#ভালোবাসার_প্রজাপতি
#পর্বঃ২৩
#মাহিয়া_মুন
অপারেশন রুমের সামনে স্থির হয়ে বসে আছে আদ্রিজ এবং নিহা। রিক্সাচালক কাকুর অপারেশন চলছে।
নিহা বারংবার রুমটির দিকে তাকাচ্ছে। তার জন্য একজন নিরপরাধ মানুষ এইভাবে কষ্ট পাচ্ছে, এইটা যেন সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। মনে মনে একটাই প্রার্থনা যেন লোকটির কিছু না হয়। নাহলে সে নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে যাবে, নিজেকে নিজে কখনই ক্ষমা করতে পারবে না।
নিহা রেগে উঠে দাঁড়ালো। প্রায় ঘন্টা খানেক হয়েছে অপারেশন শুরু হয়েছে। এখনো ডক্টর কিছুই জানাচ্ছে না। রাগে চোখ মুখ শক্ত করে ফেললো নিহা। চোখের সামনে লোকটির ইশারায় বলা কথাগুলোই বারবার ভাসছে। কে সেই লোকটি?
তবে যেই এইরকম করেছে তাকে এর থেকেও তিনগুণ বেশি কষ্ট পেতে হবে।
পুনরায় গিয়ে আদ্রিজের পাশে বসলো।
আদ্রিজ নিহার কার্যকলাপ লক্ষ্য করছিল । নিহার হাতের উপর নিজের হাত রেখে বলে উঠলো,
“অস্থীর হয়ো না। ইনশা আল্লাহ্ ঠিক হয়ে………”
আর কিছু বলতে পারলো না। ডক্টর অপারেশন রুম থেকে বের হয়ে আসলো।
ডক্টর কে দেখা মাত্রই দুজন ডক্টর এর নিকট চলে গেলো।
“ডক্টর কি অবস্হা পেশেন্ট এর। অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে না। সুস্থ্য হয়ে যাবে তো পেশেন্ট।”
নিহার উৎকন্ঠা এতসকল প্রশ্নে ডক্টর কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করলো।
কিছুক্ষণ পর বলে উঠলো,
“পেশেন্ট আপনার কি হয়?”
“এইটা কেমন কথা ডক্টর, আমি কি জিজ্ঞেস করলাম আর আপনি কি বলছেন? আগে বলুন পেশেন্ট এর কি অবস্হা।”
ডক্টর পুনরায় তাকালো আদ্রিজ এবং নিহার দিকে। দুজনের মুখেই চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। তবে সত্যি তো বলতেই হয় তাদের।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠলো,
“We are sorry. আমাদের অপারেশন সাকসেসফুল হয় নি। বুলেট পেশেন্ট এর হৃদপিণ্ড বরাবর লেগেছে। যার কারণে আমাদের দ্বারা পেশেন্ট কে বাঁচানো সম্ভব হয়ে উঠেনি।”
এই বলে ডক্টর চলে গেল।
নিহা স্থির হয়ে গেল। চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ল এক ফোঁটা জল।
যেটা চায়না সেটাই কেন ভাগ্য তাকে দেয়।
ইসস লোকটির পরিবার শুনলে না জানি কিরকম হয় তাদের মনের অবস্থা ।
নিহা নিজেকে সংযত করল। সে ভেঙে পরলে হবে না।
লোকটিকে কিছুক্ষণ পরই সাদা কাপড়ে ঢেকে অপারেশন রুম থেকে বের করলো।
নিহা গিয়ে সাদা কাপড়টি মুখ থেকে সরালো।
হায়,,,,, লোকটি ঘন্টা দুয়েক আগেও এই ধরণীর বুকে হেসে খেলে ছিল। আর এখন…………..
নিহা চোখের কোনে থাকা পানিটুকু হাত দিয়ে মুছে লোকটির এক হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিল।
“বাবা ,,, জানেন আংকেল এই মুহুর্তে বাবাকে ভীষণ মনে পড়ছে। আমার বাবাও ঠিক আপনার মতোই না ফিরার দেশে চলে গেছে। আচ্ছা আপনারও কি আমার মত কোন মেয়ে সন্তান আছে। যদি না থাকে তাহলে এই আমি আপনার মেয়ে। আর মেয়ে হয়ে আপনার হাত ছুঁয়ে কথা দিলাম, ছাড়বোনা তাকে। ভয়ংকর মৃত্যু অপেক্ষা করছে তার ভাগ্যে।”
*
গভীর রাত, চারদিক নীরব হয়ে আছে।
নিহা দাড়িয়ে আছে একটি সুন্দর ছোট এক্ তালা বাড়ীর সামনে। রাতের অন্ধকারেও যেন বাড়িটির সৌন্দর্য ফুটে আছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে এই ছোট ঘরটি কারো সখের তৈরী।
একটু আগেই নিহার সখের এই বাড়িতে সে রিক্সাচালক কাকুর বউ এবং দুই ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে এসেছে।
মেয়েটা এইবার ইন্টার প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে। আর ছেলেটির বয়স 4 বছর।
তাদের মনের অবস্হা খুবই খারাপ। যদিও ছেলেটা হয়তো বুঝতে পারছে না। মা এবং বোনের কান্নায় নিজেও কাদঁছে।
নিহা তাদেরকে সান্ত্বনা দিতে গিয়েও দিল না। কেঁদে মনটা হালকা করুক।
এইখানে সে রাত প্রায় 1 টার দিকে এসেছিল। রিক্সাচালক কাকুর পরিবারকে এইখানে তার অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যেমে এনে রেখেছে। রাতে আদ্রিজ বাবুর খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলো।
এমনিতেই লোকটি যে তাকে সন্দেহ করছে তাতে নিহার বিন্দু মাত্র সংকোচ নেই। যে কোন সময় হয়তো ধরা পড়ে যাবে। তবে তাঁর আগে নিজের কাজ সম্পাদন করতে হবে।
নিহা কিছু একটা ভাবলো। সে যা ভাবছে তীর যেন সেদিকেই যাচ্ছে। যদি তাই হয় তাহলে যে সবটা কঠিন হয়ে যাবে।
ফোন বাজার আওয়াজে নিহার ধ্যান ফিরল।
“ভাই………….”
“……………………………”
“হ্যা যা শুনেছিস একদম ঠিক। আমার জন্য আজ একজন নিরীহ মানুষকে মরতে হলো।”
“……………………………….”
“অনেকটাই পেয়ে গেছি আমি নাগাল, তবে হিসাব কেন যেন কঠিন হয়ে যাচ্ছে ভাই”
“…………………………………….”
“হ্যা ঠিক ধরেছিস।”
“…………………………….…”
“হুম আমার চিন্তা পড়ে করিস, তোর ঐখানে কি খবর। তোর কিন্তু বিপদ চারদিকে।”
“……………………………………………”
“হুম। মায়ের কি অবস্থা………”
“………………………………………”
“ঠিক আছে। আমাকেও যেতে হবে। Take care………”
এই বলে নিহা কল কেটে পুনরায় বাড়িটির দিকে তাকালো।
হাত ঘড়িতে সময় দেখে নিল। নাহ্, তার আর থাকা চলবে নাহ।
নিহা দ্রুত তার অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ফোনে মেসেজ সেন্ড করে সেই জায়গা থেকে প্রস্থান করলো।
*#ভালোবাসার_প্রজাপতি
#পর্বঃ২৪
#মাহিয়া_মুন
পেড়িয়ে গেছে জগৎ জীবন থেকে কয়েকটি দিন। প্রতিদিনের মতোই যে যার দৈনন্দিন জীবন নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করে।
এর মাঝে বদলেছে আদ্রিজ এবং নিহার মধ্যকার দূরত্ব। আদ্রিজের করা ছোট ছোট ভালোবাসাময় খুনসুঁটি, রাতের আকাশে নিহাকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে বের হওয়া, দুজন একই সাথে রাস্তার পাশে থাকা ছোট চায়ের দোকানে চা খাওয়া, রাতে নিহাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে থাকা, নিহার লম্বা চুলে বেনী করে দেওয়া, সুযোগ পেলেই পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে চুলে মুখ গুঁজে দেয়া, কিচেনে রান্নায় সাহায্য করা, অফিস থেকে দ্রুত বাসায় ফিরে আসা………….
সব কিছুই যেন নিহাকে বাধ্য করে আদ্রিজের ভালোবাসায় নিজেকে বন্ধি করতে । জীবনে এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরও আদ্রিজের পাশে দাঁড়ালে নিহার কেন যেন নিজেকে ভাগ্যবতী লাগে। যখন পরিবারের সবাই বলে আদ্রিজ কেমন বউ পাগল হয়ে গেছে, ইসস,,,, কি লজ্জাটাই না পায় সে। অবশ্য আদ্রিজ বাবু যা করে তাতে সবার বলা “বউ পাগল” কথাটা যেন একদমি মিলে যায়। আর সব শেষে লজ্জাটা নিহাকেই পেতে হয়।
চৌধুরী পরিবারে সকলে ফিরে এসেছে কিছুদিন আগেই। মিসেস আশা চৌধুরী তার চাচাতো ভাই এর এইভাবে মৃত্যু হওয়ায় অনেকটাই শোকাহত হয়ে ছিলেন।
তাই সবাই চাইছে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চৌধুরী বাড়ি পুনরায় আনন্দময় করে তুলতে। আর এই বিশেষ অনুষ্ঠান স্বরূপ মিস্টার আজিজ চৌধুরী আদ্রিজ এবং নিহার বিয়ের রিসেপশন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
মেঘা এবং মেঘের রিসিপশন কিছুদিন পর করবে বলে সকলে জানিয়েছে। কারণ আর কিছুদিন পরই মেঘের ফাইনাল এক্সাম শুরু হবে। যদিও দুই ভাইয়ের একই সাথে রিসিপশন করার কথা ছিল তবে আজিজ চৌধুরীর কথায় আদ্রিজ এবং নিহার বিয়ের রিসিপশন এখনই করা হবে। সবাই কিছুটা অবাক হলেও খুশি হয়েছে অনেক।
নিহা কিছুই বলে নি। সে জানে মিস্টার আজিজ চৌধুরী কেন এসব করছে। সবকিছু দেখে নিহা শুধু হেসেই গেছে।
বেলকনিতে দাড়িয়ে রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করতে থাকা তারার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিহা।
কিছু হিসাব মিলিয়ে গেলেও মানতে কষ্ট হচ্ছে, সাথে ভয় ও হচ্ছে। এতো কিছুর মাঝে যদি আদ্রিজ বাবুকে সেই লোকটি টেনে আনে। কিছুদিন আগে তাঁর কারণেই রিক্সাচালক লোকটিকে মরতে হলো।
কোমড়ে কারো স্পর্শ পেয়ে কিছুটা কেপে উঠল। এই স্পর্শ তার বড্ড চেনা।
আদ্রিজ চুলে মুখ গুঁজে দিয়ে বলে উঠলো,
“এতো রাতে চুল ছেড়ে বেলকনিতে দাড়িয়ে আছো কেন?”
লোকটি ঘুম ঘুম নেশালো কণ্ঠে নিহা মাঝে মাঝে নিজেই বেসামাল হয়ে পড়ে। লোকটি কি বুঝেনা, নাকি ইচ্ছাকৃতই এমন করে।
“কি হল বলছোনা যে কিছু।”
“কি….কিছুনা। এমনি দাড়িয়ে ছিলাম। আপনি এমন হুটহাট জড়িয়ে ধরেন কেন?”
“কেন ভয় পাও নাকি আমার ছোঁয়ায় কন্ট্রোললেস হয়ে পরো।”
“ফালতু কথা না বলে থাকতে পারেন নাহ তাইনা। ছাড়ুন……”
“আচ্ছা আচ্ছা সরি…..রেগে যাও কেন।”
এই বলে আদ্রিজ নিহাকে ছেড়ে নিজের দিকে ফিরালো।
“চলো চুল বেধে দেই।”
“নাহ্ থাক আমি বেধে নিবো।”
আদ্রিজ কিছু না বলে নিহাকে টেনে ড্রেসিং টেবিলের সামনে নিয়ে বসালো।
নিহা আয়নায় আদ্রিজের দিকে তাকালো। লোকটির পুরো মনোযোগ তার চুলে।
চুল বেঁধে আদ্রিজ নিহার কোলে মাথা রেখে মেঝেতে বসে পড়লো।
কিছুটা মিইয়ে যাওয়া কণ্ঠে বলে উঠলো,
“আচ্ছা এলোকেশী তুমি আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছ তাইনা। আমায় কি বলা যায় না।”
“আ….আমি কি লুকাবো। কিছুই না।”
“মিথ্যে বলছো।”
নিহা কিছুক্ষণ চুপ থাকলো। তার এখনো অনেক কিছুই করার বাকি। পানি যত ঘোলাচ্ছে ততোই যেন ময়লা বের হচ্ছে। এখন যদি আদ্রিজ বাবুকে কিছু বলে তাহলে আদ্রিজ বাবুর ই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠলো,
“বলবো…….তবে সঠিক সময়ে। এখনো সেই সময় আসে নি। আর আদ্রিজ বাবু আমার পিছে গোয়েন্দা লাগানো বন্ধ করুন। আপনি যে গোয়েন্দা লাগিয়ে রেখেছেন আমায় ফলো করার জন্য আমি কিন্তু সেটা জানি।”
আদ্রিজ চমকে নিহার দিকে তাকালো। এটা সত্যি সে কিছু লোক লাগিয়ে রেখেছে নিহাকে ফলো করার জন্য। তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। লোকগুলো কোনো আপডেটই দিতে পারছে না।
“কারণ লোকগুলোকে আপডেট না দেওয়ার জন্য আপনার থেকেও বেশি টাকা দেয়া হয়েছে।”
এই বলে নিহা রুম থেকে বের হয়ে গেল।
আদ্রিজ চোখ বড় বড় করে নিহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। তার মনের কথা নিহা বুঝতে পারলো। আর তাঁর থেকেও বেশি টাকা দিয়েছে মানে কে দিয়েছে, আর নিহা তো এত টাকা দিতে পারবে না।
আদ্রিজের কাছে নিজেকেই নিজে কেমন পাগল পাগল মনে হচ্ছে।
দরজার পাশেই দাড়িয়ে ছিলো মেঘ এবং মেঘা। সবটাই যেন মেঘের মাথার উপর দিয়ে গেল যদিও মেঘা সবটাই জানে।
মেঘ রূমে ঢুকে আদ্রিজকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
“ভাইয়া কি হয়েছে বলোতো। তুমি নিহার পিছে লোক লাগিয়েছো মানে, আর কিসের টাকার কথা বলছিলে।”
আদ্রিজ গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো,
“কিছুনা, আমাদের হাসব্যান্ড ওয়াইফ এর ব্যাপার এসব।”
এই বলে আদ্রিজ নিজেও বের হয়ে গেলো।
মেঘা রেগে বলে উঠলো,
“ভাইয়া তো ঠিকই বলেছিল। এইগুলো তাদের ব্যাপার। তোমার এত জানার কি প্রয়োজন?”
“আরেহ আমার কাছে মনে হল কোনো গন্ডগোল আছে তাই জিজ্ঞেস করলাম।”
“বেশী বুঝে ফেলেছো।”
“যাহ বাবা আমিতো শুধু জিজ্ঞেস করলাম। যত দোষ নন্দ ঘোষ।”
“কি হল নিহা মা, এতো রাতে এখানে।”
আশা চৌধুরীর কণ্ঠ পেয়ে নিহা পিছনে তাকালো।
মৃদু হেসে বলে উঠলো,
“পানি নিতে এসেছিলাম মা। আপনি এখানে, কিছু লাগবে আমায় বলেন।”
“নাহ্ মা আমিও পানি নিতে আসলাম। তোমার শ্বশুর যে কি করে বুঝলে। রাগ উঠে অনেক। এতো রাতেও অফিসের কাজ নিয়ে বসলো।”
নিহার কিছু একটা ভাবলো।
হেসে বলে উঠলো,
“হয়তো কাজের চাপ বেশী মা।”
“হ্যা তাই হবে। মাঝে মধ্যেই এমন করে। আমি মা সজাগ থাকতে পারি না। শরীল টাও ভাল যাচ্ছে নাহ। যাও মা গিয়ে শুয়ে পরো। আমিও যাই।”
“ঠিক আছে মা।”
আশা চৌধুরী হেসে নিহার কপালে চুমু একে দিয়ে চলে গেলেন।
নিহা নিজেও হেসে উঠলো। এই মহিলা কে দেখেই নিহা প্রতিনিয়ত নিজের মাকে অনুভব করে।
মহিলাটা যে বড্ড ভালো।
নিহা রুমের দিকে যেতে গিয়েও কারো ফোনের আওয়াজে দাড়িয়ে গেলো। কেউ একজনকে দেখেই আড়াল হয়ে গেলো।
লোকটির বলা কথাগুলো শুনে নিহা কিছুক্ষণ চুপ থাকলো। লোকটি কথা বলা শেষে চলে যেতেই নিহা আড়াল থেকে বের হয়ে এলো।
লোকটির যাওয়ার দিকে তাঁকিয়ে হেসে বলে উঠলো,
“যদি আপনি চলেন পাতায় পাতায় আমি যে চলি সেই পাতার সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায়। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠ ভাবে না হলে যে পাতা টাই ঝরে পরে। আমি আপনাকে ঝেড়ে ফেলে দিব। আর এইটা আমার ওয়াদা।”
*
*
*
#চলবে
*
#চলবে
(