October Darkness পর্ব এক

October Darkness
পর্ব এক
তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)

🍁

1920 Year,19th October

গভীর রাত্রে ১৯শতকের সবচেয়ে লেটেস্ট মডেলের গাড়ি নিয়ে চালিয়ে আসছে ১৯বছরের এক যুবক..এক হাতে তার টাকিলার বোতল, অন্য হাতে দিয়ে ড্রাইভ করছে..গভীর জঙ্গলের মাঝে রাস্তা দিয়ে চালাচ্ছে সে,বড্ড সাহস আছে তার..দুই পাশে কি বড় বড় সারি সারি গাছ আছে,কেমন অদ্ভুত সাউন্ড আসছে জঙ্গলের ভিতর থেকে।।

১৯বছরের যুবকের মনে খুব অশান্তি এইজন্য মদ গিলে লেট নাইট ক্লাবে পার্টি শেষ করে এইভাবে আসছে কারন তার বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে আজকে,আমেরিকাতে এটাতে যদিও নতুন কিছু নেয়..ছোট থেকে সে তার বাবা মাকে পায় নি,তার থেকে আলাদা ছিল তারা কিন্তু একসাথে ভ্যাকেশনে দেখা মিলতো না..এখন তার বাবা অন্য কাওকে ভালোবাসে সেইজন্য তার মা কে ছেড়ে দিলো,তার মা ও একটা পরকীয়াতে জড়িয়ে গেছে যে লোক উচ্চবিত্ত লোক,তারও স্ত্রী সন্তান আছে কিন্তু তার মা মোহে পরে ওই লোকের কাছে যেয়ে তার প্রাক্তন স্বামীকে ডিভোর্স দিলো।।

১৯বছর যুবকের নাম এডউইন লিয়াম,দেশের নামকরা এক বিজনেসের লোকের ছেলে হিসেবে পরিচিত হলেও বাবা মায়ের স্নেহ কখনো পায় নি এডউইন..গাড়ি চালাতে চালাতে সে দেখলো তার সামনে আকাশ থেকে এক লোক লাফ দিয়ে নামলো,আকস্মিকভাবে সে ব্রেক কষে ফেললো,ভিতর তার ভয়ে ধুকপুক করছে..সামনে থাকা ব্যক্তিটি হুডি পরে আছে।।

এডউইন গাড়ি থেকে নেমে টলতে টলতে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো,

“হু আর ইউ”।।

১৯২০সালের আলখোল্লা পরা হুডি পরা ব্যক্তিটি কিছু না বললে,সুড়ুৎ করে এডউইনের কাছে আসলো..এডউইনের ভয়ে চোখ কপালে..এতো দ্রুত কিভাবে আসলো সে??।।

“লিসেন!!” এডউইন কিছু বলতে যাবে,তার আগেই জঙ্গলের একটা গাছে এডউইনকে টেনে নিয়ে যেয়ে হুডি উঠিয়ে নিজের বড় বড় দাঁত দুটো বের করলো।।

লোকটির রক্তিম চোখ আর এরকম ভয়ালো দাঁত দেখে এডউইন আঁতকে উঠেও নিজেকে ছুড়ানোর আপ্রান চেষ্টা করলো,কিন্তু পারছে না সে নিজেকে ছুটাতে..এডউইন ঘেমে-নেয়ে একাকার.. লোকটি এতোক্ষন এডউইনের এমন কাজ দেখছিলো তখনি টুক করে এডউইনেএ ঘাড়ে তার বিশাল দাঁত বসিয়ে দিলো,এডউইনের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে..রক্ত সব শুষে নিচ্ছে ব্যক্তিটি..এক সময় হাত পা ছুড়া এডউইন নেতিয়ে পরলো এডউইন,চোখের খোলা অবস্থায় নিচে পরে আছে আমেরিকার নামীদামী বিজনেস ম্যানের একমাত্র পুত্র এডউইন..লোকটি এডউইনকে ওই অবস্থায় ফেলে চলে গেলো সেখান থেকে।।

ব্রেকিং নিউজ,

ব্রুস লিয়াম আর তার প্রাক্তন স্ত্রী লিলির একমাত্র সন্তানের লাশের দেহ এখনো খুজে পাচ্ছে না,গাড়িটি জঙ্গলের গভীর খাঁদে পরে আছে,এতো উপর থেকে পরেও কেও বাঁঁচবেনা সবাই জানে কিন্তু পুলিশ ফোর্স তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।।

সকাল থেকে এরকম হরেক চ্যানেলে এই নিউজ প্রচার করা হচ্ছে কিন্তু এডউইনের বাবা মায়ের কোন মাথাব্যাথা নেই,তারা নিজেদের পার্টনাদের নিয়ে ডান্স করতে ব্যস্ত হয়ে গেলো কেও জানতে পারলো না কি হয়েছে ১৯২০সালের ১৯অক্টোবরে,প্রানবন্ত ১৯বছরের যুবক উধাও হয়ে গেলো কিভাবে??

২০২০সাল,

“উফফ মিলি তাড়াতাড়ি কর” একটা কিশোরী হন্তদন্ত হয়ে এয়ারপোর্টে নিজের ট্রলি ব্যাগ টানছে আর তার পাশে থাকা কাজিনকে বলছে।।

“উফফ!!আয়রা আপু তুমি আমাকে দিয়ে সব কাজ করাও, দাড়াও দাদীকে যেয়ে আজ বলবো” মিলি নাক ফুলিয়ে বললো।।

“বলিস!!তাড়াতাড়ি চল নইত ফ্লাইট মিস হয়ে যাবে,তোর মতো মেয়েকেই মামা যে কেনো পাঠালো আমাকে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা নিয়ে যেতে..কিছু জানিস না” আয়রা মুখ ফুলিয়ে বললো।।

“আপুউউ” মিলি একটু চিৎকার দিয়ে বললো..আয়রা ফিক করে হেসে মিলির মাথায় গাট্টা মেরে বললো মুভ অন করতে,নিজের পাসপোর্ট চেইকিং দিয়ে, প্লেনে উঠে পরলো তারা…পাঁচ মিনিট পর প্লেন উড়াল দিবে আমেরিকার নামক বিদেশে।।

আহিয়্যাত ইসলাম আয়রা ১৮বছর কিশোরী.. এইবার এইচ.এস.সি দিয়েছে..তার সাথে যে আছে তার মামাতো বোন..বাবা মা কে হারিয়েছে ১২ বছর বয়সে,নিজেদের বিবাহবার্ষিকীর দিনে দুইজন কার এক্সিডেন্টে প্রান হারায়..ছোট থেকে নানীর কাছে মানুষ হয়েছে,তার মামা কিছুদিন আগে তার মাকে নিয়ে চলে গিয়েছে,আয়রার ভিসা তখন হয় নি বলে যেতে পারে নি সে..সে তার চাচার বাসায় ছিলো যদিও কিন্তু তার নানী কল দিয়ে হয়রান হয়ে যেতো কারন আয়রা তার নানীর জান..আয়রাকে নিয়ে তার সব চিন্তা..এইতো এয়ারপোর্ট আসার আগ দিয়েও কতবার কল করলো উনি হিসেব নেয় তার।।

আয়রা তার প্লেনের সিটে বসে তাকিয়ে আছে জানাল্র দিকে,প্রথমবার উঠছে সে..বুক ধুকপুক করলেও রাতের আধাঁরে কালো মেঘ দেখে আর তার ভয় লাগে না।।

চলবে🍁

নতুন গল্পের প্রথম পার্ট দিলাম বলতে গেলে ট্রেলার ও..রঙধনু শেষ হইলে এটা শুরু করবো,কেমন হয়েছে জানাবেন..ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here