#অবুঝ_ছাত্রী
#লেখক_IR_Iman_Islam
#part_18
(17 পর্বের পর থেকে )
আরে ওকে চিনিস না ওটা হচ্ছে তোর বাবার বন্ধুর ছেলে।
ও।
আন্টি মনে হয় রাফিজা আমাকে চিনে না তাই বলতেছে।
হুম আমি তো কখনো আপনাকে দেখি নাই তাই।আর আজকে প্রথম দেখলাম আপনাকে।
হুম সেটাও তো ঠিক।
মমিন সাহেব বাহির থেকে তার মেয়ের জন্য অনেক ফলমূল এনেসে খাওয়ানোর জন্য।
বাবা তুমি এতো গুলো ফল এনেছো কেনো কে খাবে।
কেনো তুমি খাবে মা।
বাবা আমি এতোগুলো একায় খাইতে পারবো না।
তোকে একবারে সব গুলো কে খাইতে বলতেছে।ধিরে ধিরে খাবি আর তোকে তারাতারি সুস্হ হতে হবে না।(রহিমা বেগম)
হুম ঠিক বলেছো তুমি।আমাদের মেয়েকে তারাতারি সুস্হ হতে হবে তো।
বাবা তুমিও।
সবাই রাফিজার কথা শুনে হেসে ফেলে।
রহিমা বেগম তার মেয়ের জন্য কিছু ফলমূল কেটে রাফিজাকে খাইতে দিলেন।
মা আমি এখন এগুলো খাবো না।
না বললে হবে না এগুলো খাইতে হবে তোকে।রহিমা বেগম তার মেয়েকে জোড় করে খাওয়াচ্ছে।
রাছেল রহিমা বেগম এবং তার মেয়েকে জোড় করে খাওয়ানো এক নজরেই দেখে আছে।কারন তার মা নাই তো তাই।যদি আমারো মা থাকতো তাহলে আমি যদি অসুস্থ হতাম আমাকেউ জোর করে খাওয়াতো।
কি দেখো বাবা এভাবে।
আপনাকে দেখে আজকে আমার মার কথা খুব মনে পড়তেছে আন্টি।
ও মন খারাপ করো না মা।তাহলে আজ থেকে আমাকে মা বলে ডাকবে।
ঠিক আছে আন্টি।
আন্টি না শুধু মা।
ওকে মা।(মা বলতে গিয়ে আমার চোখের পানি চলে এসেছে।কখনো কেউ বলে নাই যে তোমার মা নেই তো কি হয়েছে আজ থেকে আমাকে মা বলবে।)
কান্না করতে হয় না বাবা।আমার কাছে আসো।
রাছেল রহিমা বেগমের কাছে গিয়ে বসে।আর রহিমা বেগম তার শাড়ির আচল দিয়ে চোখের পানি মুচিয়ে দেয়।
মা তুমি কি খালি রাছেল ভাইয়াকেই আদর করবে আমাকে করবে না।
আমি তোমাকে আদর করবো মা।কেউ না করলে।(মমিন সাহেব)
এ দরত উতলে পরতেছে।রাফিজা কি শুধু তোমার মেয়ে আমারো মেয়ে ওকে।রাফিজা যেমন আমার মেয়ে তেমন আজ থেকে রাছেল ও আমার ছেলে।
হুম ঠিক বলেছো।
তাহলে আমি একটা ভাই পাইলাম মা।
আমি একটা ছোট্ট আদরের বোনও পাইলাম।
হুম আজ থেকে রাছেলকে বড় ভাই ডাকবি।
হুম ঠিক আছে মা।বাবা একটা কথা বলি,
হুম বলো মা,
রাগ করবে না,,
না বলো,
বাবা তুমি একটু স্যারকে ফোন দাও তো এখানে আসতে বলো তো।আমি তো আমার ফোনটা বন্ধ করে রাখছি।
ঠিক আছে তোমার স্যার এর নাম্বার দাও।আর এতো রাতে আসতে পারবে কি এখানে।
হুম আমার কথা শুনলেই আসবে যে করে হোক।
এতো ভালোবাসে আমার বোনকে।
হুম ভাইয়া অনেক ভালোবাসে।কিন্তু মুখ ফুটে বলে না।
দুলাভাই লজ্জা পায় মনে হয় মনে কথা বলতে।
কি যে বলো না ভাইয়া।কি বলতেছো তোমার সরম নাই।মা বাবা এখানে আছো দেখতে পাচ্ছো না। রাছেলের কথা শুনে রাফিজা একটু লজ্জা পেয়েছে।
এটা দেখে সবাই হেসে ফেলে।
তোমরা হাসতেছো আর আমার লজ্জা লাগতেছে।
আমার ছোট্ট বোনে এত লজ্জাও আছে আগে জানতাম না ত।
ভাইয়া তুমি চূপ করবে তো।
আর লজ্জা পেতে হবে না এবার বাবাকে নাম্বার দে তারাতারি।
নেও বাবা 017730********তারপর রাফিজা নাম্বার দেয়।
এদিকে ঈমানের চোখে ঘুম নাই।রাফিজার শেষ বলা কথাটা বার বার কানে বাজতেছে।যে এটাই আমাদের বলা শেষ কথা,এই কথা শুধু আমার কানে বাজতেছে।কি যে করলো পাগলিটা।ফোনটাও বন্ধ করে রাখছে।ঘড়িতে দেখি রাত একটা বাজতেছে।চোখের ঘুম কই যে চলে গেছে।ফোন দিচ্ছী বার বার বন্ধ বলতেছে।কালকে সকালে একটু রাফিজাদের বাড়িতে যাইতে হবে।কিন্তু ঘড়ির টাইমেই তো যাইতেই চাচ্ছে না।
বিছায় শুধু ছট পট করতেছি।হঠাৎ দেখতেছি ফোনটা বেজে উঠলো।এতো রাতে কে আবার ফোন দিলো।রাফিজা নাকি,,,
কিন্তু দেখতেছি রং নাম্বার থেকে।ভাবতেছি ধরবো না ধরবো তাতে ফোন কেটে গেলো,,
রাফিজা মা তোমার স্যার তো ফোন ধরতেছে না।
বাবা আর একবার দেও।
ওকে।মমিন সাহেব আবার ফোন দেয়।
এবার দেখি আবার ঔই নাম্বার থেকে ফোন আসলো।তাই আর দেরি না করে সাথে সাথে ফোন ধরি,,
আসসালামু লাইকুম।কে বলতেছেন।
ওলাইকুম আসসালাম।আমি রাফিজার বাবা বলতেছি।
হে আংকেল,কেমন আছেন।(হঠাৎ আংকেল ফোন দেওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম রাফিজার কিছু হয়েছে নাকি )
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো।তুমি কেমন আছো বাবা।
আলহামদুলিল্লাহ্ আংকেল আমি ও ভালো।
তো বাবা কালকে একটু আমাদের বাসায় আসিও তো সকালে।
ওকে আংকেল কিনতু কেনো সমস্যা হয়েছে কি?
না একটু দরকার আছে তোমার সাথে আসিও ওকে।
ঠিক আছে আংকেল।কি জেনো ডাকতেছে আমি তো ভেবেই পাচ্ছি না।আমি তো কিছু করি নাই।রাফিজা কি বলে দিয়েছে নাকি।কিন্তু রাফিজার কথা আংকেলের কাছে জিগ্যেসা করতে পারলাম না ভয়ে।তাতে আংকেল ফোন কেটে দিয়েছে।
বাবা তুমি আমার কথা বললে না কেনো।
তোর আত্মহত্যার কথা শুনলে টেনশন করবে তাই।এমনিতে মনে হয় তোমার টেনশনে এখনো ঘুমায় নাই।তাই তাকে কালকে ধীরে সুস্হে বলবো।
ঠিক আছে বাবা।
আংকেল চলেন তাহলে আমরা বাড়িতে যাই।(রাছেল )
ঠিক বলেছো বাবা।তোমরা চলে যাও এখান থেকে আমি আছি এখানে।আর বাসাতেও কেউ নাই।(রহিমা বেগম)
ঠিক আছে আমরা চলে যাচ্ছি তুমি থাকো।আর কাল সকালে জামাই বাবাজিকে নিয়ে একবারে আসবো।
এই কথাশুনে রাফিজা লজ্জা পেয়েছে।আর মনে মনে হাসতেছে।
হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না আমরা চলে যাচ্ছি।তারপর রাছেল এবং মমিন সাহেব বাসায় চলে যাই।মা মেয়ে এখানে থাকে।হাসপাতালে তো আর এক জনের বেশি থাকা যায় না তাই রহিমা বেগম থেকে গেলো মেয়ের পাশে।
আজকে কেনো আমার চোখে ঘুম ধরতেছে না।আমার বুক কেনো ধক ধক করতেছে মনে হচ্ছে রাফিজার কিছু হয়েছে।আর ঘড়ির কাটা মনে হচ্ছে যাচ্ছেই না।
ঘড়ির কাটা ঠিকেই যাচ্ছে কিন্তু ঈমানের মনে হচ্ছে না।কারন তার চিন্তা কখন সকাল হবে ওই বাড়িতে যাইতে পারবে।
(একটা কথা সবাইকে বলতে চাই আমার পেজে কিছু মডারেটর নিবো এবং এডমিন।যারা হতে চাই আমাকে ইনবক্সে বলবেন।আর গল্প লেখক কে কে আমার বন্ধু আছে একটু কমেন্টে বলবেন প্লিজ আপনাদের ধরকার আছে।)
#চলবে,,,,,,?
(ভূল হলে ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন প্লিজ।কেউ next না বলে গঠন মূলোক মন্তব্য করবে।আর যাদের গল্পটা ভালো লাগতেছে না তারা পড়বেন না বাজে কমেন্ট করবেন না।)