#আমার_শুধু_তুই
#লেখিকা_তামান্না (আল রাইয়ান)
#পর্ব_০২
রাস্তা পার হচ্ছিলাম। ঐ সময় মাঠে বাচ্চারা খেলছিল। তাদের খেলা দেখার প্রতি আগ্রহ জাগে। গিয়ে দেখি বাচ্চারা ক্রিকেট খেলছে তাদের মাঝে শুধু একজন ছিল বড় খাম্বা ছেলে। প্রথমে ভাবছিলাম কোনো ছেলের হাইট মনে হয় এটুকু বড়। পরে যখন বাহুডোরা দেখলাম তখন তো অবাক হয়ে গেলাম। বাহুডোরা ফুলা শক্ত বডি বিল্ডারের মত। কোনো বাচ্চার বাহুডোরা কি বডি বিল্ডারের মত হবে নাকি?
তারপর তাদের ব্যাটিং বলিং করা দেখতে থাকি। খাম্বা ছেলেটা ব্যাটিং করছিল প্রতি রাউন্ডেই ছয় রান দিচ্ছিল বাচ্চারাও তার সাথে উওেজনা নিয়ে খেলছে। আমার মন বার বার তার চেহারা দেখার জন্যে ব্যকুল হয়ে পড়ে। দূর থেকে তাকে স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছিল না। যতটুকু দেখতে পেলাম ওতটুকুতে বুঝতে পারলাম সে একজন খাম্বা লম্বুটুস বডিওয়ালা। তবে দেখতে কেমন তাও জানতে মন চাচ্ছে।
হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সকালের আটটা বাজবে। আজ অফিসে যাচ্ছি না স্যারকে আগেই বলে রেখেছিলাম। উনাকে নিজের মনের প্রব্লেম এর কথা জানায় যে, আমার কিছুই ভালো লাগছে না একটু রিলেক্সমেন্ট এর দরকার যদি আপনি অনুমতি দেন তাহলে?
উনিও অস্বীকার করলেন না একদম লেটার হাতে ধরিয়ে দিলেন। লেটার দেখে ঘাবড়ে গিয়ে ছিলাম। ভাবছি কোনো রেজিকরেশন লেটার ধরিয়ে দিলেন না তো। লেটার পড়ে দেখে অবাক হয়ে গেলাম। উনি আমাকে অনুমতি দিলেন সাথে এই ও বলেন,তোমার যতদিন রেস্ট এর দরকার রেস্ট নাও। No work, no tension only refresh yourself for few days as you wish.
আমি চোখ বড় করে উনার দিকে তাকিয়ে কিছু বলব তার আগেই বসের জরুরি মিটিং এর জন্যে ডাক আছে। তিনি উঠে চলে যান।
ভাবনার মাঝেই ঠাসসসসস আল্লাহহহহহহহ গোওওওওও মাইরা লইছে রে!
মাথায় হাত দিয়ে সামনে তাকায়। খাম্বা লম্বুটুস বরাবর মুখের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে।
—“ওহ সরি ম্যাম আপনাকে খেয়াল করি নি। ব্যাটিং করছিলাম সেই নিশানা আপনার উপর এসে পড়ছে তার জন্য সরি।
তার সরু গলার কণ্ঠস্বর শুনে গায়ের মধ্যে শিহরণ বয়ে দিল। অচেনা কোনো এক পথিক এভাবে কাছে এসে সযত্নে কপালের ব্লাড মুছে ড্রেসিং করে দিচ্ছে আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি হচ্ছে।
আচ্ছা পোলার কণ্ঠস্বর এত মিষ্ঠি কেন? মাশাআল্লাহ আবার যদি নজর পড়ে যায়। বডি তো আছেই কিন্তু একটা জিনিস বেশ ভালো লাগছে ছেলেটা অতিরিক্ত ফর্সা না। ফর্সা হলে তো বিদেশি চামড়া লাগতো। একদম দেশের চামড়া লাগছে। শ্যামলা চেহারায় মায়াবী আবরণ ফুটে উঠেছে। চোখজোড়ার চাহনী মণি ছিল প্রেমে ফেলার মত। না জানে কোন মায়া আটঁকে আছে সেই গাড় নীলচ্চে চোখে।
—“ঠিস ঠিস মুখের উপর তুড়ি বাজালো। ঠিক আছেন ম্যাম? কবে থেকে দেখছি আমায় চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছেন।
তার কথায় লজ্জায় পড়ে গেলাম। সত্যি তো এতক্ষণ যেই ভাবে তাকিয়ে ছিলাম মনে হয়েছিল আজীবন সেইভাবে তাকিয়ে থাকব।
ছিঃ কি লজ্জা!
বাচ্চাদের মধ্যে কিছু বাচ্চা হিহি করে মুখ টিপে হাসছে। কিন্তু যারা হাসছে তারা পরিচিত বটে।
হয়তো তারা আমার দিকটা বুঝে গেছে তাই একদম খিলখিলিয়ে হেসে দে।
খাম্বাটা ড্রেসিং করে তাদের দিকে সূক্ষ্ম দৃষ্টি রেখে বলে।
—“হাসার কি হলো? জোকস চলছে !
তার গম্ভীর কথায় এক বাচ্চা বলে,
—“আদ্রুপি আপনার প্রেমে পড়ছে।
কথাটা আমার কর্ণপাত হতেই চিল্লিয়ে উঠি।
—“এই ছেলে বলছিস কি হুমম আ….আমি কবে প্রেমে পড়ছি হ্যাঁ আমার বর আছে ওকে? সো প্রেম ইজ নট এলাউ।
হয়তো কথাটায় ভাব চলে আসল যা খাম্বাটার মুখ গোমড়া করে দিল। কিন্তু আজব আমার বর আছে কথাটা শুনে গোমড়া মুখ করারই বা কি আছে। যাই হোক আমি কেটে পড়ি। মনের যেই ভাবা সেই কাজ করে ফেললাম।
।
লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
।
ছেলেটার মুখপানে চেয়ে আন্দাজ করলাম। সে ভারি বোধগম্য স্বভাবের।
ধুর এত ভাবার কি আছে! না লাগে জামাই,না লাগে ভাই, না লাগে আত্নীয়।
ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে কেটে পড়লাম। বাসায় এসেও পাচ্ছিলাম না মনে শান্তি। বার বার সেই নীলচে কালার চোখের মায়াবী মুখজোড়া দেখতে মন চাচ্ছিল।
তাও নিজেকে যথাসাধ্য সংযত রাখলাম। কেননা অচেনা পথিক সবসময় থাকে না। চলে যায় নিজের গন্তব্যের পানে।
আব্বু আম্মু বসে ছিল ডাইনি রুমে গিয়ে আড্ডা জমালাম। আব্বুকে কথার চলে বললাম।
—“আব্বু আমার না একা একা কিছুদিনের জন্যে ঘুরতে মন চাচ্ছে। কতদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ থেকে আছি। এখন একটু অন্য জেলা ভ্রমরের ইচ্ছা জাগছে।
তাই ভাবলাম চট্টগ্রাম যাই?
আব্বুর মুখ আমার কথাটা শুনে পরক্ষণেই কালো হয়ে গেল। উনি নিজের মা দুটিকে কখনো একা ছাড়েন না। আহিরা তো ছোট তাই তার সাথে আমি থাকতাম না হয় আম্মু থাকতো। আব্বু তো চেয়ারম্যান হওয়ায় বিভিন্ন দলিলপএ সংগ্রহ সংগঠন নিয়ে ব্যস্ত থাকতো।
তবে আজ হঠাৎ নিজের বড় মা মানে আমাকে আব্বু মা বলে সম্মতন করেন। প্রতিটা মেয়েই তার বাবার কাছে পরীর মত, মায়ের মত লাগে।
শত যুগ আগের বাবারা যে মেয়েকে বোঝা ভাবতো সেই বাবার অন্যরকম প্রতিছবি এখনকার বাবারা। যারা নিজের কন্যা সন্তানকে নিজের মায়ের মত ভালোবাসে।
আব্বুর কাছে এসে আব্বুকে জড়িয়ে ধরে বলি।
—“আব্বু বেশিদিন না শুধু কয়েকদিন।
—“হুম তোর কয়েকদিন কয়েকবছরের মত লাগে সেটা কি জানিস তুই?
—“আহা আব্বু আমি জাস্ট ঘুরতেই চাচ্ছি ব্যস ঘুরা শেষ তো আমিও হাজির।
মেয়ের কথায় আরফাজ সাহেব হেসে তাকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু একেঁ বলেন।
—“আচ্ছা মেনে নিলাম। তবে আমার কথাও তোর থেকে রাখতে হবে।
আব্বুর কথা কি সেটা আগেই জানি। আর জানতামও যে আব্বু এখন কি বলবেন।
আমতা আমতা করে মাথার চুল চুলকাতে লাগি।
—“হুমম বলো।
—“আমি চাই তুই যাসছিস যখন তোর জন্যে দেখা ছেলে কে তোর সাথে নিয়ে যাহ্। কয়েকদিন একসাথে টাইম স্পেন্ড করবি নিজেদের জেনে বুঝে তারপর বিয়ে পর্ব শেষ করে দেবো।
—“আব্বু তুমি জানো তো আমার এসব ছেলেপেলে দেখার কোনো ইচ্ছে নেই। সে উপর থেকে তুমি ছেলের সাথে ঘুরতে যেতে বলতেছো ইটস ইম্পসেবল!
আব্বু আবারও মুখ কালো করে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেন।
আব্বুর মুখখানি দেখে বাচ্চার মত লাগল। যখন বাচ্চা যে জিনিসের জন্যে আবদার করলে সেই জিনিস না পেলে যেমন ভাবে মুখ ঘুরিয়ে নে ঠিক সেরকম মুখখানি দেখতে পেলাম।
পারলাম না আর আব্বুর কথা ঠেলে দিতে মেনে নিলাম। আব্বুও এক প্রকার খুশি হয়ে টেলিফোন লাইন নিয়ে লেগে পড়ে হবু বরকে ইনভেটিশন দেওয়াতে।
আমিও কিছু না বলে রুমে চলে আসি। কি বলব আব্বু কখনো আমার সব কথা ফেলতেন না। আর আমি যদি ফেলি তাহলে খারাপ তো দেখাবেই।
চুপচাপ চট্টগ্রাম ভিজিট করার জন্যে ব্যাগ গুছাতে লাগলাম। আহিরাও এসে আমাকে হেল্প করতে লাগে।
কিছুক্ষণ পর আম্মু এসে বলল।
—“আদ্রু তোর নামে একটা পার্সেল আসছে বাহিরে যেয়ে দেখ তো।
হঠাৎ পার্সেল আমি তো কিছু অর্ডারও করেনি। আম্মুর কথায় বাহিরে গিয়ে দেখি একজন কালো স্যুট পরা লোক চোখের মধ্যে চশমা পড়া। দেখতে বডি গার্ড এর মত লাগছে। কিন্তু কার?
আমি কৌতূহলী জিগ্গেস করলাম।
—“কে ভাইয়া আপনি?
—” ম্যাম আমি হলাম চৌধুরী কোম্পানির এমপ্লয় বস আপনাকে এই পার্সেলটা দিতে বলেছেন।
—“চৌধুরী স্যার আমার জন্যে পার্সেল পাঠিয়েছেন?
চোখজোড়া অবাক করে উনাকে বলি।
উনি মুচকি হেসে পার্সেলটা হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যান।
আমি দৌড়ে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে পার্সেলটা খুললাম।
দেখি ভেতরে কি আছে? উনার আবার এমন কি দেওয়ার ইচ্ছে জাগল যে আমায় পার্সেল করে দিলেন। প্লাস্টিকের মোড় ছিঁড়ে ডাস্টে ফেলে দিলাম। বক্স ওপেন করতেই একটা ওয়াইট স্টোন লাগানো ঘড়ি পেলাম। দেখে তো দামি ঘড়ি লাগছে। কিন্তু দেওয়ার কারণ? জিগ্গেস করে দেখি।
ফোন হাতে নিয়ে কল দেবো তার আগেই আননোন নাম্বার লেখা কল আসল।
কানে ধরতেই অচেনা কণ্ঠের স্বর ভেসে আসল।
—-“পার্সেল পেয়েছেন?
—-“জি পেয়েছি কিন্তু আপনি কে চৌধুরী স্যারের কেউ বলছেন?
—“উহুম।
—“তাহলে কে আপনি?
—“আমি যেই হয় পার্সেলের মধ্যে দেওয়া জিনিসটা সবসময় ইউজ করবে।
—-“একমিনিট আপনি কে না কে আপনার দেওয়া জিনিস ইউজ করব কেন?
যেখানে আমি অপরিচিত মানুষের দেওয়া কোনো জিনিসই নি না। সেখানে আপনি ইউজ এর কথা বলেন?
তাহলে শুনে রাখুন আপনার দেওয়ার জিনিস আমি ইউজ করিতাম নট।
লোকটা মনে হয় হাসি দিল এমন লাগছে। অপরপাশ থেকে লোকটা বাঁকা হেসে বলে।
—-“না করলে তোমারই ক্ষতি!
—-“ওয়াট আমার কিসের ক্ষতি?
—” সেটা না হয় তখন বুঝবে যদি আমার দেওয়া জিনিস ইউজ না করো মাইন্ড ইট!
টুট টুট টুট
—“আরে আজব প্রাণী তো। আমার মুখের উপর কল কেটে দিল। শালা লাপাঙ্গা আমার সাথে ফ্লাটিং হচ্ছে তোর দেওয়া ঘড়ি আমি পড়ব না দেখি কি ক্ষতি হয়?
আমিও ভয় পাই না হু। সাহসী যোদ্ধা মেয়ের তালিকায় আমার নামও আছে। আব্বু সবসময় বলে আমি সব বিষয়ে স্মার্টনেস প্রেজেন্ট করি। দেখে নিবো এরে হু।
আমিও নাচতে নাচতে রেডি করে রাখলাম সবকিছু।
পরেরদিন…….
বাসটপের পাশে গাড়িটা থামল। একঘণ্ঠা আগেই আব্বু আম্মুর থেকে সালাম দোয়া নিয়ে বেরিয়েছি। কিন্তু অসহনীয় হচ্ছে আব্বুর পাঠানো বডিগার্ড আইমিন আমার জন্যে দেখা ছেলেকে ও পাঠিয়ে দিল। পাশে বসে তো আছে কিন্তু মুখের ননস্টপ কথাবার্তা বলেই যাচ্ছে কানটা পাঁকিয়ে দিচ্ছে।
তার কথার মাঝেই সে না দেখে মত কানে ইয়ারফোন গুঁজে দিলাম। না হয় সারা রাস্তা আমার কানে গেজ গেজ করে ফাটিয়ে দিত।
জানালার বাহিরে তাকিয়ে রাস্তার পাড়াপাড় দেখতে লাগি।
হঠাৎ মাথায় কেনো যেনো ছন্দ বানাতে মন চাইলো।
—“দুপুরের কোলামেলা রোদের উষ্ণতায়
খুঁজেছি আমি তোমার প্রহার।
কবে আসবে, কবে দেখা দিবে
নিজের এক ঝলক
ভালোবাসার রদ্রের তীব্রতা ।
—“কি ভাবছো আদ্রু?
আচমকা ফাহিম বলে উঠল।
ওও আপনাদের জানালাম না আমার হবু বর এর নাম ফাহিম। যাকে আমি নয় কিন্তু আব্বু বেশ পছন্দ করে।
ফাহিমের কথায় বিরক্ত লাগল তাও মুখের উপর কথা তো বলতে পারব না। এজন্য তার দিকে তাকিয়ে বলি।
—“না এমনেই। আচ্ছা কোনো এক রেস্টুরেন্টে গাড়ি থামাতে পারবে?
—“কেন? তোমার কি খিদে পেয়েছে?
—“হুমম তেমন কিছু।
—“আরে কি বলো সকালেই তো বের হওয়ার আগে পেটপুড়ে খেয়েছো। তাহলে আবার খাবে কেন?
তার কথায় মনে মনে ভাবি।
—“হায় রে পেট আমার, খিদা আমার তাতে তোর গৌষ্ঠির কি যায়? ওওও আচ্ছা নিজের টাকা খরচ হবে ভেবে এই কথা। দাঁড়া তোর টাকা কি টাকার টাকাই রাখি না দেখ।
—“দেখো আমরা জার্নি করতে বেরিয়েছি। রাস্তাঘাটে হঠাৎ কিছু না কিছু প্রয়োজন হতেই পারে। তাই বেশি কথা না বলে চুপচাপ গাড়ি রেস্টুরেন্টে থামাও।
আদ্রিয়ার কথায় ফাহিম হকচকিয়ে যায়। সে আমতা আমতা করে মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানায়।
কিছুক্ষণের মধ্যে তারা আবাসি হোটেল বেস্ট রেস্টুরেন্টের মধ্যে চলে আসে। এটা অবশ্যই নারায়ণগঞ্জের মধ্যেই এখনো চট্টগ্রামে যেতে টাইম আছে। গাড়ি করে যাচ্ছি তাই টাইম লাগবেই স্বাভাবিক।
ফাহিমকে গাড়ির মধ্যেই খাবার নিয়ে আসতে বললাম। আর নিজে গেলাম ফ্রেশ হতে।
ওয়াশরুমের দরজা খুলব তখন সাইডে থাকা আয়নার মধ্যে কাউকে দেখতে পেলাম। জট করে পিছে তাকিয়ে দেখি কেউ নাই। তাহলে কি এটা আমার ভ্রম ছিল নাকি বাস্তব। কিন্তু আমি তো বাস্তবেই আছি আবার পিছে ঘুরে সেই দিকে একটু উঁকি দিলাম কিন্তু পেলাম না কাউকে।
তাই সত্যি ভ্রম ভেবে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লাম।
তখন কে জানতো আড়াল থেকে বেরিয়ে আসল এক পোহরী যুবক হুডী পরে নিজেকে ঢেকে রেখেছে।
তার ঠোঁটে মাঝে আছে তৃপ্তির হাসি।
সে ওয়াশরুমের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে শ্বাস নিল।
বিরবির করে বলতে লাগে।
—“সারা দুপুরের মাঝে খুঁজে পেয়েছি
তোর একখানা মায়াবী
প্রহার।
দ্বিপ্রহর হবে না কখনো।
চলতি আগাম জীবনে #আমার_শুধু_তুই।
আসবে নতুন ভোর কিন্তু হবে না
তোর আমার বিচ্ছেদ।
তোকে পাওয়া মানে আমার নেশা দূর করার উপায়। তুই আমার নেশা নেশাই থাকবি। তোর নেশায় শুধু আমিই জর্জরিত হবো। তৃতীয় কোনো ব্যক্তি আসলে………জানালার বাহিরে ফাহিম এর দিকে তাকিয়ে বলে। তার নাম নিশানাও মিটিয়ে দেবো।
চলবে…..?
(এখন যে পর্বের দিকটা চলছে তা প্রথম পর্ব যারা পড়েছেন তারা ঠিক বুঝতে পারবেন। প্রথম পর্বে আদ্রিয়া তার অতীতের কথা নিয়ে এসেছে। কিভাবে তার সাথে কি হলো। আয়মানই বা কে সব ধীরে ধীরে নেক্সট টু নেক্সট পর্বে পাবেন। আর জানাবেন গল্পটা কি আপনাদের বোরিং লাগছে না ভালো লাগছে। হেপি রিডিং )