The_Terrible_LoverLover part 27

#The_Terrible_Lover
#অদ্রিতা_জান্নাত
#পর্ব__২৭

★★★
ছয় বছর পর

★★★
একটা ছবির সামনে দাঁড়িয়ে আছে কনিকা রহমান (কাশফিয়ার মা) আর সিয়াম রহমান (কাশফিয়ার বাবা) ৷ কনিকা রহমান চোখ থেকে চশমা খুলে চোখের পানিটা মুছে নিলেন ৷ তারপর আবার ছবিটার দিকেই তাকালেন ৷ ছবিটা কাশফিয়ারই ৷ পাশে থেকে সিয়াম রহমান কনিকা রহমানের কাঁধে হাত রেখে বললেন,,,,

— আর কত কষ্ট পাবে বলো তো?

— কি করে মুখ বুঝে থাকি বলো? যেই মেয়েটাই আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র সূত্র ছিল সেই ই আজ নেই? আমি পারছি না গো ৷ মা হয়ে মেয়েকে ছাড়া থাকতে পারছি না আমি ৷

— আর কত চোখের পানি ফেলবে তুমি? যার জন্য ফেলছো সে কি আসবে বলো? এই ছয়টা বছর তো এভাবেই কষ্ট পাচ্ছো ৷ মেয়েটা তো নেই আমাদের কাছে ৷ যদি তুমি এমন করো কি নিয়ে থাকবো আমি বলো?

— আমি যে আর সহ্য করতে পারছি না ৷ আমার মেয়েটা কেন চলে গেলো বলতে পারো? রাগ করেছে গো আমাদের ওপর? জানেনা ও? ওকে দেখার জন্য কি করি আমরা? এই ছয়টা বছর আমাদের থেকে দূরে আছে কীভাবে?

— সব ওই ছেলেটার দোষ ৷ ওর জন্য আজ আমাদের মেয়ে আমাদের কাছে নেই ৷

— সিয়াম কতবার বলবো তোমাকে ৷ তোমার মেয়েটাই এতো ছটফট করে কই কি করতে হয় নিজেও জানে না ৷ সেখানে তুমি কেন বারবার ওকে দোষ দিচ্ছো?

— যেটা সত্যি সেটাই বলছি ৷ কাশফিকে কখনোই আমি পাহাড়ে নিয়ে যাই নি ঠিক এই কারণটার জন্যেই ৷ সেখানে ওই ছেলেটা কেন নিয়ে গেল ওকে? নিয়ে গেল তো গেল একবার আমাদের জানালোও না ৷ তাহলে আমরা বোঝাতাম ওকে ৷ কিন্তু…? সব দোষ ওরই ৷ শুধু মাত্র ওর জন্যই আজ আমরা আমাদের মেয়েকে হারিয়ে ফেলেছি ৷ (রেগে)

— আর কিছু বলো না ৷ ভালো লাগছে না আমার ৷ প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে ৷ এনে দাও না আমার মেয়েটাকে ৷

— পারলে তো দিতাম ৷ কিন্তু আমাদের ভাগ্যটাই তো এরকম ৷

★★★
আহমেদ ভিলার ছাদ থেকে গিটারের এলোমেলো সুর ভেসে বেরাচ্ছে চারপাশে ৷ শান্ত পরিবেশে সুরটা হয়ে উঠেছে তীব্র কষ্টের প্রতিচ্ছবি ৷ গিটারের টোং বাজাতে গিয়ে তার হাত কেটে রক্তে ভেসে যাচ্ছে তবুও সেদিকে তার খেয়াল নেই ৷ নিজের রাগ, জেদ, অভিমান, কষ্ট সব গিটারের মধ্যে ঝাড়ছে ৷

এলোমেলো ভাবে ছাদে বসে এলোমেলো ভাবে গিটার বাজাচ্ছে আরিহান ৷ এই ছয় ছয়টা বছর কাশফিয়াকে ছাড়া আরিহান ভালো নেই ৷ আগের থেকে অনেক পাল্টে গিয়েছে ৷ কথায় কথায় রেগে, ধমকে কথা বলে ৷ কেউ কোনো কাজ ভুল করলে তাকে কাজ থেকেই বের করে দেয় ৷ আরিহানের বাবা, মা আরিহানের এরকম রাগ দেখে ওর মুখের উপর একটা কথা বলারও সাহস পায় না ৷ আগের থেকে এখন অনেক বদমেজাজীও হয়ে গিয়েছে ৷

কাশফিয়ার কথা মনে পরলে নিজেকে নিজেই ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে ৷ পাগলের মতো কাদতে থাকে ৷ এই ছয় বছর ও ভেতরে ভেতরে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে৷

ওই দিনের পাহাড়ের ওই ঘটনায় কাশফিয়ার কোনো অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায় নি ৷ পুলিশ এসে সার্চ করেছে ৷ ইনভেস্টিগেশন ও করা হয়েছে কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায় নি ৷ তারা বলেছে এতো উপর থেকে পরেও কোনো মানুষের পক্ষে বাঁচা সম্ভব না ৷ তবুও আরিহান কাশফিয়ার অপেক্ষায় বেঁচে আছে ৷ কাশফিয়ার মা, বাবা কাশফিয়ার খবর শুনে আরিহানদের সাথে সব সম্পর্ক ছয় বছর আগেই শেষ করে দিয়েছিলো ৷ তারা মনে করেন তাদের কাছে তাদের মেয়ে আজ শুধু মাত্র আরিহানের জন্যই নেই ৷

হঠাৎ বৃষ্টি নামায় গিটারের সুর বন্ধ হয়ে গেলো ৷ চারপাশটা আবার শান্ত হয়ে গেলো ৷ বৃষ্টির কয়েকফোটা পানি আরিহানকে মূহুর্তেই ভিজিয়ে দিল ৷ ও গিটারটা দূরে ছিটকে ফেলে দিল ৷ ওর হাতের রক্ত আর চোখের পানি বৃষ্টির পানির সাথে মিশে যাচ্ছে ৷ কাশফিয়ার শুন্যতায় যে ও ধুকে ধুকে শেষ হয়ে যাচ্ছে ৷ পকেট থেকে কাশফিয়ার একটা কানের দুল বের করলো ৷ এই দুলটা সেটাই যেটা কাশফিয়া ভুল করে আরিহানের রুমে ফেলে রেখে গিয়েছিল ৷ দুলটার দিকে তাকিয়ে অভিমানের সুরে বলতে লাগলো,,,,,,

— ভালো আছো না? খুব ভালো আছো আমাকে ছাড়া ৷ আমাকে একা ফেলে গিয়ে কি শান্তি পেলে বলো তো? আগে তুমি বলতে তোমাকে যেনো একা ফেলে আমি কোথাও না যাই ৷ আর এখন তুমিই আমাকে একা ফেলে চলে গেলে? জানো তোমার মা বাবা আজ আমাকে দোষারোপ করে ৷ আমার জন্যই নাকি তারা তাদের মেয়েকে হারিয়েছে ৷ একবারও আমার দিকটা ভাবলো না? আমি কি তাদের মেয়েকে ছাড়া সুখে থাকবো? কেউ না আমার কষ্টটা দেখলো না তুমিও না ৷ আচ্ছা তুমি আমাকে এখনো ঘৃণা করো না? তোমাকে জোর করে বিয়ে করেছি দেখে আজ আমাকে একা করে রেখে চলে গেলে? এই ছয় বছর নিজেকে কত অসহায় মনে হয়েছে জানো? আমি তোমাকে কেন নিজের কাছে ধরে রাখতে পারলাম না? তোমার বাবা, মাকে দেয়া কথাও রাখতে পারি নি আমি ৷ সায়ানের কথা আর নিজের ভালোবাসাও ধরে রাখতে পারলাম না ৷ কতটা খারাপ আমি দেখেছো? যে নাকি নিজের ভালোবাসারও খেয়াল রাখতে পারে না ৷ অনেক রেগে আছো না আমার উপর? একবার ফিরে আসো কখনোই হাত ছাড়বো না ৷ একবার যে ভুল করেছি সেটা দ্বিতীয়বার আর করবো না ৷ তবুও ফিরে আসো প্লিজ কাশফুল ৷ প্লিজ!! (কাদতে কাদতে)

আরিহান ফ্লোরে বসে কাদছে ৷ ওর সাথে তাল মিলিয়ে বৃষ্টির বেগও বাড়তে লাগলো ৷ বেশ অনেকক্ষন পর বৃষ্টি থেমে চারপাশে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পরলো ৷ কিন্তু আরিহান ঠিক আগের মতই বসে আছে ৷ হঠাৎ কাঁধে কারো স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলো আরিহান ৷ পেছনে তাকিয়ে দেখে আখি ৷ ওকে দেখে আরিহান চোখ মুছে বললো,,,,

আরিহান : কিছু বলবি?

আখি ফ্লোরে আরিহানের সামনে বসে বললো,,,,

আখি : ভিজে গেছিস পুরো ৷ যা চেন্জ্ঞ করে আয় নাহলে ঠান্ডা লেগে যাবে ৷

এই একজনের কথা আরিহান শুনে চলে সবসময় ৷ নিজের কষ্টটাকে দূরে রেখে ওর কথা অনুযায়ী সব করে ৷ সবার উপরে রাগ দেখালেও আখিকে কিছু বলতে পারে না ৷ হয়তো এটাই ভাইবোনের ভালোবাসা ৷ রক্তের না হোক একটা নাম তো আছেই ৷ আখিও ওর ভাইয়ার সব সময় খেয়াল রাখে ৷ অনেক বুঝিয়েছেও বাট আরিহান বুঝেনি ৷ শুধু শুধু নিজেকে কষ্ট দিবে প্রতিদিন ৷ সঙ্গে করে আনা ফার্স্ট এইড বক্স থেকে ব্যান্ডেজ নিয়ে আরিহানের হাত ব্যান্ডেজ করে দিল ৷ তারপর বললো,,,,,

আখি : ভাইয়া যা ফ্রেশ হয়ে আয় ৷ পরে কথা বলবো কিন্তু এখন না ৷

আরিহানও চুপচাপ উঠে চলে গেলো ৷ আখির মুখের দিকে তাকালে ‘না’ শব্দটা আসে না ওর ৷আখি ওখানে বসে থেকেই শাড়ির আঁচল মুখে চেপে ধরে কেঁদে দিল ৷ আরিহানের সামনে কাদতে পারে না ও ৷ আরিহানের কষ্টও সহ্য হয়না ওর ৷ ঠোঁট চেপে কান্না আটকায় সব সময় ৷ পরে থাকা গিটারটা নিয়ে চেয়ারে গিয়ে বসলো ৷ গিটারটা রেখে উঠতে গেলেই আবির (আখির স্বামী) এসে সামনে দাঁড়ালো ৷

চোখ মুছে মুখে একটু হাসি টেনে বললো,,,,

আখি : এখানে এলে? কিছু লাগবে?

আবির : আমার সামনে নিজেকে বদলাতে চেষ্টা করো না ৷ আমি জানি, তোমার কষ্টটাও আমি বুঝি ৷

আখি : ওসব ছাড়ো ৷ নিচে চলো ৷ ভাইয়ার জন্য আবার খাবার নিয়ে যেতে হবে ৷

আরিহানের জন্য ওরা এই বাড়িতেই থাকে ৷ তার কারণ আখি ছাড়া আরিহান কারো কথাই শোনে না ৷ ওর শ্বশুড় বাড়ি গেলেও ও প্রত্যেকবেলা আরিহানকে এসে দেখে যায় ৷ আবির ওকে কোনো প্রকার বাঁধা দেয় না ৷ মেয়েটা একাই সব দিক সামলাতে পারে ৷ ওদের তিন বছরে একটা ছেলেও আছে ৷ তার নাম আহনাফ ৷

★★★
গরমের সময় ৷ চারপাশে তীব্র উত্তাপ্ত সূর্যের আলো ৷ বেলা ১২ টা সূর্যটা মাথার উপরে ৷ প্রত্যেকটা মানুষের হাতে ছাতা ৷ আবার কেউ কেউ চোখ মুখ খিচে এই রোদকে উপেক্ষা করে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে ৷ অসহ্যকর গরমে সবাই হাপিয়ে উঠছে ৷ তবুও শক্তি নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ৷

গাছে গাছে আম, কাঁঠালে ভরে গিয়েছে ৷ মাটি শুকিয়ে গিয়েছে ৷ নদীর পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে ৷ চারপাশের প্রকৃতিতে নেই এক ফোটাও বাতাস ৷ সবাই নিজ নিজ কাজ করছে ৷ কিন্তু তাদের সবার মধ্যেও শুধু দুজনকে অন্যরকম লাগছে ৷

পুকুরপাড়ে পানির মধ্যে পা ডুবিয়ে বসে আছে দুইটা মেয়ে আর খিলখিল করে হেসে উঠছে ৷ সম্ভবত তারা দুজন বোন নাহয় বান্ধবী ৷ দুজনেই সমবয়সী ৷ দেখে মনে হচ্ছে পাঁচ বা সাড়ে পাঁচ বছর বয়স হবে ৷ এতটুকু বয়সেই ওরা অনেক চঞ্চল আর চালাক ৷ দুজনেই দুজনের হাত ধরে পানির মধ্যে পা ডুবিয়ে পা দুলাচ্ছে ৷ আর খিলখিল করে হাসছে ৷

এরকম পরিবেশে এদের দুজনকে দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবে ৷ দেখতে যেমন সুন্দর, ব্যবহারও তেমন সুন্দর ৷ এর মধ্যেই ওদের দুজনের মধ্যে থেকে একটা মেয়ে ওর পাশের মেয়েটাকে বললো,,,,

— চল না ক্ষুধা লেগেছে আমার ৷

— তুই কি রে? একটু তেই ক্ষুধা লাগে? আচ্ছা আমি বরং কিছুর ব্যবস্থা করছি ৷

— কি?

— চল ওই কিপটা বুড়োর গাছের আম খাই ৷ উফ যা মিষ্টি ৷ চল না চল ৷

— এই না ৷ ওই বুড়ো আবার আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমাদের নামে বিচার দিবে তখন মামু আমাদের অনেক বকবে ৷

— আরে না কিচ্ছু বলবে না ৷ চল না ৷ ওই গাছের আম খেতে ইচ্ছা করছে খুব ৷ চল ওঠ ৷

— ওই দেখ তোর জন্য আমি আবার বকা খাবো ৷

— বললাম না কিছু হবে না ৷ চল ৷

বলেই মেয়েটা ওই মেয়েটাকে টেনে একটা আম গাছের দিকে নিয়ে গেলো ৷ এই গাছে পাকা পাকা বড় বড় আম রয়েছে ৷ দেখেই মনে হচ্ছে এই গাছের আম প্রচুর মিষ্টি ৷ কিন্তু এই গাছটা যার সে তার গাছের আম কাউকে দেয় না ৷ পচুক, পরুক তবুও সে কাউকেই দিবে না ৷ তাই তো তাকে এই এলাকার সবাই কিপটে বুড়ো বলে চিনে ৷ শুধু এটার ক্ষেত্রে না সে সব ক্ষেত্রেই কিপটামো করে ৷ যে বা যারা তার গাছের আম পেরে নেয় তাদের পিছু পিছু লাঠি নিয়ে তাড়া করে তাদের নামে বিচার দিয়ে আসে তাদের বাড়িতে গিয়ে ৷

মেয়ে দুইটা ওখানে দাঁড়িয়ে আশেপাশে চেক করে নিলো যে কেউ আশেপাশে আছে কিনা! না নেই! যেই মেয়েটা এখানে ওর পাশের মেয়েটাকে টেনে এনেছিলো সে মাটি থেকে কয়েকটা পাথর তুলে হাতে নিলো ৷ ওর পাশের মেয়েটা বারবার না করছে কিন্তু ও শুনছে না ৷ একটা পাথর নিয়ে ঢিল মারলো ৷ আর সেটা গিয়ে সোজা গাছের পেছনে গিয়ে পরলো ৷ আরেকবার মারলো সেটা গিয়ে ওই কিপটা বুড়োর বাড়ির ভেতরে গিয়ে পরলো ৷

সেটা দেখে ওর পাশের মেয়েটা টানতে লাগলো ওকে ৷ ও হাত ছাড়িয়ে আরেকটা ঢিল মারলো ৷ আর সঙ্গে সঙ্গে গাছ থেকে দুইটা আম একসাথে পরলো ৷ তখনি বাড়ির ভেতর থেকে আওয়াজ এলো,,,,,

— কে রে কে? আবার আম পারিস? দাঁড়া ৷ তোদের যদি না ধরেছি? ওই হতচ্ছাড়ি দাঁড়া দাঁড়া বলছি ৷

আম দুইটা হাতে নিয়ে মেয়ে দুইটা একে অপরের হাত ধরে দৌঁড়াতে লাগলো ৷ আর ওদের পেছন পেছন লাঠি তাড়া করে নিয়ে ওই বুড়োটাও আসছে ৷ মেয়ে দুটোর মধ্যে একজন দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে বললো,,,,,

— তোর জন্য আজ আবার বকা খাবো ৷

— ওই তুই একটু বেশি বুঝিস ৷ বকা খাবো না তবে এই বুড়োর কাছে পরলে মাইর খেতে হবে ৷ তাড়াতাড়ি পা চালা ৷

— আরে আর পারছি না তোহ ৷

— আমটা ছুলে খেতে খেতে দৌঁড়া শক্তি পাবি ৷

বলেই মেয়েটা ওর আমটা ছুলে খেতে খেতে দৌঁড়াতে লাগলো ৷ আর অন্য মেয়েটা বললো,,,,

— কচু পাবো ৷ আজকে মাম্মাকে দিয়ে তোকে বকা খাওয়াবো ৷

— যা করার করিস এখন দৌঁড়া তাড়াতাড়ি ৷

বলেই দুজন দুজনের হাত আরো শক্ত করে ধরে একটা দম নিয়ে উল্টাপাল্টা ভাবে দৌঁড়াতে লাগলো ৷

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

(অনেকেই রেগে আছেন কাশফিয়ার উপর ৷ হুম স্বাভাবিক ৷ কিন্তু ও তো ওটা ইচ্ছা করে করেনি না? হ্যাঁ ও আরিহানের কথা শুনে নি তখন ৷ কিন্তু তবুও ওর সেসব কথা তখন মাথায় ছিল না ৷ একটু ধৈর্য্য ধরে গল্পটা পরুন বুঝতে পারবেন সব ৷ আর আপনারা প্লিজ গল্প বিষয়ক মন্তব্য করবেন ৷ শুধু শুধু নাইস, নেক্সট লিখে কমেন্ট বাড়ানোর দরকার নেই কোনো ৷ যাইহোক হ্যাপি রিডিং🖤)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here