অতিরিক্ত চাওয়া {২}
১৮
‘ কাউকে অতিরিক্ত চাইলে, অবশ্যই অতিরিক্ত কষ্ট পেতে হয়। ‘
আজ ১২ দিন হচ্ছে তৃষ্ণার খোঁজ নেই। প্রতিদিন স্কুল শেষে তৃষ্ণাকে দেখার আশায় দাঁড়িয়েছিল বেলি। প্রাইভেট শেষ করে অসহায়ের মতো এদিক-সেদিক তাকিয়েই যাচ্ছিল তৃষ্ণার খোঁজে! কিন্তু প্রত্যেকদিন তাঁর আশা ভেঙে যাচ্ছে। আশায় থাকতে থাকতে ১২ দিন চলে গেল। এখনও কোনো খবর পায় নি তৃষ্ণার! আবিদ, অভি, আয়ুশ তাঁদেরও বেলি আশেপাশে দেখছে না। অনেক সাহস সঞ্চয় করে, শীলার থেকে নাম্বার নিয়ে কল দিয়েছিল তৃষ্ণাকে। কিন্তু তাঁর ফোন স্যুইচঅফ বলছে। এ-ই নিয়ে ২৩ বার ডায়াল করেছে প্রত্যেকবার একই কথা। প্রথম ৩-৪ দিন শুধু মনে পড়েছে, খারাপ লেগেছে তৃষ্ণার খোঁজ না পেয়ে। কিন্তু এখন? এখন বেলির ভয় হচ্ছে। বারবার তাঁর মনে হচ্ছে তৃষ্ণার কিছু হয়েছে। আবার নিজেই নিজেকে বকাবকি করছে, ‘ না কিছুই হয় নি। হয়তো বেশি বিজি। ‘ বিজি ভাবতেই বেলির চোখ পানিতে ভিজে যাচ্ছে! যতই বিজি থাকুক তৃষ্ণা তাঁকে দেখার জন্য দু’দিনের মাঝেই চলে আসতো। সে সুস্থ থাকলে অবশ্যই আসতো!
আজ ১২ দিন চলে যাচ্ছে অথচ সে আসছে না। নিশ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে। এগুলো ভাবতেই বেলির বুক যন্ত্রণায় কেঁপে উঠছে।
পেছনের রুমের দরজাটা বন্ধ হয়ে আছে ভেতর দিয়ে। ভেতর দরজার সাথে মিশে গুটি-শুটি মেরে বসে আছে বেলি। তাঁর ছোটছোট চোখ দু’টো ফুলে লাল হয়ে আছে। ঠোঁট শুখিয়ে খুস্ক হয়ে আছে।চুলগুলো দিয়ে মুখ ঢেকে আছে। একটু পরপর হুঁ হুঁ গেংগানোর আওয়াজ ভেসে আসছে তাঁর ঠোঁট থেকে। এক ঘন্টা যাবত একইভাবে বসে থেকে, টুকরো আওয়াজে কাঁদতে কাঁদতে, বেলি সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছে।
অল্প বয়সের প্রথম প্রেমের অনুভূতি অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাঁরা যে-মন অল্পতেই সুখ পায় , তেমনই দুখঃ। বেলির সাথে ঠিক তেমনই হচ্ছে। প্রথম প্রেমের অনুভূতির কষ্টটা অল্প হলেও তাঁর জন্য বেশি হয়ে যাচ্ছে।
সন্ধ্যা নেমে বাহিরে অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। খুশির আওয়াজে বেলি মিটমিট করে চোখ খুলল। পাশের ছোট বোতলের পানি দিয়ে মুখটা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলল। মুখ মুছে কিছুক্ষণ চোখের ফোলা ভাবটা কমে যাওয়ার জন্য খাটে বসে রইলো। বিছানার নিচ থেকে ফোনটা বের করে আরেকবার চোখ বোলালো। ছোট শ্বাস ফেলে ফোন আবার একই যায়গায় রেখে দিল।
মাত্র জায়নামাজ-এ দাঁড়িয়েছিল খুশি মাগরিবের নামাজ আদায় করার জন্য। বেলির ফোলা মুখ দেখে ভরকে গেল। দ্রুত এগিয়ে গেল মেয়ের দিক,
‘ কি হয়েছে? মুখটা এমন ফোলা কেন? ‘
বেলি চাপা হেসে জবাব দিল,
‘ ঘুমের মাঝে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছিলো। তা-ই এমন দেখাচ্ছে হয়তো। ‘
‘ এখনও করছে? ‘
বেলি মাথা দুলালো,
‘ হ্যাঁ ‘
‘ আচ্ছা! নামাজ শেষে মুভ দিয়ে মাসাজ করে দেব। সামনের বিছানায় শুয়ে থাক। ‘
বিমানকে মোবাইল টিপতে দেখে বেলি শুয়া থেকে উঠে বসলো। ভাংগা গলায় জানতে চাইল,
‘ অভি ভাইয়ের সাথে এখনও কথা হয়নি ? ‘
বিমান মুখটা একটুখানি করে ফেলল,
‘ না-ত। আজ ১১ দিন কথা হচ্ছে না।ম্যাসেজ ও হচ্ছে না। ১১ দিনের মধ্যে শুধু একবার কল করেছিল সেকেন্ডের জন্য। বলল ‘ কিছুদিন কথা বলতে পারব না। সমস্যা হয়েছে। চিন্তা করিয় না। সমস্যা সমাধান হলে কল দেব। ‘
‘ অভি ভাইয়ার ফোন কি বন্ধ? ‘
‘ না বন্ধ না। কিন্তু ওঁ ত কল দিতে না করে দিলো। তা-ই দিচ্ছি না। আবিদকে দিয়েছিলাম ওঁ কল রিসিভ করেছিল। বলল ‘ চিন্তা করতে না ‘। ‘
বেলি বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
‘ আবিদ ভাইকে আরেকবার কল দিবে? ‘
বিমান বেলির চেহরার দিক কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো,
‘ কাঁদছিলি তুই? ‘
‘ না। মাথা যন্ত্রণা করছিলো। তুমি কি কল দেবে? ‘
বিমান আর কথা বাড়ায়নি। আবিদের নাম্বার ডায়াল করল। প্রথমবার রিং হয়ে কেঁটে গেল।
‘ ধরছে না ত। মোবাইল তোর কাছে রাখ। ফ্রি হলে ব্যাক করবে কল। আমি সুখীদের বাড়ি যাচ্ছি আমার নোটবুক আনতে। ‘
বেলি মাথা দুলালো। বিমান তাঁর মা-কে বলে পাশের বাড়ি রউনা হলো।
বেলি বিমানের ফেইসবুকে লগইন করল। তৃষ্ণার আইডির নাম সার্চ করে প্রোফাইলে ঢুকলো। কিছুক্ষণ তৃষ্ণার ছবিটায় দিক তাকিয়ে থাকলো অপলক। আইডির ভেতরে প্রবেশ করতেই বেলি থমকে গেল। তৃষ্ণাকে ম্যানশন করে অনেকগুলো শেয়ার পোস্ট। যেমন ‘ ভাই সুস্থতা কামনা করছি ‘
বেলি কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইল। তারমানে তৃষ্ণার কিছু হয়েছে? দ্রুত আবিদের নাম্বার আবার ডায়াল করল। কিছুক্ষণ রিং হয়ে রিসিভ হলো। বেলি দ্রুত ফোনটি কানে ধরলো। ওপাশ থেকে আবিদের আওয়াজ,
‘ হ্যাঁ শীলা? ‘
বেলি ছোট শ্বাস নিলো,
‘ আ..আমি বেলি ভাইয়া। ‘
আবিদ চুপ হয়ে গেলো। বেলি দ্রুত বলল,
‘ ভাইয়া উনি মা..মানে তৃষ্ণা ভাইয়া কোথায়? ‘
আবিদ আমতা আমতা করে বলল,
‘ তৃষ ভাই মিটিংয়ে। কাজে ব্যাস্ত অনেক। তুমি ভালো আছ বেলি? ‘
‘ জ্বী। আমার সাথে এক সেকেন্ড কথা বলিয়ে দিবে ? শুধু আওয়াজ শোনালেই চলবে! ‘
আবিদ প্রায় স্তব্ধ হয়ে থাকে,
‘ বেলি ভাই মিটিং শেষ করুক।
বেলি চোখ পিটপিট করছে চোখের পানি আটকানোর জন্য,
‘ আমি তাঁর আইডি দেখছিলাম। স..সেখানে তাঁর সুস্থতার কামনা করে অনেকে পোস্ট দিয়েছে। আমি দেখেছি। আমাকে বল না কি হয়েছে? ‘
‘ কিছু হয়নি ত। এ-ই এ-ই আল্লাহ তুমি কি কাঁদছ? প্লিজ কাঁদিয় না। ভাই শুনলে আমায় আস্ত গিলে
খাবে। ‘
বেলি ফোঁপাতে ফোপাঁতে বলল,
‘ প্ল..প্লিজ আমাকে একটু কথা বলিয়ে দাও না। ‘
‘ আচ্ছা তুমি কাঁদা বন্ধ কর। আমি ২০ মিনিটের মাঝে কল দিচ্ছি। ওকে?’
‘ আ..আচ্ছা। ‘
আবিদ কল কেঁটে বড় শ্বাস ফেলল। পেছন থেকে আয়ুশ এসে আবিদের পিঠে হাত রাখল,
‘ কে ছিলো? ‘
‘ বেলি। কেঁদে গলা ভেঙে ফেলছে। আমি বলেছিলাম ওঁকে ইনফর্ম কর। কিন্তু তুই আর অভি ভাই বললে ‘ না থাক। বেলি এতো চিন্তা করবে না। ভাই সুস্থ হোক নিজেই গিয়ে খুলে বলবে। ‘ এখন দেখেছ? এ-ই মেয়ের অবস্থা? বারবার বলছে শুধু ভাইয়ের আওয়াজ শোনাতে।
আয়ুশ মুখটা ছোট করে ফেলল,
‘ আসলে ভেবেছিলাম বেলির তেমন ফিলিংস এখনও ভাইয়ের প্রতি হয় নি। ‘
‘ এখন কি করতাম? ভাইয়ের সাথে কথা বলিয়ে দিতে বলছে। ‘
‘ ভাইয়ের কথা বলার মতো অবস্থা আছে? ‘
জয়ার আওয়াজে আয়ুশ অভি দুজনেই ১০১ নাম্বার রুমে প্রবেশ করে। যেখানে সাদা সিঙ্গেল বেডে শুয়ে তৃষ্ণা। বেডের পাশে বসে ছিলো জয়া। ছেলের মাথার ব্যান্ডেজ রক্তে ভিজে যাচ্ছে দেখে, আবিদ আয়ুশকে আওয়াজ লাগাল,
‘ ডাক্তার কে ডেকে আন। আবারও রক্ত বেরোচ্ছে। ব্যান্ডেজ ভিজে যাচ্ছে। ‘
আবিদ দ্রুত বেরিয়ে গেল। রুমের বাহিরে চারপাশে মানুষে গিজগিজ হয়ে আছে। আমিদ, অঞ্জলি-সোলাইমান, আবির- আয়েশা, আবিদের পরিবার, অভির পরিবার, জয়ার মা-বাবা, আমিদের মা-বাবা। সবাই চিন্তিত হয়ে দাঁড়িয়ে। সবাই এ-ই আসছে আর যাচ্ছে। কিন্তু জয়া, আমিদ আর আবির, আয়েশা, অঞ্জলিকে কেউ হসপিটাল থেকে বাড়িতে ঘুমুতে পাঠাতে পারছে না।
কৃষ্ণপুর গ্রামের মেইন রোডে এক্সিডেন্ট হয় তৃষ্ণার জীপগাড়ির। আবির লোক লাগিয়ে জানতে পেরেছে শত্রুর মাঝে কেউ ইচ্ছে করে ট্রাক দিয়ে এক্সিডেন্ট করিয়েছে। খুবই গুরুতর ভাবে এক্সিডেন্ট হয় তৃষ্ণার । ভালো চিকিৎসার জন্য তৎক্ষণাৎ শহরের হসপিটালে এডমিট করা হয় তাঁকে। রক্তের অভাবে ৪ দিন জ্ঞ্যান ছিলো না তৃষ্ণার। ৫ দিনের মাঝে জ্ঞ্যান ফিরলেও ডাক্তার ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে দেন, তৃষ্ণার মাথার আঘাতের জন্য। সবচেয়ে বেশি আঘাত মাথায় এবং পায়ে পেয়েছে। এভাবে হাতে, পিঠে এবং রানেও কিছুটা আঘাত পেয়েছে। ১২ দিনের মাঝে চব্বিশঘণ্টা লাগাতার চিকিৎসার ফলে এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে তৃষ্ণার শারীরিক অবস্থা। তবে এখনও বেশিরভাগ সময় তৃষ্ণাকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত মাথায় আঘাতের ফলে তাঁকে জাগিয়ে রাখা অনেকটা রিস্ক বলে জানিয়েছে ডাক্তার।
রাত্রি ১ টার চোখ মেলে তৃষ্ণা। অতিরিক্ত মাথার যন্ত্রণায় প্রায় সে চোখ খুলতে পারছে না। আবিদ তৃষ্ণাকে উঠতে দেখে দ্রুত এগিয়ে গেল,
‘ ভাই? ‘
‘ পানি। ‘
আবিদ পাশ থেকে ঢেলে তৃষ্ণার মুখের সামনে ধরে। পানি খেয়ে আবারও মাথা এলিয়ে দেয়। একটু একটু করে চোখ ভালোভাবে খলল তৃষ্ণা। হালকা আওয়াজে জিজ্ঞেস করল,
‘ আম্মু, আব্বু, মামা বাড়ি চলে গেছে? ‘
‘ না। তাঁরা সবাই বসে আছে বাহিরে। ‘
আবিদ ভাবছে বেলির কথা বলবে নাকি না। কিন্তু আবিদের ভাবার আগেই তৃষ্ণা প্রশ্ন করে,
‘ বেলি? ‘
আবিদ টুকরো আওয়াজে বলল,
‘ আমাকে সন্ধ্যায় কল দিয়েছিল। বলছিল তোমার সাথে কথা বলিয়ে দিতে। আর উমম অনেক কেঁদেছে মনে হয়। ‘
‘ কতদিন হচ্ছে হসপিটাল আমি? ‘
‘ তেরো দিন হচ্ছে ভাই। ‘
‘ আমার মোবাইলটা কোথায়? ‘
‘ ড্যামেজ হয়ে গেছে। ‘
‘ চলছে না একেবারে? ‘
‘ না চলছে। স্ক্রিন ভেঙে গেছে। ‘
‘ দে। ‘
আবিদ তাঁর পকেট থেকে ফোন বের করে তৃষ্ণার হাতে দিল,
‘ অনেক রাত হয়েছে ভাই। বিমান হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। ‘
তৃষ্ণা হালকা হাসলো,
‘ বেলি ঘুমায় নি এখনও। ‘
নিজের ফোন ওন করতেই দেখল ম্যাসেজ আর মিসডকল এ ভর্তি। বেলির নতুন নাম্বারটি সেইভ করে রাখার কারনে, সহজেই দেখতে পেলো বেলির নাম্বার থেকে অনেকগুলো মিসডকল। দ্রুত ডায়াল করল বেলির নাম্বারে। তখনই নার্স একটা প্রবেশ করে,
‘ আপনার কথা বলা নিষেধ। ‘
তৃষ্ণা হাত উঁচু করে পাঁচ মিনিট চাইল। আবিদ নার্সকে বোঝাতে বোঝাতে বাহিরে নিয়ে যেতে লাগল।
জানালার কাছে রুমাল নিয়ে বসেছিল বেলি। নাক টকটকে লাল হয়ে আছে বারবার রুমাল ব্যাবহার করায়। হাতে বিমান এবং তাঁর দু’জনের ফোন নিয়ে বসে। আবিদ তাঁকে আশায় রেখে ভাসা হয়ে গেলো। রাগের মাঝে বেলির কান্না পাচ্ছে। নাক টানতে টানতে ব্যাথা হয়ে গেছে। এতো রাত্রে তাঁর ঘুম পাচ্ছে না। হঠাৎ ফোন বেজে উঠতেই দ্রুত রিসিভ করল। তৃষ্ণার অসুস্থ স্বরে হালকা আওয়াজ,
‘ বেলি? ‘
তৃষ্ণার আওয়াজে বেলি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। তৃষ্ণার হালকা আওয়াজেই বোঝা যাচ্ছে সে অসুস্থ।
‘ কাঁদলে কল কেঁটে দেব। ‘
বেলি দ্রুত চোখ মুছে নিলো,
‘ কা..কাঁদছি না। আপনি প্ল..প্লিজ কাটবেন না। ‘
তৃষ্ণা হালকা হাসলো,
‘ এতো কাঁদার কি আছে? আমি ঠিকাছি। ‘
‘ আপনি ঠিক নেই। আ..আপনার আওয়াজেই বোঝা যাচ্ছে। ‘
‘ আর কি বুঝতে পারছিস? ‘
‘ বলুন না কি হয়েছে? ‘
‘ গ্রামে ফিরে বলব। ঠিকাছে? ‘
‘ ক..কবে ফিরবেন? ‘
‘ ফোঁপাচ্ছিস কেন? থাপ্পড় খাবি। কাঁদতে বাড়ন করেছি না। ‘
‘ থামছে ন..না। আ..আমি কি করব। ‘
‘ কল কেঁটে দিলে থামবে। ‘
‘ না না। কাটবেন না। ‘
একটু চুপ থেকে,
‘ কবে ফিরবেন? ‘
‘ ৩-৪ দিনের মাঝেই চলে আসব। ‘
‘ আপনার কি হয়েছে? ‘
‘ কিছু হয় নি। ‘
তখনই নার্স একটা রুমে ঢুকে বলতে লাগল,
‘ স্যার এখন ইনজেকশন দিতে হবে। ‘
তৃষ্ণা দ্রুতই হাত ইশারা করে কথা বলতে নিষেধ করে দিচ্ছে। কিন্তু ততক্ষণে বেলি শুনে ফেলেছে,
‘ কিসের ইনজেকশন? কি হয়েছে? আপনি কি হসপিটাল? ‘
‘ চুপ। এখন তুই ফোন রেখে ঘুমুতে যাবি। কাল কথা বলব। ‘
‘ আপনি বললেন না ত কিসের ইনজেকশন? ‘
‘ অন্য একজনকে বলছে আমায় না। তুই কান্নাকাটি করবি না। বুঝেছিস কি বলেছি?
‘ হ..হুঁ। ‘
‘ কল কেঁটে ঘুমুবি। ‘
‘ হুঁ। ‘
‘ গুড নাইট। ‘
কল কেঁটে বেলি কতক্ষণ বসে রইলো। তারপর ফোনটা চেপে ধরে ঘুমানোর চেষ্টায় লেগে পড়লো।
চলবে ~~~