নেশা💞
Season 2
Ayusha Akter Usha
“”5″”
কুয়াশার কথা শুনে মূহুর্তেই সম্রাটের বাম পাশের বুক চিন চিন ব্যথা করে উঠল।তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।হাত শক্ত করে মুঠ করে আছে সম্রাট।সম্রাটকে এই অবস্থায় দেখে কুয়াশা বলল
-আরে আপনি এতো সিরিয়াস হচ্ছেন কেন আমি মজা করলাম জাস্ট।
কুয়াশার কথা শেষ হওয়ার আগেই সম্রাট রুম থেকে বেরিয়ে গেল।এখানে আর থাকতে পারবে না সে।অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে তার।কুয়াশা ওখানেই ঠোঁট উল্টে দাঁড়িয়ে রইল।এটা কি হলো।এই ভাবে চলে গেল কেন।ও তো জাস্ট একটু মজা করল।কতো সুন্দর করে টাই টা বেঁধে দিল ও আর সম্রাট কিনা একটু আদর না করে ই চলে গেল।আরে ধুর কুয়াশাও এটা কি ভাবছে।যে কাছে এলে তার ভয়ে আত্মারাম উধাও হয়ে যায় এখন কিনা তার ই আদর পেতে চাইছে এই মনটা।কুয়াশা এসব কথা ভেবে নিজেই নিজে হাসতে লাগল।হঠাৎ কেউ একজন এসে কুয়াশাকে টেনে নিয়ে গিয়ে দেওয়ালে ঠেকিয়ে দু হাত দেওয়ালে শক্ত করে চেপে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল।কুয়াশা চোখ বড় বড় করে সম্রাট এর দিকে তাকালো।সম্রাট পাগলের মতো কুয়াশা আদরে ভরিয়ে দিতে লাগল।কুয়াশা যেন সম্রাটের ভালোবাসায় ডুবে যেতে লাগল।চোখ বন্ধ করে সম্রাটের ছোঁয়া অনুভব করতে লাগল।কিছুক্ষণ পর সম্রাট কুয়াশা কে ছেড়ে তার কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল
-আমার বউ আমার কাছে কিছু এক্সপেক্ট করবে আর আমি কি সেটা পূরন না করে পারি।
কুয়াশা চোখ বন্ধ করে সম্রাটের তপ্ত শ্বাস অনুভব করতে লাগল।সম্রাট বাঁকা হেসে কুয়াশার কপালে চুমু একে দিয়ে চলে গেল।কুয়াশা বুকের মধ্যে একরাশ ভালো লাগা নিয়ে ওখানেই দাড়িয়ে রইল।
।
কুয়াশা এ বাড়িতে আসার পর থেকে এই বাড়িটা সে ভালো করে দেখেনি।তাই আজ সে ঘুরে ঘুরে বাড়ির চারিদিক দেখতে লাগল।এমন একটা রুমের কাছে এসে আটকে গেল।ভেতরে রায়হান খান বসে ল্যাপটপে কাজ করছেন।কুয়াশা কে বাইরে দাঁড়াতে দেখে রায়হান বলে উঠল
-আরে কুয়াশা তুমি এখানে।
-জ্বী।আসলে আমি বাড়িটা ঘুরে দেখছিলাম আর কি।
-ওহহ তুমি বাইরে কি করছ ভেতরে এসো।
কুয়াশা ভেতরে ঢুকল।
-সম্রাট কাজে বেরিয়ে পরেছে।
-জ্বী বাবা।
-ওহহ খুব ভালো।আমিও বের ই হচ্ছিলাম।তা তোমার এখানে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো।
-না না বাবা কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
কুয়াশা ঘরটার চারিদিকে দেখতেই টেবিলের ওপর একটা ছবিতে তার চোখ আটকে গেল।কুয়াশা গিয়ে ছবিটা হাতে নিল।এটা তো তার ছবি।একমাস আগে যখন আশ্রমের চেরিটির জন্য আশ্রমের বাচ্চাদের সাথে রাস্তায় সবার থেকে সাহায্য নিচ্ছিল।কুয়াশা প্রশ্নবোধক চোখে রায়হানের দিকে তাকিয়ে বলল
-এই ছবিটা আপনার কাছে কি করে এলো।।
রায়হান ছবিটার দিকে তাকিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বলল
-এটা একমাস আগের তোলা।যখন চেরিটির জন্য আশ্রমে সবাই দান করছিল।তোমাকে আমি ওখানেই প্রথমবার দেখেছি।তোমার কথা বার্তা বাচ্চা ভাব গুলো আমার খুব ভালো লাগল।মনে হচ্ছিল যদি আমার একটা মেয়ে থাকত তবে হয়তো এইরকমই হতো।তখনই তোমাকে নিজের ছেলের বউ হিসেবে মেনে নেই আমি।সেদিন ই আশ্রমে গিয়ে বিয়ের কথা বলি।কিন্তু সেদিন একদিকে তুমি না বলে দিয়েছিলে আবার অন্য দিকে আমার ছেলেটাও বিয়ে করবে না বলে হুংকার ছাড়তো একটা তাই আর কথা আগে বাড়াই নি……ওকে আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে আমি আসি সোনা।নিজের খেয়াল রেখ বাই।
বলে রায়হান চলে গেল।রায়হানের মুখে সোনা ডাকটা শুনে কুয়াশা মনে হলো সে যেন তার নিজের বাবার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।তার বাবা থাকলেও নিশ্চয়ই এই ভাবেই সোনা ডাকতো তাঁকে।কুয়াশার চোখ থেকে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পরল।
।
রাতে কুয়াশা মুখ গোমরা করে বেডের এক কোনে পা উঠিয়ে বসে আছে।সম্রাট ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে কুয়াশার এই গুম মারা কিউট ফেস দেখে মুচকি হেসে তার কাছে গেল।সম্রাটকে কাছে আসতে দেখে কুয়াশা পেছনে ঝুঁকে যেতে লাগল।সম্রাট নেশা ভরা চোখে কুয়াশার দিকে তাকিয়ে এগোতে লাগল।কুয়াশা পেছনে ঝুকতে ঝুকতে একসময় বেডের সাথে মিশে গেল।সম্রাট কুয়াশার ওপর আধশোয়া হয়ে শুয়ে তার নাকে নাক ঘষে বলল
-কি হয়েছে।এভাবে মুখ ফুলিয়ে রেখেছো কেন।
কুয়াশা মুখ ঘুরিয়ে নিল।
-এমনি।
-এমনি কেন?
-আপনি আমাকে বিয়ে করতে চাননি কেন।আমি দেখতে সুন্দর নই নাকি।
-বিয়ে করতে চাইনি মানে।এই মূহুর্তে আমার বউ হয়ে আমার ঘরে আছো তারপরো বলছ বিয়ে করতে চাইনি।
-হুম বাবা আমাকে বলেছে আপনি নাকি আমাকে বিয়ে করবেন না বলে না বলে দিয়েছিলেন।
-তখন তো আর আমি তোমাকে দেখিনি যখন দেখেছি তখনি তোমাকে বউ করে নিজের ঘরে নিয়ে এসেছি।
কুয়াশা এখনো মুখ ঘুরিয়ে আছে।
-কি হলো কথা বলবে না।
কুয়াশা চুপ করে আছে।
-ওকে সরি আমার প্রয়োজন ছিল সেদিন তোমার ছবিটা দেখা তাহলে হয়তো অনেক আগেই তুমি আমার জীবনে আসতে।
-আর যদি আপনি কখনোই আমার ছবিটা না দেখতেন তো কি আপনি অন্যকাউকে বিয়ে করে নিতেন?
-অন্য কারোর সাথে তোমার তুলনা হয়না।তুমি ছাড়া আমার জীবনে অন্য কেউ আসতেই পারবেনা।
বলে কুয়াশা কে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরল সম্রাট।কুয়াশাও সম্রাটকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো করে বলল
-আর অন্যকেউ যেন নাও আসে।
কুয়াশার কথায় সম্রাট মুচকি হাসলো।
to be continue…
দয়া করে গঠন মূলক কিছু কমেন্ট করুন।আমার ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে পরের পার্ট আরো ভালো করে লিখতে উৎসাহিত করুন।