গল্পঃ #Mr_Devil
( A Psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৬
আরিয়ান দরজায় দাড়িয়ে আছে
রোদ: আসার আর টাইম পেলি না
মুন কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
আরিয়ান একবার মুনের দিকে তাকিয়ে রোদের কাছে যায়
আরিয়ান : সরি রে আমি বুঝতে পারিনি
রোদ : ঠিক আছে বল কেনো আসছিস ?
আরিয়ান : আমি আর বেশি দিন থাকতে পারবো না কিছু দিন থেকে চলে যেতে হবে বিজনেস এর কাজে
রোদ : কিন্ত
আরিয়ান : কোনো কিন্ত না প্লিজ দোস্ত বুঝ
রোদ : ওকে bt আমাদের সাথে আর কতদিন থাকবি ?
আরিয়ান : ১ সপ্তাহ
রোদ : ওকে
মুন ঘরে এসে সব কিছু গুচাচ্ছে আর ভাবছে
মুন: আচ্ছা ওই লোকটা আমার দিকে ওমন ভাবে তাকায় কেনো ? কেনো যেনো উনার দৃষ্টি আমার মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না মন হচ্ছে এই দৃষ্টি দিয়ে সবাই কে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবে
মুন এসব ভাবছে তখনই ওর কাঁধে কেউ হাত রাখে মুন অনেকটা চমকে যায়। মুন পিছনে তাকিয়ে দেখে রানী দাড়িয়ে আছে
রানী : কীরে কি ভাবছিস ?
মুন: কই কিছু না তো তুমি বলো তোমার ঝগড় শেষ ( মেকি হাসি দিয়ে)
রানী: কথা ঘোরানোর চেষ্টা করিস না বল কি হলো
মুন: আপু ওই আরিয়ান নামের লোকটাকে আমার সুবিধার মনে হচ্ছে না কেমন করে যেনো তাকায়
রানী: ধুর ও খুব ভালো ছেলে রোদের মত আর ওর গার্লফ্রেন্ড ও আছে
মুন: তাও কেনো যেনো আমার ঠিক মনে হচ্ছে না কিছু তো একটা হবে আমার মন বলছে
রানী: ঘুরার ডিম হবে তুই সারাদিন ওসব নিয়ে ভাবিস তাই তোর ওমন হচ্ছে কাল থেকে আমি তোকে নিয়ে ঘুরতে যাব দেখবি মন হালকা হয়ে যাবে
মুন: কিন্ত রোদ কি যেতে দেবে( মন খারাপ করে)
রানী: রোদকে বুঝানোর দায়িত্ব আমার তুই এখন ঘরে যা সবাইকে ডেকে নিয়ে আয়
মুন: আচ্ছা
মুন ঘরে গিয়ে দেখে রোদ লেপটপে বসে কাজ করছে
মুন: শুনছেন
রোদ : বলো
মুন: খাবার রেডী চলুন
রোদ : একটু বসো আমি এই কাজ টুকু করে যাচ্ছি
মুনের আর কি গিয়ে রোদের পাশে বসলো
মুনের মাথা থেকে তো ওই কথা বের হচ্ছে না আরিয়ানের ওই তাকানো কেনো যেনো মুনকে খুব ভাবাচ্ছে
রোদ : কি হলো কি ভাবছো ?
মুন: রোদ আমি বলছি কি আপনার বন্ধু আরিয়ান কেমন ছেলে ?
রোদ : কেমন ছেলে আবার কি ভালো ছেলে ( কাজ করতে করতে)
মুন: না এমনি বললাম উনার সাথে তো তেমন কথা বলিনা রাজ ভাইয়া যেমন মিশুক তাই বলছি
রোদ: আরিয়ান একটু ওমনি ও যে কখনো কি করে টা কেউ বুঝতে পারে না ও এমনি খুব চঞ্চল কিন্ত যখন শান্ত থাকে মানে কিছু প্ল্যান করছে (হালকা হেসে)
শেষের কথা শুনে মুনের বুকে কেমন ঢুক করে উঠলো
মুন: তাহলে কি কোনো বিপদ আসতে যাচ্ছে না না আমি একটু বেশি ভাবছি কিছু হবে না (মনে মনে)
মুন রোদের দিকে তাকিয়ে রোদকে জড়িয়ে ধরলো ।
রোদ : কি হলো
মুন: কিছু না আপনি সব সময় এমন থাকবেন আর আমাকে আপনার কাছে শক্ত করে বেঁধে রাখবেন কখনো ছাড়বেন না
রোদ ল্যাপটপ রেখে মুনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে
রোদ : আজ হটাৎ কি হলো ?
মুন: কিছু না আমি সারাজীবন আপনার আছে থাকতে যাই সুখে দুঃখে সব সময় আপনার পাসে থাকতে চাই এভাবে শক্ত করে সারাজীবন ধরে রাখবেন ?
রোদ : পাগলী তুমি ছাড়া আমার কে আছে বলো তো তুমাতেই তো আমার সব
রোদের মাথায় হাত বুলিয়ে
মুন: রোদ আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে আমি আপনার বুকে আর মাথা রাখতে পারবো না আপনার সাথে আর সময় কাটাতে পারবো না আমি
রোদ : হুশ কি যা টা বলছো ওসব তোমার ভুল ধারণা । ওসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দাও
মুন: হ্ন
২জনেই কিছুক্ষণ চুপ
রোদ : খেতে যেতে হবে তো
মুন: হুম
রোদ আর কিছু না বলে মুনকে কোলে নিয়ে নিচে যেতে থাকে
মুন : এই কি করছেন কি সবাই আছে তো প্লিজ নামান
রোদ : সবাই থাকুক তাতে আমার কি আমি আমার বউকে নিয়ে যাচ্ছি অন্য কাউকে তো না
মুন তো লজ্জায় রোদের বুকে মিশে আছে ।
রোদ মুনকে নিয়ে গিয়ে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিল
রানী : বাবা কত ভালোবাসা
আর একজন ( রাজের দিকে তাকিয়ে)
মুন লজ্জায় মাথা নিচু করে রেখেছে । একটু পর আরিয়ান আসলো
সবাই খাওয়া শুরু করলো
রানী : রোদ কালকে আমি মুনকে নিয়ে একটু বের হবো তুমি কি বলো ?
রোদ কিছুক্ষণ ভেবে মুনের দিকে তাকিয়ে বলে
রোদ : আচ্ছা ড্রাইভার পাঠিয়ে দেবো
মুন তো ভেবেছিল রোদ যেতে দেবে না মুন হা করে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে ।
রোদ : অভাবে তাকিও না প্রেমে পড়ে যাবে
মুন চোখ সরিয়ে নেয়।
।
।
।
এভাবে খাওয়া শেষ হলো
রাতে মুন শুয়ে শুয়ে ওসব ভাবছে রোদ এসে ল্যাপটপ নিয়ে বসে ।
মুনের তো ইচ্ছা করছে রোদের মাথা ফাটাতে । নিজেকে কন্ট্রোল করে মুন রোদের কাছে গেলো । রোদের কাধে মাথা রাখলো
মুন : আচ্ছা রোদ আমরা তো কোথাও ঘুরতে যাইনি বিয়ের পর একদিন ঘুরতে যাবেন
রোদ : আমি একটু কাজ করছি এই বিষয় নিয়ে অন্য দিন কথা হবে
মুনের তো ল্যাপটপ টা আছার মেরে ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছা করছে ।
মুন ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ের সাথে রোদ কথা বলছে হেসে হেসে ।
মুনের তো মাথা গরম হয়ে গেলো নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে রোদের কাছ থেকে ল্যাপটপ নিয়ে বলে।
মুন : এসব কি আপনি এই কাজে ব্যাস্ত ( রেগে)
রোদ : আরে কি করছো দাও কাজটা করতে দেবে তো
মুন : না দেবো না আগে আপনি বলুন এর সাথে আপনার কিসের সম্পর্ক ?
রোদ : আরে ও আমার এসিটেন্ট নেহা তোমাকে বলেছিলাম না
মুন: সে যাই হোক আপনি ওর সাথে এতো হেসে হেসে কথা কেনো বলবেন আমার সাথে তো কখন বলেন না গার্লফ্রেন্ড হয় আপনার ?
রোদ : দেখ মুন রাগীয়ও না ল্যাপটপটা দাও (রেগে)
মুন: না দেবো না কিছুতেই দেবো না আজ এটা আমি ভেঙ্গে ফেলবো
মুন ল্যাপটপ নিয়ে বারান্দায় যেতে গেলে রোদ মুনের হাত ধরে নিজের কাছে টেনে ল্যাপটপটা বিছানায় থুয়ে বলে
রোদ : কি হয়েছে কি পাগলামি করছো তুমি জানো না আমি কেমন তাও কেনো রাগিয়ে দিচ্ছ হুম
মুন : আপনি আমাকে ঠকাতে চাইছেন না তো ওই মেয়ের সাথে আপনি ওতো হেসে হেসে কেনো কথা বললেন হুম
রোদ : আরে কাজের বেপারে কথা বলছিলাম তখনই একটা জোক মনে পড়লো ..আর আমি হেসে কথা বলি তাতে তোমার কি হুম ( দুষ্টুমি করে)
মুন: সত্যি করে বলেন তো আপনার gf আছে কি নেই ?
রোদ : gf তো অনেক আছে কোনটার কথা বলবো (চোখ মেরে)
মুন রোদের কলার ধরে টানতে টানতে রুমের বাইরে দার করিয়ে বলে
মুন: আজ রাতে বাইরে থাক নাহলে কোনো গার্লফ্রেন্ড এর কাছে যা
বলে দরজা লাগিয়ে দিল
রোদ : what was that ?
রাজ: that was বউ বাইরে যত বাহাদুরি দেখাও না কেনো ঘরে এসে তোমার সব শেষ
রোদ পিছনে তাকিয়ে দেখে রাজ
রোদ : shut up এই মেয়েকে তো
রাজ : থাক আর কিছু বলতে হবে না এবার চলেন আরিয়ানের রুমে যাই
রোদ : তুই কেনো যাবি ( ভ্রু কুচকে )
রাজ : আপনি যেমন আমি ও তেমন । মুন জা করছে সব আমার বউএর টেনিং দেওয়া
রোদ : একে পরে দেখে নেবো
রোদ আর রাজ আরিয়ানের রুমে গেলো
আরিয়ান তো ২জনকে দেখে অবাক
আরিয়ান : কি ব্যাপার তোরা এখন ?
রোদ : কেনো আসতে পারিনা
রাজ : আজ আমরা তোর সাথে ঘুমাবো কত দিন পর দেখা
আরিয়ান : এ তো ভালো কথা কিন্ত কিছু তো একটা অন্যরকম লাগছে
রোদ : সামনে থেকে সর ঘুমাতে দে । আর দরজা আটকানোর দরকার নেই চাপিয়ে দে
আরিয়ান দরজা চাপিয়ে দিয়ে রুমে এসে ওদের পাশে বসে
আরিয়ান : কি হলো?
রাজ : ঘুমাতে দে তো বিয়ে কর পরে বুঝবি
আরিয়ান এতক্ষণে বুঝলো
আরিয়ান : আচ্ছা ঘুমা
৩জন শুয়ে পরলো
।
।
।
মুন ঘরে পাইচারি করছে
মুন: ধুর ঝকের বসে কি করে ফেললাম । রানী আপু সবাই তো বলে উনি কোনো মেয়ের দিকে তাকায় না আমি যে কি করি আমি তো উনাকে চিনি ধুর রুম থেকে বের করে ঠিক করিনি
মুন এসব ভাবছে আর পাইচারী করছে
মুন : না অনেক হলো এখন গিয়ে নিয়ে আসি উনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না । হয়ত আরিয়ান ভাইয়ার রুমে আছে।
মুন ঘর থেকে বেরিয়ে আরিয়ানের রুমের সামনে যায়
এদিকে
রোদের তো ঘুম আসছে না
রোদ : ধুর মেয়েটা আমার নেশার মত কাজ করছে ওকে ছাড়া ঘুমই আসছে না ( মনে মনে)
রোদ এপাশ ওপাশ করছে । মুন আস্তে করে রুমে ঢুকে পড়ে
মুন : এই এখানে রাজ ভাইয়া কেনো ওহ তার মানে রাজ ভাইয়াকে ও সে যাই হোক উনি কোথায় ওই তো
মুন আস্তে করে রোদের পাশে গিয়ে বসে । মুন রোদকে ডাকছে কিন্ত সাড়া নেই
রোদ : এই তো আসছে জানতাম আসবে তাই তো দরজা খুলা রাখছি ( মনে মনে)
মুন : ধুর বাবা উঠে না কেনো আমি ঘুমাতে পারছি না আর উনি
মুন রোদের মাথা হাত দিয়ে চেপে রোদের ঠোঁটে ভালোবাসার পরশ দেয়। রোদ চোখ খুলে তাকায় । মুন কান ধরে বলে
মুন: সরি প্লিজ চলুন
রোদ আশে পাসে দেখে মুনের হাত ধরে বাইরে নিয়ে আসে
রোদ : কি সমস্যা কি ?
মুন : সরি প্লিজ রুমে চলুন আর কখনো এমন করবো না প্লিজ
রোদ : তুমি যাও ঘুমিয়ে পড়ে আমাকে ও ঘুমাতে দাও ( রেগে)
মুন রোদকে জড়িয়ে ধরলো
মুন: আপনি ওমন করছেন কেনো আপনি জানেন না আপনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারিনা আপনি ওসব না বললে আমি কি এমন করতাম সরি বললাম তো প্লিজ চলুন
রোদ কিছু না বলে মুনকে কোলে নিয়ে রুমে এসে শুয়ে দেয়
রোদ : এবার বলো কি বলছিলে ?(গম্ভীর গলায়)
মুন : সরি ( কাদ কাদ ফেস করে)
রোদ : ঘুমাও আমি গেলাম
মুন রোদের কলার ধরে টান দিয়ে নিজের একদম কাছে এসে ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয় । রোদ তো just অবাক
কিছুক্ষণ পর মুন রোদকে ছেরে রোদের বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ে
মুন : এটাই আমার জায়গায় এখানে থেকে আমাকে কেউ সরাতে পারবে না বুঝছেন
রোদ ও মুনকে জড়িয়ে ধরে
গল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৭
২জনেই চুপ মুনের তো ঘুম আসছে না আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।
কিছুক্ষণ পর
মুন: আচ্ছা রোদ একটা কথা বলবো ?
রোদ: হুম ( কপালে ভালোবাসা দিয়ে)
মুন: আপনি অনেক আপনার বেপারে কিছু কখনো বলেন না কেনো আপনার ফ্যামিলি ফ্রেন্ডস ?
রোদ : বলার মত তেমন কথা না তাই ( গম্ভীর হয়ে)
মুন: আজ তো বলুন আপনার সব কিছুর উপর আমার অধিকার আছে তাহলে বলুন না আপনার ছোটবেলা কেমন কেটেছিল আপনার দেশের বাড়ি কোথায় ?
রোদ : মুন আমি তোমাকে যা বলার টা বলছি এর বেশি আর কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছি না আর আমি তোমাকে এর আগে ও বলেছি এসব ব্যাপার নিয়ে কোনো কথা আমি শুনতে চাইনা আজ ২দিন কিছু বলছি না বলে অনেক বেড়ে গেছে যখন যা ভালো লাগছে তাই করছি ( অনেকটা রেগে )
মুন: আমি তো just এমনি
রোদ : just shut up আমি তোমার মুখ থেকে আর কোনো কথা শুনতে চাইনা (ঝাড়ি দিয়ে)
রোদ উঠে বেলকনিতে চলে গেলো
মুন: আমি কি উনাকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি এত রেগে গেলো কেনো কি আছে উনার অতীতে যা আমি জানিনা ওই ডাইরি টা খুলতে পারলে সব বুঝা যাবে। এখন রোদের রাগ ভাঙ্গাতে হবে (মনে মনে)
মুন উঠে বেলকনিতে যায় পিছন থেকে রোদকে জড়িয়ে ধরে
রোদ নিজের চোখের পানি মুছে গম্ভীর হয়ে বলে
রোদ : মুন যাও ঘুমিয়ে পরো অনেক রাত হয়েছে
মুন: না আপনি চলুন
রোদ : তোমার ফালতু জেদ কিন্ত আমার আর সহ্য হচ্ছে না আমাকে রাগীও না ( রেগে)
মুন: i am sorry আমি আর কখনো ওসব নিয়ে কথা বলবো প্লিজ সত্যি বলছি আমার ওসব আর জানার দরকার নেই আপনি সাথে থাকলেই হচ্ছে ( কাদতে কাদতে)
রোদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে মুনের হাত ধরে সামনে নিয়ে এসে বলে
রোদ : next টাইম ওসব কথা যেনো তোমার মাথায় না থাকে আমরা যেমন আছি সুখে আছি । তোমাকে পৃথিবীর সব সুখ আমি দেবো কিন্ত আমার কথার অবাধ্য হলে সব থেকে খারাপ রূপ দেখবে ( মুনের চোখের পানি মুছে দিয়ে )
মনে থাকবে তো?
মুন মাথা নাড়লো ।
রোদ : যাও এবার শুয়ে পরো
মুন: আপনি
রোদ : আমি তোমাকে যেতে বলেছি ( রেগে)
মুন কিছুক্ষণ রোদের দিকে তাকিয়ে বলে রুমে গিয়ে শুয়ে পর
রোদ আকাশের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে
রোদ : তোমাকে আমি ভালোবাসি কিন্ত সেটা বুঝতে দেবো না যা একবার হয়ে গেছে তা আর দ্বিতীয় বার হতে দেবো না কিছুতেই নেই
মুন ঘরে এপাশ ওপাশ করছে
মুন: ধুর ছাতা ঘুম আসে না কেনো ?
( সারাদিন ঘুমাতে কে বলছে এবার বোঝ তবে সাইন্স এর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পড় ঘুম আসবে )
রোদ কে রুমে আসতে দেখে মুন চোখ বুঝে নেয়। রোদ মুনের পাশে এসে শুয়ে পড়ে
রোদ : এখন ও ঘুমাওনি কেনো ?
মুন…
রোদ : আমি জানি তুমি জেগে আছ
মুন..
রোদ : কথা কানে যায় না এদিকে এসো
মুন…
রোদ না পেরে মুনকে বুকের সাথে জড়িয়ে নেয় । মুন ও রোদের বুকের ঘুমিয়ে পড়ে।
(ঢং দেখে বাচি না এতক্ষণ ঘুম আসছিলো না রোদের কাছে গিয়ের ঘুম আসলো রোদ কি ঘুমের ওষুধ আজব)
।
।
।
সকালে
মুন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রানীর কাছে যায়
রানী : ঘুম হলো ?
মুন: হুম আপু কাল রাতে রাজ ভাইয়া কোথায় ছিল ?
রানী : কেনো তোকে কিছু বলছে ( ভ্রু কুচকে)
মুন: না কাল বাইরে দেখলাম তাই (মেকি হাসি দিয়ে)
রানী: কাল ঘরে ঢুকতে দীনাই ?
মুন: কেনো ?
রানী : কাল আমায় বলছে আর একটা বিয়ে করবে আমার জ্বালা উনার সহ্য হচ্ছে না
মুন : ভাইয়া কিন্ত তোমাকে খুব ভালোবাসি
রাণী: চুপ কর ত জানা আছে
মুন কিছু বলতে যাবে তাকিয়ে দেখে রাজ ওকে ইশারা করছে মুন রাজের কাছে যায়
মুন: কিছু লাগবে ভাইয়া ?
রাজ : না মানে তুমি একটু রোদকে ডেকে আনো
মুন: আচ্ছা বুঝছি আপনি চালিয়ে জান আমি distrub করবো না
রাজ : এই না হলে আমার বোন
মুন: জান দেখেন রেগে আছে
রাজ : আচ্ছা
রাজ আস্তে করে রানীর কাছে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে
রাণী: মুন ছার
রাজ : আমাকে মুন বানিয়ে দিলে?
রানী: তুমি এখানে কি করছ ছার বলছি
রাজ : না আমি আমার বউকে ধরছি তোমার কি ?
রানী: কেনো তুমি না আর একটা বিয়ে করবে (রেগে)
রাজ: আর একটা বিয়ে করবো কেনো এটাই যতেষ্ট তবে ভাবছি নিউ মেম্বার আনবো (দুষ্টু হাসি দিয়ে)
রাণী: মানে?
রাজ: মানে ভাবছি তোমার একটা সঙ্গী আনবো
রানী: কি যা তা বলছো (রেগে)
রাজ: সব সময় রেগে থাকলে বুঝবে কি করে আমি বলছি একটা বেবি নিতে হবে অনেক দিন তো হলো
রানী চুপ করে আছে
রাজ : চুপ করা সম্মতির লক্ষণ
রানী: এই তুমি যাও তো
রাজ : ঠিক আছে তবে আজ থেকে বেবি প্ল্যানিং করতে হবে (চোখ টিপ দিয়ে)
।
।
।
মুন হেটে যাচ্ছে তখনই পিছন থেকে আরিয়ান ডাক দেয় মুন বিরক্তি নিয়ে দাড়িয়ে আছে
আরিয়ান : আমি জানি ভাবি আপনি আমার চোখের ভাষা বুঝতে পারছেন কিন্ত আমি ওভাবে বুঝাতে চাইনি আর আজকের পর থেকে আমি আপনার উপর ভাবির চোখে দেখবো আমার ভুল ছিল পারলে মাপ করে দিবেন আর হা আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি তার সাথে আপনার কিছু মিল আছে তাই আমি আপনার মাঝে তাকে দেখছিলাম কিছু মনে করবেন না সরি
আরিয়ান চলে গেলো মুনের কেনো যেনো কথা গুলো বিশ্বাস হলো না
মুন: সত্যি বললেন তো সত্যি বলতে তো বললো তো অন্য কাউকে ভালোবাসে
মুন নাচতে নাচতে ঘরে গিয়ে দেখে রোদ এখন ও ঘুমাচ্ছে
মুন: এই ছেলেটা কে আমি খেয়ে ফেলবো কি কিউট
মুন রোদের উপর বসে রোদের চুল ধরে টানতে লাগলো
মুন: এই যে শুনছেন উঠুন অনেক বেলা হইছে উঠুন ( চুল ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে)
রোদ পিট পিট করে চোখ খুলে মুনকে বলে
রোদ : আমি যদি এখন উঠি ত তোমার কি হবে বুঝছো তো তাই প্লিজ জান ঘুমাতে দাও
মুন: অনেক বেলা হইছে অফিসে যাবেন না উঠুন না
রোদ : উফফ তোমাকে নিয়ে আর পারি না
মুন: এবার উঠুন
মুন রোদের বুক থেকে উঠে পরে রোদ চোখ ডলতে ডলতে বাথরুমে যায়
একবারে গোসল করে বেরিয়ে দেখে মুন বসে বসে চকোলেট খাচ্ছে ।
রোদ : খাবার রেডী ?
আয়নায় চুল ঠিক করতে করতে
মুন: আপু রান্না করছে ।
রোদ : তুমি এখানে কেনো রানীকে হেল্প করো
মুন: আপুকে হেল্প করার জন্য ভাইয়া আছে ।
মুন কিছু একটা ভেবে বলে
মুন: আচ্ছা রোদ আপুরা আমাদের সাথে থাকলে কেমন হবে বাড়িতে আমি একা থাকি আপু থাকলে একটু ভালো লাগতো
রোদ : কথাটা খারাপ বলনি দেখি রাজের সাথে কথা বলে
মুন: সত্যি ( খুশিতে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে)
রোদ : হুম চলো
রোদ আর মুন এক সাথে বেরিয়ে খাবার টেবিলে বসলো
সবাই খাচ্ছে মুন আরিয়ানকে পাত্তা দিচ্ছে না । মুন রোদকে ইশারা করে ওই কথা বলতে বলছে
রোদ : রাজ আমি একটা কথা ভাবছি
রাজ : হা বল
রোদ : রাজ তুই আর আমি তো অফিসে থাকি আর রানি আর মুন তো বাড়িতে একা থাকে
রাজ : আমি ও ওটা ভাবছিলাম তোর কথা হবে আমরা তোদের বাসায় এসে থাকবো
মুন: কি মজা ( খুশিতে বলতে গিয়ে খাবার নাকে মুখে উঠে যায় )
রোদ : শেষ haha হিহি ( রেগে)
রানী : আরে পানি খা
রোদ মুনকে পানি খাইয়ে দিয়ে নিজে হাতে খাওয়াতে লাগে
রোদ : খাওয়ার সময় এতো কথা কিসের
মুন মাথা নিচু করে খেতে লাগলো । রাজ আর রানি ওদের দেখে মিটমিট করে হাসছে । আরিয়ান এর কেনো যেনো এসব সহ্য হচ্ছে না
।
।
।
খাওয়া শেষে
রোদ রাজ অফিসে চলে গেলো । কিছুক্ষণ পর রানী আর মুন রেডী হয়ে বেড়াতে চলে গেলো।
রানী : চল মুন কিছু শপিং করে আসি আমার অনেক কিছু কিনতে হবে
মুন : আচ্ছা চলো
মুন আর রানি দুপুর থেকে শপিং করছে রানীর তো শেষ হচ্ছে এদিকে মুনের বেচারার অবস্থা কাহিল
রানী : কীরে মুন তোর কষ্ট হচ্ছে ?(চিন্তিত হয়ে)
মুন: না আপু অনেক দিন পর বেড়িয়েছি তাই একটু হাপিয়ে গিছি
রানী : তাহলে তুই রেস্টুরেন্ট গিয়ে বস আমি আসছি
মুন: আপু আমি একটু উনার অফিসে যাবো
রানী : আচ্ছা ঠিক আছে যা আমি ও রাজকে ফোন করে আস্তে বলছি তুই গাড়ি নিয়ে যা
মুন মাথা নেড়ে গাড়িতে উঠে বসে
কিছুক্ষণ এর মধ্যে রোদের অফিসে চলে আসে । মুন ভিতরে গিয়ে ম্যানেজার এর কাছ থেকে রোদের কেবিন এ গিয়ে দেখে রোদ অন্য দিকে ফিরে আছে
মুন পা টিপে টিপে গিয়ে পিছন থেকে চোখ ধরে । মুনের হাত ধরে সামনে নিয়ে আসে।
মুন সামনে থেকে দেখে ওর আত্মা কেপে উঠে
চলবে
( সরি এক্সাম এর জন্য লেট হলো এবার থেকে প্রতি মঙ্গল বারে আমার এক্সাম ওই দিন লেট করে স্টোরি দেবো । আজ অনেক চাপে ছিলাম লিখার কোনো ইচ্ছা নেই তাই ছোটো করে দিলাম সরি কাল বড়ো করে দেবো
হ্যাপী রিডিং)
চলবে