তোলপাড় পর্ব ১৬+১৭

#তোলপাড়💓
#পর্বঃ১৬
#শান্তনা_আক্তার(Writer)

বাবার কথা শুনে বেশ খুশি হয়ে গেল রিমি।মস্ত এক হাসি দিয়ে বলল,কি বলেছে বাবা?

-বলেছে তোমায় আর আহসানকে তাদের বাড়িতে কদিন বেড়াতে।

-কিন্তু বাবা তো রেগে আছে আমার উপর!

-রাগ কি সবসময় থাকে পাগল!রাগ নিবারণ হয়েছে বলেই তো কাছে ডাকছে।এসব কথার মাঝে আহসান চলে আসে।এসেই বলে,কে রাগ করেছে মম?

-ভালোই হয়েছে তুই এসেছিস।তোর শ্বশুরমশাই তোকে আর রিমিকে কদিনের জন্য যেতে বলেছেন তাদের বাসায়।

কথাটা শুনেই আহসানের মেজাজ যেন বিগড়ে গেল।

-রিমি একা গেলে যাক আমি যাবনা।আমিতো ফ্রি বসে নেই।হসপিটালে কতো কাজ আছে আমার।(বিরক্তিকর মুখ করে)

-এভাবে বলছিস কেন?তুইতো গাড়ি নিয়ে যাবি তাহলে প্রবলেম টা কোথায়?ওখান থেকেই হসপিটালে যাবি নাহয়।

-মম তুমি বুঝতে পারছো না,বাপি খুব রেগে যাবে কথাটা শুনে।

-কেউ রাগবে না।আমি সব ম্যানেজ করে নেব।ও হ্যাঁ ম্যানেজ থেকে একটা কথা মনে পড়লো।আমি তোমার শ্বশুরকে মানিয়ে ফেলেছি তোমার জব করার বিষয়টা নিয়ে।(রিমিকে উদ্দেশ্য করে বলল)

-আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মা।

অপা রিমির গালে একহাত রেখে বলে,ধন্যবাদ দিতে হবে না।তো তোমরা কবে যাচ্ছো সেখানে?

-কালই গেলে ভালো হয় মা।কারণ আমি যদি জবটা পাই তো ১ তারিখ থেকে জয়েন করবো কলেজে।পুরো ৮ দিন আছে আমার হাতে তাই কাল গেলেই বোধয় ভালো হয়।

রিমির কথা শুনে আহসান বলে উঠে,তোমার যাওয়ার হলে তুমি যাও আমি যাবনা,Never…

-আচ্ছা মা আমি তাহলে জিসানকে নিয়ে যাই এতে আমার সময় ও কেটে যাবে আড্ডা দিয়ে।(আহসানকে রাগানোর জন্য বলল)

আহসান রিমির দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে বলল,মম আমি যাব এই বলে শাওয়ার নিতে চলে গেল।আহসান আচমকাই রাজি হয়ে যাওয়ায় অপা যেন বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়।

-কিভাবে মেনে নিলো ছেলেটা!হুট করে মুডটা কিভাবে চেঞ্জ হলো?

-আমার মনে হয় আপনার ছেলের মাথায় গন্ডগোল আছে।কখন কিভাবে ওনার মুড পাল্টে যায় তা উনি নিজেও জানেন না হয়তো হা হা।

-এভাবে বলতে নেই ও তোমার স্বামী।স্বামী যেমনই হোকনা কেন যতদিন বেঁচে থাকবে নারীর অলংকার হয়ে থাকবে।যখন একটা মেয়ের জীবন থেকে স্বামী নামক মানুষটা হারিয়ে যাবে তখন সে শ্বশুরবাড়ি হোক বা বাপের বাড়ি,দু জায়গাতেই অবহেলিত।যতই সে নারী উচ্চশিক্ষিত হোকনা কেন।

-আমি বুঝতে পেরেছি মা।

-গুড,আচ্ছা আমি এখন উঠি অনেকক্ষণ হয়েছে এসেছি।এই বলে চলে যায় অপা।

আগামীকাল সকালের ডিউটি করে আহসান রিমিকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।আহসানের জন্য প্রথম শ্বশুরবাড়ির যাত্রা এটা।আহসান গাড়ি চালাচ্ছে রিমি ওর পাশের সিটে বসা।রিমি কিছুক্ষণ পর পর আহসানের রাগে লাল হয়ে যাওয়া মুখটা দেখে মিটিমিটি হাসছে।

আহসান বিষয়টা লক্ষ্য করে বলল,আর ইউ স্ক্রাব!হাসছো কেন এভাবে!

-আপনাকে কিভাবে রাজি করিয়েনিলাম বলুন!আমি তো খুব জিনিয়াস।রিমি ওর পিঠ থাপড়ে বলল,সাব্বাশ রিমি সাব্বাশ।

-তুমি কিন্তু আমাকে ব্লেকমেইল করে কনভিন্স করেছো।That’s not fair ok!

-আমি ব্লেকমেইল করলে আপনি রাজি কেন হবেন হুম?আপনি আমাকে একটা কথা বলুন,জিসান এমন কি করেছে যার আপনি ওকে দেখতে পারেন না?।

-Don’t talk rubbish…জিসান আমার ছোট ভাই।ওকে আমি কেন দেখতে পারবো না?

-সেটা তো আপনি জানেন,কি ক্ষতি করেছে জিসান আপনার।

-আমি কিন্তু খুব জোরজবরদস্তি করে নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখছি এখন।তাই প্লিজ আমাকে আগের রুপ ধারণ করতে বাধ্য করো না।নইলে গাড়ি থেকে নামার সুযোগ ও দেবনা,ডিরেক্ট ধাক্কা দিয়ে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেব।রিমি আহসানের কথায় ভয় পেয়ে যায় প্রচুর।কারণ রিমি জানে আহসান কতটা ভয়ংকর।তাইতো ঠোঁটে আঙুল ছুঁইয়ে চুপচাপ কথা না বলে বসে থাকে।গাড়ি গিয়ে থামে একটা চারতলা বাড়ির সামনে।অবশ্য রিমি আহসানকে গোলি দেখিয়ে এই অবধি নিয়ে এসেছে।রিমি বলল,এইতো আমরা চলে এসেছি।রিমিরা গাড়ি থেকে নামলে নাজমুল হোসেন ও আম্বিয়া ওদের ঘিরে ধরলো।রিমি অনেকদিন পর বাবা মাকে দেখে ইমোশনাল হয়ে পড়ে।আহসান রিমির বাবা মাকে সালাম দিল।

হালচাল জিজ্ঞেস করার পর্ব শেষ হলে সবাই বাড়ির ভেতর গেল। রিমি আগে যেই রুমটায় থাকতো সেখানে ওদের জিনিসপত্র নিয়ে গেল।আহসান রুমের ভেতর গিয়ে বলল,তোমরা এতোটুকু একটা ফ্ল্যাটের মধ্যে কিভাবে থাকো হুম?

রিমি আহসানের প্রশ্নে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে।

-কি বললেন আপনি?এটা ছোট ফ্ল্যাট?জানেন এই ফ্ল্যাটটা কিনতে আমার বাবা মা কতটা কষ্ট করেছে!সেটা আপনাকে বলে কি হবে আপনি তো কষ্ট কি জীবনে চোখেও দেখেননি।আপনার মতো সবাই আলিশান প্রাসাদের মালিক নয় বুঝলেন?

-হয়েছে হয়েছে এতো জ্ঞান দিতে হবে না আমায়।খুব গরম লাগছে এখানে।একটা এয়ার কন্ডিশন ও দেখছি নেই।

-আপনি কি এখানে আমার পরিবারকে অপমান করতে এসেছেন?যদি তাই করতে এসে থাকেন তাহলে আপনি এখনি চলে যেতে পারেন আমি আটকাবো না।(কড়া ভাবে)

-কিছু বলাও যাবেনা দেখছি ধুর।তুমি কি ফ্যানটাও ছাড়বে না নাকি?

-ওহ সরি বলে রিমি ফ্যান ছেড়ে দিল।এরই মাঝে আম্বিয়া এসে বললো,কি করছো বাবাজীবন?তোমার এখানে কোনো অসুবিধা হচ্ছে নাতো?

-না আন্টি,জাস্ট একটু গরম অনুভব হচ্ছে এই আরকি।আহসান রিমির দিকে তাকিয়ে দেখলো ও চোখ গরম দিয়ে তাকিয়ে আছে।তারপর বলল,আমি আপনার মাকে মা ডাকি আপনি আন্টি কেন ডাকছেন?

-আহা চুপ করনা।তুই সর্বদাই বড্ড বেশি কথা বলিশ।আহসান বাবার যা ইচ্ছে হবে আমাকে ডাকুক।তোর কি?আমি যাই একটা জালি ফ্যান এনে দিচ্ছি তোমাদের রুমে তাহলে গরম কম লাগবে।এই বলে চলে যাচ্ছিলো কি রিমি আটকে নিল।

-আম্মু তোমাকে যেতে হবে না আমি নিয়ে আসছি।

-আমি যাচ্ছি তো।আর তোমরা এখন খেতে আসো।আম্বিয়া আহসানের দিকে তাকিয়ে বলল,তোমাদের আসার কথা শুনে তোমার শ্বশুরমশাই সেই সকাল বেলা উঠে বাজারে গিয়ে বাজার করে এনেছেন।খুব খুশি হয়েছেন উনি তোমরা আসায়।নিজ হাতে পরিবেশন করে খাওয়াবে বলে বসে আছে টেবিলে।তোমরা এসো আমি ফ্যান এনে আসছি।

খাবার টেবিলে খাবারের আইটেম গুলো দেখে আহসান বেশ অবাক হয়।কারণ প্রতিটি খাবার ওর পছন্দের।নাজমুল খুব যত্ন করে মেয়ে জামাইকে খাওয়ালেন।খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হলে রিমি ও আহসান রুমে চলে আসলো।আহসান কিছুক্ষণ রেস্ট নিলো।তারপর হসপিটাল থেকে কল আসায় ইমার্জেন্সি আছে এই বলে তরিঘরি করে বেড়িয়ে পড়ল।
#তোলপাড়💓
#পর্বঃ১৭
#শান্তনা_আক্তার(Writer)

বিকেলের রাঙা গোধূলির সাথে এক কাপ চাপ বেশ পছন্দ রিমির।যদিও রিমির চা খাওয়ার অভ্যাস নেই তবুও মাঝে মাঝে অভ্যাসটা বদলাতে বেশ লাগে ওর।রিমি বিকেলের আবহাওয়া উপভোগ করছিল তখন আহসান এসে ওর সব মুডের ফালুদা বানিয়ে দিল।আহসান এসেই বলল,সবসময় বেলকনিতে কি তোমার?

মানুষ যেভাবে কোমড় বেঁধে ঝগড়া করার জন্য মাঠে নামে।রিমিও ঠিক তারই অনুরূপ তেড়ে গেল আহসানের সম্মুখে।

-এই আপনার সমস্যাটা ঠিক কোন জায়গায় বলুন তো?আমার কাজে বাঠ্যাং না ঢুকালে আপনার ওই পাজি পেটের ভাত হজম হয়না নাকি?

আহসান যেন রিমির কথায় আকাশ থেকে পড়ে।তাইতো মুখটা আঁকিয়ে বাকিয়ে বলল,ঠ্যাং কি হুম?

রিমি উচ্চস্বরে হেসে বলল,আহালে বাবু ঠ্যাং চেনে না।কথাটা যেন আহসানের পছন্দ হলো না।রিমি হাসছে তো হাসছেই।থামার কোনো নাম গন্ধই নেই।যেই হাসি এতোক্ষণ আহসানের বিরক্তির কারণ ছিলো,সেই হাসি চোখের পলকেই ভাললাগার সম্মোহনে বদলে গেল।আহসান রিমির এক হাত টেনে মুড়ে পেছনে নিয়ে গেল।একেবারে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেলেছে রিমিকে।রিমি হাসি থামিয়ে ভুত দেখার মতো অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো আহসানের দিকে।আহসান রিমির খোলা চুলের ভাজে হাত ঢুকিয়ে দিল।আসতে আসতে নিজের মুখটা রিমির গাল অবধি নিয়ে গিয়ে আলতো করে এক চুমু খেল।রিমি যেন কেঁপে উঠে এমন কাজে।রিমি আহসানের ব্লেজার খামছে ধরল।আহসান রিমির ঠোঁট অবধি যাবে কি এমন সময় ওর ফোন বেজে উঠল।আহসান ওর কাজে ব্যাঘাত পেয়ে রিমির হাতটা ছেড়ে দিল।এই সুযোগে রিমি আহসানকে এক ধাক্কা মেরে পালিয়ে গেল।আহসান পারলে ফোনটা ভেঙে ফেলতো।কিন্তু স্কিনে ওর মমের কল দেখে কোনোমতে রাগ কন্ট্রোল করে রিসিভ করলো।

-হুম মম।

ওপাশ থেকে অপা বলল,শ্বশুরবাড়িতে কেমন লাগছে আমার বাবার?

-এখানে এসি নেই তারপর খুব ছোট জায়গা।আমি আজ রাতেই চলে আসছি।

-এভাবে বলতে নেই।তুই একটু মানিয়ে নে দুদিন তারপর তো চলেই আসবি।

-হোয়াট!আরও টু ডেজ?That’s impossible for me..

-পারবি বললাম তো।সব জায়গায় থাকতে অভ্যাস করতে হয় বুঝলি?

-এখান থেকে হসপিটালে যেতে অনেক সময় লেগে যায়।তুমি বুঝতে চাইছো না কেন?

-সবই বুঝি তাইতো তোর বাপিকে বলে দু দিনের ছুটি বরাদ্দ করলাম মাত্র।তোকে দুদিন হসপিটালের কাজ করতে হবে না।জাস্ট এঞ্জয় কর শ্বশুরবাড়ি।কোথায় আছে না শ্বশুরবাড়ি রসের হাড়ি!কথাটা তুইও প্রমাণ করে দে।

-বুঝেছি আমি তোমার নিজের ছেলেই না।এই বলে ফোন কেটে দিল।

-এই দেখো ফোনটাই কেটে দিল ছেলে আমার।কিছুতেই কিছু বুঝতে চায়না।পুরো বাপির কপি।বুঝবে ঠিকই একদিন বাছাধন!সেদিন এই মাকে বলবে তুমি যা বলেছিলে ঠিকই বলেছিলে।টাকার গরমে বাবা ছেলের পাতো মাটি স্পর্শ করে না।এর জন্যও কঠোর পরিক্ষার সম্মুখীন হতে হবে।অবশ্য ছেলেটাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।ওর বাপি যা শিখিয়ে এসেছে তাই শিখেছে।আমার কথা তো কখনোই ওদের কান অবধি গিয়ে পৌঁছায়নি।এখন যদি পৌঁছায় রিমির উছিলায়।মেয়েটাকে তো সহ্যই করতে পারেনা বাপ ছেলে।কথা গুলো বলে নিজ কাজে পা বাড়ালেন অপা।
(সবাই আমার পেজ Shantona’s Own Stories এ লাইক দিয়ে রাখুন।ওইখানেই সর্বপ্রথম গল্প পোস্ট করে থাকি)

রিমি এক দৌঁড়ে ওর বাবা মায়ের রুমে গিয়ে ঢুকলো।নাজমুল খুব গভীরে গিয়ে বইয়ের স্বাদ নিচ্ছিলেন রিমিকে দেখে তার কাজে যেন বাধা পড়লো।রিমি একটা চেয়ার টেনে নাজমুলের পাশে গিয়ে বসলো।নাজমুল বইটা সাইডে রেখে খুব আস্তে বললো,তোর আম্মু ঘুমিয়েছে মাত্র চল আমরা বারান্দায় গিয়ে গল্প করি।রিমি এক দিকে মাথা কাত করে সম্মতি জানালো।ব্যাস জুড়ে দিল গল্প বাপবেটি দুজনে।ওদের গল্প মানে শুধু বই আর বই।কে কোন বইটা আগে শেষ করেছে বা কোন বইটা এখনো পড়া হয়নি,কোনটা পড়ার ইচ্ছে আছে ইত্যাদি ইত্যাদি বলে যাচ্ছে। কথার মাঝে নাজমুল ওর পকেট থেকে একমুঠ লজেন্স বের করে মেয়ের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,এই নে তোর পছন্দের লজেন্স।রিমি খুশি হয়ে এক থাবায় সব লজেন্স নিজের দখলে নিয়ে নিল।তারপর বলল,আব্বু তোমার মনে ছিলো তাহলে!

নাজমুল চোখের চশমাটা ঠিক করে বলল,সারাজীবন মনে থাকবে।মনে পড়ে যেদিন আমার আঙুল ধরে প্রথম স্কুলে গিয়েছিলি সেদিন কি বলেছিলাম?

-উমম, মনে আছে।তুমি বলেছিলে আমার বিয়ে হয়ে গেলেও তুমি এভাবেই আমাকে লজেন্স কিনে দেবে।সেদিনও আমার হাত ভর্তি লজেন্স ছিলো।আর এই কথাটা কিভাবে ভুলবো বলোতো?তুমিকি ভুলতে দিয়েছো নাকি?যখনই লজেন্স নিয়ে আসো তখনই এই প্রশ্নটাই প্রথমে করো।আর যাই ভুলি এটা ভুলতে পারবো না।কারণ তুমিতো ভোলার সুযোগই দাওনা।নাজমুল মেয়ের কথায় হেসে কুটিকুটি।

রাতের বেলা হুট করে কারেন্ট চলে গেল।আহসান ওর ফোনের লাইট জ্বালিয়েছিলো কিন্তু চার্জ না থাকায় সেটাও জীবনের মায়া ত্যাগ করলো।রিমির ফোন তেমন দামি না হওয়ায় মোবাইলের লাইট জ্বালানো না জ্বালানো একই সমান।এদিকে মশার উৎপাত ও বেড়ে চলেছে জানালা খুলে রাখায়।জানালা না খুলেও যে উপায় নেই,বাহিরের হাওয়া আসবে না তাহলে।সব মিলিয়ে আহসানের হাল বেহাল হয়ে আছে।পুরো নাস্তানাবুদ হয়ে গেছে।রিমি একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে ও হাত পাখা নিয়ে রুমে আসলো।আহসান রিমিকে দেখা মাত্র শরীরের সব রাগ একে একে ঝাড়তে শুরু করলো।রিমি জানতো আহসানের রাগের ছটা ওর উপর পড়বেই পড়বে তাইতো প্লান করে কানে তুলো গুঁজে এসেছে আগে থেকে।যাতে কানটা হেফাজতে থাকে।আহসানকে শান্ত হতে দেখে কানের তুলো গুলো বের করে মোমবাতিটা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে শুরু করলো।

-এই এটা কি নিয়ে এসেছো হুম?

-হাতপাখা।কেন আজ প্রথম দেখলেন নাকি?

-হুম এই প্রথম দেখলাম।তুমি কি সারারাত এই পাখাটা দিয়ে বাতাস করবে নাকি আমায়?

-মগের মুল্লুক নাকি যে সারারাত বাতাস করবো আপনাকে!আমার হাত ব্যথা করলে আর করবো না বাতাস।

-মানে!তারপর কি আমি এই irritated গরমের মধ্যে boiled হবো নাকি?

-সে আমি জানি না।আমি গরমেই শুতে পারি আপনার সমস্যা হলে আমার কিছুই করার নেই এই বলে হাতপাখাটা আহসানের হাতে দিয়ে বিছানার একপাশে গিয়ে শুয়ে পড়ে।

#চলবে,,,!
(ভুল ধরিয়ে দেবেন।মানুষ মাত্রই ভুল)
#চলবে,,,!
যারা যারা বলেছেন আমার মতো করে গল্প লিখতে তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।😘এটাই শুনতে পোস্টটি করা।
এখন আসি মূল কথায়।আমি নাকি দেড়ি করে গল্প দেই!আর দেড়ি করে দেওয়ার জন্য নাকি আগের পর্বে কি ছিল তা আপনারা ভুলে যান।আপনাদের অবগতির জন্য বলছি,আমি তো রোজই গল্প দিচ্ছি।এমন অনেক রাইটার আছে রোজ গল্প দেয়না,আমিতো তাও ছোট হলেও রেগুলার গল্প দেই😔তাও যদি বলেন আমি দেড়ি করে দেই তাহলে এই কষ্টটা কিভাবে মেনে নেই বলুন?আমি তো বোনাস পার্টও দেই।যদিও ছোট তবুও এটাই বা কে দেয়?এতো কষ্ট করেও যদি আপনাদের মন না পাই,তাহলে তো রেগুলার গল্প না দিলেই ভালো হতো তাইনা?🤧🤧কারো কারো মন্তব্য দেখলে মন চায় আর লিখালিখি করবো না।😣আবার যখন কারো উৎসাহমুলক মন ভালো করা কমেন্ট দেখি তাহলে আবারও মনটা লিখার জন্য আকুল হয়ে ওঠে🥰কেউ বলেন মূল গল্পে যেতে।আমি কি করছি তাহলে?আমি কি হ্যালো হাই বায় বায় করছি🥱কেউ এটা করতে বলেন কেউবা অন্যটা করতে বলেন।তাহলে আপনারাই লিখেন আমি পড়ি🙃আমি চাইলে এক পর্বেই সব কিছু সংক্ষেপে লিখে শেষ করে দিতে পারি।কিন্তু এতে কি হবে?আপনাদের এতো এতো আগ্রহ গল্পটাকে ঘিরে তা এক নিমিষেই বিনষ্ট হয়ে যাবে।আমি সব কিছু ধিরে ধিরে উপস্থাপন করবো। এতে আপনারাই গল্পটা পড়ে মজা পাবেন।তাই বলছি ধৈর্য ধারণ করুন শেষটা অবশ্যই আপনাদের মনের মতোই হবে ইংশাআল্লাহ্।তাই সবাইকে শেষ অবধি পড়ার অনুরোধ রইলো।আমি এই কথাগুলো শুধু তাদের উদ্দেশ্যে বললাম যারা আমার উপর আঙুল তুলেছে।আর যারা আমার সাপোর্টে কথা বলেছে তাদের জন্য মনের গভীর থেকে ভালবাসা দিলাম।অনেকেই আছে যারা আমাকে বোঝে তাদের জন্যই গল্পটা অনেক দূর অবধি নিয়ে যাব।তারপর পাছে লোকে তো কিছু বলবেই😎😎তাদের উদ্দেশ্যে বলছি যত পারো ফাল মারো।তবে যাই করো না কেন,আমাকে আটকাতে পারবেনা।আমার ভালো পাঠকরাই আমার শক্তি।😘😘

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here