#The_Terrible_Lover
#অদ্রিতা_জান্নাত
#পর্ব__২০
রুমে এসে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলেন আরিহান ৷ রাগে থরথর করে কাপছেন উনি ৷ রুমের মধ্যে বেশ কয়েকবার চক্কর দিলেন ৷ ঠাস করে বেডের সাইড টেবিল থেকে ল্যাম্পটা ফেলে দিলেন ৷ হাতে একটা ফুলদানি নিয়ে আমার দিকে ছুঁড়ে মারলেন ৷ আমি সরে গিয়ে অন্যদিকে গুটিশুটি মেরে দাঁড়িয়ে রইলাম ৷ ওটা আমার পাশ দিয়ে মাটিতে পরে ভেঙ্গে ছড়িয়ে গেল ৷ এতোটা রেগে যাবেন বুঝতেই পারি নি আমি ৷ এখন আমাকে কি করবেন কি জানি ৷ মাথা চেপে ধরে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,,,
আরিহান : কি করলে তুমি এটা?
কাশফিয়া : কককোনটা?
উনি তেড়ে আসলেন আমার দিকে ৷ আমার হাত মুচড়ে পিছনে ধরে বললেন,,,,,,
আরিহান : সাহস বেড়ে গেছে না তোমার? অনেক বেশি সাহস হয়ে গিয়েছে না? আমাকে ছেড়ে যাবা? এতো সাহস কই পেলে তুমি? বলো? (ধমক দিয়ে)
আমি মাথা নিচু করে রইলাম ৷ কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছি না ৷ আরিহান আমাকে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে বেডে বসে মাথা চেপে বলতে লাগলেন,,,,,
আরিহান : কন্ট্রোল করতে পারছি না আমি ৷ তোমার উপর রাগ ঝাড়তে চাইছি না তবুও পারছি না ৷ ইচ্ছা করছে…উফফফ…(একটু থেমে) কফি বানিয়ে নিয়ে আসো যাও ৷
আমি চুপ চাপ বেরিয়ে এলাম ৷ এখন ওনার কথার উপর আরেকটা কথা বললে আমার শনি, রবি, সোম সব হবে ৷ তার থেকে যা বলছে তাই করি ৷ চুপচাপ কিচেনে গিয়ে কোনোরকমে কফি বানিয়ে আরিহানকে দিলাম ৷ উনি কফি শেষ করে কাপ আমাকে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলেন ৷ আমি কয়েকজন সার্ভেন্টকে দিয়ে রুমটা পরিস্কার করিয়ে নিলাম ৷
“আচ্ছা আমি কি কোনো ভুল করে ফেলেছি আরিহানের মাকে থাকতে বলে? আমার যা মনে হয়েছে আমি তাই করেছি ৷ আরিহানের মায়ের এই জেদ আমি কমিয়েই ছাড়বো ৷ ওনাকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় সেটা অামার জানা আছে ৷ কিন্তু আরিহানের মনে তার মায়ের জন্য যে পাহাড় সমান অভিমান রয়েছে সেটা কীভাবে ভাঙ্গবো আমি? কিছু তো একটা করতেই হবে ৷ এদের সবার সম্পর্কটা ঠিক করে দিতে হবে ৷ কিন্তু আমার সম্পর্কটা কি ঠিক হবে আদো??”
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে কথাগুলো ভাবছিলাম আমি ৷ অারিহানের ডাক পরায় ছুটে গেলাম রুমে ৷ উনি মুখ মুছে আমার মুখের উপর টাওয়ালটা ছুড়ে মারলেন ৷
কাশফিয়া : কি হয়েছে কি? এভাবে ছুড়ে কেন মারলেন?
আরিহান : ওটা শুকোতে দিয়ে আসো ৷
কাশফিয়া : আপনি কি কোথাও যাবেন?
আরিহান : হুম ৷
কাশফিয়া : কোথায়?
আরিহান : সেটা তোমার না জানলেও চলবে ৷ আর ওই মহিলার আশেপাশে যেন তোমাকে না দেখি মাথায় রেখো ৷
বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন ৷ আমি কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে টাওয়ালটা শুকোতে দিয়ে নিচে চলে গেলাম ৷ নিচে গিয়ে দেখি নিধি পায়ের উপর পা তুলে সোফায় বসে বসে টিভি দেখছে ৷ ওর পাশে গিয়ে বসে বললাম,,,,,,
কাশফিয়া : কোন দেশের জমিদার রে তুই?
নিধি : আমি খামোখা জমিদার কেন হতে যাবো?
কাশফিয়া : পায়ের উপর পা তুলে বসে আমার বাড়িতে জমিদারগিরি করছিস যে?
নিধি : বাব্বাহ তোর বাড়ি?
কাশফিয়া : আব.. কবে বিদায় হবি তুই?
নিধি : খোটা দিচ্ছিস তুই? দাঁড়া জয়কে বলে আজই বিদায় হবো ৷
কাশফিয়া : আরে আরে রাগিস কেন এমনি বললাম ৷ তোর যতদিন ইচ্ছা থাকতে পারিস ৷
নিধি : হইছে আর ঢং করতে হবে না ৷
দুজনেই হেসে দিলাম ৷ পাশ থেকে একজন বললো,,,,
— তোমার দুজন বন্ধু? নাকি বোন?
পাশে তাকিয়ে দেখি আফিয়া দাঁড়িয়ে আছে ৷ ওকে দেখে আমাদের হাসিটা মিলিয়ে গেল ৷ তবুও বললাম,,,
কাশফিয়া : দুটোই ৷
আফিয়া : বসতে পারি কি?
নিধি : কেন বসবে…
কাশফিয়া : তুই চুপ ৷ আসো বসো এখানে ৷
আফিয়া মুচকি হেসে আমাদের সামনের সোফায় বসলো ৷ নিধি চোখ ফিরিয়ে টিভি দেখায় মনোযোগ দিলো ৷ আফিয়া বললো,,,,
আফিয়া : তো তুমি আরিহান ভাইয়ার বউ?
কাশফিয়া : হুম কেন?
আফিয়া : না এমনি ৷ তো তোমাদের বিয়ের কয়দিন হলো?
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই নিধি বললো,,,,,
নিধি : ৬/৭ বছর তো হবেই ৷
— কিইইই ৬/৭ বছর?
সামনে থেকে আরিহানের মা বলে উঠলো ৷ তাকে দেখেই বুঝে গেছি আমাদের সব কথা উনি শুনে নিয়েছেন ৷ কিন্তু নিধির কথা শুনে আমি অবাকের উপর অবাক হচ্ছি ৷ কি বলছেটা কি এই মেয়ে? মাথা কি পুরোটা গেছে? যেখানে ১ মাসও হয়নি সেখানে ৬/৭ বছর? মাথাটা ঘুরাচ্ছে আমার ৷ আরিহানের মায়ের বলা কথার সঙ্গে সঙ্গে নিধি বললো,,,,,
নিধি : হুম তা নয়তো কি? জানেন আন্টি ওদের না একটা মেয়েও আছে ৷
এবার আমার মাথাটা আরো চক্কর দিতে লাগলো ৷ আরিহানের মা আর আফিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি ওনারা হা হয়ে তাকিয়ে আছে ৷ কি হচ্ছে কিছুই বুঝতেছি না ৷ উফ😣৷ পাশ দিয়ে নিধিকে একটা গুতা দিলাম ৷ তবুও মেয়েটা থামে না ৷ আবার বলতে লাগলো,,,
নিধি : জানেন আন্টি আপনার নাতনি একদম আপনার ছেলের মতো হয়েছে ৷
কাশফিয়া : নিধির বাচ্চা তুই চুপ করবি? তোরে কিন্তু এখন নদীতে চুবামু আমি ৷ (ফিসফিস করে)
নিধি একটা ভেংচি কেটে টিভি দেখতে লাগলো ৷ আরিহানের মা আমার কাছে এসে আমার পাশে বসে বললেন,,,,,
— যাও আমার জন্য এক কাপ চা নিয়ে আসো ৷
কাশফিয়া : চা আনবো? তাও আমি আপনার জন্য? নিজের কাজ নিজে করুন অন্যকে দিয়ে না করিয়ে ৷
— এই মেয়ে তোমাকে বললাম চা নিয়ে আসতে সেখানে তুমি আমাকে জ্ঞান দিচ্ছো?
কাশফিয়া : আমার জন্যই কিন্তু আরিহান আপনাকে থাকতে দিয়েছে ৷ আর আমি বললেও কিন্তু উনি আপনাকে বের করে দিবে ৷ আবার আরিহান বলেছেন আপনাকে আমার কথা অনুযায়ী চলতে ৷ আমাকে আপনার কথা অনুযায়ী নয় শ্বাশুড়িমা ৷
— এই আমাকে একদম শ্বাশুড়িমা বলে ডাকবা না ৷
কাশফিয়া : আমি তো ডাকবোই ৷ এখন যান চটপট আমার জন্য এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে আসুন তো দেখি ৷
— তোমার সাহস তো কম না ৷ তুমি আমাকে অর্ডার করছো?
কাশফিয়া : যার যেমন মন মানুষিকতা সে তো তেমন ভাব্বেই ৷ যাই হোক আমার লাগবে না ৷ নিজেরটা নিজে করে খান পারলে ৷
— তুমি জানো বাড়ির বউরা বাড়ির কাজ করে?
কাশফিয়া : সো আপনি আমাকে বাড়ির বউ হিসেবে মেনে নিয়েছেন?
— কখনোই নিব না ৷
কাশফিয়া : নিজের ছেলের দিকে একবার তাকান ৷ অন্যের মেয়ের জন্য নিজের ছেলেকে কত কষ্ট দিয়েছেন আপনি ৷
— লেকচার অফ করো ৷ যেটা বলেছি সেটা করো যাও ৷ (ধমকে)
কাশফিয়া : কতবার বলেছি নিজের কাজ নিজে করুন ৷ কথা কানে যায় না? ভালোভাবে বললেও বোঝেন না আপনি ৷ কি আছে আপনার মনে? আরিহানের কথাগুলো আপনার কাছে লেকচার মনে হচ্ছে? আরেকবার যদি আমাকে কোনো কাজ করতে বলেন তাহলে এখনি এই বাড়ি থেকে বের করে দিব আমি ৷
— আমাকে ধমকাচ্ছো? যত্তসব… (রেগে)
আরিহানের মা উঠে চলে গেলেন সঙ্গে আফিয়াও ৷ এই মহিলার তেজ দেখি কমে না ৷ ইগোতেও লাগে না ৷ যেটা করবো না সেটা করিয়েই ছাড়বে ৷ তার মধ্যে নেই কোনো অনুতপ্ততা, নেই কোনো অনুশোচনা, নেই কোনো কৃতজ্ঞতা ৷ কি আছে তার মধ্যে? অহংকার? আপনার এই দেমাগ, অহংকার সব আমি ধুলোও মিশিয়ে দিব ৷
পাশ থেকে নিধি ধাক্কা দিয়ে বললো,,,,,
নিধি : কি ভাবছিস?
কাশফিয়া : ভাবছি ওনাকে কীভাবে জব্দ করবো ৷ তার আগে তুই বল বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বললি কেন?
নিধি : বেশ করেছি ৷ আরো বলার দরকার ছিল ৷
কাশফিয়া : তোর মাথায় কি কিছু নেই? এসব কি নিয়ে মিথ্যা বলেছিস তুই? আরিহান জানলে কি ভাব্বেন বলতো?
নিধি : যা ভাবার ভাবুক তো? দেখ ওই মহিলা তোকে তাড়ানোর জন্য উঠে পরে লেগেছেন ৷
কাশফিয়া : তো এসব বললে কি উনি আমাকে বসিয়ে রেখে সোহাগ করবেন ৷
নিধি : আরে ইয়ার সোহাগ কেন করবেন? অন্তত তোকে মারবেন না ৷
কাশফিয়া : মানে?
নিধি : মানে হলো যদি তোর কোনো ক্ষতি করতে চান তাহলে তোর মেয়ের কথা ভেবে এগুলা কিছুই করবেন না ৷
কাশফিয়া : যার কাছে নিজের সন্তানের কোনো মূল্য নেই সেখানে অন্যের সন্তানকে নিয়ে কি ভাববেন? আর তোর এসব মিথ্যা বলা উচিত হয়নি ৷
নিধি : উফ মিথ্যাটা সত্যি হতে কতক্ষন?
কাশফিয়া : নিধি তুই চুপ করবি? আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে ৷
নিধি : আচ্ছা আচ্ছা ৷
ও মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করে বসে রইল ৷ আমি উঠে চলে যেতে নিলে নিধি পেছন থেকে ডেকে উঠলো,,,,
নিধি : ওই শোন ৷
আমি পিছনে ঘুরে বললাম,,,
কাশফিয়া : হুম বল ৷
নিধি : কিছুনা পরে বলবো যা ৷
আমি পিছনে ঘুরতে নিলেই ধাক্কা খেলাম আরিহানের মায়ের সাথে ৷ তার হাতে থাকা চায়ের কাপটা পুরোটা পরলো আমার হাতের উপর ৷ জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম ৷ অসম্ভব গরম ৷ হাত পুড়ে যাচ্ছে অসহ্য যন্ত্রনা হচ্ছে ৷ আমার চিৎকারে বাড়ির সবাই ছুটে এলো ৷ নিধি দৌঁড়ে এসে আমার হাতে ফু দিচ্ছে ৷ আরিহান আর জয় বাহির থেকে দৌঁড়ে এলেন এখানে ৷ হয়তো আমার আওয়াজ ওনাদের কাছেও পৌঁছিয়েছে ৷
আরিহান দৌঁড়ে আমার কাছে এসে হাতটা ধরে তার কাছে নিলেন ৷ সোফায় বসিয়ে তিনি আমার সামনে ফ্লোরে বসে বলতে লাগলেন,,,,,,
আরিহান : জয় ডাক্তারকে কল কর ৷ আখি যা ফার্স্ট এইড বক্সটা নিয়ে আয় তাড়াতাড়ি ৷
হাতের জায়গাটা লাল হয়ে ফুলে গেছে ৷ নাড়াতেও কষ্ট হচ্ছে ৷ চোখ থেকে পানি পরছে ৷ আরিহান হাতে আস্তে আস্তে মলম দিয়ে দিচ্ছেন ৷ ওনার চোখ লাল হয়ে গেছে ৷ রাগে নাকি কষ্টে? সেটা জানিনা আমি ৷ আরিহানের মা মুখে হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ৷ হয়তো আমাকে এভাবে দেখে ওনার ভালোই লাগছে ৷ ওনার দিকেই তাকিয়ে আছি আমি ৷ আরিহান আমার দৃষ্টি অনুসরন করে তার মায়ের দিকে তাকালেন ৷ তার মা মুখ ফিরিয়ে নিলেন ৷
আরিহান আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,,
আরিহান : কাকে থাকতে দিয়েছো দেখেছো? যার মধ্যে কোনো কৃতজ্ঞতা নেই ৷ এই মহিলাকে থাকতে দিয়েছো তুমি? সে তো শুধু তোমার ক্ষতি করতে চাইছে ৷ আমাদের আলাদা করতে চাইছে ৷ বুঝো না? এই মহিলা স্বার্থপর ৷ নিজের স্বার্থের জন্য সব করতে পারে ৷
কাশফিয়া : আরিহান আমি ঠিক আছি তো ৷ ভুলবশত এটা হয়েছে ৷ অ্যাসিডেন্টলি ওনার হাত থেকে চায়ের কাপটা পরে গিয়েছে ৷
নিধি : ভুলবশত নয় কাশফি ৷ আমি নিজের চোখে দেখেছি ৷ ইচ্ছা করে এই কাজ করেছেন উনি ৷ এটা ভুল হতেই পারে না ৷
আরিহান : Exactly এটা ভুল নয় ৷ এই মহিলা তোমার ক্ষতি করতে চাচ্ছে আর তুমি?
কাশফিয়া : চোখের দেখাও ভুল হয় নিধি ৷ আরিহান আমার ভালো লাগছে না একটু রুমে নিয়ে যাবেন প্লিজ?
আরিহান একটা শ্বাস নিয়ে আমাকে রুমে নিয়ে এলেন ৷ একটুপর ডাক্তার এলে চেকআপ করিয়ে ওষুধ লিখে দিয়ে চলে গেলেন ৷ আমি হাত নাড়াতে পারছি না ৷ ডান হাত পুরোটাই আগের থেকে আরো লাল হয়ে গেছে আর ফুলে গেছে ৷ গরম জিনিস গায়ে পরার জ্বালা অনেক ৷ তখন মনে হয় এখনি শেষ আমি ৷ সেটা শুধু তারাই বুঝে যারা এরকম পরিস্থিতিতে পরেছে ৷
আরিহান আমাকে খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলেন ৷ এখন আমার পাশে বসে আমার হাতটা তার হাতের মধ্যে নিয়ে দেখছেন ৷ ভালোবাসার মানুষটির কোনো কষ্টই সহ্য করা যায় না ৷ আর আরিহানের মধ্যে এখন অপরাধবোধও জেগে উঠেছে ৷ কারণ কাজটা তার মায়ের করা ৷ ইচ্ছা করেই করেছে ওনার মা সেটা আমিও জানি ৷ দেখি আর কি কি করতে পারেন উনি ৷
আরিহান আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,,,
আরিহান : ঘুমাচ্ছো না কেন? শরীর ভালো লাগবে ঘুমালে চোখ বন্ধ করো ৷
কাশফিয়া : আপনি ঘুমাবেন না?
আরিহান : হুম পরে আগে তুমি ঘুমাও ৷ জ্বালা করছে কি খুব?
কাশফিয়া : উহু ৷
চোখ বন্ধ করে নিলাম আমি ৷ আরিহান এক হাতে আমার হাত ধরে রেখেছেন আরেকহাতে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন ৷
___________________
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,