The_Terrible_LoverLover part 19

#The_Terrible_Lover
#অদ্রিতা_জান্নাত
#পর্ব__১৯

ড্রাইভিং সিটের দিকে চোখ পরতেই অবাক হয়ে গেলাম ৷ মুখ থেকে অস্ফুটস্বরে বেরিয়ে এলো,,,,,,,

— সায়ান তুমি?? (অবাক হয়ে)

সায়ান : তো কাকে আশা করেছিলি?

কাশফিয়া : এভাবে গাড়িতে বসানোর মানে কি?

সায়ান : মানে আছে ৷ তাই বসিয়েছি ৷

কাশফিয়া : না ৷ তোমার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা করছে না আমার ৷

এটা বলে দরজা খুলে নামতে গেলে ৷ সায়ান হাত টান দিয়ে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিল ৷ একহাতে ড্রাইভ করছে অন্য হাত আমার হাত চেপে ধরে আছে ৷

কাশফিয়া : গাড়ি থামাও ৷ কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাকে? হাত ছাড়ো ৷

সায়ান : চুপ করে বস তুই ৷

কাশফিয়া : কেন? গাড়ি থামাতে বলছি আমি তোমাকে ৷ কানে যাচ্ছে না কথা? কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাকে?

সায়ান : বিয়ে করতে ৷

কাশফিয়া : কিইই?? (অবাক হয়ে) সায়ান আর ইউ ম্যাড? কি বলছো এসব তুমি? গাড়ি থামাও ৷ তুমি জানোনা আমি বিবাহিত?

সায়ান : সো হোয়াট? ওই আরিহান তোকে জোড় করে বিয়ে করেছে ৷

কাশফিয়া : হুম জানি ৷ এতোই যদি ভালোবাসো আমাকে তাহলে কেন আসোনি সেদিন? কেন ওইদিন আরিহান তোমার জায়গায় ছিল ৷ কেন তুমি আরিহানের জায়গায় ছিলে না বলো?

সায়ান : তোকে বলতে বাধ্য নই আমি ৷

কাশফিয়া : হুম সেই তো ৷ কীভাবে বলবে? বলার মতো মুখ আছে তোমার?

সায়ান গাড়ি ব্রেক করে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,,

সায়ান : মানে?

কাশফিয়া : আমি ভুল মানুষকে ভালোবেসেছিলাম সায়ান ৷ যার কাছে আমার কোনো মূল্যই নেই ৷ কি করে করতে পারলে তুমি এরকম একটা কাজ? একবারো বিবেকে বাঁধে নি তোমার?

সায়ান : কককিসের কথা বলছিস তুই?

কাশফিয়া : সত্যি কি তুমি বুঝতে পারছো না? আচ্ছা সেটা নাহয় বাদ দিলাম ৷ তুমি আমাকে আদো ভালোবাসো সায়ান? যদি বাসো তাহলে তোমার এই ভালোবাসা কোথায় ছিল এতদিন? বিয়ে হয়ে গিয়েছে শুনেও এলে না একবারও ৷ নামে মাত্র ভালোবাসো আমায় ৷

সায়ান : কাশফি আমাকে বিশ্বাস কর ৷ আমার একটা কাজ পরে গিয়েছিল ৷ তাই আসতে পারি নি ৷ কিন্তু দূর থেকে তোর খেয়াল রেখেছি ৷

কাশফিয়া : আমার থেকে তোমার কাজ বেশি বড় হয়ে গেলো না? তুমি আমার খেয়াল রেখেছো? নাকি ডিপ্রেশনে ফেলেছো? রাস্তায় রাস্তায় তোমাকে দেখতাম ৷ ভুল বলতেও পারতাম না ৷ তোমার থেকে আরিহান আমার খেয়াল রেখেছে অনেক ৷ আসলে তুমি আমায় ভালোই বাসো না ৷ ভালো তো বাসে আমাকে আরিহান ৷ পাগলের মতো ভালোবাসে আমাকে ৷ তবুও নিজের থেকে দূরে রেখেছি ৷ কেন জানো? তোমার অপেক্ষায়? কিন্তু তুমি এরকম একটা কাজ করার পর তোমার প্রতি আমার ভালোবাসে হারিয়ে গেছে সায়ান ৷

সায়ান : কি বলছিস এসব তুই?

কাশফিয়া : ভুল কিছুই বলি নি আমি ৷ বিশ্বাসের অযোগ্য তুমি ৷

সায়ান : তো বিশ্বাস করেছিস কাকে? ওই আরিহানকে? ও আবার যেন তোর বিশ্বাসকে না ভেঙ্গে দেয় ৷

কাশফিয়া : তাহলে আমি নিজেই ভেঙ্গে যাবো ৷

সায়ান : আমার ব্যাপারে জেনে গেছিস তুই ৷ কিন্তু এটা সত্যি যে আমি তোকে ভালোবাসি ৷ আরিহানের কাছ থেকে চলে আয় ৷

কাশফিয়া : না ৷

সায়ান : কাশফি? ও তোকে জোর করে বিয়ে করেছে ৷

কাশফিয়া : তো? তাতে কি সম্পর্কটা শেষ হয়ে যাবে?

সায়ান : সম্পর্ক শেষ হবে না কিন্তু আমি আরিহানকে শেষ করে দিব ৷

কাশফিয়া : সায়ান কি বলছো এসব তুমি? চলে যাও তুমি ৷ চলে যাও ৷ আমার জীবন অন্য কারো সাথে গেঁথে গেছে ৷ সেখানে তোমাকে ফিরে পাওয়ার সুযোগ নেই আমার কাছে ৷ চলে যাও আমার জীবন থেকে ৷ রেহাই দাও আমায় ৷

বলেই গাড়ি থেকে নেমে গেলাম ৷ সায়ান পিছন থেকে ডেকে যাচ্ছে অনবরত ৷ আমি পিছনে না তাকিয়ে ছুটে যাচ্ছি বাড়ির দিকে ৷

এদিকে…
সায়ান : আমি জানি ভালো নেই তুই ৷ তোর ভালোর জন্য সব করতে পারবো আমি ৷ আরিহানের জন্য তুই আজ কষ্ট পাচ্ছিস ৷ ছাড়বো না আরিহানকে ৷ সব শোধ নিবো ৷ আমাকে তোর কাছে খারাপ করলো তারপর আমার থেকে তোকে কেড়ে নিলো ৷ এতোকিছুর পরও আমি মুখ বুজে সব সহ্য করবো? নাহ এর একটা ব্যবস্থা করতেই হবে আমায় ৷

________________

কোনো রকমে দৌঁড়ে বাড়ি এসে নিজের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে পিঠ ঠেকে বসে পরলাম নিচে ৷ এতোদিন পর সায়ানকে দেখে পুরোনো স্মৃতিগুলো ভেসে উঠছে ৷ কিন্তু সায়ান তো অন্যায় করেছে ৷ সত্যিটা জানার পর ভালোবাসা না ঘৃণা হচ্ছে ওর প্রতি ৷ আর কোনো অন্যায় ওকে করতে দেয়া যাবে না ৷ কিছুতেই না ৷ আরিহান…হ্যাঁ আরিহানকে শেষ করে দিবে সায়ান? ভয়ে আমার হাত পা কাঁপতে লাগলো ৷ চোখ থেকে পানি পরছে ৷ আরিহান তো আইসক্রিম আনতে গিয়েছেন আমার জন্য ৷ যদি কোনো ক্ষতি করে দেয় সায়ান? না না সায়ান এতোটা নিষ্ঠুর হতে পারে না ৷ তাহলে আরিহান কোথায়? আসছেন না কেন আমার কাছে ৷ মাথাটা পুরো খালি খালি লাগছে ৷

দরজা ধাক্কানোর আওয়াজে ধ্যান ফিরলো ৷ কি ভাবছি এসব আমি? আরিহানের কিছুই হয় নি ৷ তাকে খুঁজতে যেতে হবে আমার ৷ দৌঁড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম ৷ দরজার বাহিরে আরিহানকে দেখে মুখে হাসি ফুটে উঠলো ৷ ঝাপটে গিয়ে ঝড়িয়ে ধরলাম ৷ ভয় হচ্ছিলো আমার ৷ আরিহানকে হারানোর ভয় ৷

সারা রাস্তায় কাশফিয়াকে খুঁজেও খুঁজে পাচ্ছিলো না আরিহান ৷ পাগলের মতো খুঁজেছে ৷ কিন্তু কোত্থাও পায় নি ৷ বাড়ি থেকে আখি ফোন করে জানায় যে কাশফিয়া কাদতে কাদতে দৌঁড়ে রুমে গেলো ৷ কোনো রকমে বাড়িতে আসলে দরজায় ধাক্কা দিল ৷ কাশফিয়া আরিহানকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে কেন সেটা ও নিজেই বুঝতে পারছে না ৷ এইতো একটু আগে সব ঠিক ছিল ৷ হঠাৎ কি হয়ে গেলো ৷

কাশফিয়ার কান্নার বেগ কমছে না বরং বাড়ছে ৷ ওকে ধরে নিয়ে এসে বেডে বসিয়ে আরিহান এটা, ওটা জিজ্ঞেস করছে কিন্তু ও কিছুই বলছে না ৷ চুপ করে আরিহানের বুকে মাথা রেখে ফুপিয়ে কাদছে ৷ ওর কান্না আরিহানের সহ্য হচ্ছে না ৷ ধমক দিয়ে বললো,,,,

আরিহান : কাশফিয়া কি হয়েছে? বলো আমায় ৷

কান্নার বেগ আরো বেড়ে গেলো ৷ আরিহান আমার মুখটা সামনে তুলে চোখ মুছিয়ে দিয়ে গালে হাত দিয়ে নরম সুরে বললো,,,,,

আরিহান : কাশফুল বলো ৷ নাহলে কি করে বুঝবো আমি বলো? কে কি বলেছে তোমায়? বলো আমাকে ৷

কাশফিয়া : সসসসায়ান…

আরিহান : সায়ান? সায়ান কি বলো?

কাশফিয়া : সসসায়ান…ববলেছে…আআ…আপনাকে মেরে…দদিবে…😭 (হেচকি তুলে)

আরিহান : এর জন্য এভাবে কাঁদছো তুমি?

আমার মাথাটা ওনার বুকে রেখে সাইড থেকে জড়িয়ে ধরলেন আমায় ৷ আমিও চুপ করে রইলাম ৷

আরিহান : ভালোবেসে ফেলেছো আমাকে তুমি কাশফুল ৷ তোমার না কে হ্যাঁ করে দিয়েছি আমি ৷ শুধু এখন সেটা আমাকে বললেই হবে ৷ কিন্তু তুমি কি বলবে কখনো আমায়? ভালো না বাসলে কখনোই এতো ভয় পেতেনা আমাকে নিয়ে ৷ বাচ্চাদের মতো একটা কথা শুনে এভাবে কাঁদতে না কখনোই ৷ যে ভয় তুমি করছো সেটা কখনোই সত্যি হবে না ৷ কিন্তু সায়ানকে ও কোথায় দেখলো? (–মনে মনে)

আরিহান : নাও পানিটা খেয়ে শান্ত হও ৷ আমি আছি তো নাকি? কার এত সাহস আমাদের আলাদা করবে? নাও গলাটা ভিজিয়ে নাও এবার ৷

পানির গ্লাস টা হাতে নিয়ে পুরোটা খেয়ে নিলাম ৷ আরিহান গ্লাসটা টিটেবিলে রেখে বললেন,,,,,,

আরিহান : ফ্রেশ হয়ে আসো যাও ৷ চোখ মুখের কি অবস্থা করেছো দেখেছো? আমি আসছি ফ্রেশ হয়ে নাও তুমি ৷

আমি মাথা নেড়ে ‘হুম’ বললাম ৷ উনি বাহিরে চলে গেলেন ৷ আমি বসে বসে ভাবছি ৷ হঠাৎ কি এমন হলো আমার? যে এরকম করলাম ৷ এতটা কাঁদলাম কার জন্য? এতোটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম কেন আমি? কি হয়েছিল আমার? কিচ্ছু বুঝতে পারছি না ৷ আর কিছু না ভেবে হাত মুখ ধুয়ে শুয়ে পরলাম ৷ মাথাটা বেশ ঝিম ধরে আছে কাঁদার ফলে ৷

_________________________

পরেরদিন…..
রকিং চেয়ারে বসে চোখ বন্ধ করে আছি আমি ৷ সায়ানের কথা মাথায় ঘুরঘুর করছে ৷ সকালে সায়ান ম্যাসেজ দিয়ে বলেছে ওর সাথে একবার দেখা করতে কিন্তু আমি না করে দিয়েছি ৷ মন চাইছে না ওর সঙ্গে দেখা করতে ৷ ও কি করতে চাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না ৷

মাথায় কারো স্পর্শে চোখ মেলে তাকালাম ৷ আমাকে তাকাতে দেখে আরিহান বললেন,,,,,

আরিহান : কি ভাবছো?

কাশফিয়া : কিছু না ৷

বলেই আবার চোখ বুজে নিলাম ৷ ইদানিং ক্ষনে ক্ষনে মাথা ব্যাথা করে ৷ যন্ত্রনা যেমন চারদিক দিয়ে ঘিরে রয়েছে আমার ৷ কিছুক্ষনপর নিচে হইচই, শোরগোলের শব্দ পেলাম ৷ চোখ খুলে আরিহানের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,,,

কাশফিয়া : এতো শব্দ কিসের?

আরিহান : আমিও বুঝতে পারছি না ৷ আমি দেখে আসি গিয়ে ৷

কাশফিয়া : আমিও যাবো ৷

বলেই উঠে নিচে চলে গেলাম আমরা ৷ নিচে গিয়ে সামনের দিকে তাকাতেই চোখ আটকে গেলো ৷ গ্লোডেন কালারের সিল্ক শাড়ি পরা একটা মহিলা, চুলগুলো স্ট্রেইট করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ৷ দেখে মনে হচ্ছে ২৬/২৭ বছরের যুবতী ৷ কিন্তু এই মহিলাটি আরিহানের মা বুঝতে পেরেছি আমি ৷ তার পাশে আরেকটা মেয়ে জিন্স, শার্ট, চুল গুলো উচু করে বাঁধা ৷ আর মেকআপ তো আছেই ৷

আরিহানের দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ মুখ শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছেন উনি ৷ আমার হাত শক্ত করে ধরে নিচে নেমে তাদের দিকে এগিয়ে গেলেন ৷ আরিহানের মা যে এত তাড়াতাড়ি এসে পরবে ভাবতেও পারিনি ৷ যে কিনা এই ১৯ বছরে একবারও এলেন না সে নাকি আমার এক কথায় এসে পরলেন ৷ ভাবা যায়? আরিহানের মাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে উনি কতটা রাগী আর জেদি মানুষ ৷

আরিহান ওনাদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো,,,,

আরিহান : আপনাদের কি চাই এখানে?

— আরিহান আমি তোমার মা ৷ ভদ্রভাবে কথা বলে ৷

আরিহান : জাস্ট শাট আপ ৷ আপনি আমাকে ভদ্রতা শিখাবেন? যেখানে ভদ্রতা কাকে বলে আপনি নিজেই জানেন না ৷ (চিৎকার করে)

আরিহানের চিৎকারে পুরো বাড়ি কেঁপে উঠলো ৷ বোঝাই যাচ্ছে ঠিক কতটা রাগ উঠেছে ওনার ৷ আমরা সবাই চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি ৷ কিন্তু অবাক হচ্ছি আরিহানের মাকে দেখে ৷ যার মধ্যে নেই কোনো অনুতপ্ততা, আছে শুধু রাগ ৷ উনি রাগি চোখে তাকিয়ে আছে আরিহানের দিকে আর ধমক দিয়ে বললেন,,,,

— আরিহান

আরিহান : চিৎকার করবেন না ৷ একদম না ৷ নিজের ইচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন আপনি ৷ সো নিজের ইচ্ছায় ফিরতে পারবেন না ৷ এখানে সবটা আমার ইচ্ছায় হয় ৷ ইউ গেট আউট ফ্রম হেয়ার ৷ জাস্ট গেট আউট ৷

— আমার বাড়িতে অামি এসেছি তুমি এভাবে কথা বলতে পারো না আমার সাথে ৷

আরিহান : আপনার বাড়ি? নাম লিখা আছে? যদি আপনার বাড়ি হতো তাহলে বাড়ি ছেড়ে নিজের বাচ্চাকে ফেলে কখনোই যেতেন না আপনি ৷ ড্যাড ১৯ বছর আগে যেই ভুলটা করেছো সেই ভুলটা আবার করবে?

আরিহানের বাবা চুপ করে রইলেন ৷

আরিহান : ড্যাড আমি কিছু বলছি তোমাকে ৷ ১৯ বছর আগে এই মহিলাকে আটকাও নি তুমি আর এখন এই বাড়িতে কোন সাহসে ঢুকতে দিয়েছো এই মহিলাকে? তুমি কি চাও তোমার সাথেও আমার সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যাক ৷ আবার বাড়ি ছেড়ে চলে যাই আমি? ড্যাড ৷

— নাদিয়া (আরিহানের মা) চলে যাও তুমি ৷ আমি কোনো অশান্তি চাইছি না ৷ বেরিয়ে যাও এই বাড়ি থেকে ৷

— তুমি এটা কি বলছো? (আরিহানের মা)

আরিহান : শুনেছেন? এবার চলে যান ৷ আপনার এই সো কল্ড মেয়েটাকে নিয়ে যেতে পারেন এখন ৷

— আরিহান আমার কথাটা…

আরিহান : গার্ড ডেকে ধাক্কা দিয়ে বের করবো? নাকি নিজ থেকেই বিদায় হবেন? (চিল্লিয়ে)

ওনারা পেছনে ঘুরে ব্যাগ নিয়ে হাঁটা ধরলেন ৷ আমি আরিহানের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে বললাম,,,,

কাশফিয়া : দাঁড়ান ৷ (ওরা থেমে পেছনে ঘুরলো) কেউ কোত্থাও যাবেন না ৷

আরিহান আমার হাত টেনে তার দিকে ঘুরিয়ে শক্ত গলায় বললেন,,,,

আরিহান : কি বলছো তুমি এসব?

কাশফিয়া : ওনারা এই বাড়ি থেকে চলে গেলে আমিও এই বাড়ি থেকে, আপনার থেকে দূরে চলে যাবো ৷

আরিহান : কাশফিয়া? (ধমকে)

আমি হাত ছাড়িয়ে সামনে ঘুরে বললাম,,,,,

কাশফিয়া : থাকতে হলে সবাইকে নিয়ে থাকবো ৷ এভাবে আলাদা থাকার কোনো মানেই হয় না ৷ ওনারা চলে গেলে আমিও চলে যাবো ৷ এখন কি করবেন ভেবে দেখুন ৷

আরিহান নির্বাক হয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে ৷ তারপর চোখ মুখ শক্ত করে বললেন,,,,,,,,,,

আরিহান : ওকে ফাইন ৷ থাকুক ৷ ড্যাড ওনাদের গেস্ট রুমটা দেখিয়ে দাও ৷

— তুমি এই মেয়েটার কথা অনুযায়ী থাকতে বলছো আমাদের আরিহান?

আরিহান : শি ইজ মাই ওয়াইফ ৷ ওর কথা অনুযায়ী আজ থেকে আপনারা চলবেন নাহলে আপনাদের কি করবো আই ডোন্ট নো ৷ চলো কাশফিয়া ৷

বলেই আমার হাত ধরে সিঁড়ি দিয়ে উপরে নিয়ে গেলেন ৷ আরিহানের বাবা বাড়ির কেয়ারটেকারের উদ্দেশ্যে বললেন,,,,

— ওদের গেস্ট রুমে দিয়ে আয় সুজন ৷

বলেই উনি চলে গেলেন ৷ আর আরিহানের মা রাগে ফুসতে লাগলেন ৷ পিছন থেকে ওনার আফিয়া বললো,,,,

আফিয়া : কি হবে এখন বড় আম্মু?

— দেখা যাক ৷ (বাঁকা হেসে) চল এখন রুমে যাওয়া যাক৷

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here