Marriage_With_Benefits part 14

#Marriage_With_Benefits
#Part_14
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
চৌধূরী সাহেব। আপনার নাতবউকে বরণ করবেন না।(আভি চিৎকার করে)

আমরা কেনো জানি খারাপ ফিলিং আসছে!কিছু তো একটা ঘটবে!(আমি মনে মনে)

আভির এইরকম চিৎকার শুনে একটা ভদ্র মহিলা বেরিয়ে আসলো।তারসাথে একজন ভদ্র লোক, একটা ছেলে আর একটা মেয়েও।কেনো জানি তাদের দেখে আমার ভালো মনে হচ্ছে না। মি:কোবরা আমাকে এই কোন জায়গায় এনেছে।এদের দেখেই তো আমি বলে দিতে পারবো এদের মুখে মধু অন্তরে বিষ।আমি নিহালের তাকালাম।

আস্থা।অপেক্ষা করো দেখতে পারবে!(নিহাল আমার কানের কাছে ফিসফিস করে)

এইদিকে আভি আমার হাত শক্ত করে ধরে আবার চিৎকার করে বললো
আরমান চৌধূরী কি এখন নিজের নাতবউকে বাহিরে দাড় করিয়ে রাখবে?তাহলে আর কি আমরা চলি।

দাড়াও।
বলেই সিড়ি বেয়ে একটা বয়স্ক লোক নামলো।

আমি উনাকে দেখেই আভির পিছনে লুকালাম।
খাইছে খাইছে।এই দাদু এইখানে কি করে?আমি কবে থেকে জ্যোতিষ হয়ে গেলাম।আমি তো এমনি এমনি বলেছিলাম যে মি:কোবরা আর এই লোকটার সাথে কোনো সম্পর্ক আছে।এখন দেখি সত্যিই এরা দাদা নাতি। হায় খোদা এই কোন জায়গায় এসে গেছি আমি।আমি এই বিয়েতে থাকবো না।দরকার নাই আমার marriage with benefits।এইখানে থাকলে এই দাদা নাতি আমাকে কিমা বানাইয়া খাবে।দূর জেনে বুঝে আমার পা দেওয়া দরকার ছিলো।এখন কি হবে আমার?আস্থার তো আস্থাহীন অবস্থা।

ছোটো বৌমা(মহিলাটা) বাড়ির বউকে বরণ কর।(দাদু)

কিন্তু বাবা(মহিলা)

আমার উপর কথা বলো।(দাদু)

জ্বি বাবা।
বলেই মহিলা বরণ করার জিনিস পত্র নিয়ে আনার জন্য গেলো।

লাগবো না আমার বরণ।ছাইরা দে ভাই কাইন্দা বাঁচি।(আমি মনে মনে)

মহিলা এসে দরজায় বরণ ডালা নিয়ে দাড়ালো।
কোথায় তোর বউয়ের মুখ দেখা?আগে শুনতাম ছেলেরা বিয়ে করলে বউয়ের আঁচলে মুখ লুকায় এখন দেখি তো বউ তোর পিছে মুখ লুকিয়ে দাড়িয়ে আছে(দাদু)

কেন দাদু?(আমি মনে মনে)

আমরা বউ বলে কথা স্পেশাল তো হতেই হবে।
বলেই আভি আমাকে ওর পিছন থেকে বের করে আনলো।
কি হলো বেবি?লজ্জা পাচ্ছো কেনো?এইটা তো তোমারও বাড়ি।আমার বাড়ি মানেই তোমার বাড়ি আর এইখানে লজ্জা পেতে হবে না তোমার।
বলেই আমাকে টেনে জড়িয়ে ধরলো।

বেবি!!বেবির বেবি হওয়ার আগেই ইন্নালিললাহ হয়ে যাবে!আমি শিওর মি:কোবরা ইচ্ছা করে আমাকে এখানে এনেছে।(আমি মনে মনে)

কিরে মুখ নিচু করে আছে কেনো?(দাদু)

তুমি আভি চৌধুরীর স্ত্রী এখন।মাথা উচু করে বাঁচবে।(আভি আমাকে জড়িয়ে ধরে)

মাথা উঁচু করলে মাথাই থাকবে না।(আমি মনে মনে)

কি হলো করো?(আভি)

আমি ধীরে ধীরে মাথা উচুঁ করলাম।আর আমার সন্দেহই ঠিক দাদু আমাকে এক দেখায় চিনতে পারছেন।উনার চোখের দিকে তাকিয়েই আমি বুঝে গেলাম আমার উপর উনি বেশ ক্ষেপে আছে।উনার নাতিকে আমি বিয়ে করেছি বলে কথা!কিন্তু এখন আমার ভয় পেলে চলবে না যেহেতু আমি এই বিয়েতে আছি আমার সব কাজ আমি এই বিয়েতে পূরণ করবো।আর তা যেকোনো মূল্যে হোক।

আমাকে বরন করে ঘরে তোলা হলো।
আভি তুই ওকে বিয়ে করেছিস কেনো?(দাদু)

কারণ আমি ওকে ভালোবাসি।এর থেকে কি আর কোনো কারণ আছে?(আভি)

কিন্তু কে এই মেয়ে? কি এর বংশ পরিচয়?(দাদু)

ও অনাথ।ওর পরিচয় শুধু আমি।
বলেই আভি আমার হাত ধরলো।এইখানে অন্য কোনো মেয়ে থাকলে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যেতো!আমিও হতাম যদি এইটা আমার আসল বিয়ে হতো।

যেমন বাবা তার তেমনই ছেলে।তোমার বাবাই এইরকম কাজ করেছে সেখানে তোমার থেকে আর কি আশা করা যায়?(দাদু রেগে)

ঠিকই বলেছেন আরমান চৌধূরী আমি আমার বাবার মতো।সারাজীবন একজনকেই ভালোবেসে যাবো।সে পাশে থাকুক আর না থাকুক।(আভি)

আমি উনাদের কথোপকথটি শুনে যতটুকু বুঝতে পারছি।ওদের মধ্যে তেমন মিল নেই। হয়ত কারণটি মি:কোবরার মাকে নিয়ে।দাদু হয়ত উনার মাকে মেনে নেন নি।যেমন উনি আমাকে এখন মেনে নিচ্ছেন না।কিন্তু তা বুঝলাম।তবে আমার শশুর শাশুড়ি কোথায়?উনাদের দেখছি না?উনারা কি এই বাড়িতে থাকেন নাকি অন্য কোথাও?(আমার মনে অনেক প্রশ্ন বাসা বাঁধছে)

এখন যদি আপনি চান আমি আমার বউকে নিয়ে অন্য কথাও চলে যেতে?তাহলে আমরা চলে যাবো?
বলেই আভি আমার হাত ধরে বের হতে লাগলো।

দাড়াও।আমি কি বলছি তুমি বের হও?(দাদু)

তাহলে!(আভি)

তুমি এইখানেই থাকবে।আমিও দেখতে চাই তোমার স্ত্রীর ভালোবাসা কতদিন তোমার সাথে থাকে।(দাদু)

আভি শুধু একটা মুচকি হাসি দিলো।পরেই আমাকে কোলে নিয়ে সিড়ি দিয়ে হাঁটা শুরু করলো।
এতো তাড়াতাড়ি হওয়াতে আমি বুঝতেই পারলাম না কি হলো?

এই কি করছেন?সবার সামনে এইভাবে আমাকে কোলে তুলে নিলেন কেনো?(আমি উনার গলা জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে)

চুপ।এইটা আমাদের নাটকের মধ্যে পড়ে।তাই চুপচাপ তাল মিলিয়ে যাও।(আভি)

ওকে।(আমি)

আভি উপরে উঠে আমাকে কোলে নিয়েই নিচে সবার উদ্দেশ্যে বললো
আজ আমাদের বাসর রাত।কাল সকাল সকাল কেউ যেনো আমাদের বিরক্ত না করে!কারণ আজ রাতে আমরা ব্যাস্ত থাকবো তাই না বেবি?
বলেই আমার নাকে নাক ঘষে দিল।

আমার উনার কথা শুনে মাটিতে মিশে যেতে মন চাইছে।আল্লাহ এই লোকের মুখে কি কিচ্ছু আটকায় না?কি সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলছে দেখো লোকটা!তারপর আমার এতো কাছে এসে আমার নাকে নাক ঘষে দিল।খোদা এই বিয়ে শেষ হতে হতে না আমি মাটির জৈব সারে পরিণত হই।কি বললো বাসর রাত এইটার নাম শুনেই তো আমি লজ্জা পাচ্ছি।
কি হবে আমার?মনে কুয়াতে এসে নিজেই জাপ দিলাম।

উনি আমাকে কোলে করে নিয়ে রুমে এসে বিছানায় বসিয়ে দিলো।আর তাড়াতাড়ি করে দিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দিলো।

আপনি রুমের দরজা কেনো বন্ধ করলেন?(আমি বেশ চিন্তিত হয়ে)

কেনো বেবি?বাসর করবো না আমরা!বাসর রাত কি সবাইকে জানিয়ে করে?(আভি ডেভিল দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে)

দেখুন।আপনি কিন্তু শর্ত অনুযায়ী আমাকে ছুঁতেও পারবেন না?(আমি পিছু হটে যাচ্ছি)

এই মেয়েকে আজ পেয়েছি।একটা শিক্ষা না দিয়ে কি আর থাকা যায়!(আভি মনে মনে দুষ্টু হাসি দিয়ে)

আমিও দেখি কোন শর্ত আমাকে বাসর করার থেকে আটকায়?(আভি আমার দিকে এগুতে লাগলো)

দেখেন আমি কিন্তু নোনিরপুতুল না!আমাকে ছুলে আমি আপনাকে ছাড়বো না!(আমি বিছানায় পিছিয়ে যেতে থাকি)

আমিও তো তাই চাই বেবি তুমি আজ সারারাত ধরে রাখো!আমিও তোমাকে ধরে রাখি।তারপর,, অফো কি একটা রাত হবে! come on বেবি।শুরু করা যাক।
আভি ততক্ষনে কথা গুলো বলে আমার অনেক কাছে চলে আসলো।আমিও পিছাতে পিছাতে খাটের এক কোণে চলে আসি।এতো ক্ষন রাগ না উঠলেও এখন রাগ হচ্ছে। মি: কোবরার উপর না নিজের উপর কেনো এই মানুষকে বিশ্বাস করতে গেলাম।এমন মানুষকে বিশ্বাস করাই আমার ভুল।

এতো ক্ষণে আভি আমার খুব কাছে চলে আসলো।এসেই আমার দিকে ঝুকলো আর ওমনি আমি উনার পেটে ঘুষি মারলাম।যদিও আমার হাতের ঘুষি উনার কোনো ক্ষতি করতে পারলো না।তবুও উনি আহ্ করে উঠলো।

আহ্!এই মেয়ে বিয়ের দিনই স্বামীকে মারার প্ল্যান বানিয়ে এসেছো নাকি?(আভি পেটে হাত বুলিয়ে)

স্বামী জানি না।কিন্তু আপনাকে ঠিকই মারবো।আমার কাছে আসলে।(আমি রাগী লুক দিয়ে)

আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর উনি ফিক করে হেসে দূরে সরে গেল।

তোমার কি আকাশ কুসুম চিন্তা ভাবনা?চিন্তা করো না আমি তোমাকে কিছু করবো না।আমি তো এমনি তোমার সাথে মজা করছিলাম।(আভি হাসতে হাসতে)

উনার হাসি মুখখানা অনেক সুন্দর।অনেক মায়া আছে উনার হাসিতে।প্রাণ খুলে হাসলে উনার কি হয়?সব সব সময় খিটখিট করতে থাকে।নাকের ডগার রাগ উঠেই থাকে।কিন্তু এখন উনাকে প্রাণ খুলে হাসতে দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে!

আপনাকে প্রাণ খুলে হাসলে খুব ভালো লাগে।(আমি নিজের অজান্তেই উনাকে কথা গুলো বললাম)

উনি উনার হাসি থামিয়ে আমার মাথায় হাত রেখে মুচকি হাসি দিলো।

পরেই খাট থেকে উঠে আমার উদ্দেশ্যে বললো
তুমি এখন ফ্রেশ হয়ে নাও।আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি।
বলেই দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো।আমি উনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।


বাহিরে বেরিয়ে
আজ কতদিন পর এমন মন খুলে হাসতে পারলাম আমি নিজেও জানি না।আর তা সম্ভব হয়েছে মিস:পেঁচাল এর জন্য। মেয়েটা কে যতো খারাপ ভেবে ছিলাম মেয়েটা তত খারাপ না।সুইট একটা মেয়ে।যখন ওর সামনে বাসর রাতের কথা তুলেছিলাম তখন ওর ফেস দেখার মত ছিলো।কি কিউট লাগছিলো মেয়েটাকে! ওয়েট আমি কি ভাবছি! আমার লক্ষ্য থেকে আমাকে হটলে চুলবে না।আভি তোর মনে রাখতে হবে তুই আর আস্থা শুধু নামে মাত্র কাপল তোদের মধ্যে আর কিছু নেই।আমি আস্থাকে ভালোবাসতে পারবো না।
আভি এই সব ভাবতেই ওর দাদু ওকে ডাক দিলো।

আভি স্যার।আপনাকে বড়ো স্যার ডাক ছিলো!(আরিফ)

আমি যেতে পারবো না।আমার স্ত্রী অনেক ক্ষণ ধরে না খাওয়া আছে!আমি ওর জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছি।যদি উনার কোনো কথা থাকে তাহলে বলো পরে বলতে।
বলেই আভি যেতে লাগলো।তখনই পিছন থেকে দাদু বলে উঠলো
যেই ছেলে নিজের পানির গ্লাসটা ভরে খায় না।আজ সেই ছেলে স্ত্রীর জন্য খাবার আনতে গেলো।স্ত্রীর কেনা গোলাম হয়ে গেলো দেখি আভি চৌধূরী!(দাদু)

কারোর হাতের পুতুল হওয়ার থেকে স্ত্রীর কেনা গোলাম হওয়া অনেক ভালো।আমার স্ত্রী আমি যদি খেয়াল না রাখি তো কে রাখবে!আমার স্ত্রী আমার দায়িত্ব।(আভি)

তোমার চৌধূরী পরিবারের উত্তরাধিকার সূত্রে একটা দায়িত্ব আছে।সেটা মনে নেই?(দাদু রেগে)

আমি কি বলছি আমাকে উত্তরাধিকার বানান?বলি নি তো তাহলে আমাকে কেনো দায়িত্ব পালন করার কথা বলছেন?(আভি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

তুইই,,(দাদু চিৎকার করে)

স্যার। বড়ো স্যারের বয়স হয়েছে।উনার প্রেসার হাই হয়ে যাবে। প্লিজ উনাকে রাগাবেন না!(আরিফ)

তোমার সত্যিই মনে মনে হয় এই সামান্য জিনিসে উনার পেসার হাই হয়ে যাবে?(আভি ওর দাদুর দিকে তাকিয়ে)

স্যার?(আরিফ)

আরিফ।তোমার বড়ো স্যার গভীর জলের মাছ।উনি ঠান্ডা মাথায় কাজ করে।এখন উনি রাগার নাটক করছে যাতে আমি বাধ্য হয়ে উনার কথা শুনি।তাই না আরমান চৌধূরী?(আভি দাদুর দিকে তাকিয়ে)

আমার চাল সব সময় কি করে যে এই ছেলেটা বুঝতে পারে না বুঝি না!কিন্তু ব্যাপার না এই চাল বুঝতে পেরেছো তো কি হইছে!তুমিই তো বলো আমি ঠান্ডা মাথার মানুষ।এখন মাথা ঠান্ডা করেই তোমাকে আমি ওই অসভ্য মেয়ে থেকে আলাদা করবো।(দাদু মনে মনে)

আভি উনার চাল বুঝতে পেরে একটা তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে চলে গেলো।

স্যার।ছোটো স্যার চলে গেলো?(আরিফ)

ওকে যেতে দাও আরিফ। ও আমার কোনো কথাই শুনবে না।এখন ওই মেয়েকে টার্গেট করতে হবে।তোমাকে যেই মেয়ের ইনফরমেশন নিতে বলছিলাম।নিয়েছো?(দাদু)

জ্বি।স্যার।আপনার কখন লাগবে?(আরিফ)

কালকে সকালে অফিসে দিয়ে যাবে।(আরমান)

কাল সকালে?কিন্তু আজ তো স্যারের?(আরিফ কৌতূহলী হয়ে)

আরে ছেলেটাকে বাসর করতে দাও শান্তি মতো।কাবাবের হাড্ডি হতে যেও না। আরমান চৌধূরীর নাতির বাসর বলে কথা!
বলেই দাদু চলে গেলো।

আরিফ সেখানেই দাড়িয়ে ভাবতে লাগলো
বাসর বলে কথা মানে?আপনি না মেয়েটা কে পছন্দ করেন না।তাহলে বাসরে এত খুশি হচ্ছেন যেনো আজ আপনার নাতি বাসর করলে কালকেই আপনি বড় দাদা হবেন?বুঝি না এই দাদা নাতির কান্ড!কখন কি করে কে জানে!


কিচেনে
আমার ওয়াইফের জন্য খাবার দাও।(আভি সার্ভেন্টকে উদ্দেশ্য করে)

তোমার ওয়াইফ এর জন্য এই বাড়িতে কোনো খাবার রান্না করা যাবে না।(পিছন থেকে একটা মহিলা বলে উঠলো আর এইটাই সেই মহিলা যে আস্থাকে বরণ করছে।আভির ছোটো চাচার স্ত্রী।ঈশানি চৌধূরী)
((ঈশানিকে মনে আছে আপনাদের?—লেখিকা😉))

আর এইটা কার ইচ্ছাতে হয়েছে?একটু বলবেন মিস:ঈশানি চৌধূরী!(আভি)

বাবার ইচ্ছেতে হয়েছে।(ঈশানি)

দাদুর ইচ্ছাতে?(আভি)

হুম। তা না হলে আর কার ইচ্ছেতে হবে?(ঈশানি)

না মানে!এই বাড়িতে আপনার দাপটটাও কিন্তু কম না।তাই না মি:ঈশানি!(আভি)


চলবে…
আপনাদের guess করা দেখে আমি শিহরিত।😂😂😂
কমেন্টগুলো পড়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে।
Thanks for your support..☺☺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here