#প্রেমালঘ্ন
#লেখিকাঃনওশিন আদ্রিতা
#পার্টঃ১১
,
,
,
,
আসফি ভাইয়া উনার শান্ত চোখের চাহনী দ্বারা আমাকে আদেশ করলেন উনার পিছনে আসার আমিও উনার আদেশ অনুসারে মাথা নুয়ে উনার পিছনে যাওয়ার জন্য পা বারাতে নিলেই মারু আসে হাত টা আমার ধরে নিজের দিকে টেনে নিয়ে কাদো কাদো কন্ঠে কানের কাছে ফিসফিস করে বলে উঠলো
;বান্ধবী এটা কি হলো এই ভাবে আমাকে রিজেক্ট করে দিলো তোর ভাইয়া
আমি ওর বলার ধারণ দেখে হাসলাম মনে মনে তবুও ওর জন্য হাসি টাকে মনেই দাবিয়ে নিলাম
;রিজেক্ট করলো কখন তোকে তো এখনো স্টুডেন্ট এর নজরে দেখে তাই রুমাল টা নিতে ইতস্তত করলো
;আর তোর ডাইরেক্ট ওর্না নিতে ইতস্ত হলোনা এমন ভাবে অধিকার নিয়ে অর্ণা টা নিয়ে মুখ মুছলো যেনো সেটা ওর বউ এর
আমি চমকালাম কি বলে এই মেয়ে। ওর কথা কে ভুল প্রমান করে কিছু বলতে যাবো তার আগেই আসফি ভাইয়ার গম্ভির আওয়াজ কানে এতেই করা হলোনা মারিয়া নামক যুবতীর কথার বিরোধীতা চাইলেই পারতাম সেকেন্ড দাঁড়িয়ে বলে উঠতে “নাহ তুই যেটা ভাবছিস সেটা ভুল” কিন্তু কেন যেনো ইচ্ছা টা আমার মস্তিষ্কে আসলেও মন কে নাড়া দিতে পারলোনা। হয়তো মারিয়ার বলে উঠা বউ টা আমার মন কে কোথাও একটা আঘাত করেছে।কিন্তু এমন টা হওয়ার না সেটা আমি জানি এমন না আমার মনে আসফি ভাইয়ার জন্য কোন জায়গা নাই ঠিক তেমন টা না আসফি ভাইয়াকে পছন্দ করবে না এমন মেয়ে খুব কম ই পাওয়া যাবে।কিন্তু আমার দ্বারা তাকে ভালোবাসা আদৌ সম্ভব হবে কি আমার জানা নেই না হওয়ার সম্ভবনাই বেশি মন তো একজন কে চাই সেখানে কি করে আলিফ নামটা মুছে আসফি নামটার খোদাই করবো।আমি ভালোবাসলেই বা কি সে তো আর বাসবেনা যেখানে আলিফ নামক ব্যাক্তিটির চোখে এলাম না সেখানে এই কঠোর হৃদয়ের পুরুষ এর মনে জায়গা করে নেওয়া টা অসম্ভব বলাই চলে।৷
দেখতে দেখতে কেটে গেলো ৩ টা দিন আজকে শুক্রবার ছুটির দিন। আসফি ভাইয়াও আজকে বাসায় রয়েছে কোথাও যায়নি।আমি অবশ্য চেয়েছিলাম আজকে বের হবো অন্য বাসা খুজতে কিন্তু ভাইয়া জানালো পাশের বাসাটা দুই দিন পরেই খালি হবে সেখানেই থাকতে হাজার হোক একজন প্রাপ্ত বয়স্ক যুবোক যুবোতী একই বাসায় থাকছে বেপারটা সমাজের কাছে দৃষ্টি কটু লাগবে বড্ড।আমাদের সমাজ টাই যে এমন।
আজ যেহেতু ভার্সিটি ওফ সেজন্য ভাবলাম আজকের নাস্তাটা আমিই বানিয়ে ফেলি।রোজদিন তো ভাইয়াই করে।যে ভাবা সেই কাজ কোমরে অর্ণা বেধে নেমে পড়লাম সব সামগ্রী নিচে নামালাম আজকের আইটেম হবে পরোটা আর গরুর মাংস ভুনা এটা নাকি ভাইয়ার অনেক ফেবরেট
কিন্তু মুশকিল বাধলো আটা নিয়ে এদিকে মাংস প্রায় তৈরী কিন্তু আটার সন্ধান পেলাম না কোথাও হুট করে চোখ গেলো উপরে কিন্তু বোয়াম টা একটু বেশিই উপরে। অনেক লাফালাফি করেও যখন পারলাম না তখন দমে গিয়ে দাঁড়িয়ে পরলাম। ঠিক টের পেলাম আমার ঠিক পিছনেই দাঁড়িয়ে আছে আসফি ভাই তার শরীর ঘ্রাণ শুকে বুঝতে বাকি রইলোনা তার আর আমার মাঝের দূরত্ব ১০ ইঞ্চির ও কম হবে হয়তো।হঠাৎ কানে এলো উনার গম্ভির আওয়াজ
;দিন দিন তো হাতি হচ্ছিস এই ভাবে লাফালে নির্ঘাত ফ্লোর ভেংগে যাবে
;আমি একদম মোটা না আসফি ভাই উল্টা আপনি জিরাফ
;আমি জিরাফ টা তুই কচু গাছ
; এহ মৌটেও না আমি একদম পার্ফেক্ট আছি ৫ ফুট ৩
;হুম আমার বুকের হৃদ স্পন্দন গতি মাপতে একদম পার্ফেক্ট রে কিন্তু কবে যে ঠিক ততোটা কাছে আসবি যে আমার বুকের প্রতিটা স্পন্দন তোর কানে যাবেয়ার তুই বুঝবি ঠিক যতোবার এই হৃদয় স্পন্দন করে তোর নাম ই নেয় শ্যামাঙ্গিনী। (বির বির করে)
;এই কি বলছেন বির বির করে হ্যা
; তোর মতো কালা র না শুনলেও চলবে
;ধুর থাকবোই না এখানে।
আমি চলে যেতে নিলেই হাতে টান পরে।আমি তাকিয়ে দেখি আসফি ভাইয়া এক হাতে আমার হাত ধরে রেখেছে অন্য হাত পকেটে পুরে রেখেছে
আমাকে তার কাছে টেনে নিয়ে হঠাৎ উলটা ঘুরায় দিলো। আমি চমকে উঠলাম এর মাঝে শুনতে পেলাম কানের উপর পরা তার গরম নিশ্বাসের আওয়াজ যা মহূর্তের মাঝে আমার সম্পূর্ণ শরীরে এক অদ্ভুদ শীহরন বেয়ে উঠলো।উনি আমার কানের সাথে ঠোট লাগিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি তাকে থামিয়ে দিলাম
;কিছু বলবেন না দয়া করে আপনার এই রুপ কথা ঠিক আমাকে কতোটা অস্থির করে তুলে তা আপনার অজানা আসফি ভাই। আমি চায়না এই অনূভুতি এই অনুভূতি গুলো সে একসময় আমার ঘুম কেড়ে নেওয়ার কারন হয়ে উঠবে তখন সে নিজেকে সামলানো কঠিন হয়ে পরবে প্রথম বার নিজেকে সামলাতে পারলেও দ্বিতীয় আঘাতে যে আমি শেষ হয়ে সম্পূর্ণ ভাবে
;ওর এমন কাতর কন্ঠ শুনে হাসলাম বুঝতে বাকি রইলোনা আমার যে আমার শ্যামাঙ্গিনীর মনে ও যে আমার জন্য অনূভুতির জোয়ার উঠার সূচণা হয়েছে শুধু এবার ভয়টা কাটানোর পালা তারপরে তোমাকে নিজের করে নিতে কেউ আটকাতে পারবেনা গো রমনী।ছেড়ে দিলাম ওর হাত। ছাড়া পেতেই দৌড় দিলো সে। বাচ্চাদের মতো দৌড়ানো দেখে হেসে ফেললাম আমি দিয়ে লেগে গেলাম কাজে।
আমি রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দরজার সাথে পিঠ ঠেকিয়ে শ্বাস নিতে শুরু করলাম দ্রু গতিতে যেনো নিশ্বাস আটকে আমি মারা যাবো কেন দ্বিতীয় বার এই অনুভূতিরা আমাকে তারা করছে আর কেনোই বা আসফি ভাইয়া আমার সাথে এমন করছে সে কি জানেনা তার কাছে আসাটা আমাকে কতোটা ব্যাথিত করে তুলে। হয়তো জানেনা জানলে কি পারতো এই ব্যাথিত হাজারো খন্ডে বিভক্ত মন টাকে পুনরায় ব্যাথায় জর্জরিত করে তুলতে।
অন্ধকার রুমে গিটার হাতে জানালার পাশে বসে আছে আরহাম ।চোখ দুইটা লাল হয়ে আছে হাতে থাকা সিগারেট এর অংশতে শেষ টান দিয়ে ফেলে দিলো সেটা ফ্লোরে বাকি সিগারেটের সাথে।তাকে দেখে মনে হচ্ছে নির্ঘুম রাত পার করার কারণে আখি জোড়া লাল হয়ে আছে। গিটারে টুংটাং বাজাছিলো চোখ বন্ধ করে হঠাৎ বন্ধ চোখের পর্দায় ভেসে উঠলো আয়রার ভিতু চেহারাটা।উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের মেয়েটার মুখটা চোখে ভাসতেই আরহাম এর ঠোঁট থেকে বেরিয়ে এলো মনোমুগ্ধকর গান।যেটা মহূর্তে আশেপাশে পরিবেশ টা করে তুললো মনোরম
—
Aahatein kaisi yeh aahatein
Sunta hoon aaj kal aye dil bata
Dastakein dete hain dastakein
Kyun ajnabi se pal aye dil bata
Kuch toh hai jo neend aaye kam
Kuch toh hai jo aankhe hai nam
Kuch toh hai jo tu keh de toh
Haste haste marr jaaye hum
Mujhse zyada mere jaisa
Koi hai toh hai tu
Phir na jaane dil mera kyun
Tujhko na de sakun..
Kuch toh hai jo dil ghabraaye
Kuch toh hai jo saans na aaye
Kuch toh hai jo hum honthon se
Kehte kehte keh naa paaye
Jo humaare darmiyaan hai
Isko hum kya kahein
Ishq kya hai ik lehar hai
Aao iss mein bahein
Kuch toh hai jo hum hain khoye
Kuch toh hai jo tum na soye
Kuch toh hai jo hum dono yun
Haste haste itna roye
গিটার টা ছুড়ে মারলো দেওয়ালে গায়ের সমস্ত জোর দিয়ে ভেংগে পরে গেলো সেটা ফ্লোরে তবুও যেনো শান্ত হলোনা অশান্ত যুবোক টা। দুই হাত দিয়ে চেপে ধরলো নিজের চুল।যেনো প্রচেষ্টা রাগ কমানোর আচ্ছা এই রাগ টা কার উপরে নিজের উপরে নাকি আখি জোড়া বন্ধ করতেই ভেসে উঠা মানবীর উপরে।।
চলবে!#প্রেমালঘ্ন
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ১২
,
,
,
,
,
দরজায় কড়া নারার আওয়াজে ঘুম ভেংগে যায় আমার। এখনো দরজায় পিঠ ঠেকিয়ে রয়েছি চোখের পানি মুছার অলসতাই গালে দাগ বসে গেছে।আয়নায় নিজেকে দেখে চমকে উঠলাম কিছু ঘন্টার ব্যাবধানে নিজের এই অবস্থা কল্পনা করি নাই।দীর্ঘ একটা নিশ্বাস নিয়ে চলে গেলাম গোসল দিতে মাথা টা ভার হয়ে আছে প্রচন্ড।এদিকে দরজার ধাক্কানোর আওয়াজ আগেকার মতোই আছে।হয়তো সময়ের সাথে সেটার আওয়াজ কমে যাবে। সময় বড্ড অদ্ভুদ একটা জিনিস। কতো শক্তিশালী না হয় কখন কাকে কোন জায়গায় দাড় করিয়ে দেয় কেউ জানেনা সেটা।
গোসল করে বের হয়ে দরজা খুলতেই চোখের সামনে পড়লো এক পুরুষালী হাত। হয়তো দরজার ধাক্কানোর জন্য হাত বারাতে নিয়েছে আর আমি খুলে দিয়েছি।আমি কিছু না বলে উনাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলেই উনি সাপটে একটা চড় দিলেন গালে।ব্যাথায় কুকিয়ে উঠলাম আমি। সারাদিন পেটে কিছু না পড়ায় শরীর আগে থেকেই ছিলো দুর্বল উনার থাপ্পড়ে তাই নিজেকে সামলাতে না পেরে পরে যেতে নিলেই তিনি আমার কোমর জরিয়ে ধরে আমাকে বুকে জড়ায় নিলেন। থমকালাম আমি। এর আগে উনার বুকে ঠায় হলেও এই রকম মনে হতোনা আজকে উনার এই বুকে নাথা রেখে উনার অস্থিরতা টের পাচ্ছি।এর আগে এই বুকে মাথা রাখলে এক আকাশ সমান প্রশান্তি খেলে যেতো মনে।
কিসের এই ভয় কোন ভয়ে তিনি আকড়ে রেখেছেন আমাকে এতো নিবিড় ভাবে জানা নেই আমার কিন্তু অদ্ভুদ কিছু অনুভূতি তাড়া করছে আমাকে। হাজারো চেষ্টা করেও পারলাম না এই অনুভূতি গুলো থেকে নিজেকে আড়াল করতে পাগল পাগল লাগছে নিজেকে কেন এইসব হচ্ছে আমার সাথে। কেন হাজারো ব্যাথা আমাকেই ঘিরে রাখে আদৌ কি কোন দিন আসবে যখন আমি ব্যাথাতে নই খুশিতে কান্না করবো আসবে কি সে দিন জানা নেই কবে এই অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে আর শুরু হবে আমার #প্রেমালঘ্ন নাকি শুরু হয়ে গেছে অনেক আগে কিন্তু আমার অগোচরে।
;ইডিয়েট একটা কখন থেকে তোকে ডাকছিলাম হিসাব আছে তোর কতোটা ভয়ে অস্থির এই উঠেছিলো এই শক্ত পুরুষ সেটা কি তোর জানা। উহু জানিস না তুই শুধু জানিস আমার থেকে দূরে পালাতে হয় কি করে কি করে আমাকে শ্যামাঙ্গিনীর বিরহে পুরাতে হয়। হ্যা রে তোর মনে কি এক ফোটাও মায়া নেই। কেন এতো পাষান তুই আমার বেলায় কোন তোর কোমল মনটা পাথরের হয়ে যায়।
আমি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে উনার চোখের দিকে । উনার কথা বুঝা আদৌ আমার দ্বারা কোন দিন সম্ভব হবে কি আমার জানা নেই কিন্তু কেনো জানি উনার এই রহস্য ঘেরা কথা গুলো ভালো লাগে প্রচন্ড ভালো লাগে।জানিনা কেন এই ভালো লাগা। আদৌ কি উনার কথা গুলো রহস্যময় নাকি আমি বুঝিনা উনার স্পষ্ট ভাষী কথা হয়তো বুঝতে চায়না। উনার ভাষায় ইডিয়েট একটা। আপন মনেই ঠোটের কোনে ফুটে উঠলো হাসি।
________
আরহাম রোকিং চেয়ারে বসে আছে চোখের উপরে একটা হাত দিয়ে রেখে।হঠাৎ কেটে যাওয়া হাতে জ্বলতে লাগলেই কপাল কুচকে চোখের উপর থেকে হাত উঠিয়ে পাশে তাকাতেই দেখে কেউ একজন বড্ড যত্ন করে ওর হাতে সেভলোন দিয়ে রক্ত পরিষ্কার করে দিচ্ছে।মাঝেমধ্যে কিছু অবাধ্য চুল এসে ব্যাক্তিটাকে বড্ড জ্বলাতোন করছে তার কাজে
আরহামেরফের চোখে হঠাৎ করে ভেসে উঠলো আয়রার মুখটা মেয়েটার মাঝে।আরহাম ডান হাত দিয়ে গুজে দিলো সামনে আসা চুলটা রমনীটার কানে।কেপে উঠলো রমনী।হয়তো আশা করে নি আরহামের এমন স্পর্শ।এই স্পর্শ যে তার বুকে অদ্ভুদ অনুভূতি সৃষ্টি করে সেটা তো বুঝে না এই মানুষ টা।
হঠাৎ করে আরহামের কানে অন্য কারো আওয়াজ এসেই লাগতেই দৃষ্টি মেলে তাকায় ভালো করে ভ্রম কেটে যেতেই আরিফার লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া কোমল সুন্দর মুখটা ভেসে উঠে।ঝটকায় হাত হটায় ফেলে আরহাম।মহূর্তে মন টা ভেংগে যায় আরিফার। লজ্জায় নিচু হয়ে যাওয়া আখি জোড়া সাথে সাথেই হয়ে উঠে পানিতে পূর্ণ্য।
;কার পার্মিশানে এসেছিস এই রুমে মানা করেছিলাম না আমার ঘরে আসবি না সাহস কি করে হয় তোর আমার হাত টাচ করার
;আ আমি মামি মার ঘরে যাচ্ছিলাম হঠাৎ তোমার ঘর এর দিকে তাকাতেই দেখি তোমার হাত থেকে রক্ত পরছিলো তা তাই
;সো হোয়াট রক্ত পরুক বা আমি মরে পরে থাকি নেক্সট টাইম আমার সামনে আসবিনা
;কেনো করো আমাকে এতো ঘৃণা। বলতে পারবা একটা কারণ আমাকে ঘৃণা করা। সে ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি আমার ছায়াটাও তোমার যেনো সহ্য হয়না কেনো
;কেনো কেনো কারন জানতে চাস তুই। হ্যা! আজকে তোর জন্য শুধু তোর জন্য,,,,
;কি হলো থেমে গেলা কেনা বলোনা কি এমন পাপ করেছি যার কারণে তোমার এই চোখে বিশে পরিণত হয়েছি আমি কেনো আরহাম ভাই
;দেখ আরিফা এই মহূর্তে আমার চোখের সামনে থেকে দূর হয়ে যা নাহলে আমি,,,,
;আপনি কি সসম্পূর্ণ করুন কি করবেন মেরে ফেলবেন বাজিয়েই বা রাখলেন কই ব্যাথায় ব্যাথায় সে কবেই তো আরিফা নামক মেয়েটি মারা গেছে আরহাম ভাই। শুধু শরীর টাই বেচে আছে।হয়তো একদিন এটাও জড়িয়ে যাবে সাদা সে কাফনে
কথা টা সম্পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে প্রচন্ড জোড়ে কানে আর গালে আঘাত পেয়ে ব্যাথায় কুকিয়ে উঠলো হ্যা আহনাফের হাতে থাপ্পড়েই চোখ দুইটাই পানিতে ভরে উঠেছে।আহনাফ রাগে ফুফাচ্ছে।
;বেরিয়ে যা,,,
আরহাম এর চিৎকারে কেপে উঠে আরিফা। ঢুকরে কেদে উঠে। সেটা দেখে জ্বলন ধরে আরহামের বুকে।রাগ যেনো দ্বিগুন বেরে যায়। আরিফার হাত ধরে তাকে টেনে হিচড়ে বাহিরে নিয়ে যেয়ে দরজা লাগিয়ে দেয় যেনো কোন নোংরা আবর্জনা ফেলে দিয়ে এসেছে সে।
দরজার সাথে পিঠ ঠেকিয়ে বসে পরে আরহাম
;সব নষ্টের গোড়া এই মেয়েরা যেখানেই যায় সেখানেই সব নষ্ট করে দেয় সব সব। এতো দিন এই আরিফা ছিলো এখন এই পায়রা উফফ কেন কেন বুঝিনা কি চায় এরা আমার থেকে একজন আমার মস্তিষ্কে চেপে বসেছে আরেকজন হাজারো বারণেও এই মনে আসন পেতে রেখেছে চেয়েও পারছিনা এই মন থেকে তাকে বের করতে আর না পারছি তার ভুলের ক্ষমা তাকে দিতে।
;কি হয়েছে খাওয়া বাদ দিয়ে তাকায় আছিস কেন।
আসফি ভাইয়ার কথার বিপরীতে কি বলবো ভেবে পেলাম না কিন্তু কিছু তো বলা লাগবে।তাকে যদি বলি আমি মাছের কাটা বেছে খেতে পারিনা তাহলে।নির্ঘাত আমাকে আজে বাজে কথা শুনাবে সাথে ঝাড়ি আর ইস্টুপিট ফ্রী।
;কি হলো কিছু জিজ্ঞেস করছি তো খাচ্ছিস না কেন
আমি উনার ধমকে তারাহুড়া করে এক লোকমা ভাত মুখে পুরে নিলাম
;খাচ্ছিনা কে বললো এই তো খাইতাছি
;মাছ না নেওয়ার কারণ কি ডোন্ট টেল মি তুই মাছের কাটা বাছতে পারিস না
;নাহ মানে আসলেই আমি পারিনা বাসায় বড় আম্মু ছোট আম্মু খাওয়াই দিতো আর নাহলে ছায়া আপু আর বড় আব্বু তো আছেই।
আমার মাথা নিচু করে কথা বলার উনার রিয়েক্ট কেমন হলো জানা নেই আমার কিন্তু পরক্ষনেই কানে আসলো মন কারা সে ফিসফিস করে বলে উঠা প্রেম বাক্য
;তোমার এই অস্বস্তিতে পরে নিচু করা আখি যুগোল এতোটা নিশ্বপাপ হয় ইচ্ছা করে সে আখি জোড়ায় খুব যত্ন করে চুমু বসিয়ে দি। তোমার এই আখি জোড়া যে আমার বড্ড প্রিয় শ্যামাঙ্গিনী কিন্তু এই আখিজোড়া শুধু আমার সামনে ঝুকাবা। আমি চাইনা আমার শ্যামাঙ্গিনীর পাগল করা রুপ অন্য কেউ দেখুক এটা যে শুধুই আমার।
পারলাম না নিজেকে ধরে রাখতে পিঠ ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে।নিশ্বাস নিতে লাগলাম জোড়ে জোড়ে মহূর্তে মনে হলো্, আমার অধর যুগোল এ অন্য কোন অধরের স্পর্শ আদৌ কি তাই সেটাই যাচাই করার জন্য চোখ মেলতেই দেখলাম আমার প্লেট থেকে মাছ নিয়ে খুব যত্নে সে মাছের কাটা বেছে আমার প্লেটে রাখছে ঠোঁটের কোণে আলাদা তার প্রশান্তি হয়তো কিছু মহূর্তের আগের ঘটনা আমার ভ্রম না বাস্তব।।।।।
চলবে!