশম ভালবাসবে তাও ওই মিডেল ক্লাস মেয়েকে,,, নিশমের সাথে ওর যাই নি,,,
।
নিয়ানঃ নিশম প্লিজ তোর কাজ শেষ হলে আমাকে দিয়ে দিস,,,
।
এইসব কথা শুনে নিশমের যেন মাথায় আগুন ধরে গেল,,,, সে পারছে না সবাই কে গিলে খেতে,,, নিশম চিৎকার দিয়ে বলে,,
।
নিশমঃ মুখ সামলে কথা বল নিয়ান,, তান্নাজকে কি তোর এইতোই থুকনো মনে হয়,,, আর একটা মেয়ের সম্পর্কে কিভাবে কথা বলতে হই জানিস না,,, আর মানে কি আমার কাজ শেষ হলে,,, আমি কি ওকে ইউস করবো ,, আমাকে কি তোর এই রকম মনে হয়,, নেক্সট টাইম বুঝে শুনে কথা বলবি,,
এই বলে নিশম কেটে রেখে দেয়,,, নিয়ান তহ থ হয়ে যায়,,, নিশম কি বললো,, কিন্তু পরে সবাই বুঝাই যে ওই এমন এই বাদ দে,,,
নিশমের যেন রাগ কমছেই না,,, কেন হচ্ছে এমন সে জানে না,,, শুধু এতটুকু জানে সে তান্নাজের নামে কিছু সহ্য করতে পারছে,,, কেন সে জানে না,, এইসব ভাবতে ভাবতে সে শুয়ে পরে,,,,
।#Love_Treatment
Part-17
Writer- Tanzin Islam Ishika
।
এইভাবে কয়েক মাস কেটে যায়,,, নিশম তান্নাজের পিছেই পরে থাকে কিন্তু তান্নাজ পাত্তা দেয় না,,, তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকে,,, কিন্তু তান্নাজ নিশমের প্রতি এক ভাল লাগা ঠিকই তৈরি হয়েছে,,, যা বলতে গেলে ভালবাসায় পরিনত হয়েছে,,, যা তান্নাজ হারে হারে বুঝে গেছে,,,কারন নিশম সব সময় তান্নাজের জন্য কিছু না কিছু করেই,,, ওকে স্পেশাল ফিল করায়,,, সব কিছু থেকে প্রোটেক করে,,, কেউ তান্নাজের দিকে চোখ তুলে তাকালেও ওর অবস্থা নাজেহাল কিরে ছাড়ে,,, নিশমও নিজের অজানতে তান্নাজের প্রতি দুর্বল হয়ে গেছে,,,দুর্বল বললে ভুল হবে,,, নিশম তান্নাজকে ভালবেসে ফেলেছে,,কিন্তু সে এখনও তা বুঝতে পারেনি,,, তান্নাজের বাচ্চামো ওর ঝগড়া করার স্টাইল,,, তান্নাজের বেপরোয়া ভাব,,,আর সেদিন অরফোনেজের বাচ্চাদের জন্য এত ভালবাসা যেন নিশমের বেশি ভাল লাগে,,, হয়ত এই সবের কারনেই নিশমের মধ্যেও ভাল লাগা শুরু হয়,,, যা ভালবাসায় পরিনত হয়
।
।
একদিন সকাল বেলা,,
।
।
।
তান্নাজ ঘুমিয়ে ছিল,,, হঠাৎ মনে হলো তার উপর হাল্কা হাল্কা পানির ফোটা পরছে,,, তান্নাজ ধরফরিয়ে উঠে বসে,,,
।
তান্নাজঃ আম্মু গো ও আম্মু গো,,, ছাদ ভাইংগা পরলো গো,,,আমাদের বাসার ছাদ লিক হইয়া গেসে,,, আমাদের বাসা তো বন্যাতে বেসে যাবে,,, তারপর পরের দিন নিউস পেপারে আসব এক পরিবার বন্যাতে নিখোঁজ,,, এইসব কথা তান্নাজ চোখ বন্ধ করে বলছিল,,, হঠাৎ তার কানে একটা হাসির শব্দ আসে,,, তান্নাজ চোখ খুলে দেখে হৃদয় হা হা করে আসছে,,, তান্নাজ হৃদয় দেখে যেন আকাশ থেকে পরলো,,, নিজের চোখ ভাল মত মুছে আবার দেখলো,,, দেখে না সত্যি হৃদয় দারিয়ে আছে,,, তান্নাজ বিছানা থেকে লাভ দিয়ে হৃদয় কে জরিয়ে ধরে,,,
।
তান্নাজঃ তুই সত্যি আসছোস,,,
।
হৃদয়ঃ হা আমি সত্যি আসছি,,,
।
তান্নাজঃ জানস তোকে কত মিস করসি,,,
।
হৃদয়ঃ আমার থেকে বেশি না,,,আচ্ছা তুই কি আরও মোটা হইয়া গেলি,,,
।
তান্নাজঃ জি না,, আগের মতই আসি,,
।
হৃদয়ঃ হুহ,,
।
তান্নাজঃ ওয়েট আ মিনিট,,, এর মানে তুই আই আমার মুখে পানি দিসিলি,,, ভ্র কুচকিয়ে,,
।
হৃদয়ঃ আমি ছাড়া কে করবো,,, দুষ্টু হাসি দিয়ে,,,
।
তান্নাজঃ শয়তান,,, তুই আর শুধরাইলি না,,, এই বলে হৃদয়কে ইচ্ছা মত কিলাইতে থাকলো,,
।
হৃদয়ঃ কি করতাসোস,, ব্যাথা পাইতাসি তহ,,, এত দিন পর আসলাম আর তুই কিনা আমাকে আদর করবি তা না পিটাইতাসোস,,, হুহ
।
তান্নাজঃ আইসে আমার আদর খাইতে,,, যা ভাগ,,
।
হৃদয়ঃ সত্যি যামু গা,,, বেবি ফেস করে,,
।
তান্নাজঃ হইসে হইসে,, আই বেবি ফেস করবি না তহ আমার সামনে,,, জানোস এই তহ তোর এই ফেস দেখলে রাগ ধইরা রাখতে পারি না,,,
।
হৃদয়ঃ এইটা তহ আমার ওয়েপেন,,,
।
তান্নাজঃ হুহ,,, ভালো আচ্ছা তুই বোস আমি ফ্রেশ হয়ে আসি,,,
।
হৃদয়ঃ প্লিজ বোইন তারাতারি যা গন্ধ আসতাসে,,,
।
তান্নাজঃ ওহহ তাই না,,, দেন একটা পাপ্পি দেই,,
।
হৃদয়ঃ দুরে যা,,, কাছে আবি না,,, শু শু,,,
।
তান্নাজঃ এহহ তোরে মনে হয় আমি সত্যি পাপ্পি দিমু,,, যা ভাগ,,,
।
হৃদয়ঃ হুম ভাগমু নে কিন্তু তোরে লইয়া,,, এখন যা ফ্রেশ হয়ে আয়,,,
।
তান্নাজঃ তোর মত বান্দরের লগে যাইব কে,, হুহ
।
এই বলে তান্নাজ ওয়াসরুমে চলে যায়,,, আর হৃদয় ওর কথা শুনে হাসতে থাকে,,,
এখন আসি হৃদয়কে,,
।
।
হৃদয় হচ্ছে ওর ছোট কালের ফ্রেন্ড আর বলতে গেলে বেস্টফ্রেন্ড,,, ছোট বেলা থেকেই তারা এক সাথে বড় হয়েছে,,, হৃদয়ের মা আর তান্নাজের মা ছোট বেলার বান্ধুপি সেই সূত্রে তান্নাজ আর হৃদয় ও অনেক ভাল ফ্রেন্ড হয়ে যায়,,, হৃদয়ের বাবা ইতালি থাকে যার কারনে এসএসসি দেওয়ার পর হৃদয় আর তার মাও ইতালি চলে যায় তার বাবার কাছে,,, কিন্তু তান্নাজ আর হৃদয়ের মাঝে যোগাযোগ অফ হয়নি,,, তারা প্রায়ই ফোনে কথা বলতো,,,
( আমার ফ্রেন্ড ও ইতালি যাইতাসে গা😭😭)
।
তান্নাজ ফ্রেশ হয়ে এসে হৃদয়ের সাথে কথা বলতে থাকে,,
।
তান্নাজঃ তুই আমাকে কেন বলোস নাই তুই আবি,,
।
হৃদয়ঃ বললে কি আর সাপ্রাইসটা থাকতো বল,,, অবশ্য আরেকটা কারণ আছে তা হলো তোর ফেস এর রিয়েকশন দেখার জন্য,,,
।
তান্নাজঃ হইসে,,, আচ্ছা এখন বল আমার জন্য কি আনসোস,,,
।
হৃদয়ঃ তোর জন্য আবার কি আনবো,,,তুই কি কোন স্পেসিয়াল মানুষ নাকি হুম,,
।
তান্নাজঃ কি তুই আমার জন্য কিছু আনলি না,,, হুম আনবি বা কেন আমি বা তোর কে,,, আমি আর তোর কেউ না,,, ওইখানে তহ মেবি আমার থেকেও অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়ে তোর ফ্রেন্ড,,, আমি তহ আর তাদের সামনে কিছু না,,,
।
হৃদয়ঃ এই ভাল হইতাসে না কিন্তু,,, কে বলসে তুই আমার কেউ না,, তুই ভাল করেই জানোস তুই আমার জন্য কি,,, আর তোর কি মনে হয় তোর জন্য আমি কিছু আনবো না,,, এমন কি হয়,,, একটু ডেসিং টেবিলে দেখ,,,
।
তান্নাজ সে দিকে তাকিয়ে দেখে অনেক গুলি কেডবেরি ডেইরি মিল্ক সিল্ক,,, তান্নাজ তহ দেখে মহা খুশি,,, দোড় দিয়ে গিয়ে একটা নিয়ে খাওয়া শুরু করে দেয়,,, এন্ড আবার এসে হৃদয়কে জরিয়ে ধরে বলে,,,
।
তান্নাজঃ থেংকি ইউ থেংকি ইউ সো মাচ,,, তোর এখন ও মনে আসে আমি এইটা কত লাইক করি,,,
।
হৃদয়ঃ মনে থাকবো না কেন,,, আর আমি এইটাও জানি এর জায়গাই তোকে অনন্য কিছু দিলেও তুই এত হেপি হইতি না যত না এইটা পেয়ে হইছিস,,,
।
তান্নাজঃ এইটা আমার ভালবাসা,,, হৃদয়কে ছেড়ে
।
হৃদয়ঃ হো জানি,,, আমাকে একটু দে,,,
।
তান্নাজঃ এহহ কেন দিমু,,
।
হৃদয়ঃ বাহ বাহ,, আনলাম আমি আর আমাকেই দিবি না,,
।
তান্নাজঃ না,,
।
হৃদয়ঃ এইটা কিন্তু ঠিক না,,,
।
তান্নাজঃ আরেহ তোরে আবার না দিমু নে,,,
।
তারপর তারা আরও কিছু কথা বলে নিচে যায়,,, নিচে গিয়ে দেখে রেহানা বেগম বসে আছে,,, মানে হৃদয়ের মা,,, তান্নাজ গিয়ে তাকে সালাম দিল আর বললো,,,
।
।
তান্নাজঃ কেমন আছো আন্টি,,,
।
রেহানাঃ এইতো মা ভাল আছি,,, তা তুমি কেমন আছো,,
।
তান্নাজঃ অনেক ভাল,,, আচ্ছা আন্টি তুমি আম্মুর সাথে কথা বল আমি আর হৃদয় একটু ঘুরে আসি,,,
।
আম্মুঃ নাস্তা করে যা,,, হৃদয় ও কিছু খাই নি,,,
।
তান্নাজঃ আচ্ছা দাও,,, ওই বান্দর আই খাইতে আয়,,,
।
হৃদয়ঃ হুম চল,,
।
তান্নাজঃ তুই কিন্তু আজকে আমার ভারসিটি যাবি,,,
।
হৃদয়ঃ ওকে,,,
।
।
তারপর তারা নাস্তা করে ভারসিটি চলে যায়,,, তান্নাজ আজকে ক্লাস করবে না,,, আজকে তান্নাজ হৃদয়কে নিয়ে ঘুরবে,,, তান্নাজ ভারসিটিতে ঢুকে হৃদয়কে তার ভারসিটি দেখাতে থাকে,,, আর হাসা হাসি করতে থাকে,,, কিন্তু তান্নাজ জানে না কেউ তার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,, সে আর কেউ নয় নিশম,,, নিশমের কেন যেন তান্নাজের সাথে অন্য কাউকে সহ্য হচ্ছে না,, কিন্তু কেন তা সে বুঝতে পারছে না,,, তান্নাজ আর হৃদয় ঘুরতে ঘুরতে ভারসিটির পিছনের দিকে যায়,,, সেখানে একটা লেক আসে আর কিছু বেঞ্চ আসে বসার জন্য,,, তান্নাজ আর হৃদয় সেখানে গিয়ে বসে আর কথা বলতে থাকে,,, তান্নাজ একটা চকলেট বেড় করে তা খেতে থাকে,,, তান্নাজ বাচ্চাদের মত চকলেট খেতে থাকে যার ফলে কিছু অংশ তার ঠোঁটের পাশে লেগে যায়,,, হৃদয় তা একটা টিসু দিয়ে মুছে দেয়,,, তা দেখে তান্নাজ হেসে দেয়,,, এইসব এই নিশম দূর থেকে দেখছিল আর রাগে ফুসছিল,,,, তান্নাজ চকলেট খেতে খেতে খানিকটা হাতে মেখে ফেলে,,, তাই সে হৃদয়কে বলে তুই গিয়ে গেটে ওয়েট কর আমি ওয়াসরুম থেকে আসতাসি,,, হৃদয় গেটের দিকে চলে যায় আর তান্নাজ ওয়াসরুমের দিকে যেতে থাকে,,, হঠাৎ,,,
।
।
।
চলবে,,