#ক্রাসের_সাথে_ডাইরেক্ট_বিয়ে
#লেখক_নীলার_আব্বু
পার্ট-৪
-শশ!কোনো কথা না।
নীলিমা বাতি বন্ধ করে দেয়।
————————————-(আমি কিছু দেখি নাই😑😯)
সকালে,
-এই উঠো।
-হুম,
-আরে উঠবা নাকি?
-যাও তো একটু ঘুমাই।
-তুই উঠবি নাকি?
-হুম।কেরে এতো কাকের মত চেছাস?
এই বলে কম্বলটা দিয়ে মাথা ডেকে দেই।
-কি আমি কাক?😡
বুকের মত ইচ্ছারকম ঘুষি মারতে থাকে।
-এই ফকিন্নি উঠ বলছি।
-কে কে, ভূত?
আচমকা জেগে যাই।
-না তোর যম?
-কি।
চোখ কচলাতে থাকি।চোখ খুলে দেখি নীলিমা।সকালের আলোতে নীলিমাকে যেনো আরো সুন্দর পরীর মত লাগছে।
-এই শোনো না।
-কি?
-তুমি এতো সুন্দর আরো এত মিষ্টি কেনো?ইচ্ছে করে তোমাকে খেয়ে ফেলি।
-সাদ সকালে কি পাগল হলে নাকি?তুমি থাকো।পরে পরে ঘুমাও আমিই চলে যাচ্ছি।
নীলিমা উঠতে যাচ্ছিলো কিন্তু তার হাত ধরে ফেলি আর টান দেই।আমার বুকের উপর পড়ে গেলো নীলিমা।নীলিমার চুলগুলো আমার মুখের উপর পড়ে যায়।আমি নীলিমাকে আরো কাছে টেনে নেই।তার মুখের,ঠোটের আরো কাছাকাছি আসতে,
টক টক (দরজায় নক)
-জামাইবাবু আর কতক্ষন এবার তো উঠেন।
নীলিমা হুট করে উটে পড়ল।দরজা খুলতে চলে গেল।
-ধ্যাৎ,আর আসার সময় পেলো না?রোমান্সের বারোটা বাজিয়ে দিল।নীলিমা আমার চেহারা দেখে মুখ চেপে হাসছে।
——————————
বিয়ের সপ্তাহ পর,
-স্যার আপনার অর্ডার।
-ওহ হ্যা।বল দোস্ত কি খাবি?
-আপাদত দুই কাপ কফি প্লিজ।
-দুই কাপ কফি।
-ইয়েস স্যার।
-তো বল কি সেই তোর কথা যার জন্য আমাকে এই কফি শোপে নিয়ে এসেছিস।
-হুম,বলছি।দেখ তোর বিয়ে হয়ে গেছে।(আবির)
-হুম।
-আমারও কিন্তু হয়ে গেছে।
-হুম।তো?
-তোর কি কোথাও ঘুরতে যাবার প্ল্যান আছে?
-প্ল্যান?!!না!!
-আমার একটা প্রস্তাব আছে?
-কি?
-চল হানিমুনে যাবি?
-হানিমুন!!ছি ছি তোর সাথে হানিমুনে যাই কিভাবে?মাথা কি তোর ঠিক আছে?
-হাদারাম!আমার কথা বলেছি নাকি।
-তাহলে?
-যে যার বউ।দেখ হানিমুনে গেলে রোমান্সের রোমান্স আর ঘুরা দুইটাই হবে।
-মানে আমরা দুজন হানিমুনে যাব একসাথে আমাদের বউ নিয়ে।
-হুম।
-না আইডিয়াটা খারাপ না।বাট যাবিটা কোথায়?
-কোথায় আর কক্সবাজার?
————————
-কি কক্সবাজার????!!!
-হুম,কক্সবাজার। আমরা হানিমুনে যাচ্ছি রোববার।
-সত্যি।😃
-হুম।
নীলিমা দৌড়ে এসে আমার গালে কিস করে।
-আমারও ইচ্ছে ছিল আমার জামাইয়ের সাথে কক্সবাজার যাওয়ার।থ্যাংক ইয়ুওওও😘😘😘।
নীলিমা সত্যিই অনেক খুশি হয়েছে।
।
।
রোরবার,
-কই তারাতারি, এতোক্ষণ লাগে নাকি।
-আরে আসছি তো।
-ধ্যাৎ
রুমেই ডুকে পড়লাম।
-কি হলো এতত এত এত
নীলিমাকে দেখে বড় ধরনের ক্রাস খেয়ে গেলাম।হা করে তাকিয়ে আছি।মনের মত সেজেছে।
-কি হল হা করে আছো কেনো?আর চোখ সড়াও আমার কি লজ্জা লাগে না।
-কি?! আমার রাগী বউয়ের আবার লজ্জা।
-কি বললি?আমি রাগী।তোর কোন দিক থেকে মনে হয় আমি রাগী।
গাড়ির হর্ণ এর শব্দ আসল।
-ওই দেখো গাড়িও এসে পড়েছে।এখন রাখো এগুলা।
নীলিমা আর আমি বেড়িয়ে পড়ি।সবার থেকে বিদায় নিয়ে নেই।বাসা থেকে বেড়িয়েই দেখতে পেলাম আবির তার গাড়ি নিয়ে হাজির।
-কি অবস্থা? (আবির)
-দেখছিসই তো কেমন?
-ভাবী কেমন আছেন?
-এইতো।
গাড়ি থেকে একটা মেয়ে নামলো।
-আর ভাবী পরিচয় করিয়ে দেই।এ হল আমার বউ মেঘা।আর মেঘা এ হল সম্রাটের ওয়াইফ।
-তো যাওয়া যাক বাকি কথা গাড়িতে হবে নে।
-হুম।চল।
একে একে সবাই গাড়িতে উঠে পড়লাম।গাড়ি স্টার্ট করে দেয়।অনেক আনন্দের সাথেই যাত্রা শুরু করলাম।
——-কিন্তু আসলে এই যাত্রাতে যে কত জামেলা আর বিপদের সম্মুখীন হতে হবে তা সম্পর্কে একটু ধারনা ছিল না।——-
.
.
.
.
.
চলবে।
আমি খুবই দুঃখিত আজকের পর্ব টা অনেক ছোট হয়ে গেল । আমি একটু ব্যাস্ততার মধ্যে আছি তাই ছোট করে দিতে বাধ্য হলাম।
.
.