গল্প : বেস্টফ্রেন্ড যখন
বউ
লেখক : Md. Anwar
Hussain
পর্ব : ৪+৫
আখির গলার উরনা ঐ দুই
ছেলের হাতে,
দুই ছেলে আখিকে
দেখছে আর জিব্বা
নাড়িয়ে তাদের ঠোট
ভেজাচ্ছে!!
ওদের চোখে মুখে
শয়তান এর চাপ ভেসে
উঠেছে!!!
আমার এতটাই রাগ
উঠছিলো যে প্রথমে
বাইক থেকে আগে
হকস্টিকটা বের
করলাম!!
III
lll
lll
lll
lll
lll
lll
বাইক থেকে হকস্টিকটা
বের করে “ঐ দুই
ছেলেকে ইচ্ছে মত
মারতে লাগলাম,হঠাৎ
দেখি আশেপাশে অনেক
লোকের ভীড় জমে
গেছে!!
রাস্তার মাঝে ওদের
রক্তের বর্ণা বয়ে
যাচ্ছে ”
প্রায় আধমরা করে
ফেলছি!!
সেদিন আর কিছু করলাম
না,আখিকে নিয়ে
বাসায় আসলাম ” বাসার
সামনে এসে বাইক
থেকে নেমে দেখি
আখির চোখে পানি!
আমি এটা আগে খেয়াল
করেনি!
তখন আমি নিজ হাতে
আখির চোখের পানি
মুছে দিয়ে বললাম!দূর
পাগলি এই সামান্য
বিষয় নিয়ে কেও
বাচ্ছাদের মত কান্না
করে নাকি!!
এই কথা বলার সাথে
সাথে আবারো
কান্নাজুড়ে দিলো!!
আমি : এখন আমরা
বাসার সামনে তুমি যে
এত কান্না করছো! কেও
দেখলে বলবে আমি
তোমাকে মেরেছি!!
প্লিজ কান্নাটা থামাও
কিছুই তো হয়নি আমি
তো আছি তাই না!!
আখি : হুমম,
আমি : চোখের পানি
মুছে ফেলো!
আখি : আপনি মুছে দেন!
কি আর করার আমিই
সবকিছু ঠিকঠাক করে
আখিকে নিয়ে বাসায়
ডুকলাম।
বাসায় ডুকতেই আপুর
সাথে দেখা ”
আপু : কই গিয়েছিলি
হুসাইন !
আমি : এইতো একটু
বাহিরেই!
আপু : ওহ্ আচ্ছা শোন
এখন আর বাহিরে
যাওয়ার দরকার নেই!!
আমি : কেনো কি
হয়ছে??
আপু : শুনলাম বাহিরে
নাকি একটা ছেলে
একাই দুজন ছেলেকে
এমন মার মারছে যে
তাদের কে আমাদের এ
হসপিটাল এ রাখেনি
অন্য জায়গাতে নিয়ে
যেতে হয়েছে!!
আমি : ও আচ্ছা তাই!!
আপু : হুম কি বদমাইশ
ছেলে রে বাবা.. একাই
দুজন কে মেরে
হসপিটাল এ পাঠিয়ে
দিয়েছে!!
এই কথা শুনে আখি হুহু
করে হেঁসে ফেললো!!
আপু আখিকে বলল : কি
হয়ছে তুমি হাসলে
কেনো??
আখি : কিছু না এমনি!
আমি : হুম আপু, আর
আমার তো রক্ত দেখলেই
ভয় লাগে!!
আপু : কিহ্! তোর রক্ত
দেখলে ভয় লাগে!!
আমি : হুম খুব ভয় করে!!
আপু : শয়তান তুই তো
প্রাইমারি স্কুলে
পড়াকালীন অনেকের ই
নাক ফাটিয়েছিস!!আর
বড় হয়ে কি কি করেছিস
সেগুলা আর বললাম না!
আখি আছে এখানে
তাই !!
আমি : হুম ভালো আর
তোমার কাছে এগুলা
কে শুনতে চেয়েছে!!
এই বলে আমি রুমে চলে
আসলাম!তবে আজ আমার
রুম আমার নিজের
কাছেই অচেনা অচেনা
লাগতেছে!!
কারন আখিকে রুম
গুছাতে
বলেছিলাম”যানি
গুছাবে! কিন্ত এত সুন্দর
করে গুছাবে কে যানে!!
এত সুন্দর রুম দেখে
বিছানায় ধপাস করে
সুয়ে পড়লাম “!!
ক্লান্ত থাকার কারনে
বিছানাতে সুতেই
ঘুমিয়ে পড়লাম!!
সন্ধার আগ মূহুর্তে সূর্য
যখন লাল রং আকার
ধারণ করে!তখন আমার
ছাদে গিয়ে সিগারেট
খেতে খুব ভালো
লাগে!!
ও আর হ্যা আরেক সময়
আছে যে সময়টা আমি
ছাদে বসে বসে পার
করে দিই অনেকটা সময়!
সেটা হলো পূর্নিমার
রাতে, চাদের সুন্দর্য্য
দেখতে দেখতে
সিগারেট খেয়ে পার
করে দিই অনেকটা
সময়!!
প্রতিদিন এর মত আজ
সন্ধায় ছাদে যাবো!
তবে ঘুম থেকে উঠে
সিগারেট এর প্যাকটা
খুজে পাচ্ছি না!!
রুম গুছিয়ে আখি
সিগারেট গুলা কই যে
রাখছে কে যানে!!
আমার অনেক রাগ আর
অনেক সাহসী
মানসিকতাও আছে!!
তবে আমার কোন
জিনিস কেও না বলে
নিলে, সেটা আর ফেরত
আনতে না পারলে, বা
কোন জিনিস অনেক
খুঁজাখুঁজি করার পরও
যদি না পাই!তাহলে
রাগে এক প্রকার
কান্না করে দিই!!
তো,অনেক খুঁজাখুঁজির
পর আমার বিছানার
পাশের টেবিলে কেমন
যেনো অনেক গুলো
জিনিস এক সাথে প্যাক
করে রাখা!
প্যাকিং টা খুলতেই
আমার ৫ মিনিট লাগছে!
ঐ টার ভিতরে দেখতে
পেলাম সিগারেট
রাখা!উফফ”!! তখন
আমার মনে আন্দের
অনূভতি সৃষ্টি হলো!!
আমি দ্রুত গতিতে
সিগারেট খুজতে
লাগলাম!
তবে ৭,৮ টা প্যাক
ছিলো কোন টা তেও
একটা সিগারেট ও
পেলাম না!সব খালি
করে রেখে দিয়েছে,
বদমাইশ টা!!
প্যাকটার কাছে একটা
চিরকুট পেলাম যেটাতে
লেখা : সিগারেট এমন
এক জিনিস যার গায়ে
তার বদনাম লেখা
থাকে!তাই এগুলা
খাওয়া ছেড়ে দিন,
যানি এত সহজে
ছাড়বেন না, তাই
সিগারেট গুলো ফেলে
দিয়ে খালি প্যাক
রেখে দিয়েছি!!
উফফ!! এখন কেমনটা
লাগে আখি কে পরে
দেখে নিবো!বিছানার
নিচে আলাদা ভাবে
সিগারেট থাকে সেখান
থেকে সিগারেট নিয়ে
ছাদে চলে আসলাম!!
ছাদে গিয়ে সিগারেট
খেতে খেতে
ভাবলাম,অনেক ক্ষন তো
হয়ে গেলো এখন পর্যন্ত
জান্নাতের ফোন
আসেনি কি হয়ছে!!
তাই আমি নিজেই
জান্নাতকে ফোন
দিলাম ”
ফোন দিতেই রিসিভ
করে ওপাশ থেকে
মহিলা কন্ঠী কেও
একজন বলে উঠল :-
কাকে চাই!!
আমি বুঝে ফেললাম
এটা জান্নাতের আম্মু!
মানে আন্টি ফোন
রিসিভ করেছে, তবে
জান্নাতের ফোন তো
আন্টির কাছে থাকার
কথা না!!
যাইহোক আন্টিকে
বললাম : আমি হুসাইন
জান্নাত কোথায়??
আন্টি : ওহ্ বাবা তুমি!!
আমি : হুমম
আন্টি : জান্নাত কোথা
থেকে যেনো এসে
রাগের মাথায় আমার
ঘুমের ঔষুধ খেয়ে
ঘুমিয়ে পড়েছে!!এখন
পর্যন্ত উঠার নামই নেই!!
আমি : মানে কি! ও
ঐসব খেয়েছে কেনো!!
আন্টি : সেটা যানার
জন্যই তো তোমাকে
ফোন দেবো ভেবেছি
তবে জান্নাতের
ফোনের কিছু বুঝি না
তাই অনেক চ্রেষ্টা
করার পর ও ফোন দিতে
পারছি না! এরপর তুমিই
ফোন দিলে!!
আমি : ও আচ্ছা
জান্নাতের এখন কি
অবস্তা আমি কি
আসবো??
আন্টি: না থাক ২ টা
ঘুমের ঔষুধ খেয়েছে!
সমস্যা নেই একটু পরেই
ঘুম ভেঙে যাবে!!
তুমি চিন্তা কইরো না!!
আমি : আচ্ছা আন্টি ওর
ঘুম ভাঙলে আমাকে
ফোন দিতে বলবেন!!
আন্টি : ওকে “”
ফোন রেখে ভাবতে
লাগলাম,জান্নাত হয়তো
আমাকে অনেক দিন
থেকেই ভালোবাসে
তবে কখনো বলেনি!তাই
আমি আমাদের
ফ্রেন্ডশিপ শেষ করে
দেবো!মানে
জান্নাতের সাথে
রিলেশন এ যাবো!!
সিগারেট শেষ করে
নিচে চলে আসলাম!
রাতে খাবার খেয়ে
বিছানায় সুয়ে সুয়ে
ফেসবুক চালাচ্ছি এমন
সময় আমার দরজায় কে
যেনো নক করলো!!
আমি বললাম দরজা খুলা
আছে ভিতরে আসতে
পারেন!!
দরজা খুলে আখি রুমে
প্রবেশ করলো!
আখির হাত দুটো
পিছনে!
আমার সামনে এসে
বললো : আজ আপনাকে
কিছু কথা বলবো আপনার
কী শুনার মত টাইম
হবে??
আমি : হুম অবশ্যই আপনি
বলেন”‘
আখি : আপনাকে আমার
প্রথম দেখাতেই
ভালোগেলে ছিলো!
এরপর ধীরেধীরে
আপনার প্রেমে পড়ে
গিয়েছি!!এখন সব সময়
আপনার কথায় ভাবি!
সত্যি বলতে আপনাকে
আমি প্রচুর ভালোবেসে
ফেলেছি!!
আমি : দেখো আখি এটা
কখনই সম্ভব না!!
আখি : এত কিছু যানিনা
আপনাকে ভালোবাসি
এতটাই যানি!
এই বলে হাত বাড়িয়ে
ফুল দিলো!আমি ফুলটা
নিয়েছি কারন হলো,
ফুল তো কোন দূষ
করেনি!!
আখি হাসতে হাসতে
আমার রুম থেকে চলে
গেলো!
ঠিক তখন মনে পড়ল
জান্নাত আমাকে একটা
চিরকুট দিয়েছিলো!!
ঐ টা প্যান্টের পকেটে
রেখেছি” পকেট থেকে
চিরকুট টা বের করে
পড়তে শুরু করলাম!
চিরকুট টা ছিলো এমন :-
দেখ হুসাইন আমি তোকে
অনেক দিন থেকেই
ভালোবাসি যদিও তোর
কাছে এটা শুধুমাত্র
ফ্রেন্ডশিপ, তবে আমার
কাছে না!কারন আমি
তোকে ভালোবাসি! আর
ভালোবাসি বলেই
তোকে দেখিয়ে
রিলেশন করতে
চেয়েছি! যাতে তুই
আমার প্রতি একটু
সিরিয়াস হবি এটা
ভেবে!!তোকে
ভালোবাসি এটা অনেক
দিন থেকেই বুকের মধ্যে
চেপে রেখেছি তবে
আর পারছি না!
বিশ্বাস কর তোকে এক
মিনিটের জন্য আমার
ভাবনা থেকে সরাতে
পারি না!খুব
ভালোবাসি রে
তোকে,, আর তোকে না
পেলে আমি কি করবো
নিজেও যানি না!!
আরো অনেক কিছু লেখা
ছিলো!
এখন আমি তো পড়ে
গেলাম বিপদে, দু
নৌকার এক মাঝি
কখনো হয় না!!
হতো যদি আমি play boy
হতাম!!
বাট আমি ওমন না!কি
করবো কিছু বুঝতে
পারছি না মাথায় কাজ
করছে না!!
——- চলবে——
চলবে—–চলবে——-
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে
দেখবেন.. কারণ লেখক
পিচ্চি
সবাই নিয়মিত পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন
গল্প : বেস্টফ্রেন্ড যখন
বউ
লেখক : Md. Anwar
Hussain
পর্ব : ৫
আরো অনেক কিছু লেখা
ছিলো!
এখন আমি তো পড়ে
গেলাম বিপদে, দু
নৌকার এক মাঝি
কখনো হয় না!!
হতো যদি আমি play boy
হতাম!!
বাট আমি ওমন না!কি
করবো কিছু বুঝতে
পারছি না মাথায় কাজ
করছে না!!!
III
lll
lll
lll
lll
lll
lll
অনেকটা সময় চলে
গেলো এখন পর্যন্ত
জান্নাতের কোন ফোন
পেলাম না!এখন রাত ৪
টা বাজে ”
আর ভালো লাগছে না,
তাই বাইক নিয়ে
বেড়িয়ে পড়লাম
জান্নাতের বাসার
উদ্দেশ্য!
১০ মিনিটে পৌছেও
গেলাম!জান্নাতের
বাসার সামনে দাড়িয়ে
জান্নাত কে ফোন
করতে থাকলাম!
১০,১২ বার ফোন
দেওয়ার পর জান্নাত
ফোন রিসিভ করলো!
আমি : হ্যালো,
জান্নাত : হুম কি হয়ছে
বলেন!
আমি : আমার কিছু
হয়নি, কিন্ত তোর কি
হয়েছে! তুই নাকি ঘুমের
ঔষুধ খাইছিস “!
জান্নাত : তো আপনার
কী!!
আমি : আমার কি মানে!
আর তুই আমাকে আপনি
করে বলছিস কেনো!!
জান্নাত : তাহলে কি
বলবো ” আচ্ছা দেখেন
আমার আপনার সাথে
কথা বলতে ভালো
লাগছে না..সো বায়!!
আমি : ভালো ভাবে
কথা বলছি ভালো লাগে
না!!
নিচে নাম কথা আছে!!
জান্নাত : পারবো না!!
এই বলে ফোন রেখে
দিলো!
হঠাৎ জান্নাতের এতটা
চেঞ্জ আমার কেমন
যেনো সহ্য হচ্ছিল না!!
তাই ওদের বাসার
ভিতরে গেলাম,
দরজা নক করতেই আন্টি
দরজা খুলে দিলো!!
আন্টি : বাবা তুমি
আসো, ভিতরে আসো!!
আমি ভিতরে প্রবেশ
করলাম!!
আন্টি বলল : আচ্ছা
হুসাইন । জান্নাত
কাওকে কি ভালোবাসে
বা প্রেমে ব্যার্থ
হয়েছে?? তুমি তো ওর
বিষয়ে সব যানো!!
আমি : আরে নাহ্, তেমন
কিছু না!!
আন্টি : যানোই তো
মেয়েটা আমার অনেক
জেদি!!
ওর বাবা তো ব্যাবসার
কাজে বাহিরে
গিয়েছে!
তাই জান্নাত কে নিয়ে
আমার অনেক চিন্তা
হয়!!
কখন যে কি করে বসে
পাগলি মেয়েটা!!
আমি : আপনি চিন্তা
কইরেন না আমি আছি
তো!!
আন্টি: হুমম!
আমি : জান্নাত
কোথায়?
আন্টি : ও তো উপরে ওর
রুমেই!
আমি উপরে গিয়ে
জান্নাতের দরজাতে নক
করলাম বাট কোন
সারাশব্দ পেলাম না!
আমার ডাকাডাকি তে
আন্টিও নিচ থেকে চলে
এলো… আন্টিও অনেক
ডাকাডাকি করলো
কিন্ত কোন কাজ হলো
না!!
জান্নাত কিছুতেই দরজা
খুলছে না!!
রাগ থাকা ভালো কিন্ত
এতটা রাগ মোটেও
ভালো না!!
আমি সেখান থেকে মন
খারাপ করে বাসায়
চলে আসলাম!!
বাসায় এসে নিজেকে
পাগল পাগল
লাগতেছিলো!!
আমি এজন্য আমার
লাইফে কারো সাথে
রিলেশন করেনি!!
কারন আমি যানি
রিলেশনে সুখের চেয়ে
দুঃখের পরিমান টাই
বেশি হয়!! কেও যদি
জাস্ট একবার মন থেকে
৩,৪ বছর রিলেশন করে
সেই প্রেমে ব্যার্থ হয়!
তাহলে তারা জিবনটা
নষ্ট করতে ১ মিনিট ও
ভাবে না!!
ছোটবেলা থেকে যেই
ভয়টা পেয়ে এসেছি
আজ সেটাই হলো আমার
সাথে!!
কারন আমি জান্নাত কে
ভালোবেসে ফেলেছি!
কোন এক কবির কথা :-
একটা ছেলে, মেয়ে
কখনো ভালো বন্ধু হতে
পারে না!
কোন না কোন সময়
প্রেমে পরবেই!!
আমি যানিনা কথাটা
কতটুকু সত্যি কিন্ত আমি
জান্নাত কে অসম্ভব
ভালোবেসে ফেলেছি
এইটুকু বলতে পারি!!
রাত প্রায় দশটা
বাজলো বলে! আমার
মনটা ভিষন খারাপ তাই,
এক হাতে গিটার অন্য
হাতে সিগারেট এর
প্যাক নিয়ে ছাদে চলে
আসলাম!
আমি গিটারিস্ট গিটার
বাজাতে ভালোবাসি
প্রায় সময় ফেসবুক
লাইভে আসি!.কারন
আমার গিটার বাজানো
অনেকের ই পছন্দ এই
গিটার বাজিয়ে
ফেসবুকে কত মেয়ের
প্রপোজ পেয়েছি
হিসাব নেই!!
কিন্ত সত্যি বলতে
ভালোবাসায় বিশ্বাস
না করা আমি, আজ
কারো ভালোবাসার
অভাবে ভুগছি!!
যাইহোক আজকে আর
লাইভে গেলাম না!
আমাদের ছাদ থেকে
চাঁদ টা খুব সুন্দর দেখা
যায়!!
তাই গিটার বাজিয়ে
সিগারেট খাচ্ছি!
এমন সময় ছাদে আখি
আসলো! তখন মাথাটা
পুরো গরম হয়ে গেলো,
এমনিতে মন ভালো না
এখন এসে নেকামো
করবে!! বলবে :
সিগারেট খেও না, এই
কইরো না ঐ কইরো না!!
বিরক্তি কর, মেহমান
বলে কিছু বলতেও পারি,
দাতঁ কামড়ে রাগ টা
আটকিয়ে রাখি!!
আখি এসে ঠিক আমার
সামনে বসলো!
চাঁদটা ঢেকে দিয়ে!!
আমি বললাম : সামনে
থেকে সরে বসো চাঁদ
দেখতে দাও!!
আখি বলল : চাঁদ দেখতে
হবে না! এখন থেকে
আমিই তোমার চাঁদ!!
এই কথাটা শুনা মাত্রই
আমি চেয়ার থেকে পড়ে
গেলাম!
তখন আখি আবরো বলল :
আমি থাকতে তোমার
কোন চিন্তাই নেই!” তুমি
একবার পরো হাজার
বার পরো, আমি
তোমাকে তুলে নেবো!!
এখন আপনারাই বলেন
এরকম নেকামো কি সহ্য
করা যায়!! এমনি তেই
অনেক ডিপ্রেশন এর
মাঝে আছি!!
আমি বললাম : যদি এতই
ভালোবাসতে তাহলে
পরতেই দিতে না, হয়ছে
হয়ছে নেকামো রাখো
আর আমার সামনে
থেকে সরে বসো!!
আখি : না সরলে কি
করবে!!
আমি : কি করবো
শুনবা??
আখি : হুম বলো!!
আমি : তোমাকে ছাদ
থেকে ধাক্কা দিয়ে
নিচে ফেলে দিবো কি
বিশ্বাস হয় না!!
এই বলে আমি চেয়ারেই
একটু নড়েচড়ে বসলাম
আখি ভয় পেয়ে হুরমুর
করে সেখান থেকে উঠে
অন্য জায়গাতে চলে
গেলো!!
আখি দূর থেকে বলল :
আপনি এমন কেনো??
আমি : কেমন??
আখি : খুব পচা আপনি!!
শুধু শুধু ভয় দেখালেন!!
আমি : শুধু শুধু না কাছে
আসলেই বুঝবা, শুধু শুধু
নাকি সত্যি সত্যি!!
আখি আর কিছু না বলে
নিচে চলে গেলো,
বেছেরিটা হয়তো
অনেক ভয় পেয়েছে!!
আখি চলে যাওয়ার পর,
আবারো সেই ডিপ্রেশন
মোড এ চলে গেলাম!
তাই নিচে রুমে চলে
আসলাম! কিন্ত কিছু
ভালো লাগছে না “”
আমার এক ফ্রেন্ড
বলেছিলো ও নাকি, কি
যেনো এক নেশা করে
যেটা একবার খেলে
নাকি অনেক সময়ের
জন্য সব কষ্ট ভুলে থাকা
যায়!!
জিবনের প্রথম বার
নেশার জগতে পা
রাখতেছি!
সেই ফ্রেন্ড কে ফোন
দিয়ে ,! বুঝিয়ে বললাম
ওগুলা আছে??
ফ্রেন্ড : হুম আছে
কেনো??
আমি : খাবো!!
ফ্রেন্ড : ওক্কে ব্রাদার
চলে আয়!!
আম্মুর হাজার টা বারন
থাকা সত্বেও বাইক
নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম
কারো কথা শুনলাম না!
”
আম্মু অনেক বললো এত
রাতে বাইক নিয়ে বের
হয়িছ না বাবা,, বিপদ
হতে পারে!!
আমি আম্মু কে জরিয়ে
ধরে বললাম কিছু হবে
না!!
তোমার দুয়া আমার
সাথে আছে তো তাই
না!!
এই বলে বাইক নিয়ে
বেরিয়ে পড়লাম
রাস্তায় তেমন একটা
গাড়ি নেই দু এক মিনিট
পর পর মালবাহী ট্রাক
যাচ্ছে!
তাই বাইকের স্পিড 100
নিচে আসতেই দেইনি!
হঠাৎ করে কেমন যেনো
মাথা ঘুড়ে গেলো,
চোখে অন্ধকার
দেখলাম!! তাই বাইকের
কনট্রোল হারিয়ে এক
মালবাহী ট্রাক,এর
নিচে চলে গেলাম!!
তারপর আমাকে
সেখানে থাকা লোক
গুলো হসপিটাল এ নিয়ে
গিয়েছে!! আমার
অবস্থা খুব খারাপ শরীর
থেকে প্রচুর রক্তক্ষরন
হয়েছে!!
আমার বাসার লোক জন
কে ফোন করে ডাকা
হলো ”
সবাই কান্নায় ভেঙে
পড়ল! বাবা,মায়ের
একমাত্র ছেলে বুঝতেই
তো পারছেন!!
হসপিটাল থেকে আমায়
মৃত্য ঘোষনা করার পর!!
আমাকে মর্গে পাঠিয়ে
দেওয়া হয়!!
( এগুলা কিন্ত সুস্থ
হওয়ার পরে যানতে
পেরেছি)
আমাকে মর্গে রাখা
হলো, সেদিন হসপিটাল
এ কোন এক অকেশন
চলছিলো মানে
অনুষ্ঠান! তাই আমার
পোসমেডম সেদিন করা
হয়নি! কাল করবে বলে
যানিয়েছে!!
হঠাৎ করে আমার জ্ঞান
ফিরে, তখনো আমি
মর্গে লাশ রাখার
রুমেই !!
ডাক্তার এর ভুল এর
কারনে আমাকে মৃত
ঘোষনা করা হয়ছে!!
তাছাড়া সাইন্স এ
এমনো ব্যাখা আছে যে,
রোগীর রেসপন্স দূর্বল
থাকার কারনে,,
ডাক্তার দের বুঝতে
সমস্যা হয়!!আমার সাথে
হয়তো সেটাই হয়েছে!!
যাইহোক জ্ঞান ফিরে
পাবার পরে আমি
বুঝতেই পারছি না আমি
কোথায় আছি!!
সাধারণত মর্গে অনেক
ঠান্ডা, ফ্রিজ এর মত
যাতে লাশ, পচে গলে
না যায়!!
আমার খুব ঠান্ডা
লাগছে, কারন আমার
শরিরে পাতলা সাদা
চাদরের মত কাপড় টা
ছাড়া আর কিছু নেই!!
আমি অন্ধকারে দরজা
খুজে ” ধাক্কালাম কাজ
হলো না!!.বাহিরে
থেকে লক করা, আর
সেদিন হসপিটাল এ
অকেশন থাকার ফলে
গার্ড রা সব ওখানেই!!
কিন্ত আমি ঠান্ডায়
একদম জমে যাচ্ছি,,!!
রুমটা পুরো অন্ধকার
কিছু দেখতে পাচ্ছি
না!!
এ রুমেই অনেক লাশ
রাখা আছে!!
আমি তাদের শরিরের
চাদরের মত কাপড় গুলো
এক সাথে করে!! আমার
গায়ে জরিয়ে নিলাম!!
তবে আমি তখনো বুঝিনি
এটা কিসের কাপড়
হাতের কাছে যা
পেয়েছি তাই কুড়িয়ে
নিয়েছি!!
তখনো আমার মাথায়
জান্নাতের কথা ঘুড়পাক
খাচ্ছে!!
আর ভাবছি কখন যে
সকাল হবে, এ রকম আর
বেশিক্ষন থাকলে এবার
সত্যি সত্যি মরে
যাবো!!!
——- চলবে——
চলবে—–চলবে——-